Friday Amol Bangla-শুক্রবার দিন রাতের ইবাদত
হাদীস শরীফে আছে, একদা একজন গ্রাম্য আরব আঁ হযরত (সাঃ)-এর খেদমতে আরজ করল—“ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা মদীনা শহর হতে অনেক দূরে গণ্ড গ্রামে বসবাস করি। নিয়মিত প্রত্যেক জুমার দিন আপনার পবিত্র দরবারে উপস্থিত হওয়া আমাদের পক্ষে কিছুতেই সম্ভব নয় এবং আপনার সঙ্গে জুমার নামাজ জামাতে আদায় করাও আমাদের জন্য অসম্ভব। সুতরাং আমাদেরকে এমন কিছু আমল শিক্ষা দিন যাতে করে আমরা জুমার ফযিলত ও বরকত এবং জামাতের সওয়াব হতে বঞ্চিত না থাকি এবং এই আমল আমাদের গোত্রের লোকদের শিক্ষা দিতে পারি।”
উত্তরে আঁ হযরত (সাঃ) বলেন—হে গ্রামবাসী! মনোযোগ সহকারে শ্রবণ কর। তোমরা জুমার দিন সূর্য উদয় হওয়ার পর দুই রাকআত নামাজ এমনভাবে আদায় করবে।
যেন প্রথম রাকআতে সূরা ফাতিহার পর সূরা ফালাক ও দ্বিতীয় রাকআতে সূরা ফাতিহার পর সূরা নাস পাঠ করা হয়। তারপর এই দুই রাকআত নামায আদায় করে সাতবার আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে।
তারপর চার রাকআত করে মোট আট রাকআত নামায আদায় করবে। প্রত্যেক রাকআতে সূরা ফাতিহার পর সূরা নাসর একবার এবং সূরা ইখলাস তিনবার পাঠ করবে এবং নামাযান্তে এ দোয়া পাঁচ শতবার পাঠ করবে ।
لا حَولَ و لا قُوّةَ إلاّ باللّه ِ» فيهِ شِفاءٌ مِن تِسعَةٍ و تِسْعينَ داءً ، أدْناها الهَمُّ
উচ্চারণ: লা হাউলা অলা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজীম।
যে খোদার কুদরতের হাতে আমি মুহাম্মদের (সাঃ) প্রাণ নিহিত রয়েছে তাঁর শপথ করে বলছি- যে ঈমানদার পুরুষ কিংবা নারী উপরোক্ত নিয়মে নামায আদায় করবে তার জান্নাতে দাখিলের জন্য আমি জামিন রইলাম। আর সেই ব্যক্তি নামায আদায়ের পর জায়নামাযে বসা থাকতেই তার ঈমানদার পিতামাতাকে আল্লাহ পাক ক্ষমা করে দেবেন। এমন সময় আরশে মোয়াল্লার নিম্নদেশ হতে জনৈক ফেরেশতা উচ্চৈঃস্বরে বলবে, হে নামাযী! তোমার অতীত জীবনের অপরাধ ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে। সুতরাং এখন হতে পুনরায় নতুনভাবে নেক আমল করতে থাক।
আরো বর্ণিত আছে—যদি কোন ব্যক্তি জুমার নামাযের সময় আঠারো বার সূরা ইখলাস পাঠ করে, দয়াময় আল্লাহ পাক তাকে অশেষ পুণ্য প্রদান করবেন।
হাদীস শরীফে আরো আছে, হযরত (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, যদি কোন ব্যক্তি শুক্রবার দিন যোহর ও আসরের মাঝখানে দুই রাকআত নামায এই নিয়মে আদায় করে- প্রথম রাকআতে সূরা ফাতিহার পর একবার আয়াতুল কুরসী ও পঞ্চাশবার সূরা ফালাক এবং দ্বিতীয় রাকআতে সূরা ফাতিহার পর একবার সূরা ইখলাস ও বিশবার সূরা ফালাক এবং নামায আদায় করার পর নিম্নের দোয়া পঞ্চাশবার পাঠ করে—
لا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ
উচ্চারণ: “লা-হাউলা অলা কুউয়্যাতা ইল্লা বিল্লা-হ ।” তাহলে সে মরণের আগেই আল্লাহ পাকের দীদার লাভে কৃতার্থ হবে এবং বেহেশতে স্বীয় অবস্থান স্থল দর্শনে সক্ষম হবে।
হাদীস শরীফে আছে, নবী পাক (সাঃ) বলেছেন, শুক্রবার সমস্ত দিনই নফল ইবাদত করা যায়। ঐ দিন সূর্য উদয়ের পর ভালোভাবে অজু করতঃ যে ব্যক্তি পূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থার সাথে দুই রাকআত নফল নামায আদায় করবে, তাহলে করুণাময় আল্লাহ পাক তাকে দুইশত পুণ্য প্রদান করবেন এবং দুইশত গুনাহ মাফ করে দেবেন। আর চার রাকআত পাঠ করলে জান্নাতে তার জন্য চারশত দরজা বুলন্দ করে দেবেন। আর আট রাকআত পাঠ করলে জান্নাতে তার জন্য আটশত দরজা বুলন্দ করে দেবেন এবং তার যাবতীয় পাপ মোচন করে দেবেন। আর বারো রাকআত পাঠ করলে দুই হাজার দুইশত নেকী দান করবেন এবং অনুরূপ সংখ্যক গুনাহ মার্জনা করে দেবেন এবং এক হাজার দুইশত দরজা বুলন্দ করে দেবেন।
অন্য এক হাদীসে আছে—কোন ব্যক্তি যদি শুক্রবার দিন ফজরের নামায জামাতের সাথে আদায় করার পর সূর্য উদয় হওয়া পর্যন্ত মসজিদে বসে আল্লাহর জিকির করে, তার জন্য আল্লাহ পাক বেহেশতে সত্তরটি দরজা বুলন্দ করে দেবেন। দুই দরজার মধবর্তী দূরত্ব এত প্রশস্ত হবে যে, একটি দ্রুতগামী অশ্ব সত্তর বছর পর্যন্ত একাদিক্রমে দৌড়ালেও তা শেষ হবে না। অন্য এক বর্ণনায় আছে যে, যদি কেউ শুক্রবার দিনে আসর নামায জামাতের সাথে আদায় করল সে যেন হযরত ইসমাঈল (আঃ)-এর বংশোদ্ভুত আটজন গোলাম মুক্ত করে দিল। আর যে ব্যক্তি মাগরিবের নামায জামাতের সাথে আদায় করল সে যেন মকবুল হজ্জ এবং ওমরার সমান পুণ্য অর্জন করল।
শুক্রবার রাতের ইবাদতের অসংখ্য ফজিলত বর্ণিত রয়েছে। হাদীস শরীফে আছে, হযরত (সাঃ) বলেছেন, “তোমরা উজ্জ্বল দিন এবং উজ্জ্বল রাতে (অর্থাৎ শুক্রবার দিনে ও রাতে) আমার উপরে অধিক পরিমাণে দরূদ পাঠ কর।” এতে আমলনামায় অধিক পুণ্য লেখা হয়।
হাদীস শরীফে আরো বর্ণিত আছে, আঁ হযরত (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, “যদি কেউ শুক্রবার জামাতের সাথে এশার নামায আদায় করার পর দুই রাকআত সুন্নাত নামায আদায় করে এবং তারপর দশ রাকআত নামায প্রত্যেক রাকআতে সূরা ফাতিহা একবার, সূরা ইখলাস দশবার, সূরা ফালাক একবার, সূরা নাস একবার এই নিয়মে পাঠ করে এবং পরে বেতের নামায আদায় করে কেবলামুখী হয়ে ডান পাশে শয়ন করে সে যেন শবে-কদরের সমস্ত রাত্রিই ইবাদত-বন্দেগীতে কাটাল।” ।
অন্য এক বর্ণনায় পাওয়া যায় যে, যদি কেউ এশা ও মাগরিবের মধ্যবর্তী সময়ে বারো রাকআত নামায এ নিয়মে আদায় করে, প্রত্যেক রাকআতে সূরা ইখলাস দশবার পাঠ করে, তবে যেন ক্রমাগত বারো বছর পর্যন্ত সে দিনের রোজা রাখল এবং রাত্রে ইবাদতে অতিবাহিত করল ।
----
tags:
friday amol,jumar diner amol,amol,jumar diner amol by mizanur rahman azhari,friday amol bangla,special amol for friday,friday ar amol,friday er amol,jumar amol,friday amol in bangla,friday islamic amol,powerful amol for friday,bangla amol,friday wazifa,islamic amol,friday amal,friday,jumma special amol for friday in bengali,special dua for friday,dua on friday,recite on friday,friday muslim day,
jumar diner amol, jumar diner fojilot, jumar diner hadis, friday amol , jumar diner durood, jumar amol, jumar diner waz, jumar diner amol bangla, jumar din asorer por amol, jumar diner sunnah, jumar diner fajilot, jumar diner fozilot, jumar din, amol, jummar diner amol, jumar diner sunnat, jumar diner 11 amol, jumar diner special amol, jumar diner bishesh amol,
জুমার দিনের আমল, শুক্রবার দিনের আমল, শুক্রবারের আমল, জুমার দিনের আমল সমূহ, জুমার দিনের বিশেষ আমল, শুক্রবারের বিশেষ আমল, জুমার দিনের ফজিলত, শুক্রবারের আমল সমুহ, শুক্রবার দিনের ফজিলত, শুক্রবার আসরের পরের আমল, জুমার দিনের দোয়া, জুমার দিনের দরুদ শরীফ, জুম্মার দিনের আমল ও ফজিলত, শুক্রবার এর ফজিলত, শুক্রবার জুমার দিনের তাৎপর্য গুরুত্ব ফজিলত ও আমল, শুক্রবারের ফজিলত, শুক্রবারের ১১টি আমল, জুম্মার দিনের আমল, জুমার দিনের ফজিলত ও আমল, জুমার দিনের আমল ও ফজিলত,
শুক্রবারের আমল, শুক্রবার রাতের আমল, শুক্রবারের আমল সমুহ, শুক্রবারের বিশেষ আমল, শুক্রবারে মাত্র কয়েক মিনিটে হাজার, আমল শুক্রবার, শুক্রবার আমল, শুক্রবারে, শুক্রবারের হাদিস, শুক্রবারের ফজিলত, শুক্রবার আসরের পরের আমল, শুক্রবারের আমল ও ফজিলত, বছর ইবাদতের সওয়াব, শুক্রবারের নামাজের ফজিলত, ইবাদতের সওয়াব, নফল ইবাদতের ফজিলত, রাতের আমল, শুক্রবারের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ আমল, নফল ইবাদতের গুরুত্ব, শেষ রাতের আমল, নফল ইবাদত সমূহ,