সূরা বাকারার শেষ তিন আয়াত বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ সহ- surah baqarah last 3 ayat bangla uccharon

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে


২.২৮৪:


لِّلَّهِ مَا فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِى ٱلْأَرْضِ وَإِن تُبْدُوا۟ مَا فِىٓ أَنفُسِكُمْ أَوْ تُخْفُوهُ يُحَاسِبْكُم بِهِ ٱللَّهُ فَيَغْفِرُ لِمَن يَشَآءُ وَيُعَذِّبُ مَن يَشَآءُ وَٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ

উচ্চারন: লিল্লা-হি মা ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল
আরদিওয়া ইন তুবদূমা-ফীআনফুছিকুম আও তুখফূহু
ইউহা-ছিবকুম বিহিল্লা-হু ফাইয়াগফিরু লি মাইঁ  
ইয়াশাউ ওয়া ইউ‘আযযিবু মাইঁ ইয়াশাউ ওয়াল্লা-হু 

আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর।


অর্থ: যা কিছু আকাশসমূহে রয়েছে এবং যা কিছু 
যমীনে আছে, সব আল্লাহরই। যদি তােমরা 
মনের কথা প্রকাশ কর কিংবা গােপন কর,
আল্লাহ তােমাদের কাছ থেকে তার হিসাব 
নেবেন। অতঃপর যাকে ইচ্ছা তিনি ক্ষমা 
করবেন এবং যাকে ইচ্ছা তিনি শাস্তি 
দেবেন। আল্লাহ সর্ববিষযে শক্তিমান।


----------------

২.২৮৫:


ءَامَنَ ٱلرَّسُولُ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيْهِ مِن رَّبِّهِۦ وَٱلْمُؤْمِنُونَ كُلٌّ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَمَلَٰٓئِكَتِهِۦ وَكُتُبِهِۦ وَرُسُلِهِۦ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّن رُّسُلِهِۦ وَقَالُوا۟ سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ ٱلْمَصِيرُ

উচ্চারন: আ-মানাররাছূলু বিমাউনঝিলা ইলাইহি মির রাব্বিহী 

ওয়াল মু‘মিনূনা কুল্লুন আ-মানা বিল্লাহি ওয়া
মালাইকাতিহী ওয়া কুতুবিহী ওয়া রুছুলিহী লা-
নুফাররিকুবাইনা আহাদিম মির রুছুলিহী ওয়া কা-লূ্ 
ছামি‘না ওয়াআতা‘না গুফরা-নাকা রাব্বানা-ওয়া
ইলাইকাল মাসীর।

অর্থ: রসূল বিশ্বাস রাখেন ঐ সমস্ত বিষয় সম্পর্কে 
যা তাঁর পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাঁর কাছে 
অবতীর্ণ হয়েছে এবং মুসলমানরাও সবাই 
বিশ্বাস রাখে আল্লাহর প্রতি, তাঁর
ফেরেশতাদের প্রতি, তাঁর গ্রন্থসমুহের প্রতি
এবং তাঁর পয়গম্বরগণের প্রতি। তারা বলে 
আমরা তাঁর পয়গম্বরদের মধ্যে কোন 
তারতম্য করিনা। তারা বলে, আমরা 
শুনেছি এবং কবুল করেছি। আমরা তােমার 
ক্ষমা চাই, হে আমাদের পালনকর্তা।
তােমারই দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।

--------------

২.২৮৬:


لَا يُكَلِّفُ ٱللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا ٱكْتَسَبَتْ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَآ إِن نَّسِينَآ أَوْ أَخْطَأْنَا رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَآ إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُۥ عَلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبْلِنَا رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِۦ وَٱعْفُ عَنَّا وَٱغْفِرْ لَنَا وَٱرْحَمْنَآ أَنتَ مَوْلَىٰنَا فَٱنصُرْنَا عَلَى ٱلْقَوْمِ ٱلْكَٰفِرِينَ

উচ্চারন: লা-ইউকালিলফুল্লা-হু নাফছান ইল্লা-উছ‘আহা-লাহা-মা
কাছাবাত ওয়া ‘আলাইহা-মাকতাছাবাত রাব্বানা-লা-
তুআ-খিযনা ইন নাছীনা-আও আখতা’না-রাব্বানা 

ওয়ালা-তাহমিল ‘আলাইনা-ইসরান কামা-হামালতাহূ
আলাল্লাযীনা মিন কাবলিনা-রাব্বানা-ওয়ালা
তুহাম্মিলনা-মা-লা-তা-কাতা লানা-বিহী
ওয়া‘ফু‘ আন্না-ওয়াগফিরলানা-ওয়ারহামনা-আনতা  

মাওলা-না-ফানসুরনা-‘আলাল কাওমিল কা-ফিরীন।

অর্থ: আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন 
কাজের ভার দেন না, সে তাই পায় যা সে
উপার্জন করে এবং তাই তার উপর বর্তায়
যা সে করে। হে আমাদের পালনকর্তা, যদি 
আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে 
আমাদেরকে অপরাধী করাে না। হে 
আমাদের পালনকর্তা! এবং আমাদের উপর 
এমন দায়িত্ব অর্পণ করাে না, যেমন
আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছ, 
হে আমাদের প্রভূ! এবং আমাদের দ্বারা ঐ 
বােঝা বহন করিও না, যা বহন করার শক্তি 
আমাদের নাই। আমাদের পাপ মােচন কর। 
আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি
দয়া কর। তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং 
কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কে 
সাহায্যে কর।


সূরা বাকারার শেষ আয়াতের কিছু ফজিলত পড়ুন ভালো লাগবে।

কেউ যদি বুঝতে পারে এর মূল্য তবে এই আয়াত না পড়ে সে কখনও ঘুমাতে যাবে না। অতএব, আপনার এই আয়াতগুলি শেখার জন্য বিশেষ প্রচেষ্টা করা উচিত এবং একই সাথে আপনার পরিবারের সদস্যদের কীভাবে এগুলি আবৃত্তি করতে হবে তা শিখাতে হবে।

সূরা বাকারার শেষ ২ বা ৩ আয়াতের তেলাওয়াত করার অনেক উপকারের কথা সহীহ হাদীসে বর্ণিত রয়েছে। শেষ আয়াতে অত্যন্ত জরুরি কয়েকটি দুয়া রয়েছে। এসব দুয়া কবুল হওয়ার ওয়াদাও করা হয়েছে।

 

প্রিয় নবীজী রাসুলুলাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন বললেন, 

“এই মাত্র আকাশের একটি দরজা খোলা হয়েছে। এর আগে কখনও এ দরজাটি খোলা হয়নি, এ দরজা দিয়ে একজন ফেরেশতা অবতরণ করছেন। এর আগে তিনি কখনও পৃথিবীতে অবতরণ করেননি। এ ফেরেশতা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে সালাম করে বলেন, সুসংবাদ গ্রহণ করুন আপাদমস্তক দুটি নূরের, যা আপনার আগে কোন নবীকে দেয়া হয়নি ১. ফাতেহাতুন কিতাব অর্থাৎ সুরা ফাতেহা এবং ২. সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত।   উভয় আয়াতে দোয়া আছে। আল্লাহর উসিলা করে,আপনি এসব দোয়ার যে অংশই পাঠ করবেন আল্লাহ আপনাকে অবশ্যই রহমত দান করবেন"-(সহীহ মুসলিম)।


ইমাম আন-নববী (রহঃ) বলেন, “এর অর্থ কেউ বলেছেন, কিয়ামুল লাইল বা তাহাজ্জুদ নামাযের জন্য যথেষ্ঠ হবে। কেউ বলেছেন, শয়তানের অনিষ্ট থেকে বাঁচার জন্য যথেষ্ঠ হবে। কেউ বলেছেন, বালা-মুসিবত থেকে নিরাপত্তা পাওয়া যাবে। তবে সবগুলো অর্থ সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”- (শারহুন নববী আলা সহিহ মুসলিমঃ৬/৩৪০, হাদীস ৮০৭।) 

আলী (রাঃ) বলেন, “আমার মতে যার সামান্যও বুদ্ধিজ্ঞান আছে, সে এ দুটি আয়াত পাঠ করা ছাড়া নিদ্রা যাবে না”। (তাফসীরে ইবনে কাসীর, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা-৭৩৫)


হজরত আবু মাসউদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “যে সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত রাতে পাঠ করবে, তার জন্য এ দুটি আয়াত যথেষ্ট হবে। অর্থাৎ সারারাত সে খারাপ জিন ও মানুষের অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকবে এবং প্রতিটি অপ্রিয় বিষয় থেকে তাকে হেফাজত করা হবে।"-(সহীহ বুখারি ও সহীহ মুসলিম)।


রাসুলুলাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি রাতের বেলা সুরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত পড়বে সেটা তার জন্য যথেষ্ঠ হবে।”- (বুখারি ৫০১০ মুসলিম ৮০৭)। 


রাতের বেলা ঘুমানোর পূর্বে সুরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত তেলাওয়াত করলে তাহাজ্জুদ নামাযের সমান সওয়াব পাওয়ার আশা করা যেতে পারে। এ সম্পর্কে রাসূলে কারিম নবী (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি রাতে এ দুটি আয়াত পাঠ করবে, তার জন্য এটাই যথেষ্ট।"

জুবাইর ইবনু নুফাইর (রা.) থেকে বর্ণিত- রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "সুরা আল-বাকারাকে আল্লাহ তাআলা এমন দুটি আয়াত দ্বারা শেষ করেছেন, যা আমাকে আল্লাহর আরশের নিচের ভান্ডার থেকে দান করা হয়েছে। তাই তোমরা এ আয়াতগুলো শিখবে। তোমাদের স্ত্রীদেরও শেখাবে। কারণ এ আয়াতগুলো হচ্ছে রহমত, (আল্লাহর) নৈকট্য লাভের উপায় ও (দীন দুনিয়ার সকল) কল্যাণলাভের দোয়া।" (মিশকাতুল মাসাবিহ)


বদরি সাহাবি আবু মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত- রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "সুরা বাকারার শেষে এমন দুটি আয়াত রয়েছে, যে ব্যক্তি রাতের বেলা আয়াত দুটি তিলাওয়াত করবে, তার জন্য এ আয়াত দুটোই যথেষ্ট। অর্থাৎ রাতে কোরআন মজিদ তিলাওয়াত করার যে হক রয়েছে, কমপক্ষে সুরা বাকারার শেষ দুটি আয়াত তিলাওয়াত করলে তার জন্য তা যথেষ্ট।" (সহিহ্ বুখারি)

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন যে, "রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, ‘যখন আমাকে সিদরাতুল মুনতাহায় নিয়ে যাওয়া হয়, তখন তিনটি জিনিস দান করা হয়। ১. পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, ২. সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত, ৩. এ উম্মতের মধ্যে যারা শিরক করে না, তাদের কবিরা গুনাহ মাফ হওয়ার সুসংবাদ।"-(মুসলিম, তাফসিরে মাজহারি)


নবী (সা.) বলেছেন,- "আল্লাহ তায়ালা সাত আসমান ও জমিন সৃষ্টি করার এক হাজার বছর আগে কোরআন লিখেছেন এবং তার মাঝে দু’টি আয়াত অবতীর্ণ করেছেন। যে ঘরে এ দু’টি আয়াত পাঠ করা হয় না সে ঘরে শয়তান অবস্থান করে।"


আয়ফা ইবনু আবদিল কালা‘ঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, "এক ব্যক্তি আরয করল,হে আল্লাহর নবী (সা.) কুরআনের কোন্ আয়াত এমন, যার বারাকাত আপনার ও আপনার উম্মাতের কাছে পৌঁছতে আপনি ভালবাসেন? তিনি (সা.) বললেন, সূরা আল বাকারাহ্’র শেষাংশ। কেননা আল্লাহ তা‘আলা তাঁর ‘আরশের নীচের ভাণ্ডার হতে তা এ উম্মাতকে দান করেছেন। দুনিয়া ও আখিরাতের এমন কোন কল্যাণ নেই যা এতে নেই।"(মিশকাত— ২১৬৯)




Tags: সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত বাংলা উচ্চারণ,সূরা বাকারার শেষ তিন আয়াত,সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত,বাকারার শেষ দুই আয়াত,সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত উচ্চারণ,সূরা বাকারার শেষ তিন আয়াত বাংলা উচ্চারণ,সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত,সূরা বাকারার শেষ তিন আয়াত,সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত,সূরা বাকারার শেষ ২ আয়াত,surah baqarah last 2 ayat,surah baqarah last 2 ayat bangla,surah baqarah bangla,surah baqarah last 2 ayat bangla uccharon,surah baqarah last 3 ayat,surah baqarah last 2 ayats with bangla translation,surah baqarah last 3 ayat bangla uccharan,bangla quran,surah bakara last 2 verse,surah baqarar last 3 ayat bnagla uccharan,surah baqarah last 3 ayats bangla,surah baqarar last 3 ayat bnagla,surah baqarah bangla translation,surah mulk bangla uccharon,sura hasorer ses 3 ayat bangla,surah baqarah last 3 ayat,surah baqarah last 3 ayats,surah baqarah last 2 ayat,surah baqarah last 3 ayats repeat,surah al baqarah,surah baqarah last 2 ayats,surah baqarah last 3 verses,last 3 verses of surah baqarah,surah,surah al baqarah last 3 verses,surah baqarah sesh 3 ayat,sura baqarah last 3 verses,quran surat al baqarah,surah al baqarah last 3 ayat,last 3 ayats of surah baqarah,surah al baqarah ki akhri 3 ayat,সূরা বাকারার শেষ তিন আয়াত,সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত,সূরা বাকারা,সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত,সূরা বাকারার শেষ তিন আয়াত বাংলা উচ্চারণ,সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত,সূরা বাকারার শেষ তিন আয়াত,সূরা বাকারার শেষ ২ আয়াত,বাকারার শেষ দুই আয়াত,সুরা বাকারার শেষ তিন আয়াত,সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত মশক,সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত মুখস্ত,সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত উচ্চারণ,সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত (২৮৫-২৮৬),সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত বাংলা উচ্চারণ,সুরা বাকারার শেষ তিন আয়াতের ফজিলত