সূরা ক্বদর-এর ফযীলত

সূরা ক্বদর-এর ফযীলত

১. রমজান মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাত্রিকে শবে ক্বদর বলা হয়। ধর্মপ্রাণ মুসলমান নারী পুরুষ সারা রাত্র জেগে মহান আল্লাহ তায়ালার ইবাদতে মশগুল থাকে এবং সূরা ক্বদর দ্বারা নামায পড়ে তার জীবনের সকল গোনাহ আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দিবেন ।

২. যে ব্যক্তি পূর্ণ পবিত্রতার সাথে বিসমিল্লাহ সহ নির্দিষ্ট জায়গায় বসে প্রত্যহ সকাল ও সন্ধ্যায় সাতবার সূরা ক্বদর পাঠ করে, সে ব্যক্তি সকলের নিকট সম্মান লাভ করবে।

২. হযরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত আছে, হযরত নবী করীম (স) বলেছেন, যে ব্যক্তি সওয়াবের আশায় ক্বদরের রাত নামাযে দাঁড়িয়ে শেষ করে তার পিছনের সকল গোনাহরাশি মাফ করে দেয়া হয়। 


সূরা ক্বদর

আয়াত-৫

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

ইন্না আনজালনাহু ফি লাইলাতিল কদর। অমা আদরা কামা লাইলাতুল কাদর। লাইলাতুল কাদরি খাইরুম মিন আলফি শাহর। তানাজজালুল মালায়িকাতু অররুহু ফিহা বিইযনি রাব্বিহিম মিন কুল্লি আমরি। সালামুন হিয়া হাত্তামাত্ব লাই’ল ফাজর।


বাংলা অর্থ :

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু। নিশ্চয়ই আমি এটা (কোরআন) কদর রাতে নাযিল করলাম। আর আপনি কি যানেন, মহিমান্বিত রাত কি? কদর (মহিমান্বিত) রাত, হাযার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। সে রাতে প্রত্যেক বরকত পূর্ণ বিষয় নিয়ে ফেরেশতা ও রুহ (জিবরাঈল) (দুনিয়াতে) অবতীর্ণ হয়, স্বীয় রবের নির্দেশে। সে রাতে সম্পূর্ণ শান্তি, ফজর পর্যন্ত বিরাজিত থাকে।