ইন্টারভিউ প্রশ্ন: আপনার লক্ষ্য কী?

আপনার লক্ষ্য কী?

সাক্ষাৎকারে, "আপনার লক্ষ্য কী?" জিজ্ঞাসা করা হলে, আপনার স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যগুলি বলুন যা পদের সাথে প্রাসঙ্গিক। এই পদ থেকে আপনি কী শিখতে চান, কীভাবে আপনি আপনার দক্ষতা উন্নত করতে চান এবং দীর্ঘমেয়াদে আপনি কীভাবে সংস্থায় অবদান রাখতে চান এবং সিঁড়ি উপরে উঠতে চান তা ব্যাখ্যা করুন - পদের জন্য আপনি কতটা আগ্রহী এবং যোগ্য তা দেখান।


উত্তর কৌশল

পদের উত্তর

পদের জন্য এবং কোম্পানির জন্য প্রাসঙ্গিক লক্ষ্যগুলি:

আপনার লক্ষ্যগুলি এমনভাবে উপস্থাপন করুন যা এই নির্দিষ্ট পদের সাথে প্রাসঙ্গিক এবং এই কোম্পানির ভবিষ্যত পরিকল্পনার সাথেও খাপ খায়।


স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য:

প্রথমে, এই পদ থেকে আপনি কী শিখতে চান এবং কীভাবে আপনি আপনার দক্ষতা উন্নত করতে চান তা বলুন। তারপর, দীর্ঘমেয়াদে নেতৃত্বের পদে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করুন, যেখানে আপনি অন্যদের পরামর্শ দিতে পারেন এবং উদ্ভাবন আনতে পারেন।


আপনার দক্ষতা এবং আগ্রহগুলি তুলে ধরুন:

এই পদের দায়িত্ব সম্পর্কে আপনি কতটা সচেতন তা দেখান। আপনি কীভাবে নতুন মূল্য যোগ করতে পারেন তা দেখান।


উদাহরণ দিন:

একটি নির্দিষ্ট উদাহরণ ব্যবহার করুন। উদাহরণস্বরূপ, “[খোলা চাকরির শিরোনাম] ভূমিকায় দক্ষতা অর্জন এবং [নির্দিষ্ট দক্ষতা] সম্পর্কে আমার দক্ষতা আরও বিকাশে নিবেদিতপ্রাণ।”


আত্মবিশ্বাসী এবং ইতিবাচক হোন:

আপনার উত্তরে আত্মবিশ্বাসের সাথে কথা বলুন। এটি আপনার আগ্রহ, ব্যক্তিত্ব এবং আত্মবিশ্বাসের পরিচয় দেয়।


উদাহরণ

“আমার তাৎক্ষণিক লক্ষ্য হল [প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে] এই [চাকরির শিরোনাম] পদে জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করা এবং প্রতিষ্ঠানে মূল্যবান অবদান রাখা। দীর্ঘমেয়াদে, আমি এমন একটি নেতৃত্বের ভূমিকায় পৌঁছাতে চাই যেখানে আমি অন্যদের অনুপ্রাণিত করতে পারি এবং শিল্পে নতুন উদ্ভাবন আনতে পারি।”

এইভাবে আপনার লক্ষ্যগুলি উপস্থাপন করলে নিয়োগকর্তা দেখাবেন যে আপনি কেবল চাকরি খুঁজছেন না, বরং আপনি আপনার ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নিতে এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে চাইছেন।


ইন্টারভিউতে “আপনার লক্ষ্য কী?” জিজ্ঞেস করলে আসলে তারা দেখতে চায়—

আপনার ক্যারিয়ার ভিশন পরিষ্কার আছে কি না

আপনি কি শুধুই চাকরি চান, নাকি দীর্ঘমেয়াদে কোম্পানির সাথে গ্রো করতে চান

আপনার লক্ষ্য কি কোম্পানির গোলের সাথে মেলে


উত্তর দেওয়ার কৌশল

দুই ধাপে বলুন

স্বল্পমেয়াদি লক্ষ্য (২–৩ বছরের মধ্যে): শেখা, অভিজ্ঞতা অর্জন, টিমে অবদান রাখা।

দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য (৫–১০ বছরের মধ্যে): নেতৃত্ব, বিশেষজ্ঞ হওয়া, বড় প্রোজেক্টে কাজ করা।


কোম্পানির সাথে যুক্ত করুন

বোঝান, এই চাকরি আপনার লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করবে এবং আপনি কোম্পানিরও অবদান রাখবেন।


উদাহরণ উত্তর (সংক্ষিপ্ত ও প্রফেশনাল)

“আমার স্বল্পমেয়াদি লক্ষ্য হলো নিজের স্কিল আরও উন্নত করা এবং টিমে অবদান রাখা। দীর্ঘমেয়াদে আমি চাই নিজেকে এমন একটি পজিশনে দেখতে যেখানে আমি নেতৃত্ব দিতে পারি এবং বড় প্রোজেক্ট পরিচালনা করতে পারি। আমি বিশ্বাস করি আপনার প্রতিষ্ঠানে কাজ করলে এই দুই দিকেই উন্নতির সুযোগ পাব।”


অন্য ভ্যারিয়েশন (যদি শেখার দিকটা জোর দিতে চান)

“আমার লক্ষ্য হলো ধারাবাহিকভাবে শেখা এবং নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে পারা। আগামী কয়েক বছরে আমি নিজেকে এমন একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, যিনি কোম্পানির জন্য নির্ভরযোগ্য ও ভ্যালু-অ্যাডেড হতে পারবেন।”


টিপস:

ব্যক্তিগত লক্ষ্য (যেমন শুধু “ভালো বেতন” বা “বিদেশে যাওয়া”) না বলে ক্যারিয়ার-ফোকাসড লক্ষ্য বলুন।

ইতিবাচক ও বাস্তবসম্মত রাখুন।