সূরা ইনফিত্বার-এর ফযীলত

সূরা ইনফিত্বার-এর ফযীলত

১. যে ব্যক্তি এ সূরাটি আগ্রহ সহকারে পাঠ করবে, রোজ কিয়ামতে আল্লাহ তায়ালা তাকে নানা দিক দিয়ে সুখী ও আনন্দিত করবেন। তার আমলনামায় বারিবিন্দুর মত অসংখ্য পূণ্য লিখে দিবেন ।

২. কোন কয়েদী ব্যক্তি জেল বা হাজতখানায় বসে প্রতিদিন সাতবার করে সূরাটি পাঠ করতে আল্লাহর রহমতে অতি শীঘ্রই সে মুক্তি লাভ করবে।

৩. এ সূরা এক সঙ্গে একশতবার পাঠ করলে আল্লাহর অসীম কৃপায় ফেরেশতা কিরামান কাতেবীন আল্লাহর অনুমতি পেয়ে পাঠকারীর আমলনামায় অসংখ্য নেকী লিখে দিবেন এবং এ সূরা সত্তরবার পাঠ করে আল্লাহর নিকট মোনাজাত করলে আল্লাহ তার ঈমানের দৃঢ়তা বাড়িয়ে দিবেন এবং তাকে ঈমানের সাথে মৃত্যুবরণ করাবেন ।


সূরা ইনফিত্বার

আয়াত-১৯

বিসমিল্লা-হির রাহমা-নির রাহীম 

উচ্চারণ

অনুবাদ



إِذَاٱلسَّمَآءُٱنفَطَرَتْ


ইযাছ ছামাউন ফাতারাত


যখন আকাশ বিদীর্ণ হবে,



وَإِذَاٱلْكَوَاكِبُٱنتَثَرَتْ


ওয়া ইযাল কাওয়া-কিবুন তাছারাত


যখন নক্ষত্রসমূহ ঝরে পড়বে,



وَإِذَاٱلْبِحَارُفُجِّرَتْ


ওয়া ইযাল বিহা-রু ফুজ্জিরাত


যখন সমুদ্রকে উত্তাল করে তোলা হবে,



وَإِذَاٱلْقُبُورُبُعْثِرَتْ


ওয়া ইযাল কুবূরু বু‘ছিরাত


এবং যখন কবরসমূহ উম্মোচিত হবে,



عَلِمَتْنَفْسٌمَّاقَدَّمَتْوَأَخَّرَتْ


‘আলিমাত নাফছুম মা-কাদ্দামাত ওয়া আখখারাত


তখন প্রত্যেকে জেনে নিবে সে কি অগ্রে প্রেরণ করেছে এবং কি পশ্চাতে ছেড়ে এসেছে।



يَٰٓأَيُّهَاٱلْإِنسَٰنُمَاغَرَّكَبِرَبِّكَٱلْكَرِيمِ


ইয়াআইয়ূহাল ইনছা-নুমা-গাররাকা বিরাব্বিকাল কারীম


হে মানুষ, কিসে তোমাকে তোমার মহামহিম পালনকর্তা সম্পর্কে বিভ্রান্ত করল?



ٱلَّذِىخَلَقَكَفَسَوَّىٰكَفَعَدَلَكَ


আল্লাযী খালাকাকা ফাছাওওয়া-কা ফা‘আদালাক


যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাকে সুবিন্যস্ত করেছেন এবং সুষম করেছেন।



فِىٓأَىِّصُورَةٍمَّاشَآءَرَكَّبَكَ


ফীআইয়ি সূরাতিম মা- শাআ রাক্কাবাক


যিনি তোমাকে তাঁর ইচ্ছামত আকৃতিতে গঠন করেছেন।



كَلَّابَلْتُكَذِّبُونَبِٱلدِّينِ


কাল্লা-বাল তুকাযযিবূনা বিদ্দীন


কখনও বিভ্রান্ত হয়ো না; বরং তোমরা দান-প্রতিদানকে মিথ্যা মনে কর।


১০


وَإِنَّعَلَيْكُمْلَحَٰفِظِينَ


 ওয়া ইন্না ‘আলাইকুম লাহা-ফিজীন


অবশ্যই তোমাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত আছে।


১১


كِرَامًاكَٰتِبِينَ


 কিরা-মান কা-তিবীন


সম্মানিত আমল লেখকবৃন্দ।


১২


يَعْلَمُونَمَاتَفْعَلُونَ


ইয়া‘লামূনা মা-তাফ‘আলূন


তারা জানে যা তোমরা কর।


১৩


إِنَّٱلْأَبْرَارَلَفِىنَعِيمٍ


ইন্নাল আবরা-রা লাফী না‘ঈম


সৎকর্মশীলগণথাকবেজান্নাতে।


১৪


وَإِنَّٱلْفُجَّارَلَفِىجَحِيمٍ


 ওয়া ইন্নাল ফুজ্জা-রা লাফী জাহীম


এবং দুষ্কর্মীরা থাকবে জাহান্নামে;


১৫


يَصْلَوْنَهَايَوْمَٱلدِّينِ


ইয়াসলাওনাহা-ইয়াওমাদ্দীন


তারা বিচার দিবসে তথায় প্রবেশ করবে।


১৬


وَمَاهُمْعَنْهَابِغَآئِبِينَ


ওয়ামা-হুম ‘আনহা-বিগাইবীন


তারা সেখান থেকে পৃথক হবে না।


১৭


وَمَآأَدْرَىٰكَمَايَوْمُٱلدِّينِ


ওয়ামাআদরা-কা মা-ইয়াওমুদ্দীন


আপনি জানেন, বিচার দিবস কি?


১৮


ثُمَّمَآأَدْرَىٰكَمَايَوْمُٱلدِّينِ


 ছু ম্মা মাআদরা-কা মা-ইয়াওমুদ্দীন


অতঃপর আপনি জানেন, বিচার দিবস কি?


১৯


يَوْمَلَاتَمْلِكُنَفْسٌلِّنَفْسٍشَيْـًٔاوَٱلْأَمْرُيَوْمَئِذٍلِّلَّهِ


ইয়াওমা লা-তামলিকুনাফছুল লিনাফছিন শাইআওঁ ওয়াল আমরু ইয়াওমাইযিল লিল্লা-হি


যেদিন কেউ কারও কোন উপকার করতে পারবে না এবং সেদিন সব কৃত হবে