সূরা আল ক্বামার এর ফজিলত

সূরা আল ক্বামার এর ফজিলত


সূরা আল-ক্বামার (সূরা ৫৪) কুরআনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা, যা মূলত কেয়ামতের নিদর্শন, আল্লাহর সতর্কবাণী এবং পূর্বের জাতিদের শিক্ষা সম্পর্কে বর্ণনা করে। এই সূরার ফজিলত ও উপকারিতাগুলি নিম্নরূপ:

এই সূরার ফযীলত সম্পর্কে রাসূল (সঃ) থেকে প্রেরিত হয়েছে যে, যে ব্যক্তি প্রতি দিন সূরা আল-কামার পাঠ করবে, সে কিয়ামাতে প্রবেশ করবে এবং তার চেহারা হবে পূর্ণিমার চাঁদের মত উজ্জ্বল।


কেয়ামতের নিদর্শন: সূরা আল-ক্বামার শুরু হয় চাঁদের দ্বিখণ্ডিত হওয়ার ঘটনা দিয়ে, যা কেয়ামতের আগের একটি বড় নিদর্শন হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এটি পাঠ করলে মানুষের অন্তরে আখিরাতের প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধি পায় এবং আল্লাহর সতর্কবার্তা উপলব্ধি করতে সাহায্য করে।


পূর্ববর্তী জাতিদের শিক্ষা: এই সূরায় নূহ, আদ, সামুদ, এবং লূত (আ.) এর জাতির কাহিনী উল্লেখ করা হয়েছে, যারা আল্লাহর আদেশ অমান্য করে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল। এই ঘটনাগুলি মানুষকে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বিরত থাকতে এবং আল্লাহর আদেশ অনুসরণের প্রতি উৎসাহ দেয়।


আল্লাহর দয়া ও ক্ষমার প্রতিশ্রুতি: যদিও এই সূরায় শাস্তি ও ধ্বংসের কথা বলা হয়েছে, আল্লাহ এই শাস্তির মধ্যেও তাঁর দয়া ও ক্ষমার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এটি পাঠ করলে আল্লাহর প্রতি ভরসা বৃদ্ধি পায় এবং মানুষ আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে অনুপ্রাণিত হয়।


কোরআনের শিক্ষার গুরুত্ব: সূরা আল-ক্বামারে বারবার কুরআনের সহজবোধ্যতা ও শিক্ষার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যেমন, “আমি কুরআনকে সহজ করেছি স্মরণের জন্য। তবে আছে কি কোনো স্মরণকারী?”—এ কথাটি পুনরাবৃত্ত হয়েছে। এটি মানুষকে কুরআন অধ্যয়নের গুরুত্ব ও শিক্ষাগ্রহণে উৎসাহিত করে।


বিপদে শান্তি ও সাহস অর্জন: বিশ্বাস করা হয় যে, কেউ যদি বিপদের সময় সূরা আল-ক্বামার পাঠ করে, তবে আল্লাহ তাকে সাহস এবং মানসিক শান্তি প্রদান করেন। এই সূরাটি আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণের অনুভূতি জাগ্রত করে।


সারাংশে, সূরা আল-ক্বামার পাঠ করলে মানুষ কেয়ামতের দিন ও আল্লাহর নিকট জবাবদিহিতার প্রতি সচেতন হয়, পূর্বের জাতিদের শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে, এবং আল্লাহর দয়া ও ক্ষমার ওপর ভরসা করে আত্মিক শক্তি লাভ করতে পারে।