সূরা আল-বাইয়্যিনাহ মূল বার্তা ও ফজিলত

সূরা বাইয়্যিনাহ এর ফজিলত


সূরা আল-বাইয়্যিনাহ (سورة البينة) কুরআনের ৯৮তম সূরা। এটি মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এতে ৮টি আয়াত রয়েছে। এই সূরায় ঈমানদার এবং কাফিরদের জন্য পৃথক পরিণতি বর্ণনা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা মানুষকে সঠিক পথ দেখানোর জন্য রাসূল প্রেরণ করেছেন এবং কিতাব অবতীর্ণ করেছেন, যা প্রকৃত সত্যের স্পষ্ট প্রমাণ।

রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রাতে সূরা বাইয়্যিনাহ পাঠ করে, আল্লাহ ফেরেশতা প্রেরণ করেন যারা তার দ্বীন ও পার্থিব বিষয়ের হেফাজত করেন এবং তারা তার জন্য ক্ষমা ও রহমত কামনা করেন।


সূরা আল-বাইয়্যিনাহর মূল বার্তা:


সত্য প্রকাশের প্রয়োজনীয়তা:

আল্লাহ বলেন, যারা কিতাবপ্রাপ্ত ও মুশরিক ছিল, তারা স্পষ্ট প্রমাণ (রাসূল ও কিতাব) না আসা পর্যন্ত বিভ্রান্তিতে ছিল।


ঈমানদারদের জন্য জান্নাতের সুসংবাদ:

যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে, তাদের জন্য আল্লাহ জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।


অবিশ্বাসীদের পরিণতি:

যারা আল্লাহকে অস্বীকার করে, তাদের জন্য কঠিন শাস্তির ঘোষণা করা হয়েছে।


সূরা আল-বাইয়্যিনাহর ফজিলত:


হাদিসে বিশেষ গুরুত্ব:

হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন,

“আল্লাহ তাআলা এই সূরাটি এত বেশি ভালোবাসেন যে, এটি নিয়মিত তিলাওয়াত করলে জান্নাতের পথে এগিয়ে যাওয়া সহজ হয়।” (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)


জান্নাতে বিশেষ মর্যাদা:

হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি সূরা আল-বাইয়্যিনাহ তিলাওয়াত করবে, আল্লাহ তাকে জান্নাতে উঁচু মর্যাদায় স্থাপন করবেন।


মুসলিম উম্মাহর জন্য স্পষ্ট নির্দেশনা:

এই সূরা কুরআন ও রাসূলের বার্তাকে ধারণ করে। এর তিলাওয়াত মুসলিমদের মধ্যে ইমান ও সৎকর্মের প্রেরণা যোগায়।


হৃদয়ের প্রশান্তি:

যারা নিয়মিত সূরা আল-বাইয়্যিনাহ পাঠ করেন, তাদের অন্তরে আল্লাহর প্রতি গভীর ভালোবাসা এবং প্রশান্তি বৃদ্ধি পায়।


উপসংহার:

সূরা আল-বাইয়্যিনাহ মুসলমানদের জন্য এক মহা অনুপ্রেরণার সূরা। এটি সত্য ও মিথ্যার মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য তুলে ধরে এবং মানুষকে আল্লাহর পথে সৎকর্ম করার আহ্বান জানায়। এর তিলাওয়াত জান্নাতের পথে এগিয়ে যাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।