সূরা ছোয়াদ আরবি সহ বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ -Surah Sad in Bangla Uccharon

সূরা ছোয়াদ আরবি সহ বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ


সূরা ছোয়াদ - Surah Sad (মক্কায় অবতীর্ণ - আয়াত ৮৮)

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

1

صٓ وَٱلْقُرْءَانِ ذِى ٱلذِّكْرِ

সাদ ওয়াল কুরআ-নি যিযযিকরি।

ছোয়াদ। শপথ উপদেশপূর্ণ কোরআনের,


2

بَلِ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ فِى عِزَّةٍ وَشِقَاقٍ

বালিল্লাযীনা কাফারূফী ‘ইঝঝাতিওঁ ওয়াশিকা-ক।

বরং যারা কাফের, তারা অহংকার ও বিরোধিতায় লিপ্ত।


3

كَمْ أَهْلَكْنَا مِن قَبْلِهِم مِّن قَرْنٍ فَنَادَوا۟ وَّلَاتَ حِينَ مَنَاصٍ

কাম আহলাকনা-মিন কাবলিহিম মিন কারনিন ফানা-দাওঁ ওয়ালা-তাহীনা মানা-স।

তাদের আগে আমি কত জনগোষ্ঠীকে ধ্বংস করেছি, অতঃপর তারা আর্তনাদ করতে শুরু করেছে কিন্তু তাদের নিষ্কৃতি লাভের সময় ছিল না।


4

وَعَجِبُوٓا۟ أَن جَآءَهُم مُّنذِرٌ مِّنْهُمْ وَقَالَ ٱلْكَٰفِرُونَ هَٰذَا سَٰحِرٌ كَذَّابٌ

ওয়া ‘আজিবূআন জাআহুম মুনযিরুম মিনহুম ওয়াকা-লাল কাফিরূনা হা-যা-ছাহিরূন কাযযা-ব।

তারা বিস্ময়বোধ করে যে, তাদেরই কাছে তাদের মধ্যে থেকে একজন সতর্ককারী আগমন করেছেন। আর কাফেররা বলে এ-তো এক মিথ্যাচারী যাদুকর।


5

أَجَعَلَ ٱلْءَالِهَةَ إِلَٰهًا وَٰحِدًا إِنَّ هَٰذَا لَشَىْءٌ عُجَابٌ

আ জা‘আলাল আ-লিহাতা ইলা-হাও ওয়া-হিদান ইন্না হা-যা-লাশাইউন ‘উজা-ব।

সে কি বহু উপাস্যের পরিবর্তে এক উপাস্যের উপাসনা সাব্যস্ত করে দিয়েছে। নিশ্চয় এটা এক বিস্ময়কর ব্যাপার।


6

وَٱنطَلَقَ ٱلْمَلَأُ مِنْهُمْ أَنِ ٱمْشُوا۟ وَٱصْبِرُوا۟ عَلَىٰٓ ءَالِهَتِكُمْ إِنَّ هَٰذَا لَشَىْءٌ يُرَادُ

ওয়ান তালাকাল মালাউ মিনহুম আনিমশূওয়াসবিরূ‘আলাআ-লিহাতিকুম ইন্না হা-যালাশাইয়ুইঁ ইউরা-দ।

তাদের কতিপয় বিশিষ্ট ব্যক্তি একথা বলে প্রস্থান করে যে, তোমরা চলে যাও এবং তোমাদের উপাস্যদের পূজায় দৃঢ় থাক। নিশ্চয়ই এ বক্তব্য কোন বিশেষ উদ্দেশ্যে প্রণোদিত।


7

مَا سَمِعْنَا بِهَٰذَا فِى ٱلْمِلَّةِ ٱلْءَاخِرَةِ إِنْ هَٰذَآ إِلَّا ٱخْتِلَٰقٌ

মা-ছামি‘না-বিহা-যা-ফিল মিল্লাতিল আ-খিরাতি ইন হা-যাইল্লাখ তিলা-ক।

আমরা সাবেক ধর্মে এ ধরনের কথা শুনিনি। এটা মনগড়া ব্যাপার বৈ নয়।


8

أَءُنزِلَ عَلَيْهِ ٱلذِّكْرُ مِنۢ بَيْنِنَا بَلْ هُمْ فِى شَكٍّ مِّن ذِكْرِى بَل لَّمَّا يَذُوقُوا۟ عَذَابِ

আউনঝিলা ‘আলাইহিযযিকরু মিম বাইনিনা- বালহুম ফী শাক্কিম মিন যিকরী বাল লাম্মা-ইয়াযূকূ‘আযা-ব।

আমাদের মধ্য থেকে শুধু কি তারই প্রতি উপদেশ বানী অবতীর্ণ হল? বস্তুতঃ ওরা আমার উপদেশ সম্পর্কে সন্দিহান; বরং ওরা এখনও আমার মার আস্বাদন করেনি।


9

أَمْ عِندَهُمْ خَزَآئِنُ رَحْمَةِ رَبِّكَ ٱلْعَزِيزِ ٱلْوَهَّابِ

আম ‘ইনদাহুম খাঝাইনুরাহমাতি রাব্বিকাল ‘আঝীঝিল ওয়াহহা-ব।

না কি তাদের কাছে আপনার পরাক্রান্ত দয়াবান পালনকর্তার রহমতের কোন ভান্ডার রয়েছে?


10

أَمْ لَهُم مُّلْكُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا فَلْيَرْتَقُوا۟ فِى ٱلْأَسْبَٰبِ

আম লাহুম মুলকুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিওয়ামা-বাইনাহুমা- ফালইয়ারতাকূ ফিল আছবা-ব।

নাকি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর উপর তাদের সাম্রাজ্য রয়েছে? থাকলে তাদের আকাশে আরোহণ করা উচিত রশি ঝুলিয়ে।


11

جُندٌ مَّا هُنَالِكَ مَهْزُومٌ مِّنَ ٱلْأَحْزَابِ

জুনদুম মা-হুনা-লিকা মাহঝূমুম মিনাল আহঝা-ব।

এক্ষেত্রে বহু বাহিনীর মধ্যে ওদেরও এক বাহিনী আছে, যা পরাজিত হবে।


12

كَذَّبَتْ قَبْلَهُمْ قَوْمُ نُوحٍ وَعَادٌ وَفِرْعَوْنُ ذُو ٱلْأَوْتَادِ

কাযযাবাত কাবলাহুম কাওমুনূহিওঁ ওয়া ‘আ-দুওঁ ওয়া ফির‘আওনুযুল আওতা-দ।

তাদের পূর্বেও মিথ্যারোপ করেছিল নূহের সম্প্রদায়, আদ, কীলক বিশিষ্ট ফেরাউন,


13

وَثَمُودُ وَقَوْمُ لُوطٍ وَأَصْحَٰبُ لْـَٔيْكَةِ أُو۟لَٰٓئِكَ ٱلْأَحْزَابُ

ওয়াছামূদুওয়া কাওমুলুতিওঁ ওয়া আসহা-বুল আইকাতি উলাইকাল আহঝা-ব।

সামুদ, লূতের সম্প্রদায় ও আইকার লোকেরা। এরাই ছিল বহু বাহিনী।


14

إِن كُلٌّ إِلَّا كَذَّبَ ٱلرُّسُلَ فَحَقَّ عِقَابِ

ইন কুল্লুন ইল্লা-কাযযাবার রুছুলা ফাহাক্কা ‘ইকা-ব।

এদের প্রত্যেকেই পয়গম্বরগণের প্রতি মিথ্যারোপ করেছে। ফলে আমার আযাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।


15

وَمَا يَنظُرُ هَٰٓؤُلَآءِ إِلَّا صَيْحَةً وَٰحِدَةً مَّا لَهَا مِن فَوَاقٍ

ওয়ামা-ইয়ানজুরু হাউলাই ইল্লা-সাইহাতাওঁ ওয়া-হিদাতাম মা-লাহা-মিন ফাওয়া-ক।

কেবল একটি মহানাদের অপেক্ষা করছে, যাতে দম ফেলার অবকাশ থাকবে না।


16

وَقَالُوا۟ رَبَّنَا عَجِّل لَّنَا قِطَّنَا قَبْلَ يَوْمِ ٱلْحِسَابِ

ওয়া কা-লূরাব্বানা-‘আজ্জিল্লানা-কিত্তানা-কাবলা ইয়াওমিল হিছা-ব।

তারা বলে, হে আমাদের পরওয়ারদেগার, আমাদের প্রাপ্য অংশ হিসাব দিবসের আগেই দিয়ে দাও।


17

ٱصْبِرْ عَلَىٰ مَا يَقُولُونَ وَٱذْكُرْ عَبْدَنَا دَاوُۥدَ ذَا ٱلْأَيْدِ إِنَّهُۥٓ أَوَّابٌ

ইসবির ‘আলা-মা-ইয়াকূলূনা ওয়াযকুর ‘আবদানা-দা-ঊদা যাল আইদি ইন্নাহূআওওয়া-ব।

তারা যা বলে তাতে আপনি সবর করুন এবং আমার শক্তিশালী বান্দা দাউদকে স্মরণ করুন। সে ছিল আমার প্রতি প্রত্যাবর্তনশীল।


18

إِنَّا سَخَّرْنَا ٱلْجِبَالَ مَعَهُۥ يُسَبِّحْنَ بِٱلْعَشِىِّ وَٱلْإِشْرَاقِ

ইন্না-ছাখখারনাল জিবা-লা মা‘আহূইউছাব্বিহনা বিল‘আশিইয়ি ওয়াল ইশরা-ক।

আমি পর্বতমালাকে তার অনুগামী করে দিয়েছিলাম, তারা সকাল-সন্ধ্যায় তার সাথে পবিত্রতা ঘোষণা করত;


19

وَٱلطَّيْرَ مَحْشُورَةً كُلٌّ لَّهُۥٓ أَوَّابٌ

ওয়াত্তাইরা মাহশূরাতান কুল্লুল্লাহূআওওয়া-ব।

আর পক্ষীকুলকেও, যারা তার কাছে সমবেত হত। সবাই ছিল তাঁর প্রতি প্রত্যাবর্তনশীল।


20

وَشَدَدْنَا مُلْكَهُۥ وَءَاتَيْنَٰهُ ٱلْحِكْمَةَ وَفَصْلَ ٱلْخِطَابِ

ওয়া শাদাদ না-মুলকাহূওয়া আ-তাইনা-হুল হিকমাতা ওয়া ফাসলাল খিতা-ব।

আমি তাঁর সাম্রাজ্যকে সুদৃঢ় করেছিলাম এবং তাঁকে দিয়েছিলাম প্রজ্ঞা ও ফয়সালাকারী বাগ্নীতা।


21

وَهَلْ أَتَىٰكَ نَبَؤُا۟ ٱلْخَصْمِ إِذْ تَسَوَّرُوا۟ ٱلْمِحْرَابَ

ওয়া হাল আতা-কা নাবাউল খাসম । ইযতাসাওওয়ারুল মিহরা-ব।

আপনার কাছে দাবীদারদের বৃত্তান্ত পৌছেছে, যখন তারা প্রাচীর ডিঙ্গীয়ে এবাদত খানায় প্রবেশ করেছিল।


22

إِذْ دَخَلُوا۟ عَلَىٰ دَاوُۥدَ فَفَزِعَ مِنْهُمْ قَالُوا۟ لَا تَخَفْ خَصْمَانِ بَغَىٰ بَعْضُنَا عَلَىٰ بَعْضٍ فَٱحْكُم بَيْنَنَا بِٱلْحَقِّ وَلَا تُشْطِطْ وَٱهْدِنَآ إِلَىٰ سَوَآءِ ٱلصِّرَٰطِ

ইযদাখালূ‘আলা-দা-ঊদা ফাফাঝি‘আ মিনহুম কা-লূলা-তাখাফ খাছমা-নি বাগাবা‘দুনা-‘আলা-বা‘দিন ফাহকুম বাইনানা-বিলহাক্কিওয়ালা-তুশতিত ওয়াহদিনাইলা-ছাওয়াইসসিরা-ত।

যখন তারা দাউদের কাছে অনুপ্রবেশ করল, তখন সে সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ল। তারা বললঃ ভয় করবেন না; আমরা বিবদমান দুটি পক্ষ, একে অপরের প্রতি বাড়াবাড়ি করেছি। অতএব, আমাদের মধ্যে ন্যায়বিচার করুন, অবিচার করবেন না। আমাদেরকে সরল পথ প্রদর্শন করুন।


23

إِنَّ هَٰذَآ أَخِى لَهُۥ تِسْعٌ وَتِسْعُونَ نَعْجَةً وَلِىَ نَعْجَةٌ وَٰحِدَةٌ فَقَالَ أَكْفِلْنِيهَا وَعَزَّنِى فِى ٱلْخِطَابِ

ইন্না হা-যাআখী লাহূতিছউওঁ ওয়া তিছ‘ঊনা না‘জাতাওঁ ওয়ালিয়া না‘জাতুওঁ ওয়াহিদাতুন ফাকা-লা আকফিলনীহা-ওয়া ‘আঝঝানী ফিল খিতা-ব।

সে আমার ভাই, সে নিরানব্বই দুম্বার মালিক আর আমি মালিক একটি মাদী দুম্বার। এরপরও সে বলেঃ এটিও আমাকে দিয়ে দাও। সে কথাবার্তায় আমার উপর বল প্রয়োগ করে।


24

قَالَ لَقَدْ ظَلَمَكَ بِسُؤَالِ نَعْجَتِكَ إِلَىٰ نِعَاجِهِۦ وَإِنَّ كَثِيرًا مِّنَ ٱلْخُلَطَآءِ لَيَبْغِى بَعْضُهُمْ عَلَىٰ بَعْضٍ إِلَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّٰلِحَٰتِ وَقَلِيلٌ مَّا هُمْ وَظَنَّ دَاوُۥدُ أَنَّمَا فَتَنَّٰهُ فَٱسْتَغْفَرَ رَبَّهُۥ وَخَرَّ رَاكِعًا وَأَنَابَ ۩

কা-লা লাকাদ জালামাকা বিছুআ-লি না‘জাতিকা ইলা-নি‘আ-জিহী ওয়া ইন্না কাছীরাম মিনাল খুলাতাই লাইয়াবগী বা‘দুহুম ‘আলা-বা‘দিন ইল্লাল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি ওয়া কালীলুম মা-হুম ওয়া জান্না দা-ঊদা আন্নামা-ফাতান্না-হু ফাছতাগফারা রাব্বাহূওয়া খাররা রা -কি‘আওঁ ওয়া আনা-ব (ছিজদাহ-১০)।

দাউদ বললঃ সে তোমার দুম্বাটিকে নিজের দুম্বাগুলোর সাথে সংযুক্ত করার দাবী করে তোমার প্রতি অবিচার করেছে। শরীকদের অনেকেই একে অপরের প্রতি জুলুম করে থাকে। তবে তারা করে না, যারা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ও সৎকর্ম সম্পাদনকারী। অবশ্য এমন লোকের সংখ্যা অল্প। দাউদের খেয়াল হল যে, আমি তাকে পরীক্ষা করছি। অতঃপর সে তার পালনকর্তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করল, সেজদায় লুটিয়ে পড়ল এবং তাঁর দিকে প্রত্যাবর্তন করল।


25

فَغَفَرْنَا لَهُۥ ذَٰلِكَ وَإِنَّ لَهُۥ عِندَنَا لَزُلْفَىٰ وَحُسْنَ مَـَٔابٍ

ফাগাফারনা-লাহূযা-লিকা ওয়া ইন্না লাহু ‘ইনদানা-লাঝুলফা-ওয়া হুছনা মাআ-ব।

আমি তার সে অপরাধ ক্ষমা করলাম। নিশ্চয় আমার কাছে তার জন্যে রয়েছে উচ্চ মর্তবা ও সুন্দর আবাসস্থল।


26

يَٰدَاوُۥدُ إِنَّا جَعَلْنَٰكَ خَلِيفَةً فِى ٱلْأَرْضِ فَٱحْكُم بَيْنَ ٱلنَّاسِ بِٱلْحَقِّ وَلَا تَتَّبِعِ ٱلْهَوَىٰ فَيُضِلَّكَ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِ إِنَّ ٱلَّذِينَ يَضِلُّونَ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِ لَهُمْ عَذَابٌ شَدِيدٌۢ بِمَا نَسُوا۟ يَوْمَ ٱلْحِسَابِ

ইয়া-দা-ঊদুইন্না-জা‘আলনা-কা খালীফাতান ফিল আরদিফাহকুম বাইনান্না-ছি বিলহাক্কি ওয়ালা-তাত্তাবি‘ইল হাওয়া-ফাইউদিল্লাকা ‘আন ছাবীলিল্লা-হি ইন্নাল্লাযীনা ইয়াদিল্লুনা ‘আন ছাবীলিল্লা-হি লাহুম ‘আযা-বুন শাদীদুম বিমা-নাছূইয়াওমাল হিছা-ব।

হে দাউদ! আমি তোমাকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছি, অতএব, তুমি মানুষের মাঝে ন্যায়সঙ্গতভাবে রাজত্ব কর এবং খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করো না। তা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করে দেবে। নিশ্চয় যারা আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত হয়, তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি, এ কারণে যে, তারা হিসাবদিবসকে ভূলে যায়।


27

وَمَا خَلَقْنَا ٱلسَّمَآءَ وَٱلْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا بَٰطِلًا ذَٰلِكَ ظَنُّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ فَوَيْلٌ لِّلَّذِينَ كَفَرُوا۟ مِنَ ٱلنَّارِ

ওয়ামা-খালাকনাছ ছামাআ ওয়াল আরদা ওয়ামা-বাইনাহুমা-বা-তিলান যা-লিকা জান্নুল্লাযীনা কাফারূ ফাওয়াইলুলিলল্লাযীনা কাফারূমিনান্না-র।

আমি আসমান-যমীন ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী কোন কিছু অযথা সৃষ্টি করিনি। এটা কাফেরদের ধারণা। অতএব, কাফেরদের জন্যে রয়েছে দূর্ভোগ অর্থাৎ জাহান্নাম।


28

أَمْ نَجْعَلُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّٰلِحَٰتِ كَٱلْمُفْسِدِينَ فِى ٱلْأَرْضِ أَمْ نَجْعَلُ ٱلْمُتَّقِينَ كَٱلْفُجَّارِ

আম নাজ‘আলুল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি কালমুফছিদীনা ফিল আরদি আম নাজ‘আলুল মুত্তাকীনা কালফুজ্জা-র ।

আমি কি বিশ্বাসী ও সৎকর্মীদেরকে পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টিকারী কাফেরদের সমতুল্য করে দেব? না খোদাভীরুদেরকে পাপাচারীদের সম্মান করে দেব।


29

كِتَٰبٌ أَنزَلْنَٰهُ إِلَيْكَ مُبَٰرَكٌ لِّيَدَّبَّرُوٓا۟ ءَايَٰتِهِۦ وَلِيَتَذَكَّرَ أُو۟لُوا۟ ٱلْأَلْبَٰبِ

কিতা-বুন আনঝালনা-হুইলাইকামুবা-রাকুল লিইয়াদ্দাব্বারূআ-য়া-তিহী ওয়া লিইয়াতাযাক্কারা উলুল আলবা-ব।

এটি একটি বরকতময় কিতাব, যা আমি আপনার প্রতি বরকত হিসেবে অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতসূহ লক্ষ্য করে এবং বুদ্ধিমানগণ যেন তা অনুধাবন করে।


30

وَوَهَبْنَا لِدَاوُۥدَ سُلَيْمَٰنَ نِعْمَ ٱلْعَبْدُ إِنَّهُۥٓ أَوَّابٌ

ওয়া ওয়াহাবনা-লিদা-ঊদা ছুলাইমা-না নি‘মাল ‘আবদু; ইন্নাহূআওওয়া-ব।

আমি দাউদকে সোলায়মান দান করেছি। সে একজন উত্তম বান্দা। সে ছিল প্রত্যাবর্তনশীল।


31

إِذْ عُرِضَ عَلَيْهِ بِٱلْعَشِىِّ ٱلصَّٰفِنَٰتُ ٱلْجِيَادُ

ইয‘উরিদা ‘আলাইহি বিল ‘আশিইয়িসসা-ফিনা-তুল জিয়া-দ।

যখন তার সামনে অপরাহ্নে উৎকৃষ্ট অশ্বরাজি পেশ করা হল,


32

فَقَالَ إِنِّىٓ أَحْبَبْتُ حُبَّ ٱلْخَيْرِ عَن ذِكْرِ رَبِّى حَتَّىٰ تَوَارَتْ بِٱلْحِجَابِ

ফাকা-লা ইন্নীআহবাবতুহুব্বাল খাইরি ‘আন যিকরি রাববী হাত্তা-তাওয়া-রাত বিলহিজা-ব।

তখন সে বললঃ আমি তো আমার পরওয়ারদেগারের স্মরণে বিস্মৃত হয়ে সম্পদের মহব্বতে মুগ্ধ হয়ে পড়েছি-এমনকি সূর্য ডুবে গেছে।


33

رُدُّوهَا عَلَىَّ فَطَفِقَ مَسْحًۢا بِٱلسُّوقِ وَٱلْأَعْنَاقِ

রুদ্দূহা-‘আলাইইয়া ফাতাফিকা মাছহাম বিছছূকিওয়াল আ‘না-ক।

এগুলোকে আমার কাছে ফিরিয়ে আন। অতঃপর সে তাদের পা ও গলদেশ ছেদন করতে শুরু করল।


34

وَلَقَدْ فَتَنَّا سُلَيْمَٰنَ وَأَلْقَيْنَا عَلَىٰ كُرْسِيِّهِۦ جَسَدًا ثُمَّ أَنَابَ

ওয়া লাকাদ ফাতান্না-ছুলাইমা-না ওয়া আলকাইনা-‘আলা-কুরছিইয়িহী জাছাদান ছু ম্মা আনা-ব।

আমি সোলায়মানকে পরীক্ষা করলাম এবং রেখে দিলাম তার সিংহাসনের উপর একটি নিস্প্রাণ দেহ। অতঃপর সে রুজু হল।


35

قَالَ رَبِّ ٱغْفِرْ لِى وَهَبْ لِى مُلْكًا لَّا يَنۢبَغِى لِأَحَدٍ مِّنۢ بَعْدِىٓ إِنَّكَ أَنتَ ٱلْوَهَّابُ

কা-লা রাব্বিগ ফিরলী ওয়া হাবলী মুলকাল লা-ইয়ামবাগী লিআহাদিম মিম বা‘দী ইন্নাকা আনতাল ওয়াহহা-ব।

সোলায়মান বললঃ হে আমার পালনকর্তা, আমাকে মাফ করুন এবং আমাকে এমন সাম্রাজ্য দান করুন যা আমার পরে আর কেউ পেতে পারবে না। নিশ্চয় আপনি মহাদাতা।


36

فَسَخَّرْنَا لَهُ ٱلرِّيحَ تَجْرِى بِأَمْرِهِۦ رُخَآءً حَيْثُ أَصَابَ

ফাছাখখারনা-লাহুররীহা তাজরী বিআমরিহী রুখাআন হাইছুআসা-ব।

তখন আমি বাতাসকে তার অনুগত করে দিলাম, যা তার হুকুমে অবাধে প্রবাহিত হত যেখানে সে পৌছাতে চাইত।


37

وَٱلشَّيَٰطِينَ كُلَّ بَنَّآءٍ وَغَوَّاصٍ

ওয়াশশায়া-তীনা কুল্লা বান্নাইওঁ ওয়া গাওওয়াছ।

আর সকল শয়তানকে তার অধীন করে দিলাম অর্থৎ, যারা ছিল প্রাসাদ নির্মাণকারী ও ডুবুরী।


38

وَءَاخَرِينَ مُقَرَّنِينَ فِى ٱلْأَصْفَادِ

ওয়া আ-খারীনা মুকাররানীনা ফিল আসফা-দ।

এবং অন্য আরও অনেককে অধীন করে দিলাম, যারা আবদ্ধ থাকত শৃঙ্খলে।


39

هَٰذَا عَطَآؤُنَا فَٱمْنُنْ أَوْ أَمْسِكْ بِغَيْرِ حِسَابٍ

হা-যা-‘আতাউনা-ফামনুন আও আমছিক বিগাইরি হিছা-ব।

এগুলো আমার অনুগ্রহ, অতএব, এগুলো কাউকে দাও অথবা নিজে রেখে দাও-এর কোন হিসেব দিতে হবে না।


40

هَٰذَا عَطَآؤُنَا فَٱمْنُنْ أَوْ أَمْسِكْ بِغَيْرِ حِسَابٍ

হা-যা-‘আতাউনা-ফামনুন আও আমছিক বিগাইরি হিছা-ব।

এগুলো আমার অনুগ্রহ, অতএব, এগুলো কাউকে দাও অথবা নিজে রেখে দাও-এর কোন হিসেব দিতে হবে না।


41

وَإِنَّ لَهُۥ عِندَنَا لَزُلْفَىٰ وَحُسْنَ مَـَٔابٍ

ওয়া ইন্না লাহূ‘ইনদানা-লাঝুলফা-ওয়াহুছনা মাআ-ব।

নিশ্চয় তার জন্যে আমার কাছে রয়েছে মর্যাদা ও শুভ পরিণতি।


42

وَٱذْكُرْ عَبْدَنَآ أَيُّوبَ إِذْ نَادَىٰ رَبَّهُۥٓ أَنِّى مَسَّنِىَ ٱلشَّيْطَٰنُ بِنُصْبٍ وَعَذَابٍ

ওয়াযকুর ‘আবদানাআইইঊব । ইযনা-দা-রাব্বাহূআন্নী মাছছানিয়াশ শায়তা-নু বিনুসবিওঁ ওয়া ‘আযা-ব।

স্মরণ করুণ, আমার বান্দা আইয়্যুবের কথা, যখন সে তার পালনকর্তাকে আহবান করে বললঃ শয়তান আমাকে যন্ত্রণা ও কষ্ট পৌছিয়েছে।


43

ٱرْكُضْ بِرِجْلِكَ هَٰذَا مُغْتَسَلٌۢ بَارِدٌ وَشَرَابٌ

উরকুদবিরিজলিকা হা-যা-মুগতাছালুম বা-রিদুওঁ ওয়া শারা-ব।

তুমি তোমার পা দিয়ে ভূমিতে আঘাত কর। ঝরণা নির্গত হল গোসল করার জন্যে শীতল ও পান করার জন্যে।


44

وَوَهَبْنَا لَهُۥٓ أَهْلَهُۥ وَمِثْلَهُم مَّعَهُمْ رَحْمَةً مِّنَّا وَذِكْرَىٰ لِأُو۟لِى ٱلْأَلْبَٰبِ

ওয়া ওয়াহাবনা- লাহূআহলাহূওয়া মিছলাহুম মা‘আহুম রাহমাতাম মিন্না- ওয়াযিকরালিঊলিল আলবা-ব।

আমি তাকে দিলাম তার পরিজনবর্গ ও তাদের মত আরও অনেক আমার পক্ষ থেকে রহমতস্বরূপ এবং বুদ্ধিমানদের জন্যে উপদেশস্বরূপ।


45

وَخُذْ بِيَدِكَ ضِغْثًا فَٱضْرِب بِّهِۦ وَلَا تَحْنَثْ إِنَّا وَجَدْنَٰهُ صَابِرًا نِّعْمَ ٱلْعَبْدُ إِنَّهُۥٓ أَوَّابٌ

ওয়া খুযবিয়াদিকা দিগছান ফাদরিব্বিহী ওয়ালা-তাহনাছ ইন্না-ওয়াজাদনা-হু সাবিরান নি‘মাল ‘আবদু ইন্নাহূআওওয়া-ব।

তুমি তোমার হাতে এক মুঠো তৃণশলা নাও, তদ্বারা আঘাত কর এবং শপথ ভঙ্গ করো না। আমি তাকে পেলাম সবরকারী। চমৎকার বান্দা সে। নিশ্চয় সে ছিল প্রত্যাবর্তনশীল।


46

وَٱذْكُرْ عِبَٰدَنَآ إِبْرَٰهِيمَ وَإِسْحَٰقَ وَيَعْقُوبَ أُو۟لِى ٱلْأَيْدِى وَٱلْأَبْصَٰرِ

ওয়াযকুর ‘ইবা-দানাইবরা-হীমা ওয়া ইছহা-কাওয়াইয়া‘কূ বা ঊলিল আইদী ওয়াল আবসা-র।

স্মরণ করুন, হাত ও চোখের অধিকারী আমার বান্দা ইব্রাহীম, ইসহাক ও ইয়াকুবের কথা।


47

إِنَّآ أَخْلَصْنَٰهُم بِخَالِصَةٍ ذِكْرَى ٱلدَّارِ

ইন্নাআখলাসনা-হুম বিখা-লিসাতিন যিকরাদ্দা-র।

আমি তাদের এক বিশেষ গুণ তথা পরকালের স্মরণ দ্বারা স্বাতন্ত্র্য দান করেছিলাম।


48

وَإِنَّهُمْ عِندَنَا لَمِنَ ٱلْمُصْطَفَيْنَ ٱلْأَخْيَارِ

ওয়া ইন্নাহুম ‘ইনদানা-লামিনাল মুছতাফাইনাল আখইয়া-র।

আর তারা আমার কাছে মনোনীত ও সৎলোকদের অন্তর্ভুক্ত।


49

وَٱذْكُرْ إِسْمَٰعِيلَ وَٱلْيَسَعَ وَذَا ٱلْكِفْلِ وَكُلٌّ مِّنَ ٱلْأَخْيَارِ

ওয়াযকুর ইছমা-‘ঈলা ওয়াল ইয়াছা‘আ ওয়াযাল কিফলি ওয়া কুল্লুম মিনাল আখইয়া-র।

স্মরণ করুণ, ইসমাঈল, আল ইয়াসা ও যুলকিফলের কথা। তারা প্রত্যেকেই গুনীজন।


50

هَٰذَا ذِكْرٌ وَإِنَّ لِلْمُتَّقِينَ لَحُسْنَ مَـَٔابٍ

হা-যা-যিকরুওঁ ওয়া ইন্না লিলমুত্তাকীনা লাহুছনা মাআ-ব।

এ এক মহৎ আলোচনা। খোদাভীরুদের জন্যে রয়েছে উত্তম ঠিকানা-


51

مُتَّكِـِٔينَ فِيهَا يَدْعُونَ فِيهَا بِفَٰكِهَةٍ كَثِيرَةٍ وَشَرَابٍ

মুত্তাকিঈনা ফীহা-ইয়াদ‘ঊনা ফীহা-বিফা-কিহাতিন কাছীরাতিওঁ ওয়া শারা-ব।

সেখানে তারা হেলান দিয়ে বসবে। তারা সেখানে চাইবে অনেক ফল-মূল ও পানীয়।


52

وَعِندَهُمْ قَٰصِرَٰتُ ٱلطَّرْفِ أَتْرَابٌ

ওয়া ‘ইনদাহুম কা-সিরা-তুত্তারফি আতরা-ব।

তাদের কাছে থাকবে আনতনয়না সমবয়স্কা রমণীগণ।


53

هَٰذَا مَا تُوعَدُونَ لِيَوْمِ ٱلْحِسَابِ

হা-যা-মা-তূ‘আদূনা লিইয়াওমিল হিছা-ব।

তোমাদেরকে এরই প্রতিশ্রুতি দেয়া হচ্ছে বিচার দিবসের জন্যে।


54

إِنَّ هَٰذَا لَرِزْقُنَا مَا لَهُۥ مِن نَّفَادٍ

ইন্না হা-যা-লারিঝকূনা-মা লাহূমিন নাফা-দ।

এটা আমার দেয়া রিযিক যা শেষ হবে না।


55

هَٰذَا وَإِنَّ لِلطَّٰغِينَ لَشَرَّ مَـَٔابٍ

হা-যা- ওয়া ইন্না লিত্তা-গীনা লাশাররা মাআ-ব।

এটাতো শুনলে, এখন দুষ্টদের জন্যে রয়েছে নিকৃষ্ট ঠিকানা


56

جَهَنَّمَ يَصْلَوْنَهَا فَبِئْسَ ٱلْمِهَادُ

জাহান্নামা ইয়াসলাওনাহা- ফাবি’ছাল মিহা-দ।

তথা জাহান্নাম। তারা সেখানে প্রবেশ করবে। অতএব, কত নিকৃষ্ট সেই আবাস স্থল।


57

هَٰذَا فَلْيَذُوقُوهُ حَمِيمٌ وَغَسَّاقٌ

হা-যা- ফাল ইয়াযূকূহু হামীমুওঁগাছছা-ক।

এটা উত্তপ্ত পানি ও পঁূজ; অতএব তারা একে আস্বাদন করুক।


58

وَءَاخَرُ مِن شَكْلِهِۦٓ أَزْوَٰجٌ

ওয়া আ-খারু মিন শাকলিহী আঝওয়া-জ।

এ ধরনের আরও কিছু শাস্তি আছে।


59

هَٰذَا فَوْجٌ مُّقْتَحِمٌ مَّعَكُمْ لَا مَرْحَبًۢا بِهِمْ إِنَّهُمْ صَالُوا۟ ٱلنَّارِ

হা-যা-ফাওজুম মুকতাহিমুম মা‘আকুম লা-মারহাবাম বিহিম ইন্নাহুম সা-লুন্নার।

এই তো একদল তোমাদের সাথে প্রবেশ করছে। তাদের জন্যে অভিনন্দন নেই তারা তো জাহান্নামে প্রবেশ করবে


60

قَالُوا۟ بَلْ أَنتُمْ لَا مَرْحَبًۢا بِكُمْ أَنتُمْ قَدَّمْتُمُوهُ لَنَا فَبِئْسَ ٱلْقَرَارُ

কা-লূবাল আনতুম লা-মার হাবম বিকুম আনতুম কাদ্দামতুমূহু লানা- ফাবি’ছাল কারা-র।

তারা বলবে, তোমাদের জন্যে ও তো অভিনন্দন নেই। তোমরাই আমাদেরকে এ বিপদের সম্মুখীন করেছ। অতএব, এটি কতই না ঘৃণ্য আবাসস্থল।


61

قَالُوا۟ رَبَّنَا مَن قَدَّمَ لَنَا هَٰذَا فَزِدْهُ عَذَابًا ضِعْفًا فِى ٱلنَّارِ

কা-লূরাব্বানা-মান কাদ্দামা লানা-হা-যা-ফাঝিদহু ‘আযা-বান দি‘ফান ফিন্না-র।

তারা বলবে, হে আমাদের পালনকর্তা, যে আমাদেরকে এর সম্মুখীন করেছে, আপনি জাহান্নামে তার শাস্তি দ্বিগুণ করে দিন।


62

وَقَالُوا۟ مَا لَنَا لَا نَرَىٰ رِجَالًا كُنَّا نَعُدُّهُم مِّنَ ٱلْأَشْرَارِ

ওয়া কা-লূমা-লানা-লা-নারা-রিজা-লান কুন্না-না‘উদ্দুহুম মিনাল আশরা-র।

তারা আরও বলবে, আমাদের কি হল যে, আমরা যাদেরকে মন্দ লোক বলে গণ্য করতাম, তাদেরকে এখানে দেখছি না।


63

أَتَّخَذْنَٰهُمْ سِخْرِيًّا أَمْ زَاغَتْ عَنْهُمُ ٱلْأَبْصَٰرُ

আত্তাখাযনা-হুম ছিখরিইয়ান আম ঝা-গাত ‘আনহুম আবসা-র।

আমরা কি অহেতুক তাদেরকে ঠাট্টার পাত্র করে নিয়েছিলাম, না আমাদের দৃষ্টি ভুল করছে?


64

إِنَّ ذَٰلِكَ لَحَقٌّ تَخَاصُمُ أَهْلِ ٱلنَّارِ

ইন্না যা-লিকা লাহাক্কুন তাখা-সুমুআহলিন্না-র।

এটা অর্থাৎ জাহান্নামীদের পারস্পরিক বাক-বিতন্ডা অবশ্যম্ভাবী।


65

قُلْ إِنَّمَآ أَنَا۠ مُنذِرٌ وَمَا مِنْ إِلَٰهٍ إِلَّا ٱللَّهُ ٱلْوَٰحِدُ ٱلْقَهَّارُ

কুল ইন্নামাআনা-মুনযিরুওঁ ওয়া মা-মিন ইলা-হিন ইল্লাল্লা-হুল ওয়া-হিদুল কাহহার।

বলুন, আমি তো একজন সতর্ককারী মাত্র এবং এক পরাক্রমশালী আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই।


66

رَبُّ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا ٱلْعَزِيزُ ٱلْغَفَّٰرُ

রাব্বুছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিওয়ামা-বাইনাহুমাল ‘আঝীঝুল গাফফা-র।

তিনি আসমান-যমীন ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সব কিছুর পালনকর্তা, পরাক্রমশালী, মার্জনাকারী।


67

قُلْ هُوَ نَبَؤٌا۟ عَظِيمٌ

কুল হুওয়া নাবাউন ‘আজীম।

বলুন, এটি এক মহাসংবাদ,


68

أَنتُمْ عَنْهُ مُعْرِضُونَ

আনতুম ‘আনহু মু‘রিদূন।

যা থেকে তোমরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছ।


69

مَا كَانَ لِىَ مِنْ عِلْمٍۭ بِٱلْمَلَإِ ٱلْأَعْلَىٰٓ إِذْ يَخْتَصِمُونَ

মা-কা-না লিয়া মিন ‘ইলমিম বিল মালাইল আ‘লা ইযইয়াখতাসিমূন।

ঊর্ধ্ব জগৎ সম্পর্কে আমার কোন জ্ঞান ছিল না যখন ফেরেশতারা কথাবার্তা বলছিল।


70

إِن يُوحَىٰٓ إِلَىَّ إِلَّآ أَنَّمَآ أَنَا۠ نَذِيرٌ مُّبِينٌ

ইয়ঁইঊহাইলাইয়া ইল্লাআন্নামাআনা নাযীরুম মুবীন।

আমার কাছে এ ওহীই আসে যে, আমি একজন স্পষ্ট সতর্ককারী।


71

إِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلَٰٓئِكَةِ إِنِّى خَٰلِقٌۢ بَشَرًا مِّن طِينٍ

ইযকা-লা রাব্বুকা লিল মালাইকাতি ইন্নী খা-লিকুম বাশারাম মিন তীন।

যখন আপনার পালনকর্তা ফেরেশতাগণকে বললেন, আমি মাটির মানুষ সৃষ্টি করব।


72

فَإِذَا سَوَّيْتُهُۥ وَنَفَخْتُ فِيهِ مِن رُّوحِى فَقَعُوا۟ لَهُۥ سَٰجِدِينَ

ফাইযা-ছাওওয়াইতুহূওয়া নাফাখতুফীহি মিররূহী ফাকা‘ঊ লাহূছা-জিদীন।

যখন আমি তাকে সুষম করব এবং তাতে আমার রূহ ফুঁকে দেব, তখন তোমরা তার সম্মুখে সেজদায় নত হয়ে যেয়ো।


73

فَسَجَدَ ٱلْمَلَٰٓئِكَةُ كُلُّهُمْ أَجْمَعُونَ

ফাছাজাদাল মালাইকাতুকুল্লুহুম আজমা‘ঊন।

অতঃপর সমস্ত ফেরেশতাই একযোগে সেজদায় নত হল,


74

إِلَّآ إِبْلِيسَ ٱسْتَكْبَرَ وَكَانَ مِنَ ٱلْكَٰفِرِينَ

ইল্লাইবলীছ ইছতাকবারা ওয়া কা-না মিনাল কা-ফিরীন।

কিন্তু ইবলীস; সে অহংকার করল এবং অস্বীকারকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল।


75

قَالَ يَٰٓإِبْلِيسُ مَا مَنَعَكَ أَن تَسْجُدَ لِمَا خَلَقْتُ بِيَدَىَّ أَسْتَكْبَرْتَ أَمْ كُنتَ مِنَ ٱلْعَالِينَ

কা-লা ইয়াইবলীছুমা-মানা‘আকা আন তাছজু দা লিমা-খালাকতুবিয়াদাইইয়া আছতাকবারতা আম কুনতা মিনাল ‘আ-লীন।

আল্লাহ বললেন, হে ইবলীস, আমি স্বহস্তে যাকে সৃষ্টি করেছি, তার সম্মুখে সেজদা করতে তোমাকে কিসে বাধা দিল? তুমি অহংকার করলে, না তুমি তার চেয়ে উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন?


76

قَالَ أَنَا۠ خَيْرٌ مِّنْهُ خَلَقْتَنِى مِن نَّارٍ وَخَلَقْتَهُۥ مِن طِينٍ

কা-লা আনা খাইরুম মিনহু খালাকতানী মিন না-রিওঁ ওয়া খালাকতাহূমিন তীন।

সে বললঃ আমি তার চেয়ে উত্তম আপনি আমাকে আগুনের দ্বারা সৃষ্টি করেছেন, আর তাকে সৃষ্টি করেছেন মাটির দ্বারা।


77

قَالَ فَٱخْرُجْ مِنْهَا فَإِنَّكَ رَجِيمٌ

কা-লা ফাখরুজ মিনহা-ফাইন্নাকা রাজীম।

আল্লাহ বললেনঃ বের হয়ে যা, এখান থেকে। কারণ, তুই অভিশপ্ত।


78

وَإِنَّ عَلَيْكَ لَعْنَتِىٓ إِلَىٰ يَوْمِ ٱلدِّينِ

ওয়া ইন্না ‘আলাইকা লা‘নাতী ইলা- ইয়াওমিদ্দীন।

তোর প্রতি আমার এ অভিশাপ বিচার দিবস পর্যন্ত স্থায়ী হবে।


79

قَالَ رَبِّ فَأَنظِرْنِىٓ إِلَىٰ يَوْمِ يُبْعَثُونَ

কা-লা রাব্বি ফাআনজিরনীইলা-ইয়াওমি ইউব‘আছূন।

সে বললঃ হে আমার পালনকর্তা, আপনি আমাকে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত অবকাশ দিন।


80

قَالَ فَإِنَّكَ مِنَ ٱلْمُنظَرِينَ

কা-লা ফাইন্নাকা মিনাল মুনজারীন।

আল্লঅহ বললেনঃ তোকে অবকাশ দেয়া হল।


81

إِلَىٰ يَوْمِ ٱلْوَقْتِ ٱلْمَعْلُومِ

ইলা-ইয়াওমিল ওয়াকতিল মা‘লূম।

সে সময়ের দিন পর্যন্ত যা জানা।


82

قَالَ فَبِعِزَّتِكَ لَأُغْوِيَنَّهُمْ أَجْمَعِينَ

কা-লা ফাবি ‘ইঝঝাতিকা লাউগবিয়ান্নাহুম আজমা‘ঈন।

সে বলল, আপনার ইযযতের কসম, আমি অবশ্যই তাদের সবাইকে বিপথগামী করে দেব।


83

إِلَّا عِبَادَكَ مِنْهُمُ ٱلْمُخْلَصِينَ

ইল্লা-‘ইবা-দাকা মিনহুমুল মুখলাসীন।

তবে তাদের মধ্যে যারা আপনার খাঁটি বান্দা, তাদেরকে ছাড়া।


84

قَالَ فَٱلْحَقُّ وَٱلْحَقَّ أَقُولُ

কা-লা ফালহাক্কু ওয়াল হাক্কা আকূল।

আল্লাহ বললেনঃ তাই ঠিক, আর আমি সত্য বলছি-


85

لَأَمْلَأَنَّ جَهَنَّمَ مِنكَ وَمِمَّن تَبِعَكَ مِنْهُمْ أَجْمَعِينَ

লাআমলাআন্না জাহান্নামা মিনকা ওয়া মিম্মান তাবি‘আকা মিনহুম আজমা‘ঈন।

তোর দ্বারা আর তাদের মধ্যে যারা তোর অনুসরণ করবে তাদের দ্বারা আমি জাহান্নাম পূর্ণ করব।


86

قُلْ مَآ أَسْـَٔلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ وَمَآ أَنَا۠ مِنَ ٱلْمُتَكَلِّفِينَ

কুল মাআছআলুকুম ‘আলাইহি মিন আজরিওঁ ওয়ামাআনা মিনাল মুতাকালিলফীন।

বলুন, আমি তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাই না আর আমি লৌকিকতাকারীও নই।


87

إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ لِّلْعَٰلَمِينَ

ইন হুওয়া ইল্লা-যিকরুলিলল ‘আ-লামীন।

এটা তো বিশ্ববাসীর জন্যে এক উপদেশ মাত্র।


88

وَلَتَعْلَمُنَّ نَبَأَهُۥ بَعْدَ حِينٍۭ

ওয়ালা তা‘লামুন্না নাবাআহূবা‘দা হীন।

তোমরা কিছু কাল পরে এর সংবাদ অবশ্যই জানতে পারবে।


------

Tags: সূরা ৩৮ ছোয়াদ সম্পুর্ণ বাংলা অর্থ সহ আয়াত ১ থেকে ৮৮,  সূরা ছোয়াদ বাংলা অনুবাদ,  সূরা ছোয়াদ বাংলা অর্থ,  Surah Sad in Bangla Uccharon