সূরা আল-যুমার আরবি সহ বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ -Surah Az-Zumar in Bangla Uccharon

সূরা আল-যুমার আরবি সহ বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ 


সূরা আল-যুমার - Surah Az-Zumar (মক্কায় অবতীর্ণ - আয়াত ৭৫)


بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।


1

تَنزِيلُ ٱلْكِتَٰبِ مِنَ ٱللَّهِ ٱلْعَزِيزِ ٱلْحَكِيمِ

তানঝীলুল কিতা-বি মিনাল্লা-হিল ‘আঝীঝিল হাকীম।

কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় আল্লাহর পক্ষ থেকে।


2

إِنَّآ أَنزَلْنَآ إِلَيْكَ ٱلْكِتَٰبَ بِٱلْحَقِّ فَٱعْبُدِ ٱللَّهَ مُخْلِصًا لَّهُ ٱلدِّينَ

ইন্নাআনঝালনাইলাইকাল কিতা-বা বিলহাক্কিফা‘বুদিল্লা-হা মুখলিসাল্লাহুদ্দীন।

আমি আপনার প্রতি এ কিতাব যথার্থরূপে নাযিল করেছি। অতএব, আপনি নিষ্ঠার সাথে আল্লাহর এবাদত করুন।


3

أَلَا لِلَّهِ ٱلدِّينُ ٱلْخَالِصُ وَٱلَّذِينَ ٱتَّخَذُوا۟ مِن دُونِهِۦٓ أَوْلِيَآءَ مَا نَعْبُدُهُمْ إِلَّا لِيُقَرِّبُونَآ إِلَى ٱللَّهِ زُلْفَىٰٓ إِنَّ ٱللَّهَ يَحْكُمُ بَيْنَهُمْ فِى مَا هُمْ فِيهِ يَخْتَلِفُونَ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَهْدِى مَنْ هُوَ كَٰذِبٌ كَفَّارٌ

আলা-লিল্লা-হিদ্দীনুল খা-লিসু ওয়াল্লাযীনাত্তাখাযূমিন দূ নিহীআওলিয়াআ । মানা‘বুদুহুম ইল্লা-লিইউকাররিবূনাইলাল্লা-হি ঝুলফা- ইন্নাল্লাহা ইয়াহকুমুবাইনাহুম ফী মা-হুম ফীহি ইয়াখতালিফূন ইন্নাল্লা-হা লা-ইয়াহদী মান হুওয়া কা-যিবুন কাফ ফা-র।

জেনে রাখুন, নিষ্ঠাপূর্ণ এবাদত আল্লাহরই নিমিত্ত। যারা আল্লাহ ব্যতীত অপরকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করে রেখেছে এবং বলে যে, আমরা তাদের এবাদত এ জন্যেই করি, যেন তারা আমাদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে দেয়। নিশ্চয় আল্লাহ তাদের মধ্যে তাদের পারস্পরিক বিরোধপূর্ণ বিষয়ের ফয়সালা করে দেবেন। আল্লাহ মিথ্যাবাদী কাফেরকে সৎপথে পরিচালিত করেন না।


4

لَّوْ أَرَادَ ٱللَّهُ أَن يَتَّخِذَ وَلَدًا لَّٱصْطَفَىٰ مِمَّا يَخْلُقُ مَا يَشَآءُ سُبْحَٰنَهُۥ هُوَ ٱللَّهُ ٱلْوَٰحِدُ ٱلْقَهَّارُ

লাও আরাদাল্লা-হু আইঁ ইয়াত্তাখিযা ওয়ালাদাল্লাসতাফা-মিম্মা-ইয়াখলুকূমা ইয়াশাউ ছুবহা-নাহূ হুওয়াল্লা-হুল ওয়া-হিদুল কাহহা-র।

আল্লাহ যদি সন্তান গ্রহণ করার ইচ্ছা করতেন, তবে তাঁর সৃষ্টির মধ্য থেকে যা কিছু ইচ্ছা মনোনীত করতেন, তিনি পবিত্র। তিনি আল্লাহ, এক পরাক্রমশালী।


5

خَلَقَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضَ بِٱلْحَقِّ يُكَوِّرُ ٱلَّيْلَ عَلَى ٱلنَّهَارِ وَيُكَوِّرُ ٱلنَّهَارَ عَلَى ٱلَّيْلِ وَسَخَّرَ ٱلشَّمْسَ وَٱلْقَمَرَ كُلٌّ يَجْرِى لِأَجَلٍ مُّسَمًّى أَلَا هُوَ ٱلْعَزِيزُ ٱلْغَفَّٰرُ

খালাকাছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা বিল হাক্কি ইউকাওবিরুল্লাইলা ‘আলান্নাহা-রি ওয়া ইউকাওবিরুন্নাহা-রা ‘আলাল্লাইলি ওয়া ছাখ খারাশশামছা ওয়াল কামারা কুল্লুইঁ ইয়াজরী লিআজালিম মুছাম্মান আলা-হুওয়াল ‘আঝীঝুল গাফফা-র।

তিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে। তিনি রাত্রিকে দিবস দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং তিনি সুর্য ও চন্দ্রকে কাজে নিযুক্ত করেছেন প্রত্যেকেই বিচরণ করে নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত। জেনে রাখুন, তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।


6

خَلَقَكُم مِّن نَّفْسٍ وَٰحِدَةٍ ثُمَّ جَعَلَ مِنْهَا زَوْجَهَا وَأَنزَلَ لَكُم مِّنَ ٱلْأَنْعَٰمِ ثَمَٰنِيَةَ أَزْوَٰجٍ يَخْلُقُكُمْ فِى بُطُونِ أُمَّهَٰتِكُمْ خَلْقًا مِّنۢ بَعْدِ خَلْقٍ فِى ظُلُمَٰتٍ ثَلَٰثٍ ذَٰلِكُمُ ٱللَّهُ رَبُّكُمْ لَهُ ٱلْمُلْكُ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ فَأَنَّىٰ تُصْرَفُونَ

খালাকাকুম মিন নাফছিওঁ ওয়া-হিদাতিন ছুম্মা জা‘আলা মিনহা-ঝাওজাহা-ওয়া আনঝালা লাকুম মিনাল আন‘আ-মি ছামা-নিয়াতা আঝওয়া-জিন ইয়াখলুকুকুম ফী বুতূনি উম্মাহা-তিকুম খাল কাম মিম বা‘দি খালকিন ফী জুলুমা-তিন ছালা-ছিন যালিকুমুল্লা-হু রাব্বুকুম লাহুল মুলকু লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ফাআন্না-তুসরাফূন।

তিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে একই ব্যক্তি থেকে। অতঃপর তা থেকে তার যুগল সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি তোমাদের জন্যে আট প্রকার চতুষ্পদ জন্তু অবতীর্ণ করেছেন। তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের মাতৃগর্ভে পর্যায়ক্রমে একের পর এক ত্রিবিধ অন্ধকারে। তিনি আল্লাহ তোমাদের পালনকর্তা, সাম্রাজ্য তাঁরই। তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। অতএব, তোমরা কোথায় বিভ্রান্ত হচ্ছ?


7

إِن تَكْفُرُوا۟ فَإِنَّ ٱللَّهَ غَنِىٌّ عَنكُمْ وَلَا يَرْضَىٰ لِعِبَادِهِ ٱلْكُفْرَ وَإِن تَشْكُرُوا۟ يَرْضَهُ لَكُمْ وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَىٰ ثُمَّ إِلَىٰ رَبِّكُم مَّرْجِعُكُمْ فَيُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ إِنَّهُۥ عَلِيمٌۢ بِذَاتِ ٱلصُّدُورِ

ইন তাকফুরূফাইন্নাল্লা-হা গানিইয়ুন‘আনকুম ওয়ালা-ইয়ারদা-লি‘ইবা-দিহিল কুফরা, ওয়া ইনতাশকুরূইয়ারদাহু লাকুম ওয়ালা-তাঝিরু ওয়া-ঝিরাতুওঁবিঝরা উখরা- ছু ম্মা ইলা-রাব্বিকুম মার জি‘উকুম ফাইউনাব্বিউকুম বিমা-কনতুম তা‘মালূনা ইন্নাহূ ‘আলীমুম বিযা-তিসসুদূ র।

যদি তোমরা অস্বীকার কর, তবে আল্লাহ তোমাদের থেকে বেপরওয়া। তিনি তাঁর বান্দাদের কাফের হয়ে পড়া পছন্দ করেন না। পক্ষান্তরে যদি তোমরা কৃতজ্ঞ হও, তবে তিনি তোমাদের জন্যে তা পছন্দ করেন। একের পাপ ভার অন্যে বহন করবে না। অতঃপর তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কাছে ফিরে যাবে। তিনি তোমাদেরকে তোমাদের কর্ম সম্বন্ধে অবহিত করবেন। নিশ্চয় তিনি অন্তরের বিষয় সম্পর্কেও অবগত।


8

وَإِذَا مَسَّ ٱلْإِنسَٰنَ ضُرٌّ دَعَا رَبَّهُۥ مُنِيبًا إِلَيْهِ ثُمَّ إِذَا خَوَّلَهُۥ نِعْمَةً مِّنْهُ نَسِىَ مَا كَانَ يَدْعُوٓا۟ إِلَيْهِ مِن قَبْلُ وَجَعَلَ لِلَّهِ أَندَادًا لِّيُضِلَّ عَن سَبِيلِهِۦ قُلْ تَمَتَّعْ بِكُفْرِكَ قَلِيلًا إِنَّكَ مِنْ أَصْحَٰبِ ٱلنَّارِ

ওয়া ইযা-মাছছালইনছা-না দুররুন দা‘আ-রাব্বাহূ মুনীবানইলাইহি ছুম্মা ইযাখাওওয়ালাহূনি‘মাতাম্মিনহু নাছিয়া মা-কা-না ইয়াদ‘ঊইলাইহি মিন কাবলুওয়া জা‘আলা লিল্লা-হি আনদাদালিলইউদিল্লা ‘আন ছাবীলিহী কুল তামাত্তা‘ বিকুফরিকা কালীলান ইন্নাকা মিন আসহা-বিন্না-র।

যখন মানুষকে দুঃখ-কষ্ট স্পর্শ করে, তখন সে একাগ্রচিত্তে তার পালনকর্তাকে ডাকে, অতঃপর তিনি যখন তাকে নেয়ামত দান করেন, তখন সে কষ্টের কথা বিস্মৃত হয়ে যায়, যার জন্যে পূর্বে ডেকেছিল এবং আল্লাহর সমকক্ষ স্থির করে; যাতে করে অপরকে আল্লাহর পথ থেকে বিভ্রান্ত করে। বলুন, তুমি তোমার কুফর সহকারে কিছুকাল জীবনোপভোগ করে নাও। নিশ্চয় তুমি জাহান্নামীদের অন্তর্ভূক্ত।


9

أَمَّنْ هُوَ قَٰنِتٌ ءَانَآءَ ٱلَّيْلِ سَاجِدًا وَقَآئِمًا يَحْذَرُ ٱلْءَاخِرَةَ وَيَرْجُوا۟ رَحْمَةَ رَبِّهِۦ قُلْ هَلْ يَسْتَوِى ٱلَّذِينَ يَعْلَمُونَ وَٱلَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ إِنَّمَا يَتَذَكَّرُ أُو۟لُوا۟ ٱلْأَلْبَٰبِ

আম্মান হুওয়া কা-নিতুন আ-নাআল্লাইলি ছা-জিদাওঁ ওয়া কাইমাইঁ ইয়াহযারুল আখিরাতা ওয়া ইয়ারজূরাহমাতা রাব্বিহী কুল হাল ইয়াছতাবিল্লাযীনা ইয়া‘লামূনা ওয়াল্লাযীনা লা-ইয়া‘লামূনা ইন্নামা-ইয়াতাযাক্কারূ উলুল আলবা-ব।

যে ব্যক্তি রাত্রিকালে সেজদার মাধ্যমে অথবা দাঁড়িয়ে এবাদত করে, পরকালের আশংকা রাখে এবং তার পালনকর্তার রহমত প্রত্যাশা করে, সে কি তার সমান, যে এরূপ করে না; বলুন, যারা জানে এবং যারা জানে না; তারা কি সমান হতে পারে? চিন্তা-ভাবনা কেবল তারাই করে, যারা বুদ্ধিমান।


10

قُلْ يَٰعِبَادِ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ ٱتَّقُوا۟ رَبَّكُمْ لِلَّذِينَ أَحْسَنُوا۟ فِى هَٰذِهِ ٱلدُّنْيَا حَسَنَةٌ وَأَرْضُ ٱللَّهِ وَٰسِعَةٌ إِنَّمَا يُوَفَّى ٱلصَّٰبِرُونَ أَجْرَهُم بِغَيْرِ حِسَابٍ

কুল ইয়া-‘ইবা-দিল্লাযীনা আ-মানুত্তাকূরাব্বাকুম লিল্লাযীনা আহছানূফী হাযিহিদ্দুনইয়া-হাছানাতুওঁ ওয়াআরদুল্লা-হি ওয়া-ছি‘আতুন ইন্নামাইউওয়াফফাসসা-বিরূনা আজরাহুম বিগাইরি হিছা-ব।

বলুন, হে আমার বিশ্বাসী বান্দাগণ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর। যারা এ দুনিয়াতে সৎকাজ করে, তাদের জন্যে রয়েছে পুণ্য। আল্লাহর পৃথিবী প্রশস্ত। যারা সবরকারী, তারাই তাদের পুরস্কার পায় অগণিত।


11

قُلْ إِنِّىٓ أُمِرْتُ أَنْ أَعْبُدَ ٱللَّهَ مُخْلِصًا لَّهُ ٱلدِّينَ

কুল ইন্নীউমিরতুআন আ‘বুদাল্লা-হা মুখলিসাল্লাহুদ্দীন।

বলুন, আমি নিষ্ঠার সাথে আল্লাহর এবাদত করতে আদিষ্ট হয়েছি।


12

وَأُمِرْتُ لِأَنْ أَكُونَ أَوَّلَ ٱلْمُسْلِمِينَ

ওয়া উমিরতুলিআন আকূনা আওওয়ালাল মুছলিমীন।

আরও আদিষ্ট হয়েছি, সর্ব প্রথম নির্দেশ পালনকারী হওয়ার জন্যে।


13

قُلْ إِنِّىٓ أَخَافُ إِنْ عَصَيْتُ رَبِّى عَذَابَ يَوْمٍ عَظِيمٍ

কুল ইন্নীআখা-ফুইন ‘আসাইতুরাববী ‘আযা-বা ইয়াওমিন ‘আজীম।

বলুন, আমি আমার পালনকর্তার অবাধ্য হলে এক মহাদিবসের শাস্তির ভয় করি।


14

قُلِ ٱللَّهَ أَعْبُدُ مُخْلِصًا لَّهُۥ دِينِى

কুল্লিলা-হা আ‘বুদুমুখলিসাল্লাহূদীনী।

বলুন, আমি নিষ্ঠার সাথে আল্লাহ তা’আলারই এবাদত করি।


15

فَٱعْبُدُوا۟ مَا شِئْتُم مِّن دُونِهِۦ قُلْ إِنَّ ٱلْخَٰسِرِينَ ٱلَّذِينَ خَسِرُوٓا۟ أَنفُسَهُمْ وَأَهْلِيهِمْ يَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِ أَلَا ذَٰلِكَ هُوَ ٱلْخُسْرَانُ ٱلْمُبِينُ

ফা‘বুদূমা-শি’তুম মিন দূ নিহী কুল ইন্নাল খা-ছিরীনাল্লাযীনা খাছিরূআনফুছাহুম ওয়া আহলীহিম ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ‘আলা-যা-লিকা হুওয়াল খুছরা-নুল মুবীন।

অতএব, তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যার ইচ্ছা তার এবাদত কর। বলুন, কেয়ামতের দিন তারাই বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যারা নিজেদের ও পরিবারবর্গের তরফ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জেনে রাখ, এটাই সুস্পষ্ট ক্ষতি।


16

لَهُم مِّن فَوْقِهِمْ ظُلَلٌ مِّنَ ٱلنَّارِ وَمِن تَحْتِهِمْ ظُلَلٌ ذَٰلِكَ يُخَوِّفُ ٱللَّهُ بِهِۦ عِبَادَهُۥ يَٰعِبَادِ فَٱتَّقُونِ

লাহুম মিন ফাওকিহিম জু লালুম মিনান্না-রি ওয়া মিন তাহতিহিম জু লালুন যা-লিকা ইউখাওবিফুল্লা-হু বিহী ‘ইবা-দাহূ ইয়া-‘ইবাদি ফাত্তাকূন।

তাদের জন্যে উপর দিক থেকে এবং নীচের দিক থেকে আগুনের মেঘমালা থাকবে। এ শাস্তি দ্বারা আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে সতর্ক করেন যে, হে আমার বান্দাগণ, আমাকে ভয় কর।


17

وَٱلَّذِينَ ٱجْتَنَبُوا۟ ٱلطَّٰغُوتَ أَن يَعْبُدُوهَا وَأَنَابُوٓا۟ إِلَى ٱللَّهِ لَهُمُ ٱلْبُشْرَىٰ فَبَشِّرْ عِبَادِ

ওয়াল্লাযীনাজ তানাবুত্তা-গূতা আইঁ ইয়া‘বুদূ হা-ওয়া আনাবূইল্লাল্লা-হি লাহুমুল বুশরা- ফাবাশশির ‘ইবা-দ।

যারা শয়তানী শক্তির পূজা-অর্চনা থেকে দূরে থাকে এবং আল্লাহ অভিমুখী হয়, তাদের জন্যে রয়েছে সুসংবাদ। অতএব, সুসংবাদ দিন আমার বান্দাদেরকে।


18

ٱلَّذِينَ يَسْتَمِعُونَ ٱلْقَوْلَ فَيَتَّبِعُونَ أَحْسَنَهُۥٓ أُو۟لَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ هَدَىٰهُمُ ٱللَّهُ وَأُو۟لَٰٓئِكَ هُمْ أُو۟لُوا۟ ٱلْأَلْبَٰبِ

আল্লাযীনা ইয়াছতামি‘ঊনাল কাওলা ফাইয়াত্তাবি‘ঊনা আহছানাহূ উলাইকাল্লাযীনা হাদা-হুমুল্লা-হু ওয়া উলাইকা হুম ঊলুল আলবা-ব।

যারা মনোনিবেশ সহকারে কথা শুনে, অতঃপর যা উত্তম, তার অনুসরণ করে। তাদেরকেই আল্লাহ সৎপথ প্রদর্শন করেন এবং তারাই বুদ্ধিমান।


19

أَفَمَنْ حَقَّ عَلَيْهِ كَلِمَةُ ٱلْعَذَابِ أَفَأَنتَ تُنقِذُ مَن فِى ٱلنَّارِ

আফামান হাক্কা ‘আলাইহি কালিমাতুল ‘আযা-ব আফাআনতা তুনকিযুমান ফিন্না-র।

যার জন্যে শাস্তির হুকুম অবধারিত হয়ে গেছে আপনি কি সে জাহান্নামীকে মুক্ত করতে পারবেন?


20

لَٰكِنِ ٱلَّذِينَ ٱتَّقَوْا۟ رَبَّهُمْ لَهُمْ غُرَفٌ مِّن فَوْقِهَا غُرَفٌ مَّبْنِيَّةٌ تَجْرِى مِن تَحْتِهَا ٱلْأَنْهَٰرُ وَعْدَ ٱللَّهِ لَا يُخْلِفُ ٱللَّهُ ٱلْمِيعَادَ

লা-কিনিল্লাযীনাত্তাকাও রাব্বাহুম লাহুম গুরাফুম মিন ফাওকিহা-গুরাফুম মাবনিইয়াতুন তাজরী মিন তাহতিহাল আনহা-রু ওয়া‘দাল্লা-হি লা-ইউখলিফুল্লা-হুল মী‘আদ।

কিন্তু যারা তাদের পালনকর্তাকে ভয় করে, তাদের জন্যে নির্মিত রয়েছে প্রাসাদের উপর প্রাসাদ। এগুলোর তলদেশে নদী প্রবাহিত। আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আল্লাহ প্রতিশ্রুতির খেলাফ করেন না।


21

أَلَمْ تَرَ أَنَّ ٱللَّهَ أَنزَلَ مِنَ ٱلسَّمَآءِ مَآءً فَسَلَكَهُۥ يَنَٰبِيعَ فِى ٱلْأَرْضِ ثُمَّ يُخْرِجُ بِهِۦ زَرْعًا مُّخْتَلِفًا أَلْوَٰنُهُۥ ثُمَّ يَهِيجُ فَتَرَىٰهُ مُصْفَرًّا ثُمَّ يَجْعَلُهُۥ حُطَٰمًا إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَذِكْرَىٰ لِأُو۟لِى ٱلْأَلْبَٰبِ

আলাম তারা আন্নাল্লা-হা আনঝালা মিনাছছামাই মাআন ফাছালাকাহূইয়ানা-বী‘আ ফিল আরদিছুম্মা ইউখরিজূবিহী ঝার‘আম মুখতালিফান আলওয়া-নুহূছু ম্মা ইয়াহীজুফাতারাঁ-হু মুসফাররান ছুম্মা ইয়াজ‘আলুহূহুতা-মা- ইন্না ফী যা-লিকা লাযিকরা-লিঊলিল আলবা-ব।

তুমি কি দেখনি যে, আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছেন, অতঃপর সে পানি যমীনের ঝর্ণাসমূহে প্রবাহিত করেছেন, এরপর তদ্দ্বারা বিভিন্ন রঙের ফসল উৎপন্ন করেন, অতঃপর তা শুকিয়ে যায়, ফলে তোমরা তা পীতবর্ণ দেখতে পাও। এরপর আল্লাহ তাকে খড়-কুটায় পরিণত করে দেন। নিশ্চয় এতে বুদ্ধিমানদের জন্যে উপদেশ রয়েছে।


22

أَفَمَن شَرَحَ ٱللَّهُ صَدْرَهُۥ لِلْإِسْلَٰمِ فَهُوَ عَلَىٰ نُورٍ مِّن رَّبِّهِۦ فَوَيْلٌ لِّلْقَٰسِيَةِ قُلُوبُهُم مِّن ذِكْرِ ٱللَّهِ أُو۟لَٰٓئِكَ فِى ضَلَٰلٍ مُّبِينٍ

আফামান শারাহাল্লা-হু সাদরাহূলিলইছলা-মি ফাহুওয়া ‘আলা-নূরিম মিররাব্বিহী ফাওয়াইলুলিললকা-ছিয়াতি কু লূবুহুম মিন যিকরিল্লা-হি উলাইকা ফী দালা-লিম মুবীন।

আল্লাহ যার বক্ষ ইসলামের জন্যে উম্মুক্ত করে দিয়েছেন, অতঃপর সে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে আগত আলোর মাঝে রয়েছে। (সে কি তার সমান, যে এরূপ নয়) যাদের অন্তর আল্লাহ স্মরণের ব্যাপারে কঠোর, তাদের জন্যে দূর্ভোগ। তারা সুস্পষ্ঠ গোমরাহীতে রয়েছে।


23

ٱللَّهُ نَزَّلَ أَحْسَنَ ٱلْحَدِيثِ كِتَٰبًا مُّتَشَٰبِهًا مَّثَانِىَ تَقْشَعِرُّ مِنْهُ جُلُودُ ٱلَّذِينَ يَخْشَوْنَ رَبَّهُمْ ثُمَّ تَلِينُ جُلُودُهُمْ وَقُلُوبُهُمْ إِلَىٰ ذِكْرِ ٱللَّهِ ذَٰلِكَ هُدَى ٱللَّهِ يَهْدِى بِهِۦ مَن يَشَآءُ وَمَن يُضْلِلِ ٱللَّهُ فَمَا لَهُۥ مِنْ هَادٍ

আল্লা-হু নাঝঝালা আহছানাল হাদীছিকিতা-বাম মুতাশা-বিহাম মাছা-নিয়া তাকশা‘ইররু মিনহু জূলূদুল্লাযীনা ইয়াখশাওনা রাব্বাহুম ছু ম্মা তালীনুজুলূদুহুম ওয়াকু লূবুহুম ইলা-যিকরিল্লা-হি যা-লিকা হুদাল্লা-হি ইয়াহদী বিহী মাইঁ ইয়াশাউ ওয়া মাইঁ ইউদলিলিল্লা-হু ফামা-লাহূমিন হা-দ।

আল্লাহ উত্তম বাণী তথা কিতাব নাযিল করেছেন, যা সামঞ্জস্যপূর্ণ, পূনঃ পূনঃ পঠিত। এতে তাদের লোম কাঁটা দিয়ে উঠে চামড়ার উপর, যারা তাদের পালনকর্তাকে ভয় করে, এরপর তাদের চামড়া ও অন্তর আল্লাহর স্মরণে বিনম্র হয়। এটাই আল্লাহর পথ নির্দেশ, এর মাধ্যমে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথ প্রদর্শন করেন। আর আল্লাহ যাকে গোমরাহ করেন, তার কোন পথপ্রদর্শক নেই।


24

أَفَمَن يَتَّقِى بِوَجْهِهِۦ سُوٓءَ ٱلْعَذَابِ يَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِ وَقِيلَ لِلظَّٰلِمِينَ ذُوقُوا۟ مَا كُنتُمْ تَكْسِبُونَ

আফামাইঁ ইয়াত্তাকী বিওয়াজহিহী ছূআল ‘আযা-ব ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ওয়া কীলা লিজ্জা-লিমীনা যূকূমা-কুনতুম তাকছিবূন।

যে ব্যক্তি কেয়ামতের দিন তার মুখ দ্বারা অশুভ আযাব ঠেকাবে এবং এরূপ জালেমদেরকে বলা হবে, তোমরা যা করতে তার স্বাদ আস্বাদন কর,-সে কি তার সমান, যে এরূপ নয়?


25

كَذَّبَ ٱلَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ فَأَتَىٰهُمُ ٱلْعَذَابُ مِنْ حَيْثُ لَا يَشْعُرُونَ

কাযযাবাল্লাযীনা মিন কাবলিহিম ফাআতা-হুমুল ‘আযা-বুমিন হাইছুলা-ইয়াশ‘ঊরূন।

তাদের পূর্ববর্তীরাও মিথ্যারোপ করেছিল, ফলে তাদের কাছে আযাব এমনভাবে আসল, যা তারা কল্পনাও করত না।


26

فَأَذَاقَهُمُ ٱللَّهُ ٱلْخِزْىَ فِى ٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَا وَلَعَذَابُ ٱلْءَاخِرَةِ أَكْبَرُ لَوْ كَانُوا۟ يَعْلَمُونَ

ফাআযা-কাহুমুল্লা-হুল খিঝইয়া ফিল হায়া-তিদ্দুনইয়া- ওয়ালা ‘আযা-বুল আখিরাতি আকবারু । লাও কা-নূইয়া‘লামূন।

অতঃপর আল্লাহ তাদেরকে পার্থিব জীবনে লাঞ্ছনার স্বাদ আস্বাদন করালেন, আর পরকালের আযাব হবে আরও গুরুতর, যদি তারা জানত!


27

وَلَقَدْ ضَرَبْنَا لِلنَّاسِ فِى هَٰذَا ٱلْقُرْءَانِ مِن كُلِّ مَثَلٍ لَّعَلَّهُمْ يَتَذَكَّرُونَ

ওয়ালাকাদ্দারাবনা-লিন্না-ছি ফীহা-যাল কুরআ-নি মিন কুল্লি মাছালিল লা‘আল্লাহুম ইয়াতাযাক্কারূন।

আমি এ কোরআনে মানুষের জন্যে সব দৃষ্টান্তই বর্ণনা করেছি, যাতে তারা অনুধাবন করে;


28

قُرْءَانًا عَرَبِيًّا غَيْرَ ذِى عِوَجٍ لَّعَلَّهُمْ يَتَّقُونَ

কুরআ-নান ‘আরাবিইয়ান গাইরা যী ‘ইওয়াজিল লা‘আল্লাহুম ইয়াত্তাকূন।

আরবী ভাষায় এ কোরআন বক্রতামুক্ত, যাতে তারা সাবধান হয়ে চলে।


29

ضَرَبَ ٱللَّهُ مَثَلًا رَّجُلًا فِيهِ شُرَكَآءُ مُتَشَٰكِسُونَ وَرَجُلًا سَلَمًا لِّرَجُلٍ هَلْ يَسْتَوِيَانِ مَثَلًا ٱلْحَمْدُ لِلَّهِ بَلْ أَكْثَرُهُمْ لَا يَعْلَمُونَ

দারাবাল্লা-হু মাছালার রাজূলান ফীহি শুরাকাউ মুতাশা-কিছূনা ওয়া রাজূলান ছালামাল লিরাজুলিন হাল ইয়াছতাবিইয়া-নি মাছালান আলহামদুলিল্লা-হি বাল আকছারুহুম লা-ইয়া‘লামূন।

আল্লাহ এক দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেনঃ একটি লোকের উপর পরস্পর বিরোধী কয়জন মালিক রয়েছে, আরেক ব্যক্তির প্রভু মাত্র একজন-তাদের উভয়ের অবস্থা কি সমান? সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর। কিন্তু তাদের অধিকাংশই জানে না।


30

إِنَّكَ مَيِّتٌ وَإِنَّهُم مَّيِّتُونَ

ইন্নাকা মাইয়িতুওঁ ওয়া ইন্নাহুম মাইয়িতূন।

নিশ্চয় তোমারও মৃত্যু হবে এবং তাদেরও মৃত্যু হবে।


31

ثُمَّ إِنَّكُمْ يَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِ عِندَ رَبِّكُمْ تَخْتَصِمُونَ

ছু ম্মা ইন্নাকুম ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ‘ইনদা রাব্বিকুম তাখতাসিমূন।

অতঃপর কেয়ামতের দিন তোমরা সবাই তোমাদের পালনকর্তার সামনে কথা কাটাকাটি করবে।


32

فَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّن كَذَبَ عَلَى ٱللَّهِ وَكَذَّبَ بِٱلصِّدْقِ إِذْ جَآءَهُۥٓ أَلَيْسَ فِى جَهَنَّمَ مَثْوًى لِّلْكَٰفِرِينَ

ফামান আজলামুমিম্মান কাযাবা ‘আলাল্লা-হি ওয়া কাযযাবা বিসসিদকিইযজাআহূ আলাইছা ফী জাহান্নামা মাছওয়ালিললকা-ফিরীন।

যে ব্যক্তি আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা বলে এবং তার কাছে সত্য আগমন করার পর তাকে মিথ্যা সাব্যস্ত করে, তার চেয়ে অধিক যালেম আর কে হবে? কাফেরদের বাসস্থান জাহান্নামে নয় কি?


33

وَٱلَّذِى جَآءَ بِٱلصِّدْقِ وَصَدَّقَ بِهِۦٓ أُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْمُتَّقُونَ

ওয়াল্লাযী জাআ বিসসিদকিওয়া সাদ্দাকা বিহীউলাইকা হুমুল মুত্তাকূন।

যারা সত্য নিয়ে আগমন করছে এবং সত্যকে সত্য মেনে নিয়েছে; তারাই তো খোদাভীরু।


34

لَهُم مَّا يَشَآءُونَ عِندَ رَبِّهِمْ ذَٰلِكَ جَزَآءُ ٱلْمُحْسِنِينَ

লাহুম মা-ইয়াশাঊনা ‘ইনদা রাব্বিহিম যা-লিকা জাঝাউল মুহছিনীন।

তাদের জন্যে পালনকর্তার কাছে তাই রয়েছে, যা তারা চাইবে। এটা সৎকর্মীদের পুরস্কার।


35

لِيُكَفِّرَ ٱللَّهُ عَنْهُمْ أَسْوَأَ ٱلَّذِى عَمِلُوا۟ وَيَجْزِيَهُمْ أَجْرَهُم بِأَحْسَنِ ٱلَّذِى كَانُوا۟ يَعْمَلُونَ

লিইউকাফফিরাল্লা-হু ‘আনহুম আছওয়া আল্লাযী ‘আমিলূওয়া ইয়াজঝিয়াহুম আজরাহুম বিআহছানিল্লাযী কা-নূইয়া‘মালূন।

যাতে আল্লাহ তাদের মন্দ কর্মসমূহ মার্জনা করেন এবং তাদের উত্তম কর্মের পুরস্কার তাদেরকে দান করেন।


36

أَلَيْسَ ٱللَّهُ بِكَافٍ عَبْدَهُۥ وَيُخَوِّفُونَكَ بِٱلَّذِينَ مِن دُونِهِۦ وَمَن يُضْلِلِ ٱللَّهُ فَمَا لَهُۥ مِنْ هَادٍ

আলাইছাল্লা-হু বিকা-ফিন ‘আবদাহূ; ওয়া ইউখাওবিফূনাকা বিল্লাযীনা মিন দূ নিহী ওয়া মাইঁ ইউদলিলিল্লা-হু ফামা-লাহূমিন হা-দ।

আল্লাহ কি তাঁর বান্দার পক্ষে যথেষ্ট নন? অথচ তারা আপনাকে আল্লাহর পরিবর্তে অন্যান্য উপাস্যদের ভয় দেখায়। আল্লাহ যাকে গোমরাহ করেন, তার কোন পথপ্রদর্শক নেই।


37

وَمَن يَهْدِ ٱللَّهُ فَمَا لَهُۥ مِن مُّضِلٍّ أَلَيْسَ ٱللَّهُ بِعَزِيزٍ ذِى ٱنتِقَامٍ

ওয়া মাইঁ ইয়াহদিল্লা-হু ফামা-লাহূমিম মুদিলিলন আলাইছাল্লা-হু বি‘আঝীঝিন যিন তিকাম।

আর আল্লাহ যাকে পথপ্রদর্শন করেন, তাকে পথভ্রষ্টকারী কেউ নেই। আল্লাহ কি পরাক্রমশালী, প্রতিশোধ গ্রহণকারী নন?


38

وَلَئِن سَأَلْتَهُم مَّنْ خَلَقَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضَ لَيَقُولُنَّ ٱللَّهُ قُلْ أَفَرَءَيْتُم مَّا تَدْعُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ إِنْ أَرَادَنِىَ ٱللَّهُ بِضُرٍّ هَلْ هُنَّ كَٰشِفَٰتُ ضُرِّهِۦٓ أَوْ أَرَادَنِى بِرَحْمَةٍ هَلْ هُنَّ مُمْسِكَٰتُ رَحْمَتِهِۦ قُلْ حَسْبِىَ ٱللَّهُ عَلَيْهِ يَتَوَكَّلُ ٱلْمُتَوَكِّلُونَ

ওয়া লাইন ছাআলতাহুম মান খালাকাছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা লাইয়াকূলুন্নাল্লা-হু কুল আফারাআইতুম মা-তাদ‘ঊনা মিন দূ নিল্লা-হি ইন আরা-দানিয়াল্লা-হু বিদুররিন হাল হুন্না কা-শিফা-তুদুররিহীআও আরা-দানী বিরাহমাতিন হাল হুন্না মুমছিকা-তুরাহমাতিহী কুল হাছবিয়াল্লা-হু ‘আলাইহি ইয়াতাওয়াক্কালুল মুতাওয়াক্কিলূন।

যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, আসমান ও যমীন কে সৃষ্টি করেছে? তারা অবশ্যই বলবে-আল্লাহ। বলুন, তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি আল্লাহ আমার অনিষ্ট করার ইচ্ছা করেন, তবে তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাদেরকে ডাক, তারা কি সে অনিষ্ট দূর করতে পারবে? অথবা তিনি আমার প্রতি রহমত করার ইচ্ছা করলে তারা কি সে রহমত রোধ করতে পারবে? বলুন, আমার পক্ষে আল্লাহই যথেষ্ট। নির্ভরকারীরা তাঁরই উপর নির্ভর করে।


39

قُلْ يَٰقَوْمِ ٱعْمَلُوا۟ عَلَىٰ مَكَانَتِكُمْ إِنِّى عَٰمِلٌ فَسَوْفَ تَعْلَمُونَ

কুল ইয়া-কাওমি‘মালূ‘আলা-মাকা-নাতিকুম ইন্নী ‘আ-মিলুন ফাছাওফা তা‘লামূন।

বলুন, হে আমার কওম, তোমরা তোমাদের জায়গায় কাজ কর, আমিও কাজ করছি। সত্ত্বরই জানতে পারবে


40

مَن يَأْتِيهِ عَذَابٌ يُخْزِيهِ وَيَحِلُّ عَلَيْهِ عَذَابٌ مُّقِيمٌ

মাইঁ ইয়া’তীহি ‘আযা-বুইঁ ইউখঝীহি ওয়া ইয়াহিল্লু‘আলাইহি ‘আযা-বুম মুকীম।

কার কাছে অবমাননাকর আযাব এবং চিরস্থায়ী শাস্তি নেমে আসে।


41

إِنَّآ أَنزَلْنَا عَلَيْكَ ٱلْكِتَٰبَ لِلنَّاسِ بِٱلْحَقِّ فَمَنِ ٱهْتَدَىٰ فَلِنَفْسِهِۦ وَمَن ضَلَّ فَإِنَّمَا يَضِلُّ عَلَيْهَا وَمَآ أَنتَ عَلَيْهِم بِوَكِيلٍ

ইন্নাআনঝালনা-‘আলাইকাল কিতা-বা লিন্না-ছি বিলহাক্কি ফামানিহতাদাফালিনাফছিহী ওয়া মান দাল্লা ফাইন্নামা-ইয়াদিল্লু‘আলাইহা- ওয়ামাআনতা ‘আলাইহিম বিওয়াকীল।

আমি আপনার প্রতি সত্য ধর্মসহ কিতাব নাযিল করেছি মানুষের কল্যাণকল্পে। অতঃপর যে সৎপথে আসে, সে নিজের কল্যাণের জন্যেই আসে, আর যে পথভ্রষ্ট হয়, সে নিজেরই অনিষ্টের জন্যে পথভ্রষ্ট হয়। আপনি তাদের জন্যে দায়ী নন।


42

ٱللَّهُ يَتَوَفَّى ٱلْأَنفُسَ حِينَ مَوْتِهَا وَٱلَّتِى لَمْ تَمُتْ فِى مَنَامِهَا فَيُمْسِكُ ٱلَّتِى قَضَىٰ عَلَيْهَا ٱلْمَوْتَ وَيُرْسِلُ ٱلْأُخْرَىٰٓ إِلَىٰٓ أَجَلٍ مُّسَمًّى إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَٰتٍ لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ

আল্লা-হু ইয়াতাওয়াফফাল আনফুছা হীনা মাওতিহা-ওয়াল্লাতী লাম তামুত ফী মানা-মিহা- ফাইউমছিকুল্লাতী কাদা-‘আলাইহাল মাওতা ওয়া ইউরছিলুল উখরাইলাআজালিম মুছাম্মান ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়া-তিল লিকাওমিইঁ ইয়াতাফাক্কারূন।

আল্লাহ মানুষের প্রাণ হরণ করেন তার মৃত্যুর সময়, আর যে মরে না, তার নিদ্রাকালে। অতঃপর যার মৃত্যু অবধারিত করেন, তার প্রাণ ছাড়েন না এবং অন্যান্যদের ছেড়ে দেন এক নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।


43

أَمِ ٱتَّخَذُوا۟ مِن دُونِ ٱللَّهِ شُفَعَآءَ قُلْ أَوَلَوْ كَانُوا۟ لَا يَمْلِكُونَ شَيْـًٔا وَلَا يَعْقِلُونَ

আমিত্তাখাযূমিন দূ নিল্লা-হি শুফা‘আআ কুল আওয়ালাও কা-নূলা-ইয়ামলিকূনা শাইআওঁ ওয়ালা-ইয়া‘কিলূন।

তারা কি আল্লাহ ব্যতীত সুপারিশকারী গ্রহণ করেছে? বলুন, তাদের কোন এখতিয়ার না থাকলেও এবং তারা না বুঝলেও?


44

قُل لِّلَّهِ ٱلشَّفَٰعَةُ جَمِيعًا لَّهُۥ مُلْكُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ ثُمَّ إِلَيْهِ تُرْجَعُونَ

কুল লিল্লা-হিশশাফা-‘আতুজামী‘আন লাহূমুলকুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ছু ম্মা ইলাইহি তুর জা‘ঊন।

বলুন, সমস্ত সুপারিশ আল্লাহরই ক্ষমতাধীন, আসমান ও যমীনে তাঁরই সাম্রাজ্য। অতঃপর তাঁরই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।


45

وَإِذَا ذُكِرَ ٱللَّهُ وَحْدَهُ ٱشْمَأَزَّتْ قُلُوبُ ٱلَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِٱلْءَاخِرَةِ وَإِذَا ذُكِرَ ٱلَّذِينَ مِن دُونِهِۦٓ إِذَا هُمْ يَسْتَبْشِرُونَ

ওয়া ইযা-যুকিরাল্লা-হু ওয়াহদাহুশমাআঝঝাত কুলূবুল্লাযীনা লা-ইউ’মিনূনা বিলআখিরাতি ওয়া ইযা-যুকিরাল্লাযীনা মিন দূ নিহী ইযা-হুম ইয়াছতাবশিরূন।

যখন খাঁটিভাবে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয়, তখন যারা পরকালে বিশ্বাস করে না, তাদের অন্তর সংকুচিত হয়ে যায়, আর যখন আল্লাহ ব্যতীত অন্য উপাস্যদের নাম উচ্চারণ করা হয়, তখন তারা আনন্দে উল্লসিত হয়ে উঠে।


46

قُلِ ٱللَّهُمَّ فَاطِرَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ عَٰلِمَ ٱلْغَيْبِ وَٱلشَّهَٰدَةِ أَنتَ تَحْكُمُ بَيْنَ عِبَادِكَ فِى مَا كَانُوا۟ فِيهِ يَخْتَلِفُونَ

কুল্লিলা-হুম্মা ফা-তিরাছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি‘আ-লিমাল গাইবি ওয়াশশাহা-দাতি আনতা তাহকুমুবাইনা ‘ইবা-দিকা ফী মা-কা-নূফীহি ইয়াখতালিফূন।

বলুন, হে আল্লাহ আসমান ও যমীনের স্রষ্টা, দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞানী, আপনিই আপনার বান্দাদের মধ্যে ফয়সালা করবেন, যে বিষয়ে তারা মত বিরোধ করত।


47

وَلَوْ أَنَّ لِلَّذِينَ ظَلَمُوا۟ مَا فِى ٱلْأَرْضِ جَمِيعًا وَمِثْلَهُۥ مَعَهُۥ لَٱفْتَدَوْا۟ بِهِۦ مِن سُوٓءِ ٱلْعَذَابِ يَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِ وَبَدَا لَهُم مِّنَ ٱللَّهِ مَا لَمْ يَكُونُوا۟ يَحْتَسِبُونَ

ওয়ালাও আন্না লিল্লাযীনা জালামূমা-ফিল আরদিজামী‘আওঁ ওয়া মিছলাহূমা‘আহূ লাফতাদাও বিহী মিন ছূইল ‘আযা-বি ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ওয়া বাদা-লাহুম মিনাল্লা-হি মা-লাম ইয়াকূনূইয়াহতাছিবূন

যদি গোনাহগারদের কাছে পৃথিবীর সবকিছু থাকে এবং তার সাথে সমপরিমাণ আরও থাকে, তবে অবশ্যই তারা কেয়ামতের দিন সে সবকিছুই নিস্কৃতি পাওয়ার জন্যে মুক্তিপন হিসেবে দিয়ে দেবে। অথচ তারা দেখতে পাবে, আল্লাহর পক্ষ থেকে এমন শাস্তি, যা তারা কল্পনাও করত না।


48

وَبَدَا لَهُمْ سَيِّـَٔاتُ مَا كَسَبُوا۟ وَحَاقَ بِهِم مَّا كَانُوا۟ بِهِۦ يَسْتَهْزِءُونَ

ওয়া বাদা-লাহুম ছাইয়িআ-তুমা-কাছাবূওয়াহা-কা বিহিম মা-কা-নূবিহী ইয়াছতাহঝিঊন।

আর দেখবে, তাদের দুস্কর্মসমূহ এবং যে বিষয়ে তারা ঠাট্টা-বিদ্রুপ করত, তা তাদেরকে ঘিরে নেবে।


49

فَإِذَا مَسَّ ٱلْإِنسَٰنَ ضُرٌّ دَعَانَا ثُمَّ إِذَا خَوَّلْنَٰهُ نِعْمَةً مِّنَّا قَالَ إِنَّمَآ أُوتِيتُهُۥ عَلَىٰ عِلْمٍۭ بَلْ هِىَ فِتْنَةٌ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَهُمْ لَا يَعْلَمُونَ

ফাইযা-মাছছাল ইনছা-না দুররুন দা‘আ-না- ছু ম্মা ইযা-খাওওয়ালনা-হু নি‘মাতাম মিন্না- কা-লা ইন্নামাঊতীতুহূ‘আলা-‘ইলমিম বাল হিয়া ফিতনাতুওঁ ওয়ালা-কিন্না আকছারাহুম লা-ইয়া‘লামূন।

মানুষকে যখন দুঃখ-কষ্ট স্পর্শ করে, তখন সে আমাকে ডাকতে শুরু করে, এরপর আমি যখন তাকে আমার পক্ষ থেকে নেয়ামত দান করি, তখন সে বলে, এটা তো আমি পূর্বের জানা মতেই প্রাপ্ত হয়েছি। অথচ এটা এক পরীক্ষা, কিন্তু তাদের অধিকাংশই বোঝে না।


50

قَدْ قَالَهَا ٱلَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ فَمَآ أَغْنَىٰ عَنْهُم مَّا كَانُوا۟ يَكْسِبُونَ

কাদ কা-লাহাল্লাযীনা মিন কাবলিহিম ফামাআগনা-‘আনহুম মা-কা-নূইয়াকছিবূন।

তাদের পূর্ববর্তীরাও তাই বলত, অতঃপর তাদের কৃতকর্ম তাদের কোন উপকারে আসেনি।


51

فَأَصَابَهُمْ سَيِّـَٔاتُ مَا كَسَبُوا۟ وَٱلَّذِينَ ظَلَمُوا۟ مِنْ هَٰٓؤُلَآءِ سَيُصِيبُهُمْ سَيِّـَٔاتُ مَا كَسَبُوا۟ وَمَا هُم بِمُعْجِزِينَ

ফাআসা-বাহুম ছাইয়িআ-তুমা-কাছাবূ ওয়াল্লাযীনা জালামূমিন হাউলাই ছাইউসীবুহুম ছাইয়িআ-তুমা-কাছাবূ ওয়া মা-হুম বিমু‘জিঝীন।

তাদের দুস্কর্ম তাদেরকে বিপদে ফেলেছে, এদের মধ্যেও যারা পাপী, তাদেরকেও অতি সত্ত্বর তাদের দুস্কর্ম বিপদে ফেলবে। তারা তা প্রতিহত করতে সক্ষম হবে না।


52

أَوَلَمْ يَعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ يَبْسُطُ ٱلرِّزْقَ لِمَن يَشَآءُ وَيَقْدِرُ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَٰتٍ لِّقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ

আওয়ালাম ইয়া‘লামূআন্নাল্লা-হা ইয়াবছুতু র রিঝকালিমাইঁ ইয়াশাউ ওয়াইয়াকদিরু ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়া-তিল লিকাওমিইঁ ইউ’মিনূন।

তারা কি জানেনি যে, আল্লাহ যার জন্যে ইচ্ছা রিযিক বৃদ্ধি করেন এবং পরিমিত দেন। নিশ্চয় এতে বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।


53

قُلْ يَٰعِبَادِىَ ٱلَّذِينَ أَسْرَفُوا۟ عَلَىٰٓ أَنفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا۟ مِن رَّحْمَةِ ٱللَّهِ إِنَّ ٱللَّهَ يَغْفِرُ ٱلذُّنُوبَ جَمِيعًا إِنَّهُۥ هُوَ ٱلْغَفُورُ ٱلرَّحِيمُ

কুল ইয়া-‘ইবা-দিয়াল্লাযীনা আছরাফূ‘আলাআনফুছিহিম লা-তাকনাতূমির রাহমাতিল্লাহি ইন্নাল্লা-হা ইয়াগফিরুয যুনূবা জামী‘আন ইন্নাহূহুওয়াল গাফূরুর রাহীম।

বলুন, হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।


54

وَأَنِيبُوٓا۟ إِلَىٰ رَبِّكُمْ وَأَسْلِمُوا۟ لَهُۥ مِن قَبْلِ أَن يَأْتِيَكُمُ ٱلْعَذَابُ ثُمَّ لَا تُنصَرُونَ

ওয়া আনীবূইলা-রাব্বিকুম ওয়া আছলিমূলাহূমিন কাবলি আইঁ ইয়া’তিয়াকুমুল ‘আযা-বু ছু ম্মা লা-তুনসারূন।

তোমরা তোমাদের পালনকর্তার অভিমূখী হও এবং তাঁর আজ্ঞাবহ হও তোমাদের কাছে আযাব আসার পূর্বে। এরপর তোমরা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে না;


55

وَٱتَّبِعُوٓا۟ أَحْسَنَ مَآ أُنزِلَ إِلَيْكُم مِّن رَّبِّكُم مِّن قَبْلِ أَن يَأْتِيَكُمُ ٱلْعَذَابُ بَغْتَةً وَأَنتُمْ لَا تَشْعُرُونَ

ওয়াত্তাবি‘ঊআহছানা মাউনঝিলা ইলাকুম মির রাব্বিকুম মিন কাবলি আইঁ ইয়া’তিয়াকুমুল ‘আযা-বুবাগতাতাওঁ ওয়া আনতুম লা-তাশ‘ঊরূন।

তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ উত্তম বিষয়ের অনুসরণ কর তোমাদের কাছে অতর্কিতে ও অজ্ঞাতসারে আযাব আসার পূর্বে,


56

أَن تَقُولَ نَفْسٌ يَٰحَسْرَتَىٰ عَلَىٰ مَا فَرَّطتُ فِى جَنۢبِ ٱللَّهِ وَإِن كُنتُ لَمِنَ ٱلسَّٰخِرِينَ

আন তাকূলা নাফছুইঁ ইয়া-হাছরাতা-‘আলা-মা-ফাররাত্তুফী জামবিল্লা-হি ওয়া ইন কুনতু লামিনাছ ছা-খিরীন।

যাতে কেউ না বলে, হায়, হায়, আল্লাহ সকাশে আমি কর্তব্যে অবহেলা করেছি এবং আমি ঠাট্টা-বিদ্রুপকারীদের অন্তর্ভূক্ত ছিলাম।


57

أَوْ تَقُولَ لَوْ أَنَّ ٱللَّهَ هَدَىٰنِى لَكُنتُ مِنَ ٱلْمُتَّقِينَ

আও তাকূলা লাও আন্নাল্লা-হা হাদা-নী লাকুনতুমিনাল মুত্তাকীন।

অথবা না বলে, আল্লাহ যদি আমাকে পথপ্রদর্শন করতেন, তবে অবশ্যই আমি পরহেযগারদের একজন হতাম।


58

أَوْ تَقُولَ حِينَ تَرَى ٱلْعَذَابَ لَوْ أَنَّ لِى كَرَّةً فَأَكُونَ مِنَ ٱلْمُحْسِنِينَ

আও তাকূলা হীনা তারাল ‘আযা-বা লাও আন্না লী কাররাতান ফাআকূনা মিনাল মুহছিনীন।

অথবা আযাব প্রত্যক্ষ করার সময় না বলে, যদি কোনরূপে একবার ফিরে যেতে পারি, তবে আমি সৎকর্মপরায়ণ হয়ে যাব।


59

بَلَىٰ قَدْ جَآءَتْكَ ءَايَٰتِى فَكَذَّبْتَ بِهَا وَٱسْتَكْبَرْتَ وَكُنتَ مِنَ ٱلْكَٰفِرِينَ

বালা-কাদ জাআতকা আ-য়া-তী ফাকাযযাবতা বিহা-ওয়াছতাকবারতা ওয়াকুনতা মিনাল কা-ফিরীন।

হাঁ, তোমার কাছে আমার নির্দেশ এসেছিল; অতঃপর তুমি তাকে মিথ্যা বলেছিলে, অহংকার করেছিলে এবং কাফেরদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে গিয়েছিলে।


60

وَيَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِ تَرَى ٱلَّذِينَ كَذَبُوا۟ عَلَى ٱللَّهِ وُجُوهُهُم مُّسْوَدَّةٌ أَلَيْسَ فِى جَهَنَّمَ مَثْوًى لِّلْمُتَكَبِّرِينَ

ওয়া ইয়াওমাল কিয়া-মাতি তারাল্লাযীনা কাযাবূ‘আলাল্লা-হি ঊজূহুহুম মুছওয়াদ্দাতুন আলাইছা ফী জাহান্নামা মাছওয়াল লিলমুতাকাব্বিরীন।

যারা আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করে, কেয়ামতের দিন আপনি তাদের মুখ কাল দেখবেন। অহংকারীদের আবাসস্থল জাহান্নামে নয় কি?


61

وَيُنَجِّى ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ٱتَّقَوْا۟ بِمَفَازَتِهِمْ لَا يَمَسُّهُمُ ٱلسُّوٓءُ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ

ওয়া ইউনাজ্জিল্লা-হুল্লাযীনাত্তাকাও বিমাফা-ঝাতিহিম লা-ইয়ামাছছুহুমুছ ছূউ ওয়ালাহুম ইয়াহঝানূন।

আর যারা শিরক থেকে বেঁচে থাকত, আল্লাহ তাদেরকে সাফল্যের সাথে মুক্তি দেবেন, তাদেরকে অনিষ্ট স্পর্শ করবে না এবং তারা চিন্তিতও হবে না।


62

ٱللَّهُ خَٰلِقُ كُلِّ شَىْءٍ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ وَكِيلٌ

আল্লা-হু খা-লিকুকুল্লি শাইয়িওঁ ওয়া হুওয়া ‘আলা-কুল্লি শাইয়িওঁ ওয়াকীল।

আল্লাহ সর্বকিছুর স্রষ্টা এবং তিনি সবকিছুর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।


63

لَّهُۥ مَقَالِيدُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ وَٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ بِـَٔايَٰتِ ٱللَّهِ أُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْخَٰسِرُونَ

লাহূমাকা-লিদুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়াল্লাযীনা কাফারূবিআ-য়া-তিল্লা-হি উলাইকা হুমুল খা-ছিরূন।

আসমান ও যমীনের চাবি তাঁরই নিকট। যারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে অস্বীকার করে, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত।


64

قُلْ أَفَغَيْرَ ٱللَّهِ تَأْمُرُوٓنِّىٓ أَعْبُدُ أَيُّهَا ٱلْجَٰهِلُونَ

কুল আফাগাইরাল্লা-হি তা’মুরূন্নীআ‘বুদুআইয়ুহাল জা-হিলূন।

বলুন, হে মুর্খরা, তোমরা কি আমাকে আল্লাহ ব্যতীত অন্যের এবাদত করতে আদেশ করছ?


65

وَلَقَدْ أُوحِىَ إِلَيْكَ وَإِلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبْلِكَ لَئِنْ أَشْرَكْتَ لَيَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَلَتَكُونَنَّ مِنَ ٱلْخَٰسِرِينَ

ওয়ালা কাদ ঊহিয়া ইলাইকা ওয়া ইলাল্লাযীনা মিন কাবলিকা লাইন আশরাকতা লাইয়াহবাতান্না ‘আমালুকা ওয়া লাতাকূনান্না মিনাল খা-ছিরীন।

আপনার প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তীদের পতি প্রত্যাদেশ হয়েছে, যদি আল্লাহর শরীক স্থির করেন, তবে আপনার কর্ম নিষ্ফল হবে এবং আপনি ক্ষতিগ্রস্তদের একজন হবেন।


66

بَلِ ٱللَّهَ فَٱعْبُدْ وَكُن مِّنَ ٱلشَّٰكِرِينَ

বালিল্লা-হা ফা‘বুদ ওয়াকুম মিনাশশা-কিরীন।

বরং আল্লাহরই এবাদত করুন এবং কৃতজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত থাকুন।


67

وَمَا قَدَرُوا۟ ٱللَّهَ حَقَّ قَدْرِهِۦ وَٱلْأَرْضُ جَمِيعًا قَبْضَتُهُۥ يَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِ وَٱلسَّمَٰوَٰتُ مَطْوِيَّٰتٌۢ بِيَمِينِهِۦ سُبْحَٰنَهُۥ وَتَعَٰلَىٰ عَمَّا يُشْرِكُونَ

ওয়ামা-কাদারুল্লা-হা হাক্কা কাদরিহী ওয়াল আরদুজামী‘আন কাবদাতুহূ ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ওয়াছ ছামা-ওয়া-তুমাতবিইয়া-তুম বিয়ামীনিহী ছুবহা-নাহূ ওয়া তা‘আ-লা-‘আম্মা-ইউশরিকূন।

তারা আল্লাহকে যথার্থরূপে বোঝেনি। কেয়ামতের দিন গোটা পৃথিবী থাকবে তাঁর হাতের মুঠোতে এবং আসমান সমূহ ভাঁজ করা অবস্থায় থাকবে তাঁর ডান হাতে। তিনি পবিত্র। আর এরা যাকে শরীক করে, তা থেকে তিনি অনেক উর্ধ্বে।


68

وَنُفِخَ فِى ٱلصُّورِ فَصَعِقَ مَن فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَن فِى ٱلْأَرْضِ إِلَّا مَن شَآءَ ٱللَّهُ ثُمَّ نُفِخَ فِيهِ أُخْرَىٰ فَإِذَا هُمْ قِيَامٌ يَنظُرُونَ

ওয়া নুফিখা ফিসসূরি ফাসা‘ইকা মান ফিছছামা-ওয়া-তি ওয়া মান ফিল আরদিইল্লা-মান শাআল্লা-হু ছু ম্মা নুফিখা ফীহি উখরা-ফাইযা-হুম কিয়া-মুইঁ ইয়ানজু রূন।

শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, ফলে আসমান ও যমীনে যারা আছে সবাই বেহুঁশ হয়ে যাবে, তবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন। অতঃপর আবার শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, তৎক্ষণাৎ তারা দন্ডায়মান হয়ে দেখতে থাকবে।


69

وَأَشْرَقَتِ ٱلْأَرْضُ بِنُورِ رَبِّهَا وَوُضِعَ ٱلْكِتَٰبُ وَجِا۟ىٓءَ بِٱلنَّبِيِّۦنَ وَٱلشُّهَدَآءِ وَقُضِىَ بَيْنَهُم بِٱلْحَقِّ وَهُمْ لَا يُظْلَمُونَ

ওয়া আশরাকাতিল আরদু বিনূরি রাব্বিহা- ওয়াউদি‘আল কিতা-বু ওয়াজীআ বিন্নাবিইয়ীনা ওয়াশশুহাদাই ওয়া কুদিয়া বাইনাহুম বিল হাক্কিওয়াহুম লা-ইউজলামূন।

পৃথিবী তার পালনকর্তার নূরে উদ্ভাসিত হবে, আমলনামা স্থাপন করা হবে, পয়গম্বরগণ ও সাক্ষীগণকে আনা হবে এবং সকলের মধ্যে ন্যায় বিচার করা হবে-তাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।


70

وَوُفِّيَتْ كُلُّ نَفْسٍ مَّا عَمِلَتْ وَهُوَ أَعْلَمُ بِمَا يَفْعَلُونَ

ওয়া উফফিয়াত কুল্লুনাফছিম মা-‘আমিলাত ওয়া হুওয়া আ‘লামুবিমা-ইয়াফ‘আলূন।

প্রত্যেকে যা করেছে, তার পূর্ণ প্রতিফল দেয়া হবে। তারা যা কিছু করে, সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবগত।


71

وَسِيقَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓا۟ إِلَىٰ جَهَنَّمَ زُمَرًا حَتَّىٰٓ إِذَا جَآءُوهَا فُتِحَتْ أَبْوَٰبُهَا وَقَالَ لَهُمْ خَزَنَتُهَآ أَلَمْ يَأْتِكُمْ رُسُلٌ مِّنكُمْ يَتْلُونَ عَلَيْكُمْ ءَايَٰتِ رَبِّكُمْ وَيُنذِرُونَكُمْ لِقَآءَ يَوْمِكُمْ هَٰذَا قَالُوا۟ بَلَىٰ وَلَٰكِنْ حَقَّتْ كَلِمَةُ ٱلْعَذَابِ عَلَى ٱلْكَٰفِرِينَ

ওয়া ছীকাল্লাযীনা কাফারূইলা-জাহান্নামা ঝুমারা- হাত্তাইযা-জাঊহাফুতিহাত আবওয়া-বুহা-ওয়া কা-লা লাহুম খাঝানাতুহাআলাম ইয়া’তিকুম রুছুলুম মিনকুম ইয়াতলূনা ‘আলাইকুম আ-য়া-তি রাব্বিকুম ওয়া ইউনযিরূনাকুম লিকাআ ইয়াওমিকুম হাযা- কা-লূবালা-ওয়ালা-কিন হাক্কাত কালিমাতুল ‘আযা-বি ‘আলাল কা-ফিরীন।

কাফেরদেরকে জাহান্নামের দিকে দলে দলে হাঁকিয়ে নেয়া হবে। তারা যখন সেখানে পৌছাবে, তখন তার দরজাসমূহ খুলে দেয়া হবে এবং জাহান্নামের রক্ষীরা তাদেরকে বলবে, তোমাদের কাছে কি তোমাদের মধ্য থেকে পয়গম্বর আসেনি, যারা তোমাদের কাছে তোমাদের পালনকর্তার আয়াতসমূহ আবৃত্তি করত এবং সতর্ক করত এ দিনের সাক্ষাতের ব্যাপারে? তারা বলবে, হ্যাঁ, কিন্তু কাফেরদের প্রতি শাস্তির হুকুমই বাস্তবায়িত হয়েছে।


72

قِيلَ ٱدْخُلُوٓا۟ أَبْوَٰبَ جَهَنَّمَ خَٰلِدِينَ فِيهَا فَبِئْسَ مَثْوَى ٱلْمُتَكَبِّرِينَ

কীলাদখুলূআবওয়া-বা জাহান্নামা খা-লিদীনা ফীহা- ফাবি’ছা মাছওয়াল মুতাকাব্বিরীন।

বলা হবে, তোমরা জাহান্নামের দরজা দিয়ে প্রবেশ কর, সেখানে চিরকাল অবস্থানের জন্যে। কত নিকৃষ্ট অহংকারীদের আবাসস্থল।


73

وَسِيقَ ٱلَّذِينَ ٱتَّقَوْا۟ رَبَّهُمْ إِلَى ٱلْجَنَّةِ زُمَرًا حَتَّىٰٓ إِذَا جَآءُوهَا وَفُتِحَتْ أَبْوَٰبُهَا وَقَالَ لَهُمْ خَزَنَتُهَا سَلَٰمٌ عَلَيْكُمْ طِبْتُمْ فَٱدْخُلُوهَا خَٰلِدِينَ

ওয়াছীকাল্লাযীনাত্তাকাও রাব্বাহুম ইলাল জান্নাতি ঝুমারা- হাত্তাইযা-জাঊহাওয়া ফুতিহাত আবওয়া-বুহা-ওয়াকালা-লাহুম খাঝানাতুহা-ছালা-মুন ‘আলাইকুম তিবতুম ফাদখুলূহা-খা-লিদীন।

যারা তাদের পালনকর্তাকে ভয় করত তাদেরকে দলে দলে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। যখন তারা উম্মুক্ত দরজা দিয়ে জান্নাতে পৌছাবে এবং জান্নাতের রক্ষীরা তাদেরকে বলবে, তোমাদের প্রতি সালাম, তোমরা সুখে থাক, অতঃপর সদাসর্বদা বসবাসের জন্যে তোমরা জান্নাতে প্রবেশ কর।


74

وَقَالُوا۟ ٱلْحَمْدُ لِلَّهِ ٱلَّذِى صَدَقَنَا وَعْدَهُۥ وَأَوْرَثَنَا ٱلْأَرْضَ نَتَبَوَّأُ مِنَ ٱلْجَنَّةِ حَيْثُ نَشَآءُ فَنِعْمَ أَجْرُ ٱلْعَٰمِلِينَ

ওয়া কা-লুল হামদুলিল্লা-হিল্লাযী সাদাকানা-ওয়া‘দাহূওয়া আওরাছানাল আরদা নাতাবাওওয়াউ মিনাল জান্নাতি হাইছুনাশাউ ফানি‘মা আজরুল ‘আ-মিলীন।

তারা বলবে, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদের প্রতি তাঁর ওয়াদা পূর্ণ করেছেন এবং আমাদেরকে এ ভূমির উত্তরাধিকারী করেছেন। আমরা জান্নাতের যেখানে ইচ্ছা বসবাস করব। মেহনতকারীদের পুরস্কার কতই চমৎকার।


75

وَتَرَى ٱلْمَلَٰٓئِكَةَ حَآفِّينَ مِنْ حَوْلِ ٱلْعَرْشِ يُسَبِّحُونَ بِحَمْدِ رَبِّهِمْ وَقُضِىَ بَيْنَهُم بِٱلْحَقِّ وَقِيلَ ٱلْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ ٱلْعَٰلَمِينَ

ওয়া তারাল মালাইকাতা হাফফীনা মিন হাওলিল ‘আরশি ইউছাববিহূ না বিহামদি রাব্বিহিম, ওয়া কুদিয়া বাইনাহুম বিলহাক্কি ওয়াকীলাল হামদুলিল্লা-হি রাব্বিল ‘আলামীন।

আপনি ফেরেশতাগণকে দেখবেন, তারা আরশের চার পাশ ঘিরে তাদের পালনকর্তার পবিত্রতা ঘোষনা করছে। তাদের সবার মাঝে ন্যায় বিচার করা হবে। বলা হবে, সমস্ত প্রশংসা বিশ্বপালক আল্লাহর।


------

Tags:সূরা আয-যুমার বাংলা অনুবাদ, surah az-zumar,bangla​ tafsir​ surah​ az-zumar,tafsir​ surah az-zumar,sura​ az-zumar,surah​ az-zumar tafseer​