সূরা আত্ব তূর এর ফজিলত

সূরা আত্ব তূর এর ফজিলত


সূরা আত্ব-তূর কুরআনের ৫২তম সূরা, যা মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এটি প্রধানত আল্লাহর কুদরত, তাঁর সৃষ্টির নিদর্শন, পরকাল এবং অবিশ্বাসীদের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছে। এই সূরাটির পাঠ ও অধ্যয়ন বিশেষ ফজিলতপূর্ণ।


ইমাম জাফর আস-সাদিক (রাযিআল্লাহু আনহু) বলেছেন যে, এই সূরাটি তেলাওয়াতকারীর জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনে এবং যারা বন্দী রয়েছে তাদের নিয়মিত তেলাওয়াত দাসত্ব থেকে দ্রুত মুক্তি লাভ করে।


সূরা আত্ব-তূর এর ফজিলত


পরকাল ও ন্যায়বিচার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি:

এই সূরাতে আল্লাহ তায়ালা পরকাল ও কিয়ামতের দিন সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, যা পাঠকারীর মধ্যে আল্লাহর ভয় এবং পরকালের জন্য প্রস্তুতির প্রেরণা সৃষ্টি করে।


ইবাদতে মনোযোগ বৃদ্ধি:

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিভিন্ন সময়ে এই সূরা তিলাওয়াত করতেন। এতে মানুষের অন্তরে ইবাদতের প্রতি একাগ্রতা ও মনোযোগ বৃদ্ধি পায়। হাদিসে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) মাগরিবের নামাজে সূরা আত্ব-তূর তিলাওয়াত করতেন, যা এর গুরুত্ব বোঝায়।


আল্লাহর কুদরত এবং সৃষ্টির নিদর্শন উপলব্ধি:

এই সূরাটি আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং তাঁর অশেষ ক্ষমতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, যা আমাদের ঈমান শক্তিশালী করে এবং আল্লাহর কুদরত সম্পর্কে উপলব্ধি বৃদ্ধি করে।


বিপদ ও দুশ্চিন্তা দূর করার জন্য:

অনেক ইসলামিক স্কলারদের মতে, বিপদে পড়লে বা দুশ্চিন্তায় থাকলে এই সূরা পাঠ করা কল্যাণ বয়ে আনে এবং আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে।


আত্মশুদ্ধি ও আখিরাতের প্রস্তুতি:

এ সূরার মাধ্যমে আখিরাতের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে, যা মানুষের আত্মাকে পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করে তোলে এবং তাকে সৎকর্মের প্রতি মনোযোগী করে।


আমল ও পঠন পদ্ধতি

প্রতিদিন অন্তত একবার এই সূরাটি তিলাওয়াত করলে অন্তরে আল্লাহর কুদরতের প্রতি আস্থা বৃদ্ধি পায়।

সপ্তাহে একদিন ফজরের পর বা মাগরিবের নামাজে তিলাওয়াত করলে চিত্ত শান্তি পায় এবং আল্লাহর রহমত লাভ হয়।

সূরা আত্ব-তূর পাঠকারীর অন্তরে আল্লাহর মহিমা, কুদরত এবং পরকালের প্রতি বিশ্বাসকে মজবুত করে। যারা নিয়মিত এই সূরাটি তিলাওয়াত করেন, তারা আল্লাহর কাছ থেকে বিশেষ রহমত ও সাহায্য পাওয়ার আশা করতে পারেন।