Surah Ta-ha in Bangla Uccharon-সূরা ত্বোয়া-হা আরবি সহ বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ

সূরা ত্বোয়া-হা আরবি সহ বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ


সূরা ত্বোয়া-হা - Surah Ta-ha (মক্কায় অবতীর্ণ -আয়াত ১৩৫)


بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।


1

طه

তা-হা-

তোয়া-হা


2

مَآ أَنزَلْنَا عَلَيْكَ ٱلْقُرْءَانَ لِتَشْقَىٰٓ

মাআনঝালনা-‘আলাইকাল কুরআ-না লিতাশকা।

আপনাকে ক্লেশ দেবার জন্য আমি আপনার প্রতি কোরআন অবতীর্ণ করিনি।


3

إِلَّا تَذْكِرَةً لِّمَن يَخْشَىٰ

ইল্লা-তাযকিরাতাল লিমাইঁইয়াখশা-।

কিন্তু তাদেরই উপদেশের জন্য যারা ভয় করে।


4

تَنزِيلًا مِّمَّنْ خَلَقَ ٱلْأَرْضَ وَٱلسَّمَٰوَٰتِ ٱلْعُلَى

তানঝীলাম মিম্মান খালাকাল আরদা ওয়াছছামা-ওয়া-তিল ‘ঊলা-।

এটা তাঁর কাছ থেকে অবতীর্ণ, যিনি ভূমন্ডল ও সমুচ্চ নভোমন্ডল সৃষ্টি করেছেন।


5

ٱلرَّحْمَٰنُ عَلَى ٱلْعَرْشِ ٱسْتَوَىٰ

আররাহমা-নু‘আলাল ‘আরশিছ তাওয়া-।

তিনি পরম দয়াময়, আরশে সমাসীন হয়েছেন।


6

لَهُۥ مَا فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِى ٱلْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا وَمَا تَحْتَ ٱلثَّرَىٰ

লাহূ মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদি ওয়ামা- বাইনাহুমা- ওয়ামা তাহতাছছারা-।

নভোমন্ডলে, ভুমন্ডলে, এতদুভয়ের মধ্যবর্তী স্থানে এবং সিক্ত ভূগর্ভে যা আছে, তা তাঁরই।


7

وَإِن تَجْهَرْ بِٱلْقَوْلِ فَإِنَّهُۥ يَعْلَمُ ٱلسِّرَّ وَأَخْفَى

ওয়া ইন তাজহার বিল কাওলি ফাইন্নাহূইয়া‘লামুছছিররা ওয়া আখফা-।

যদি তুমি উচ্চকন্ঠেও কথা বল, তিনি তো গুপ্ত ও তদপেক্ষাও গুপ্ত বিষয়বস্তু জানেন।


8

ٱللَّهُ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ لَهُ ٱلْأَسْمَآءُ ٱلْحُسْنَىٰ

আল্লা-হু লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া লাহুল আছমাউল হুছনা-।

আল্লাহ তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য ইলাহ নেই। সব সৌন্দর্যমন্ডিত নাম তাঁরই।


9

وَهَلْ أَتَىٰكَ حَدِيثُ مُوسَىٰٓ

ওয়াহাল আতা-কা হাদীছুমূছা-।

আপনার কাছে মূসার বৃত্তান্ত পৌঁছেছে কি।


10

إِذْ رَءَا نَارًا فَقَالَ لِأَهْلِهِ ٱمْكُثُوٓا۟ إِنِّىٓ ءَانَسْتُ نَارًا لَّعَلِّىٓ ءَاتِيكُم مِّنْهَا بِقَبَسٍ أَوْ أَجِدُ عَلَى ٱلنَّارِ هُدًى

ইযরাআ-না-রান ফাকা-লা লিআহলিহিম কুছূ দ্মইন্নীআ-নাছতুনা-রাল লা‘আললীআতীকুম মিনহা-বিকাবাছিন আও আজিদু‘আলান না-রি হুদা-।

তিনি যখন আগুন দেখলেন, তখন পরিবারবর্গকে বললেনঃ তোমরা এখানে অবস্থান কর আমি আগুন দেখেছি। সম্ভবতঃ আমি তা থেকে তোমাদের কাছে কিছু আগুন জালিয়ে আনতে পারব অথবা আগুনে পৌছে পথের সন্ধান পাব।


11

فَلَمَّآ أَتَىٰهَا نُودِىَ يَٰمُوسَىٰٓ

ফালাম্মাআতা-হা-নূদিয়া ইয়া-মূছা-।

অতঃপর যখন তিনি আগুনের কাছে পৌছলেন, তখন আওয়াজ আসল হে মূসা,


12

إِنِّىٓ أَنَا۠ رَبُّكَ فَٱخْلَعْ نَعْلَيْكَ إِنَّكَ بِٱلْوَادِ ٱلْمُقَدَّسِ طُوًى

ইন্নীআনা রাব্বুকা ফাখলা‘না‘লাইকা ইন্নাকা বিলওয়া-দিল মুকাদ্দাছি তুওয়া।

আমিই তোমার পালনকর্তা, অতএব তুমি জুতা খুলে ফেল, তুমি পবিত্র উপত্যকা তুয়ায় রয়েছ।


13

وَأَنَا ٱخْتَرْتُكَ فَٱسْتَمِعْ لِمَا يُوحَىٰٓ

ওয়া আনাখ তারতুকা ফাছতামি‘লিমা-ইউহা-।

এবং আমি তোমাকে মনোনীত করেছি, অতএব যা প্রত্যাদেশ করা হচ্ছে, তা শুনতে থাক।


14

إِنَّنِىٓ أَنَا ٱللَّهُ لَآ إِلَٰهَ إِلَّآ أَنَا۠ فَٱعْبُدْنِى وَأَقِمِ ٱلصَّلَوٰةَ لِذِكْرِىٓ

ইন্নানীআনাল্লা-হু লাইলা-হা ইল্লাআনা-ফা‘বুদনী ওয়া আকিমিসসালা-তা লিযিকরী।

আমিই আল্লাহ আমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। অতএব আমার এবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে নামায কায়েম কর।


15

إِنَّ ٱلسَّاعَةَ ءَاتِيَةٌ أَكَادُ أُخْفِيهَا لِتُجْزَىٰ كُلُّ نَفْسٍۭ بِمَا تَسْعَىٰ

ইন্নাছছা-‘আতা আ-তিয়াতুন আকা-দুউখফীহা-লিতুজঝা-কুল্লুনাফছিম বিমা-তাছ‘আ-।

কেয়ামত অবশ্যই আসবে, আমি তা গোপন রাখতে চাই; যাতে প্রত্যেকেই তার কর্মানুযায়ী ফল লাভ করে।


16

فَلَا يَصُدَّنَّكَ عَنْهَا مَن لَّا يُؤْمِنُ بِهَا وَٱتَّبَعَ هَوَىٰهُ فَتَرْدَىٰ

ফালা-ইয়াসুদ্দান্নাকা ‘আনহা-মাল লা-ইউ’মিনুবিহা-ওয়াত্তাবা‘আ হাওয়া-হু ফাতারদা-।

সুতরাং যে ব্যক্তি কেয়ামতে বিশ্বাস রাখে না এবং নিজ খাহেশের অনুসরণ করে, সে যেন তোমাকে তা থেকে নিবৃত্ত না করে। নিবৃত্ত হলে তুমি ধবংস হয়ে যাবে।


17

وَمَا تِلْكَ بِيَمِينِكَ يَٰمُوسَىٰ

ওয়ামা-তিলকা বিইয়ামীনিকা ইয়া-মূছা-।

হে মূসা, তোমার ডানহাতে ওটা কি?


18

قَالَ هِىَ عَصَاىَ أَتَوَكَّؤُا۟ عَلَيْهَا وَأَهُشُّ بِهَا عَلَىٰ غَنَمِى وَلِىَ فِيهَا مَـَٔارِبُ أُخْرَىٰ

কা-লা হিয়া ‘আসা-ইয়া আতাওয়াক্কাউ ‘আলাইহা-ওয়া আহুশশুবিহা-‘আলা-গানামী ওয়ালিয়া ফীহা-মাআ-রিবুউখরা-।

তিনি বললেনঃ এটা আমার লাঠি, আমি এর উপর ভর দেই এবং এর দ্বারা আমার ছাগপালের জন্যে বৃক্ষপত্র ঝেড়ে ফেলি এবং এতে আমার অন্যান্য কাজ ও চলে।


19

قَالَ أَلْقِهَا يَٰمُوسَىٰ

কা-লা আলকিহা-ইয়া-মূছা-।

আল্লাহ বললেনঃ হে মূসা, তুমি ওটা নিক্ষেপ কর।


20

فَأَلْقَىٰهَا فَإِذَا هِىَ حَيَّةٌ تَسْعَىٰ

ফাআলকা-হা-ফাইযা-হিয়া হাইয়াতুন তাছ‘আ-।

অতঃপর তিনি তা নিক্ষেপ করলেন, অমনি তা সাপ হয়ে ছুটাছুটি করতে লাগল।


21

قَالَ خُذْهَا وَلَا تَخَفْ سَنُعِيدُهَا سِيرَتَهَا ٱلْأُولَىٰ

কা-লা খুযহা-ওয়ালা-তাখাফ ছানু‘ঈদুহা-ছীরাতাহাল ঊলা-।

আল্লাহ বললেনঃ তুমি তাকে ধর এবং ভয় করো না, আমি এখনি একে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দেব।


22

وَٱضْمُمْ يَدَكَ إِلَىٰ جَنَاحِكَ تَخْرُجْ بَيْضَآءَ مِنْ غَيْرِ سُوٓءٍ ءَايَةً أُخْرَىٰ

ওয়াদমুম ইয়াদাকা ইলা-জানা-হিকা তাখরুজ বাইদায়া মিন গাইরি ছূইন আ-য়াতান উখরা-।

তোমার হাত বগলে রাখ, তা বের হয়ে আসবে নির্মল উজ্জ্বল হয়ে অন্য এক নিদর্শন রূপে; কোন দোষ ছাড়াই।


23

لِنُرِيَكَ مِنْ ءَايَٰتِنَا ٱلْكُبْرَى

লিনুরিয়াকা মিন আ-য়া-তিনাল কুবরা-।

এটা এজন্যে যে, আমি আমার বিরাট নিদর্শনাবলীর কিছু তোমাকে দেখাই।


24

ٱذْهَبْ إِلَىٰ فِرْعَوْنَ إِنَّهُۥ طَغَىٰ

ইযহাব ইলা -ফির‘আওনা ইন্নাহূতাগা-।

ফেরাউনের নিকট যাও, সে দারুণ উদ্ধত হয়ে গেছে।


25

قَالَ رَبِّ ٱشْرَحْ لِى صَدْرِى

কা-লা রাব্বিশরাহলী সাদরী।

মূসা বললেনঃ হে আমার পালনকর্তা আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দিন।


26

وَيَسِّرْ لِىٓ أَمْرِى

ওয়া ইয়াছছিরলীআমরী।

এবং আমার কাজ সহজ করে দিন।


27

وَٱحْلُلْ عُقْدَةً مِّن لِّسَانِى

ওয়াহলুল ‘উকদাতাম মিলিলছা-নী।

এবং আমার জিহবা থেকে জড়তা দূর করে দিন।


28

يَفْقَهُوا۟ قَوْلِى

ইয়াফকাহূকাওলী।

যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে।


29

وَٱجْعَل لِّى وَزِيرًا مِّنْ أَهْلِى

ওয়াজ‘আললী ওয়াঝীরাম মিন আহলী।

এবং আমার পরিবারবর্গের মধ্য থেকে আমার একজন সাহায্যকারী করে দিন।


30

هَٰرُونَ أَخِى

হা-রূনা আখী।

আমার ভাই হারুনকে।


31

ٱشْدُدْ بِهِۦٓ أَزْرِى

উশদুদ বিহীআঝরী।

তার মাধ্যমে আমার কোমর মজবুত করুন।


32

وَأَشْرِكْهُ فِىٓ أَمْرِى

ওয়া আশরিকহু ফীআমরী।

এবং তাকে আমার কাজে অংশীদার করুন।


33

كَىْ نُسَبِّحَكَ كَثِيرًا

কাই নুছাব্বিহাকা কাছীরা-।

যাতে আমরা বেশী করে আপনার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করতে পারি।


34

وَنَذْكُرَكَ كَثِيرًا

ওয়ানাযকুরাকা কাছীরা-।

এবং বেশী পরিমাণে আপনাকে স্মরণ করতে পারি।


35

إِنَّكَ كُنتَ بِنَا بَصِيرًا

ইন্নাকা কুনতা বিনা-বাসীরা-।

আপনি তো আমাদের অবস্থা সবই দেখছেন।


36

قَالَ قَدْ أُوتِيتَ سُؤْلَكَ يَٰمُوسَىٰ

কা-লা কাদ ঊতীতা ছু’লাকা ইয়া-মূছা-।

আল্লাহ বললেনঃ হে মূসা, তুমি যা চেয়েছ তা তোমাকে দেয়া হল।


37

وَلَقَدْ مَنَنَّا عَلَيْكَ مَرَّةً أُخْرَىٰٓ

ওয়া লাকাদ মানান্না-‘আলাইকা মাররাতান উখরা।

আমি তোমার প্রতি আরও একবার অনুগ্রহ করেছিলাম।


38

إِذْ أَوْحَيْنَآ إِلَىٰٓ أُمِّكَ مَا يُوحَىٰٓ

ইযআওহাইনাইলাউম্মিকা মা-ইউহা।

যখন আমি তোমার মাতাকে নির্দেশ দিয়েছিলাম যা অতঃপর বর্ণিত হচ্ছে।


39

أَنِ ٱقْذِفِيهِ فِى ٱلتَّابُوتِ فَٱقْذِفِيهِ فِى ٱلْيَمِّ فَلْيُلْقِهِ ٱلْيَمُّ بِٱلسَّاحِلِ يَأْخُذْهُ عَدُوٌّ لِّى وَعَدُوٌّ لَّهُۥ وَأَلْقَيْتُ عَلَيْكَ مَحَبَّةً مِّنِّى وَلِتُصْنَعَ عَلَىٰ عَيْنِىٓ

আনিকযিফীহি ফিততা-বূতি ফাকযিফীহি ফিল ইয়াম্মি ফালইউলকিহিল ইয়াম্মুবিছছাহিলি ইয়া’খুযহু ‘আদুওউললী ওয়া ‘আদুওউল্লাহূ ওয়াআলকাইতু‘আলাইকা মাহাব্বাতাম মিন্নী ওয়ালিতুসনা‘আ ‘আলা-‘আইনী।

যে, তুমি (মূসাকে) সিন্দুকে রাখ, অতঃপর তা দরিয়ায় ভাসিয়ে দাও, অতঃপর দরিয়া তাকে তীরে ঠেলে দেবে। তাকে আমার শক্র ও তার শক্র উঠিয়ে নেবে। আমি তোমার প্রতি মহব্বত সঞ্চারিত করেছিলাম আমার নিজের পক্ষ থেকে, যাতে তুমি আমার দৃষ্টির সামনে প্রতি পালিত হও।


40

إِذْ تَمْشِىٓ أُخْتُكَ فَتَقُولُ هَلْ أَدُلُّكُمْ عَلَىٰ مَن يَكْفُلُهُۥ فَرَجَعْنَٰكَ إِلَىٰٓ أُمِّكَ كَىْ تَقَرَّ عَيْنُهَا وَلَا تَحْزَنَ وَقَتَلْتَ نَفْسًا فَنَجَّيْنَٰكَ مِنَ ٱلْغَمِّ وَفَتَنَّٰكَ فُتُونًا فَلَبِثْتَ سِنِينَ فِىٓ أَهْلِ مَدْيَنَ ثُمَّ جِئْتَ عَلَىٰ قَدَرٍ يَٰمُوسَىٰ

ইযতামশীউখতুকা ফাতাকূলুহাল আদুল্লুকুম ‘আলা-মাইঁ ইয়াকফুলুহূ ফারাজা‘না-কা ইলাউম্মিকা কাই তাকাররা ‘আইনুহা-ওয়ালা-তাহঝানা ওয়াকাতালতা নাফছান ফানাজ্জাইনা-কা মিনাল গাম্মি ওয়া ফাতান্না-কা ফুতূনা- ফালাবিছতা ছিনীনা ফী আহলি মাদইয়ানা ছু ম্মা জি’তা ‘আলা-কাদারিইঁ ইয়া-মূছা-।

যখন তোমার ভগিনী এসে বললঃ আমি কি তোমাদেরকে বলে দেব কে তাকে লালন পালন করবে। অতঃপর আমি তোমাকে তোমার মাতার কাছে ফিরিয়ে দিলাম, যাতে তার চক্ষু শীতল হয় এবং দুঃখ না পায়। তুমি এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিলে, অতঃপর আমি তোমাকে এই দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেই; আমি তোমাকে অনেক পরীক্ষা করেছি। অতঃপর তুমি কয়েক বছর মাদইয়ান বাসীদের মধ্যে অবস্থান করেছিলে; হে মূসা, অতঃপর তুমি নির্ধারিত সময়ে এসেছ।


41

وَٱصْطَنَعْتُكَ لِنَفْسِى

ওয়াছতানা‘তুকা লিনাফছী।

এবং আমি তোমাকে আমার নিজের জন্য তৈরী করে নিয়েছি।


42

ٱذْهَبْ أَنتَ وَأَخُوكَ بِـَٔايَٰتِى وَلَا تَنِيَا فِى ذِكْرِى

ইযহাব আনতা ওয়াআখূকা বিআ-য়া-তী ওয়ালা-তানিয়া-ফী যিকরী।

তুমি ও তোমার ভাই আমার নিদর্শনাবলীসহ যাও এবং আমার স্মরণে শৈথিল্য করো না।


43

ٱذْهَبَآ إِلَىٰ فِرْعَوْنَ إِنَّهُۥ طَغَىٰ

ইয হাবা ইলা-ফির‘আওনা ইন্নাহূতাগা-।

তোমরা উভয়ে ফেরআউনের কাছে যাও সে খুব উদ্ধত হয়ে গেছে।


44

فَقُولَا لَهُۥ قَوْلًا لَّيِّنًا لَّعَلَّهُۥ يَتَذَكَّرُ أَوْ يَخْشَىٰ

ফাকূলা-লাহূকাওলাল লাইয়িনাল লা‘আল্লাহূইয়াতাযাক্কারুআও ইয়াখশা-।

অতঃপর তোমরা তাকে নম্র কথা বল, হয়তো সে চিন্তা-ভাবনা করবে অথবা ভীত হবে।


45

قَالَا رَبَّنَآ إِنَّنَا نَخَافُ أَن يَفْرُطَ عَلَيْنَآ أَوْ أَن يَطْغَىٰ

কা-লা রাব্বানাইন্নানা-নাখা-ফুআইঁ ইয়াফরুতা ‘আলাইনাআও আইঁ ইয়াতগা-।

তারা বললঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা আশঙ্কা করি যে, সে আমাদের প্রতি জুলুম করবে কিংবা উত্তেজিত হয়ে উঠবে।


46

قَالَ لَا تَخَافَآ إِنَّنِى مَعَكُمَآ أَسْمَعُ وَأَرَىٰ

কা-লা লা-তাখা-ফাইন্নানী মা‘আকুমাআছমা‘উ ওয়া আরা-।

আল্লাহ বললেনঃ তোমরা ভয় করো না, আমি তোমাদের সাথে আছি, আমি শুনি ও দেখি।


47

فَأْتِيَاهُ فَقُولَآ إِنَّا رَسُولَا رَبِّكَ فَأَرْسِلْ مَعَنَا بَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ وَلَا تُعَذِّبْهُمْ قَدْ جِئْنَٰكَ بِـَٔايَةٍ مِّن رَّبِّكَ وَٱلسَّلَٰمُ عَلَىٰ مَنِ ٱتَّبَعَ ٱلْهُدَىٰٓ

ফা’তিয়া-হু ফাকূলাইন্না-রাছূলা-রাব্বিকা ফাআরছিল মা‘আনা বানি ইসরইলা ওয়ালা তুআজজিবাহুম কাদ জিনাকা বিয়াতিন মিন রাব্বিকা ওয়াস্সালামু আলা মানি য়ুত্যাবাআ য়ুলহুদা

অতএব তোমরা তার কাছে যাও এবং বলঃ আমরা উভয়েই তোমার পালনকর্তার প্রেরিত রসূল, অতএব আমাদের সাথে বনী ইসরাঈলকে যেতে দাও এবং তাদেরকে নিপীড়ন করো না। আমরা তোমার পালনকর্তার কাছ থেকে নিদর্শন নিয়ে তোমার কাছে আগমন করেছি। এবং যে সৎপথ অনুসরণ করে, তার প্রতি শান্তি।


48

إِنَّا قَدْ أُوحِىَ إِلَيْنَآ أَنَّ ٱلْعَذَابَ عَلَىٰ مَن كَذَّبَ وَتَوَلَّىٰ

ইন্না-কাদ ঊহিয়া ইলাইনাআন্নাল ‘আযা-বা ‘আলা-মান কাযযাবা ওয়া তাওয়াল্লা-।

আমরা ওহী লাভ করেছি যে, যে ব্যক্তি মিথ্যারোপ করে এবং মুখ ফিরিয়ে নেয়, তার উপর আযাব পড়বে।


49

قَالَ فَمَن رَّبُّكُمَا يَٰمُوسَىٰ

কা-লা ফামার রাব্বুকুমা-ইয়া-মূছা-।

সে বললঃ তবে হে মূসা, তোমাদের পালনকর্তা কে?


50

قَالَ رَبُّنَا ٱلَّذِىٓ أَعْطَىٰ كُلَّ شَىْءٍ خَلْقَهُۥ ثُمَّ هَدَىٰ

কা-লা রাব্বুনাল্লাযীআ‘তা-কুল্লা শাইয়িন খালকাহূছুম্মা হাদা-।

মূসা বললেনঃ আমাদের পালনকর্তা তিনি, যিনি প্রত্যেক বস্তুকে তার যোগ্য আকৃতি দান করেছেন, অতঃপর পথপ্রদর্শন করেছেন।


51

قَالَ فَمَا بَالُ ٱلْقُرُونِ ٱلْأُولَىٰ

কা-লা ফামা-বা-লুল কুরূনিল ঊলা-।

ফেরাউন বললঃ তাহলে অতীত যুগের লোকদের অবস্থা কি?


52

قَالَ عِلْمُهَا عِندَ رَبِّى فِى كِتَٰبٍ لَّا يَضِلُّ رَبِّى وَلَا يَنسَى

কা-লা ‘ইলমুহা-‘ইনদা রাববী ফী কিতা-বিল লা-ইয়াদিল্লুরাববী ওয়ালা-ইয়ানছা-।

মূসা বললেনঃ তাদের খবর আমার পালনকর্তার কাছে লিখিত আছে। আমার পালনকর্তা ভ্রান্ত হন না এং বিস্মৃতও হন না।


53

ٱلَّذِى جَعَلَ لَكُمُ ٱلْأَرْضَ مَهْدًا وَسَلَكَ لَكُمْ فِيهَا سُبُلًا وَأَنزَلَ مِنَ ٱلسَّمَآءِ مَآءً فَأَخْرَجْنَا بِهِۦٓ أَزْوَٰجًا مِّن نَّبَاتٍ شَتَّىٰ

আল্লাযী জা‘আলা লাকুমুল আরদা মাহদাওঁ ওয়া ছালাকা লাকুম ফীহা ছুবুলাওঁ ওয়া আনঝালা মিনাছছামাই মাআন ফাআখরাজনা-বিহীআঝওয়া-জাম মিন নাবা-তিন শাত্তা-।

তিনি তোমাদের জন্যে পৃথিবীকে শয্যা করেছেন এবং তাতে চলার পথ করেছেন, আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেছেন এবং তা দ্বারা আমি বিভিন্ন প্রকার উদ্ভিদ উৎপন্ন করেছি।


54

كُلُوا۟ وَٱرْعَوْا۟ أَنْعَٰمَكُمْ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَٰتٍ لِّأُو۟لِى ٱلنُّهَىٰ

কুলূওয়ার‘আও আন ‘আ-মাকুম ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়া-তিল লিউলিন নুহা-।

তোমরা আহার কর এবং তোমাদের চতুস্পদ জন্তু চরাও। নিশ্চয় এতে বিবেক বানদের জন্যে নিদর্শন রয়েছে।


55

مِنْهَا خَلَقْنَٰكُمْ وَفِيهَا نُعِيدُكُمْ وَمِنْهَا نُخْرِجُكُمْ تَارَةً أُخْرَىٰ

মিনহা-খালাকনা-কুম ওয়া ফীহা-নু‘ঈদুকুম ওয়ামিনহা-নুখরিজুকুম তা-রাতান উখরা-।

এ মাটি থেকেই আমি তোমাদেরকে সৃজন করেছি, এতেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে দিব এবং পুনরায় এ থেকেই আমি তোমাদেরকে উত্থিত করব।


56

وَلَقَدْ أَرَيْنَٰهُ ءَايَٰتِنَا كُلَّهَا فَكَذَّبَ وَأَبَىٰ

ওয়ালাকাদ আরাইনা-হু আ-য়া-তিনা-কুল্লাহা-ফাকাযযাবা ওয়া আবা-।

আমি ফেরাউনকে আমার সব নিদর্শন দেখিয়ে দিয়েছি, অতঃপর সে মিথ্যা আরোপ করেছে এবং অমান্য করেছে।


57

قَالَ أَجِئْتَنَا لِتُخْرِجَنَا مِنْ أَرْضِنَا بِسِحْرِكَ يَٰمُوسَىٰ

কা-লা আজি‘তানা-লিতুখরিজানা-মিন আরদিনা-বিছিহরিকা ইয়া-মূছা-।

সে বললঃ হে মূসা, তুমি কি যাদুর জোরে আমাদেরকে দেশ থেকে বহিষ্কার করার জন্যে আগমন করেছ?


58

فَلَنَأْتِيَنَّكَ بِسِحْرٍ مِّثْلِهِۦ فَٱجْعَلْ بَيْنَنَا وَبَيْنَكَ مَوْعِدًا لَّا نُخْلِفُهُۥ نَحْنُ وَلَآ أَنتَ مَكَانًا سُوًى

ফালানা’তিয়ান্নাকা বিছিহরিম মিছলিহী ফাজ‘আল বাইনানা-ওয়া বাইনাকা মাও‘ইদাল লানুখলিফুহূনাহনুওয়ালাআনতা মাকা-নান ছুওয়া-।

অতএব, আমরাও তোমার মোকাবেলায় তোমার নিকট অনুরূপ যাদু উপস্থিত করব। সুতরাং আমাদের ও তোমার মধ্যে একটি ওয়াদার দিন ঠিক কর, যার খেলাফ আমরাও করব না এবং তুমিও করবে না একটি পরিষ্কার প্রান্তরে।


59

قَالَ مَوْعِدُكُمْ يَوْمُ ٱلزِّينَةِ وَأَن يُحْشَرَ ٱلنَّاسُ ضُحًى

কা-লা মাও‘ইদুকুম ইয়াওমুঝ ঝীনাতি ওয়া আইঁ ইউহশারান্না-ছুদু হা-।

মূসা বললঃ তোমাদের ওয়াদার দিন উৎসবের দিন এবং পূর্বাহে লোকজন সমবেত হবে।


60

فَتَوَلَّىٰ فِرْعَوْنُ فَجَمَعَ كَيْدَهُۥ ثُمَّ أَتَىٰ

ফাতাওয়াল্লা-ফির‘আওনুফাজামা‘আ কাইদাহূছুম্মা আতা-।

অতঃপর ফেরাউন প্রস্থান করল এবং তার সব কলাকৌশল জমা করল অতঃপর উপস্থিত হল।


61

قَالَ لَهُم مُّوسَىٰ وَيْلَكُمْ لَا تَفْتَرُوا۟ عَلَى ٱللَّهِ كَذِبًا فَيُسْحِتَكُم بِعَذَابٍ وَقَدْ خَابَ مَنِ ٱفْتَرَىٰ

কা-লা লাহুম মূছা-ওয়াইলাকুম লা-তাফতারূ‘আলাল্লা-হি কাযিবান ফাইউছহিতাকুম বি‘আযা-বিওঁ ওয়া কাদ খা-বা মানিফতারা-।

মূসা (আঃ) তাদেরকে বললেনঃ দুর্ভাগ্য তোমাদের; তোমরা আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করো না। তাহলে তিনি তোমাদেরকে আযাব দ্বারা ধবংস করে দেবেন। যে মিথ্যা উদভাবন করে, সেই বিফল মনোরথ হয়েছে।


62

فَتَنَٰزَعُوٓا۟ أَمْرَهُم بَيْنَهُمْ وَأَسَرُّوا۟ ٱلنَّجْوَىٰ

ফাতানা-ঝা‘ঊআমরাহুম বাইনাহুম ওয়া আছাররুন নাজওয়া-।

অতঃপর তারা তাদের কাজে নিজেদের মধ্যে বিতর্ক করল এবং গোপনে পরামর্শ করল।


63

قَالُوٓا۟ إِنْ هَٰذَٰنِ لَسَٰحِرَٰنِ يُرِيدَانِ أَن يُخْرِجَاكُم مِّنْ أَرْضِكُم بِسِحْرِهِمَا وَيَذْهَبَا بِطَرِيقَتِكُمُ ٱلْمُثْلَىٰ

কা-লূইন হা-যা-নি লাছা-হিরা-নি ইউরীদা-নি আইঁ ইউখরিজা-কুমমিনআরদিকুম বিছিহরিহিমা-ওয়া ইয়াযহাবা -বিতারীকাতিকুমুল মুছলা-।

তারা বললঃ এই দুইজন নিশ্চিতই যাদুকর, তারা তাদের যাদু দ্বারা তোমাদেরকে তোমাদের দেশ থেকে বহিস্কার করতে চায় এবং তোমাদের উৎকৃষ্ট জীবন ব্যবস্থা রহিত করতে চায়।


64

فَأَجْمِعُوا۟ كَيْدَكُمْ ثُمَّ ٱئْتُوا۟ صَفًّا وَقَدْ أَفْلَحَ ٱلْيَوْمَ مَنِ ٱسْتَعْلَىٰ

ফাআজমি‘উ কাইদাকুম ছুম্মা’তূসাফফাওঁ ওয়াকাদ আফলাহাল ইয়াওমা মানিছতা‘লা-।

অতএব, তোমরা তোমাদের কলাকৌশল সুসংহত কর, অতঃপর সারিবদ্ধ হয়ে আস। আজ যে জয়ী হবে, সেই সফলকাম হবে।


65

قَالُوا۟ يَٰمُوسَىٰٓ إِمَّآ أَن تُلْقِىَ وَإِمَّآ أَن نَّكُونَ أَوَّلَ مَنْ أَلْقَىٰ

কা-লূইয়া-মূছাইম্মাআন তুলকিয়া ওয়া ইম্মাআন নাকূনা আওয়ালা মান আলকা-।

তারা বললঃ হে মূসা, হয় তুমি নিক্ষেপ কর, না হয় আমরা প্রথমে নিক্ষেপ করি।


66

قَالَ بَلْ أَلْقُوا۟ فَإِذَا حِبَالُهُمْ وَعِصِيُّهُمْ يُخَيَّلُ إِلَيْهِ مِن سِحْرِهِمْ أَنَّهَا تَسْعَىٰ

কা-লা বাল আলকূ,ফাইযা- হিবা-লুহুম ওয়া ‘ইসিইউহুম ইউখাইইয়ালুইলাইহি মিন ছিহরিহিম আন্নাহা-তাছ‘আ-।

মূসা বললেনঃ বরং তোমরাই নিক্ষেপ কর। তাদের যাদুর প্রভাবে হঠাৎ তাঁর মনে হল, যেন তাদের রশিগুলো ও লাঠিগুলো চুটাছুটি করছে।


67

فَأَوْجَسَ فِى نَفْسِهِۦ خِيفَةً مُّوسَىٰ

ফাআওজাছা ফী নাফছিহী খীফাতাম মূছা-।

অতঃপর মূসা মনে মনে কিছুটা ভীতি অনুভব করলেন।


68

قُلْنَا لَا تَخَفْ إِنَّكَ أَنتَ ٱلْأَعْلَىٰ

কুলনা- লা-তাখাফ ইন্নাকা আনতাল আ‘লা-।

আমি বললামঃ ভয় করো না, তুমি বিজয়ী হবে।


69

وَأَلْقِ مَا فِى يَمِينِكَ تَلْقَفْ مَا صَنَعُوٓا۟ إِنَّمَا صَنَعُوا۟ كَيْدُ سَٰحِرٍ وَلَا يُفْلِحُ ٱلسَّاحِرُ حَيْثُ أَتَىٰ

ওয়া আল কিমা-ফী ইয়ামীনিকা তালকাফ মা-সানা‘ঊ ইন্নামা-সানা‘ঊ কাইদুছাহিরিওঁ ওয়ালা-ইউফলিহুছছা-হিরু হাইছুআতা-।

তোমার ডান হাতে যা আছে তুমি তা নিক্ষেপ কর। এটা যা কিছু তারা করেছে তা গ্রাস করে ফেলবে। তারা যা করেছে তা তো কেবল যাদুকরের কলাকৌশল। যাদুকর যেখানেই থাকুক, সফল হবে না।


70

فَأُلْقِىَ ٱلسَّحَرَةُ سُجَّدًا قَالُوٓا۟ ءَامَنَّا بِرَبِّ هَٰرُونَ وَمُوسَىٰ

ফাউলকিয়াছ ছাহারাতুছুজ্জাদান কা-লূআ-মান্না-বিরাব্বি হা-রূনা ওয়া মূছা-।

অতঃপর যাদুকররা সেজদায় পড়ে গেল। তারা বললঃ আমরা হারুন ও মূসার পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলাম।


71

قَالَ ءَامَنتُمْ لَهُۥ قَبْلَ أَنْ ءَاذَنَ لَكُمْ إِنَّهُۥ لَكَبِيرُكُمُ ٱلَّذِى عَلَّمَكُمُ ٱلسِّحْرَ فَلَأُقَطِّعَنَّ أَيْدِيَكُمْ وَأَرْجُلَكُم مِّنْ خِلَٰفٍ وَلَأُصَلِّبَنَّكُمْ فِى جُذُوعِ ٱلنَّخْلِ وَلَتَعْلَمُنَّ أَيُّنَآ أَشَدُّ عَذَابًا وَأَبْقَىٰ

কা-লা আ-মানতুম লাহূ কাবলা আন আ-যানা লাকুম ইন্নাহূ লাকাবীরুকুমুল্লাযী ‘আল্লামাকুমুছ ছিহরা ফালাউকাত্তি‘আন্না আইদিয়াকুম ওয়া আরজুলাকুম মিন খিলা-ফিওঁ ওয়ালা উসালিলবান্নাকুম ফী জুযূ‘ইন নাখলি ওয়ালা তা‘লামুন্না আইঁ ইউনাআশাদ্দু‘আযাবাওঁ ওয়াআবকা-।

ফেরাউন বললঃ আমার অনুমতি দানের পূর্বেই? তোমরা কি তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলে; দেখছি সেই তোমাদের প্রধান, সে তোমাদেরকে যাদু শিক্ষা দিয়েছে। অতএব আমি অবশ্যই তোমাদের হস্তপদ বিপরীত দিক থেকে কর্তন করব এবং আমি তোমাদেরকে খর্জুর বৃক্ষের কান্ডে শূলে চড়াব এবং তোমরা নিশ্চিত রূপেই জানতে পারবে আমাদের মধ্যে কার আযাব কঠোরতর এবং অধিক্ষণ স্থায়ী।


72

قَالُوا۟ لَن نُّؤْثِرَكَ عَلَىٰ مَا جَآءَنَا مِنَ ٱلْبَيِّنَٰتِ وَٱلَّذِى فَطَرَنَا فَٱقْضِ مَآ أَنتَ قَاضٍ إِنَّمَا تَقْضِى هَٰذِهِ ٱلْحَيَوٰةَ ٱلدُّنْيَآ

কা-লূলান নু’ছিরাকা ‘আলা-মা-জাআনা-মিনাল বাইয়িনা-তি ওয়াল্লাযী ফাতারানাফাকদিমাআনতা কা-দিন ইন্নামা-তাকদী হা-যিহিল হায়া-তাদ দুনইয়া-।

যাদুকররা বললঃ আমাদের কাছে যে, সুস্পষ্ট প্রমাণ এসেছে তার উপর এবং যিনি আমাদের কে সৃষ্টি করেছেন, তাঁর উপর আমরা কিছুতেই তোমাকে প্রাধান্য দেব না। অতএব, তুমি যা ইচ্ছা করতে পার। তুমি তো শুধু এই পার্থিব জীবনেই যা করার করবে।


73

إِنَّآ ءَامَنَّا بِرَبِّنَا لِيَغْفِرَ لَنَا خَطَٰيَٰنَا وَمَآ أَكْرَهْتَنَا عَلَيْهِ مِنَ ٱلسِّحْرِ وَٱللَّهُ خَيْرٌ وَأَبْقَىٰٓ

ইন্নাআ-মান্না-বিরাব্বিনা-লিইয়াগফিরালানা-খাতা-ইয়া-না-ওয়ামাআকরাহতানা‘আলাইহি মিনাছছিহরি ওয়াল্লা-হু খাইরুওঁ ওয়া আবকা-।

আমরা আমাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছি যাতে তিনি আমাদের পাপ এবং তুমি আমাদেরকে যে যাদু করতে বাধ্য করেছ, তা মার্জনা করেন। আল্লাহ শ্রেষ্ঠ ও চিরস্থায়ী।


74

إِنَّهُۥ مَن يَأْتِ رَبَّهُۥ مُجْرِمًا فَإِنَّ لَهُۥ جَهَنَّمَ لَا يَمُوتُ فِيهَا وَلَا يَحْيَىٰ

ইন্নাহূমাইঁ ইয়া’তি রাব্বাহূমুজরিমান ফাইন্না লাহূজাহান্নামা লা-ইয়ামূতুফীহা-ওয়ালাইয়াহইয়া-।

শ্চয়ই যে তার পালনকর্তার কাছে অপরাধী হয়ে আসে, তার জন্য রয়েছে জাহান্নাম। সেখানে সে মরবে না এবং বাঁচবেও না।


75

وَمَن يَأْتِهِۦ مُؤْمِنًا قَدْ عَمِلَ ٱلصَّٰلِحَٰتِ فَأُو۟لَٰٓئِكَ لَهُمُ ٱلدَّرَجَٰتُ ٱلْعُلَىٰ

ওয়ামাইঁ ইয়া’তিহী মু’মিনান কাদ ‘আমিলাসসা-লিহা-তি ফাউলাইকা লাহুমুদ দারাজা-তুল ‘উলা-।

আর যারা তাঁর কাছে আসে এমন ঈমানদার হয়ে যায় সৎকর্ম সম্পাদন করেছে, তাদের জন্যে রয়েছে সুউচ্চ মর্তবা।


76

جَنَّٰتُ عَدْنٍ تَجْرِى مِن تَحْتِهَا ٱلْأَنْهَٰرُ خَٰلِدِينَ فِيهَا وَذَٰلِكَ جَزَآءُ مَن تَزَكَّىٰ

জান্না-তু‘আদনিন তাজরী মিন তাহতিহাল আনহা-রু খা-লিদীনা ফীহা- ওয়া যা-লিকা জাঝাউ মান তাঝাক্কা-

বসবাসের এমন পুষ্পোদ্যান রয়েছে যার তলদেশে দিয়ে নির্ঝরিণীসমূহ প্রবাহিত হয়। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে এটা তাদেরই পুরস্কার, যারা পবিত্র হয়।


77

وَلَقَدْ أَوْحَيْنَآ إِلَىٰ مُوسَىٰٓ أَنْ أَسْرِ بِعِبَادِى فَٱضْرِبْ لَهُمْ طَرِيقًا فِى ٱلْبَحْرِ يَبَسًا لَّا تَخَٰفُ دَرَكًا وَلَا تَخْشَىٰ

ওয়া লাকাদ আওহাইনাইলা মূছা আন আছরি বি‘ইবা-দী ফাদরিব লাহুম তারীকান ফিল বাহরি ইয়াবাছাল লা-তাখা-ফুদারাকাওঁ ওয়ালা-তাখশা-।

আমি মূসা প্রতি এই মর্মে ওহী করলাম যে, আমার বান্দাদেরকে নিয়ে রাত্রিযোগে বের হয়ে যাও এবং তাদের জন্যে সমুদ্রে শুষ্কপথ নির্মাণ কর। পেছন থেকে এসে তোমাদের ধরে ফেলার আশঙ্কা করো না এবং পানিতে ডুবে যাওয়ার ভয় করো না।


78

فَأَتْبَعَهُمْ فِرْعَوْنُ بِجُنُودِهِۦ فَغَشِيَهُم مِّنَ ٱلْيَمِّ مَا غَشِيَهُمْ

ফাআতবা‘আহুম ফির‘আওনুবিজুনূদিহী ফাগাশিয়াহুম মিনাল ইয়াম্মি মা-গাশিইয়াহুম।

অতঃপর ফেরাউন তার সৈন্যবাহিনী নিয়ে তাদের পশ্চাদ্ধাবন করল এবং সমুদ্র তাদেরকে সম্পূর্ণরূপে নিমজ্জত করল।


79

وَأَضَلَّ فِرْعَوْنُ قَوْمَهُۥ وَمَا هَدَىٰ

ওয়া আদাল্লা ফির‘আওনুকাওমাহূওয়ামা-হাদা-।

ফেরআউন তার সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করেছিল এবং সৎপথ দেখায়নি।


80

يَٰبَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ قَدْ أَنجَيْنَٰكُم مِّنْ عَدُوِّكُمْ وَوَٰعَدْنَٰكُمْ جَانِبَ ٱلطُّورِ ٱلْأَيْمَنَ وَنَزَّلْنَا عَلَيْكُمُ ٱلْمَنَّ وَٱلسَّلْوَىٰ

ইয়া-বানীইছরাঈলা কাদ আনজাইনা-কুমমিন‘আদুওবিকুমওয়াওয়া-‘আদনা-কুমজানিবাততূরিল আইমানা ওয়া নাঝঝালনা-‘আলাইকুমুল মান্না ওয়াছছালওয়া-।

হে বনী-ইসরাঈল! আমি তোমাদেরকে তোমাদের শক্রুর কবল থেকে উদ্ধার করেছি, তুর পাহাড়ের দক্ষিণ পার্শ্বে তোমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দান করেছি এবং তোমাদের কাছে ‘মান্না’ ও ‘সালওয়া’ নাযিল করেছি।


81

كُلُوا۟ مِن طَيِّبَٰتِ مَا رَزَقْنَٰكُمْ وَلَا تَطْغَوْا۟ فِيهِ فَيَحِلَّ عَلَيْكُمْ غَضَبِى وَمَن يَحْلِلْ عَلَيْهِ غَضَبِى فَقَدْ هَوَىٰ

কুলূমিন তাইয়িবা-তি মা-রাঝাকনা-কুম ওয়ালা-তাতগাও ফীহি ফাইয়াহিল্লা ‘আলাইকুম গাদবী ওয়া মাইঁ ইয়াহলিল ‘আলাইহি গাদাবী ফাকাদ হাওয়া-।

বলেছিঃ আমার দেয়া পবিত্র বস্তুসমূহ খাও এবং এতে সীমালংঘন করো না, তা হলে তোমাদের উপর আমার ক্রোধ নেমে আসবে এবং যার উপর আমার ক্রোধ নেমে আসে সে ধবংস হয়ে যায়।


82

وَإِنِّى لَغَفَّارٌ لِّمَن تَابَ وَءَامَنَ وَعَمِلَ صَٰلِحًا ثُمَّ ٱهْتَدَىٰ

ওয়া ইন্নী লাগাফফা-রুল লিমান তা-বা ওয়া আ-মানা ওয়া ‘আমিলা সা-লিহান ছুম্মাহতাদা-।

আর যে তওবা করে, ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে অতঃপর সৎপথে অটল থাকে, আমি তার প্রতি অবশ্যই ক্ষমাশীল।


83

وَمَآ أَعْجَلَكَ عَن قَوْمِكَ يَٰمُوسَىٰ

ওয়ামাআ‘জালাকা ‘আন কাওমিকা ইয়া-মূছা-।

হে মূসা, তোমার সম্প্রদায়কে পেছনে ফেলে তুমি ত্বরা করলে কেন?


84

قَالَ هُمْ أُو۟لَآءِ عَلَىٰٓ أَثَرِى وَعَجِلْتُ إِلَيْكَ رَبِّ لِتَرْضَىٰ

কা-লা হুম উলাই ‘আলাআছারী ওয়া ‘আজিলতুইলাইকা রাব্বি লিতারদা-।

তিনি বললেনঃ এই তো তারা আমার পেছনে আসছে এবং হে আমার পালনকর্তা, আমি তাড়াতাড়ি তোমার কাছে এলাম, যাতে তুমি সন্তুষ্ট হও।


85

قَالَ فَإِنَّا قَدْ فَتَنَّا قَوْمَكَ مِنۢ بَعْدِكَ وَأَضَلَّهُمُ ٱلسَّامِرِىُّ

কা-লা ফাইন্না-কাদ ফাতান্না-কাওমাকা মিম বা‘দিকা ওয়া আদাল্লাহুমুছ ছামিরিইয়ু।

লেনঃ আমি তোমার সম্প্রদায়কে পরীক্ষা করেছি তোমার পর এবং সামেরী তাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছে।


86

فَرَجَعَ مُوسَىٰٓ إِلَىٰ قَوْمِهِۦ غَضْبَٰنَ أَسِفًا قَالَ يَٰقَوْمِ أَلَمْ يَعِدْكُمْ رَبُّكُمْ وَعْدًا حَسَنًا أَفَطَالَ عَلَيْكُمُ ٱلْعَهْدُ أَمْ أَرَدتُّمْ أَن يَحِلَّ عَلَيْكُمْ غَضَبٌ مِّن رَّبِّكُمْ فَأَخْلَفْتُم مَّوْعِدِى

ফারাজা‘আ মূছাইলা-কাওমিহী গাদবা-না আছিফান কা-লা ইয়া-কাওমি আলাম ইয়া‘ইদকুম রাব্বুকুম ওয়া‘দান হাছানান আফাতা-লা ‘আলাইকুমুল ‘আহদুআম আরাততুম আইঁ ইয়াহিল্লা ‘আলাইকুম গাদাবুম মির রাব্বিকুম ফাআখলাফতুম মাও‘ইদী।

অতঃপর মূসা তাঁর সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে গেলেন ক্রদ্ধ ও অনুতপ্ত অবস্থায়। তিনি বললেনঃ হে আমার সম্প্রদায়, তোমাদের পালনকর্তা কি তোমাদেরকে একটি উত্তম প্রতিশ্রুতি দেননি? তবে কি প্রতিশ্রুতির সময়কাল তোমাদের কাছে দীর্ঘ হয়েছে, না তোমরা চেয়েছ যে, তোমাদের উপর তোমাদের পালনকর্তার ক্রোধ নেমে আসুক, যে কারণে তোমরা আমার সাথে কৃত ওয়াদা ভঙ্গ করলে?


87

قَالُوا۟ مَآ أَخْلَفْنَا مَوْعِدَكَ بِمَلْكِنَا وَلَٰكِنَّا حُمِّلْنَآ أَوْزَارًا مِّن زِينَةِ ٱلْقَوْمِ فَقَذَفْنَٰهَا فَكَذَٰلِكَ أَلْقَى ٱلسَّامِرِىُّ

কা-লূমাআখলাফনা-মাও‘ইদাকা বিমালকিনা-ওয়ালা-কিন্না-হুম্মিলনাআও ঝা-রাম মিন ঝীনাতিল কাওমি ফাকাযাফনা-হা ফাকাযা-লিকা আলকাছছা-মিরিইয়ু।

তারা বললঃ আমরা তোমার সাথে কৃত ওয়াদা স্বেচ্ছায় ভঙ্গ করিনি; কিন্তু আমাদের উপর ফেরউনীদের অলংকারের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল। অতঃপর আমরা তা নিক্ষেপ করে দিয়েছি। এমনি ভাবে সামেরীও নিক্ষেপ করেছে।


88

فَأَخْرَجَ لَهُمْ عِجْلًا جَسَدًا لَّهُۥ خُوَارٌ فَقَالُوا۟ هَٰذَآ إِلَٰهُكُمْ وَإِلَٰهُ مُوسَىٰ فَنَسِىَ

ফাআখরাজা লাহুম ‘ইজলান জাছাদাল্লাহূখুওয়া-রুন ফাকা-লূহা-যাইলা-হুকুম ওয়াইলা-হু মূছা-ফানাছী-।

অতঃপর সে তাদের জন্য তৈরী করে বের করল একটি গো-বৎস, একটা দেহ, যার মধ্যে গরুর শব্দ ছিল। তারা বললঃ এটা তোমাদের উপাস্য এবং মূসার ও উপাস্য, অতঃপর মূসা ভুলে গেছে।


89

أَفَلَا يَرَوْنَ أَلَّا يَرْجِعُ إِلَيْهِمْ قَوْلًا وَلَا يَمْلِكُ لَهُمْ ضَرًّا وَلَا نَفْعًا

আফালা-ইয়ারাওনা আল্লা-ইয়ারজি‘ঊ ইলাইহিম কাওলাওঁ ওয়ালা-ইয়ামলিকুলাহুম দাররাওঁ ওয়ালা-নাফ‘আ-।

আফালা-ইয়ারাওনা আল্লা-ইয়ারজি‘ঊ ইলাইহিম কাওলাওঁ ওয়ালা-ইয়ামলিকুলাহুম দাররাওঁ ওয়ালা-নাফ‘আ-।


90

وَلَقَدْ قَالَ لَهُمْ هَٰرُونُ مِن قَبْلُ يَٰقَوْمِ إِنَّمَا فُتِنتُم بِهِۦ وَإِنَّ رَبَّكُمُ ٱلرَّحْمَٰنُ فَٱتَّبِعُونِى وَأَطِيعُوٓا۟ أَمْرِى

ওয়ালাকাদ কা-লা লাহুম হা-রূনুমিন কাবলুইয়া-কাওমি ইন্নামা-ফুতিনতুম বিহী ওয়া ইন্না রাব্বাকুমুর রাহমা-নুফাত্তাবি‘ঊনী ওয়া আতী‘ঊআমরী।

হারুন তাদেরকে পুর্বেই বলেছিলেনঃ হে আমার কওম, তোমরা তো এই গো-বৎস দ্বারা পরীক্ষায় নিপতিত হয়েছ এবং তোমাদের পালনকর্তা দয়াময়। অতএব, তোমরা আমার অনুসরণ কর এবং আমার আদেশ মেনে চল।


91

قَالُوا۟ لَن نَّبْرَحَ عَلَيْهِ عَٰكِفِينَ حَتَّىٰ يَرْجِعَ إِلَيْنَا مُوسَىٰ

কা-লূলান নাবরাহা ‘আলাইহি ‘আ-কিফীনা হাত্তা-ইয়ারজি‘আ ইলাইনা-মূছা-।

তারা বললঃ মূসা আমাদের কাছে ফিরে আসা পর্যন্ত আমরা সদাসর্বদা এর সাথেই সংযুক্ত হয়ে বসে থাকব।


92

قَالَ يَٰهَٰرُونُ مَا مَنَعَكَ إِذْ رَأَيْتَهُمْ ضَلُّوٓا۟

কা-লা ইয়া-হা-রূনূমা-মানা‘আকা ইযরাআইতাহুম দাল্লু।

মূসা বললেনঃ হে হারুন, তুমি যখন তাদেরকে পথ ভ্রষ্ট হতে দেখলে, তখন তোমাকে কিসে নিবৃত্ত করল ?


93

أَلَّا تَتَّبِعَنِ أَفَعَصَيْتَ أَمْرِى

আল্লা-তাত্তাবি‘আনি আফা‘আসাইতা আমরী।

আমার পদাঙ্ক অনুসরণ করা থেকে? তবে তুমি কি আমার আদেশ অমান্য করেছ?


94

قَالَ يَبْنَؤُمَّ لَا تَأْخُذْ بِلِحْيَتِى وَلَا بِرَأْسِىٓ إِنِّى خَشِيتُ أَن تَقُولَ فَرَّقْتَ بَيْنَ بَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ وَلَمْ تَرْقُبْ قَوْلِى

কালা ইয়াবনাউম্মা লা-তা’খুযবিলিহইয়াতী ওয়ালা-বিরা’ছী ইন্নী খাশীতুআন তাকূলা ফাররাকতা বাইনা বানীইছরাঈলা ওয়ালাম তারকুব কাওলী।

তিনি বললেনঃ হে আমার জননী-তনয়, আমার শ্মশ্রু ও মাথার চুল ধরে আকর্ষণ করো না; আমি আশঙ্কা করলাম যে, তুমি বলবেঃ তুমি বনী-ইসরাঈলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছ এবং আমার কথা স্মরণে রাখনি।


95

قَالَ فَمَا خَطْبُكَ يَٰسَٰمِرِىُّ

কা-লা ফামা-খাতবুকা ইয়া-ছা-মিরিইয়ু।

মূসা বললেন হে সামেরী, এখন তোমার ব্যাপার কি?


96

قَالَ بَصُرْتُ بِمَا لَمْ يَبْصُرُوا بِهِ فَقَبَضْتُ قَبْضَةً مِّنْ أَثَرِ الرَّسُولِ فَنَبَذْتُهَا وَكَذَٰلِكَ سَوَّلَتْ لِي نَفْسِي

কা-লা বাসুরতুবিমা-লাম ইয়াবসুরূবিহী ফাকাবাদতুকাবদাতাম মিন আছারির রাছূলি ফানাবাযতুহা-ওয়াকাযা-লিকা ছাওওয়ালাত লী নাফছী।

সে বলল, ‘আমি এমন কিছু দেখেছি যা ওরা দেখেনি। তারপর আমি দূতের (জিবরীলের) পায়ের চিহ্ন থেকে এক মুষ্টি মাটি নিয়েছিলাম। অতঃপর তা নিক্ষেপ করেছিলাম। আর আমার মন আমার জন্য এরূপ করাটা শোভন করেছিল’। 


97

قَالَ فَٱذْهَبْ فَإِنَّ لَكَ فِى ٱلْحَيَوٰةِ أَن تَقُولَ لَا مِسَاسَ وَإِنَّ لَكَ مَوْعِدًا لَّن تُخْلَفَهُۥ وَٱنظُرْ إِلَىٰٓ إِلَٰهِكَ ٱلَّذِى ظَلْتَ عَلَيْهِ عَاكِفًا لَّنُحَرِّقَنَّهُۥ ثُمَّ لَنَنسِفَنَّهُۥ فِى ٱلْيَمِّ نَسْفًا

কা-লা ফাযহাব ফাইন্না লাকা ফিল হায়া-তি আন তাকূলা লা-মিছা-ছা ওয়া ইন্নালাকা মাও‘ইদাল লান তুখলাফাহূও ওয়ানজুর ইলাইলা-হিকাল্লাযী জালতা ‘আলাইহি আ-কিফাল লানুহাররিকান্নাহূছু ম্মা লানানছিফান্নাহূফিল ইয়াম্মি নাছফা-।

মূসা বললেনঃ দূর হ, তোর জন্য সারা জীবন এ শাস্তিই রইল যে, তুই বলবি; আমাকে স্পর্শ করো না, এবং তোর জন্য একটি নির্দিষ্ট ওয়াদা আছে, যার ব্যতিক্রম হবে না। তুই তোর সেই ইলাহের প্রতি লক্ষ্য কর, যাকে তুই ঘিরে থাকতি। আমরা সেটি জালিয়ে দেবই। অতঃপর একে বিক্ষিপ্ত করে সাগরে ছড়িয়ে দেবই।


98

إِنَّمَآ إِلَٰهُكُمُ ٱللَّهُ ٱلَّذِى لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ وَسِعَ كُلَّ شَىْءٍ عِلْمًا

ইন্নামাইলা-হুকুমুল্লা-হুল লাযী লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ওয়াছি‘আ কুল্লা শাইয়িন ‘ইলমা-।

তোমাদের ইলাহ তো কেবল আল্লাহই, যিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নেই। সব বিষয় তাঁর জ্ঞানের পরিধিভুক্ত।


99

كَذَٰلِكَ نَقُصُّ عَلَيْكَ مِنْ أَنۢبَآءِ مَا قَدْ سَبَقَ وَقَدْ ءَاتَيْنَٰكَ مِن لَّدُنَّا ذِكْرًا

কাযা-লিকা নাকুসসু‘আলাইকা মিন আমবাই মা কাদ ছাবাকা ওয়া কাদ আতাইনা-কা মিল্লাদুন্না-যিকরা-।

এমনিভাবে আমি পূর্বে যা ঘটেছে, তার সংবাদ আপনার কাছে বর্ণনা করি। আমি আমার কাছ থেকে আপনাকে দান করেছি পড়ার গ্রন্থ।


100

مَّنْ أَعْرَضَ عَنْهُ فَإِنَّهُۥ يَحْمِلُ يَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِ وِزْرًا

মান আ‘রাদা ‘আনহু ফাইন্নাহূইয়াহমিলুইয়াওমাল কিয়া-মাতি বিঝরা-

যে এ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, সে কেয়ামতের দিন বোঝা বহন করবে।


101

خَٰلِدِينَ فِيهِ وَسَآءَ لَهُمْ يَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِ حِمْلًا

খা-লিদীনা ফীহি ওয়া ছাআ লাহুম ইয়াওমাল কিয়া-মাতি হিম লা-।

তারা তাতে চিরকাল থাকবে এবং কেয়ামতের দিন এই বোঝা তাদের জন্যে মন্দ হবে।


102

يَوْمَ يُنفَخُ فِى ٱلصُّورِ وَنَحْشُرُ ٱلْمُجْرِمِينَ يَوْمَئِذٍ زُرْقًا

ইয়াওমা ইউনফাখুফিসসূরি ওয়া নাহশুরুল মুজরিমীনা ইয়াওমাইযিন ঝুরকা-।

যেদিন সিঙ্গায় ফূৎকার দেয়া হবে, সেদিন আমি অপরাধীদেরকে সমবেত করব নীল চক্ষু অবস্থায়।


103

يَتَخَٰفَتُونَ بَيْنَهُمْ إِن لَّبِثْتُمْ إِلَّا عَشْرًا

ইয়াতাখা-ফাতূনা বাইনাহুম ইল লাবিছতুম ইল্লা-‘আশরা-।

তারা চুপিসারে পরস্পরে বলাবলি করবেঃ তোমরা মাত্র দশ দিন অবস্থান করেছিলে।


104

نَّحْنُ أَعْلَمُ بِمَا يَقُولُونَ إِذْ يَقُولُ أَمْثَلُهُمْ طَرِيقَةً إِن لَّبِثْتُمْ إِلَّا يَوْمًا

নাহনুআ‘লামুবিমা-ইয়াকূ লূনা ইযইয়াকূ লুআমছালুহুম তারীকাতান ইল লাবিছতুম ইল্লা-ইয়াওমা-।

তারা কি বলে তা আমি ভালোভাবে জানি। তাদের মধ্যে যে, অপেক্ষাকৃত উত্তম পথের অনুসারী সে বলবেঃ তোমরা মাত্র একদিন অবস্থান করেছিলে।


105

وَيَسْـَٔلُونَكَ عَنِ ٱلْجِبَالِ فَقُلْ يَنسِفُهَا رَبِّى نَسْفًا

ওয়া ইয়াছআলূনাকা ‘আনিল জিবা-লি ফাকুল ইয়ানছিফুহা-রাববী নাছফা-।

তারা আপনাকে পাহাড় সম্পর্কে প্রশ্ন করা। অতএব, আপনি বলুনঃ আমার পালনকর্তা পহাড়সমূহকে সমূলে উৎপাটন করে বিক্ষিপ্ত করে দিবেন।


106

فَيَذَرُهَا قَاعًا صَفْصَفًا

ফাইয়াযারুহা-কা-‘আন সাফসাফা-।

অতঃপর পৃথিবীকে মসৃণ সমতলভূমি করে ছাড়বেন।


107

لَّا تَرَىٰ فِيهَا عِوَجًا وَلَآ أَمْتًا

লা-তারা-ফীহা-‘ইওয়াজাওঁ ওয়ালাআমতা-।

তুমি তাতে মোড় ও টিলা দেখবে না।


108

يَوْمَئِذٍ يَتَّبِعُونَ ٱلدَّاعِىَ لَا عِوَجَ لَهُۥ وَخَشَعَتِ ٱلْأَصْوَاتُ لِلرَّحْمَٰنِ فَلَا تَسْمَعُ إِلَّا هَمْسًا

ইয়াওমাইযিইঁ ইয়াত্তাবি‘ঊনাদ্দা-‘ইয়া লা-‘ইওয়াজালাহূ ওয়াখাশা‘আতিল আসওয়া-তু লিররাহমা-নি ফালা-তাছমা‘উ ইল্লা-হামছা-।

সেই দিন তারা আহবানকারীর অনুসরণ করবে, যার কথা এদিক-সেদিক হবে না এবং দয়াময় আল্লাহর ভয়ে সব শব্দ ক্ষীণ হয়ে যাবে। সুতরাং মৃদু গুঞ্জন ব্যতীত তুমি কিছুই শুনবে না।


109

يَوْمَئِذٍ لَّا تَنفَعُ ٱلشَّفَٰعَةُ إِلَّا مَنْ أَذِنَ لَهُ ٱلرَّحْمَٰنُ وَرَضِىَ لَهُۥ قَوْلًا

ইয়াওমাইযিল লা-তানফা‘উশশাফা-‘আতুইল্লা-মান আযিনা লাহুর রাহমা-নুওয়া রাদিয়া লাহূকাওলা-।

দয়াময় আল্লাহ যাকে অনুমতি দেবেন এবং যার কথায় সন্তুষ্ট হবেন সে ছাড়া কারও সুপারিশ সেদিন কোন উপকারে আসবে না।


110

يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يُحِيطُونَ بِهِۦ عِلْمًا

ইয়া‘লামুমা-বাইনা আইদীহিম ওয়ামা-খালফাহুম ওয়ালা-ইউহীতূনা বিহী ‘ইলমা-।

তিনি জানেন যা কিছু তাদের সামনে ও পশ্চাতে আছে এবং তারা তাকে জ্ঞান দ্বারা আয়ত্ত করতে পারে না।


111

وَعَنَتِ ٱلْوُجُوهُ لِلْحَىِّ ٱلْقَيُّومِ وَقَدْ خَابَ مَنْ حَمَلَ ظُلْمًا

ওয়া ‘আনাতিল উজূহু লিলহাইয়িল কাইয়ুমি ওয়া কাদ খা-বা মান হামালা জুলমা-।

সেই চিরঞ্জীব চিরস্থায়ীর সামনে সব মুখমন্ডল অবনমিত হবে এবং সে ব্যর্থ হবে যে জুলুমের বোঝা বহন করবে।


112

وَمَن يَعْمَلْ مِنَ ٱلصَّٰلِحَٰتِ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَلَا يَخَافُ ظُلْمًا وَلَا هَضْمًا

ওয়া মাইঁ ইয়া‘মাল মিনাসসা-লিহা-তি ওয়া হুওয়া মু’মিনুন ফালা-ইয়াখা-ফুজুলমাওঁ ওয়ালাহাদমা-।

যে ঈমানদার অবস্থায় সৎকর্ম সম্পাদন করে, সে জুলুম ও ক্ষতির আশঙ্কা করবে না।


113

وَكَذَٰلِكَ أَنزَلْنَٰهُ قُرْءَانًا عَرَبِيًّا وَصَرَّفْنَا فِيهِ مِنَ ٱلْوَعِيدِ لَعَلَّهُمْ يَتَّقُونَ أَوْ يُحْدِثُ لَهُمْ ذِكْرًا

ওয়া কাযা-লিকা আনঝালনা-হুকুরআ-নান ‘আরাবিইইয়াওঁ ওয়া সাররাফনা ফীহি মিনাল ওয়া‘ঈদি লা‘আল্লাহুম ইয়াত্তাকূনা আও ইউহদিছু লাহুম যিকরা-।

এমনিভাবে আমি আরবী ভাষায় কোরআন নাযিল করেছি এবং এতে নানাভাবে সতর্কবাণী ব্যক্ত করেছি, যাতে তারা আল্লাহভীরু হয় অথবা তাদের অন্তরে চিন্তার খোরাক যোগায়।


114

فَتَعَٰلَى ٱللَّهُ ٱلْمَلِكُ ٱلْحَقُّ وَلَا تَعْجَلْ بِٱلْقُرْءَانِ مِن قَبْلِ أَن يُقْضَىٰٓ إِلَيْكَ وَحْيُهُۥ وَقُل رَّبِّ زِدْنِى عِلْمًا

ফাতা‘আ-লাল্লা-হুল মালিকুল হাক্কু ওয়ালা-তা‘জাল বিলকুরআ-নি মিন কাবলি আইঁ ইউকদাইলাইকা ওয়াহইউহূ, ওয়াকুর রাব্বি ঝিদনী ‘ইলমা-।

সত্যিকার অধীশ্বর আল্লাহ মহান। আপনার প্রতি আল্লাহর ওহী সম্পুর্ণ হওয়ার পূর্বে আপনি কোরআন গ্রহণের ব্যপারে তাড়াহুড়া করবেন না এবং বলুনঃ হে আমার পালনকর্তা, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।


115

وَلَقَدْ عَهِدْنَآ إِلَىٰٓ ءَادَمَ مِن قَبْلُ فَنَسِىَ وَلَمْ نَجِدْ لَهُۥ عَزْمًا

ওয়া লাকাদ ‘আহিদনাইলাআ-দামা মিন কাবলুফানাছিয়া ওয়া লাম নাজিদ লাহূ‘আঝমা।

আমি ইতিপূর্বে আদমকে নির্দেশ দিয়েছিলাম। অতঃপর সে ভুলে গিয়েছিল এবং আমি তার মধ্যে দৃঢ়তা পাইনি।


116

وَإِذْ قُلْنَا لِلْمَلَٰٓئِكَةِ ٱسْجُدُوا۟ لِءَادَمَ فَسَجَدُوٓا۟ إِلَّآ إِبْلِيسَ أَبَىٰ

ওয়া ইযকুলনা-লিলমালাইকাতিছ জু দূলিআ-দামা ফছাজাদূ ইল্লাইবলীছা আবা-।

যখন আমি ফেরেশতাদেরকে বললামঃ তোমরা আদমকে সেজদা কর, তখন ইবলীস ব্যতীত সবাই সেজদা করল। সে অমান্য করল।


117

فَقُلْنَا يَٰٓـَٔادَمُ إِنَّ هَٰذَا عَدُوٌّ لَّكَ وَلِزَوْجِكَ فَلَا يُخْرِجَنَّكُمَا مِنَ ٱلْجَنَّةِ فَتَشْقَىٰٓ

ফাকুলনা-ইয়াআ-দামু ইন্না হা-যা- ‘আদুওউল্লাকা ওয়ালি ঝাওজিকা ফালাইউখরিজান্নাকুমা-মিনাল জান্নাতি ফাতাশকা-।

অতঃপর আমি বললামঃ হে আদম, এ তোমার ও তোমার স্ত্রীর শত্রু, সুতরাং সে যেন বের করে না দেয় তোমাদের জান্নাত থেকে। তাহলে তোমরা কষ্টে পতিত হবে।


118

إِنَّ لَكَ أَلَّا تَجُوعَ فِيهَا وَلَا تَعْرَىٰ

ইন্না লাকা আল্লা-তাজু‘আ ফীহা-ওয়ালা-তা‘রা-।

তোমাকে এই দেয়া হল যে, তুমি এতে ক্ষুধার্ত হবে না এবং বস্ত্রহীণ হবে না।


119

وَأَنَّكَ لَا تَظْمَؤُا۟ فِيهَا وَلَا تَضْحَىٰ

ওয়া আন্নাকা লা-তাজমাউ ফীহা-ওয়ালা-তাদহা-।

এবং তোমার পিপাসাও হবে না এবং রৌদ্রেও কষ্ট পাবে না।


120

فَوَسْوَسَ إِلَيْهِ ٱلشَّيْطَٰنُ قَالَ يَٰٓـَٔادَمُ هَلْ أَدُلُّكَ عَلَىٰ شَجَرَةِ ٱلْخُلْدِ وَمُلْكٍ لَّا يَبْلَىٰ

ফাওয়াছওয়াছা ইলাইহিশ শাইতা-নুকা-লা ইয়াআ-দামুহাল আদুল্লুকা ‘আলা-শাজারাতিল খুলদি ওয়া মুলকিল লা-ইয়াবলা-।

অতঃপর শয়তান তাকে কুমন্ত্রনা দিল, বললঃ হে আদম, আমি কি তোমাকে বলে দিব অনন্তকাল জীবিত থাকার বৃক্ষের কথা এবং অবিনশ্বর রাজত্বের কথা?


121

فَأَكَلَا مِنْهَا فَبَدَتْ لَهُمَا سَوْءَٰتُهُمَا وَطَفِقَا يَخْصِفَانِ عَلَيْهِمَا مِن وَرَقِ ٱلْجَنَّةِ وَعَصَىٰٓ ءَادَمُ رَبَّهُۥ فَغَوَىٰ

ফাআকালা-মিনহা-ফাবাদাত লাহুমা-ছাওআ-তুহুমা-ওয়া তাফিকা ইয়াখছিফা-নি ‘আলাইহিমা- মিওঁ ওয়ারাকিল জান্নাতি ওয়া ‘আসাআ-দামুরাব্বাহূফাগাওয়া-।

অতঃপর তারা উভয়েই এর ফল ভক্ষণ করল, তখন তাদের সামনে তাদের লজ্জাস্থান খুলে গেল এবং তারা জান্নাতের বৃক্ষ-পত্র দ্বারা নিজেদেরকে আবৃত করতে শুরু করল। আদম তার পালনকর্তার অবাধ্যতা করল, ফলে সে পথ ভ্রষ্ঠ হয়ে গেল।


122

ثُمَّ ٱجْتَبَٰهُ رَبُّهُۥ فَتَابَ عَلَيْهِ وَهَدَىٰ

ছু ম্মাজ তাবা-হু রাব্বুহূফাতা-বা ‘আলাইহি ওয়াহাদা-।

এরপর তার পালনকর্তা তাকে মনোনীত করলেন, তার প্রতি মনোযোগী হলেন এবং তাকে সুপথে আনয়ন করলেন।


123

قَالَ ٱهْبِطَا مِنْهَا جَمِيعًۢا بَعْضُكُمْ لِبَعْضٍ عَدُوٌّ فَإِمَّا يَأْتِيَنَّكُم مِّنِّى هُدًى فَمَنِ ٱتَّبَعَ هُدَاىَ فَلَا يَضِلُّ وَلَا يَشْقَىٰ

কা-লাহ বিতা-মিনহা-জামী‘আম বা‘দুকুম লিবা‘দিন ‘আদুওউন ফাইম্মাইয়া’তিইয়ান্নাকুম মিন্নী হুদান ফামানিততাবা‘আ হুদা-ইয়া ফালা-ইয়াদিল্লুওয়ালাইয়াশকা-।

তিনি বললেনঃ তোমরা উভয়েই এখান থেকে এক সঙ্গে নেমে যাও। তোমরা একে অপরের শত্রু। এরপর যদি আমার পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে হেদায়েত আসে, তখন যে আমার বর্ণিত পথ অনুসরণ করবে, সে পথভ্রষ্ঠ হবে না এবং কষ্টে পতিত হবে না।


124

وَمَنْ أَعْرَضَ عَن ذِكْرِى فَإِنَّ لَهُۥ مَعِيشَةً ضَنكًا وَنَحْشُرُهُۥ يَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِ أَعْمَىٰ

ওয়া মান আ‘রাদা‘আনযিকরী ফাইন্না লাহূমা‘ঈশাতান দানকাওঁ ওয়ানাহশুরুহূইয়াওমাল কিয়া-মাতি আ‘মা-।

এবং যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জীবিকা সংকীর্ণ হবে এবং আমি তাকে কেয়ামতের দিন অন্ধ অবস্থায় উত্থিত করব।


125

قَالَ رَبِّ لِمَ حَشَرْتَنِىٓ أَعْمَىٰ وَقَدْ كُنتُ بَصِيرًا

কা-লা রাব্বি লিমা হাশারতানীআ‘মা-ওয়া কাদ কুনতুবাসীরা-।

সে বলবেঃ হে আমার পালনকর্তা আমাকে কেন অন্ধ অবস্থায় উত্থিত করলেন? আমি তো চক্ষুমান ছিলাম।


126

قَالَ كَذَٰلِكَ أَتَتْكَ ءَايَٰتُنَا فَنَسِيتَهَا وَكَذَٰلِكَ ٱلْيَوْمَ تُنسَىٰ

কা-লা কাযা-লিকা আতাতকা আ-য়া-তুনা-ফানাছীতাহা- ওয়া কাযা-লিকাল ইয়াওমা তুনছা-।

আল্লাহ বলবেনঃ এমনিভাবে তোমার কাছে আমার আয়াতসমূহ এসেছিল, অতঃপর তুমি সেগুলো ভুলে গিয়েছিলে। তেমনিভাবে আজ তোমাকে ভুলে যাব।


127

وَكَذَٰلِكَ نَجْزِى مَنْ أَسْرَفَ وَلَمْ يُؤْمِنۢ بِـَٔايَٰتِ رَبِّهِۦ وَلَعَذَابُ ٱلْءَاخِرَةِ أَشَدُّ وَأَبْقَىٰٓ

ওয়া কাযা-লিকা নাজঝী মান আছরাফাওয়া লাম ইউ’মিম বিআ-য়া-তি রাব্বিহী ওয়ালা‘আযা-বুল আ-খিরাতি আশাদ্দুওয়া আবকা-।

এমনিভাবে আমি তাকে প্রতিফল দেব, যে সীমালঙ্ঘন করে এবং পালনকর্তার কথায় বিশ্বাস স্থাপন না করে। তার পরকালের শাস্তি কঠোরতর এবং অনেক স্থায়ী।


128

أَفَلَمْ يَهْدِ لَهُمْ كَمْ أَهْلَكْنَا قَبْلَهُم مِّنَ ٱلْقُرُونِ يَمْشُونَ فِى مَسَٰكِنِهِمْ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَٰتٍ لِّأُو۟لِى ٱلنُّهَىٰ

আফালাম ইয়াহদি লাহুম কাম আহলাকনা-কাবলাহুম মিনাল কুরূনি ইয়ামশূনা ফী মাছাকিনিহিম ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়া-তিল লিউলিননুহা-।

আমি এদের পূর্বে অনেক সম্প্রদায়কে ধবংস করেছি। যাদের বাসভুমিতে এরা বিচরণ করে, এটা কি এদেরকে সৎপথ প্রদর্শন করল না? নিশ্চয় এতে বুদ্ধিমানদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।


129

وَلَوْلَا كَلِمَةٌ سَبَقَتْ مِن رَّبِّكَ لَكَانَ لِزَامًا وَأَجَلٌ مُّسَمًّى

ওয়ালাওলা-কালিমাতুন ছাবাকাত মির রাব্বিকা লাকা-না লিঝা-মাওঁ ওয়া আজালুম মুছাম্মা-।

আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে পূর্ব সিদ্ধান্ত এবং একটি কাল নির্দিষ্ট না থাকলে শাস্তি অবশ্যম্ভাবী হয়ে যেত।


130

فَٱصْبِرْ عَلَىٰ مَا يَقُولُونَ وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ قَبْلَ طُلُوعِ ٱلشَّمْسِ وَقَبْلَ غُرُوبِهَا وَمِنْ ءَانَآئِ ٱلَّيْلِ فَسَبِّحْ وَأَطْرَافَ ٱلنَّهَارِ لَعَلَّكَ تَرْضَىٰ

ফাসবির ‘আলা-মা-ইয়াকূলূনা ওয়া ছাব্বিহবিহামদি রাব্বিকা কাবলা তুলূ‘ইশশামছি ওয়া কাবলা গুরূবিহা- ওয়া মিন আ-নাইল্লাইলি ফাছাব্বিহওয়া আতরা-ফান্নাহা-রি লা‘আল্লাকা তারদা-।

সুতরাং এরা যা বলে সে বিষয়ে ধৈর্য্য ধারণ করুন এবং আপনার পালনকর্তার প্রশংসা পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করুন সূর্যোদয়ের পূর্বে, সূর্যাস্তের পূর্বে এবং পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করুন রাত্রির কিছু অংশ ও দিবাভাগে, সম্ভবতঃ তাতে আপনি সন্তুষ্ট হবেন।


131

وَلَا تَمُدَّنَّ عَيْنَيْكَ إِلَىٰ مَا مَتَّعْنَا بِهِۦٓ أَزْوَٰجًا مِّنْهُمْ زَهْرَةَ ٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَا لِنَفْتِنَهُمْ فِيهِ وَرِزْقُ رَبِّكَ خَيْرٌ وَأَبْقَىٰ

ওয়ালা-তামুদ্দান্না ‘আইনাইকা ইলা-মা-মাত্তা‘না-বিহীআঝওয়া-জাম মিনহুম ঝাহরাতাল হা-য়া-তিদ দুনইয়া- লিনাফতিনাহুম ফীহি ওয়া রিঝকুরাব্বিকা খাইরুওঁ ওয়া আবকা-।

আমি এদের বিভিন্ন প্রকার লোককে পরীক্ষা করার জন্যে পার্থিবজীবনের সৌন্দর্য স্বরূপ ভোগ-বিলাসের যে উপকরণ দিয়েছি, আপনি সেই সব বস্তুর প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করবেন না। আপনার পালনকর্তার দেয়া রিযিক উৎকৃষ্ট ও অধিক স্থায়ী।


132

وَأْمُرْ أَهْلَكَ بِٱلصَّلَوٰةِ وَٱصْطَبِرْ عَلَيْهَا لَا نَسْـَٔلُكَ رِزْقًا نَّحْنُ نَرْزُقُكَ وَٱلْعَٰقِبَةُ لِلتَّقْوَىٰ

ওয়া’মুর আহলাকা বিসসালা-তি ওয়াসতাবির ‘আলাইহা- লা-নাছআলুকা রিঝকান নাহনুনারঝুকুকা ওয়াল ‘আ-কিবাতুলিত্তাকওয়া-।

আপনি আপনার পরিবারের লোকদেরকে নামাযের আদেশ দিন এবং নিজেও এর ওপর অবিচল থাকুন। আমি আপনার কাছে কোন রিযিক চাই না। আমি আপনাকে রিযিক দেই এবং আল্লাহ ভীরুতার পরিণাম শুভ।


133

وَقَالُوا۟ لَوْلَا يَأْتِينَا بِـَٔايَةٍ مِّن رَّبِّهِۦٓ أَوَلَمْ تَأْتِهِم بَيِّنَةُ مَا فِى ٱلصُّحُفِ ٱلْأُولَىٰ

ওয়া কা-লূলাওলা-ইয়া’তীনা-বিআ-য়াতিম মির রাব্বিহী আওয়ালাম তা’তিহিম বাইয়িনাতুমা-ফিসসুহুফিল ঊলা-।

এরা বলেঃ সে আমাদের কাছে তার পালনকর্তার কাছ থেকে কোন নিদর্শন আনয়ন করে না কেন? তাদের কাছে কি প্রমাণ আসেনি, যা পূর্ববর্তী গ্রন্থসমূহে আছে?


134

وَلَوْ أَنَّآ أَهْلَكْنَٰهُم بِعَذَابٍ مِّن قَبْلِهِۦ لَقَالُوا۟ رَبَّنَا لَوْلَآ أَرْسَلْتَ إِلَيْنَا رَسُولًا فَنَتَّبِعَ ءَايَٰتِكَ مِن قَبْلِ أَن نَّذِلَّ وَنَخْزَىٰ

ওয়া লাও আন্নাআহলাকনা-হুম বি‘আযা-বিম মিন কাবলিহী লাকা-লূরাব্বানা-লাওলা আরছালতা ইলাইনা-রাছূলান ফানাত্তাবি‘আ আ-ইয়া-তিকা মিন কাবলি আন নাযিল্লা ওয়া নাখঝা-।

যদি আমি এদেরকে ইতিপূর্বে কোন শাস্তি দ্বারা ধ্বংস করতাম, তবে এরা বলতঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আপনি আমাদের কাছে একজন রসূল প্রেরণ করলেন না কেন? তাহলে তো আমরা অপমানিত ও হেয় হওয়ার পূর্বেই আপনার নিদর্শন সমূহ মেনে চলতাম।


135

قُلْ كُلٌّ مُّتَرَبِّصٌ فَتَرَبَّصُوا۟ فَسَتَعْلَمُونَ مَنْ أَصْحَٰبُ ٱلصِّرَٰطِ ٱلسَّوِىِّ وَمَنِ ٱهْتَدَىٰ

কুল কুল্লুম মুতারাব্বিসুন ফাতারাব্বাসূ ফাছাতা‘লামূনা মান আসহা-বুসসিরা-তিছ ছাবিইয়ি ওয়া মানিহতাদা-

বলুন, প্রত্যেকেই পথপানে চেয়ে আছে, সুতরাং তোমরাও পথপানে চেয়ে থাক। অদূর ভবিষ্যতে তোমরা জানতে পারবে কে সরল পথের পথিক এবং কে সৎপথ প্রাপ্ত হয়েছে।


------

Tags: surah taha bangla translation, surah taha bangla uccharon, surah ta ha, surah ta-ha bangla, surah duha bangla tafsir,  সূরা ত্বহা বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ, সূরা ত্বোয়া-হা বাংলা, সূরা ত্বহা বাংলা অর্থ সহ কুরআন তেলাওয়াত, সূরা ত্বাহা বাংলা উচ্চারণ, সূরা ত্বহা বাংলা অনুবাদ, সূরা ত্বহা উচ্চারণ সহ, সূরা ত্বোহা-হা বাংলা অর্থ