dua yunus: দোয়া ইউনুস এর ফজিলত
দোয়া ইউনুস প্রতিদিন ১০০০ বার পাঠের ফজিলত
দোয়া ইউনুস
لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ، إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
দোয়া ইউনুসের বাংলা উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জ-লিমিন।
দোয়া ইউনুসের অর্থ: তুমি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, তুমি পবিত্র সুমহান। আমি নিশ্চয়ই জালিমদের দলভুক্ত।
দোয়া ইউনুস কোন সূরার কত নম্বর আয়াত?
দোয়া ইউনুস- লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমিন। (সুরা আম্বিয়া, আয়াত: ৮৭ ) অর্থাৎ, হে আল্লাহ তুমি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তুমি পবিত্র মহান, আমি তো সীমালঙ্ঘনকারী।
দুআ ইউনুস অর্থ কি?
অর্থ: তুমি ছাড়া কোন মাবুদ নেই, তুমি পবিত্র! নিশ্চয়ই আমি যালিমদের অন্তর্ভুক্ত। এই দোয়াটি মাছের সাহাবী (নবী ইউনুস (আ.)) মাছের পেটে করেছিলেন। যদি কোন মুসলমান এই শব্দে দুআ করে তবে তার দুআ কবুল/সাড়া করা হবে।
দোয়া ইউনুস পাঠ করলে কি হয়?
দোয়া ইউনুস পাঠের ফজিলত
আল্লাহর নবী ইউনুস আ. এই দোয়া পাঠ করেই আল্লাহর রহমতে মাছের পেট থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। যদি কেউ দোয়া ইউনুস কয়েকবার পড়ে দোয়া করে তার দোয়া কবুল হয়। কেউ যদি বিপন্ন বা বিপদগ্রস্ত অবস্থায় এই দোয়া পাঠ করে, আল্লাহর রহমতে সে বিপদ থেকে উদ্ধার পায়।
ইউনুস এর দুআ কখন পড়তে হয়?
দুআটি কুরআনে হযরত ইউনুসের গল্প থেকে এর নামটি এসেছে, যিনি একটি তিমির পেট থেকে আল্লাহকে ডাকতেন। যখন কেউ উদ্বেগ, দুঃখ বা কষ্টে ভুগছেন তখন এই দুআটি পাঠ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
কোন সূরায় দুআ কবুল হয়?
আমাদের দুআ কবুলের জন্য তিলাওয়াত করার জন্য সর্বোত্তম কোনো সুরা কুরআনে নেই । যাইহোক, এটি সুপারিশ করা হয় যে আমরা কুরআন থেকে যেকোন সূরা আন্তরিকতা এবং বিশ্বাসের সাথে পাঠ করি, কারণ আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তায়ালা) আমাদের প্রার্থনা কবুল করবেন যদি সেগুলি বিশুদ্ধ নিয়তে করা হয়।
আরো বর্ণিত আছে যে, যদি কোন ব্যক্তি সূরা ইউনুস পাঠ করে, তবে সে হযরত ইউনুস (আঃ)-এর উম্মতে যত লোক ছিল তার সমান সওয়াব পাবে। এই সূরাটি আপনার কর্মীদের মধ্যে থেকে চোর সনাক্ত করার একটি মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
শক্তিশালী দুআ
হাসবিয়া আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুওয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া-হুওয়া রাব্বু আল-আরশি আল-আঈম । এই দোয়াটি কোরানে এসেছে। মহান আল্লাহ বলেন, যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বল, আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। তিনি ব্যতীত কোন সত্য উপাস্য নেই, আমি তাঁর উপরই ভরসা করি এবং তিনি মহান আরশের অধিপতি।
কিভাবে বুঝবো দুআ কবুল হয়েছে?
এখানে কিছু নিয়ম রয়েছে যার দ্বারা আপনি আল্লাহ তায়ালার দুআ কবুলের লক্ষণগুলি বুঝতে পারবেন: ধৈর্য এবং অধ্যবসায় : আল্লাহ তায়ালা প্রজ্ঞা এবং কল্যাণ অনুসারে উত্তর দেন, তাই আপনার দুআ কবুল হওয়ার জন্য ধৈর্য ধরতে হবে। আপনাকে আপনার দোয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে এবং আল্লাহর রাজত্বে সন্তুষ্ট থাকতে হবে।
কার দুআ কবুল হয়?
আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “তিনটি আছে যাদের দুআ প্রত্যাখ্যান করা হয় নাঃ ন্যায়পরায়ণ শাসক, রোযাদার যখন ইফতার করে এবং সালাত আদায় করে। নির্যাতিত ব্যক্তি ।
ছোট কিন্তু শক্তিশালী দুআ কোনটি?
সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত কিন্তু শক্তিশালী দুআ। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চাচা আল-আব্বাস (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে বললেনঃ ইয়া রাসুলুল্লাহ, আমাকে একটি দুআ শেখান। আলুকা আল আফিয়াহ" (হে আল্লাহ আমি তোমার কাছে আফিয়া চাই)।
ছোট দুআ
আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল-আম্নি ওয়াল-ইমান ওয়াস-সালামতি ওয়াল-ইসলাম । রাব্বি ওয়া রাব্বুকা আল্লাহ। হে আল্লাহ, এটাকে শান্তি ও ঈমান, নিরাপত্তা ও ইসলামে পরিপূর্ণ করে দিন। আমার ও তোমাদের রব আল্লাহ।
দোয়া ইউনুস প্রতিদিন ১০০০ বার পাঠের ফজিলত
তার জন্য সব রকম কল্যাণের দ্বার খুলে দেন। শয়তানের প্ররোচনা থেকে তাকে রক্ষা করেন। এ দোয়া এক লাখ পঁচিশ হাজার বার পড়লে (যেটা খতমে ইউনুস হিসেবে পরিচিত) সব ধরনের অপকার থেকে রক্ষা, বিপদ-আপদ থেকে দূরে থাকা, রোগ-শোক থেকে রক্ষা পাওয়া যায় বলে বিভিন্ন বর্ণনায় রয়েছে।
মানুষের জন্য দোয়া ইউনুস-এর ফজিলত ও গুরুত্ব অনেক বেশি। এ দোয়ার সঠিক আমলে মানুষ দুনিয়ায় যাবতীয় বিপদ-আপদ থেকে উপকার পায়। হাদিসে দোয়া ইউনুস-এর ফজিলত ও উপকারিতা তুলে ধরা হয়েছে। আবার সমাজেও দোয়া ইউনুস পড়ার কিংবা খতম করার প্রচলন রয়েছে। যদিও অনেকে এ ব্যাপারে মতবিরোধ করেছেন।
দোয়া ইউনুস-এর পরিচয়
আল্লাহর পয়গাম্বর হজরত ইউনুস আলাইহিস সালাম দেশ ত্যাগ করে চলে যাওয়ার সময় নদীতে ঝাঁপ দিলে তিনি মাছের পেটে বন্দি হন। এ অবস্থায় বিপদে পড়ে তিনি মহান আল্লাহর কাছে যে দোয়া পড়েন আর সে দোয়ার বরকতে আল্লাহ তাকে মহাবিপদ থেকে উদ্ধার করেছিলেন, তাই দোয়া ইউনুছ। আর তাহলো-
দোয়া ইউনুস এর আরবি উচ্চারণ ও বাংলা অর্থ
لَا إِلَـٰهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লা আংতা, সুবহানাকা ইন্নি কুংতু মিনাজ জ্বালিমিন।
অর্থ : তুমি ব্যতীত সত্য কোনো উপাস্য নেই; তুমি পুতঃপবিত্র, নিশ্চয় আমি জালিমদের দলভুক্ত।
দোয়া ইউনুস-এর উপকারিতা ফজিলত
- আল্লাহ তাআলা মুমিন মুসলমানের জন্য সে ঘটনা ও এ ফজিলতপূর্ণ দোয়াটি তুলে ধরে বলেন-
وَذَا النُّونِ إِذ ذَّهَبَ مُغَاضِبًا فَظَنَّ أَن لَّن نَّقْدِرَ عَلَيْهِ فَنَادَىٰ فِي الظُّلُمَاتِ أَن لَّا إِلَـٰهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ - فَاسْتَجَبْنَا لَهُ وَنَجَّيْنَاهُ مِنَ الْغَمِّ ۚ وَكَذَٰلِكَ نُنجِي الْمُؤْمِنِينَ
আর মাছ ওয়ালার (ইউনুস আলাইহিস সালাম) কথা স্মরণ করুন। তিনি রাগ করে চলে গিয়েছিলেন। অতঃপর মনে করেছিলেন যে, আমি তাঁকে ধরতে পারব না। অতঃপর তিনি অন্ধকারের মধ্যে (মাছের পেটে থাকা অবস্থায়) এ কথা বলে আহ্বান করলেন-
لَا إِلَـٰهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
লা ইলাহা ইল্লা আংতা, সুবহানাকা ইন্নি কুংতু মিনাজ জ্বালিমিন।
অর্থ : তুমি ব্যতীত সত্য কোনো উপাস্য নেই; তুমি পুতঃপবিত্র, নিশ্চয় আমি জালিমদের দলভুক্ত।
অতপর আমি তাঁর আহবানে সাড়া দিলাম এবং তাঁকে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিলাম। আমি এমনি ভাবে বিশ্ববাসীদেরকে মুক্তি দিয়ে থাকি। (সুরা আম্বিয়া : আয়াত ৮৭)
আর ইউনুস আলাইহিস সালাম মাছের পেটে বন্দি থাকা অবস্থায় আমাকে ডাকার ফলে যেভাবে তাকে মুক্তি দিয়েছিলাম সেভাবে আমি মুমিনদেরকেও বিপদ থেকে উদ্ধার করব যখন তারা আমার কাছে সাহায্য চায় এবং আমাকে ডাকে।
লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুব্হানাকা ইন্তি কুন্তু মিনাজ জ্বলিমীন এটাই দোয়া ইউনুস। অর্থ : তুমি ব্যতীত সত্য কোনো উপাস্য নেই; তুমি পুতঃপবিত্র, নিশ্চয় আমি জালিমদের দলভুক্ত।
অতঃপর আমি তাঁর আহবানে সাড়া দিলাম এবং তাঁকে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিলাম। আমি এমনিভাবে বিশ্ববাসীদেরকে মুক্তি দিয়ে থাকি।
(সুরা আম্বিয়া: আয়াত ৮৭)
সূরা ইউনুসে রয়েছে আল্লাহর তাওহিদের সুস্পষ্ট ঘোষণা, তার পবিত্রতার ঘোষণা এবং নিজের অপরাধের স্বীকারোক্তি, যে কারণে এটা এত মাহাত্ম্যপূর্ণ হয়েছে। আল্লাহর নবী হজরত ইউনুস (আ.) এই দোয়া পাঠ করেই আল্লাহর রহমতে মাছের পেট থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন।
যদি কেউ দোয়া ইউনুস কয়েকবার পড়ে দোয়া করে তার দোয়া কবুল হয়। কেউ যদি বিপন্ন বা বিপদগ্রস্ত অবস্থায় এই দোয়া পাঠ করে আল্লাহর রহমতে সে বিপদ থেকে উদ্ধার পায়।
কোনো কোনো বুজুর্গ বলেন, সিজদায় গিয়ে ৪০ বার দোয়া ইউনুস পাঠ করে দোয়া করলে আল্লাহ তা কবুল করেন।
আরও বর্ণিত আছে, দৈনিক এক হাজার বার দোয়া ইউনুস পড়লে পদমর্যাদা সমুন্নত হয়, আল্লাহ তার রুজি-রোজগারে সমৃদ্ধি দান করেন, তার দুঃখ-যন্ত্রণা, পেরেশানি, অশান্তি, কষ্ট প্রভৃতি নিবারিত করেন, সকল প্রকার কল্যাণের দ্বার তার জন্য খুলে দেন, শয়তানের প্ররোচনা হতে তাকে রক্ষা করেন।