যে দুআ ১ বার পড়লে হাজার দিন পর্যন্ত নেকী লিখা হয়?

যে দুআ ১ বার পড়লে হাজার দিন পর্যন্ত নেকী লিখা হয়?


১। কোন সময় প্রতি কদমে ১ বছর নফল নামায ও রোযার নেকী হয়? উত্তর : নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন ১ ভালভাবে জামা পাপড় ধোবে, ২. উত্তমরূপে গোসল করবে, ৩. সবার আগে মসজিদে যাবে, ৪. পায়ে হেঁটে যাবে, ৫. ইমামের কাছাকাছি বসবে, ৬. মনযোগ সহকারে খুত্ব শুনবে, ৭. কোন কথাবার্তা না বলবে । জুমার দিন এ ৭টি বিষয়ের উপর আমলকারীদের আল্লাহ তাআলা তার প্রতি কদমের বিনিময়ে ১ হাজার নফল নামায ও ১ বছরের রোযার সওয়াব দান করবেন। (তিরমিযী, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ মিশকাত, মুসলিম ৮৫৭)


২। ৫ সেকেণ্ডে যে দুআ ১ বার পড়লে ১ হাজার দিন পর্যন্ত নেকী লিখা হয়? উত্তর : 461

উচ্চারণ : জাযাল্লাহু আন্না মুহাম্মাদাম মা-হুয়া আহলুও ।

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি ১ বার এ দুআ পাঠ করবে, ৭০ জন ফেরেশতা ১০০ দিন পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে তার সাওয়াব লিখতে থাকবে (তাবারানী, তারগীব তারহীম ১৫৮৭)


৩। ১০ সেকেণ্ডে কীভাবে ২০ লক্ষ থেকে ১৪ কোটি নেকী লাভ হয়?

২০ লক্ষ নেকির দোয়া

উচ্চারণ : লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লাশারীকালাহু আহাদান সামাদান লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ ।

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি এ দুআ ১ বার পাঠ করবে আল্লাহ তাআলা তাকে ২০ লক্ষ নেকী দান করবেন। ফরজ নামাযের পর পরই পড়াও একটি সুন্নত আমল এটি রমযানে পড়লে ১৪ কোটি । (তারগীব, ৯২৩ তারহীম)

৪ । ২০ সেকেণ্ডে কি আমল করলে অর্ধ দিন তাসবীহ পড়ার চেয়েও অধিক নেকী হয়?

উত্তর : নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি এ তাসবীহ ৩ বার পাঠ করবে সে অর্ধেক দিন তাসবীহ তাহলীল পড়ার চেয়েও অধিক সওয়াব লাভ

করবে ।

উচ্চারণ : সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহী আদাদা খালকিহী ওয়ারিদ্বায় নাফসিহিহ ওয়াজিনাতা আরশিহী ওয়ামিদাদা কালিমাতিহী। (মুসলিম,২৭২৬ তিরমিজী, নাসাঈ) 

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি, খানার শেষে এ দুআ পড়বে, আল্লাহ তাআলা, তার আগের পিছনের সমস্ত গুনা, মাফ করে দিবেন।

উচ্চারণ : আলহামদু লিল্লাহিল্লাযী, আত্বআমানী, হাজাত, তায়ামা ওরাজাকনী, মিন গাইরি হাওলিন, মিন্নী ওয়ালা কুওয়্যাতা ।


৫। ১০ সেকেণ্ডে কী আমলে আগে পিছনের সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যায় । 

উত্তর : নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি খানার শেষে এ দুআ পড়বে আল্লাহ তাআলা তার আগের পিছনের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিবেন।

উচ্চারণ : আলহামদু লিল্লাহিল্লাযী আত্বআমানী হাজাত তায়ামা ওরাজাকনী মিন গাইরি হাওলিন মিন্নী ওয়ালা কুওয়্যাতা ।


৬। ৫ সেকেণ্ডে কীভাবে ১ লক্ষ থেকে ৭০ লক্ষ নেকী লাভ হয় ?

উত্তর : নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি- 

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু পড়বে তার জন্য জান্নাত আবশ্যক হয়ে যাবে। আর-সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহী ১০০ বার পড়লে ১ লক্ষ ২৪ হাজার নেকী লাভ হয়। (রমযানে ৭০ গুণ, তাই রমযানে ১০০ বার পড়লে ১৬৮০ হাজার নেকী লাভ হবে। ) (মুসলিম, তিরমিযী,৩৫৯০ আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, মুস্তাদরাক হাকীম, তারগীব,১৫২৪)


৭। কোন কালেমা জিকির সাত আসমান সাত জমিন হতেও ভারী?

উত্তর : নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সাত আসমান ও জমিন যদি এক পাল্লায় রাখা হয় তবুও

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পাল্লা ভারী হবে এবং তার পরিধি আরশের নিচের স্থানও সংকুলান হয় না ।

(ইবনে মাজাহ,৩৮০০, তিরমিথী, ৩৩৮৩)


৮। দুই সেকেণ্ডে কীভাবে উহুদ পাহাড় ওজনের অধিক নেকী লাভ হয়?

উত্তর : নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

সুবহানাল্লাহ এর

নেকী উহুদ পাহাড় হতেও উত্তম । (তারগীব ১৫৪০)


৯ । দুই মিনিটে কীভাবে একশত নফল হজের নেকী লাভ করা যায় ?

উত্তর : নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি সকালে একহাজার

বার ও সন্ধ্যায় একশত বার

সুবহানাল্লাহ পাঠ করবে আল্লাহ তাআলা তাকে

১০০ নফল হজের সওয়াব দান করবেন। (মিশকাত, আহমাদ, নাসাঈ, তিরমিযী ৩১৬৪)

আর আল্লাহু আকবার বলার দ্বারা আসমান ও জমিনের মধ্যবর্তী স্থানকে নূর দ্বারা ভরপুর করে দেন এবং বেশি বেশি করে পড়ার দ্বারা ঈমান তাজা হয় ।


১০। কোন সময় ১টি খোরমা দান করলে উহুদ পাহাড় সমতুল্য নেক হয়?

উত্তর : সহীহ নিয়ত তথা একমাত্র আল্লাহ তাআলাকে রাজি সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে ১টি খোরমাও যদি আল্লাহর রাস্তায় দান করা হয় এর বদৌলতে আল্লাহ তাআলা তাকে উহুদ পাহাড় ওজন সমতুল্য সাওয়াব দান করবেন। উহুদ পাহাড়ের ওজন আল্লাহ তাআলা ব্যতীত কেহই জানে না । (বুখারী ১৪১০, মুসলিম, ১০১৪)


১১। বিশ সেকেণ্ডে দশ লক্ষ সাত কোটি নেকী এক লক্ষ গুনাহ মাফ হয়? 

 নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি বাজারে গিয়ে এ দুআ পড়বে আল্লাহ তাআলা তাকে এক লক্ষ নেকী দান করবেন এক লক্ষ গুনাহ মাফ করবেন। এক লক্ষ মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন, জান্নাতে একটি বালাখানা তৈরি করে দিবেন ।

উচ্চারণ : লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারী কালাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ইয়ুহয়ী ওয়ুমীতু হুওয়া হায়্যল্লামৃত বিয়াদিহীল খাইরু ওয়াহুওয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর । (আবু দাউদ, ৫০০৮, ফাতহুল কাবীর : ৩ খ৫, পৃ. ১৮০)


১২। এক মিনিটে কোন আমল করলে ঈমানের সাথে মৃত্যু হবে?

উত্তর : মিসওয়াক করার অভ্যাস করে অজু করে নামায পড়লে । (বায়হাকী, ২৭৭৮)


১৩। বিশ সেকেণ্ডে কী আমল করলে মরুভূমির বালুকা রাশির অগণিত গুনাহ মাফ হয়? 

উত্তর :

উচ্চারণ : আসতাগফিরুল্লাহাল্লাজী লা ইলাহা ইল্লাহু ওয়াল হায়্যুল কায়্যুম ওয়া আতুবু ইলাইহি।

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি শোয়ার সময় এ দুআ পড়বে আল্লাহ তাআলা তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিবেন । যদিও তার গুনা সমুদ্রের ফেনার পরিমাণ/ মরুভূমির বালুকারাশির পরিমাণ/ বৃক্ষের পাতার পরিমাণ/ দুনিয়ার সমস্ত দিনের পরিমাণও হয় এবং খাঁটি দিলে তাওবা করলে নিশ্চয়ই তা কবুল হবে।

(আবু দাউদ, ১৪৮৯) 


১৪। আধা মিনিটে কোন আমল দ্বারা ৭০ হাজার ফেরেশতা সারা দিন গুনাহ মাফের দুআ করতে থাকে?

উত্তর : নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমান, যে ব্যক্তি সকালে ৩ বার আউজুবিল্লাহিস সামীয়িল আলীমি মিনাশ শাইতায়ানির রাজীম পড়ে সূরা হাশরের শেষ ৩টি আয়াত একবার পাঠ করবে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য ৭০ হাজার ফেরেশতা সারা দিনের জন্য গুনাহ মাফের দুআ করার জন্য নিযুক্ত করে দেন এবং ঐ দিন মৃত্যু হলে শহীদী মর্যাদা দান করবেন।

উচ্চারণ : হুওয়াল্লা হুল্লাজী লা ইলাহা ইল্লাহু, আলিমূল গাইবি ওয়াশ শাহাদাতি হওয়ার রাহমানুর রাহীম। হুওয়াল্লা হুল্লাজী লা-ইলাহা ইল্লাহ, আল মালিকুল কুদ্দুস সালামূল মুমিনূল মুহায়মিনূল আজীজুল জাব্বারুল মুতাকাব্বির। সুবহানাল্লাহি আম্মা ইয়ুশরিকূন। হুওয়াল্লাহুল খালিকুল বারিয়্যুল মুছাওবিরু লাহুল আসমাউল হুসনা ইয়ুসাব্বিহু লাহুমা ফিস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি ওয়াহুয়াল আজীজুল হাকিম ।


১৫। ৫ মিনিটের কোন আমলে ৮০ বছর এবাদত ৮০ বছর এর গুনাহ মাফ হয় ? 

উত্তর : নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমান যে বক্তি জুমার দিন আছর নামাজ পড়ে নিজ জায়গায় থেকে উঠার পূর্বে এ দুরুদ ৮০ বার পড়বে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ ও ৮০ বছরের এবাদতের নেকী লাভ করবে। (তারাবানী, ৩/১২২)

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ছাল্লিয়ালা মুহাম্মাদিনিন্নাবিয়্যিল উম্মিয়্যীওয়াআলা আলিহী ওয়া সাল্লিম তাসলীমা।


১৬। ছয় মিনিটে কীভাবে এক লক্ষ চল্লিশ হাজার নেকী লাভ করা যায়?

উত্তর : নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমান, যে ব্যক্তি সকালে একশত বার বিকালে একশত বার সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহী পড়বে কিয়ামতের দিন তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ আমল নিয়ে আর কেহই আসবে না এবং তাকে এক লক্ষ চল্লিশ হাজার নেকী দেয়া হবে। প্রত্যহ এ দুআ পাঠকারী সকল পাপই মিটিয়ে দেয়া হবে । যদিও তার গুনাহ সমুদ্রের ফেনার সমান হয় । (মুসলিম, ২৭৩১)


১৭। কোন নামাজে প্রতি অক্ষরে ২৫ থেকে ৪ লক্ষ কোটি নেকী হয়?

উত্তর : হাদীস থেকে জানা গেছে যে, প্রতি অক্ষরে সর্বনিম্ন নেক, ৭০টি করে হযরত আনাস রা. হতে বর্ণিত হাদীস থেকে আরো জানা যায় যে, মহল্লার মসজিদে নামাজ পড়লে প্রতি অক্ষরের বিনিময়ে ২৫শত নেকী । জুমার মসজিদে প্রতি অক্ষরে ৫০ হাজার নেকী। মসজিদে নববীতে ৫০ লক্ষ নেকী । কাবা শরীফে প্রতি অক্ষরে ১ কোটি নেকী লাভ হয় । রমযানে প্রতি এবাদত ৭০ গুণ বেশি কদরের রাতে আরো ৬০ হাজার গুণ বেশী । যথা : ৭০,০০,০০০ X ৬,০০,০০০=৪২,০০,০০০,০০০ রমযানে কদরে কাবা শরীপে পড়লে প্রতি অক্ষরে ৪ লক্ষ কোটি ২০ হাজার লক্ষকোটি নেকী লাভ হয়। আল্লাহ্ আকবার । ( কানযুল উম্মাল ৩২৪)


১৮। কোন ১টি রাতের এবাদত ৮৩ বছর ৪ মাসের এবাদত থেকে উত্তম?

উত্তর : রমযানের ২৭ তারিখের রাত্রির এবাদত ১ হাজার মাস/৮৩ বছর ৪ মাসের এবাদত করা হতেও অতি উত্তম। (সূরা কদর : আয়াত ২)


১৯। কোন ১টি রোযা ৬০ বছর নফল রোযার ও নফল নামায সমপরিমাণ নেকী?

উত্তর : যে ব্যক্তি আশুরার দিন রোযা রাখবে এবং দান খয়রাত করবে সে ৬০ বছর নফল নামাজ ও রোযা সমপরিমাণ নেকী লাভ করবে । (মুসলিম, ১১২৮)


২০। কোন সময় দরুদ পড়লে ৩ শত বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যায় ?

উত্তর : নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন আমার উপর ২০০ বার দুরুদ পড়বে আল্লাহ তাকে ২০০ বছরের গুনাহ মাফ করবেন। ( কানযুল উম্মাল, ৮৬১


২১। ঘুমের সময় কী করলে সারারাত তাহাজ্জুদ পড়ার নেকী হয়? 

উত্তর : এশার নামাজ জামাতে পড়ে ঘুমানোর পূর্বে তাহাজ্জুদ পড়ার নিয়তে ঘুমালে সারারাত ঘুমিয়েও তাহাজ্জুদ পড়ার নেকী আমলনামায় লেখা হয়। (তারগীব, রদ্দুল মুহতার, ২/৩৪৭)


২২। কোন দিনের ১টি রোযা ১২ হাজার বছরের রোযা হতেও উত্তম? 

উত্তর : জিলহজ্বের রোযা ১২ হাজার বছরের নফল রোযা হতে উত্তম । (আবু দাউদ, ২৪৪০, তারগীব, ৬১২) 


২৩। কোন মাসে ১টি রোযা রাখলে ১শত বছরের নেকী লাভ হয়? 

উত্তর : রজব মাসের ২৭ তারিখের রোযা ১০০ বছর জেগে এবাদত করার সমান সওয়াব এবং ১ম তারিখের ১টি রোযা ৩টি রোযা ২ বছরের গুনাহের কাফফারা হয়ে যায় (মুসলিম ১১৬৭,১১৯২)


২৪ । রোগীকে দেখলে ৭০ হাজার ফেরেশতা সকাল সন্ধ্যায় দুআ করে? 

উত্তর : নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কোন মুসলমান রোগীকে সকালে দেখতে গেলে সারাদিনের জন্য ৭০ হাজার ফেরেশতা সকাল পর্যন্ত গুনাহ মাফের দুআ করতে থাকে ও জান্নাতে ১টি বাগানের মালিক হয়ে যায় । (তিরমিযী, মুসলিম ১১৮৭) 


২৫। কোন মাসে ১টি রোযা ১ বছরের রোযা ও ১টি রাতের এবাদত শবে কদরে এবাদতের সমপরিমাণ নেকী লাভ করা যায়?

উত্তর : জিলহজ্ব মাসের ১-৯ তারিখ পর্যন্ত রাতের নেক ১ ১টি শবে কদরে সমপরিমাণ আর ঐ রাত্রিতে সূরা সিজদা, মূলক পড়ার দ্বারা ১ ১টি শব্দ দ্বারাই সমপরিমাণ সওয়াব লাভ হবে । (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ ৭/৫৬৬)


২৬। কোন দুআ পড়লে ৪০ বছরের গুনা মাফ হয়ে যায় ?

উত্তর : রমযানের ২৬ তারিখের সূর্যাস্তের পর সুবহানাল্লাহ ওয়াল হামদু লিল্লাহ ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার ৪০ বার পাঠ করলে ৪০ বছরের সগীরা গুনাহ মাফ ও শবে কদরের নিয়তে সন্ধ্যায় গোসল করলে সমস্ত গুনাহ মাফ হয়।(মুসলিম, ২৬৯৫)


২৭। কি করলে ১০০ হজ্ব ও ১০০ ঘোড়া ও গোলাম আজাদের নেক অর্জন হয়? 

উত্তর : সকাল ও সন্ধ্যায় ১০০ বার (সুবহানাল্লাহ) পড়লে ১০০ হজ্বের নেক, ১০০ বার (আল হামদুলিল্লাহ) পড়লে ১০০ ঘোড়া জিহাদের জন্য সদকা করার নেক (লাইলাহা ইল্লাল্লাহ) ১০০ বার পড়লে ১০০ গোলাম আযাদের নেক, ১০০ বার (আল্লাহু আকবার) পড়লে ঐ দিন তার চেয়ে বেশি নেককারী একমাত্র সেই ব্যক্তিই। (বুখারী,৬৪০৫. মুসলিম, ২৬৯১)


২৮। কোন মাসে ১ম দশকে ১টি অক্ষরে ৭০০ নেকী এবং প্রতিটি রোজ ১ বছর রোযার সমান প্রতি রাতের এবাদত শবে কদরের এবাদতের সমান?

উত্তর : জিলহজ্ব মাসের ১ম দশক কুরআন তিলাওয়াত প্ৰতি অক্ষরের নেক ৭০০ সাত শত গুণ এবং প্রতিটি রোযার নেক ১ বছরের রোযার সমান প্রতি রাতের এবাদতের নেক শবে কদরের সমান সওয়াব। সূরা মূলক, সিজদা ইয়াসীন পড়ার দ্বারা শবে কদরের রাতের সমপরিমাণ নেকী লাভ হবে। (বায়হাকী, ৩২২৯)


২৯ । কিয়ামত পর্যন্ত কোন ব্যক্তির নেকী লেখা হতে থাকে ?

উত্তর : কুরআনের ১টি আয়াত/বিষয় কাউকে শিক্ষা দিলে ঐ ব্যক্তির নেক কিয়ামত পর্যন্ত আমলনামায় লেখা হতে থাকবে । (কানযুল উম্মাল,৪০২)


৩০। কত আয়াত শিখলে এক হাজার রাকাত নামাজের নেক হয়?

উত্তর : নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, পবিত্র কুরআনের ১টি আয়াত শিক্ষা করা ১ শত রাকাত নফল নামাজ পড়ার নেকী আর ইলমের ১টি অধ্যায় শিক্ষা করা ১ হাজার রাকাত নফলের চেয়েও 

উত্তম। (ইবনে মাজাহ, ইলম অধ্যায়)


৩১ । এক মুসলমান অন্য মুসলমানকে খানাপিনা করালে কি লাভ হয়?

উত্তর : এক মুসলমান অন্য মুসলমানকে তৃপ্তি সহকারে খানাপিনা করালে জাহান্নাম ১০০ বছরের রাস্তার সমান দূরে সরে যায় ।(কানযুল উম্মাল, ৮৭৩)


৩২। ওজুর কী ফযীলত ?

উত্তর : নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ওজু ঈমানের অর্ধাংশ । তিনি আরো বলেন, যে পর্যন্ত মুমিনের ওজুর পানি পৌঁছবে, কিয়ামতের দিন সে পর্যন্ত তাহাকে অলংকার পরানো হবে। (মুসলিম)

তিনি আরো বলেন, উত্তমরূপে ওজু করলে শরীরে কোন গুনাহ থাকতে পারে না । এবং আগের ও পিছনের গুনাহ মাফ হয়ে যায় ।

তিনি আরো বলেন, ওজুর মধ্যে ২ বার অঙ্গ ধুইলে দ্বিগুণ নেক আর ৩ বার ধুইলে নবীদের ওজুর মত ওজু হলো। তিনি আরো বলেন, উত্তমরূপে গুজু করে খুশুখুজুর সঙ্গে নামাজ পড়লে সন্তান ভূমিষ্টের সময় যেমন নিষ্পাপ, ঠিক তেমন নিষ্পাপ হয়ে যায়। (তিরমিযী, ৩৫১৮. তারগীব, ৯৩০)


৩৩। কোন রাতে ইবাদত করলে এক হাজার-সাতাশ হাজার বছরের নেকী হয়?

 উত্তর : শবে কদরের রাত্রিতে এবাদত বন্দেগী করলে ১০০ বছর হতে ২৭ হাজার বছরের নেকী লাভ হয় । (সূরা কদর, ২)


৩৪। মোয়াজ্জিন হলে কি লাভ হয়?

উত্তর : মুয়াজ্জিনের আজানের আওয়াজ যত বেশি বড় করবে তত বেশি তার গুনাহ মাফ হবে। আর যত দূর পর্যন্ত আওয়াজ পৌঁছবে ততদূর পর্যন্ত সকল সৃষ্টিকুলই তার জন্য গুনাহ মাফের দুআ করতে থাকবে এবং কিয়ামতের দিন তার পক্ষের সাক্ষী দিবে । সমস্ত নামাজীদের সমপরিমাণ নেক তাকে দেয়া হবে । (তিরমিযী,২০৬, ইবনে মাজাহ, ৭২৭)


৩৫। কোন দান কোন সময় সর্বোত্তম ?

উত্তর : সুস্থ্য অবস্থায় ১ দেরহাম দান মুমূর্ষ অবস্থায় ১০০ দেরহাম দান করার সমতুল্য । আর ক্ষুধার্তের অন্তরকে সন্তুষ্ট করা সর্বোত্তম দান। আল্লাহর রাস্তায় দানের মধ্যে পরিবার-পরিজনের জন্য খরচ করা সর্বোত্তম দান এবং পরশীকে দেয়ার জন্য গোস্ত রান্নার সময় তরকারীতে ঝোল একটু বেশি দাও। বৃক্ষরোপণ ও শস্যরোপণ করলে সদকায়ে জারিয়া । গোলাম বাদীকে দৈনিক ৭০ বার ক্ষমা কর ।(মুসলিম,৯৯৪)


৩৬। কাকে ১ বার দেখলে ১ বছরের নামাজ ১ বছর রোযার নেক হয়? 

উত্তর : নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি আমার উম্মত্ত অপেক্ষা যত বড়, একজন আলেম সাধারণ আবেদ অপেক্ষা তত বড়। তিনি আরো বলেন, নামাজ রোযার সাথে ১ বছর ইবাদত করা হতে, একজন আলেমের প্রতি একবার নজর করা আল্লাহ তাআলার নিকট অধিক পছন্দনীয় (তিরমিযী,২৬৮৫, দারেমী,৩৪০)


৩৭। কয়টি হাদীস মুখস্থ করলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্য সুপারিশ করবেন?

উত্তর : যে ব্যক্তি ৪০ টি হাদীস মুখস্ত করবে সে ফকীহ হিসেবে গণ্য হবে এবং কিয়ামতের দিন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্য সুপারিশ করবেন ।


৩৮। মৃত্যুর সময়ে কোন কালেমা পড়লে যাবতীয় গুনাহ মাফ হয়? 

উত্তর : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ

(বুখারী: ৫৮২৭, মুসলিম (৯৪)

(মুসনাদ, ২৩৩)


৩৯ । কোন মজলিসে বসলে এক হাজার রাকাত নামাজ থেকেও উত্তম? 

উত্তর : আলেমের মজলিসে কিছুক্ষণ সময় বসলে ১ হাজার রাকাত নফল নামাজ ১ হাজার রোগীকে দেখার এবং ১ হাজার জানাযায় শরীক হওয়া থেকে অধিক নেকী । (দারেমী, ৩৪৯, ইবনে মাজাহ, ২২৯)


৪০। কোন ১টি কথা শিখলে সারারাত জাগিয়া ইবাদত হতেও উত্তম?

উত্তর : হযরত আবু দারদা (রা.) বলেছেন ১টি মাসয়ালা শিখা সারারাত জেগে ইবাদত বন্দেগী করা হতেও উত্তম । (ইবনে মাজাহ, ইলম অধ্যায় )


৪১। যার কথায় কোন লোক হিদায়াত হলে তার কি লাভ ?

উত্তর : যার কথা দ্বারা কোন লোক হিদায়াত প্রাপ্ত হলে ঐ দাওয়াতকারীর জন্য কাজটি হবে দুনিয়া ও দুনিয়ার যাবতীয় বস্তু অপেক্ষা অতি উত্তম আমল এবং দাওয়াতকারীর আমলনামায় হিদায়েত প্রাপ্ত ব্যক্তির সমপরিমাণ নেক লেখা হতেই থাকবে কিয়ামত পর্যন্ত। (মুসলিম, ১৮৯০)


৪২। কোন কালেমা পাঠ করলে গুনাহ মাফ না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহর আরশ নড়াচড়া করতে থাকে?

উত্তর : নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আরশের সম্মুখে ১টি নূরের খুঁটি রয়েছে। যখন কোন ব্যক্তি কালেমা তায়্যিবাহ পাঠ করে তখনই এ খুটি হেলতে দুলতে থাকে। তখন আল্লাহ তাআলা বলেন, এ খুটি স্থির হও। খুটি উত্তরে বলে আমি কেমন করে স্থির হবো । অথচ তখন পর্যন্ত কালিমা পড়নে ওয়লা গুনাহ মাফ হয় নাই । তখন আল্লাহপাক বলেন, আচ্ছা আমি তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিলাম । তখন সেই খুঁটি স্থির হয়ে যায় । (বুখারী, ১২৮, মুসলিম, ৩২)


৪৩ । আল্লাহর সাথে ঝগড়া করা হয় কীভাবে?

উত্তর : নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি প্রতিবেশিকে কষ্ট দিল, সে আমাকে কষ্ট দিল। আর যে আমাকে কষ্ট দিল সে আল্লাহকে কষ্ট দিল । আর যে পরশীর সাথে ঝগড়া করে সে আমার সাথে ঝগড়া করল। আর যে আমার সাথে বাগড়া করল সে আল্লাহর সাথে ঝগড়া করল । (কানযুল উম্মাল, আদব অধ্যায়)


৪৪। কোন ব্যক্তিকে ১ ঘণ্টা সহযোগিতা করলে ২ মাস ইতেকাফের নেক পাওয়া যায়?

উত্তর : এক মুসলমান অন্য কোন মুসলমানদের কোন কাজে সহযোগিতা করলে ইতেকাফ করার চেয়েও অধিক সওয়াব পাওয়া যায় । (বুখারী : ২৭১৬)


৪৫। সকল কাজ কোন দিক থেকে আরম্ভ করলে ১০০ শহীদের নেক পাওয়া যায়?

উত্তর : একটি পরিত্যক্ত সুন্নতের উপর আমল করা ১০০ শত শহীদের নেক এবং সকল কাজই ডানদিক থেকে শুরু করা সুন্নত। বস্তুত ডানদিক থেকে সকল কাজ আরম্ভ করা একটি অবহেলিত সুন্নাতের উপর আমল করা। তাই ডানদিক থেকে কাজ আরম্ভ করা ১০০ শহীদের সওয়াব লাভ করা ।(ইবনে মাজাহ : ৪৩)


৪৬। কতবার কালেমা পাঠ করলে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে?

উত্তর : নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি ইখলাসের সাথে কালেমা পড়বে নিশ্চয়ই সে জান্নাতী । (মুসলিম : ৩১)


৪৭। ইখলাসের সহিত কী পড়লে জান্নাতী হবে?

উত্তর : নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি ইখলাসের সাথে কালেমা পড়বে নিশ্চয়ই সে জান্নাতী। (মুসলিম : ৩১)


৪৮ । কোন কালেমা মৃত্যুর সময় পড়লে জান্নাতি আর সুস্থাবস্থায় পড়লে সমস্ত গোনাহ মাফ হয়ে যায় ?

উত্তর : নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মৃত্যু কালীন সময়ে এ কালেমা পড়লে সে ব্যক্তি জান্নাতী আর জীবদ্দশায় পড়লে সমস্ত গোনাহ মাফ হয়ে যায় । (বুখারী : ১২৮, মুসলিম :৩২)


৪৯। কোন ১টি রোযার নেক ৬ হাজার রাকাতের অধিক নেক?

উত্তর : রমযানের ১টি রোযাকে ছয় হাজার রাকাতের অধিক নামাজের সওয়াব পাওয়া যায়। (আহমদ : ২১৭৪ )


৫০ । কোন ব্যক্তি জান্নাতী ?

উত্তর : কোন মুসলমান ব্যক্তি যদি কালেমা তায়্যিবা পড়ে মুসলমান হওয়ার সাথে সাথে সে নবজাত শিশুর মত নিষ্পাপ হয়ে যায়। (মুসলিম : ২৬)


৫১। কোন কালেমা পাঠকের পাপ মুছিয়া নেক লেখার নির্দেশ দেয়?

উত্তর : (লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু) পাঠকারীর আমলনামা হতে পাপ মুছে এর পরিবর্তে নেক লেখার নির্দেশ দেয়া হয় । (বুখারী : ১২৮, মুসলিম : ১৩২)


৫২। কোন কালেমার ওজন ৯৯ দপ্তর হতেও ভারী হবে?

উত্তর : হাশরের দিন কালেমা শাহাদাতের ওজন ৯৯ দপ্তরে ওজন হতেও ভারী হবে। এমনকি আসমান যমীন যা কিছু আছে সমস্ত কিছু ও যদি রাখা হয় তবুও কালিমা শাহাদাতের ওজনই ভারী হবে। (মুসলিম : ২৯)


৫৩। কোন কালেমা মৃত্যুর সময় পড়লে জান্নাত ওয়াজিব হয়।

উত্তর : নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যেই ব্যক্তি মৃত্যুকালে কালেমা তায়্যিবাহ পাঠ করবে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায় এবং সুস্থবানরা পড়লে উহা দ্বারা জান্নাতকে ওয়াজিব করার জন্যও আরও বেশি উপযুক্ত হবে। (মুসলিম : ২৬)