সূরা আশ-শো’আরা আরবি সহ বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ
সূরা আশ-শো’আরা - Surah Ash-Shuaraa (মক্কায় অবতীর্ণ -আয়াত ২২৭)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
1
طسٓمٓ
তা-ছীম মীম।
ত্বা, সীন, মীম।
2
تِلْكَ ءَايَٰتُ ٱلْكِتَٰبِ ٱلْمُبِينِ
তিলকা আ-য়া-তুল কিতা-বিল মুবীন।
এগুলো সুস্পষ্ট কিতাবের আয়াত।
3
لَعَلَّكَ بَٰخِعٌ نَّفْسَكَ أَلَّا يَكُونُوا۟ مُؤْمِنِينَ
লা‘আল্লাকা বা-খি‘উন নাফছাকা আল্লা-ইয়াকূনূমু’মিনীন।
তারা বিশ্বাস করে না বলে আপনি হয়তো মর্মব্যথায় আত্নঘাতী হবেন।
4
إِن نَّشَأْ نُنَزِّلْ عَلَيْهِم مِّنَ ٱلسَّمَآءِ ءَايَةً فَظَلَّتْ أَعْنَٰقُهُمْ لَهَا خَٰضِعِينَ
ইন নাশা’ নুনাঝঝিল ‘আলাইহিম মিনাছছামাইআ-ইয়াতান ফাজাল্লাত আ‘না-কুহুম লাহা খা-দি‘ঈন।
আমি যদি ইচ্ছা করি, তবে আকাশ থেকে তাদের কাছে কোন নিদর্শন নাযিল করতে পারি। অতঃপর তারা এর সামনে নত হয়ে যাবে।
5
وَمَا يَأْتِيهِم مِّن ذِكْرٍ مِّنَ ٱلرَّحْمَٰنِ مُحْدَثٍ إِلَّا كَانُوا۟ عَنْهُ مُعْرِضِينَ
ওয়ামা-ইয়াতীহিম মিন যিকরিম মিনার রাহমা-নি মুহদাছিনইল্লা-কা-নূ‘আনহু মু‘রিদীন।
যখনই তাদের কাছে রহমান এর কোন নতুন উপদেশ আসে, তখনই তারা তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
6
فَقَدْ كَذَّبُوا۟ فَسَيَأْتِيهِمْ أَنۢبَٰٓؤُا۟ مَا كَانُوا۟ بِهِۦ يَسْتَهْزِءُونَ
ফাকাদ কাযযাবূফাছাইয়া’তীহিম আমবাউ মা-কা-নূবিহী ইয়াছতাহঝিউন।
অতএব তারা তো মিথ্যারোপ করেছেই; সুতরাং যে বিষয় নিয়ে তারা ঠাট্টা-বিদ্রুপ করত, তার যথার্থ স্বরূপ শীঘ্রই তাদের কাছে পৌছবে।
7
أَوَلَمْ يَرَوْا۟ إِلَى ٱلْأَرْضِ كَمْ أَنۢبَتْنَا فِيهَا مِن كُلِّ زَوْجٍ كَرِيمٍ
আওয়ালাম ইয়ারাও ইলাল আরদিকাম আমবাতনা-ফীহা-মিন কুল্লি ঝাওজিন কারীম।
তারা কি ভুপৃষ্ঠের প্রতি দৃষ্টিপাত করে না? আমি তাতে সর্বপ্রকার বিশেষ-বস্তু কত উদগত করেছি।
8
إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَةً وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-ইয়াতাওঁ ওয়ামা-কা-না আকছারুহুম মু’মিনীন।
নিশ্চয় এতে নিদর্শন আছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।
9
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلْعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ
ওয়া ইন্না রাব্বাকা লাহুওয়াল ‘আঝীঝুর রাহীম।
আপনার পালনকর্তা তো পরাক্রমশালী পরম দয়ালু।
10
وَإِذْ نَادَىٰ رَبُّكَ مُوسَىٰٓ أَنِ ٱئْتِ ٱلْقَوْمَ ٱلظَّٰلِمِينَ
ওয়া ইযনা-দা-রাব্বুকা মূছা-আনি’তিল কাওমাজ্জা-লিমীন।
যখন আপনার পালনকর্তা মূসাকে ডেকে বললেনঃ তুমি পাপিষ্ঠ সম্প্রদায়ের নিকট যাও;
11
قَوْمَ فِرْعَوْنَ أَلَا يَتَّقُونَ
কাওমা ফির‘আওনা আলা-ইয়াত্তাকূন।
ফেরাউনের সম্প্রদায়ের নিকট; তারা কি ভয় করে না?
12
قَالَ رَبِّ إِنِّىٓ أَخَافُ أَن يُكَذِّبُونِ
কা-লা রাব্বি ইন্নী-আখা-ফুআইঁ ইউকাযযি বূন।
সে বলল, হে আমার পালনকর্তা, আমার আশংকা হচ্ছে যে, তারা আমাকে মিথ্যাবাদী বলে দেবে।
13
وَيَضِيقُ صَدْرِى وَلَا يَنطَلِقُ لِسَانِى فَأَرْسِلْ إِلَىٰ هَٰرُونَ
ওয়া ইয়াদীকুসাদরী ওয়ালা-ইয়ানতলিকুলিছা-নী ফাআরছিল ইলা-হা-রূন।
এবং আমার মন হতবল হয়ে পড়ে এবং আমার জিহবা অচল হয়ে যায়। সুতরাং হারুনের কাছে বার্তা প্রেরণ করুন।
14
وَلَهُمْ عَلَىَّ ذَنۢبٌ فَأَخَافُ أَن يَقْتُلُونِ
ওয়ালাহুম ‘আলাইইয়া যামবুন ফাআখা-ফুআইঁ ইয়াকতুলূন।
আমার বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ আছে। অতএব আমি আশংকা করি যে, তারা আমাকে হত্যা করবে।
15
قَالَ كَلَّا فَٱذْهَبَا بِـَٔايَٰتِنَآ إِنَّا مَعَكُم مُّسْتَمِعُونَ
কা-লা কাল্লা- ফাযহাবা-বিআ-য়া-তিনাইন্না মা‘আকুম মুছতামি‘উন।
আল্লাহ বলেন, কখনই নয় তোমরা উভয়ে যাও আমার নিদর্শনাবলী নিয়ে। আমি তোমাদের সাথে থেকে শোনব।
16
فَأْتِيَا فِرْعَوْنَ فَقُولَآ إِنَّا رَسُولُ رَبِّ ٱلْعَٰلَمِينَ
ফা’তিইয়া-ফির‘আওনা ফাকূলা ইন্না-রাছূলুরাব্বিল ‘আ-লামীন।
অতএব তোমরা ফেরআউনের কাছে যাও এবং বল, আমরা বিশ্বজগতের পালনকর্তার রসূল।
17
أَنْ أَرْسِلْ مَعَنَا بَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ
আন আরছিল মা‘আনা-বানীইছরাঈল।
যাতে তুমি বনী-ইসরাঈলকে আমাদের সাথে যেতে দাও।
18
قَالَ أَلَمْ نُرَبِّكَ فِينَا وَلِيدًا وَلَبِثْتَ فِينَا مِنْ عُمُرِكَ سِنِينَ
কা-লা আলাম নুরাব্বিকা ফীনা-ওয়ালীদাওঁ ওয়ালাবিছতা ফীনা-মিন ‘উমুরিকা ছিনীন।
ফেরাউন বলল, আমরা কি তোমাকে শিশু অবস্থায় আমাদের মধ্যে লালন-পালন করিনি? এবং তুমি আমাদের মধ্যে জীবনের বহু বছর কাটিয়েছ।
19
وَفَعَلْتَ فَعْلَتَكَ ٱلَّتِى فَعَلْتَ وَأَنتَ مِنَ ٱلْكَٰفِرِينَ
ওয়া ফা‘আলতা ফা‘লাতাকাল্লাতী ফা‘আলতা ওয়াআনতা মিনাল কা-ফিরীন।
তুমি সেই-তোমরা অপরাধ যা করবার করেছ। তুমি হলে কৃতঘ্ন।
20
قَالَ فَعَلْتُهَآ إِذًا وَأَنَا۠ مِنَ ٱلضَّآلِّينَ
কা-লা ফা‘আলতুহা ইযাওঁ ওয়া আনা মিনাদ্দাল্লীন।
মূসা বলল, আমি সে অপরাধ তখন করেছি, যখন আমি ভ্রান্ত ছিলাম।
21
فَفَرَرْتُ مِنكُمْ لَمَّا خِفْتُكُمْ فَوَهَبَ لِى رَبِّى حُكْمًا وَجَعَلَنِى مِنَ ٱلْمُرْسَلِينَ
ফাফারারতুমিনকুমলাম্মা-খিফতুকুম ফাওয়াহাবালী রাববী হুকমাওঁ ওয়া জা‘আলানী মিনাল মুরছালীন।
অতঃপর আমি ভীত হয়ে তোমাদের কাছ থেকে পলায়ন করলাম। এরপর আমার পালনকর্তা আমাকে প্রজ্ঞা দান করেছেন এবং আমাকে পয়গম্বর করেছেন।
22
وَتِلْكَ نِعْمَةٌ تَمُنُّهَا عَلَىَّ أَنْ عَبَّدتَّ بَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ
ওয়া তিলকা নি‘মাতুন তামুননুহা-‘আলাইইয়া আন ‘আব্বাত্তা বানীইছরাঈল।
আমার প্রতি তোমার যে অনুগ্রহের কথা বলছ, তা এই যে, তুমি বনী-ইসলাঈলকে গোলাম বানিয়ে রেখেছ।
23
قَالَ فِرْعَوْنُ وَمَا رَبُّ ٱلْعَٰلَمِينَ
কা-লা ফির‘আওনুওয়ামা-রাব্বুল ‘আ-লামীন।
ফেরাউন বলল, বিশ্বজগতের পালনকর্তা আবার কি?
24
قَالَ رَبُّ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَآ إِن كُنتُم مُّوقِنِينَ
কা-লা রাব্বুছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিওয়ামা-বাইনাহুমা- ইন কুনতুম মূকিনীন।
মূসা বলল, তিনি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর পালনকর্তা যদি তোমরা বিশ্বাসী হও।
25
قَالَ لِمَنْ حَوْلَهُۥٓ أَلَا تَسْتَمِعُونَ
কা-লা লিমান হাওলাহূ আলা-তাছতামি‘উন।
ফেরাউন তার পরিষদবর্গকে বলল, তোমরা কি শুনছ না?
26
قَالَ رَبُّكُمْ وَرَبُّ ءَابَآئِكُمُ ٱلْأَوَّلِينَ
কা-লা রাব্বুকুম ওয়ারাব্বুআবাইকুমুল আওওয়ালীন।
মূসা বলল, তিনি তোমাদের পালনকর্তা এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদেরও পালনকর্তা।
27
قَالَ إِنَّ رَسُولَكُمُ ٱلَّذِىٓ أُرْسِلَ إِلَيْكُمْ لَمَجْنُونٌ
কা-লা ইন্না রাছূলাকুমুল্লাযী উরছিলা ইলাইকুম লামাজনূন।
ফেরাউন বলল, তোমাদের প্রতি প্রেরিত তোমাদের রসূলটি নিশ্চয়ই বদ্ধ পাগল।
28
قَالَ رَبُّ ٱلْمَشْرِقِ وَٱلْمَغْرِبِ وَمَا بَيْنَهُمَآ إِن كُنتُمْ تَعْقِلُونَ
কা-লা রাব্বুল মাশরিকিওয়াল মাগরিবি ওয়ামা-বাইনাহুমা- ইন কুনতুম তা‘কিলূন।
মূসা বলল, তিনি পূর্ব, পশ্চিম ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সব কিছুর পালনকর্তা, যদি তোমরা বোঝ।
29
قَالَ لَئِنِ ٱتَّخَذْتَ إِلَٰهًا غَيْرِى لَأَجْعَلَنَّكَ مِنَ ٱلْمَسْجُونِينَ
কা-লা লাইনিততাখাযতা ইলা -হান গাইরী লাআজ‘আলান্নাকা মিনাল মাছজূনীন।
ফেরাউন বলল, তুমি যদি আমার পরিবর্তে অন্যকে উপাস্যরূপে গ্রহণ কর তবে আমি অবশ্যই তোমাকে কারাগারে নিক্ষেপ করব।
30
قَالَ أَوَلَوْ جِئْتُكَ بِشَىْءٍ مُّبِينٍ
কা-লা আওয়ালাও জি’তুকা বিশাইয়িম মুবীন।
মূসা বলল, আমি তোমার কাছে কোন স্পষ্ট বিষয় নিয়ে আগমন করলেও কি?
31
قَالَ فَأْتِ بِهِۦٓ إِن كُنتَ مِنَ ٱلصَّٰدِقِينَ
কা-লা ফা’তি বিহীইন কুননতা মিনাসসা-দিকীন।
ফেরাউন বলল, তুমি সত্যবাদী হলে তা উপস্থিত কর।
32
فَأَلْقَىٰ عَصَاهُ فَإِذَا هِىَ ثُعْبَانٌ مُّبِينٌ
ফাআলকা-‘আসা-হু ফাইযা-হিয়া ছু‘বা-নুম মুবীন।
অতঃপর তিনি লাঠি নিক্ষেপ করলে মুহূর্তের মধ্যে তা সুস্পষ্ট অজগর হয়ে গেল।
33
وَنَزَعَ يَدَهُۥ فَإِذَا هِىَ بَيْضَآءُ لِلنَّٰظِرِينَ
ওয়া নাঝা‘আ ইয়াদাহূফাইযা-হিয়া বাইদাউ লিন্না-জিরীন।
আর তিনি তার হাত বের করলেন, তৎক্ষণাৎ তা দর্শকদের কাছে সুশুভ্র প্রতিভাত হলো
34
قَالَ لِلْمَلَإِ حَوْلَهُۥٓ إِنَّ هَٰذَا لَسَٰحِرٌ عَلِيمٌ
কা-লা লিলমালায়ি হাওলাহূ ইন্না হা-যা-লাছা-হিরুন ‘আলীম।
ফেরাউন তার পরিষদবর্গকে বলল, নিশ্চয় এ একজন সুদক্ষ জাদুকর।
35
يُرِيدُ أَن يُخْرِجَكُم مِّنْ أَرْضِكُم بِسِحْرِهِۦ فَمَاذَا تَأْمُرُونَ
ইউরীদুআইঁ ইউখরিজাকুম মিন আরদিকুম বিছিহরিহী ফামা-যা-তা’মুরূন।
সে তার জাদু বলে তোমাদেরকে তোমাদের দেশ থেকে বহিস্কার করতে চায়। অতএব তোমাদের মত কি?
36
قَالُوٓا۟ أَرْجِهْ وَأَخَاهُ وَٱبْعَثْ فِى ٱلْمَدَآئِنِ حَٰشِرِينَ
কা-লূ আরজিহ ওয়া আখা-হু ওয়াব‘আছফিল মাদা-ইনি হা-শিরীন।
তারা বলল, তাকে ও তার ভাইকে কিছু অবকাশ দিন এবং শহরে শহরে ঘোষক প্রেরণ করুন
37
يَأْتُوكَ بِكُلِّ سَحَّارٍ عَلِيمٍ
ইয়া’তূকা বিকুল্লি ছাহহা-রিন ‘আলীম।
তারা যেন আপনার কাছে প্রত্যেকটি দক্ষ জাদুকর কে উপস্থিত করে।
38
فَجُمِعَ ٱلسَّحَرَةُ لِمِيقَٰتِ يَوْمٍ مَّعْلُومٍ
ফাজুমি‘আছ ছাহারাতুলিমীকা-তি ইয়াওমিম মা‘লূম।
অতঃপর এক নির্দিষ্ট দিনে জাদুকরদেরকে একত্রিত করা হল।
39
وَقِيلَ لِلنَّاسِ هَلْ أَنتُم مُّجْتَمِعُونَ
ওয়া কীলা লিন্না-ছি হাল আনতুম মুজতামি‘ঊন।
এবং জনগণের মধ্যে ঘোষণা করা হল, তোমরাও সমবেত হও।
40
لَعَلَّنَا نَتَّبِعُ ٱلسَّحَرَةَ إِن كَانُوا۟ هُمُ ٱلْغَٰلِبِينَ
লা‘আল্লানা-নাত্তাবি‘উছ ছাহারাতা ইন কা-নূহুমুল গা-লিবীন।
যাতে আমরা জাদুকরদের অনুসরণ করতে পারি-যদি তারাই বিজয়ী হয়।
41
فَلَمَّا جَآءَ ٱلسَّحَرَةُ قَالُوا۟ لِفِرْعَوْنَ أَئِنَّ لَنَا لَأَجْرًا إِن كُنَّا نَحْنُ ٱلْغَٰلِبِينَ
ফালাম্মা- জাআছছাহারাতুকা-লূলিফির‘আওনা আইন্না লানা- লাআজরান ইন কুন্নানাহনুল গা-লিবীন।
যখন যাদুকররা আগমণ করল, তখন ফেরআউনকে বলল, যদি আমরা বিজয়ী হই, তবে আমরা পুরস্কার পাব তো?
42
قَالَ نَعَمْ وَإِنَّكُمْ إِذًا لَّمِنَ ٱلْمُقَرَّبِينَ
কা-লা না‘আম ওয়া ইন্নাকুম ইযাল্লামিনাল মুকারবাবীন।
ফেরাউন বলল, হ্যাঁ এবং তখন তোমরা আমার নৈকট্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
43
قَالَ لَهُم مُّوسَىٰٓ أَلْقُوا۟ مَآ أَنتُم مُّلْقُونَ
কা-লা লাহুম মূছাআলকূমাআনতুম মুলকূন।
মূসা (আঃ) তাদেরকে বললেন, নিক্ষেপ কর তোমরা যা নিক্ষেপ করবে।
44
فَأَلْقَوْا۟ حِبَالَهُمْ وَعِصِيَّهُمْ وَقَالُوا۟ بِعِزَّةِ فِرْعَوْنَ إِنَّا لَنَحْنُ ٱلْغَٰلِبُونَ
ফাআলকাও হিবা-লাহুম ওয়া ‘ইসিইইয়াহুম ওয়া কা-লূবি‘ইঝঝাতি ফির‘আওনা ইন্নালানাহনুল গা-লিবূন।
অতঃপর তারা তাদের রশি ও লাঠি নিক্ষেপ করল এবং বলল, ফেরাউনের ইযযতের কসম, আমরাই বিজয়ী হব।
45
فَأَلْقَىٰ مُوسَىٰ عَصَاهُ فَإِذَا هِىَ تَلْقَفُ مَا يَأْفِكُونَ
ফাআলকা-মূছা-‘আসা-হু ফাইযা-হিইয়া তালকাফুমা-ইয়া’ফিকূন।
অতঃপর মূসা তাঁর লাঠি নিক্ষেপ করল, হঠাৎ তা তাদের অলীক কীর্তিগুলোকে গ্রাস করতে লাগল।
46
فَأُلْقِىَ ٱلسَّحَرَةُ سَٰجِدِينَ
ফাউলকিয়াছ ছাহারাতুছা-জিদীন।
তখন জাদুকররা সেজদায় নত হয়ে গেল।
47
قَالُوٓا۟ ءَامَنَّا بِرَبِّ ٱلْعَٰلَمِينَ
কা-লূ আ-মান্না-বিরাব্বিল ‘আ-লামীন।
তারা বলল, আমরা রাব্বুল আলামীনের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলাম।
48
رَبِّ مُوسَىٰ وَهَٰرُونَ
রাব্বি মূছা-ওয়াহা-রূন।
যিনি মূসা ও হারুনের রব।
49
قَالَ ءَامَنتُمْ لَهُۥ قَبْلَ أَنْ ءَاذَنَ لَكُمْ إِنَّهُۥ لَكَبِيرُكُمُ ٱلَّذِى عَلَّمَكُمُ ٱلسِّحْرَ فَلَسَوْفَ تَعْلَمُونَ لَأُقَطِّعَنَّ أَيْدِيَكُمْ وَأَرْجُلَكُم مِّنْ خِلَٰفٍ وَلَأُصَلِّبَنَّكُمْ أَجْمَعِينَ
কা-লা আ-মানতুম লাহূকাবলা আন আ-যানা লাকুম ইন্নাহূলাকাবীরু কুমুল্লাযী ‘আল্লামাকুমুছ ছিহরা ফালাছাওফা তা‘লামূনা লাউকাত্তি‘আন্না আইদিয়াকুম ওয়া আরজুলাকুম মিন খিলা-ফিওঁ ওয়ালাউসালিলবান্নাকুম আজমা‘ঈন।
ফেরাউন বলল, আমার অনুমতি দানের পূর্বেই তোমরা কি তাকে মেনে নিলে? নিশ্চয় সে তোমাদের প্রধান, যে তোমাদেরকে জাদু শিক্ষা দিয়েছে। শীঘ্রই তোমরা পরিণাম জানতে পারবে। আমি অবশ্যই তোমাদের হাত ও পা বিপরীত দিক থেকে কর্তন করব। এবং তোমাদের সবাইকে শূলে চড়াব
50
قَالُوا۟ لَا ضَيْرَ إِنَّآ إِلَىٰ رَبِّنَا مُنقَلِبُونَ
কা-লূলা-দাইরা ইন্নাইলা-রাব্বিনা- মুনকালিবূন।
তারা বলল, কোন ক্ষতি নেই। আমরা আমাদের পালনকর্তার কাছে প্রত্যাবর্তন করব।
51
إِنَّا نَطْمَعُ أَن يَغْفِرَ لَنَا رَبُّنَا خَطَٰيَٰنَآ أَن كُنَّآ أَوَّلَ ٱلْمُؤْمِنِينَ
ইন্না-নাতমা‘উ আইঁ ইউগফিরালানা- রাব্বুনা- খাতাইয়া-নাআন কুন্না আওওয়ালাল মু’মিনীন।
আমরা আশা করি, আমাদের পালনকর্তা আমাদের ক্রটি-বিচ্যুতি মার্জনা করবেন। কারণ, আমরা বিশ্বাস স্থাপনকারীদের মধ্যে অগ্রণী।
52
وَأَوْحَيْنَآ إِلَىٰ مُوسَىٰٓ أَنْ أَسْرِ بِعِبَادِىٓ إِنَّكُم مُّتَّبَعُونَ
ওয়া আওহাইনাইলা-মূছাআন আছরিবি‘ইবা-দী ইন্নাকুম মুত্তাবা‘ঊন।
আমি মূসাকে আদেশ করলাম যে, আমার বান্দাদেরকে নিয়ে রাত্রিযোগে বের হয়ে যাও, নিশ্চয় তোমাদের পশ্চাদ্ধাবন করা হবে।
53
فَأَرْسَلَ فِرْعَوْنُ فِى ٱلْمَدَآئِنِ حَٰشِرِينَ
ফাআরছালা ফির‘আওনুফিল মাদাইনি হা-শিরীন।
অতঃপর ফেরাউন শহরে শহরে সংগ্রাহকদেরকে প্রেরণ করল,
54
إِنَّ هَٰٓؤُلَآءِ لَشِرْذِمَةٌ قَلِيلُونَ
ইন্না হাউলাই লাশিরযিমাতুন কালীলূন।
নিশ্চয় এরা (বনী-ইসরাঈলরা) ক্ষুদ্র একটি দল।
55
وَإِنَّهُمْ لَنَا لَغَآئِظُونَ
ওয়া ইন্নাহুম লানা-লাগাইজূ ন।
এবং তারা আমাদের ক্রোধের উদ্রেক করেছে।
56
وَإِنَّا لَجَمِيعٌ حَٰذِرُونَ
ওয়া ইন্না-লাজামী‘উন হা-যিরূন।
এবং আমরা সবাই সদা শংকিত।
57
فَأَخْرَجْنَٰهُم مِّن جَنَّٰتٍ وَعُيُونٍ
ফাআখরাজনা-হুম মিন জান্না-তিওঁ ওয়া ‘উয়ূন।
অতঃপর আমি ফেরআউনের দলকে তাদের বাগ-বাগিচা ও ঝর্ণাসমূহ থেকে বহিষ্কার করলাম।
58
وَكُنُوزٍ وَمَقَامٍ كَرِيمٍ
ওয়া কুনূঝিওঁ ওয়া মাকা-মিন কারীম।
এবং ধন-ভান্ডার ও মনোরম স্থানসমূহ থেকে।
59
كَذَٰلِكَ وَأَوْرَثْنَٰهَا بَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ
কাযা-লিকা ওয়া আওরাছনা-হা-বানীইছরাঈল।
এরূপই হয়েছিল এবং বনী-ইসলাঈলকে করে দিলাম এসবের মালিক।
60
فَأَتْبَعُوهُم مُّشْرِقِينَ
ফাআতবা‘ঊহুম মুশরিকীন।
অতঃপর সুর্যোদয়ের সময় তারা তাদের পশ্চাদ্ধাবন করল।
61
فَلَمَّا تَرَٰٓءَا ٱلْجَمْعَانِ قَالَ أَصْحَٰبُ مُوسَىٰٓ إِنَّا لَمُدْرَكُونَ
ফালাম্মা-তারাআল জাম‘আ-নি কা-লা আসহা-বুমূছাইন্না-লামুদরাকূন।
যখন উভয় দল পরস্পরকে দেখল, তখন মূসার সঙ্গীরা বলল, আমরা যে ধরা পড়ে গেলাম
62
قَالَ كَلَّآ إِنَّ مَعِىَ رَبِّى سَيَهْدِينِ
কা-লা কাল্লা- ইন্না মা‘ইয়া রাববী ছাইয়াহদীন।
মূসা বলল, কখনই নয়, আমার সাথে আছেন আমার পালনকর্তা। তিনি আমাকে পথ বলে দেবেন।
63
فَأَوْحَيْنَآ إِلَىٰ مُوسَىٰٓ أَنِ ٱضْرِب بِّعَصَاكَ ٱلْبَحْرَ فَٱنفَلَقَ فَكَانَ كُلُّ فِرْقٍ كَٱلطَّوْدِ ٱلْعَظِيمِ
ফাআওহাইনাইলা-মূছাআনিদরিব বি‘আসাকাল বাহ রা ফানফালাকা ফাকা-না কুল্লু ফিরকিন কাততাওদিল ‘আজীম।
অতঃপর আমি মূসাকে আদেশ করলাম, তোমার লাঠি দ্বারা সমূদ্রকে আঘাত কর। ফলে, তা বিদীর্ণ হয়ে গেল এবং প্রত্যেক ভাগ বিশাল পর্বতসদৃশ হয়ে গেল।
64
وَأَزْلَفْنَا ثَمَّ ٱلْءَاخَرِينَ
ওয়া আঝলাফনা-ছাম্মাল আ-খারীন।
আমি সেথায় অপর দলকে পৌঁছিয়ে দিলাম।
65
وَأَنجَيْنَا مُوسَىٰ وَمَن مَّعَهُۥٓ أَجْمَعِينَ
ওয়া আনজাইনা-মূছা-ওয়ামাম মা‘আহূআজমা‘ঈন।
এবং মূসা ও তাঁর সংগীদের সবাইকে বাঁচিয়ে দিলাম।
66
ثُمَّ أَغْرَقْنَا ٱلْءَاخَرِينَ
ছু ম্মা আগরাকনাল আ-খারীন।
অতঃপর অপর দলটিকে নিমজ্জত কললাম।
67
إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَةً وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়াতাওঁ ওয়ামা-কা-না আকছারুহুম মু’মিনীন।
নিশ্চয় এতে একটি নিদর্শন আছে এবং তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী ছিল না।
68
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلْعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ
ওয়া ইন্না রাব্বাকা লাহুওয়াল ‘আঝীঝুর রাহীম।
আপনার পালনকর্তা অবশ্যই পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
69
وَٱتْلُ عَلَيْهِمْ نَبَأَ إِبْرَٰهِيمَ
ওয়াতলু‘আলাইহিম নাবাআ ইবরা-হীম।
আর তাদেরকে ইব্রাহীমের বৃত্তান্ত শুনিয়ে দিন।
70
إِذْ قَالَ لِأَبِيهِ وَقَوْمِهِۦ مَا تَعْبُدُونَ
ইযকা-লা লিআবীহি ওয়া কাওমিহী মা-তা‘বুদূন।
যখন তাঁর পিতাকে এবং তাঁর সম্প্রদায়কে বললেন, তোমরা কিসের এবাদত কর?
71
قَالُوا۟ نَعْبُدُ أَصْنَامًا فَنَظَلُّ لَهَا عَٰكِفِينَ
কা-লূনা‘বুদুআসনা-মান ফানাজালুল লাহা -‘আ-কিফীন।
তারা বলল, আমরা প্রতিমার পূজা করি এবং সারাদিন এদেরকেই নিষ্ঠার সাথে আঁকড়ে থাকি।
72
قَالَ هَلْ يَسْمَعُونَكُمْ إِذْ تَدْعُونَ
কা-লা হাল ইয়াছমা‘উনাকুম ইযতাদ‘ঊন।
ইব্রাহীম (আঃ) বললেন, তোমরা যখন আহবান কর, তখন তারা শোনে কি?
73
أَوْ يَنفَعُونَكُمْ أَوْ يَضُرُّونَ
আও ইয়ানফা‘ঊনাকুম আও ইয়াদুররূন।
অথবা তারা কি তোমাদের উপকার কিংবা ক্ষতি করতে পারে?
74
قَالُوا۟ بَلْ وَجَدْنَآ ءَابَآءَنَا كَذَٰلِكَ يَفْعَلُونَ
কা-লূবাল ওয়া জাদনাআ-বাআনা-কাযা-লিকা ইয়াফ‘আলূন।
তারা বললঃ না, তবে আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে পেয়েছি, তারা এরূপই করত।
75
قَالَ أَفَرَءَيْتُم مَّا كُنتُمْ تَعْبُدُونَ
কা-লা আফারাআইতুম মা-কুনতুম তা‘বুদূন।
ইব্রাহীম বললেন, তোমরা কি তাদের সম্পর্কে ভেবে দেখেছ, যাদের পূজা করে আসছ।
76
أَنتُمْ وَءَابَآؤُكُمُ ٱلْأَقْدَمُونَ
আনতুম ওয়া আ-বাউকুমুল আকদামূন।
তোমরা এবং তোমাদের পূর্ববর্তী পিতৃপুরুষেরা ?
77
فَإِنَّهُمْ عَدُوٌّ لِّىٓ إِلَّا رَبَّ ٱلْعَٰلَمِينَ
ফাইন্নাহুম ‘আদুওউললী ইল্লা-রাব্বাল ‘আ-লামীন।
বিশ্বপালনকর্তা ব্যতীত তারা সবাই আমার শত্রু।
78
ٱلَّذِى خَلَقَنِى فَهُوَ يَهْدِينِ
আল্লাযী খালাকানী ফাহুওয়া ইয়াহদীন।
যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনিই আমাকে পথপ্রদর্শন করেন,
79
وَٱلَّذِى هُوَ يُطْعِمُنِى وَيَسْقِينِ
ওয়াল্লাযী হুওয়া ইউত‘ইমুনী ওয়া ইয়াছকীন।
যিনি আমাকে আহার এবং পানীয় দান করেন,
80
وَإِذَا مَرِضْتُ فَهُوَ يَشْفِينِ
ওয়া ইযা-মারিদতুফাহুওয়া ইয়াশফীন।
যখন আমি রোগাক্রান্ত হই, তখন তিনিই আরোগ্য দান করেন।
81
وَٱلَّذِى يُمِيتُنِى ثُمَّ يُحْيِينِ
ওয়াল্লাযী ইউমীতুনী ছুম্মা ইউহঈন।
যিনি আমার মৃত্যু ঘটাবেন, অতঃপর পুনর্জীবন দান করবেন।
82
وَٱلَّذِىٓ أَطْمَعُ أَن يَغْفِرَ لِى خَطِيٓـَٔتِى يَوْمَ ٱلدِّينِ
ওয়াল্লাযীআতমা‘উ আইঁ ইয়াগফিরালী খাতীআতী ইয়াওমাদ দীন।
আমি আশা করি তিনিই বিচারের দিনে আমার ক্রটি-বিচ্যুতি মাফ করবেন।
83
رَبِّ هَبْ لِى حُكْمًا وَأَلْحِقْنِى بِٱلصَّٰلِحِينَ
রাব্বি হাবলী হুকমাওঁ ওয়া আল হিকনী বিসসা-লিহীন।
হে আমার পালনকর্তা, আমাকে প্রজ্ঞা দান কর এবং আমাকে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত কর
84
وَٱجْعَل لِّى لِسَانَ صِدْقٍ فِى ٱلْءَاخِرِينَ
ওয়াজ‘আললী লিছা-না সিদকিন ফিল আ-খিরীন।
এবং আমাকে পরবর্তীদের মধ্যে সত্যভাষী কর।
85
وَٱجْعَلْنِى مِن وَرَثَةِ جَنَّةِ ٱلنَّعِيمِ
ওয়াজ‘আলনী মিওঁ ওয়ারাছাতি জান্নাতিন না‘ঈম।
এবং আমাকে নেয়ামত উদ্যানের অধিকারীদের অন্তর্ভূক্ত কর।
86
وَٱغْفِرْ لِأَبِىٓ إِنَّهُۥ كَانَ مِنَ ٱلضَّآلِّينَ
ওয়াগফির লিআবী ইন্নাহূকা-না মিনাদ্দাল্লীন,
এবং আমার পিতাকে ক্ষমা কর। সে তো পথভ্রষ্টদের অন্যতম।
87
وَلَا تُخْزِنِى يَوْمَ يُبْعَثُونَ
ওয়ালা-তুখঝিনী ইয়াওমা ইউব‘আছূন।
এবং পূনরুত্থান দিবসে আমাকে লাঞ্ছিত করো না,
88
يَوْمَ لَا يَنفَعُ مَالٌ وَلَا بَنُونَ
ইয়াওমা লা-ইয়ানফা‘উ মা-লুওঁ ওয়ালা-বানূন।
যে দিবসে ধন-সম্পদ ও সন্তান সন্ততি কোন উপকারে আসবে না;
89
إِلَّا مَنْ أَتَى ٱللَّهَ بِقَلْبٍ سَلِيمٍ
ইল্লা-মান আতাল্লা-হা বিকালবিন ছালীম।
কিন্তু যে সুস্থ অন্তর নিয়ে আল্লাহর কাছে আসবে।
90
وَأُزْلِفَتِ ٱلْجَنَّةُ لِلْمُتَّقِينَ
ওয়া উঝলিফাতিল জান্নাতুলিলমুত্তাকীন।
জান্নাত আল্লাহভীরুদের নিকটবর্তী করা হবে।
91
وَبُرِّزَتِ ٱلْجَحِيمُ لِلْغَاوِينَ
ওয়া বুররিঝাতিল জাহীমুলিলগা-বীন।
এবং বিপথগামীদের সামনে উম্মোচিত করা হবে জাহান্নাম।
92
وَقِيلَ لَهُمْ أَيْنَ مَا كُنتُمْ تَعْبُدُونَ
ওয়াকীলা লাহুম আইনামা-কুনতুম তা‘বুদূন।
তাদেরকে বলা হবেঃ তারা কোথায়, তোমরা যাদের পূজা করতে।
93
مِن دُونِ ٱللَّهِ هَلْ يَنصُرُونَكُمْ أَوْ يَنتَصِرُونَ
মিন দূ নিল্লাহি হাল ইয়ানসুরূনাকুম আও ইয়ানতাসিরূন।
আল্লাহর পরিবর্তে? তারা কি তোমাদের সাহায্য করতে পারে, অথবা তারা প্রতিশোধ নিতে পারে?
94
فَكُبْكِبُوا۟ فِيهَا هُمْ وَٱلْغَاوُۥنَ
ফাকুবকিবূফীহা-হুম ওয়ালগা-ঊন।
অতঃপর তাদেরকে এবং পথভ্রষ্টদেরকে আধোমুখি করে নিক্ষেপ করা হবে জাহান্নামে।
95
وَجُنُودُ إِبْلِيسَ أَجْمَعُونَ
ওয়াজুনূদুইবলীছা আজমা‘উন।
এবং ইবলীস বাহিনীর সকলকে।
96
قَالُوا۟ وَهُمْ فِيهَا يَخْتَصِمُونَ
কা-লূওয়া হুম ফীহা-ইয়াখতাসিমূন।
তারা তথায় কথা কাটাকাটিতে লিপ্ত হয়ে বলবেঃ
97
تَٱللَّهِ إِن كُنَّا لَفِى ضَلَٰلٍ مُّبِينٍ
তাল্লা-হি ইন কুন্না-লাফী দালা-লিম মুবীন।
আল্লাহর কসম, আমরা প্রকাশ্য বিভ্রান্তিতে লিপ্ত ছিলাম।
98
إِذْ نُسَوِّيكُم بِرَبِّ ٱلْعَٰلَمِينَ
ইযনুছাওবীকুম বিরাব্বিল ‘আ-লামীন।
যখন আমরা তোমাদেরকে বিশ্ব-পালনকর্তার সমতুল্য গন্য করতাম।
99
وَمَآ أَضَلَّنَآ إِلَّا ٱلْمُجْرِمُونَ
ওয়ামাআদাল্লানাইল্লাল মুজরিমূন।
আমাদেরকে দুষ্টকর্মীরাই গোমরাহ করেছিল।
100
فَمَا لَنَا مِن شَٰفِعِينَ
ফামা-লানা-মিন শা-ফি‘ঈন।
অতএব আমাদের কোন সুপারিশকারী নেই।
101
وَلَا صَدِيقٍ حَمِيمٍ
ওয়ালা সাদীকিন হামীম।
এবং কোন সহৃদয় বন্ধু ও নেই।
102
فَلَوْ أَنَّ لَنَا كَرَّةً فَنَكُونَ مِنَ ٱلْمُؤْمِنِينَ
ফালাও আন্না লানা-কাররাতান ফানাকূনা মিনাল মু’মিনীন।
হায়, যদি কোনরুপে আমরা পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ পেতাম, তবে আমরা বিশ্বাস স্থাপনকারী হয়ে যেতাম।
103
إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَةً وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়াতাওঁ ওয়ামা-কা-না আকছারুহুম মু’মিনীন।
নিশ্চয়, এতে নিদর্শন আছে এবং তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।
104
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلْعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ
ওয়া ইন্না রাব্বাকা লাহুওয়াল ‘আঝীঝুর রাহীম।
আপনার পালনকর্তা প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
105
كَذَّبَتْ قَوْمُ نُوحٍ ٱلْمُرْسَلِينَ
কাযযাবাত কাওমুনূহিনিল মুরছালীন।
নূহের সম্প্রদায় পয়গম্বরগণকে মিথ্যারোপ করেছে।
106
إِذْ قَالَ لَهُمْ أَخُوهُمْ نُوحٌ أَلَا تَتَّقُونَ
ইযকা-লা লাহুম আখূহুম নূহুন ‘আলা-তাত্তাকূন।
যখন তাদের ভ্রাতা নূহ তাদেরকে বললেন, তোমাদের কি ভয় নেই?
107
إِنِّى لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌ
ইন্নী লাকুম রাছূলুন আমীন।
আমি তোমাদের জন্য বিশ্বস্ত বার্তাবাহক।
108
فَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ
ফাত্তাকুল্লা-হা ওয়া আতী‘ঊন।
অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।
109
وَمَآ أَسْـَٔلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ إِنْ أَجْرِىَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ ٱلْعَٰلَمِينَ
ওয়ামাআছআলুকুম ‘আলাইহি মিন আজরিন ইন আজরিয়া ইল্লা-‘আলা-রাব্বিল ‘আলামীন।
আমি তোমাদের কাছে এর জন্য কোন প্রতিদান চাই না, আমার প্রতিদান তো বিশ্ব-পালনকর্তাই দেবেন।
110
فَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ
ফাত্তাকুল্লা-হা ওয়াআতী‘ঊন।
অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।
111
قَالُوٓا۟ أَنُؤْمِنُ لَكَ وَٱتَّبَعَكَ ٱلْأَرْذَلُونَ
কা-লূআনু’মিনুলাকা ওয়াত্তাবা‘আকাল আরযালূন।
তারা বলল, আমরা কি তোমাকে মেনে নেব যখন তোমার অনুসরণ করছে ইতরজনেরা?
112
قَالَ وَمَا عِلْمِى بِمَا كَانُوا۟ يَعْمَلُونَ
কা-লা ওয়ামা-‘ইলমী বিমা-কা-নূইয়া‘মালূন।
নূহ বললেন, তারা কি কাজ করছে, তা জানা আমার কি দরকার?
113
إِنْ حِسَابُهُمْ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّى لَوْ تَشْعُرُونَ
ইন হিছা-বুহুম ইল্লা-‘আলা-রাববী লাও তাশ‘উরূন।
তাদের হিসাব নেয়া আমার পালনকর্তারই কাজ; যদি তোমরা বুঝতে!
114
وَمَآ أَنَا۠ بِطَارِدِ ٱلْمُؤْمِنِينَ
ওয়ামাআনা বিতা-রিদিল মু’মিনীন।
আমি মুমিনগণকে তাড়িয়ে দেয়ার লোক নই।
115
إِنْ أَنَا۠ إِلَّا نَذِيرٌ مُّبِينٌ
ইন আনা ইল্লা-নাযীরুম মুবীন।
আমি তো শুধু একজন সুস্পষ্ট সতর্ককারী।
116
قَالُوا۟ لَئِن لَّمْ تَنتَهِ يَٰنُوحُ لَتَكُونَنَّ مِنَ ٱلْمَرْجُومِينَ
কা-লূলাইল্লাম তানতাহি ইয়া-নূহুলাতাকূনান্না মিনাল মারজূমীন।
তারা বলল, হে নূহ যদি তুমি বিরত না হও, তবে তুমি নিশ্চিতই প্রস্তরাঘাতে নিহত হবে।
117
قَالَ رَبِّ إِنَّ قَوْمِى كَذَّبُونِ
কা-লা রাব্বি ইন্না কাওমী কাযযাবূন।
নূহ বললেন, হে আমার পালনকর্তা, আমার সম্প্রদায় তো আমাকে মিথ্যাবাদী বলছে।
118
فَٱفْتَحْ بَيْنِى وَبَيْنَهُمْ فَتْحًا وَنَجِّنِى وَمَن مَّعِىَ مِنَ ٱلْمُؤْمِنِينَ
ফাফতাহবাইনী ওয়া বাইনাহুম ফাতহাও ওয়া নাজজিনী ওয়ামাম মা‘ইয়া মিনাল মু’মিনীন।
অতএব, আমার ও তাদের মধ্যে কোন ফয়সালা করে দিন এবং আমাকে ও আমার সংগী মুমিনগণকে রক্ষা করুন।
119
فَأَنجَيْنَٰهُ وَمَن مَّعَهُۥ فِى ٱلْفُلْكِ ٱلْمَشْحُونِ
ফাআনজাইনা-হু ওয়ামাম মা‘আহূফিল ফুলকিল মাশহূন।
অতঃপর আমি তাঁকে ও তাঁর সঙ্গিগণকে বোঝাই করা নৌকায় রক্ষা করলাম।
120
ثُمَّ أَغْرَقْنَا بَعْدُ ٱلْبَاقِينَ
ছু ম্মা আগরাকনা-বা‘দুল বা-কীন।
এরপর অবশিষ্ট সবাইকে নিমজ্জত করলাম।
121
إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَةً وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়াতাওঁ ওয়ামা কা-না আকছারুহুম মু’মিনীন।
নিশ্চয় এতে নিদর্শন আছে এবং তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।
122
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلْعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ
ওয়া ইন্না রাব্বাকা লাহুওয়াল ‘আঝীঝুর রাহীম।
নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
123
كَذَّبَتْ عَادٌ ٱلْمُرْسَلِينَ
কাযযাবাত ‘আ-দুনিল মুরছালীন।
আদ সম্প্রদায় পয়গম্বরগণকে মিথ্যাবাদী বলেছে।
124
إِذْ قَالَ لَهُمْ أَخُوهُمْ هُودٌ أَلَا تَتَّقُونَ
ইযকা-লা লাহুম আখূহুম হূদুন ‘আলা-তাত্তাকূন।
তখন তাদের ভাই হুদ তাদেরকে বললেনঃ তোমাদের কি ভয় নেই?
125
إِنِّى لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌ
ইন্নী লাকুম রাছূলুন আমীন।
আমি তোমাদের বিশ্বস্ত রসূল।
126
فَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ
ফাত্তাকুল্লা-হা ওয়াআতী‘ঊন।
অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।
127
وَمَآ أَسْـَٔلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ إِنْ أَجْرِىَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ ٱلْعَٰلَمِينَ
ওয়ামাআছআলুকুম ‘আলাইহি মিন আজরিন ইন আজরিয়া ইল্লা-‘আলা-রাব্বিল ‘আলামীন।
আমি তোমাদের কাছে এর জন্যে প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো পালনকর্তা দেবেন।
128
أَتَبْنُونَ بِكُلِّ رِيعٍ ءَايَةً تَعْبَثُونَ
আতাবনূনা বিকুল্লি রী‘ইন আ-য়াতান তা‘বাছূন।
তোমরা কি প্রতিটি উচ্চস্থানে অযথা নিদর্শন নির্মান করছ?
129
وَتَتَّخِذُونَ مَصَانِعَ لَعَلَّكُمْ تَخْلُدُونَ
ওয়া তাত্তাখিযূনা মাসা-নি‘আ লা‘আল্লাকুম তাখলুদূন।
এবং বড় বড় প্রাসাদ নির্মাণ করছ, যেন তোমরা চিরকাল থাকবে?
130
وَإِذَا بَطَشْتُم بَطَشْتُمْ جَبَّارِينَ
ওয়া ইযা-বাতাশতুম বাতাশতুম জাব্বা-রীন।
যখন তোমরা আঘাত হান, তখন জালেম ও নিষ্ঠুরের মত আঘাত হান।
131
فَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ
ফাত্তাকুল্লা-হা ওয়া আতী‘ঊন।
অতএব, আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার অনুগত্য কর।
132
وَٱتَّقُوا۟ ٱلَّذِىٓ أَمَدَّكُم بِمَا تَعْلَمُونَ
ওয়াত্তাকুল্লাযী আমাদ্দাকুম বিমা-তা‘লামূন।
ভয় কর তাঁকে, যিনি তোমাদেরকে সেসব বস্তু দিয়েছেন, যা তোমরা জান।
133
أَمَدَّكُم بِأَنْعَٰمٍ وَبَنِينَ
আমাদ্দাকুম বিআন‘আ-মিওঁ ওয়াবানীন।
তোমাদেরকে দিয়েছেন চতুষ্পদ জন্তু ও পুত্র-সন্তান,
134
وَجَنَّٰتٍ وَعُيُونٍ
ওয়া জান্নাতিওঁ ওয়া ‘উইয়ূন।
এবং উদ্যান ও ঝরণা।
135
إِنِّىٓ أَخَافُ عَلَيْكُمْ عَذَابَ يَوْمٍ عَظِيمٍ
ইন্নীআখা-ফু‘আলাইকুম ‘আযা-বা ইয়াওমিন ‘আজীম।
আমি তোমাদের জন্যে মহাদিবসের শাস্তি আশংকা করি।
136
قَالُوا۟ سَوَآءٌ عَلَيْنَآ أَوَعَظْتَ أَمْ لَمْ تَكُن مِّنَ ٱلْوَٰعِظِينَ
কা-লূছাওয়াউন ‘আলাইনা আওয়া ‘আজতা আম লাম তাকুম মিনাল ওয়া‘ইজীন।
তারা বলল, তুমি উপদেশ দাও অথবা উপদেশ নাই দাও, উভয়ই আমাদের জন্যে সমান।
137
إِنْ هَٰذَآ إِلَّا خُلُقُ ٱلْأَوَّلِينَ
ইন হা-যাইল্লা-খুলুকুল আওওয়ালীন।
এসব কথাবার্তা পূর্ববর্তী লোকদের অভ্যাস বৈ নয়।
138
وَمَا نَحْنُ بِمُعَذَّبِينَ
ওয়ামা-নাহনুবিমু‘আযযাবীন।
আমরা শাস্তিপ্রাপ্ত হব না।
139
فَكَذَّبُوهُ فَأَهْلَكْنَٰهُمْ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَةً وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
ফাকাযযাবূহু ফাআহলাকনা-হুম ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়াতাও ওয়ামা-কা-না আকছারুহুম মু’মিনীন।
অতএব, তারা তাঁকে মিথ্যাবাদী বলতে লাগল এবং আমি তাদেরকে নিপাত করে দিলাম। এতে অবশ্যই নিদর্শন আছে; কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।
140
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلْعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ
ওয়া ইন্না রাব্বাকা লাহুওয়াল ‘আঝীঝুর রাহীম।
এবং আপনার পালনকর্তা, তিনি তো প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
141
كَذَّبَتْ ثَمُودُ ٱلْمُرْسَلِينَ
কাযযাবাত ছামূদুল মুরছালীন।
সামুদ সম্প্রদায় পয়গম্বরগণকে মিথ্যাবাদী বলেছে।
142
إِذْ قَالَ لَهُمْ أَخُوهُمْ صَٰلِحٌ أَلَا تَتَّقُونَ
ইযকা-লা লাহুম আখূহুম সা-লিহুন ‘আলা-তাত্তাকূন।
যখন তাদের ভাই সালেহ, তাদেরকে বললেন, তোমরা কি ভয় কর না?
143
إِنِّى لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌ
ইন্নী লাকুম রাছূলুন আমীন।
আমি তোমাদের বিশ্বস্ত পয়গম্বর।
144
فَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ
ফাত্তাকুল্লা-হা ওয়া আতী‘ঊন।
অতএব, আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।
145
وَمَآ أَسْـَٔلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ إِنْ أَجْرِىَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ ٱلْعَٰلَمِينَ
ওয়ামাআছআলুকুম ‘আলাইহি মিন আজরিন ইন আজরিয়া ইল্লা-‘আলা-রাব্বিল ‘আলামীন।
আমি এর জন্যে তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো বিশ্ব-পালনকর্তাই দেবেন।
146
أَتُتْرَكُونَ فِى مَا هَٰهُنَآ ءَامِنِينَ
আতুতরাকূনা ফী মা-হা-হুনাআ-মিনীন।
তোমাদেরকে কি এ জগতের ভোগ-বিলাসের মধ্যে নিরাপদে রেখে দেয়া হবে?
147
فِى جَنَّٰتٍ وَعُيُونٍ
ফী জান্না-তিওঁ ওয়া ‘উইয়ূন।
উদ্যানসমূহের মধ্যে এবং ঝরণাসমূহের মধ্যে ?
148
وَزُرُوعٍ وَنَخْلٍ طَلْعُهَا هَضِيمٌ
ওয়া ঝুরূ‘ইওঁ ওয়া নাখলিন তাল‘উহা-হাদীম।
শস্যক্ষেত্রের মধ্যে এবং মঞ্জুরিত খেজুর বাগানের মধ্যে ?
149
وَتَنْحِتُونَ مِنَ ٱلْجِبَالِ بُيُوتًا فَٰرِهِينَ
ওয়া তানহিতূনা মিনাল জিবা-লি বুঊতান ফা-রিহীন।
তোমরা পাহাড় কেটে জাঁক জমকের গৃহ নির্মাণ করছ।
150
فَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ
ফাত্তাকুল্লা-হা ওয়া আতী‘ঊন।
সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার অনুগত্য কর।
151
وَلَا تُطِيعُوٓا۟ أَمْرَ ٱلْمُسْرِفِينَ
ওয়ালা-তুতী‘ঊআমরাল মুছরিফীন।
এবং সীমালংঘনকারীদের আদেশ মান্য কর না;
152
ٱلَّذِينَ يُفْسِدُونَ فِى ٱلْأَرْضِ وَلَا يُصْلِحُونَ
আল্লাযীনা ইউফছিদূনা ফিল আরদিওয়ালা-ইউসলিহূন।
যারা পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করে এবং শান্তি স্থাপন করে না;
153
قَالُوٓا۟ إِنَّمَآ أَنتَ مِنَ ٱلْمُسَحَّرِينَ
কা-লূইন্নামাআনতা মিনাল মুছাহহারীন।
তারা বলল, তুমি তো জাদুগ্রস্থুরেদ একজন।
154
مَآ أَنتَ إِلَّا بَشَرٌ مِّثْلُنَا فَأْتِ بِـَٔايَةٍ إِن كُنتَ مِنَ ٱلصَّٰدِقِينَ
মাআনতা ইল্লা-বাশারুম মিছলুনা ফা’তি বিআয়া-তিন ইন কুনতা মিনাসসা-দিকীন।
তুমি তো আমাদের মতই একজন মানুষ বৈ নও। সুতরাং যদি তুমি সত্যবাদী হও, তবে কোন নিদর্শন উপস্থিত কর।
155
قَالَ هَٰذِهِۦ نَاقَةٌ لَّهَا شِرْبٌ وَلَكُمْ شِرْبُ يَوْمٍ مَّعْلُومٍ
কা-লা হা-যিহী না-কাতুল লাহা-শিরবুওঁ ওয়ালাকুম শিরবুইয়াওমিম মা‘লূম।
সালেহ বললেন এই উষ্ট্রী, এর জন্যে আছে পানি পানের পালা এবং তোমাদের জন্যে আছে পানি পানের পালা নির্দিষ্ট এক-এক দিনের।
156
وَلَا تَمَسُّوهَا بِسُوٓءٍ فَيَأْخُذَكُمْ عَذَابُ يَوْمٍ عَظِيمٍ
ওয়ালা-তামাছছূহা-বিছূইন ফাইয়া’খুযাকুম ‘আযা-বুইয়াওমিন ‘আজীম।
তোমরা একে কোন কষ্ট দিও না। তাহলে তোমাদেরকে মহাদিবসের আযাব পাকড়াও করবে।
157
فَعَقَرُوهَا فَأَصْبَحُوا۟ نَٰدِمِينَ
ফা‘আকারূহা-ফাআছবাহূনা-দিমীন।
তারা তাকে বধ করল ফলে, তারা অনুতপ্ত হয়ে গেল।
158
فَأَخَذَهُمُ ٱلْعَذَابُ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَةً وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
ফাআখাযাহুমুল ‘আযা-বু ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়াতাওঁ; ওয়ামা-কা-না আকছারুহুম মু’মিনীন।
এরপর আযাব তাদেরকে পাকড়াও করল। নিশ্চয় এতে নিদর্শন আছে। কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।
159
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلْعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ
ওয়া ইন্না রাব্বাকা লাহুওয়াল ‘আঝীঝুর রাহীম।
আপনার পালনকর্তা প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
160
كَذَّبَتْ قَوْمُ لُوطٍ ٱلْمُرْسَلِينَ
কাযযাবাত কাওমুলূতিনিল মুরছালীন।
লূতের সম্প্রদায় পয়গম্বরগণকে মিথ্যাবাদী বলেছে।
161
إِذْ قَالَ لَهُمْ أَخُوهُمْ لُوطٌ أَلَا تَتَّقُونَ
ইযকা-লা লাহুম আখূহুম লূতুন আলা-তাত্তাকূন।
যখন তাদের ভাই লূত তাদেরকে বললেন, তোমরা কি ভয় কর না ?
162
إِنِّى لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌ
ইন্নী লাকুম রাছূলুন আমীন।
আমি তোমাদের বিশ্বস্ত পয়গম্বর।
163
فَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ
ফাত্তাকুল্লা-হা ওয়া আতী‘ঊন।
অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।
164
وَمَآ أَسْـَٔلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ إِنْ أَجْرِىَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ ٱلْعَٰلَمِينَ
ওয়ামাআছআলুকুম ‘আলাইহি মিন আজরিন ইন আজরিয়া ইল্লা-‘আলা-রাব্বিল ‘আলামীন।
আমি এর জন্যে তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো বিশ্ব-পালনকর্তা দেবেন।
165
أَتَأْتُونَ ٱلذُّكْرَانَ مِنَ ٱلْعَٰلَمِينَ
আতা’তূনাযযুকরা-না মিনাল ‘আ-লামীন।
সারা জাহানের মানুষের মধ্যে তোমরাই কি পুরূষদের সাথে কুকর্ম কর?
166
وَتَذَرُونَ مَا خَلَقَ لَكُمْ رَبُّكُم مِّنْ أَزْوَٰجِكُم بَلْ أَنتُمْ قَوْمٌ عَادُونَ
ওয়া তাযারূনা মা-খালাকা লাকুম রাব্বুকুম মিন আঝওয়া-জিকুম বাল আনতুম কাওমুন ‘আ-দূ ন।
এবং তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের জন্যে যে স্ত্রীগনকে সৃষ্টি করেছেন, তাদেরকে বর্জন কর? বরং তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়।
167
قَالُوا۟ لَئِن لَّمْ تَنتَهِ يَٰلُوطُ لَتَكُونَنَّ مِنَ ٱلْمُخْرَجِينَ
কা-লূলাইল্লাম তানতাহি ইয়া-লূতুলাতাকূনান্না মিনাল মুখরাজীন।
তারা বলল, হে লূত, তুমি যদি বিরত না হও, তবে অবশ্যই তোমাকে বহিস্কৃত করা হবে।
168
قَالَ إِنِّى لِعَمَلِكُم مِّنَ ٱلْقَالِينَ
কা-লা ইন্নী লি‘আমালিকুম মিনাল কা-লীন।
লূত বললেন, আমি তোমাদের এই কাজকে ঘৃণা করি।
169
رَبِّ نَجِّنِى وَأَهْلِى مِمَّا يَعْمَلُونَ
রাব্বি নাজজিনী ওয়া আহলী মিম্মা-ইয়া‘মালূন।
হে আমার পালনকর্তা, আমাকে এবং আমার পরিবারবর্গকে তারা যা করে, তা থেকে রক্ষা কর।
170
فَنَجَّيْنَٰهُ وَأَهْلَهُۥٓ أَجْمَعِينَ
ফানাজ্জাইনা-হু ওয়া আহলাহূআজমা‘ঈন।
অতঃপর আমি তাঁকে ও তাঁর পরিবারবর্গকে রক্ষা করলাম।
171
إِلَّا عَجُوزًا فِى ٱلْغَٰبِرِينَ
ইল্লা-‘আজুঝান ফিল গা-বিরীন।
এক বৃদ্ধা ব্যতীত, সে ছিল ধ্বংস প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত।
172
ثُمَّ دَمَّرْنَا ٱلْءَاخَرِينَ
ছু ম্মা দাম্মারনাল আ-খারীন।
এরপর অন্যদেরকে নিপাত করলাম।
173
وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهِم مَّطَرًا فَسَآءَ مَطَرُ ٱلْمُنذَرِينَ
ওয়া আমতারনা-‘আলাইহিম মাতারান ফাছাআ মাতারুল মুনযারীন।
তাদের উপর এক বিশেষ বৃষ্টি বর্ষণ করলাম। ভীতি-প্রদর্শিত দের জন্যে এই বৃষ্টি ছিল কত নিকৃষ্ট
174
إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَةً وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়াতাওঁ ওয়ামা-কা-না আকছারুহুম মু’মিনীন।
নিশ্চয়ই এতে নিদর্শন রয়েছে; কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।
175
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلْعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ
ওয়া ইন্না রাব্বাকা লাহুওয়াল ‘আঝীঝুর রাহীম।
নিশ্চয়ই আপনার পালনকর্তা প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
176
كَذَّبَ أَصْحَٰبُ لْـَٔيْكَةِ ٱلْمُرْسَلِينَ
কাযযাবা আসহা-বুল আইকাতিল মুরছালীন।
বনের অধিবাসীরা পয়গম্বরগণকে মিথ্যাবাদী বলেছে।
177
إِذْ قَالَ لَهُمْ شُعَيْبٌ أَلَا تَتَّقُونَ
ইযকা-লা লাহুম শু‘আইবুন আলা-তাত্তাকূন।
যখন শো’আয়ব তাদের কে বললেন, তোমরা কি ভয় কর না?
178
إِنِّى لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌ
ইন্নী লাকুম রাছূলুন আমীন
আমি তোমাদের বিশ্বস্ত পয়গম্বর।
179
فَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ
ফাত্তাকুল্লা-হা ওয়া আতী‘ঊন।
অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।
180
وَمَآ أَسْـَٔلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ إِنْ أَجْرِىَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ ٱلْعَٰلَمِينَ
ওয়ামাআছআলুকুম ‘আলাইহি মিন আজরিন ইন আজরিয়া ইল্লা-‘আলা-রাব্বিল ‘আলামীন।
আমি তোমাদের কাছে এর জন্য কোন প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো বিশ্ব-পালনকর্তাই দেবেন।
181
أَوْفُوا۟ ٱلْكَيْلَ وَلَا تَكُونُوا۟ مِنَ ٱلْمُخْسِرِينَ
আওফুল কাইলা ওয়ালা-তাকূনূমিনাল মুখছিরীন।
মাপ পূর্ণ কর এবং যারা পরিমাপে কম দেয়, তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।
182
وَزِنُوا۟ بِٱلْقِسْطَاسِ ٱلْمُسْتَقِيمِ
ওয়াঝিনূবিলকিছতা-ছিল মুছতাকীম।
সোজা দাঁড়ি-পাল্লায় ওজন কর ।
183
وَلَا تَبْخَسُوا۟ ٱلنَّاسَ أَشْيَآءَهُمْ وَلَا تَعْثَوْا۟ فِى ٱلْأَرْضِ مُفْسِدِينَ
ওয়ালা-তাবখাছুন্না-ছা আশইয়াআহুম ওয়ালা-তা‘ছাও ফিল আরদিমুফছিদীন।
মানুষকে তাদের বস্তু কম দিও না এবং পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করে ফিরো না।
184
وَٱتَّقُوا۟ ٱلَّذِى خَلَقَكُمْ وَٱلْجِبِلَّةَ ٱلْأَوَّلِينَ
ওয়াত্তাকুল্লাযী খালাকাকুম ওয়াল জিবিল্লাতাল আওওয়ালীন।
ভয় কর তাঁকে, যিনি তোমাদেরকে এবং তোমাদের পূর্ববর্তী লোক-সম্প্রদায়কে সৃষ্টি করেছেন।
185
قَالُوٓا۟ إِنَّمَآ أَنتَ مِنَ ٱلْمُسَحَّرِينَ
কা-লূইন্নামাআনতা মিনাল মুছাহহারীন।
তারা বলল, তুমি তো জাদুগ্রস্তদের অন্যতম।
186
وَمَآ أَنتَ إِلَّا بَشَرٌ مِّثْلُنَا وَإِن نَّظُنُّكَ لَمِنَ ٱلْكَٰذِبِينَ
ওয়ামাআনতা ইল্লা-বাশারুম মিছলুনা-ওয়া ইন নাজুন্নুকা লামিনাল কা-যিবীন।
তুমি আমাদের মত মানুষ বৈ তো নও। আমাদের ধারণা-তুমি মিথ্যাবাদীদের অন্তর্ভুক্ত।
187
فَأَسْقِطْ عَلَيْنَا كِسَفًا مِّنَ ٱلسَّمَآءِ إِن كُنتَ مِنَ ٱلصَّٰدِقِينَ
ফাআছকিত‘আলাইনা-কিছাফাম মিনাছছামাই ইন কুনতা মিনাসসা-দিকীন।
অতএব, যদি সত্যবাদী হও, তবে আকাশের কোন টুকরো আমাদের উপর ফেলে দাও।
188
قَالَ رَبِّىٓ أَعْلَمُ بِمَا تَعْمَلُونَ
কা-লা রাববীআ‘লামুবিমা-তা‘মালূন।
শো’আয়ব বললেন, তোমরা যা কর, সে সম্পর্কে আমার পালনকর্তা ভালরূপে অবহিত।
189
فَكَذَّبُوهُ فَأَخَذَهُمْ عَذَابُ يَوْمِ ٱلظُّلَّةِ إِنَّهُۥ كَانَ عَذَابَ يَوْمٍ عَظِيمٍ
ফাকাযযাবূহু ফাআখাযাহুম ‘আযা-বুইয়াওমিজজু ল্লাতি ইন্নাহূকা-না ‘আযা-বা ইয়াওমিন ‘আজীম।
অতঃপর তারা তাঁকে মিথ্যাবাদী বলে দিল। ফলে তাদেরকে মেঘাচ্ছন্ন দিবসের আযাব পাকড়াও করল। নিশ্চয় সেটা ছিল এক মহাদিবসের আযাব।
190
إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَةً وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়াতাওঁ ওয়ামা-কা-না আকছারুহুম মু’মিনীন।
নিশ্চয় এতে নিদর্শন রয়েছে; কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাস করে না।
191
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلْعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ
ওয়া ইন্না রাব্বাকা লাহুওয়াল ‘আঝীঝুর রাহীম।
নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
192
وَإِنَّهُۥ لَتَنزِيلُ رَبِّ ٱلْعَٰلَمِينَ
ওয়া ইন্নাহূলাতানঝীলুরাব্বিল ‘আ-লামীন।
এই কোরআন তো বিশ্ব-জাহানের পালনকর্তার নিকট থেকে অবতীর্ণ।
193
نَزَلَ بِهِ ٱلرُّوحُ ٱلْأَمِينُ
নাঝালা বিহির রূহুলআমীন।
বিশ্বস্ত ফেরেশতা একে নিয়ে অবতরণ করেছে।
194
عَلَىٰ قَلْبِكَ لِتَكُونَ مِنَ ٱلْمُنذِرِينَ
‘আ-লা কালবিকা লিতাকূনা মিনাল মুনযিরীন।
আপনার অন্তরে, যাতে আপনি ভীতি প্রদর্শণকারীদের অন্তর্ভুক্ত হন,
195
بِلِسَانٍ عَرَبِىٍّ مُّبِينٍ
বিলিছা-নিন ‘আরাবিইয়িম মুবীন।
সুস্পষ্ট আরবী ভাষায়।
196
وَإِنَّهُۥ لَفِى زُبُرِ ٱلْأَوَّلِينَ
ওয়া ইন্নাহূলাফী ঝুবুরিল আওওয়ালীন।
নিশ্চয় এর উল্লেখ আছে পূর্ববর্তী কিতাবসমূহে।
197
أَوَلَمْ يَكُن لَّهُمْ ءَايَةً أَن يَعْلَمَهُۥ عُلَمَٰٓؤُا۟ بَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ
আওয়ালাম ইয়াকুল্লাহুম আ-য়াতান আইঁ ইয়া‘লামাহূ‘উলামাউ বানীইছরাঈল।
তাদের জন্যে এটা কি নিদর্শন নয় যে, বনী-ইসরাঈলের আলেমগণ এটা অবগত আছে?
198
وَلَوْ نَزَّلْنَٰهُ عَلَىٰ بَعْضِ ٱلْأَعْجَمِينَ
ওয়ালাও নাঝঝালনা-হু ‘আলা-বা‘দিল আ‘জামীন।
যদি আমি একে কোন ভিন্নভাষীর প্রতি অবতীর্ণ করতাম,
199
فَقَرَأَهُۥ عَلَيْهِم مَّا كَانُوا۟ بِهِۦ مُؤْمِنِينَ
ফাকারাআহূ‘আলাইহিম মা-কা-নূবিহী মু’মিনীন।
অতঃপর তিনি তা তাদের কাছে পাঠ করতেন, তবে তারা তাতে বিশ্বাস স্থাপন করত না।
200
كَذَٰلِكَ سَلَكْنَٰهُ فِى قُلُوبِ ٱلْمُجْرِمِينَ
কাযা-লিকা ছালাকনা-হু ফী কুলূবিল মুজরিমীন।
এমনিভাবে আমি গোনাহগারদের অন্তরে অবিশ্বাস সঞ্চার করেছি।
201
لَا يُؤْمِنُونَ بِهِۦ حَتَّىٰ يَرَوُا۟ ٱلْعَذَابَ ٱلْأَلِيمَ
লা-ইউ’মিনূনা বিহী হাত্তা-ইয়ারাউল ‘আযা-বাল আলীম।
তারা এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে না, যে পর্যন্ত প্রত্যক্ষ না করে মর্মন্তুদ আযাব।
202
فَيَأْتِيَهُم بَغْتَةً وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ
ফাইয়া’তিয়াহুম বাগতাতাওঁ ওয়াহুম লা-ইয়াশ‘উরূন।
অতঃপর তা আকস্মিকভাবে তাদের কাছে এসে পড়বে, তারা তা বুঝতে ও পারবে না।
203
فَيَقُولُوا۟ هَلْ نَحْنُ مُنظَرُونَ
ফাইয়াকূলূহাল নাহনুমুনজারূন।
তখন তারা বলবে, আমরা কি অবকাশ পাব না?
204
أَفَبِعَذَابِنَا يَسْتَعْجِلُونَ
আফাবি‘আযা-বিনা -ইয়াছতা‘জিলূন।
তারা কি আমার শাস্তি দ্রুত কামনা করে?
205
أَفَرَءَيْتَ إِن مَّتَّعْنَٰهُمْ سِنِينَ
আফারাআইতাইম্মাততা‘না-হুম ছিনীন।
আপনি ভেবে দেখুন তো, যদি আমি তাদেরকে বছরের পর বছর ভোগ-বিলাস করতে দেই,
206
ثُمَّ جَآءَهُم مَّا كَانُوا۟ يُوعَدُونَ
ছু ম্মা জাআহুম মা-কা-নূইউ‘আদূন।
অতঃপর যে বিষয়ে তাদেরকে ওয়াদা দেয়া হত, তা তাদের কাছে এসে পড়ে।
207
مَآ أَغْنَىٰ عَنْهُم مَّا كَانُوا۟ يُمَتَّعُونَ
মাআগনা-‘আনহুম মা-কা-নূইউমাত্তা‘ঊন।
তখন তাদের ভোগ বিলাস তা তাদের কি কোন উপকারে আসবে?
208
وَمَآ أَهْلَكْنَا مِن قَرْيَةٍ إِلَّا لَهَا مُنذِرُونَ
ওয়ামাআহলাকনা-মিন কারইয়াতিন ইল্লা-লাহা-মুনযিরূন।
আমি কোন জনপদ ধ্বংস করিনি; কিন্তু এমতাবস্থায় যে, তারা সতর্ককারী ছিল।
209
ذِكْرَىٰ وَمَا كُنَّا ظَٰلِمِينَ
যিকরা-ওয়ামা-কুন্না-জা-লিমীন।
স্মরণ করানোর জন্যে, এবং আমার কাজ অন্যায়াচরণ নয়।
210
وَمَا تَنَزَّلَتْ بِهِ ٱلشَّيَٰطِينُ
ওয়ামা তানাঝঝালাত বিহিশশাইয়া-তীন।
এই কোরআন শয়তানরা অবতীর্ণ করেনি।
211
وَمَا يَنۢبَغِى لَهُمْ وَمَا يَسْتَطِيعُونَ
ওয়ামা-ইয়ামবাগী লাহুম ওয়ামা-ইয়াছতাতী‘ঊন।
তারা এ কাজের উপযুক্ত নয় এবং তারা এর সামর্থ ও রাখে না।
212
إِنَّهُمْ عَنِ ٱلسَّمْعِ لَمَعْزُولُونَ
ইন্নাহুম ‘আনিছছাম‘ই লামা‘ঝূলূন।
তাদেরকে তো শ্রবণের জায়গা থেকে দূরে রাখা রয়েছে।
213
فَلَا تَدْعُ مَعَ ٱللَّهِ إِلَٰهًا ءَاخَرَ فَتَكُونَ مِنَ ٱلْمُعَذَّبِينَ
ফালা-তাদ‘উ মা‘আল্লা-হি ইলা-হান আ-খারা ফাতাকূনা মিনাল মু‘আযযাবীন।
অতএব, আপনি আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যকে আহবান করবেন না। করলে শাস্তিতে পতিত হবেন।
214
وَأَنذِرْ عَشِيرَتَكَ ٱلْأَقْرَبِينَ
ওয়া আনযির ‘আশীরাতাকাল আকরাবীন।
আপনি নিকটতম আত্মীয়দেরকে সতর্ক করে দিন।
215
وَٱخْفِضْ جَنَاحَكَ لِمَنِ ٱتَّبَعَكَ مِنَ ٱلْمُؤْمِنِينَ
ওয়াখফিদজানা-হাকা লিমানিততাবা‘আকা মিনাল মু’মিনীন।
এবং আপনার অনুসারী মুমিনদের প্রতি সদয় হোন।
216
فَإِنْ عَصَوْكَ فَقُلْ إِنِّى بَرِىٓءٌ مِّمَّا تَعْمَلُونَ
ফাইন ‘আসাওকা ফাকুল ইন্নী বারীউম মিম্মা-তা‘মালূন।
যদি তারা আপনার অবাধ্য করে, তবে বলে দিন, তোমরা যা কর, তা থেকে আমি মুক্ত।
217
وَتَوَكَّلْ عَلَى ٱلْعَزِيزِ ٱلرَّحِيمِ
ওয়া তাওয়াক্কাল ‘আলাল ‘আঝীঝির রাহীম।
আপনি ভরসা করুন পরাক্রমশালী, পরম দয়ালুর উপর,
218
ٱلَّذِى يَرَىٰكَ حِينَ تَقُومُ
আল্লাযী ইয়ারা-কা হীনা তাকূম।
যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি নামাযে দন্ডায়মান হন,
219
وَتَقَلُّبَكَ فِى ٱلسَّٰجِدِينَ
ওয়া তাকাল্লুবাকা ফিছছা-জিদীন।
এবং নামাযীদের সাথে উঠাবসা করেন।
220
إِنَّهُۥ هُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلْعَلِيمُ
ইন্নাহূহুওয়াছ ছামী‘উল ‘আলীম।
নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী।
221
هَلْ أُنَبِّئُكُمْ عَلَىٰ مَن تَنَزَّلُ ٱلشَّيَٰطِينُ
হাল উনাব্বিউকুম ‘আলা-মান তানাঝঝালুশ শাইয়া-তীন।
আমি আপনাকে বলব কি কার নিকট শয়তানরা অবতরণ করে?
222
تَنَزَّلُ عَلَىٰ كُلِّ أَفَّاكٍ أَثِيمٍ
তানাঝঝালু‘আলা-কুল্লি আফফা-কিন আছীম।
তারা অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক মিথ্যাবাদী, গোনাহগারের উপর।
223
يُلْقُونَ ٱلسَّمْعَ وَأَكْثَرُهُمْ كَٰذِبُونَ
ইউলকূ নাছছাম‘আ ওয়া আকছারুহুম কা-যিবূন।
তারা শ্রুত কথা এনে দেয় এবং তাদের অধিকাংশই মিথ্যাবাদী।
224
وَٱلشُّعَرَآءُ يَتَّبِعُهُمُ ٱلْغَاوُۥنَ
ওয়াশশু‘আরাঊ ইয়াত্তাবি‘উহুমুল গা-ঊন।
বিভ্রান্ত লোকেরাই কবিদের অনুসরণ করে।
225
أَلَمْ تَرَ أَنَّهُمْ فِى كُلِّ وَادٍ يَهِيمُونَ
আলাম তারা আন্নাহুম ফী কুল্লি ওয়াদিইঁ ইয়াহীমূন।
তুমি কি দেখ না যে, তারা প্রতি ময়দানেই উদভ্রান্ত হয়ে ফিরে?
226
وَأَنَّهُمْ يَقُولُونَ مَا لَا يَفْعَلُونَ
ওয়া আন্নাহুম ইয়াকূলূনা মা-লা-ইয়াফ‘আলূন।
এবং এমন কথা বলে, যা তারা করে না।
227
إِلَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّٰلِحَٰتِ وَذَكَرُوا۟ ٱللَّهَ كَثِيرًا وَٱنتَصَرُوا۟ مِنۢ بَعْدِ مَا ظُلِمُوا۟ وَسَيَعْلَمُ ٱلَّذِينَ ظَلَمُوٓا۟ أَىَّ مُنقَلَبٍ يَنقَلِبُونَ
ইল্লাল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি ওয়া যাকারুল্লা-হা কাছীরাওঁ ওয়ানতাসারূমিম বা‘দি মা-জু লিমূ ওয়া ছাইয়া‘লামুল লাযীনা জালামূ আইইয়া মুনকালাবিইঁ ইয়ানকালিবূন।
তবে তাদের কথা ভিন্ন, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং আল্লাহ কে খুব স্মরণ করে এবং নিপীড়িত হওয়ার পর প্রতিশোধ গ্রহণ করে। নিপীড়নকারীরা শীঘ্রই জানতে পারবে তাদের গন্তব্যস্থল কিরূপ।
-------
Tags: surah ash-shuara, bangla tafsir surah ash-shuara, surah ash shura bangla, surah ash shura bangla translation, tafsir surah ash-shuara, sura ash-shuara, surah ash-shuara tafseer, depth analysis of surah ash-shuara