সূরা আশ-শুরা আরবি সহ বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ - Surah Ash-Shura in Bangla Uccharon

সূরা আশ-শুরা আরবি সহ বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ 

সূরা আশ-শুরা - Surah Ash-Shura (মক্কায় অবতীর্ণ - আয়াত ৫৩)


بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।


1

حمٓ

হা-মীম।

হা-মীম।


2

عٓسٓقٓ

‘আইূন ছীন কাফ।

আইন, সীন ক্বা-ফ।


3

كَذَٰلِكَ يُوحِىٓ إِلَيْكَ وَإِلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبْلِكَ ٱللَّهُ ٱلْعَزِيزُ ٱلْحَكِيمُ

কাযা-লিকা ইউহীইলাইকা ওয়া ইলাল্লাযীনা মিন কাবলিকাল্লা-হুল ‘আঝীঝুল হাকীম।

এমনিভাবে পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় আল্লাহ আপনার প্রতি ও আপনার পূর্ববর্তীদের প্রতি ওহী প্রেরণ করেন।


4

لَهُۥ مَا فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِى ٱلْأَرْضِ وَهُوَ ٱلْعَلِىُّ ٱلْعَظِيمُ

লাহূমা-ফিছছামা-ওয়া-তি ওয়ামা ফিল আরদি ওয়াহুয়াল ‘আলিইয়ুল ‘আজীম।

নভোমন্ডলে যা কিছু আছে এবং ভূমন্ডলে যা কিছু আছে, সমস্তই তাঁর। তিনি সমুন্নত, মহান।


5

تَكَادُ ٱلسَّمَٰوَٰتُ يَتَفَطَّرْنَ مِن فَوْقِهِنَّ وَٱلْمَلَٰٓئِكَةُ يُسَبِّحُونَ بِحَمْدِ رَبِّهِمْ وَيَسْتَغْفِرُونَ لِمَن فِى ٱلْأَرْضِ أَلَآ إِنَّ ٱللَّهَ هُوَ ٱلْغَفُورُ ٱلرَّحِيمُ

তাকা-দুছছামা-ওয়া-তুইয়াতাফাত্তারনা মিন ফাওকিহিন্না ওয়াল মালাইকাতুইউছাব্বিহূনা বিহামদি রাব্বিহিম ওয়া ইয়াছতাগফিরূনা লিমান ফিল আরদি আলাইন্নাল্লা-হা হুওয়াল গাফূরুর রাহীম।

আকাশ উপর থেকে ফেটে পড়ার উপক্রম হয় আর তখন ফেরেশতাগণ তাদের পালনকর্তার প্রশংসাসহ পবিত্রতা বর্ণনা করে এবং পৃথিবীবাসীদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে। শুনে রাখ, আল্লাহই ক্ষমাশীল, পরম করুনাময়।


6

وَٱلَّذِينَ ٱتَّخَذُوا۟ مِن دُونِهِۦٓ أَوْلِيَآءَ ٱللَّهُ حَفِيظٌ عَلَيْهِمْ وَمَآ أَنتَ عَلَيْهِم بِوَكِيلٍ

ওয়াল্লাযীনাত্তাখাযূমিন দূ নিহীআওলিয়াআল্লা-হু হাফীজুন ‘আলাইহিম ওয়ামা আনতা ‘আলাইহিম বিওয়াকীল।

যারা আল্লাহ ব্যতীত অপরকে অভিভাবক হিসাবে গ্রহণ করে, আল্লাহ তাদের প্রতি লক্ষ্য রাখেন। আপনার উপর নয় তাদের দায়-দায়িত্ব।


7

وَكَذَٰلِكَ أَوْحَيْنَآ إِلَيْكَ قُرْءَانًا عَرَبِيًّا لِّتُنذِرَ أُمَّ ٱلْقُرَىٰ وَمَنْ حَوْلَهَا وَتُنذِرَ يَوْمَ ٱلْجَمْعِ لَا رَيْبَ فِيهِ فَرِيقٌ فِى ٱلْجَنَّةِ وَفَرِيقٌ فِى ٱلسَّعِيرِ

ওয়া কাযা-লিকা আওহাইনাইলাইকা কুরআ-নান ‘আরাবিইইয়াল লিতুনযিরা উম্মাল কুরা-ওয়া মান হাওলাহা-ওয়া তুনযিরা ইয়াওমাল জাম‘ই লা-রাইবা ফীহি ফারীকুন ফিল জান্নাতি ওয়া ফারীকুন ফিছ ছা‘ঈর।

এমনি ভাবে আমি আপনার প্রতি আরবী ভাষায় কোরআন নাযিল করেছি, যাতে আপনি মক্কা ও তার আশ-পাশের লোকদের সতর্ক করেন এবং সতর্ক করেন সমাবেশের দিন সম্পর্কে, যাতে কোন সন্দেহ নেই। একদল জান্নাতে এবং একদল জাহান্নামে প্রবেশ করবে।


8

وَلَوْ شَآءَ ٱللَّهُ لَجَعَلَهُمْ أُمَّةً وَٰحِدَةً وَلَٰكِن يُدْخِلُ مَن يَشَآءُ فِى رَحْمَتِهِۦ وَٱلظَّٰلِمُونَ مَا لَهُم مِّن وَلِىٍّ وَلَا نَصِيرٍ

ওয়ালাও শাআল্লা-হু লাজা‘আলাহুম উম্মাতাওঁ ওয়া-হিদাতাওঁ ওয়ালা-কিইঁ ইউদ খিলুমাইঁ ইয়াশাউ ফী রাহমাতিহী ওয়াজ্জা-লিমূনা মা-লাহুম মিওঁ ওয়ালিইয়িওঁ ওয়ালা-নাসীর।

আল্লাহ ইচ্ছা করলে সমস্ত লোককে এক দলে পরিণত করতে পারেন। কিন্তু তিনি যাকে ইচ্ছা স্বীয় রহমতে দাখিল করেন। আর যালেমদের কোন অভিভাবক ও সাহায্যকারী নেই।


9

أَمِ ٱتَّخَذُوا۟ مِن دُونِهِۦٓ أَوْلِيَآءَ فَٱللَّهُ هُوَ ٱلْوَلِىُّ وَهُوَ يُحْىِ ٱلْمَوْتَىٰ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ

আমিত্তাখাযূমিন দূ নিহীআওলিয়াআ ফাল্লা-হু হুওয়াল ওয়ালিইয়ুওয়া হুওয়া ইউহয়িল মাওতা- ওয়া হুওয়া ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর।

তারা কি আল্লাহ ব্যতীত অপরকে অভিভাবক স্থির করেছে? পরন্তু আল্লাহই তো একমাত্র অভিভাবক। তিনি মৃতদেরকে জীবিত করেন। তিনি সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান।


10

وَمَا ٱخْتَلَفْتُمْ فِيهِ مِن شَىْءٍ فَحُكْمُهُۥٓ إِلَى ٱللَّهِ ذَٰلِكُمُ ٱللَّهُ رَبِّى عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَإِلَيْهِ أُنِيبُ

ওয়ামাখ তালাফতুম ফীহি মিন শাইয়িন ফাহুকমুহূইলাল্লা-হি যা-লিকুমুল্লা-হু রাববী ‘আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া ইলাইহি উনীব।

তোমরা যে বিষয়েই মতভেদ কর, তার ফয়সালা আল্লাহর কাছে সোপর্দ। ইনিই আল্লাহ আমার পালনকর্তা আমি তাঁরই উপর নির্ভর করি এবং তাঁরই অভিমুখী হই।


11

فَاطِرُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ جَعَلَ لَكُم مِّنْ أَنفُسِكُمْ أَزْوَٰجًا وَمِنَ ٱلْأَنْعَٰمِ أَزْوَٰجًا يَذْرَؤُكُمْ فِيهِ لَيْسَ كَمِثْلِهِۦ شَىْءٌ وَهُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلْبَصِيرُ

ফা-তিরুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি জা‘আলা লাকুম মিন আনফুছিকুম আঝওয়া-জাওঁ ওয়া মিনাল আন‘আ-মি আঝওয়া-জাইঁ ইয়াযরাঊকুম ফীহি লাইছা কামিছলিহী শাইউওঁ ওয়া হুওয়াছ ছামী‘উল বাসীর

তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের স্রষ্টা। তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের জন্যে যুগল সৃষ্টি করেছেন এবং চতুস্পদ জন্তুদের মধ্য থেকে জোড়া সৃষ্টি করেছেন। এভাবে তিনি তোমাদের বংশ বিস্তার করেন। কোন কিছুই তাঁর অনুরূপ নয়। তিনি সব শুনেন, সব দেখেন।


12

لَهُۥ مَقَالِيدُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ يَبْسُطُ ٱلرِّزْقَ لِمَن يَشَآءُ وَيَقْدِرُ إِنَّهُۥ بِكُلِّ شَىْءٍ عَلِيمٌ

লাহূমাকা-লীদুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ইয়াবছুতু র রিঝকা লিমাইঁ ইয়াশাউ ওয়া ইয়াকদিরু ইন্নাহূবিকুল্লি শাইয়িন ‘আলীম।

আকাশ ও পৃথিবীর চাবি তাঁর কাছে। তিনি যার জন্যে ইচ্ছা রিযিক বৃদ্ধি করেন এবং পরিমিত করেন। তিনি সর্ব বিষয়ে জ্ঞানী।


13

شَرَعَ لَكُم مِّنَ ٱلدِّينِ مَا وَصَّىٰ بِهِۦ نُوحًا وَٱلَّذِىٓ أَوْحَيْنَآ إِلَيْكَ وَمَا وَصَّيْنَا بِهِۦٓ إِبْرَٰهِيمَ وَمُوسَىٰ وَعِيسَىٰٓ أَنْ أَقِيمُوا۟ ٱلدِّينَ وَلَا تَتَفَرَّقُوا۟ فِيهِ كَبُرَ عَلَى ٱلْمُشْرِكِينَ مَا تَدْعُوهُمْ إِلَيْهِ ٱللَّهُ يَجْتَبِىٓ إِلَيْهِ مَن يَشَآءُ وَيَهْدِىٓ إِلَيْهِ مَن يُنِيبُ

শারা‘আ লাকুম মিনাদ্দীনি মা-ওয়াসসা-বিহী নূহাওঁ ওয়াল্লাযীআওহাইনাইলাইকা ওয়ামা-ওয়াসসাইনা-বিহীইবরা-হীমা ওয়া মূছা-ওয়া ‘ঈছাআন আকীমুদ্দীনা ওয়া লাতাতাফাররাকূফীহি কাবুরা ‘আলাল মুশরিকীনা মা-তাদ‘ঊহুম ইলাইহি আল্লা-হু ইয়াজতাবীইলাইহি মাইঁ ইয়াশাউ ওয়া ইয়াহদীইলাইহি মাইঁ ইউনীব।

তিনি তোমাদের জন্যে দ্বীনের ক্ষেত্রে সে পথই নিধারিত করেছেন, যার আদেশ দিয়েছিলেন নূহকে, যা আমি প্রত্যাদেশ করেছি আপনার প্রতি এবং যার আদেশ দিয়েছিলাম ইব্রাহীম, মূসা ও ঈসাকে এই মর্মে যে, তোমরা দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত কর এবং তাতে অনৈক্য সৃষ্টি করো না। আপনি মূশরেকদেরকে যে বিষয়ের প্রতি আমন্ত্রণ জানান, তা তাদের কাছে দুঃসাধ্য বলে মনে হয়। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা মনোনীত করেন এবং যে তাঁর অভিমুখী হয়, তাকে পথ প্রদর্শন করেন।


14

وَمَا تَفَرَّقُوٓا۟ إِلَّا مِنۢ بَعْدِ مَا جَآءَهُمُ ٱلْعِلْمُ بَغْيًۢا بَيْنَهُمْ وَلَوْلَا كَلِمَةٌ سَبَقَتْ مِن رَّبِّكَ إِلَىٰٓ أَجَلٍ مُّسَمًّى لَّقُضِىَ بَيْنَهُمْ وَإِنَّ ٱلَّذِينَ أُورِثُوا۟ ٱلْكِتَٰبَ مِنۢ بَعْدِهِمْ لَفِى شَكٍّ مِّنْهُ مُرِيبٍ

ওয়ামা-তাফাররাকূইল্লা-মিম বা‘দি মা-জাআহুমুল ‘ইলমুবাগইয়াম বাইনাহুম ওয়া লাওলা-কালিমাতুন ছাবাকাত মির রাব্বিকা ইলাআজালিম মুছাম্মাল লাকুদিয়া বাইনাহুম ওয়া ইন্নাল্লাযীনা ঊরিছুল কিতা-বা মিম বা‘দিহিম লাফী শাক্কিম মিনহু মুরীব।

তাদের কাছে জ্ঞান আসার পরই তারা পারস্পরিক বিভেদের কারণে মতভেদ করেছে। যদি আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবকাশের পূর্ব সিদ্ধান্ত না থাকত, তবে তাদের ফয়সালা হয়ে যেত। তাদের পর যারা কিতাব প্রাপ্ত হয়েছে, তারা অস্বস্তিকর সন্দেহে পতিত রয়েছে।


15

فَلِذَٰلِكَ فَٱدْعُ وَٱسْتَقِمْ كَمَآ أُمِرْتَ وَلَا تَتَّبِعْ أَهْوَآءَهُمْ وَقُلْ ءَامَنتُ بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ مِن كِتَٰبٍ وَأُمِرْتُ لِأَعْدِلَ بَيْنَكُمُ ٱللَّهُ رَبُّنَا وَرَبُّكُمْ لَنَآ أَعْمَٰلُنَا وَلَكُمْ أَعْمَٰلُكُمْ لَا حُجَّةَ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمُ ٱللَّهُ يَجْمَعُ بَيْنَنَا وَإِلَيْهِ ٱلْمَصِيرُ

ফালিযা-লিকা ফাদ‘উ ওয়াছতাকিম কামাউমিরতা ওয়ালা-তাত্তাবি‘ আহওয়াআহুম ওয়া কুল আ-মানতুবিমাআনঝালাল্লা-হু মিন কিতা-বিওঁ ওয়া উমিরতুলিআ‘দিলা বাইনাকুম আল্লা-হু রাব্বুনা-ওয়া রাব্বাকুম লানাআ‘মা-লুনাওয়ালাকুম আ‘মা-লুকুম লা-হুজ্জাতা বাইনানা-ওয়া বাইনাকুম আল্লা-হু ইয়াজমা‘উ বাইনানা- ওয়া ইলাইহিল মাসীর।

সুতরাং আপনি এর প্রতিই দাওয়াত দিন এবং হুকুম অনুযায়ী অবিচল থাকুন; আপনি তাদের খেয়ালখুশীর অনুসরণ করবেন না। বলুন, আল্লাহ যে কিতাব নাযিল করেছেন, আমি তাতে বিশ্বাস স্থাপন করেছি। আমি তোমাদের মধ্যে ন্যায় বিচার করতে আদিষ্ট হয়েছি। আল্লাহ আমাদের পালনকর্তা ও তোমাদের পালনকর্তা। আমাদের জন্যে আমাদের কর্ম এবং তোমাদের জন্যে তোমাদের কর্ম। আমাদের মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে বিবাদ নেই। আল্লাহ আমাদেরকে সমবেত করবেন এবং তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তণ হবে।


16

وَٱلَّذِينَ يُحَآجُّونَ فِى ٱللَّهِ مِنۢ بَعْدِ مَا ٱسْتُجِيبَ لَهُۥ حُجَّتُهُمْ دَاحِضَةٌ عِندَ رَبِّهِمْ وَعَلَيْهِمْ غَضَبٌ وَلَهُمْ عَذَابٌ شَدِيدٌ

ওয়াল্লাযীনা ইঊহাজ্জূনা ফিল্লা-হি মিম বা‘দি মাছতুজীবা লাহূহুজ্জাতুহুম দা-হিদাতুন ‘ইনদা রাব্বিহিম ওয়া ‘আলাইহিম গাদাবুওঁ ওয়া লাহুম ‘আযা-বুন শাদীদ।

আল্লাহর দ্বীন মেনে নেয়ার পর যারা সে সম্পর্কে বিতর্কে প্রবৃত্ত হয়, তাদের বিতর্ক তাদের পালনকর্তার কাছে বাতিল, তাদের প্রতি আল্লাহর গযব এবং তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর আযাব।


17

ٱللَّهُ ٱلَّذِىٓ أَنزَلَ ٱلْكِتَٰبَ بِٱلْحَقِّ وَٱلْمِيزَانَ وَمَا يُدْرِيكَ لَعَلَّ ٱلسَّاعَةَ قَرِيبٌ

আল্লা-হুল্লাযীআনঝালাল কিতা-বা বিলহাক্কিওয়াল মীযা-না ওয়ামা ইউদরীকা লা‘আল্লাছছা-‘আতা কারীব।

আল্লাহই সত্যসহ কিতাব ও ইনসাফের মানদন্ড নাযিল করেছেন। আপনি কি জানেন, সম্ভবতঃ কেয়ামত নিকটবর্তী।


18

يَسْتَعْجِلُ بِهَا ٱلَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِهَا وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ مُشْفِقُونَ مِنْهَا وَيَعْلَمُونَ أَنَّهَا ٱلْحَقُّ أَلَآ إِنَّ ٱلَّذِينَ يُمَارُونَ فِى ٱلسَّاعَةِ لَفِى ضَلَٰلٍۭ بَعِيدٍ

ইয়াছতা‘জিলূবিহাল্লাযীনা লা-ইউ’মিনূনা বিহা- ওয়াল্লাযীনা আ-মানূমুশফিকূনা মিনহা- ওয়া ইয়া‘লামূনা আন্নাহাল হাক্কু আলাইন্নাল্লাযীনা ইউমা-রূনা ফিছছা‘আতি লাফী দালা-লিম বা‘ঈদ।

যারা তাতে বিশ্বাস করে না তারা তাকে তড়িৎ কামনা করে। আর যারা বিশ্বাস করে, তারা তাকে ভয় করে এবং জানে যে, তা সত্য। জেনে রাখ, যারা কেয়ামত সম্পর্কে বিতর্ক করে, তারা দূরবর্তী পথ ভ্রষ্টতায় লিপ্ত রয়েছে।


19

ٱللَّهُ لَطِيفٌۢ بِعِبَادِهِۦ يَرْزُقُ مَن يَشَآءُ وَهُوَ ٱلْقَوِىُّ ٱلْعَزِيزُ

আল্লা-হু লাতীফুম বি‘ইবা-দিহী ইয়ারঝুকুমাইঁ ইয়াশাউ ওয়া হুওয়াল কাবিইয়ুল ‘আঝীঝ।

আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি দয়ালু। তিনি যাকে ইচ্ছা, রিযিক দান করেন। তিনি প্রবল, পরাক্রমশালী


20

مَن كَانَ يُرِيدُ حَرْثَ ٱلْءَاخِرَةِ نَزِدْ لَهُۥ فِى حَرْثِهِۦ وَمَن كَانَ يُرِيدُ حَرْثَ ٱلدُّنْيَا نُؤْتِهِۦ مِنْهَا وَمَا لَهُۥ فِى ٱلْءَاخِرَةِ مِن نَّصِيبٍ

মান কা-না ইউরীদুহারছাল আ-খিরাতি নাঝিদ লাহূফী হারছিহী ওয়ামান কা-না ইউরীদুহারছাদ্দুনইয়া-নু’তিহী মিনহা-ওয়ামা-লাহূফিল আ-খিরাতি মিন নাসীব।

যে কেউ পরকালের ফসল কামনা করে, আমি তার জন্যে সেই ফসল বাড়িয়ে দেই। আর যে ইহকালের ফসল কামনা করে, আমি তাকে তার কিছু দিয়ে দেই এবং পরকালে তার কোন অংশ থাকবে না।


21

أَمْ لَهُمْ شُرَكَٰٓؤُا۟ شَرَعُوا۟ لَهُم مِّنَ ٱلدِّينِ مَا لَمْ يَأْذَنۢ بِهِ ٱللَّهُ وَلَوْلَا كَلِمَةُ ٱلْفَصْلِ لَقُضِىَ بَيْنَهُمْ وَإِنَّ ٱلظَّٰلِمِينَ لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ

আম লাহুম শুরাকাউ শারা‘ঊ লাহুম মিনাদ্দীনি মা -লাম ইয়া’যাম বিহিল্লা-হু ওয়া লাওলা-কালিমাতুল ফাসলি লাকুদিয়া বাইনাহুম ওয়া ইন্নাজ্জা-লিমীনা লাহুম ‘আযা-বুন আলীম।

তাদের কি এমন শরীক দেবতা আছে, যারা তাদের জন্যে সে ধর্ম সিদ্ধ করেছে, যার অনুমতি আল্লাহ দেননি ? যদি চুড়ান্ত সিন্ধান্ত না থাকত, তবে তাদের ব্যাপারে ফয়সালা হয়ে যেত। নিশ্চয় যালেমদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।


22

تَرَى ٱلظَّٰلِمِينَ مُشْفِقِينَ مِمَّا كَسَبُوا۟ وَهُوَ وَاقِعٌۢ بِهِمْ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّٰلِحَٰتِ فِى رَوْضَاتِ ٱلْجَنَّاتِ لَهُم مَّا يَشَآءُونَ عِندَ رَبِّهِمْ ذَٰلِكَ هُوَ ٱلْفَضْلُ ٱلْكَبِيرُ

তারাজ্জা-লিমীনা মুশফিকীনা মিম্মা-কাছাবূওয়া হুওয়া ওয়া-কি‘উম বিহিম ওয়াল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি ফী রাওদা-তিল জান্না-তি লাহুম মাইয়াশাঊনা ‘ইনদা রাব্বিহিম যা-লিকা হুওয়াল ফাদলুল কাবীর।

আপনি কাফেরদেরকে তাদের কৃতকর্মের জন্যে ভীতসন্ত্রস্ত দেখবেন। তাদের কর্মের শাস্তি অবশ্যই তাদের উপর পতিত হবে। আর যারা মুমিন ও সৎকর্মী, তারা জান্নাতের উদ্যানে থাকবে। তারা যা চাইবে, তাই তাদের জন্যে তাদের পালনকর্তার কাছে রয়েছে। এটাই বড় পুরস্কার।


23

ذَٰلِكَ ٱلَّذِى يُبَشِّرُ ٱللَّهُ عِبَادَهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّٰلِحَٰتِ قُل لَّآ أَسْـَٔلُكُمْ عَلَيْهِ أَجْرًا إِلَّا ٱلْمَوَدَّةَ فِى ٱلْقُرْبَىٰ وَمَن يَقْتَرِفْ حَسَنَةً نَّزِدْ لَهُۥ فِيهَا حُسْنًا إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ شَكُورٌ

যা-লিকাল্লাযী ইয়ুবাশশিরুল্লা-হু ‘ইবা-দাহুল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি কুল লাআছআলুকুম ‘আলাইহি আজরান ইল্লাল মাওয়াদ্দাতা ফিল কুরবা- ওয়া মাইঁ ইয়াকতারিফ হাছানাতান নাঝিদ লাহূফীহা-হুছনান ইন্নাল্লা-হা গাফূরুন শাকূর।

এরই সুসংবাদ দেন আল্লাহ তার সেসব বান্দাকে, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে। বলুন, আমি আমার দাওয়াতের জন্যে তোমাদের কাছে কেবল আত্নীয়তাজনিত সৌহার্দ চাই। যে কেউ উত্তম কাজ করে, আমি তার জন্যে তাতে পুণ্য বাড়িয়ে দেই। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাকারী, গুণগ্রাহী।


24

أَمْ يَقُولُونَ ٱفْتَرَىٰ عَلَى ٱللَّهِ كَذِبًا فَإِن يَشَإِ ٱللَّهُ يَخْتِمْ عَلَىٰ قَلْبِكَ وَيَمْحُ ٱللَّهُ ٱلْبَٰطِلَ وَيُحِقُّ ٱلْحَقَّ بِكَلِمَٰتِهِۦٓ إِنَّهُۥ عَلِيمٌۢ بِذَاتِ ٱلصُّدُورِ

আম ইয়াকূলূনাফ তারা-‘আলাল্লা-হি কাযিবান ফাইয়ঁইয়াশাইল্লা-হু ইয়াখতিম ‘আলাকালবিকা ওয়া ইয়ামহুল্লা-হুল বা-তিলা ওয়া ইউহিক্কুল হাক্কা বিকালিমা-তিহী ইন্নাহূ‘আলীমুম বিযা-তিসসুদূ র।

নাকি তারা একথা বলে যে, তিনি আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা রটনা করেছেন? আল্লাহ ইচ্ছা করলে আপনার অন্তরে মোহর এঁটে দিতেন। বস্তুতঃ তিনি মিথ্যাকে মিটিয়ে দেন এবং নিজ বাক্য দ্বারা সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করেন। নিশ্চয় তিনি অন্তর্নিহিত বিষয় সম্পর্কে সর্বিশেষ জ্ঞাত।


25

وَهُوَ ٱلَّذِى يَقْبَلُ ٱلتَّوْبَةَ عَنْ عِبَادِهِۦ وَيَعْفُوا۟ عَنِ ٱلسَّيِّـَٔاتِ وَيَعْلَمُ مَا تَفْعَلُونَ

ওয়া হুওয়াল্লাযীইয়াকবালুত্তাওবাতা ‘আন ‘ইবা-দিহী ওয়া ইয়া‘ফূ‘আনিছ ছাইয়িআ-তি ওয়া ইয়া‘লামুমা-তাফ‘আলূন।

তিনি তাঁর বান্দাদের তওবা কবুল করেন পাপসমূহ মার্জনা করেন এবং তোমাদের কৃত বিষয় সম্পর্কে অবগত রয়েছেন


26

وَيَسْتَجِيبُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّٰلِحَٰتِ وَيَزِيدُهُم مِّن فَضْلِهِۦ وَٱلْكَٰفِرُونَ لَهُمْ عَذَابٌ شَدِيدٌ

ওয়া ইয়াছতাজীবুল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি ওয়া ইয়াঝীদুহুম মিন ফাদলিহী ওয়াল কা-ফিরূনা লাহুম ‘আযা-বুন শাদীদ।

তিনি মুমিন ও সৎকর্মীদের দোয়া শোনেন এবং তাদের প্রতি স্বীয় অনুগ্রহ বাড়িয়ে দেন। আর কাফেরদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি।


27

وَلَوْ بَسَطَ ٱللَّهُ ٱلرِّزْقَ لِعِبَادِهِۦ لَبَغَوْا۟ فِى ٱلْأَرْضِ وَلَٰكِن يُنَزِّلُ بِقَدَرٍ مَّا يَشَآءُ إِنَّهُۥ بِعِبَادِهِۦ خَبِيرٌۢ بَصِيرٌ

ওয়ালাও বাছাতাল্লা-হুর রিঝকালি‘ইবা-দিহী লাবাগাও ফিল আরদিওয়ালা-কিইঁ ইউনাঝঝিলুবিকাদারিম মা-ইয়াশাউ ইন্নাহূবি‘ইবা-দিহী খাবীরুম বাসীর।

যদি আল্লাহ তাঁর সকল বান্দাকে প্রচুর রিযিক দিতেন, তবে তারা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করত। কিন্তু তিনি যে পরিমাণ ইচ্ছা সে পরিমাণ নাযিল করেন। নিশ্চয় তিনি তাঁর বান্দাদের খবর রাখেন ও সবকিছু দেখেন।


28

وَهُوَ ٱلَّذِى يُنَزِّلُ ٱلْغَيْثَ مِنۢ بَعْدِ مَا قَنَطُوا۟ وَيَنشُرُ رَحْمَتَهُۥ وَهُوَ ٱلْوَلِىُّ ٱلْحَمِيدُ

ওয়া হুওয়াল্লাযী ইউনাঝঝিলুল গাইছা মিম বা‘দি মা-কানাতূওয়া ইয়ানশুরু রাহমাতাহূ ওয়া হুওয়াল ওয়ালিইয়ুল হামীদ।

মানুষ নিরাশ হয়ে যাওয়ার পরে তিনি বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং স্বীয় রহমত ছড়িয়ে দেন। তিনিই কার্যনির্বাহী, প্রশংসিত।


29

وَمِنْ ءَايَٰتِهِۦ خَلْقُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ وَمَا بَثَّ فِيهِمَا مِن دَآبَّةٍ وَهُوَ عَلَىٰ جَمْعِهِمْ إِذَا يَشَآءُ قَدِيرٌ

ওয়া মিন আ-য়া-তিহী খালকুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ালআরদিওয়ামা-বাছছা ফীহিমা-মিন দাব্বাতিওঁ ওয়া হুওয়া ‘আলা-জাম‘ইহিম ইযা-ইয়াশাউ কাদীর।

তাঁর এক নিদর্শন নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সৃষ্টি এবং এতদুভয়ের মধ্যে তিনি যেসব জীব-জন্তু ছড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি যখন ইচ্ছা এগুলোকে একত্রিত করতে সক্ষম।


30

وَمَآ أَصَٰبَكُم مِّن مُّصِيبَةٍ فَبِمَا كَسَبَتْ أَيْدِيكُمْ وَيَعْفُوا۟ عَن كَثِيرٍ

ওয়ামাআসা-বাকুম মিম মুসীবাতিন ফাবিমা-কাছাবাত আইদীকুম ওয়া ইয়া‘ফূ‘আন কাছীর।

তোমাদের উপর যেসব বিপদ-আপদ পতিত হয়, তা তোমাদের কর্মেরই ফল এবং তিনি তোমাদের অনেক গোনাহ ক্ষমা করে দেন।


31

وَمَآ أَنتُم بِمُعْجِزِينَ فِى ٱلْأَرْضِ وَمَا لَكُم مِّن دُونِ ٱللَّهِ مِن وَلِىٍّ وَلَا نَصِيرٍ

ওয়ামাআনতুম বিমু‘জিঝীনা ফিল আরদি ওয়ামা-লাকুম মিন দূ নিল্লা-হি মিওঁ ওয়ালিইয়িওঁ ওয়ালা-নাসীর।

তোমরা পৃথিবীতে পলায়ন করে আল্লাহকে অক্ষম করতে পার না এবং আল্লাহ ব্যতীত তোমাদের কোন কার্যনির্বাহী নেই, সাহায্যকারীও নেই।


32

وَمِنْ ءَايَٰتِهِ ٱلْجَوَارِ فِى ٱلْبَحْرِ كَٱلْأَعْلَٰمِ

ওয়া মিন আ-য়া-তিহিল জাওয়া-রি ফিল বাহরি কালআ‘লা-ম।

সমুদ্রে ভাসমান পর্বতসম জাহাজসমূহ তাঁর অন্যতম নিদর্শন।


33

إِن يَشَأْ يُسْكِنِ ٱلرِّيحَ فَيَظْلَلْنَ رَوَاكِدَ عَلَىٰ ظَهْرِهِۦٓ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَٰتٍ لِّكُلِّ صَبَّارٍ شَكُورٍ

ইয়ঁইয়াশা’ ইউছকিনিররীহা ফাইয়াজলালনা রাওয়া-কিদা ‘আলা-জাহরিহী ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়া-তিল লিকুল্লি সাব্বা-রিন শাকূর।

তিনি ইচ্ছা করলে বাতাসকে থামিয়ে দেন। তখন জাহাজসমূহ সমুদ্রপৃষ্ঠে নিশ্চল হয়ে পড়ে যেন পাহাড়। নিশ্চয় এতে প্রত্যেক সবরকারী, কৃতজ্ঞের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।


34

أَوْ يُوبِقْهُنَّ بِمَا كَسَبُوا۟ وَيَعْفُ عَن كَثِيرٍ

আও ইঊবিকহুন্না বিমা-কাছাবূওয়া ইয়া‘ফু‘আন কাছীর।

অথবা তাদের কৃতকর্মের জন্যে সেগুলোকে ধ্বংস করে দেন এবং অনেককে ক্ষমাও করে দেন।


35

وَيَعْلَمَ ٱلَّذِينَ يُجَٰدِلُونَ فِىٓ ءَايَٰتِنَا مَا لَهُم مِّن مَّحِيصٍ

ওয়া ইয়া‘লামাল্লাযীনা ইউজা-দিলূনা ফীআ-য়া-তিনা- মা-লাহুম মিম মাহীস।

এবং যারা আমার ক্ষমতা সম্পর্কে বিতর্ক করে, তারা যেন জানে যে, তাদের কোন পলায়নের জায়গা নেই।


36

فَمَآ أُوتِيتُم مِّن شَىْءٍ فَمَتَٰعُ ٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَا وَمَا عِندَ ٱللَّهِ خَيْرٌ وَأَبْقَىٰ لِلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَلَىٰ رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ

ফামাঊতীতুম মিন শাইয়িন ফমাতা-‘উল হায়া-তিদ্দুনইয়া- ওয়ামা-‘ইনদাল্লা-হি খাইরুওঁ ওয়া আব কা-লিল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আলা-রাব্বিহিম ইয়াতাওয়াক্কালূন।

অতএব, তোমাদেরকে যা দেয়া হয়েছে তা পার্থিব জীবনের ভোগ মাত্র। আর আল্লাহর কাছে যা রয়েছে, তা উৎকৃষ্ট ও স্থায়ী তাদের জন্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও তাদের পালনকর্তার উপর ভরসা করে।


37

وَٱلَّذِينَ يَجْتَنِبُونَ كَبَٰٓئِرَ ٱلْإِثْمِ وَٱلْفَوَٰحِشَ وَإِذَا مَا غَضِبُوا۟ هُمْ يَغْفِرُونَ

ওয়াল্লাযীনা ইয়াজতানিবূনা কাবাইরাল ইছমি ওয়াল ফাওয়া-হিশা ওয়া ইযা- মাগাদিবূহুম ইয়াগফিরূন।

যারা বড় গোনাহ ও অশ্লীল কার্য থেকে বেঁচে থাকে এবং ক্রোধাম্বিত হয়েও ক্ষমা করে,


38

وَٱلَّذِينَ ٱسْتَجَابُوا۟ لِرَبِّهِمْ وَأَقَامُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ وَأَمْرُهُمْ شُورَىٰ بَيْنَهُمْ وَمِمَّا رَزَقْنَٰهُمْ يُنفِقُونَ

ওয়াল্লাযীনাছ তাজা-বূলিরাব্বিহিম ওয়া আকা-মুসসালা-তা ওয়া আমরুহুম শূরাবাইনাহুম ওয়া মিম্মা-রাঝাকনা-হুম ইউনফিকূন।

যারা তাদের পালনকর্তার আদেশ মান্য করে, নামায কায়েম করে; পারস্পরিক পরামর্শক্রমে কাজ করে এবং আমি তাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি, তা থেকে ব্যয় করে,


39

وَٱلَّذِينَ إِذَآ أَصَابَهُمُ ٱلْبَغْىُ هُمْ يَنتَصِرُونَ

ওয়াল্লাযীনা ইযাআসা-বাহুমুল বাগইউহুম ইয়ানতাসিরূন।

যারা আক্রান্ত হলে প্রতিশোধ গ্রহণ করে।


40

وَجَزَٰٓؤُا۟ سَيِّئَةٍ سَيِّئَةٌ مِّثْلُهَا فَمَنْ عَفَا وَأَصْلَحَ فَأَجْرُهُۥ عَلَى ٱللَّهِ إِنَّهُۥ لَا يُحِبُّ ٱلظَّٰلِمِينَ

ওয়া জাঝাউ ছাইয়িআতিন ছাইয়িআতুম মিছলুহা- ফামান ‘আফা-ওয়া আসলাহা ফাআজরুহূ‘আলাল্লা-হি ইন্নাহূলা-ইউহিবজ জা-লিমীন।

আর মন্দের প্রতিফল তো অনুরূপ মন্দই। যে ক্ষমা করে ও আপোষ করে তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে রয়েছে; নিশ্চয় তিনি অত্যাচারীদেরকে পছন্দ করেন নাই।


41

وَلَمَنِ ٱنتَصَرَ بَعْدَ ظُلْمِهِۦ فَأُو۟لَٰٓئِكَ مَا عَلَيْهِم مِّن سَبِيلٍ

ওয়া লামানিন তাসারা বা‘দা জুলমিহী ফাউলাইকা মা-‘আলাইহিম মিন ছাবীল।

নিশ্চয় যে অত্যাচারিত হওয়ার পর প্রতিশোধ গ্রহণ করে, তাদের বিরুদ্ধেও কোন অভিযোগ নেই।


42

إِنَّمَا ٱلسَّبِيلُ عَلَى ٱلَّذِينَ يَظْلِمُونَ ٱلنَّاسَ وَيَبْغُونَ فِى ٱلْأَرْضِ بِغَيْرِ ٱلْحَقِّ أُو۟لَٰٓئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ

ইন্নামাছ ছাবীলু‘আলাল্লাযীনা ইয়াজলিমূনান্না-ছা ওয়া ইয়াবগূনা ফিল আরদিবিগাইরিল হাক্কি উলাইকা লাহুম ‘আযা-বুন আলীম।

অভিযোগ কেবল তাদের বিরুদ্ধে, যারা মানুষের উপর অত্যাচার চালায় এবং পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহ করে বেড়ায়। তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।


43

وَلَمَن صَبَرَ وَغَفَرَ إِنَّ ذَٰلِكَ لَمِنْ عَزْمِ ٱلْأُمُورِ

ওয়ালামান সাবারা ওয়া গাফারা ইন্না যা-লিকা লামিন ‘আঝমিল উমূর।

অবশ্যই যে সবর করে ও ক্ষমা করে নিশ্চয় এটা সাহসিকতার কাজ।


44

وَمَن يُضْلِلِ ٱللَّهُ فَمَا لَهُۥ مِن وَلِىٍّ مِّنۢ بَعْدِهِۦ وَتَرَى ٱلظَّٰلِمِينَ لَمَّا رَأَوُا۟ ٱلْعَذَابَ يَقُولُونَ هَلْ إِلَىٰ مَرَدٍّ مِّن سَبِيلٍ

ওয়া মাইঁ ইউদলিলিল্লা-হু ফামা-লাহূমিওঁ ওয়ালিইয়িম মিম বা‘দিহী ওয়াতারাজ্জালিমীনা লাম্মা-রায়াউল ‘আযা-বা ইয়াকূলূনা হাল ইলা-মারাদ্দিম মিন ছাবীল।

আল্লাহ যাকে পথ ভ্রষ্ট করেন, তার জন্যে তিনি ব্যতীত কোন কার্যনির্বাহী নেই। পাপাচারীরা যখন আযাব প্রত্যক্ষ করবে, তখন আপনি তাদেরকে দেখবেন যে, তারা বলছে আমাদের ফিরে যাওয়ার কোন উপায় আছে কি?


45

وَتَرَىٰهُمْ يُعْرَضُونَ عَلَيْهَا خَٰشِعِينَ مِنَ ٱلذُّلِّ يَنظُرُونَ مِن طَرْفٍ خَفِىٍّ وَقَالَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ إِنَّ ٱلْخَٰسِرِينَ ٱلَّذِينَ خَسِرُوٓا۟ أَنفُسَهُمْ وَأَهْلِيهِمْ يَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِ أَلَآ إِنَّ ٱلظَّٰلِمِينَ فِى عَذَابٍ مُّقِيمٍ

ওয়া তারা-হুম ইউ‘রাদূনা ‘আলাইহা-খা-শি‘ঈনা মিনাযযুলিল ইয়ানজু রূনা মিন তারফিন খাফীইয়িওঁ ওয়াকা-লাল্লাযীনা আমানূইন্নাল খা-ছিরীনাল্লাযীনা খাছিরূআনফুছাহুম ওয়া আহলীহিম ইয়াওমাল কিয়া-মাতি আলাইন্নাজ্জা-লিমীনা ফী ‘আযা-বিম মুকীম।

জাহান্নামের সামনে উপস্থিত করার সময় আপনি তাদেরকে দেখবেন, অপমানে অবনত এবং অর্ধ নিমীলিত দৃষ্টিতে তাকায়। মুমিনরা বলবে, কেয়ামতের দিন ক্ষতিগ্রস্ত তারাই, যারা নিজেদের ও তাদের পরিবার-পরিজনের ক্ষতি সাধন করেছে। শুনে রাখ, পাপাচারীরা স্থায়ী আযাবে থাকবে।


46

وَمَا كَانَ لَهُم مِّنْ أَوْلِيَآءَ يَنصُرُونَهُم مِّن دُونِ ٱللَّهِ وَمَن يُضْلِلِ ٱللَّهُ فَمَا لَهُۥ مِن سَبِيلٍ

ওয়ামা-কা-না লাহুম মিন আওলিয়াআ ইয়ানসুরূনাহুম মিন দূ নিল্লা-হি ওয়া মাইঁ ইউদলিলিল্লা-হু; ফামা-লাহূমিন ছাবীল।

আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত তাদের কোন সাহায্যকারী থাকবে না, যে তাদেরকে সাহায্য করবে। আল্লাহ তা’আলা যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তার কোন গতি নেই।


47

ٱسْتَجِيبُوا۟ لِرَبِّكُم مِّن قَبْلِ أَن يَأْتِىَ يَوْمٌ لَّا مَرَدَّ لَهُۥ مِنَ ٱللَّهِ مَا لَكُم مِّن مَّلْجَإٍ يَوْمَئِذٍ وَمَا لَكُم مِّن نَّكِيرٍ

ইছতাজীবূলিরাব্বিকুম মিন কাবলি আইঁ ইয়া’তিয়া ইয়াওমুল্লা-মারাদ্দা লাহূমিনাল্লা-হি মালাকুম মিম মালজায়িইঁ ইয়াওমায়িযিওঁ ওয়ামা-লাকুম মিন নাকীর।h

আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে অবশ্যম্ভাবী দিবস আসার পূর্বে তোমরা তোমাদের পালনকর্তার আদেশ মান্য কর। সেদিন তোমাদের কোন আশ্রয়স্থল থাকবে না এবং তা নিরোধকারী কেউ থাকবে না।


48

فَإِنْ أَعْرَضُوا۟ فَمَآ أَرْسَلْنَٰكَ عَلَيْهِمْ حَفِيظًا إِنْ عَلَيْكَ إِلَّا ٱلْبَلَٰغُ وَإِنَّآ إِذَآ أَذَقْنَا ٱلْإِنسَٰنَ مِنَّا رَحْمَةً فَرِحَ بِهَا وَإِن تُصِبْهُمْ سَيِّئَةٌۢ بِمَا قَدَّمَتْ أَيْدِيهِمْ فَإِنَّ ٱلْإِنسَٰنَ كَفُورٌ

ফাইন আ‘রাদূফামাআরছালনা-কা ‘আলাইহিম হাফীজান ইন ‘আলাইকা ইল্লাল বালা-গু ওয়া ইন্নাইযাআযাকনাল ইনছা-না মিন্না-রাহমাতান ফারিহা বিহা- ওয়া ইন তুসিবহুম ছাইয়িআতুম বিমা-কাদ্দামাত আইদীহিম ফাইন্নাল ইনছা-না কাফূর।

যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে আপনাকে আমি তাদের রক্ষক করে পাঠাইনি। আপনার কর্তব্য কেবল প্রচার করা। আমি তাদের রক্ষক করে পাঠাইনি। আপনার কর্তব্য কেবল প্রচার করা। আমি যখন মানুষকে আমার রহমত আস্বাদন করাই, তখন সে উল্লসিত, আর যখন তাদের কৃতকর্মের কারণে তাদের কোন অনিষ্ট ঘটে, তখন মানুষ খুব অকৃতজ্ঞ হয়ে যায়।


49

لِّلَّهِ مُلْكُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ يَخْلُقُ مَا يَشَآءُ يَهَبُ لِمَن يَشَآءُ إِنَٰثًا وَيَهَبُ لِمَن يَشَآءُ ٱلذُّكُورَ

লিল্লা-হি মুলকুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ইয়াখলুকুমা-ইয়াশাউ ইয়াহাবু লিমাইঁ ইয়াশাউ ইনা-ছাওঁ ওয়া ইয়াহাবুলিমাইঁ ইয়াশাউযযুকূর।

নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের রাজত্ব আল্লাহ তা’আলারই। তিনি যা ইচ্ছা, সৃষ্টি করেন, যাকে ইচ্ছা কন্যা-সন্তান এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন।


50

أَوْ يُزَوِّجُهُمْ ذُكْرَانًا وَإِنَٰثًا وَيَجْعَلُ مَن يَشَآءُ عَقِيمًا إِنَّهُۥ عَلِيمٌ قَدِيرٌ

আও ইউঝাওবিজুহুম যুকরা-নাওঁ ওয়া ইনা-ছাওঁ ওয়া ইয়াজ‘আলুমাইঁ ইয়াশাউ ‘আকীমান ইন্নাহূ‘আলীমুন কাদীর।

অথবা তাদেরকে দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করে দেন। নিশ্চয় তিনি সর্বজ্ঞ, ক্ষমতাশীল।


51

وَمَا كَانَ لِبَشَرٍ أَن يُكَلِّمَهُ ٱللَّهُ إِلَّا وَحْيًا أَوْ مِن وَرَآئِ حِجَابٍ أَوْ يُرْسِلَ رَسُولًا فَيُوحِىَ بِإِذْنِهِۦ مَا يَشَآءُ إِنَّهُۥ عَلِىٌّ حَكِيمٌ

ওয়ামা-কা-না লিবাশারিন আইঁ ইউকালিলমাহুল্লা-হু ইল্লা-ওয়াহইয়ান আও মিওঁ ওয়ারাই হিজা-বিন আও ইউরছিলা রাছূলান ফাইঊহিয়া বিইযনিহী মা ইয়াশাউ ইন্নাহূ ‘আলিইয়ুন হাকীম।

কোন মানুষের জন্য এমন হওয়ার নয় যে, আল্লাহ তার সাথে কথা বলবেন। কিন্তু ওহীর মাধ্যমে অথবা পর্দার অন্তরাল থেকে অথবা তিনি কোন দূত প্রেরণ করবেন, অতঃপর আল্লাহ যা চান, সে তা তাঁর অনুমতিক্রমে পৌঁছে দেবে। নিশ্চয় তিনি সর্বোচ্চ প্রজ্ঞাময়।


52

وَكَذَٰلِكَ أَوْحَيْنَآ إِلَيْكَ رُوحًا مِّنْ أَمْرِنَا مَا كُنتَ تَدْرِى مَا ٱلْكِتَٰبُ وَلَا ٱلْإِيمَٰنُ وَلَٰكِن جَعَلْنَٰهُ نُورًا نَّهْدِى بِهِۦ مَن نَّشَآءُ مِنْ عِبَادِنَا وَإِنَّكَ لَتَهْدِىٓ إِلَىٰ صِرَٰطٍ مُّسْتَقِيمٍ

ওয়া কাযা-লিকা আওহাইনাইলাইকা রূহাম মিন আমরিনা- মা-কুনতা তাদরী মাল কিতা-বুওয়ালাল ঈমা-নুওয়ালা-কিন জা‘আলনা-হু নূরান নাহদী বিহী মান নাশাউ মিন ‘ইবা-দিনা- ওয়া ইন্নাকা লা তাহদীইলা সিরা-তিম মুছতাকীম।

এমনিভাবে আমি আপনার কাছে এক ফেরেশতা প্রেরণ করেছি আমার আদেশক্রমে। আপনি জানতেন না, কিতাব কি এবং ঈমান কি? কিন্তু আমি একে করেছি নূর, যাদ্দ্বারা আমি আমার বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা পথ প্রদর্শন করি। নিশ্চয় আপনি সরল পথ প্রদর্শন করেন-


53

صِرَٰطِ ٱللَّهِ ٱلَّذِى لَهُۥ مَا فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِى ٱلْأَرْضِ أَلَآ إِلَى ٱللَّهِ تَصِيرُ ٱلْأُمُورُ

সিরাতিল্লা-হিল্লাযী লাহূমা-ফিছছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদি আলাইলাল্লা-হি তাসীরুল উমূর।

আল্লাহর পথ। নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল যা কিছু আছে, সব তাঁরই। শুনে রাখ, আল্লাহ তা’আলার কাছেই সব বিষয়ে পৌঁছে।


-------

Tags: সূরা আশ শুরা, সূরা আশ-শুরা বাংলা অনুবাদ, সূরা আশ শুরা বাংলা, সূরা আশ শুআরা বাংলা, surah asr bangla uccharon, surah asr bangla