পাক পবিত্রতার বিবরণ

পাক পবিত্রতার বিবরণ

নাপাক অবস্থার হুকুম

কোনো মানুষের শরীর নাপাক হলে গোসল করে পবিত্র হওয়ার আগে কুরআন মজীদ তেলাওয়াত করা এবং মসজিদের মধ্যে প্রবেশ করা হারাম। যদি মসজিদের মধ্যে পা রেখে বের হওয়া অতি জরুরী হয়ে পড়ে, যেমন কোন ব্যক্তি মসজিদের হুজরার মধ্যে থেকে নাপাক হয়েছে এবং সেখান থেকে মসজিদ ব্যতীত বের হওয়ার অন্য কোন রাস্তা না থাকে কিংবা কোন লোক অন্য স্থানে জায়গা না পেয়ে ঠেকাবশতঃ মসজিদের মধ্যে নিদ্রা গিয়ে নাপাক হয়েছে তবে এ অবস্থায় তায়াম্মুম করে মসজিদ থেকে বের হয়ে গোসল করবে। (বেহেশতী জেওর) 


এস্তেঞ্জার বিবরণ

প্রস্রাব ও মল ত্যাগের পরে পবিত্র হওয়াকে এস্তেঞ্জা বলা হয়। এ এস্তেঞ্জা দুই প্রকার, যথাঃ (১) বড় এস্তেঞ্জা ও (২) ছোট এন্তেজা। মলত্যাগের পরে পবিত্র হওয়াকে বড় এস্তেঞ্জা এবং প্রস্রাবের পর পবিত্র হওয়াকে ছোট এস্তেঞ্জা বলা হয়। কাজেই পায়খানা ও পেশাব করার পর পবিত্র হওয়া সুন্নাত।


কুলুখের বিবরণ

প্রস্রাব ও মলত্যাগের পরে পাক-পবিত্র হওয়াকে এস্তেঞ্জা বলা হয়। এ এস্তেঞ্জা দুই প্রকার, প্রথমে কুলুখ ব্যবহার করে পাক হওয়া, দ্বিতীয় পানি দ্বারা ধৌত করে পাক হওয়া। প্রস্রাব ও মল ত্যাগের পরে কুলুখ ব্যবহার সম্পর্কে হযরত রাসূলুল্লাহ (ছঃ) তাকীদ করেছেন। তিনি ফরমায়েছেন : প্রস্রাব ও মলত্যাগ করার পরে তিনটি পাথর (অথবা তিনটি মাটির ঢিলা) দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করবে। (মুসলিম) এরপর পানি  দিয়ে ধুয়ে পবিত্র হবে। (ইবনে মাজা)

প্রস্রাবের পরে কুলুখ ব্যবহার না করলে শুধু  পানি দ্বারা ধুইলে তাতে ঠিকভাবে পবিত্র হওয়া যায় না, কেননা প্রস্রাবের পরে দীর্ঘ সময় প্রস্রাবের নালি থেকে ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব নির্গত হতে থাকে। সুতরাং কুলুখের দ্বারাই প্রকৃত পবিত্রতা লাভ করা যায়। তবে কুলুখ ব্যবহারের পরে পানি দিয়ে ধৌত করা মুস্তাহাব ।