surah yasin bangla uccharon-সূরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ- Surah Yaseen

সূরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ

সূরা ইয়াসীন - Surah Ya-Sin (মক্কায় অবতীর্ণ -আয়াত ৮৩)

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

(1
يس
ইয়াছিন। 
ইয়া-সীন

(2
وَالْقُرْآنِ الْحَكِيمِ
ওয়াল কুরআনুল হাকিম। 
প্রজ্ঞাময় কোরআনের কসম।

(3
إِنَّكَ لَمِنَ الْمُرْسَلِينَ
ইন্নাকা লামিনাল মুরছালিন। 
নিশ্চয় আপনি প্রেরিত রসূলগণের একজন।

(4
عَلَىٰ صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ
আ’লা সিরাতিল মুস্তাকিম। 
সরল পথে প্রতিষ্ঠিত।

(5
تَنزِيلَ الْعَزِيزِ الرَّحِيمِ
তানযিলাল আ’যিযির রাহিম।
কোরআন পরাক্রমশালী পরম দয়ালু আল্লাহর তরফ থেকে অবতীর্ণ,

(6
لِتُنذِرَ قَوْمًا مَّا أُنذِرَ آبَاؤُهُمْ فَهُمْ غَافِلُونَ
লিতুনযিরা ক্বাও মাম্মা উনযিরা আ-বা-উ হুম ফাহুম গাফিলুন। 
যাতে আপনি এমন এক জাতিকে সতর্ক করেন, যাদের পূর্ব পুরুষগণকেও সতর্ক করা হয়নি। ফলে তারা গাফেল।

(7
لَقَدْ حَقَّ الْقَوْلُ عَلَىٰ أَكْثَرِهِمْ فَهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ
লাক্বাদ হাক্বক্বাল ক্বাওলু আ’লা আকছারিহিম ফাহুম লা ইউমিনুন। 
তাদের অধিকাংশের জন্যে শাস্তির বিষয় অবধারিত হয়েছে। সুতরাং তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না।

(8
إِنَّا جَعَلْنَا فِي أَعْنَاقِهِمْ أَغْلَالًا فَهِيَ إِلَى الْأَذْقَانِ فَهُم مُّقْمَحُونَ
ইন্না- জ্বা আল্না ফি আ’না-ক্বিহিম আগলা-লান ফাহিয়া ইলাল আযকা-নি ফাহুম মুক্বমাহুন। 
আমি তাদের গর্দানে চিবুক পর্যন্ত বেড়ী পরিয়েছি। ফলে তাদের মস্তক উর্দ্ধমুখী হয়ে গেছে।

(9
وَجَعَلْنَا مِن بَيْنِ أَيْدِيهِمْ سَدًّا وَمِنْ خَلْفِهِمْ سَدًّا فَأَغْشَيْنَاهُمْ فَهُمْ لَا يُبْصِرُونَ
ওয়া জা’আল্না মিম বাইনি আইদিহিম সাঁদ্দাও ওয়া মিন খালফিহিম সাদ্দান ফা আগশাইনা হুম ফাহুম লা ইয়ূব ছিরুন। 
আমি তাদের সামনে ও পিছনে প্রাচীর স্থাপন করেছি, অতঃপর তাদেরকে আবৃত করে দিয়েছি, ফলে তারা দেখে না।

(10
وَسَوَاءٌ عَلَيْهِمْ أَأَنذَرْتَهُمْ أَمْ لَمْ تُنذِرْهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ
অসাঅ-উন্ আলাইহিম্ আআন্- যারতাহুম আম্ লাম্ তুন্ যির্ হুম্ লা ইউ মিনূন। 
আপনি তাদেরকে সতর্ক করুন বা না করুন, তাদের পক্ষে দুয়েই সমান; তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না।

(11
إِنَّمَا تُنذِرُ مَنِ اتَّبَعَ الذِّكْرَ وَخَشِيَ الرَّحْمَـٰنَ بِالْغَيْبِ ۖ فَبَشِّرْهُ بِمَغْفِرَةٍ وَأَجْرٍ كَرِيمٍ
ইন্নামা- তুনযিরু মানি ওাবা’আয যিকরা অখাশিয়ার রাহমা-না বিল্ গাইবি  ফাবাশশিরহু বিমাগ ফিরাতিও অআজরিন কারীম্। 
আপনি কেবল তাদেরকেই সতর্ক করতে পারেন, যারা উপদেশ অনুসরণ করে এবং দয়াময় আল্লাহকে না দেখে ভয় করে। অতএব আপনি তাদেরকে সুসংবাদ দিয়ে দিন ক্ষমা ও সম্মানজনক পুরস্কারের।

(12
إِنَّا نَحْنُ نُحْيِي الْمَوْتَىٰ وَنَكْتُبُ مَا قَدَّمُوا وَآثَارَهُمْ ۚ وَكُلَّ شَيْءٍ أَحْصَيْنَاهُ فِي إِمَامٍ مُّبِينٍ
ইন্না-নাহনু নুহয়িল মাওতা অনাকতুবু মা-ক্বদ্দামু অআছারাহুম, অকুল্লা শাইয়িন্ আহছাইনা-হু ফি  ইমা-মিম মুবীন।
আমিই মৃতদেরকে জীবিত করি এবং তাদের কর্ম ও কীর্তিসমূহ লিপিবদ্ধ করি। আমি প্রত্যেক বস্তু স্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষিত রেখেছি।

(13
وَاضْرِبْ لَهُم مَّثَلًا أَصْحَابَ الْقَرْيَةِ إِذْ جَاءَهَا الْمُرْسَلُونَ
অদ্বরিব লাহুম মাছালান্ আছ্হা-বাল ক্বার্ ইয়াতি ইয-জা-য়াহাল্ মুর্ সালূন।
আপনি তাদের কাছে সে জনপদের অধিবাসীদের দৃষ্টান্ত বর্ণনা করুন, যখন সেখানে রসূল আগমন করেছিলেন।

(14
إِذْ أَرْسَلْنَا إِلَيْهِمُ اثْنَيْنِ فَكَذَّبُوهُمَا فَعَزَّزْنَا بِثَالِثٍ فَقَالُوا إِنَّا إِلَيْكُم مُّرْسَلُونَ
 ইয আর্ সালনা-ইলাইহিমুছ নাইনি ফাকায যাবুহুমা ফাআ’য যাযনা বিছালিছিন ফাক্বা-লু ইন্না ইলাই কুম মুর্ সালূন।  
আমি তাদের নিকট দুজন রসূল প্রেরণ করেছিলাম, অতঃপর ওরা তাদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল। তখন আমি তাদেরকে শক্তিশালী করলাম তৃতীয় একজনের মাধ্যমে। তারা সবাই বলল, আমরা তোমাদের প্রতি প্রেরিত হয়েছি।

(15
قَالُوا مَا أَنتُمْ إِلَّا بَشَرٌ مِّثْلُنَا وَمَا أَنزَلَ الرَّحْمَـٰنُ مِن شَيْءٍ إِنْ أَنتُمْ إِلَّا تَكْذِبُونَ
ক্বা-লূ মা- আনতুম ইল্লা বাশারুম মিছলুনা ওয়া মা আনযালার রহমা-নু মিন শাইয়িন ইন  আনতুম ইল্লা- তাকযিবূন। 
তারা বলল, তোমরা তো আমাদের মতই মানুষ, রহমান আল্লাহ কিছুই নাযিল করেননি। তোমরা কেবল মিথ্যাই বলে যাচ্ছ।

(16
قَالُوا رَبُّنَا يَعْلَمُ إِنَّا إِلَيْكُمْ لَمُرْسَلُونَ
ক্বা-লু রাব্বুনা ইয়া’লামু ইন্না ইলাইকুম লামুরসালূন। 
রাসূলগণ বলল, আমাদের পরওয়ারদেগার জানেন, আমরা অবশ্যই তোমাদের প্রতি প্রেরিত হয়েছি।

(17
وَمَا عَلَيْنَا إِلَّا الْبَلَاغُ الْمُبِينُ
অমা- আলাইনা- ইল্লাল বালা-গুল মুবীন।
পরিস্কারভাবে আল্লাহর বাণী পৌছে দেয়াই আমাদের দায়িত্ব।

(18
قَالُوا إِنَّا تَطَيَّرْنَا بِكُمْ ۖ لَئِن لَّمْ تَنتَهُوا لَنَرْجُمَنَّكُمْ وَلَيَمَسَّنَّكُم مِّنَّا عَذَابٌ أَلِيمٌ
ক্বা-লু  ইন্না তাত্বাই য়্যারনা বিকুম, লায়িল্ লাম্ তানতাহু লানারজুমান্নাকুম অলাইয়ামাস্ সান্নাকুম মিন্না আ’যাবুন আলিম । 
তারা বলল, আমরা তোমাদেরকে অশুভ-অকল্যাণকর দেখছি। যদি তোমরা বিরত না হও, তবে অবশ্যই তোমাদেরকে প্রস্তর বর্ষণে হত্যা করব এবং আমাদের পক্ষ থেকে তোমাদেরকে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি স্পর্শ করবে।

(19
قَالُوا طَائِرُكُم مَّعَكُمْ ۚ أَئِن ذُكِّرْتُم ۚ بَلْ أَنتُمْ قَوْمٌ مُّسْرِفُونَ
ক্বা-লু  ত্বা-য়িরুকুম মা’আকুম, আয়িন যুককিরতুম, বাল আনতুম ক্বাওমুম মুস্ রিফূন। 
রসূলগণ বলল, তোমাদের অকল্যাণ তোমাদের সাথেই! এটা কি এজন্যে যে, আমরা তোমাদেরকে সদুপদেশ দিয়েছি? বস্তুতঃ তোমরা সীমা লংঘনকারী সম্প্রদায় বৈ নও।

(20
وَجَاءَ مِنْ أَقْصَى الْمَدِينَةِ رَجُلٌ يَسْعَىٰ قَالَ يَا قَوْمِ اتَّبِعُوا الْمُرْسَلِينَ
অজ্বা-য়া মিন আক্বছাল মাদীনাতি রাজূলুঁই ইয়াস’আ-ক্বালা ইয়া ক্বাওমিত্তাবিউল মুরসালীন।
অতঃপর শহরের প্রান্তভাগ থেকে এক ব্যক্তি দৌড়ে এল। সে বলল, হে আমার সম্প্রদায় তোমরা রসূলগণের অনুসরণ কর।

(21
اتَّبِعُوا مَن لَّا يَسْأَلُكُمْ أَجْرًا وَهُم مُّهْتَدُونَ
ইত্তাবিঊ মাল্লা- ইয়াসয়ালুকুম আজরাঁও  অহুম মুহতাদূন।
অনুসরণ কর তাদের, যারা তোমাদের কাছে কোন বিনিময় কামনা করে না, অথচ তারা সুপথ প্রাপ্ত।

(22
وَمَا لِيَ لَا أَعْبُدُ الَّذِي فَطَرَنِي وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ
অমা লিয়া লা আ’বুদুল্লাযি ফাত্বারানি ওয়া ইলাইহি তুরজ্বাঊন। 
আমার কি হল যে, যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং যার কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে, আমি তাঁর এবাদত করব না?

(23
أَأَتَّخِذُ مِن دُونِهِ آلِهَةً إِن يُرِدْنِ الرَّحْمَـٰنُ بِضُرٍّ لَّا تُغْنِ عَنِّي شَفَاعَتُهُمْ شَيْئًا وَلَا يُنقِذُونِ
আআত্তাখিযু মিন্ দূনিহি আলিহাতান ইঁ ইয়্যুরিদ্নির্ রাহমা-নু বিদ্বুররিল লা-তুগনি আন্নী শাফাআ’তুহুম শাইয়াঁও অলা ইয়ুনক্বিযূন। 
আমি কি তাঁর পরিবর্তে অন্যান্যদেরকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করব? করুণাময় যদি আমাকে কষ্টে নিপতিত করতে চান, তবে তাদের সুপারিশ আমার কোনই কাজে আসবে না এবং তারা আমাকে রক্ষাও করতে পারবে না।

(24
إِنِّي إِذًا لَّفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
ইন্নী ইযাল লাফি দ্বালা-লিম মুবীন।
এরূপ করলে আমি প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় পতিত হব।

(25
إِنِّي آمَنتُ بِرَبِّكُمْ فَاسْمَعُونِ
ইন্নী আ-মানতু বিরাব্বিকুম ফাছমাউন। 
আমি নিশ্চিতভাবে তোমাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলাম। অতএব আমার কাছ থেকে শুনে নাও।

(26
قِيلَ ادْخُلِ الْجَنَّةَ ۖ قَالَ يَا لَيْتَ قَوْمِي يَعْلَمُونَ
ক্বীলাদ খুলিল জ্বান্নাতা ক্বা-লা ইয়া-লাইতা ক্বাওমি ইয়া’লামূন। 
তাকে বলা হল, জান্নাতে প্রবেশ কর। সে বলল হায়, আমার সম্প্রদায় যদি কোন ক্রমে জানতে পারত-

(27
بِمَا غَفَرَ لِي رَبِّي وَجَعَلَنِي مِنَ الْمُكْرَمِينَ
বিমা গাফারালী রাব্বী অজা’আলানী মিনাল মুকরামীন। 
যে আমার পরওয়ারদেগার আমাকে ক্ষমা করেছেন এবং আমাকে সম্মানিতদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন।

(28
وَمَا أَنزَلْنَا عَلَىٰ قَوْمِهِ مِن بَعْدِهِ مِن جُندٍ مِّنَ السَّمَاءِ وَمَا كُنَّا مُنزِلِينَ
অমা আনযালনা আ’লা ক্বাওমিহী মিম বাদিহী মিন জুনদিম মিনাস সামা-য়ি অমা-কুন্না-মুনযিলীন। 
তারপর আমি তার সম্প্রদায়ের উপর আকাশ থেকে কোন বাহিনী অবতীর্ণ করিনি এবং আমি (বাহিনী) অবতরণকারীও না।

(29
إِن كَانَتْ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً فَإِذَا هُمْ خَامِدُونَ
ইন্ কা-নাত্ ইল্লা ছাইহাতাঁও অহিদাতান ফাইযা হুম খা-মিদূন। 
বস্তুতঃ এ ছিল এক মহানাদ। অতঃপর সঙ্গে সঙ্গে সবাই স্তদ্ধ হয়ে গেল।

(30
يَا حَسْرَةً عَلَى الْعِبَادِ ۚ مَا يَأْتِيهِم مِّن رَّسُولٍ إِلَّا كَانُوا بِهِ يَسْتَهْزِئُونَ
ইয়া–হাসরাতান আ’লাল ইবা-দি, মা-ইয়া’তীহিম্ মির্ রাসূলিন্ ইল্লা- কা-নূ বিহী ইয়াস্ তাহযিঊন্। 
বান্দাদের জন্যে আক্ষেপ যে, তাদের কাছে এমন কোন রসূলই আগমন করেনি যাদের প্রতি তারা বিদ্রুপ করে না।

(31
أَلَمْ يَرَوْا كَمْ أَهْلَكْنَا قَبْلَهُم مِّنَ الْقُرُونِ أَنَّهُمْ إِلَيْهِمْ لَا يَرْجِعُونَ
আলাম্ ইয়ারাও কাম্ আহলাকনা-ক্বাবলাহুম মিনাল কুরুনি আন্না হুম ইলাহিম লা ইয়ারজ্বিঊন। 
তারা কি প্রত্যক্ষ করে না, তাদের পূর্বে আমি কত সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছি যে, তারা তাদের মধ্যে আর ফিরে আসবে না।

(32
وَإِن كُلٌّ لَّمَّا جَمِيعٌ لَّدَيْنَا مُحْضَرُونَ
অইন কুললুল লাম্মা জ্বামীউল লাদাইনা মুহদ্বারুন। 
ওদের সবাইকে সমবেত অবস্থায় আমার দরবারে উপস্থিত হতেই হবে।

(33
وَآيَةٌ لَّهُمُ الْأَرْضُ الْمَيْتَةُ أَحْيَيْنَاهَا وَأَخْرَجْنَا مِنْهَا حَبًّا فَمِنْهُ يَأْكُلُونَ
অআ-য়াতুল্ লাহুমুল আরদ্বুল মাইতাতু আহ্ইয়াইনা-হা অ আখরাজ্বনা-মিনহা-হাব্বান ফামিন্হু ইয়া কুলূন।
তাদের জন্যে একটি নিদর্শন মৃত পৃথিবী। আমি একে সঞ্জীবিত করি এবং তা থেকে উৎপন্ন করি শস্য, তারা তা থেকে ভক্ষণ করে।

(34
وَجَعَلْنَا فِيهَا جَنَّاتٍ مِّن نَّخِيلٍ وَأَعْنَابٍ وَفَجَّرْنَا فِيهَا مِنَ الْعُيُونِ
অ জ্বাআ’লনা ফীহা-জান্নাতিম মিন নাখিলিওঁ অআ’নাবিওঁ ওয়া ফাজ্জারনা ফিহা মিনাল উ-ইউন। 
আমি তাতে সৃষ্টি করি খেজুর ও আঙ্গুরের বাগান এবং প্রবাহিত করি তাতে নির্ঝরিণী।

(35
لِيَأْكُلُوا مِن ثَمَرِهِ وَمَا عَمِلَتْهُ أَيْدِيهِمْ ۖ أَفَلَا يَشْكُرُونَ
লিয়া কুলূ মিন ছামারিহী অমা-আমিলাতহু আইদিহিম, আফালা ইয়াশকুরুন।
যাতে তারা তার ফল খায়। তাদের হাত একে সৃষ্টি করে না। অতঃপর তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না কেন?

(36
سُبْحَانَ الَّذِي خَلَقَ الْأَزْوَاجَ كُلَّهَا مِمَّا تُنبِتُ الْأَرْضُ وَمِنْ أَنفُسِهِمْ وَمِمَّا لَا يَعْلَمُونَ
সুব্হানাল্লাযি খালাক্বাল্ আয্অ-জ্বা কুল্লাহা মিম্মাতুমবিতুল আরদ্বু ওয়া মিন আনফুছিহিম ওয়া মিম্মা লা ইয়া’লামুন। 
পবিত্র তিনি যিনি যমীন থেকে উৎপন্ন উদ্ভিদকে, তাদেরই মানুষকে এবং যা তারা জানে না, তার প্রত্যেককে জোড়া জোড়া করে সৃষ্টি করেছেন।

(37
وَآيَةٌ لَّهُمُ اللَّيْلُ نَسْلَخُ مِنْهُ النَّهَارَ فَإِذَا هُم مُّظْلِمُونَ
ওয়া ইয়াতুল লাহুমুল লাইলু নাসলাখু মিনহুন নাহা-রা ফাইযা-হুম মুজ্লিমূন। 
তাদের জন্যে এক নিদর্শন রাত্রি, আমি তা থেকে দিনকে অপসারিত করি, তখনই তারা অন্ধকারে থেকে যায়।

(38
وَالشَّمْسُ تَجْرِي لِمُسْتَقَرٍّ لَّهَا ۚ ذَٰلِكَ تَقْدِيرُ الْعَزِيزِ الْعَلِيمِ
ওয়াশ শামছু তাজরি লিমুছতাকার রিললাহা, যা-লিকা তাকদিরুল আযিযিল আ’লিম। 
সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ, আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ।

(39
وَالْقَمَرَ قَدَّرْنَاهُ مَنَازِلَ حَتَّىٰ عَادَ كَالْعُرْجُونِ الْقَدِيمِ
অল্ ক্বামারা ক্বাদ্দারনা-হু মানা-যিলা হাত্তা আ’দাকাল উরজুনিল ক্বাদিম। 
চন্দ্রের জন্যে আমি বিভিন্ন মনযিল নির্ধারিত করেছি। অবশেষে সে পুরাতন খর্জুর শাখার অনুরূপ হয়ে যায়।

(40
لَا الشَّمْسُ يَنبَغِي لَهَا أَن تُدْرِكَ الْقَمَرَ وَلَا اللَّيْلُ سَابِقُ النَّهَارِ ۚ وَكُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ
লশ্ শামসু ইয়াম বাগি লাহা আন তুদরিকাল্ ক্বামারা ওয়া লাল লাইলু ছাবিকুন নাহারি, ওয়া কুল্লুন ফী ফালাকিই ইয়াছ বাহুন।
সূর্য নাগাল পেতে পারে না চন্দ্রের এবং রাত্রি অগ্রে চলে না দিনের প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে সন্তরণ করে।

(41
وَآيَةٌ لَّهُمْ أَنَّا حَمَلْنَا ذُرِّيَّتَهُمْ فِي الْفُلْكِ الْمَشْحُونِ
ওয়া আ-ইয়া তুললাহুম আন্না হামালনা যুররি-ইয়াতাহুম ফিল ফুলকিল মাশহুন।
তাদের জন্যে একটি নিদর্শন এই যে, আমি তাদের সন্তান-সন্ততিকে বোঝাই নৌকায় আরোহণ করিয়েছি।

(42
وَخَلَقْنَا لَهُم مِّن مِّثْلِهِ مَا يَرْكَبُونَ
ওয়া খালাকনা লাহুম মিম মিছলিহি মা ইয়ারকাবূন। 
এবং তাদের জন্যে নৌকার অনুরূপ যানবাহন সৃষ্টি করেছি, যাতে তারা আরোহণ করে।

(43
وَإِن نَّشَأْ نُغْرِقْهُمْ فَلَا صَرِيخَ لَهُمْ وَلَا هُمْ يُنقَذُونَ
ওয়া ইন্নাশা নুগরিক হুম ফালা ছারিখা লাহুম ওয়া লা হুম ইউনকাযুন। 
আমি ইচ্ছা করলে তাদেরকে নিমজ্জত করতে পারি, তখন তাদের জন্যে কোন সাহায্যকারী নেই এবং তারা পরিত্রাণও পাবে না।

(44
إِلَّا رَحْمَةً مِّنَّا وَمَتَاعًا إِلَىٰ حِينٍ
ইল্লা রাহমাতাম মিন্না ওয়া মাতাআ’ন ইলাহিন। 
কিন্তু আমারই পক্ষ থেকে কৃপা এবং তাদেরকে কিছু কাল জীবনোপভোগ করার সুযোগ দেয়ার কারণে তা করি না।

(45
وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ اتَّقُوا مَا بَيْنَ أَيْدِيكُمْ وَمَا خَلْفَكُمْ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ
ওয়া ইযা কিলা লাহুমুত তাকু মা বাইনা আইদিকুম ওয়া মা খালফাকুম লা আ’ল্লাকুম তুরহামুন। 
আর যখন তাদেরকে বলা হয়, তোমরা সামনের আযাব ও পেছনের আযাবকে ভয় কর, যাতে তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করা হয়, তখন তারা তা অগ্রাহ্য করে।

(46
وَمَا تَأْتِيهِم مِّنْ آيَةٍ مِّنْ آيَاتِ رَبِّهِمْ إِلَّا كَانُوا عَنْهَا مُعْرِضِينَ
ওয়া মা তা’ তিহিম মিন আ-ইয়াতিম মিন আ-ইয়া-তি রা্ব্বিহিম ইল্লা কা-নূ আনহা মু’রিদিন। 
যখনই তাদের পালনকর্তার নির্দেশাবলীর মধ্যে থেকে কোন নির্দেশ তাদের কাছে আসে, তখনই তারা তা থেকে মুখে ফিরিয়ে নেয়।

(47
وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ أَنفِقُوا مِمَّا رَزَقَكُمُ اللَّهُ قَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا لِلَّذِينَ آمَنُوا أَنُطْعِمُ مَن لَّوْ يَشَاءُ اللَّهُ أَطْعَمَهُ إِنْ أَنتُمْ إِلَّا فِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
ওয়া ইযা কিলা লাহুম আনফিকু মিম্মা রাযাকাকুমুল্লাহু, কালাল্লাযিনা কাফারু ল্লিাযিনা আ-মানু আ-নুতয়িমু মাল লাওয়াশ-উল্লাহ আত আ’মাহু, ইনআনতুম ইল্লাফি দ্বালালিম মুবিন।
যখন তাদেরকে বলা হয়, আল্লাহ তোমাদেরকে যা দিয়েছেন, তা থেকে ব্যয় কর। তখন কাফেররা মুমিনগণকে বলে, ইচ্ছা করলেই আল্লাহ যাকে খাওয়াতে পারতেন, আমরা তাকে কেন খাওয়াব? তোমরা তো স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে পতিত রয়েছ।

(48
وَيَقُولُونَ مَتَىٰ هَـٰذَا الْوَعْدُ إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ
ওয়া ইয়াকুলুনা মাতা হাযাল ওয়া’দু  ইনকুনতুম ছাদিকিন। 
তারা বলে, তোমরা সত্যবাদী হলে বল এই ওয়াদা কবে পূর্ণ হবে?

(49
مَا يَنظُرُونَ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً تَأْخُذُهُمْ وَهُمْ يَخِصِّمُونَ
মা ইয়ান যুরুনা ইল্লাহ ছাইহাতাওঁ ওয়া হিদাতান তা খুযুহুম ওয়া হুম ইয়া খিছছিমুন।
তারা কেবল একটা ভয়াবহ শব্দের অপেক্ষা করছে, যা তাদেরকে আঘাত করবে তাদের পারস্পরিক বাকবিতন্ডাকালে।

(50
فَلَا يَسْتَطِيعُونَ تَوْصِيَةً وَلَا إِلَىٰ أَهْلِهِمْ يَرْجِعُونَ
ফালা ইয়াছ তাত্বিউনা তাও ছিইয়াতাওঁ ওয়া লা ইলা আহলিহিম ইয়ার জিউন। 
তখন তারা ওছিয়ত করতেও সক্ষম হবে না। এবং তাদের পরিবার-পরিজনের কাছেও ফিরে যেতে পারবে না।

(51
وَنُفِخَ فِي الصُّورِ فَإِذَا هُم مِّنَ الْأَجْدَاثِ إِلَىٰ رَبِّهِمْ يَنسِلُونَ
ওয়া নুফিখাফিছ ছুরি ফা ইযা হুম মিনাল আজদাছি ইলা রাব্বিহিম ইয়ানছিলুন।
শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, তখনই তারা কবর থেকে তাদের পালনকর্তার দিকে ছুটে চলবে।

(52
قَالُوا يَا وَيْلَنَا مَن بَعَثَنَا مِن مَّرْقَدِنَا ۜ ۗ هَـٰذَا مَا وَعَدَ الرَّحْمَـٰنُ وَصَدَقَ الْمُرْسَلُونَ
কালু ইয়া ওয়াই লানা মাম বাআ’ছানা মিম মারকাদিনা হাযা মা ওয়া আ’দর রাহমানু ওয়া ছাদাকাল মুরছালুন। 
তারা বলবে, হায় আমাদের দুর্ভোগ! কে আমাদেরকে নিদ্রাস্থল থেকে উখিত করল? রহমান আল্লাহ তো এরই ওয়াদা দিয়েছিলেন এবং রসূলগণ সত্য বলেছিলেন।

(53
إِن كَانَتْ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً فَإِذَا هُمْ جَمِيعٌ لَّدَيْنَا مُحْضَرُونَ
ইন কানাত ইল্লা ছাইহাতাওঁ ওয়া হিদাতান ফা-ইযা হুম জামিউল লাদাইনা মুহদারূন। 
এটা তো হবে কেবল এক মহানাদ। সে মুহুর্তেই তাদের সবাইকে আমার সামনে উপস্থিত করা হবে।

(54
فَالْيَوْمَ لَا تُظْلَمُ نَفْسٌ شَيْئًا وَلَا تُجْزَوْنَ إِلَّا مَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
ফাল ইয়াওমা লা তুযলামু নাফছুন শাইআওঁ ওয়া লা তুজযাওনা ইল্লা মা কুনতুম তা’মালুন। 
আজকের দিনে কারও প্রতি জুলুম করা হবে না এবং তোমরা যা করবে কেবল তারই প্রতিদান পাবে।

(55
إِنَّ أَصْحَابَ الْجَنَّةِ الْيَوْمَ فِي شُغُلٍ فَاكِهُونَ
ইন্না আছহাবাল জান্নাতিল ইয়াওমা ফি শুশুলিন ফাকিহুন। 
এদিন জান্নাতীরা আনন্দে মশগুল থাকবে।

(56
هُمْ وَأَزْوَاجُهُمْ فِي ظِلَالٍ عَلَى الْأَرَائِكِ مُتَّكِئُونَ
হুম ওয়া আয ওয়াজুহুম ফি যিলালিন আলাল আর-য়িকি মুত্তাকিউন। 
তারা এবং তাদের স্ত্রীরা উপবিষ্ট থাকবে ছায়াময় পরিবেশে আসনে হেলান দিয়ে।

(57
لَهُمْ فِيهَا فَاكِهَةٌ وَلَهُم مَّا يَدَّعُونَ
লাহুম ফিহা ফাকিহাতুও ওয়া লা হুম মা উয়াদ দাউন। 
সেখানে তাদের জন্যে থাকবে ফল-মূল এবং যা চাইবে।

(58
سَلَامٌ قَوْلًا مِّن رَّبٍّ رَّحِيمٍ
ছালামুন কাওলাম মির রাব্বির রাহিম। 
করুণাময় পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাদেরকে বলা হবে সালাম।

(59
وَامْتَازُوا الْيَوْمَ أَيُّهَا الْمُجْرِمُونَ
ওয়াম তাযুল ইয়াও মা আইয়ুহাল মুজরিমুন। 
হে অপরাধীরা! আজ তোমরা আলাদা হয়ে যাও।

(60
أَلَمْ أَعْهَدْ إِلَيْكُمْ يَا بَنِي آدَمَ أَن لَّا تَعْبُدُوا الشَّيْطَانَ ۖ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ
আলাম আ’হাদ ইলাইকুম ইয়া-বানি আ-দামা আল্লা তা’বুদুশ শাইত্বানা ইন্নাহু লাকুম আ’দু ওউম মুবিন।
হে বনী-আদম! আমি কি তোমাদেরকে বলে রাখিনি যে, শয়তানের এবাদত করো না, সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু?

(61
وَأَنِ اعْبُدُونِي ۚ هَـٰذَا صِرَاطٌ مُّسْتَقِيمٌ
ওয়া আনি’বুদুনি, হাযা ছিরাতুম মুছতাকিম। 
এবং আমার এবাদত কর। এটাই সরল পথ।

(62
وَلَقَدْ أَضَلَّ مِنكُمْ جِبِلًّا كَثِيرًا ۖ أَفَلَمْ تَكُونُوا تَعْقِلُونَ
ওয়া লাকাদ আদাল্লা মিন কুম জিবিল্লান কাছিরা-আফালাম তাকুনু তা’কিলূন। 
শয়তান তোমাদের অনেক দলকে পথভ্রষ্ট করেছে। তবুও কি তোমরা বুঝনি?

(63
هَـٰذِهِ جَهَنَّمُ الَّتِي كُنتُمْ تُوعَدُونَ
হাযিহি জাহান্নামুল লাতি কুনতুম তুআ’দুন। 
এই সে জাহান্নাম, যার ওয়াদা তোমাদেরকে দেয়া হতো।

(64
اصْلَوْهَا الْيَوْمَ بِمَا كُنتُمْ تَكْفُرُونَ
ইছ লাওহাল ইয়াওমা বিমা কুনতুম  তাকফুরুন। 
তোমাদের কুফরের কারণে আজ এতে প্রবেশ কর।

(65
الْيَوْمَ نَخْتِمُ عَلَىٰ أَفْوَاهِهِمْ وَتُكَلِّمُنَا أَيْدِيهِمْ وَتَشْهَدُ أَرْجُلُهُم بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَ
আল ইয়াওমা নাখতিমু আ’লা আফওয়াহিমি ওয়া তুকাল্লিমুনা আইদীহিম ওয়া তাশহাদু আরজুলু হুম বিমা কানু ইয়াকছিবুন।
আজ আমি তাদের মুখে মোহর এঁটে দেব তাদের হাত আমার সাথে কথা বলবে এবং তাদের পা তাদের কৃতকর্মের সাক্ষ্য দেবে।

(66
وَلَوْ نَشَاءُ لَطَمَسْنَا عَلَىٰ أَعْيُنِهِمْ فَاسْتَبَقُوا الصِّرَاطَ فَأَنَّىٰ يُبْصِرُونَ
ওয়ালাও নাশাওউলাতামাছনা- আলা আইউনিহিম ফাছতাবাকুসসিরা-তা ফাআন্নাইউবসিরূন। 
আমি ইচ্ছা করলে তাদের দৃষ্টি শক্তি বিলুপ্ত করে দিতে পারতাম, তখন তারা পথের দিকে দৌড়াতে চাইলে কেমন করে দেখতে পেত!

(67
وَلَوْ نَشَاءُ لَمَسَخْنَاهُمْ عَلَىٰ مَكَانَتِهِمْ فَمَا اسْتَطَاعُوا مُضِيًّا وَلَا يَرْجِعُونَ
ওয়া লাও নাশাও লামাছাখনাহুম আ,লা মাকানাতিহিম ফামাছ তাত্বাউ’ মুদ্বিই ইয়াও ওয়া লা ইয়ার জিউন। 
আমি ইচ্ছা করলে তাদেরকে স্ব স্ব স্থানে আকার বিকৃত করতে পারতাম, ফলে তারা আগেও চলতে পারত না এবং পেছনেও ফিরে যেতে পারত না।

(68
وَمَن نُّعَمِّرْهُ نُنَكِّسْهُ فِي الْخَلْقِ ۖ أَفَلَا يَعْقِلُونَ
ওয়া মাননুআ’ মমিরহু নুনাককিছহু ফিল খালকি, আফালা ইয়া কুলুন। 
আমি যাকে দীর্ঘ জীবন দান করি, তাকে সৃষ্টিগত পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নেই। তবুও কি তারা বুঝে না?

(69
وَمَا عَلَّمْنَاهُ الشِّعْرَ وَمَا يَنبَغِي لَهُ ۚ إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ وَقُرْآنٌ مُّبِينٌ
ওয়া মা আ’ল্লামনাহুশ শি’রা ওয়া মা ইয়ামবাগি লাহু, ইন-হু ওয়া ইল্লা যিকরুওঁ ওয়া করআনুম মুবীন।
আমি রসূলকে কবিতা শিক্ষা দেইনি এবং তা তার জন্যে শোভনীয়ও নয়। এটা তো এক উপদেশ ও প্রকাশ্য কোরআন।

(70
لِّيُنذِرَ مَن كَانَ حَيًّا وَيَحِقَّ الْقَوْلُ عَلَى الْكَافِرِينَ
লি-ইউন যিরা মান কানা হাই-ইয়াওঁ ওয়া ইয়াহিক কাল কাওলু আলাল কাফিরিন। 
যাতে তিনি সতর্ক করেন জীবিতকে এবং যাতে কাফেরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়।

(71
أَوَلَمْ يَرَوْا أَنَّا خَلَقْنَا لَهُم مِّمَّا عَمِلَتْ أَيْدِينَا أَنْعَامًا فَهُمْ لَهَا مَالِكُونَ
আওয়ালাম ইয়ারাও আন্না খালাকনা লাহুম মিম্মাআমিলাত আইদিনা আনআ’মান ফাহুম লাহা মা-লিকূন। 
তারা কি দেখে না, তাদের জন্যে আমি আমার নিজ হাতের তৈরী বস্তুর দ্বারা চতুস্পদ জন্তু সৃষ্টি করেছি, অতঃপর তারাই এগুলোর মালিক।

(72
وَذَلَّلْنَاهَا لَهُمْ فَمِنْهَا رَكُوبُهُمْ وَمِنْهَا يَأْكُلُونَ
ওয়া যাল লালনাহা লাহুম ফামিনহা রাকুবুহুম ওয়া মিনহা ইয়া’কুলুন। 
আমি এগুলোকে তাদের হাতে অসহায় করে দিয়েছি। ফলে এদের কতক তাদের বাহন এবং কতক তারা ভক্ষণ করে।

(73
وَلَهُمْ فِيهَا مَنَافِعُ وَمَشَارِبُ ۖ أَفَلَا يَشْكُرُونَ
ওয়া লাহুম ফিহা মানাফিউ ওয়া মাশরিবু আফালা-ইয়াশকুরূন। 
তাদের জন্যে চতুস্পদ জন্তুর মধ্যে অনেক উপকারিতা ও পানীয় রয়েছে। তবুও কেন তারা শুকরিয়া আদায় করে না?

(74
وَاتَّخَذُوا مِن دُونِ اللَّهِ آلِهَةً لَّعَلَّهُمْ يُنصَرُونَ
ওয়াত্তাখাযূমিন দূনিল্লা-হি আ-লিহাতাল লা আল্লাহুম ইউন সারূন। 
তারা আল্লাহর পরিবর্তে অনেক উপাস্য গ্রহণ করেছে যাতে তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হতে পারে।

(75
لَا يَسْتَطِيعُونَ نَصْرَهُمْ وَهُمْ لَهُمْ جُندٌ مُّحْضَرُونَ
লা ইয়াছতা ত্বিউ’না নাছরাহুম ওয়া হুম লা হুম জুনদুম মুহদারুন। 
অথচ এসব উপাস্য তাদেরকে সাহায্য করতে সক্ষম হবে না এবং এগুলো তাদের বাহিনী রূপে ধৃত হয়ে আসবে।

(76
فَلَا يَحْزُنكَ قَوْلُهُمْ ۘ إِنَّا نَعْلَمُ مَا يُسِرُّونَ وَمَا يُعْلِنُونَ
ফালা ইয়াহযুনকা কাওলুহুম, ইন্না না’লামু মা ইউছিররুনা ওয়া মা ইউ’লিনুন।
অতএব তাদের কথা যেন আপনাকে দুঃখিত না করে। আমি জানি যা তারা গোপনে করে এবং যা তারা প্রকাশ্যে করে।

(77
أَوَلَمْ يَرَ الْإِنسَانُ أَنَّا خَلَقْنَاهُ مِن نُّطْفَةٍ فَإِذَا هُوَ خَصِيمٌ مُّبِينٌ
আওয়ালাম ইয়ারাল ইনছানু আন্না খালাকনাহু মিন নুতুফাতিন ফ-ইযা হুওয়া খাছিমুম মুবীন।
মানুষ কি দেখে না যে, আমি তাকে সৃষ্টি করেছি বীর্য থেকে? অতঃপর তখনই সে হয়ে গেল প্রকাশ্য বাকবিতন্ডাকারী।

(78
وَضَرَبَ لَنَا مَثَلًا وَنَسِيَ خَلْقَهُ ۖ قَالَ مَن يُحْيِي الْعِظَامَ وَهِيَ رَمِيمٌ
ওয়া দ্বারাবা লানা মাছালাওঁ ওয়া নাছিইয়া খালকাহু, কালা মাই ইউহ্ য়িল ইযামা ওয়া হি ইয়া রামীম। 
সে আমার সম্পর্কে এক অদ্ভূত কথা বর্ণনা করে, অথচ সে নিজের সৃষ্টি ভুলে যায়। সে বলে কে জীবিত করবে অস্থিসমূহকে যখন সেগুলো পচে গলে যাবে?

(79
قُلْ يُحْيِيهَا الَّذِي أَنشَأَهَا أَوَّلَ مَرَّةٍ ۖ وَهُوَ بِكُلِّ خَلْقٍ عَلِيمٌ
কুল ইউহ্ য়িহাল লাযি আনশাআ হা আও ওয়ালা মাররাতিওঁ ওয়া হুওয়া বিকুল্লি খালকিন আলিমু।
বলুন, যিনি প্রথমবার সেগুলোকে সৃষ্টি করেছেন, তিনিই জীবিত করবেন। তিনি সর্বপ্রকার সৃষ্টি সম্পর্কে সম্যক অবগত।

(80
الَّذِي جَعَلَ لَكُم مِّنَ الشَّجَرِ الْأَخْضَرِ نَارًا فَإِذَا أَنتُم مِّنْهُ تُوقِدُونَ
 আল্লাযি জাআ’লা লাকুম মিনাশ শাজারিল আখদারি নারান ফ-ইযা আনতুম মিনহু তুকিদুন। 
যিনি তোমাদের জন্যে সবুজ বৃক্ষ থেকে আগুন উৎপন্ন করেন। তখন তোমরা তা থেকে আগুন জ্বালাও।

(81
أَوَلَيْسَ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِقَادِرٍ عَلَىٰ أَن يَخْلُقَ مِثْلَهُم ۚ بَلَىٰ وَهُوَ الْخَلَّاقُ الْعَلِيمُ
আওয়া লাইছা ল্লাযি খালাকাছছামা-ওয়াতি ওয়াল আরদা বিকাদিরিন আ’লা আই ইয়াখলুকা মিছলাহুম, বালা ওয়া হুওয়াল খাল্লাকুল আলিম।
যিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করেছেন, তিনিই কি তাদের অনুরূপ সৃষ্টি করতে সক্ষম নন? হ্যাঁ তিনি মহাস্রষ্টা, সর্বজ্ঞ।

(82
إِنَّمَا أَمْرُهُ إِذَا أَرَادَ شَيْئًا أَن يَقُولَ لَهُ كُن فَيَكُونُ
 ইন্নামা আমরুহ ইয়া আরাদা শাই য়ান আই ইয়াকুলু লাহু কুন ফা-ইয়াকুন। 
তিনি যখন কোন কিছু করতে ইচ্ছা করেন, তখন তাকে কেবল বলে দেন, ‘হও’ তখনই তা হয়ে যায়।

(83
فَسُبْحَانَ الَّذِي بِيَدِهِ مَلَكُوتُ كُلِّ شَيْءٍ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ
ফাছুবহা-নাল্লাযী বিয়াদিহি মালাকূতু কুল্লি শাইয়িওঁ ওয়া ইলাইহি তুর জাঊন।
অতএব পবিত্র তিনি, যাঁর হাতে সবকিছুর রাজত্ব এবং তাঁরই দিকে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।


----
Tags: surah yasin bangla uccharon-সূরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ- Surah Yaseen, সূরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ, সূরা ইয়াসিন, সূরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ সহ, সূরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ লেখা, সূরা ইয়াসিনের বাংলা উচ্চারণ, সূরা ইয়াসীন বাংলা অনুবাদ, সূরা ইয়াসিন বাংলা সহ, সূরা ইয়াসিন বাংলা লেখা, সূরা ইয়াসিন, সুরা ইয়াসীন বাংলা উচ্চারণ, সূরা ইয়াসীন বাংলা উচ্চারণ, সূরা ইয়াসিন প্রথম ৯ আয়াত বাংলা উচ্চারণ, সূরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ, সূরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ লেখা, ইয়াসিন সূরা বাংলা উচ্চারণ, সূরা ইয়াসিন বাংলা অর্থসহ, বাংলা উচ্চারণ ও অনুবাদ সহ সূরা ইয়াসিন,
sura yasin, surah yasin bangla uccharon, surah yasin bangla, surah yasin bangla uccharon lekha, surah yasin, surah yasin bangla ucharan, surah yasin bangla lekha, sura yasin bangla uccharon, surah yasin bangla translation full, surah yaseen, sura yasin bangla, yasin sura, sura yeasin bangla, sura yaseen, bangla quran, yasin sura bangla uccharon, ismail an nouri sura yasin bangla translation, surah yasin bangla uccharon pdf, surah yasin with bangla translation