সূরা আলাম নাশরাহ-এর ফযীলত

সূরা আলাম নাশরাহ-এর ফযীলত


১. ব্যবসার উদ্দেশ্যে খরিদা মালের উপর পূর্ণ পবিত্রতার সাথে বিসমিল্লাহসহ সূরায়ে আলাম নাশরাহ্ তিনবার পাঠ করে দম করে বা ফুঁক দিয়ে রাখতে উক্ত মালে আল্লাহ তায়ালা বরকত বা প্রাচুর্য দান করবেন।

২. কারো কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গেলে পূর্ণ পবিত্রতার সাথে বিসমিল্লাহসহ সূরা আলাম নাশরাহ নির্দিষ্ট স্থানে ও নির্ধারিত সময়ে প্রত্যহ একুশবার পাঠ করে মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে সাহায্য প্রার্থনা করবে। আমলটি চালু রাখা অতি উত্তম।

৩. কারো বুকে-পিঠে বেদনা থাকলে পূর্ণ পবিত্রতার সাথে বিসমিল্লাহসহ সূরা আলাম নাশরাহ লিখে সরিষার তৈল গুলে, ঐ তৈল ভালভাবে পানিতে মিশিয়ে উক্ত তৈল অথবা পানি বুক ও পিঠে কয়েক দিন মালিশ করবে, আল্লাহ তায়ালার রহমতে বুকের ও পিঠের বেদনা দূর হবে।



সুরা আলাম নাশরাহ

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ

বিসমিল্লা-হির রাহমা-নির রাহিম


أَلَمْ نَشْرَحْ لَكَ صَدْرَكَ (١)

1.আলাম নাশরাহ লাকা ছোয়াদরাকা।

আমি কি আপনার বক্ষ উম্মুক্ত করে দেইনি?

وَوَضَعْنَا عَنْكَ وِزْرَكَ (٢)

2.অওয়াদ্বোয়া’না- আনকা ওয়িযরাকা।

আমি লাঘব করেছি আপনার বোঝা,

الَّذِي أَنْقَضَ ظَهْرَكَ (٣)

3.আল্লাযী-- আনক্বাদ্বোয়া জোয়াহরকা।

যা ছিল আপনার জন্যে অতিশয় দুঃসহ।

وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ (٤)

4.অরাফা’না-লাকা যিকরক।

আমি আপনার আলোচনাকে সমুচ্চ করেছি।

فَإِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا (٥)

5.ফাইন্না মা’আল উ’সরি ইয়ুসরান।

নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে।

إِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا (٦)

6.ইন্না মা’আল উ’সরি ইয়ুসর-

নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে।

فَإِذَا فَرَغْتَ فَانْصَبْ (٧)

7.ফাইযা-ফারাগতা ফানছোয়াব।

অতএব, যখন অবসর পান পরিশ্রম করুন।

وَإِلَى رَبِّكَ فَارْغَبْ (٨)

8.অইলা-রব্বিকা ফারগাব।

এবং আপনার পালনকর্তার প্রতি মনোনিবেশ করুন।