সূরা ক্বাফ আরবি সহ বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ -Surah Qaf in Bangla Uccharon

সূরা ক্বাফ আরবি সহ বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ -Surah Qaf in Bangla Uccharon


সূরা ক্বাফ - Surah Qaf (মক্কায় অবতীর্ণ -আয়াত ৪৫)


بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।


1

قٓ وَٱلْقُرْءَانِ ٱلْمَجِيدِ

কাফ ; ওয়াল কুরআ-নিল মাজীদ।

ক্বাফ! সম্মানিত কোরআনের শপথ;


2

بَلْ عَجِبُوٓا۟ أَن جَآءَهُم مُّنذِرٌ مِّنْهُمْ فَقَالَ ٱلْكَٰفِرُونَ هَٰذَا شَىْءٌ عَجِيبٌ

বাল ‘আজিবূআন জাআহুম মুনযিরুম্মিনহুম ফাকা-লাল কা-ফিরূনা হা-যা- শাইউন ‘আজীব।

বরং তারা তাদের মধ্য থেকেই একজন ভয় প্রদর্শনকারী আগমন করেছে দেখে বিস্ময় বোধ করে। অতঃপর কাফেররা বলেঃ এটা আশ্চর্যের ব্যাপার।


3

أَءِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا ذَٰلِكَ رَجْعٌۢ بَعِيدٌ

আ ইযা-মিতনা-ওয়াকুন্না-তুরা-বান যা-লিকা রাজ‘উম বা‘ঈদ।

আমরা মরে গেলে এবং মৃত্তিকায় পরিণত হয়ে গেলেও কি পুনরুত্থিত হব? এ প্রত্যাবর্তন সুদূরপরাহত।


4

قَدْ عَلِمْنَا مَا تَنقُصُ ٱلْأَرْضُ مِنْهُمْ وَعِندَنَا كِتَٰبٌ حَفِيظٌۢ

কাদ ‘আলিমনা-মা-তানকুসুল আরদুমিনহুম ওয়া ‘ইনদানা-কিতা-বুন হাফীজ।

মৃত্তিকা তাদের কতটুকু গ্রাস করবে, তা আমার জানা আছে এবং আমার কাছে আছে সংরক্ষিত কিতাব।


5

بَلْ كَذَّبُوا۟ بِٱلْحَقِّ لَمَّا جَآءَهُمْ فَهُمْ فِىٓ أَمْرٍ مَّرِيجٍ

বাল কাযযাবূবিলহাকিলাম্মা-জাআহুম ফাহুম ফীআমরীম মারীজ।

বরং তাদের কাছে সত্য আগমন করার পর তারা তাকে মিথ্যা বলছে। ফলে তারা সংশয়ে পতিত রয়েছে।


6

أَفَلَمْ يَنظُرُوٓا۟ إِلَى ٱلسَّمَآءِ فَوْقَهُمْ كَيْفَ بَنَيْنَٰهَا وَزَيَّنَّٰهَا وَمَا لَهَا مِن فُرُوجٍ

আফালাম ইয়ানজু রূইলাছ ছামাইফাওকাহুম কাইফা বানাইনা-হা-ওয়া ঝাইয়ান্না-হাওয়ামা-লাহা-মিন ফুরূজ।

তারা কি তাদের উপরস্থিত আকাশের পানে দৃষ্টিপাত করে না আমি কিভাবে তা নির্মাণ করেছি এবং সুশোভিত করেছি? তাতে কোন ছিদ্রও নেই।


7

وَٱلْأَرْضَ مَدَدْنَٰهَا وَأَلْقَيْنَا فِيهَا رَوَٰسِىَ وَأَنۢبَتْنَا فِيهَا مِن كُلِّ زَوْجٍۭ بَهِيجٍ

ওয়াল আরদা মাদাদনা-হা-ওয়া আলকাইনা-ফীহা-রাওয়া-ছিয়া ওয়া আমবাতনা-ফীহামিন কুল্লি ঝাওজিম বাহীজ।

আমি ভূমিকে বিস্তৃত করেছি, তাতে পর্বতমালার ভার স্থাপন করেছি এবং তাতে সর্বপ্রকার নয়নাভিরাম উদ্ভিদ উদগত করেছি।


8

تَبْصِرَةً وَذِكْرَىٰ لِكُلِّ عَبْدٍ مُّنِيبٍ

তাবসিরাতাওঁ ওয়াযিকরা-লিকুল্লি ‘আবদিম মুনীব।

এটা জ্ঞান আহরণ ও স্মরণ করার মত ব্যাপার প্রত্যেক অনুরাগী বান্দার জন্যে।


9

وَنَزَّلْنَا مِنَ ٱلسَّمَآءِ مَآءً مُّبَٰرَكًا فَأَنۢبَتْنَا بِهِۦ جَنَّٰتٍ وَحَبَّ ٱلْحَصِيدِ

ওয়া নাঝঝালনা-মিনাছ ছামাইমাআম মুবা-রাকান ফাআমবাতনা-বিহী জান্না-তিওঁ ওয়া হাব্বাল হাসীদ।

আমি আকাশ থেকে কল্যাণময় বৃষ্টি বর্ষণ করি এবং তদ্বারা বাগান ও শস্য উদগত করি, যেগুলোর ফসল আহরণ করা হয়।


10

وَٱلنَّخْلَ بَاسِقَٰتٍ لَّهَا طَلْعٌ نَّضِيدٌ

ওয়ান্নাখলা বা-ছিকা-তিল্লাহা-তাল‘উন্নাদীদ।

এবং লম্বমান খর্জুর বৃক্ষ, যাতে আছে গুচ্ছ গুচ্ছ খর্জুর,


11

رِّزْقًا لِّلْعِبَادِ وَأَحْيَيْنَا بِهِۦ بَلْدَةً مَّيْتًا كَذَٰلِكَ ٱلْخُرُوجُ

রিঝকালিলল‘ইবা-দি ওয়া আহইয়াইনা-বিহী বালদাতাম্মাইতান কাযা-লিকাল খুরূজ।

বান্দাদের জীবিকাস্বরূপ এবং বৃষ্টি দ্বারা আমি মৃত জনপদকে সঞ্জীবিত করি। এমনিভাবে পুনরুত্থান ঘটবে।


12

كَذَّبَتْ قَبْلَهُمْ قَوْمُ نُوحٍ وَأَصْحَٰبُ ٱلرَّسِّ وَثَمُودُ

কাযযাবাত কাবলাহুম কাওমুনুহিওঁ ওয়া আসহা-বুর রাছছি ওয়া ছামূদ।

তাদের পূর্বে মিথ্যাবাদী বলেছে নূহের সম্প্রদায়, কুপবাসীরা এবং সামুদ সম্প্রদায়।


13

وَعَادٌ وَفِرْعَوْنُ وَإِخْوَٰنُ لُوطٍ

ওয়া ‘আ-দুওঁ ওয়া ফির ‘আউনুওয়া ইখওয়া-নুলূত।

আদ, ফেরাউন, ও লূতের সম্প্রদায়,


14

وَأَصْحَٰبُ ٱلْأَيْكَةِ وَقَوْمُ تُبَّعٍ كُلٌّ كَذَّبَ ٱلرُّسُلَ فَحَقَّ وَعِيدِ

ওয়া আসহা-বুল আইকাতি ওয়া কাওমুতুব্বা‘ইন কুল্লুন কাযযাবার রুছুলা ফাহাক্কা ওয়া‘ঈদ।

বনবাসীরা এবং তোব্বা সম্প্রদায়। প্রত্যেকেই রসূলগণকে মিথ্যা বলেছে, অতঃপর আমার শাস্তির যোগ্য হয়েছে।


15

أَفَعَيِينَا بِٱلْخَلْقِ ٱلْأَوَّلِ بَلْ هُمْ فِى لَبْسٍ مِّنْ خَلْقٍ جَدِيدٍ

আফা‘আঈনা-বিলখালকিল আওওয়ালি বাল হুম ফী লাবছিম মিন খালকিন জাদীদ।

আমি কি প্রথমবার সৃষ্টি করেই ক্লান্ত হয়ে পড়েছি? বরং তারা নতুন সৃষ্টির ব্যাপারে সন্দেহ পোষন করেছে।


16

وَلَقَدْ خَلَقْنَا ٱلْإِنسَٰنَ وَنَعْلَمُ مَا تُوَسْوِسُ بِهِۦ نَفْسُهُۥ وَنَحْنُ أَقْرَبُ إِلَيْهِ مِنْ حَبْلِ ٱلْوَرِيدِ

ওয়া লাকাদ খালাকনাল ইনছা-না ওয়ানা‘লামুমা-তুওয়াছবিছুবিহী নাফছুহূ ওয়া নাহনু আকরাবুইলাইহি মিন হাবলিল ওয়ারীদ।

আমি মানুষ সৃষ্টি করেছি এবং তার মন নিভৃতে যে কুচিন্তা করে, সে সম্বন্ধেও আমি অবগত আছি। আমি তার গ্রীবাস্থিত ধমনী থেকেও অধিক নিকটবর্তী।


17

إِذْ يَتَلَقَّى ٱلْمُتَلَقِّيَانِ عَنِ ٱلْيَمِينِ وَعَنِ ٱلشِّمَالِ قَعِيدٌ

ইযইয়াতালাক্কাল মুতালাক্কিইয়া-নি ‘আনিল ইয়ামীনি ওয়া ‘আনিশশিমা-লি কা‘ঈদ।

যখন দুই ফেরেশতা ডানে ও বামে বসে তার আমল গ্রহণ করে।


18

مَّا يَلْفِظُ مِن قَوْلٍ إِلَّا لَدَيْهِ رَقِيبٌ عَتِيدٌ

মা-ইয়ালফিজুমিন কাওলিন ইল্লা-লাদাইহি রাকীবুন ‘আতীদ।

সে যে কথাই উচ্চারণ করে, তাই গ্রহণ করার জন্যে তার কাছে সদা প্রস্তুত প্রহরী রয়েছে।


19

وَجَآءَتْ سَكْرَةُ ٱلْمَوْتِ بِٱلْحَقِّ ذَٰلِكَ مَا كُنتَ مِنْهُ تَحِيدُ

ওয়া জাআত ছাকরাতুল মাওতি বিলহাক্কি যা-লিকা মা-কুনতা মিনহু তাহীদ।

মৃত্যুযন্ত্রণা নিশ্চিতই আসবে। এ থেকেই তুমি টালবাহানা করতে।


20

وَنُفِخَ فِى ٱلصُّورِ ذَٰلِكَ يَوْمُ ٱلْوَعِيدِ

ওয়া নুফিখা ফিসসূরি যা-লিকা ইয়াওমুল ওয়া‘ঈদ।

এবং শিঙ্গায় ফুঁৎকার দেয়া হবে এটা হবে ভয় প্রদর্শনের দিন।


21

وَجَآءَتْ كُلُّ نَفْسٍ مَّعَهَا سَآئِقٌ وَشَهِيدٌ

ওয়া জাআত কুল্লুনাফছিম্মা‘আহা-ছাইকূ ওঁ ওয়া শাহীদ।

প্রত্যেক ব্যক্তি আগমন করবে। তার সাথে থাকবে চালক ও কর্মের সাক্ষী।


22

لَّقَدْ كُنتَ فِى غَفْلَةٍ مِّنْ هَٰذَا فَكَشَفْنَا عَنكَ غِطَآءَكَ فَبَصَرُكَ ٱلْيَوْمَ حَدِيدٌ

লাকাদ কুনতা ফী গাফলাতিম মিন হা-যা- ফাকাশাফনা- ‘আনকা গিতাআকা ফাবাসারুকাল ইয়াওমা হাদীদ।

তুমি তো এই দিন সম্পর্কে উদাসীন ছিলে। এখন তোমার কাছ থেকে যবনিকা সরিয়ে দিয়েছি। ফলে আজ তোমার দৃষ্টি সুতীক্ষ্ন।


23

وَقَالَ قَرِينُهُۥ هَٰذَا مَا لَدَىَّ عَتِيدٌ

ওয়া কা-লা কারীনুহূহা-যা-মা-লাদাইইয়া ‘আতীদ।

তার সঙ্গী ফেরেশতা বলবেঃ আমার কাছে যে, আমলনামা ছিল, তা এই।


24

أَلْقِيَا فِى جَهَنَّمَ كُلَّ كَفَّارٍ عَنِيدٍ

আলকিয়া-ফী জাহান্নামা কুল্লা কাফফা-রিন ‘আনীদ।

তোমরা উভয়েই নিক্ষেপ কর জাহান্নামে প্রত্যেক অকৃতজ্ঞ বিরুদ্ধবাদীকে,


25

مَّنَّاعٍ لِّلْخَيْرِ مُعْتَدٍ مُّرِيبٍ

মান্না-‘ইলিলল খাইরি মু‘তাদিমমুরীব।

যে বাধা দিত মঙ্গলজনক কাজে, সীমালঙ্ঘনকারী, সন্দেহ পোষণকারীকে।


26

ٱلَّذِى جَعَلَ مَعَ ٱللَّهِ إِلَٰهًا ءَاخَرَ فَأَلْقِيَاهُ فِى ٱلْعَذَابِ ٱلشَّدِيدِ

আল্লাযী জা‘আলা মা‘আল্লা-হি ইলা-হান আ-খারা ফাআলকিয়া-হু ফিল ‘আযা-বিশশাদীদ।

যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্য গ্রহণ করত, তাকে তোমরা কঠিন শাস্তিতে নিক্ষেপ কর।


27

قَالَ قَرِينُهُۥ رَبَّنَا مَآ أَطْغَيْتُهُۥ وَلَٰكِن كَانَ فِى ضَلَٰلٍۭ بَعِيدٍ

কা-লা কারীনুহূরাব্বানা-মাআতগাইতুহূওয়ালা-কিন কা-না ফী দালা-লিম বা‘ঈদ।

তার সঙ্গী শয়তান বলবেঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমি তাকে অবাধ্যতায় লিপ্ত করিনি। বস্তুতঃ সে নিজেই ছিল সুদূর পথভ্রান্তিতে লিপ্ত।


28

قَالَ لَا تَخْتَصِمُوا۟ لَدَىَّ وَقَدْ قَدَّمْتُ إِلَيْكُم بِٱلْوَعِيدِ

কা-লা লা-তাখতাছিমূলাদাইয়া ওয়া কাদ কাদ্দামতুইলাইকুম বিলওয়া‘ঈদ।

আল্লাহ বলবেনঃ আমার সামনে বাকবিতন্ডা করো না আমি তো পূর্বেই তোমাদেরকে আযাব দ্বারা ভয় প্রদর্শন করেছিলাম।


29

مَا يُبَدَّلُ ٱلْقَوْلُ لَدَىَّ وَمَآ أَنَا۠ بِظَلَّٰمٍ لِّلْعَبِيدِ

মা-ইউবাদ্দালুল কাওলুলাদাইয়া ওয়ামাআনা-বিজাল্লা-মিলিলল‘আবীদ।

আমার কাছে কথা রদবদল হয় না এবং আমি বান্দাদের প্রতি জুলুমকারী নই।


30

يَوْمَ نَقُولُ لِجَهَنَّمَ هَلِ ٱمْتَلَأْتِ وَتَقُولُ هَلْ مِن مَّزِيدٍ

ইয়াওমা নাকূলুলিজাহান্নামা হালিম তালা’তি ওয়া তাকূলুহাল মিম্মাঝীদ।

যেদিন আমি জাহান্নামকে জিজ্ঞাসা করব; তুমি কি পূর্ণ হয়ে গেছ? সে বলবেঃ আরও আছে কি?


31

وَأُزْلِفَتِ ٱلْجَنَّةُ لِلْمُتَّقِينَ غَيْرَ بَعِيدٍ

ওয়া উঝলিফাতিল জান্নাতুলিলমুত্তাকীনা গাইরা বা‘ঈদ।

জান্নাতকে উপস্থিত করা হবে খোদাভীরুদের অদূরে।


32

هَٰذَا مَا تُوعَدُونَ لِكُلِّ أَوَّابٍ حَفِيظٍ

হা-যা-মা-তূ‘আদূনা লিকুল্লি আওওয়া-বিন হাফীজ।

তোমাদের প্রত্যেক অনুরাগী ও স্মরণকারীকে এরই প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল।


33

مَّنْ خَشِىَ ٱلرَّحْمَٰنَ بِٱلْغَيْبِ وَجَآءَ بِقَلْبٍ مُّنِيبٍ

মান খাশিয়ার রাহমা-না বিলগাইবি ওয়া জাআ বিকালবিম মুনীব।

যে না দেখে দয়াময় আল্লাহ তা’আলাকে ভয় করত এবং বিনীত অন্তরে উপস্থিত হত।


34

ٱدْخُلُوهَا بِسَلَٰمٍ ذَٰلِكَ يَوْمُ ٱلْخُلُودِ

উদখুলূহা-বিছালা-মিন যা-লিকা ইয়াওমুল খুলূদ ।

তোমরা এতে শান্তিতে প্রবেশ কর। এটাই অনন্তকাল বসবাসের জন্য প্রবেশ করার দিন।


35

لَهُم مَّا يَشَآءُونَ فِيهَا وَلَدَيْنَا مَزِيدٌ

লাহুম মা-ইয়াশাঊনা ফীহা-ওয়ালাদাইনা-মাঝীদ।

তারা তথায় যা চাইবে, তাই পাবে এবং আমার কাছে রয়েছে আরও অধিক।


36

وَكَمْ أَهْلَكْنَا قَبْلَهُم مِّن قَرْنٍ هُمْ أَشَدُّ مِنْهُم بَطْشًا فَنَقَّبُوا۟ فِى ٱلْبِلَٰدِ هَلْ مِن مَّحِيصٍ

ওয়াকাম আহলাকনা-কাবলাহুম মিন কারনিন হুম আশাদ্দুমিনহুম বাতশান ফানাক্কাবূফিল বিলা-দি হাল মিম্মাহীস।

আমি তাদের পূর্বে বহু সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছি, তারা এদের অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী ছিল এবং দেশে-বিদেশে বিচরণ করে ফিরত। তাদের কোন পলায়ন স্থান ছিল না।


37

إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَذِكْرَىٰ لِمَن كَانَ لَهُۥ قَلْبٌ أَوْ أَلْقَى ٱلسَّمْعَ وَهُوَ شَهِيدٌ

ইন্না ফী যা-লিকা লাযিকরা-লিমান কা-না লাহূকালবুন আও আলকাছ ছাম‘আ ওয়া হুওয়া শাহীদ।

এতে উপদেশ রয়েছে তার জন্যে, যার অনুধাবন করার মত অন্তর রয়েছে। অথবা সে নিবিষ্ট মনে শ্রবণ করে।


38

وَلَقَدْ خَلَقْنَا ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا فِى سِتَّةِ أَيَّامٍ وَمَا مَسَّنَا مِن لُّغُوبٍ

ওয়া লাকাদ খালাকনাছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ওয়ামা-বাইনাহুমা-ফী ছিত্তাতি আইয়ামিওঁ ওয়ামা-মাছছানা-মিল্লুগূব।

আমি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু ছয়দিনে সৃষ্টি করেছি এবং আমাকে কোনরূপ ক্লান্তি স্পর্শ করেনি।


39

فَٱصْبِرْ عَلَىٰ مَا يَقُولُونَ وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ قَبْلَ طُلُوعِ ٱلشَّمْسِ وَقَبْلَ ٱلْغُرُوبِ

ফাসবির ‘আলা-মা-ইয়াকূ লূনা ওয়া ছাববিহ বিহামদি রাব্বিকা কাবলা তুলূ‘ইশশামছি ওয়া কাবলাল গুরূব।

অতএব, তারা যা কিছু বলে, তজ্জন্যে আপনি ছবর করুন এবং, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের পূর্বে আপনার পালনকর্তার সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করুন।


40

وَمِنَ ٱلَّيْلِ فَسَبِّحْهُ وَأَدْبَٰرَ ٱلسُّجُودِ

ওয়া মিনাল্লাইলি ফাছাববিহহু ওয়া আদবা-রাছছুজূদ।

রাত্রির কিছু অংশে তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করুন এবং নামাযের পশ্চাতেও।


41

وَٱسْتَمِعْ يَوْمَ يُنَادِ ٱلْمُنَادِ مِن مَّكَانٍ قَرِيبٍ

ওয়াছতামি‘ ইয়াওমা ইউনা-দিল মুনা-দি মিম মাকা-নিন কারীব।

শুন, যে দিন এক আহবানকারী নিকটবর্তী স্থান থেকে আহবান করবে।


42

يَوْمَ يَسْمَعُونَ ٱلصَّيْحَةَ بِٱلْحَقِّ ذَٰلِكَ يَوْمُ ٱلْخُرُوجِ

ইয়াওমা ইয়াছমা‘ঊনাসসাইহাতা বিলহাক্কি যা-লিকা ইয়াওমুল খুরূজ।

যেদিন মানুষ নিশ্চিত সেই ভয়াবহ আওয়াজ শুনতে পাবে, সেদিনই পুনরত্থান দিবস।


43

إِنَّا نَحْنُ نُحْىِۦ وَنُمِيتُ وَإِلَيْنَا ٱلْمَصِيرُ

ইন্না নাহনুনুহয়ী ওয়ানুমীতুওয়া ইলাইনাল মাসীর।

আমি জীবন দান করি, মৃত্যু ঘটাই এবং আমারই দিকে সকলের প্রত্যাবর্তন।


44

يَوْمَ تَشَقَّقُ ٱلْأَرْضُ عَنْهُمْ سِرَاعًا ذَٰلِكَ حَشْرٌ عَلَيْنَا يَسِيرٌ

ইয়াওমা তাশাক্কাকুল আরদু‘আনহুম ছিরা-‘আন যা-লিকা হাশরুন ‘আলাইনাইয়াছীর।

যেদিন ভূমন্ডল বিদীর্ণ হয়ে মানুষ ছুটাছুটি করে বের হয়ে আসবে। এটা এমন সমবেত করা, যা আমার জন্যে অতি সহজ।


45

نَّحْنُ أَعْلَمُ بِمَا يَقُولُونَ وَمَآ أَنتَ عَلَيْهِم بِجَبَّارٍ فَذَكِّرْ بِٱلْقُرْءَانِ مَن يَخَافُ وَعِيدِ

নাহনুআ‘আলামুবিমা-ইয়াকূলূনা ওয়ামাআনতা ‘আলাইহিম বিজাব্বা-রিন ফাযাক্কির বিলকুরআ-নি মাইঁ ইয়াখা-ফুওয়া‘ঈদ।

তারা যা বলে, তা আমি সম্যক অবগত আছি। আপনি তাদের উপর জোরজবরকারী নন। অতএব, যে আমার শাস্তিকে ভয় করে, তাকে কোরআনের মাধ্যমে উপদেশ দান করুন।


-------

Tags: সূরা ক্বাফ, সূরা কাফ বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ, সূরা ক্বাফ বাংলা অর্থ সহ, সূরা কাফ, surah kahf, surah kahf bangla, surah kahf with bangla translation, surah qaf bangla, surah kahf bangla uccharon, surah qaf bangla translation, surah kahf bangla tafsir, sura qaf bangla uccharon, surah kahf last 10 ayat bangla, surah kahf last 10 verses bangla, surah qaf