Surah Al-Hijr in Bangla Uccharon-সূরা হিজর আরবি সহ বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ

সূরা হিজর  আরবি সহ বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ


সূরা হিজর - Surah Al-Hijr (মক্কায় অবতীর্ণ - আয়াত ৯৯)


بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।


1

الٓر تِلْكَ ءَايَٰتُ ٱلْكِتَٰبِ وَقُرْءَانٍ مُّبِينٍ

আলিফ লাম রা- তিলকা আ-য়া-তুল কিতা-বি ওয়া কুরআ-নিম মুবীন।

আলিফ-লা-ম-রা; এগুলো পরিপূর্ণ গ্রন্থ ও সুস্পষ্ট কোরআনের আয়াত।


2

رُّبَمَا يَوَدُّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ لَوْ كَانُوا۟ مُسْلِمِينَ

রুবামা-ইয়াওয়াদ্দুল্লাযীনা কাফারূলাও কা-নূমুছলিমীন।

কোন সময় কাফেররা আকাঙ্ক্ষা করবে যে, কি চমৎকার হত, যদি তারা মুসলমান হত।


3

ذَرْهُمْ يَأْكُلُوا۟ وَيَتَمَتَّعُوا۟ وَيُلْهِهِمُ ٱلْأَمَلُ فَسَوْفَ يَعْلَمُونَ

যারহুম ইয়া’কুলূওয়া ইয়াতামাত্তা‘ঊ ওয়া ইউলহিহিমুল আমালুফাছাওফা ইয়া‘লামূন।

আপনি ছেড়ে দিন তাদেরকে, খেয়ে নিক এবং ভোগ করে নিক এবং আশায় ব্যাপৃত থাকুক। অতি সত্বর তারা জেনে নেবে।


4

وَمَآ أَهْلَكْنَا مِن قَرْيَةٍ إِلَّا وَلَهَا كِتَابٌ مَّعْلُومٌ

ওয়ামাআহলাকনা-মিন কারয়াতিন ইল্লা ওয়ালাহা-কিতা-বুম মা‘লূম।

আমি কোন জনপদ ধবংস করিনি; কিন্ত তার নির্দিষ্ট সময় লিখিত ছিল।


5

مَّا تَسْبِقُ مِنْ أُمَّةٍ أَجَلَهَا وَمَا يَسْتَـْٔخِرُونَ

মা-তাছবিকুমিন উম্মাতিন আজালাহা-ওয়ামা-ইয়াছতা’খিরূন।

কোন সম্প্রদায় তার নির্দিষ্ট সময়ের অগ্রে যায় না এবং পশ্চাতে থাকে না।


6

وَقَالُوا۟ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِى نُزِّلَ عَلَيْهِ ٱلذِّكْرُ إِنَّكَ لَمَجْنُونٌ

ওয়া কা-লূইয়াআইয়ুহাল্লাযী নুঝঝিলা ‘আলাইহিযযিকরু ইন্নাকা লামাজনূন।

তারা বললঃ হে ঐ ব্যক্তি, যার প্রতি কোরআন নাযিল হয়েছে, আপনি তো একজন উম্মাদ।


7

لَّوْ مَا تَأْتِينَا بِٱلْمَلَٰٓئِكَةِ إِن كُنتَ مِنَ ٱلصَّٰدِقِينَ

লাও মা-তা’তীনা-বিলমালাইকাতি ইন কুনতা মিনাসসা-দিকীন।

যদি আপনি সত্যবাদী হন, তবে আমাদের কাছে ফেরেশতাদেরকে আনেন না কেন?


8

مَا نُنَزِّلُ ٱلْمَلَٰٓئِكَةَ إِلَّا بِٱلْحَقِّ وَمَا كَانُوٓا۟ إِذًا مُّنظَرِينَ

মা-নুনাঝঝিলুল মালাইকাতা ইল্লা-বিলহাক্কিওয়ামা-কা-নূ ইযাম মুনজারীন।

আমি ফেরেশতাদেরকে একমাত্র ফায়সালার জন্যেই নাযিল করি। তখন তাদেরকে অবকাশ দেয়া হবে না।


9

إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا ٱلذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُۥ لَحَٰفِظُونَ

ইন্না-নাহনুনাঝঝালনাযযি করা ওয়া ইন্না-লাহূলাহা-ফিজূ ন।

আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক।


10

وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا مِن قَبْلِكَ فِى شِيَعِ ٱلْأَوَّلِينَ

ওয়া লাকাদ আরছালনা-মিন কাবলিকা ফী শিয়া‘ইল আওওয়ালীন।

আমি আপনার পূর্বে পূর্ববর্তী সম্প্রদায়ের মধ্যে রসূল প্রেরণ করেছি।


11

وَمَا يَأْتِيهِم مِّن رَّسُولٍ إِلَّا كَانُوا۟ بِهِۦ يَسْتَهْزِءُونَ

ওয়ামা-ইয়া’তীহিম মির রাছূলিন ইল্লা-কা-নূবিহী ইয়াছতাহঝিঊন।

ওদের কাছে এমন কোন রসূল আসেননি, যাদের সাথে ওরা ঠাট্টাবিদ্রূপ করতে থাকেনি।


12

كَذَٰلِكَ نَسْلُكُهُۥ فِى قُلُوبِ ٱلْمُجْرِمِينَ

কাযা-লিকা নাছলুকুহূফী কুলূবিল মুজরিমীন।

এমনিভাবে আমি এ ধরনের আচরণ পাপীদের অন্তরে বদ্ধমূল করে দেই।


13

لَا يُؤْمِنُونَ بِهِۦ وَقَدْ خَلَتْ سُنَّةُ ٱلْأَوَّلِينَ

লা-ইউ’মিনূনা বিহী ওয়া কাদ খালাত ছুন্নাতুল আওওয়ালীন।

ওরা এর প্রতি বিশ্বাস করবে না। পূর্ববর্তীদের এমন রীতি চলে আসছে।


14

وَلَوْ فَتَحْنَا عَلَيْهِم بَابًا مِّنَ ٱلسَّمَآءِ فَظَلُّوا۟ فِيهِ يَعْرُجُونَ

ওয়া লাও ফাতাহনা-‘আলাইহিম বা-বাম মিনাছছামাই ফাজাললূফীহি ইয়া‘রুজুন।

যদি আমি ওদের সামনে আকাশের কোন দরজাও খুলে দেই আর তাতে ওরা দিনভর আরোহণ ও করতে থাকে।


15

لَقَالُوٓا۟ إِنَّمَا سُكِّرَتْ أَبْصَٰرُنَا بَلْ نَحْنُ قَوْمٌ مَّسْحُورُونَ

লাকা-লূ ইন্নমা-ছুক্কিরাত আবসা-রুনা-বালনাহনুকাওমুম মাছহূরূন।

তবুও ওরা একথাই বলবে যে, আমাদের দৃষ্টির বিভ্রাট ঘটানো হয়েছে না বরং আমরা যাদুগ্রস্ত হয়ে পড়েছি।


16

وَلَقَدْ جَعَلْنَا فِى ٱلسَّمَآءِ بُرُوجًا وَزَيَّنَّٰهَا لِلنَّٰظِرِينَ

ওয়া লাকাদ জা‘আলনা-ফিছ ছামাই বুরূজাওঁ ওয়া ঝাইয়ান্না-হা-লিন্না-জিরীন।

নিশ্চয় আমি আকাশে রাশিচক্র সৃষ্টি করেছি এবং তাকে দর্শকদের জন্যে সুশোভিত করে দিয়েছি।


17

وَحَفِظْنَٰهَا مِن كُلِّ شَيْطَٰنٍ رَّجِيمٍ

ওয়া হাফিজনা-হা-মিন কুল্লি শাইতা-নির রাজীম।

আমি আকাশকে প্রত্যেক বিতাড়িত শয়তান থেকে নিরাপদ করে দিয়েছি।


18

إِلَّا مَنِ ٱسْتَرَقَ ٱلسَّمْعَ فَأَتْبَعَهُۥ شِهَابٌ مُّبِينٌ

ইল্লা-মানিছ তারাকাছ ছাম‘আ ফাআতবা‘আহূশিহা-বুম মুবীন।

কিন্তু যে চুরি করে শুনে পালায়, তার পশ্চাদ্ধাবন করে উজ্জ্বল উল্কাপিন্ড।


19

وَٱلْأَرْضَ مَدَدْنَٰهَا وَأَلْقَيْنَا فِيهَا رَوَٰسِىَ وَأَنۢبَتْنَا فِيهَا مِن كُلِّ شَىْءٍ مَّوْزُونٍ

ওয়াল আরদা মাদাদনা-হা-ওয়া আলকাইনা-ফীহা-রাওয়া-ছিয়া ওয়া আমবাতনা-ফীহামিন কুল্লি শাইয়িম মাওঝূন।

আমি ভু-পৃষ্ঠকে বিস্তৃত করেছি এবং তার উপর পর্বতমালা স্থাপন করেছি এবং তাতে প্রত্যেক বস্তু সুপরিমিতভাবে উৎপন্ন করেছি।


20

وَجَعَلْنَا لَكُمْ فِيهَا مَعَٰيِشَ وَمَن لَّسْتُمْ لَهُۥ بِرَٰزِقِينَ

ওয়া জা‘আলনা-লাকুম ফীহা-মা‘আ-ইশা ওয়ামাল লাছতুম লাহূবিরা-ঝিকীন।

আমি তোমাদের জন্যে তাতে জীবিকার উপকরন সৃষ্টি করছি এবং তাদের জন্যেও যাদের অন্নদাতা তোমরা নও।


21

وَإِن مِّن شَىْءٍ إِلَّا عِندَنَا خَزَآئِنُهُۥ وَمَا نُنَزِّلُهُۥٓ إِلَّا بِقَدَرٍ مَّعْلُومٍ

ওয়া ইম মিন শাইয়িন ইল্লা-‘ইনদানা-খাঝাইনুহূ ওয়ামা-নুনাঝঝিলুহূ ইল্লাবিকাদারিম মা‘লূম।

আমার কাছে প্রত্যেক বস্তুর ভান্ডার রয়েছে। আমি নির্দিষ্ট পরিমানেই তা অবতরণ করি।


22

وَأَرْسَلْنَا ٱلرِّيَٰحَ لَوَٰقِحَ فَأَنزَلْنَا مِنَ ٱلسَّمَآءِ مَآءً فَأَسْقَيْنَٰكُمُوهُ وَمَآ أَنتُمْ لَهُۥ بِخَٰزِنِينَ

ওয়া আরছালনার রিয়া-হা লাওয়া-কিহা ফাআনঝালনা-মিনাছ ছামাই মাআন ফাআছকাইনা-কুমূহু ওয়ামা আনতুম লাহূবিখা-ঝিনীন।

আমি বৃষ্টিগর্ভ বায়ু পরিচালনা করি অতঃপর আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করি, এরপর তোমাদেরকে তা পান করাই। বস্তুতঃ তোমাদের কাছে এর ভান্ডার নেই।


23

وَإِنَّا لَنَحْنُ نُحْىِۦ وَنُمِيتُ وَنَحْنُ ٱلْوَٰرِثُونَ

ওয়া ইন্না-লানাহনুনুহয়ী ওয়া নুমীতুওয়া নাহনুল ওয়া-রিছূ ন।

আমিই জীবনদান করি, মৃত্যুদান করি এবং আমিই চুড়ান্ত মালিকানার অধিকারী।


24

وَلَقَدْ عَلِمْنَا ٱلْمُسْتَقْدِمِينَ مِنكُمْ وَلَقَدْ عَلِمْنَا ٱلْمُسْتَـْٔخِرِينَ

ওয়া লাকাদ ‘আলিমনাল মুছতাকদিমীনা মিনকুম ওয়ালাকাদ ‘আলিমনাল মুছতা’খিরীন।

আমি জেনে রেখেছি তোমাদের অগ্রগামীদেরকে এবং আমি জেনে রেখেছি পশ্চাদগামীদেরকে।


25

وَإِنَّ رَبَّكَ هُوَ يَحْشُرُهُمْ إِنَّهُۥ حَكِيمٌ عَلِيمٌ

ওয়া ইন্না রাব্বাকা হুওয়া ইয়াহশুরুহুম ইন্নাহূহাকীমুন ‘আলীম।

আপনার পালনকর্তাই তাদেরকে একত্রিত করে আনবেন। নিশ্চয় তিনি প্রজ্ঞাবান, জ্ঞানময়।


26

وَلَقَدْ خَلَقْنَا ٱلْإِنسَٰنَ مِن صَلْصَٰلٍ مِّنْ حَمَإٍ مَّسْنُونٍ

ওয়ালাকাদ খালাকনাল ইনছা-না মিন সালসা-লিম মিন হামাইম মাছনূন।

আমি মানবকে পচা কর্দম থেকে তৈরী বিশুস্ক ঠনঠনে মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেছি।


27

وَٱلْجَآنَّ خَلَقْنَٰهُ مِن قَبْلُ مِن نَّارِ ٱلسَّمُومِ

ওয়ালজান্না খালাকনা-হু মিন কাবলুমিন না-রিছছামূম।

এবং জিনকে এর আগে লু এর আগুনের দ্বারা সৃজিত করেছি।


28

وَإِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلَٰٓئِكَةِ إِنِّى خَٰلِقٌۢ بَشَرًا مِّن صَلْصَٰلٍ مِّنْ حَمَإٍ مَّسْنُونٍ

ওয়া ইযকা-লা রাব্বুকা লিলমালাইকাতি ইন্নী খা-লিকুম বাশারাম মিন সালসা-লিম মিন হামাইম মাছনূন।

আর আপনার পালনকর্তা যখন ফেরেশতাদেরকে বললেনঃ আমি পচা কর্দম থেকে তৈরী বিশুষ্ক ঠনঠনে মাটি দ্বারা সৃষ্ট একটি মানব জাতির পত্তন করব।


29

فَإِذَا سَوَّيْتُهُۥ وَنَفَخْتُ فِيهِ مِن رُّوحِى فَقَعُوا۟ لَهُۥ سَٰجِدِينَ

ফাইযা-ছাওয়াইতুহূওয়ানাফাখতুফীহি মিররূহী ফাকা‘ঊ লাহূছা-জিদীন।

অতঃপর যখন তাকে ঠিকঠাক করে নেব এবং তাতে আমার রূহ থেকে ফঁুক দেব, তখন তোমরা তার সামনে সেজদায় পড়ে যেয়ো।


30

فَسَجَدَ ٱلْمَلَٰٓئِكَةُ كُلُّهُمْ أَجْمَعُونَ

ফাছাজাদাল মালাইকাতুকুল্লুহুম আজমা‘ঊন।

তখন ফেরেশতারা সবাই মিলে সেজদা করল।


31

إِلَّآ إِبْلِيسَ أَبَىٰٓ أَن يَكُونَ مَعَ ٱلسَّٰجِدِينَ

ইল্লাইবলীছা আবাআইঁ ইয়াকূনা মা‘আছছা-জিদীন।

কিন্তু ইবলীস-সে সেজদাকারীদের অন্তর্ভূক্ত হতে স্বীকৃত হল না।


32

قَالَ يَٰٓإِبْلِيسُ مَا لَكَ أَلَّا تَكُونَ مَعَ ٱلسَّٰجِدِينَ

কা-লা ইয়াইবলীছুমা-লাকা আল্লা-তাকূনা মা‘আছ ছা-জিদীন।

আল্লাহ বললেনঃ হে ইবলিস, তোমার কি হলো যে তুমি সেজদাকারীদের অন্তর্ভূক্ত হতে স্বীকৃত হলে না?


33

قَالَ لَمْ أَكُن لِّأَسْجُدَ لِبَشَرٍ خَلَقْتَهُۥ مِن صَلْصَٰلٍ مِّنْ حَمَإٍ مَّسْنُونٍ

কা-লা লাম আকুল লিআছজুদা লিবাশারিন খালাকতাহূমিন সালসা-লিম মিন হামাইম মাছনূন।

বললঃ আমি এমন নই যে, একজন মানবকে সেজদা করব, যাকে আপনি পচা কর্দম থেকে তৈরী ঠনঠনে বিশুষ্ক মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন।


34

قَالَ فَٱخْرُجْ مِنْهَا فَإِنَّكَ رَجِيمٌ

কা-লা ফাখরুজ মিনহা-ফাইন্নাকা রাজীম।

আল্লাহ বললেনঃ তবে তুমি এখান থেকে বের হয়ে যাও। তুমি বিতাড়িত।


35

وَإِنَّ عَلَيْكَ ٱللَّعْنَةَ إِلَىٰ يَوْمِ ٱلدِّينِ

ওয়াইন্না ‘আলাইকাল লা‘নাতা ইলা-ইয়াওমিদ্দীন।

এবং তোমার প্রতি ন্যায় বিচারের দিন পর্যন্ত অভিসম্পাত।


36

قَالَ رَبِّ فَأَنظِرْنِىٓ إِلَىٰ يَوْمِ يُبْعَثُونَ

কা-লা রাববী ফাআনজিরনীইলা-ইয়াওমি ইউব‘আছূন।

সে বললঃ হে আমার পালনকর্তা, আপনি আমাকে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত অবকাশ দিন।


37

ٱلْمُنظَرِينَ

কা-লা ফাইন্নাকা মিনাল মুনজারীন।

আল্লাহ বললেনঃ তোমাকে অবকাশ দেয়া হল।


38

إِلَىٰ يَوْمِ ٱلْوَقْتِ ٱلْمَعْلُومِ

ইলা-ইয়াওমিল ওয়াকতিল মা‘লূম।

সেই অবধারিত সময় উপস্থিত হওয়ার দিন পর্যন্ত।


39

قَالَ رَبِّ بِمَآ أَغْوَيْتَنِى لَأُزَيِّنَنَّ لَهُمْ فِى ٱلْأَرْضِ وَلَأُغْوِيَنَّهُمْ أَجْمَعِينَ

কা-লা রাব্বি বিমাআগওয়াইতানী লাউঝাইয়িনান্না লাহুম ফিল আরদিওয়ালাউগবিইয়ান্নাহুম আজমা‘ঈন।

সে বললঃ হে আমার পলনকর্তা, আপনি যেমন আমাকে পথ ভ্রষ্ট করেছেন, আমিও তাদের সবাইকে পৃথিবীতে নানা সৌন্দর্যে আকৃষ্ট করব এবং তাদের সবাইকে পথ ভ্রষ্ঠ করে দেব।


40

إِلَّا عِبَادَكَ مِنْهُمُ ٱلْمُخْلَصِينَ

ইল্লা-‘ইবা-দাকা মিনহুমুল মুখলাসীন।

আপনার মনোনীত বান্দাদের ব্যতীত।


41

قَالَ هَٰذَا صِرَٰطٌ عَلَىَّ مُسْتَقِيمٌ

কা-লা হা-যা সিরা-তুন ‘আলাইইয়া মুছতাকীম।

আল্লাহ বললেনঃ এটা আমা পর্যন্ত সোজা পথ।


42

إِنَّ عِبَادِى لَيْسَ لَكَ عَلَيْهِمْ سُلْطَٰنٌ إِلَّا مَنِ ٱتَّبَعَكَ مِنَ ٱلْغَاوِينَ

ইন্না ‘ইবা-দী লাইছা লাকা ‘আলাইহিম ছুলতা-নুন ইল্লা-মানিত্তাবা‘আকা মিনাল গা-বীন।

যারা আমার বান্দা, তাদের উপর তোমার কোন ক্ষমতা নেই; কিন্তু পথভ্রান্তদের মধ্য থেকে যারা তোমার পথে চলে।


43

وَإِنَّ جَهَنَّمَ لَمَوْعِدُهُمْ أَجْمَعِينَ

ওয়া ইন্না জাহান্নামা লামাও‘ইদুহুম আজমা‘ঈন।

তাদের সবার নির্ধারিত স্থান হচ্ছে জাহান্নাম।


44

لَهَا سَبْعَةُ أَبْوَٰبٍ لِّكُلِّ بَابٍ مِّنْهُمْ جُزْءٌ مَّقْسُومٌ

লাহা-ছাব ‘আতুআবওয়া-বিল লিকুল্লি বা-বিম মিনহুম জুঝউম মাকছূম ।

এর সাতটি দরজা আছে। প্রত্যেক দরজার জন্যে এক একটি পৃথক দল আছে।


45

إِنَّ ٱلْمُتَّقِينَ فِى جَنَّٰتٍ وَعُيُونٍ

ইন্নাল মুত্তাকীনা ফী জান্না-তিওঁ ওয়া উ‘ইয়ূন।

নিশ্চয় খোদাভীরুরা বাগান ও নির্ঝরিনীসহূহে থাকবে।


46

ادْخُلُوهَا بِسَلَامٍ آمِنِينَ

উদখুলূহা-বিছালা-মিন আ-মিনীন।

বলা হবেঃ এগুলোতে নিরাপত্তা ও শান্তি সহকরে প্রবেশ কর।


47

وَنَزَعْنَا مَا فِى صُدُورِهِم مِّنْ غِلٍّ إِخْوَٰنًا عَلَىٰ سُرُرٍ مُّتَقَٰبِلِينَ

ওয়া নাঝা‘না-মা-ফী সুদূরিহিম মিন গিলিলন ইখওয়া-নান ‘আলা-ছুরুরিম মুতাকা-বিলীন।

তাদের অন্তরে যে ক্রোধ ছিল, আমি তা দূর করে দেব। তারা ভাই ভাইয়ের মত সামনা-সামনি আসনে বসবে।


48

لَا يَمَسُّهُمْ فِيهَا نَصَبٌ وَمَا هُم مِّنْهَا بِمُخْرَجِينَ

লা-ইয়ামছছুহুম ফীহা-নাসাবুওঁ ওয়ামা-হুম মিনহা-বিমুখরাজীন।

সেখানে তাদের মোটেই কষ্ট হবে না এবং তারা সেখান থেকে বহিস্কৃত হবে না।


49

نَبِّئْ عِبَادِي أَنِّي أَنَا الْغَفُورُ الرَّحِيمُ

নাব্বি’ ‘ইবা-দীআন্নীআনাল গাফূরুর রাহীম।

আপনি আমার বান্দাদেরকে জানিয়ে দিন যে, আমি অত্যন্ত ক্ষমাশীল দয়ালু।


50

وَأَنَّ عَذَابِى هُوَ ٱلْعَذَابُ ٱلْأَلِيمُ

ওয়া আন্না ‘আযা-বী হুওয়াল ‘আযা-বুল আলীম।

এবং ইহাও যে, আমার শাস্তিই যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি।


51

وَنَبِّئْهُمْ عَن ضَيْفِ إِبْرَٰهِيمَ

ওয়া নাব্বি’হুম ‘আন দাইফি ইবরা-হীম।

আপনি তাদেরকে ইব্রাহীমের মেহমানদের অবস্থা শুনিয়ে দিন।


52

إِذْ دَخَلُوا۟ عَلَيْهِ فَقَالُوا۟ سَلَٰمًا قَالَ إِنَّا مِنكُمْ وَجِلُونَ

ইয দাখালূ‘আলাইহি ফাকা-লূছালা-মান কা-লা ইন্না-মিনকুম ওয়াজিলূন।

যখন তারা তাঁর গৃহে আগমন করল এবং বললঃ সালাম। তিনি বললেনঃ আমরা তোমাদের ব্যাপারে ভীত।


53

قَالُوا۟ لَا تَوْجَلْ إِنَّا نُبَشِّرُكَ بِغُلَٰمٍ عَلِيمٍ

কা-লূলা-তাওজাল ইন্না-নুবাশশিরুকা বিগুলা-মিন ‘আলীম।

তারা বললঃ ভয় করবেন না। আমরা আপনাকে একজন জ্ঞানবান ছেলে-সন্তানের সুসংবাদ দিচ্ছি।


54

قَالَ أَبَشَّرْتُمُونِى عَلَىٰٓ أَن مَّسَّنِىَ ٱلْكِبَرُ فَبِمَ تُبَشِّرُونَ

কা-লা আবাশশারতুমূনী ‘আলাআম মাছছানিয়াল কিবারু ফাবিমা তুবাশশিরূন।

তিনি বললেনঃ তোমরা কি আমাকে এমতাবস্থায় সুসংবাদ দিচ্ছ, যখন আমি বার্ধক্যে পৌছে গেছি ?


55

قَالُوا۟ بَشَّرْنَٰكَ بِٱلْحَقِّ فَلَا تَكُن مِّنَ ٱلْقَٰنِطِينَ

কা-লূবাশশারনা-কা বিলহাক্কিফালা-তাকুম মিনাল কা-নিতীন।

তারা বললঃ আমরা আপনাকে সত্য সু-সংবাদ দিচ্ছি! অতএব আপনি নিরাশ হবেন না


56

قَالَ وَمَن يَقْنَطُ مِن رَّحْمَةِ رَبِّهِۦٓ إِلَّا ٱلضَّآلُّونَ

কা-লা ওয়া মাইঁ ইয়াকনাতুমির রাহমাতি রাব্বিহীইল্লাদ্দাললূন।

তিনি বললেনঃ পালনকর্তার রহমত থেকে পথভ্রষ্টরা ছাড়া কে নিরাশ হয় ?


57

قَالَ فَمَا خَطْبُكُمْ أَيُّهَا ٱلْمُرْسَلُونَ

কা-লা ফামা-খাতবুকুম আইয়ুহাল মুরছালূন।

তিনি বললেনঃ অতঃপর তোমাদের প্রধান উদ্দেশ্য কি হে আল্লাহর প্রেরিতগণ ?


58

قَالُوٓا۟ إِنَّآ أُرْسِلْنَآ إِلَىٰ قَوْمٍ مُّجْرِمِينَ

কা-লূইন্নাউরছিলনাইলা কাওমিম মুজরিমীন ।

তারা বললঃ আমরা একটি অপরাধী সম্প্রদায়ের প্রতি প্রেরিত হয়েছি।


59

إِلَّآ ءَالَ لُوطٍ إِنَّا لَمُنَجُّوهُمْ أَجْمَعِينَ

ইল্লাআ-লা লূতিন ইন্না-লামুনাজজূহুম আজমা‘ঈন।

কিন্তু লূতের পরিবার-পরিজন। আমরা অবশ্যই তাদের সবাইকে বাঁচিয়ে নেব।


60

إِلَّا ٱمْرَأَتَهُۥ قَدَّرْنَآ إِنَّهَا لَمِنَ ٱلْغَٰبِرِينَ

ইল্লাম রাআতাহূকাদ্দারনা ইন্নাহা-লামিনাল গা-বিরীন ।

তবে তার স্ত্রী। আমরা স্থির করেছি যে, সে থেকে যাওয়াদের দলভূক্ত হবে।


61

فَلَمَّا جَآءَ ءَالَ لُوطٍ ٱلْمُرْسَلُونَ

ফালাম্মা-জাআ আ-লা লূতিনিল মুরছালূন।

অতঃপর যখন প্রেরিতরা লূতের গৃহে পৌছল।


62

قَالَ إِنَّكُمْ قَوْمٌ مُّنكَرُونَ

কা-লা ইন্নাকুম কাওমুম মুনকারূন।

তিনি বললেনঃ তোমরা তো অপরিচিত লোক।


63

قَالُوا۟ بَلْ جِئْنَٰكَ بِمَا كَانُوا۟ فِيهِ يَمْتَرُونَ

কা-লূবাল জি’না-কা বিমা-কা-নূফীহি ইয়ামতারূন।

তারা বললঃ না বরং আমরা আপনার কাছে ঐ বস্তু নিয়ে এসেছি, যে সম্পর্কে তারা বিবাদ করত।


64

وَأَتَيْنَٰكَ بِٱلْحَقِّ وَإِنَّا لَصَٰدِقُونَ

ওয়া আতাইনা-কা বিলহাক্কিওয়া ইন্না-লাসা-দিকূ ন।

এবং আমরা আপনার কাছে সত্য বিষয় নিয়ে এসেছি এবং আমরা সত্যবাদী।


65

فَأَسْرِ بِأَهْلِكَ بِقِطْعٍ مِّنَ ٱلَّيْلِ وَٱتَّبِعْ أَدْبَٰرَهُمْ وَلَا يَلْتَفِتْ مِنكُمْ أَحَدٌ وَٱمْضُوا۟ حَيْثُ تُؤْمَرُونَ

ফাআছরি বিআহলিকা বিকিত‘ইম মিনাল লাইলি ওয়াত্তাবি‘ আদবা-রা হুম ওয়ালা ইয়ালতাফিত মিনকুম আহদুওঁ ওয়ামদু হাইছুতু’মারূন।

অতএব আপনি শেষরাত্রে পরিবারের সকলকে নিয়ে চলে যান এবং আপনি তাদের পশ্চাদনুসরণ করবেন না এবং আপনাদের মধ্যে কেউ যেন পিছন ফিরে না দেখে। আপনারা যেখানে আদেশ প্রাপ্ত হচ্ছেন সেখানে যান।


66

وَقَضَيْنَآ إِلَيْهِ ذَٰلِكَ ٱلْأَمْرَ أَنَّ دَابِرَ هَٰٓؤُلَآءِ مَقْطُوعٌ مُّصْبِحِينَ

ওয়া কাদাইনা ইলাইহি যা-লিকাল আমরাআন্না দা-বিরা হাউলাইমাকতূ‘উম মুসবিহীন।

আমি লূতকে এ বিষয় পরিজ্ঞাত করে দেই যে, সকাল হলেই তাদেরকে সমুলে বিনাশ করে দেয়া হবে।


67

يَسْتَبْشِرُونَ

ওয়া জাআ আহলূল মাদীনাতি ইয়াছতাবশিরূন।

শহরবাসীরা আনন্দ-উল্লাস করতে করতে পৌছল।


68

قَالَ إِنَّ هَٰٓؤُلَآءِ ضَيْفِى فَلَا تَفْضَحُونِ

কা-লা ইন্না হাউলাই দাইফী ফালা-তাফদাহূন।

লূত বললেনঃ তারা আমার মেহমান। অতএব আমাকে লাঞ্ছিত করো না।


69

وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَلَا تُخْزُونِ

ওয়াত্তাকুল্লা-হা ওয়ালা তুখঝূন।

তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার ইযযত নষ্ট করো না।


70

قَالُوٓا۟ أَوَلَمْ نَنْهَكَ عَنِ ٱلْعَٰلَمِينَ

কা-লূ আওয়ালাম নানহাকা ‘আনিল ‘আ-লামীন।

তার বললঃ আমরা কি আপনাকে জগৎদ্বাসীর সমর্থন করতে নিষেধ করিনি।


71

قَالَ هَٰٓؤُلَآءِ بَنَاتِىٓ إِن كُنتُمْ فَٰعِلِينَ

কা-লা হাউলাই বানা-তীইন কুনতুম ফা-‘ইলীন।

তিনি বললেনঃ যদি তোমরা একান্ত কিছু করতেই চাও, তবে আমার কন্যারা উপস্থিত আছে।


72

لَعَمْرُكَ إِنَّهُمْ لَفِى سَكْرَتِهِمْ يَعْمَهُونَ

লা‘আমরুকা ইন্নাহুম লাফী ছাকরাতিহিম ইয়া‘মাহূন।

আপনার প্রাণের কসম, তারা আপন নেশায় প্রমত্ত ছিল।


73

فَأَخَذَتْهُمُ ٱلصَّيْحَةُ مُشْرِقِينَ

ফাআখাযাতহুমসসাইহাতুমুশরিকীন।

অতঃপর সুর্যোদয়ের সময় তাদেরকে প্রচন্ড একটি শব্দ এসে পাকড়াও করল।


74

فَجَعَلْنَا عَٰلِيَهَا سَافِلَهَا وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهِمْ حِجَارَةً مِّن سِجِّيلٍ

ফাজা‘আলনা-‘আ-লিয়াহা-ছা-ফিলাহা-ওয়া আমতারনা-‘আলাইহিম হিজা-রাতাম মিন ছিজজীল।

অতঃপর আমি জনপদটিকে উল্টে দিলাম এবং তাদের উপর কঙ্করের প্রস্থর বর্ষণ করলাম।


75

إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَٰتٍ لِّلْمُتَوَسِّمِينَ

ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়া-তিল লিল মুতাওয়াছছিমীন।

নিশ্চয় এতে চিন্তাশীলদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।


76

وَإِنَّهَا لَبِسَبِيلٍ مُّقِيمٍ

ওয়া ইন্নাহা-লাবিছাবীলিম মুকীম।

জনপদটি সোজা পথে অবস্থিত রয়েছে।


77

إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَةً لِّلْمُؤْمِنِينَ

ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়াতাল লিলমু’মিনীন।

নিশ্চয় এতে ঈমানদারদের জন্যে নিদর্শণ আছে।


78

وَإِن كَانَ أَصْحَٰبُ ٱلْأَيْكَةِ لَظَٰلِمِينَ

ওয়া ইন কা-না আছহা-বুল আইকাতি লাজা-লিমীন।

নিশ্চয় গহীন বনের অধিবাসীরা পাপী ছিল।


79

فَٱنتَقَمْنَا مِنْهُمْ وَإِنَّهُمَا لَبِإِمَامٍ مُّبِينٍ

ফানতাকামনা-মিনহুম । ওয়া ইন্নাহুমা-লাবিইমা-মিম মুবীন।

অতঃপর আমি তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিয়েছি। উভয় বস্তি প্রকাশ্য রাস্তার উপর অবস্থিত।


80

وَلَقَدْ كَذَّبَ أَصْحَٰبُ ٱلْحِجْرِ ٱلْمُرْسَلِينَ

ওয়া লাকাদ কাযযাবা আসহা-বুল হিজরিল মুরছালীন।

নিশ্চয় হিজরের বাসিন্দারা পয়গম্বরগণের প্রতি মিথ্যারোপ করেছে।


81

وَءَاتَيْنَٰهُمْ ءَايَٰتِنَا فَكَانُوا۟ عَنْهَا مُعْرِضِينَ

ওয়া আ-তাইনা-হুম আ-য়া-তিনা-ফাকা-নূ‘আনহা-মু‘রিদীন।

আমি তাদেরকে নিজের নিদর্শনাবলী দিয়েছি। অতঃপর তারা এগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়


82

وَكَانُوا۟ يَنْحِتُونَ مِنَ ٱلْجِبَالِ بُيُوتًا ءَامِنِينَ

ওয়া কা-নূইয়ানহিতূনা মিনাল জিবা-লি বুউয়ূতান আ-মিনীন।

তারা পাহাড়ে নিশ্চিন্তে ঘর খোদাই করত।


83

فَأَخَذَتْهُمُ ٱلصَّيْحَةُ مُصْبِحِينَ

ফাআখাযাতহুমুসসাইহাতুমুসবিহীন।

অতঃপর এক প্রত্যুষে তাদের উপর একটা শব্দ এসে আঘাত করল।


84

فَمَآ أَغْنَىٰ عَنْهُم مَّا كَانُوا۟ يَكْسِبُونَ

ফামাআগনা-‘আনহুম মা-কা-নূইয়াকছিবূন।

তখন কোন উপকারে আসল না যা তারা উপার্জন করেছিল।


85

وَمَا خَلَقْنَا ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَآ إِلَّا بِٱلْحَقِّ وَإِنَّ ٱلسَّاعَةَ لَءَاتِيَةٌ فَٱصْفَحِ ٱلصَّفْحَ ٱلْجَمِيلَ

ওয়ামা-খালাকনাছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ওয়ামা-বাইনাহুমাইল্লা-বিলহাক্কি ওয়া ইন্নাছছা-‘আতা লাআ-তিয়াতুন ফাছফাহিসসাফহাল জামীল।

আমি নভোমন্ডল, ভুমন্ডল এবং এতদুভয়ের মধ্যবর্তী যা আছে তা তাৎপর্যহীন সৃষ্টি করিনি। কেয়ামত অবশ্যই আসবে। অতএব পরম ঔদাসীন্যের সাথে ওদের ক্রিয়াকর্ম উপক্ষো করুন।


86

إِنَّ رَبَّكَ هُوَ ٱلْخَلَّٰقُ ٱلْعَلِيمُ

ইন্না রাব্বাকা হুওয়াল খাল্লা-কুল ‘আলীম।

নিশ্চয় আপনার পালনকর্তাই স্রষ্টা, সর্বজ্ঞ।


87

وَلَقَدْ ءَاتَيْنَٰكَ سَبْعًا مِّنَ ٱلْمَثَانِى وَٱلْقُرْءَانَ ٱلْعَظِيمَ

ওয়ালাকাদ আ-তাইনা-কা ছাব‘আম মিনাল মাছা-নী ওয়াল কুরআ-নাল ‘আজীম।

আমি আপনাকে সাতটি বার বার পঠিতব্য আয়াত এবং মহান কোরআন দিয়েছি।


88

لَا تَمُدَّنَّ عَيْنَيْكَ إِلَىٰ مَا مَتَّعْنَا بِهِۦٓ أَزْوَٰجًا مِّنْهُمْ وَلَا تَحْزَنْ عَلَيْهِمْ وَٱخْفِضْ جَنَاحَكَ لِلْمُؤْمِنِينَ

লা তামুদ্দান্না ‘আইনাইকা ইলা-মা-মাত্তা‘না-বিহীআঝওয়া-জাম মিনহুম ওয়ালা তাহঝান ‘আলাইহিম ওয়াখফিদ জানা -হাকা লিলমু’মিনীন।

আপনি চক্ষু তুলে ঐ বস্তুর প্রতি দেখবেন না, যা আমি তাদের মধ্যে কয়েক প্রকার লোককে ভোগ করার জন্যে দিয়েছি, তাদের জন্যে চিন্তিত হবেন না আর ঈমানদারদের জন্যে স্বীয় বাহু নত করুন।


89

وَقُلْ إِنِّىٓ أَنَا ٱلنَّذِيرُ ٱلْمُبِينُ

ওয়াকুল ইন্নীআনান নাযীরুল মুবীন।

আর বলুনঃ আমি প্রকাশ্য ভয় প্রদর্শক।


90

كَمَآ أَنزَلْنَا عَلَى ٱلْمُقْتَسِمِينَ

কামাআনঝালনা-‘আলাল মুকতাছিমীন।

যেমন আমি নাযিল করেছি যারা বিভিন্ন মতে বিভক্ত তাদের উপর।


91

ٱلَّذِينَ جَعَلُوا۟ ٱلْقُرْءَانَ عِضِينَ

আল্লাযীনা জা‘আলুল কুরআ-না ‘ইদীন।

যারা কোরআনকে খন্ড খন্ড করেছে।


92

فَوَرَبِّكَ لَنَسْـَٔلَنَّهُمْ أَجْمَعِينَ

ফাওয়ারাব্বিকা লানাছআলান্নাহুম আজমা‘ঈন।

অতএব আপনার পালনকর্তার কসম, আমি অবশ্যই ওদের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করব।


93

عَمَّا كَانُوا۟ يَعْمَلُونَ

‘আম্মা-কা-নূইয়া‘মালূন।

ওদের কাজকর্ম সম্পর্কে।


94

فَٱصْدَعْ بِمَا تُؤْمَرُ وَأَعْرِضْ عَنِ ٱلْمُشْرِكِينَ

ফাসদা‘ বিমা-তু’মারূওয়া আ‘রিদ ‘আনিল মুশরিকীন।

অতএব আপনি প্রকাশ্যে শুনিয়ে দিন যা আপনাকে আদেশ করা হয় এবং মুশরিকদের পরওয়া করবেন না


95

إِنَّا كَفَيْنَٰكَ ٱلْمُسْتَهْزِءِينَ

ইন্না-কাফাইনা-কাল মুছতাহঝিঈন।

বিদ্রুপকারীদের জন্যে আমি আপনার পক্ষ থেকে যথেষ্ট।


96

ٱلَّذِينَ يَجْعَلُونَ مَعَ ٱللَّهِ إِلَٰهًا ءَاخَرَ فَسَوْفَ يَعْلَمُونَ

আল্লাযীনা ইয়াজ‘আলূনা মা‘আল্লা-হি ইলা-হান আ-খারা ফাছাওফা ইয়া‘লামূন।

যারা আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্য সাব্যস্ত করে। অতএব অতিসত্তর তারা জেনে নেবে।


97

وَلَقَدْ نَعْلَمُ أَنَّكَ يَضِيقُ صَدْرُكَ بِمَا يَقُولُونَ

ওয়া লাকাদ না‘লামুআন্নাকা ইয়াদীকুসাদরুকা বিমা-ইয়াকূলূন।

আমি জানি যে আপনি তাদের কথাবর্তায় হতোদ্যম হয়ে পড়েন।


98

فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَكُن مِّنَ ٱلسَّٰجِدِينَ

ফাছাব্বিহবিহামদি রাব্বিকা ওয়া কুম মিনাছছা-জিদীন।

অতএব আপনি পালনকর্তার সৌন্দর্য স্মরণ করুন এবং সেজদাকারীদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যান।


99

وَٱعْبُدْ رَبَّكَ حَتَّىٰ يَأْتِيَكَ ٱلْيَقِينُ

ওয়া‘বুদ রাব্বাকা হাত্তা- ইয়া’তিইয়াকাল ইয়াকীন।

এবং পালনকর্তার এবাদত করুন, যে পর্যন্ত আপনার কাছে নিশ্চিত কথা না আসে।


------

Tags: surah al-hijr, surah al hijr bangla uccharon, surah al hijr bangla anubad, surah al hijr bangla ucharan, surah al hijr bangla lyrics, সূরা হিজর বাংলা অর্থ, সূরা হিজর বাংলা অনুবাদ, সূরা আল হিজর বাংলা অর্থ সহ, সূরা আল হিজর বাংলা অনুবাদ, সূরা হিজর বাংলা উচ্চারণ, সূরা আল-হিজর বাংলা অর্থ সহ, সূরা আল হিজর, সূরা আল-হিজর বাংলা অর্থ সহ কুরআন তেলাওয়াত