সূরা যিলযাল এর ফজিলত

সূরা যিলযাল এর ফজিলত


সূরা যিলযাল (سورة الزلزلة) কুরআনের ৯৯তম সূরা। এটি মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এতে ৮টি আয়াত রয়েছে। এই সূরায় কিয়ামতের দিন পৃথিবীর প্রচণ্ড ভূমিকম্প, মানুষের আমল এবং পরিণতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

সূরা যিলযাল নেক আমল করা এবং সৎ জীবন যাপনের গুরুত্ব তুলে ধরে এবং আল্লাহর আদেশ উপেক্ষা করার পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করে।

সূরা যিলযাল ২ বার পড়লে ১ বার কুরআন শরীফ পড়ার ছওয়াব হয়। সূরাটিতে ক্বিয়ামত প্রাক্কালের চূড়ান্ত ভূকম্পনের ভয় প্রদর্শন করা হয়েছে এবং মানুষকে অণু পরিমান সৎকর্ম হলেও তা করতে উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে।


সূরা যিলযালের মূল বার্তা:


কিয়ামতের দিন পৃথিবীর পরিবর্তন:

আল্লাহ বলেন, কিয়ামতের দিন পৃথিবী তার সমস্ত বোঝা বের করে দেবে এবং তখন মানুষের জন্য তাদের কাজের ফলাফল দেখানো হবে।


মানুষের কাজের হিসাব:

সূরায় বলা হয়েছে, কেউ অণু পরিমাণ ভালো কাজ করলে তার পুরস্কার পাবে, এবং কেউ অণু পরিমাণ মন্দ কাজ করলে তার শাস্তি ভোগ করবে।


সূরা যিলযালের ফজিলত:


তিলাওয়াতের সওয়াব:

হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন,

“যে ব্যক্তি সূরা যিলযাল তিলাওয়াত করবে, তাকে পুরো কুরআন তিলাওয়াত করার সমান সওয়াব দেওয়া হবে।” (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)


কিয়ামতের দিন স্মরণ:

এই সূরার মাধ্যমে মানুষকে কিয়ামতের দিনের ভয়াবহতা এবং নিজেদের আমলের হিসাব সম্পর্কে সতর্ক করা হয়। এটি মানুষকে ভালো কাজ করার জন্য প্রেরণা দেয় এবং পাপ থেকে বিরত থাকতে সাহায্য করে।


আত্মসংশোধনের সুযোগ:

সূরা যিলযাল মানুষকে তার প্রতিটি ছোট-বড় কাজের জন্য দায়বদ্ধতার শিক্ষা দেয়। এটি আত্মসমালোচনা এবং আল্লাহর কাছে তাওবার প্রয়োজনীয়তা স্মরণ করিয়ে দেয়।


উপসংহার:

সূরা যিলযাল একজন মুমিনকে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহর প্রতি জবাবদিহির জন্য প্রস্তুত থাকতে শেখায়। এর তিলাওয়াত কিয়ামতের দিনের বাস্তবতা সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি এনে দেয় এবং আত্মশুদ্ধির পথ প্রশস্ত করে।