সূরা আয-যারিয়াত এর ফজিলত

সূরা আয-যারিয়াত এর ফজিলত


সূরা আয-যারিয়াত কুরআনের ৫১তম সূরা, যা মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এটি পবিত্র কুরআনের গুরুত্বপূর্ণ সূরা হিসেবে পরিচিত এবং এতে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাসমূহ উল্লেখ রয়েছে।


সূরা আয-যারিয়াত এর ফজিলত

পাপ ক্ষমা পাওয়ার জন্য:

হাদিসে বলা হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবীদেরকে এই সূরা পাঠ করতে উৎসাহিত করতেন। এটি পাঠ করলে আল্লাহর পক্ষ থেকে পাপ ক্ষমা পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়। এছাড়া এতে আল্লাহর অনুগ্রহের কথা উল্লেখ আছে, যা তাঁর নৈকট্য লাভে সহায়ক।


রিজিক বৃদ্ধি:

সূরা আয-যারিয়াত পাঠ করলে আল্লাহ রিজিকে বরকত দান করেন এবং অভাব থেকে মুক্তি দেন। হাদিসে এসেছে যে, যে ব্যক্তি রিজিক বৃদ্ধি ও সংকট থেকে মুক্তি কামনা করেন, তিনি এই সূরা নিয়মিত পাঠ করতে পারেন।


শান্তি ও সান্ত্বনা লাভ:

এ সূরাটি আল্লাহর সৃষ্টির নিদর্শন ও তাঁর ক্ষমতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, যা পাঠকারীর অন্তরে শান্তি ও সান্ত্বনা সৃষ্টি করে এবং ঈমানকে আরও দৃঢ় করে।


পরকালের প্রস্তুতি:

সূরাটি পরকাল সম্পর্কে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করে এবং মানুষকে আল্লাহর পথে পরিচালিত হওয়ার জন্য সচেতন করে। যারা এই সূরাটি মনোযোগ দিয়ে পাঠ করেন, তাদের অন্তরে আখিরাতের জন্য প্রস্তুতি নিতে আগ্রহ বাড়ে।


বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া:

এই সূরাটি নিয়মিত পাঠ করলে বিভিন্ন বিপদাপদ ও দুর্যোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপকারিতা রয়েছে বলে অনেক ইসলামিক স্কলাররা উল্লেখ করেছেন।


আমল ও পঠন পদ্ধতি

নিয়মিত ফজরের নামাজের পর বা রাতের যেকোনো সময় এই সূরা পাঠ করলে আল্লাহর রহমত লাভ হয়।

সপ্তাহে একবার এই সূরা তিলাওয়াত করলে অন্তর বিশুদ্ধ হয় এবং পাপ ক্ষমার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

সূরা আয-যারিয়াত আল্লাহর কুদরত ও সৃষ্টির নিদর্শন সম্পর্কে সচেতন করে এবং দুনিয়ার প্রতি মমতা কমিয়ে আখিরাতের প্রস্তুতির জন্য উদ্বুদ্ধ করে। নিয়মিত এই সূরাটি তিলাওয়াত করলে আল্লাহর কাছ থেকে রহমত, রিজিকের বরকত এবং পরকালে সফলতা লাভের আশা করা যায়।