সূরা ক্বারিয়াহ এর ফজিলত

সূরা ক্বারিয়াহ এর ফজিলত


সূরা আল-ক্বারিয়াহ (سورة القارعة) কুরআনের ১০১তম সূরা। এটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এতে ১১টি আয়াত রয়েছে। এই সূরায় কিয়ামতের দিন এবং মানুষের আমল অনুযায়ী তাদের পরিণতির বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।

বদ অভ্যাস দূর করার উপায় হিসেবে নিয়মিত সূরা আল-কারিয়াহ পাঠ করার কাজটি কুরআনের রূপান্তরকারী শক্তিকে নির্দেশ করে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে আয়াতগুলি হৃদয়কে শুদ্ধ করতে পারে, এটিকে ভালোর প্রতি আরও গ্রহণযোগ্য এবং মন্দের প্রতি প্রতিরোধী করে তোলে ।

" ক্বারিয়াহ " এর অনুবাদ করা হয়েছে বিপর্যয়, আঘাতকারী, বিপর্যয়কারী এবং গোলমালকারী হিসাবে। ঐতিহ্যগত ব্যাখ্যাকারী ইবনে কাথিরের মতে, আল-কারিয়াহ বিচার দিবসের অন্যতম নাম, যেমন আল-হাক্কা , আত-তাম্মাহ, আস-সাখখাহ এবং অন্যান্য।

কোরানের এই সূরাটি কেয়ামতের দিন এবং এর ঘটনা সম্পর্কে, এটি ভাল কাজের পুরস্কার এবং খারাপ কাজের জন্য শাস্তি সম্পর্কেও বলে। বর্ণনা অনুসারে, কেউ যদি এই সূরাটি পাঠ করে, তবে তাকে কিয়ামতের দিন পুরস্কৃত করা হবে।


সূরা আল-ক্বারিয়াহর মূল বার্তা:


কিয়ামতের ভয়াবহতা:

ক্বারিয়াহ বলতে কিয়ামতের সেই মহাবিপদ বোঝানো হয়েছে যা মানুষের হৃদয় কাঁপিয়ে দেবে।


মানুষের অবস্থা:

কিয়ামতের দিন মানুষ ভয় ও বিভ্রান্তিতে ছুটোছুটি করবে, এবং পাহাড়গুলো তুলোর মতো হয়ে যাবে।


আমলের ওজন:

সেদিন মানুষের আমল অনুযায়ী তাদের পরিণতি নির্ধারিত হবে। যাদের আমলনামা ভারী হবে, তারা জান্নাতে যাবে, আর যাদের হালকা হবে, তারা জাহান্নামে যাবে।


সূরা আল-ক্বারিয়াহর ফজিলত:


কিয়ামতের স্মরণ:

এই সূরা কিয়ামতের ভয়াবহতা এবং বিচার দিবসের বাস্তবতা সম্পর্কে মানুষকে গভীরভাবে সচেতন করে।


আমলনামা ভারী করার গুরুত্ব:

সূরা আল-ক্বারিয়াহ মানুষকে মনে করিয়ে দেয় যে, দুনিয়ার জীবনে প্রতিটি সৎকর্ম কিয়ামতের দিনে বড় ফজিলত বয়ে আনবে।


তিলাওয়াতের সওয়াব:

নিয়মিত এই সূরা পাঠ করলে কিয়ামতের দিন মানুষের জন্য তা শাফায়াতের (সুপারিশ) কারণ হতে পারে।


হাদিসের ফজিলত:

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বিভিন্ন সূরার তিলাওয়াতের গুরুত্ব সম্পর্কে বলেছেন, যা মানুষের অন্তরকে আল্লাহর দিকে ফিরিয়ে আনে এবং আখিরাতের জন্য প্রস্তুত হতে সাহায্য করে।


উপসংহার:

সূরা আল-ক্বারিয়াহ মানুষের মনে আখিরাতের গুরুত্ব এবং আমলের প্রভাব সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি জাগ্রত করে। এর তিলাওয়াত মানুষের অন্তরে আল্লাহর ভয় এবং সৎকর্মের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করে।