সূরা আস-সাফফাত আরবি সহ বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ
সূরা আস-সাফফাত - Surah As-Saffat (মক্কায় অবতীর্ণ - আয়াত ১৮২)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
1
وَٱلصَّٰٓفَّٰتِ صَفًّا
ওয়াসসাফফা-তি সাফফা-।
শপথ তাদের যারা সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ানো,
2
فَٱلزَّٰجِرَٰتِ زَجْرًا
ফাঝঝা-জিরা-তি ঝাজরা-।
অতঃপর ধমকিয়ে ভীতি প্রদর্শনকারীদের,
3
فَٱلتَّٰلِيَٰتِ ذِكْرًا
ফাত্তা-লিয়া-তি যিকরা-।
অতঃপর মুখস্থ আবৃত্তিকারীদের-
4
إِنَّ إِلَٰهَكُمْ لَوَٰحِدٌ
ইন্না ইলা-হাকুম লাওয়া-হিদ।
নিশ্চয় তোমাদের মাবুদ এক।
5
رَّبُّ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا وَرَبُّ ٱلْمَشَٰرِقِ
রাব্বুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিওয়ামা-বাইনাহুমা-ওয়া রাব্বুল মাশা-রিক।
তিনি আসমান সমূহ, যমীনও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর পালনকর্তা এবং পালনকর্তা উদয়াচলসমূহের।
6
إِنَّا زَيَّنَّا ٱلسَّمَآءَ ٱلدُّنْيَا بِزِينَةٍ ٱلْكَوَاكِبِ
ইন্না-ঝাইয়ান্নাছছামাআদ্দুনইয়া-বিঝীনাতিনিল কাওয়া-কিব।
নিশ্চয় আমি নিকটবর্তী আকাশকে তারকারাজির দ্বারা সুশোভিত করেছি।
7
وَحِفْظًا مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ مَارِدٍ
ওয়া হিফজাম মিন কুল্লি শাইতা-নিম মা-রিদ।
এবং তাকে সংরক্ষিত করেছি প্রত্যেক অবাধ্য শয়তান থেকে।
8
لَّا يَسَّمَّعُونَ إِلَى ٱلْمَلَإِ ٱلْأَعْلَىٰ وَيُقْذَفُونَ مِن كُلِّ جَانِبٍ
লা ইয়াছছাম্মা‘ঊনা ইলাল মালাইল আ‘লা-ওয়া ইউকযাফূনা মিন কুল্লি জা-নিব।
ওরা উর্ধ্ব জগতের কোন কিছু শ্রবণ করতে পারে না এবং চার দিক থেকে তাদের প্রতি উল্কা নিক্ষেপ করা হয়।
9
دُحُورًا وَلَهُمْ عَذَابٌ وَاصِبٌ
দুহূ রাও ওয়ালাহুম ‘আযা-বুন ওয়া-সিব।
ওদেরকে বিতাড়নের উদ্দেশে। ওদের জন্যে রয়েছে বিরামহীন শাস্তি।
10
إِلَّا مَنْ خَطِفَ ٱلْخَطْفَةَ فَأَتْبَعَهُۥ شِهَابٌ ثَاقِبٌ
ইল্লা-মান খাতিফাল খাতফাতা ফাআতবা‘আহূশিহা-বুন ছাকিব।
তবে কেউ ছোঁ মেরে কিছু শুনে ফেললে জ্বলন্ত উল্কাপিন্ড তার পশ্চাদ্ধাবন করে।
11
فَٱسْتَفْتِهِمْ أَهُمْ أَشَدُّ خَلْقًا أَم مَّنْ خَلَقْنَآ إِنَّا خَلَقْنَٰهُم مِّن طِينٍ لَّازِبٍۭ
ফাছতাফতিহিম আহুম আশাদ্দুখাল কান আম্মান খালাকনা- ইন্না-খালাকনা-হুম মিন তীনিল লা-ঝিব।
আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন, তাদেরকে সৃষ্টি করা কঠিনতর, না আমি অন্য যা সৃষ্টি করেছি? আমিই তাদেরকে সৃষ্টি করেছি এঁটেল মাটি থেকে।
12
بَلْ عَجِبْتَ وَيَسْخَرُونَ
বাল ‘আজিবতা ওয়া ইয়াছখারূন।
বরং আপনি বিস্ময় বোধ করেন আর তারা বিদ্রুপ করে।
13
وَإِذَا ذُكِّرُوا۟ لَا يَذْكُرُونَ
ওয়া ইযা-যুক্কিরূলা-ইয়াযকুরূন।
যখন তাদেরকে বোঝানো হয়, তখন তারা বোঝে না।
14
وَإِذَا رَأَوْا۟ ءَايَةً يَسْتَسْخِرُونَ
ওয়া ইযা-রাআও আ-য়াতাই ইয়াছতাছখিরূন।
তারা যখন কোন নিদর্শন দেখে তখন বিদ্রূপ করে।
15
وَقَالُوٓا۟ إِنْ هَٰذَآ إِلَّا سِحْرٌ مُّبِينٌ
ওয়া কা-লূ ইন হা-যাইল্লা-ছিহরু মুবীন।
এবং বলে, কিছুই নয়, এযে স্পষ্ট যাদু।
16
أَءِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَعِظَٰمًا أَءِنَّا لَمَبْعُوثُونَ
আইযা-মিতনা-ওয়া কুন্না-তুরাবাওঁ ওয়া ‘ইজা-মান আইন্না-লামাব‘ঊছূন।
আমরা যখন মরে যাব, এবং মাটি ও হাড়ে পরিণত হয়ে যাব, তখনও কি আমরা পুনরুত্থিত হব?
17
أَوَءَابَآؤُنَا ٱلْأَوَّلُونَ
আওয়াআ-বাউনাল আওওয়ালূন।
আমাদের পিতৃপুরুষগণও কি?
18
قُلْ نَعَمْ وَأَنتُمْ دَٰخِرُونَ
কুল না‘আম ওয়া আনতুম দা-খিরূন।
বলুন, হ্যাঁ এবং তোমরা হবে লাঞ্ছিত।
19
فَإِنَّمَا هِىَ زَجْرَةٌ وَٰحِدَةٌ فَإِذَا هُمْ يَنظُرُونَ
ফাইন্নামা-হিয়া ঝাজরাতুওঁ ওয়া-হিদাতুন ফাইযা-হুম ইয়ানজু রূন।
বস্তুতঃ সে উত্থান হবে একটি বিকট শব্দ মাত্র-যখন তারা প্রত্যক্ষ করতে থাকবে।
20
وَقَالُوا۟ يَٰوَيْلَنَا هَٰذَا يَوْمُ ٱلدِّينِ
ওয়া-কা-লূইয়া-ওয়াইলানা-হা-যা-ইয়াওমুদ্দীন।
এবং বলবে, দুর্ভাগ্য আমাদের! এটাই তো প্রতিফল দিবস।
21
هَٰذَا يَوْمُ ٱلْفَصْلِ ٱلَّذِى كُنتُم بِهِۦ تُكَذِّبُونَ
হা-যা-ইয়াওমুল ফাসলিল্লাযী কুনতুম বিহী তুকাযযিবূন।
বলা হবে, এটাই ফয়সালার দিন, যাকে তোমরা মিথ্যা বলতে।
22
ٱحْشُرُوا۟ ٱلَّذِينَ ظَلَمُوا۟ وَأَزْوَٰجَهُمْ وَمَا كَانُوا۟ يَعْبُدُونَ
উহশুরুল্লাযীনা জালামূওয়া আঝওয়া-জাহুম ওয়ামা-কা-নূইয়া‘বুদূন।
একত্রিত কর গোনাহগারদেরকে, তাদের দোসরদেরকে এবং যাদের এবাদত তারা করত।
23
مِن دُونِ ٱللَّهِ فَٱهْدُوهُمْ إِلَىٰ صِرَٰطِ ٱلْجَحِيمِ
মিন দূনিল্লা-হি ফাহদূহুম ইলা-সিরা-তিল জাহীম।
আল্লাহ ব্যতীত। অতঃপর তাদেরকে পরিচালিত কর জাহান্নামের পথে,
24
وَقِفُوهُمْ إِنَّهُم مَّسْـُٔولُونَ
ওয়াকিফূহুম ইন্নাহুম মাছঊলূন।
এবং তাদেরকে থামাও, তারা জিজ্ঞাসিত হবে;
25
مَا لَكُمْ لَا تَنَاصَرُونَ
মা-লাকুম লা-তানা-সারূন।
তোমাদের কি হল যে, তোমরা একে অপরের সাহায্য করছ না?
26
بَلْ هُمُ ٱلْيَوْمَ مُسْتَسْلِمُونَ
বাল হুমুল ইয়াওমা মুছতাছলিমূন।
বরং তারা আজকের দিনে আত্নসমর্পণকারী।
27
وَأَقْبَلَ بَعْضُهُمْ عَلَىٰ بَعْضٍ يَتَسَآءَلُونَ
ওয়া আকবালা বা‘দুহুম ‘আলা-বা‘দিইঁ ইয়াতাছাআলূন।
তারা একে অপরের দিকে মুখ করে পরস্পরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
28
قَالُوٓا۟ إِنَّكُمْ كُنتُمْ تَأْتُونَنَا عَنِ ٱلْيَمِينِ
কা-লূইন্নাকুম কুনতুম তা’তূনানা-‘আনিল ইয়ামীন।
বলবে, তোমরা তো আমাদের কাছে ডান দিক থেকে আসতে।
29
قَالُوا۟ بَل لَّمْ تَكُونُوا۟ مُؤْمِنِينَ
কা-লূবাল লাম তাকূনূমু’মিনীন।
তারা বলবে, বরং তোমরা তো বিশ্বাসীই ছিলে না।
30
وَمَا كَانَ لَنَا عَلَيْكُم مِّن سُلْطَٰنٍۭ بَلْ كُنتُمْ قَوْمًا طَٰغِينَ
ওয়ামা-কা-না লানা-‘আলাইকুম মিন ছুলতা-নিন বাল কুনতুম কাওমান তা-গীন।
এবং তোমাদের উপর আমাদের কোন কতৃত্ব ছিল না, বরং তোমরাই ছিলে সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়।
31
فَحَقَّ عَلَيْنَا قَوْلُ رَبِّنَآ إِنَّا لَذَآئِقُونَ
ফাহাক্কা ‘আলাইনা-কাওলুরাব্বিনা ইনা-লাযাইকূন।
আমাদের বিপক্ষে আমাদের পালনকর্তার উক্তিই সত্য হয়েছে। আমাদেরকে অবশই স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।
32
فَأَغْوَيْنَٰكُمْ إِنَّا كُنَّا غَٰوِينَ
ফাআগওয়াইনা-কুম ইন্না-কুন্না-গা-বীন।
আমরা তোমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছিলাম। কারণ আমরা নিজেরাই পথভ্রষ্ট ছিলাম।
33
فَإِنَّهُمْ يَوْمَئِذٍ فِى ٱلْعَذَابِ مُشْتَرِكُونَ
ফাইন্নাহুম ইয়াওমাইযিন ফিল ‘আযা-বি মুশতারিকূন।
তারা সবাই সেদিন শান্তিতে শরীক হবে।
34
إِنَّا كَذَٰلِكَ نَفْعَلُ بِٱلْمُجْرِمِينَ
ইন্না-কাযা-লিকা নাফ‘আলুবিলমুজরিমীন।
অপরাধীদের সাথে আমি এমনি ব্যবহার করে থাকি।
35
إِنَّهُمْ كَانُوٓا۟ إِذَا قِيلَ لَهُمْ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا ٱللَّهُ يَسْتَكْبِرُونَ
ইন্নাহুম কা-নূইযা-কীলা লাহুম লাইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ইয়াছতাকবিরূন।
তাদের যখন বলা হত, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, তখন তারা ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করত।
36
وَيَقُولُونَ أَئِنَّا لَتَارِكُوٓا۟ ءَالِهَتِنَا لِشَاعِرٍ مَّجْنُونٍۭ
ওয়া ইয়াকূলূনা আইন্না-লাতা-রিকূআ-লিহাতিনা-লিশা-‘ইরিম মাজনূন।
এবং বলত, আমরা কি এক উম্মাদ কবির কথায় আমাদের উপাস্যদেরকে পরিত্যাগ করব।
37
بَلْ جَآءَ بِٱلْحَقِّ وَصَدَّقَ ٱلْمُرْسَلِينَ
বাল জাআ বিলহাক্কিওয়া সাদ্দাকাল মুরছালীন।
না, তিনি সত্যসহ আগমন করেছেন এবং রসূলগণের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
38
إِنَّكُمْ لَذَآئِقُوا۟ ٱلْعَذَابِ ٱلْأَلِيمِ
ইন্নাকুম লাযাইকু ল ‘আযা-বিল আলীম।
তোমরা অবশ্যই বেদনাদায়ক শাস্তি আস্বাদন করবে।
39
وَمَا تُجْزَوْنَ إِلَّا مَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
ওয়া মা-তুজঝাওনা ইল্লা-মা-কুনতুম তা‘মালূন।
তোমরা যা করতে, তারই প্রতিফল পাবে।
40
إِلَّا عِبَادَ ٱللَّهِ ٱلْمُخْلَصِينَ
ইল্লা-‘ইবাদাল্লা-হিল মুখলাসীন।
তবে তারা নয়, যারা আল্লাহর বাছাই করা বান্দা।
41
لَهُمْ رِزْقٌ مَّعْلُومٌ
উলাইকা লাহুম রিঝকুম মা‘লূম।
তাদের জন্যে রয়েছে নির্ধারিত রুযি।
42
فَوَٰكِهُ وَهُم مُّكْرَمُونَ
ফাওয়া-কিহু ওয়া হুম মুকরামূন।
ফল-মূল এবং তারা সম্মানিত।
43
فِى جَنَّٰتِ ٱلنَّعِيمِ
ফী জান্না-তিন না‘ঈম।
নেয়ামতের উদ্যানসমূহ।
44
عَلَىٰ سُرُرٍ مُّتَقَٰبِلِينَ
‘আলা-ছুরুরিম মুতাকা-বিলীন।
মুখোমুখি হয়ে আসনে আসীন।
45
يُطَافُ عَلَيْهِم بِكَأْسٍ مِّن مَّعِينٍۭ
ইউতা-ফু‘আলাইহিম বিকা’ছিম মিম মা‘ঈন।
তাদেরকে ঘুরে ফিরে পরিবেশন করা হবে স্বচ্ছ পানপাত্র।
46
بَيْضَآءَ لَذَّةٍ لِّلشَّٰرِبِينَ
বাইদাআ লাযযাতিল লিশশা-রিবীন।
সুশুভ্র, যা পানকারীদের জন্যে সুস্বাদু।
47
لَا فِيهَا غَوْلٌ وَلَا هُمْ عَنْهَا يُنزَفُونَ
লা-ফীহা-গাওলুওঁ ওয়ালা-হুম ‘আনহা-ইউনঝাফূন।
তাতে মাথা ব্যথার উপাদান নেই এবং তারা তা পান করে মাতালও হবে না।
48
وَعِندَهُمْ قَٰصِرَٰتُ ٱلطَّرْفِ عِينٌ
ওয়া ‘ইনদাহুম কা-সিরা-তুত্তারফি ‘ঈন।
তাদের কাছে থাকবে নত, আয়তলোচনা তরুণীগণ।
49
كَأَنَّهُنَّ بَيْضٌ مَّكْنُونٌ
কাআন্নাহুন্না বাইদুম মাকনূন।
যেন তারা সুরক্ষিত ডিম।
50
فَأَقْبَلَ بَعْضُهُمْ عَلَىٰ بَعْضٍ يَتَسَآءَلُونَ
ফাআকবালা বা‘দুহুম ‘আলা-বা‘দিইঁ ইয়াতাছাআলূন।
অতঃপর তারা একে অপরের দিকে মুখ করে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
51
قَالَ قَآئِلٌ مِّنْهُمْ إِنِّى كَانَ لِى قَرِينٌ
কা-লা কা-ইলুম মিনহুম ইন্নী কা-না লী কারীন।
তাদের একজন বলবে, আমার এক সঙ্গী ছিল।
52
يَقُولُ أَءِنَّكَ لَمِنَ ٱلْمُصَدِّقِينَ
ইয়াকূ লুআইন্নাকা লামিনাল মুসাদ্দিকীন।
সে বলত, তুমি কি বিশ্বাস কর যে,
53
أَءِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَعِظَٰمًا أَءِنَّا لَمَدِينُونَ
আইযা-মিতনা-ওয়া কুন্না-তুরা-বাওঁ ওয়া ‘ইজা-মান আইন্না-লামাদীনূন।
আমরা যখন মরে যাব এবং মাটি ও হাড়ে পরিণত হব, তখনও কি আমরা প্রতিফল প্রাপ্ত হব?
54
قَالَ هَلْ أَنتُم مُّطَّلِعُونَ
কা-লা হাল আনতুম মুত্তালি‘ঊন।
আল্লাহ বলবেন, তোমরা কি তাকে উকি দিয়ে দেখতে চাও?
55
فَٱطَّلَعَ فَرَءَاهُ فِى سَوَآءِ ٱلْجَحِيمِ
ফাত্তালা‘আ ফারাআ-হু ফী ছাওয়াইল জাহীম।
অপর সে উকি দিয়ে দেখবে এবং তাকে জাহান্নামের মাঝখানে দেখতে পাবে।
56
قَالَ تَٱللَّهِ إِن كِدتَّ لَتُرْدِينِ
কা-লা তাল্লা-হি ইন কিত্তা লাতুরদীন।
সে বলবে, আল্লাহর কসম, তুমি তো আমাকে প্রায় ধ্বংসই করে দিয়েছিলে।
57
وَلَوْلَا نِعْمَةُ رَبِّى لَكُنتُ مِنَ ٱلْمُحْضَرِينَ
ওয়া লাওলা-নি‘মাতুরাববী লাকুনতুমিনাল মুহদারীন।
আমার পালনকর্তার অনুগ্রহ না হলে আমিও যে গ্রেফতারকৃতদের সাথেই উপস্থিত হতাম।
58
أَفَمَا نَحْنُ بِمَيِّتِينَ
আফামা-নাহনু বিমাইয়িতীন।
এখন আমাদের আর মৃত্যু হবে না।
59
إِلَّا مَوْتَتَنَا ٱلْأُولَىٰ وَمَا نَحْنُ بِمُعَذَّبِينَ
ইল্লা-মাওতাতানাল ঊলা-ওয়ামা-নাহনুবিমু‘আযযাবীন।
আমাদের প্রথম মৃত্যু ছাড়া এবং আমরা শাস্তি প্রাপ্তও হব না।
60
إِنَّ هَٰذَا لَهُوَ ٱلْفَوْزُ ٱلْعَظِيمُ
ইন্না হা-যা-লাহুওয়াল ফাওঝুল ‘আজীম।
নিশ্চয় এই মহা সাফল্য।
61
لِمِثْلِ هَٰذَا فَلْيَعْمَلِ ٱلْعَٰمِلُونَ
লিমিছলি হা-যা-ফাল ইয়া‘মালিল ‘আ-মিলূন।
এমন সাফল্যের জন্যে পরিশ্রমীদের পরিশ্রম করা উচিত।
62
أَذَٰلِكَ خَيْرٌ نُّزُلًا أَمْ شَجَرَةُ ٱلزَّقُّومِ
আযা-লিকা খাইরুন নুঝুলান আম শাজারাতুঝ ঝাককূম।
এই কি উত্তম আপ্যায়ন, না যাক্কুম বৃক্ষ?
63
إِنَّا جَعَلْنَٰهَا فِتْنَةً لِّلظَّٰلِمِينَ
ইন্না-জা‘আলনা-হা-ফিতনাতাল লিজ্জা-লিমীন।
আমি যালেমদের জন্যে একে বিপদ করেছি।
64
إِنَّهَا شَجَرَةٌ تَخْرُجُ فِىٓ أَصْلِ ٱلْجَحِيمِ
ইন্নাহা-শাজারাতুন তাখ রুজুফীআসলিল জাহীম।
এটি একটি বৃক্ষ, যা উদগত হয় জাহান্নামের মূলে।
65
طَلْعُهَا كَأَنَّهُۥ رُءُوسُ ٱلشَّيَٰطِينِ
তাল‘উহা-কাআন্নাহূরুঊছুশশায়া-তীন।
এর গুচ্ছ শয়তানের মস্তকের মত।
66
فَإِنَّهُمْ لَءَاكِلُونَ مِنْهَا فَمَالِـُٔونَ مِنْهَا ٱلْبُطُونَ
ফাইন্নাহুম লাআ-কিলূনা মিনহা-ফামা-লিঊনা মিনহাল বুতূন।
কাফেররা একে ভক্ষণ করবে এবং এর দ্বারা উদর পূর্ণ করবে।
67
ثُمَّ إِنَّ لَهُمْ عَلَيْهَا لَشَوْبًا مِّنْ حَمِيمٍ
ছু ম্মা ইন্না লাহুম ‘আলাইহা- লাশাওবাম মিন হামীম।
তদুপরি তাদেরকে দেয়া হবে। ফুটন্ত পানির মিশ্রণ,
68
ثُمَّ إِنَّ مَرْجِعَهُمْ لَإِلَى ٱلْجَحِيمِ
ছু ম্মা ইন্না মারজি‘আহুম লা ইলাল জাহীম।
অতঃপর তাদের প্রত্যাবর্তন হবে জাহান্নামের দিকে।
69
إِنَّهُمْ أَلْفَوْا۟ ءَابَآءَهُمْ ضَآلِّينَ
ইন্নাহুম আলফাও আ-বাআহুম দাল্লীন।
তারা তাদের পূর্বপুরুষদেরকে পেয়েছিল বিপথগামী।
70
فَهُمْ عَلَىٰٓ ءَاثَٰرِهِمْ يُهْرَعُونَ
ফাহুম ‘আলাআ-ছা-রিহিম ইউহরা‘ঊন।
অতঃপর তারা তদের পদাংক অনুসরণে তৎপর ছিল।
71
وَلَقَدْ ضَلَّ قَبْلَهُمْ أَكْثَرُ ٱلْأَوَّلِينَ
ওয়া লাকাদ দাল্লা কাবলাহুম আকছারুল আওওয়ালীন।
তাদের পূর্বেও অগ্রবর্তীদের অধিকাংশ বিপথগামী হয়েছিল।
72
وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا فِيهِم مُّنذِرِينَ
ওয়া লাকাদ আরছালনা-ফীহিম মুনযিরীন।
আমি তাদের মধ্যে ভীতি প্রদর্শনকারী প্রেরণ করেছিলাম।
73
فَٱنظُرْ كَيْفَ كَانَ عَٰقِبَةُ ٱلْمُنذَرِينَ
ফানজু র কাইফা কা-না ‘আ-কিবাতুল মুনযারীন।
অতএব লক্ষ্য করুন, যাদেরকে ভীতিপ্রদর্শণ করা হয়েছিল, তাদের পরিণতি কি হয়েছে।
74
إِلَّا عِبَادَ ٱللَّهِ ٱلْمُخْلَصِينَ
ইল্লা-‘ইবা-দাল্লা-হিল মুখলাসীন।
তবে আল্লাহর বাছাই করা বান্দাদের কথা ভিন্ন।
75
وَلَقَدْ نَادَىٰنَا نُوحٌ فَلَنِعْمَ ٱلْمُجِيبُونَ
ওয়ালা কাদ না-দা-না-নূহুন ফালানি‘মাল মুজীবূন।
আর নূহ আমাকে ডেকেছিল। আর কি চমৎকারভাবে আমি তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম।
76
وَنَجَّيْنَٰهُ وَأَهْلَهُۥ مِنَ ٱلْكَرْبِ ٱلْعَظِيمِ
ওয়া নাজ্জাইনা-হু ওয়া আহলাহূমিনাল কারবিল ‘আজীম।
আমি তাকে ও তার পরিবারবর্গকে এক মহাসংকট থেকে রক্ষা করেছিলাম।
77
وَجَعَلْنَا ذُرِّيَّتَهُۥ هُمُ ٱلْبَاقِينَ
ওয়া জা‘আলনা- যুররিইইয়াতাহূহুমুল বাকীন।
এবং তার বংশধরদেরকেই আমি অবশিষ্ট রেখেছিলাম।
78
وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِى ٱلْءَاخِرِينَ
ওয়া তারাকনা-‘আলাইহি ফিল আ-খিরীন।
আমি তার জন্যে পরবর্তীদের মধ্যে এ বিষয় রেখে দিয়েছি যে,
79
سَلَٰمٌ عَلَىٰ نُوحٍ فِى ٱلْعَٰلَمِينَ
ছালা-মুন ‘আলা-নূহিন ফিল ‘আ-লামীন।
বিশ্ববাসীর মধ্যে নূহের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক।
80
إِنَّا كَذَٰلِكَ نَجْزِى ٱلْمُحْسِنِينَ
ইন্না-কাযা-লিকা নাজঝিল মুহছিনীন।
আমি এভাবেই সৎকর্ম পরায়নদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি।
81
إِنَّهُۥ مِنْ عِبَادِنَا ٱلْمُؤْمِنِينَ
ইন্নাহূমিন ‘ইবা-দিনাল মু’মিনীন।
সে ছিল আমার ঈমানদার বান্দাদের অন্যতম।
82
ثُمَّ أَغْرَقْنَا ٱلْءَاخَرِينَ
ছু ম্মা আগরাকনাল আ-খারীন।
অতঃপর আমি অপরাপর সবাইকে নিমজ্জত করেছিলাম।
83
وَإِنَّ مِن شِيعَتِهِۦ لَإِبْرَٰهِيمَ
ওয়া ইন্না মিন শী‘আতিহী লাইবরা-হীম।
আর নূহ পন্থীদেরই একজন ছিল ইব্রাহীম।
84
إِذْ جَآءَ رَبَّهُۥ بِقَلْبٍ سَلِيمٍ
ইযজাআ রাব্বাহূবিকালবিন ছালীম।
যখন সে তার পালনকর্তার নিকট সুষ্ঠু চিত্তে উপস্থিত হয়েছিল,
85
إِذْ قَالَ لِأَبِيهِ وَقَوْمِهِۦ مَاذَا تَعْبُدُونَ
ইযকা-লা লিআবীহি ওয়া কাওমিহী মা-যা-তা‘বুদূন।
যখন সে তার পিতা ও সম্প্রদায়কে বলেছিলঃ তোমরা কিসের উপাসনা করছ?
86
أَئِفْكًا ءَالِهَةً دُونَ ٱللَّهِ تُرِيدُونَ
আইফকান আ-লিহাতান দূনাল্লা-হি তুরীদূন।
তোমরা কি আল্লাহ ব্যতীত মিথ্যা উপাস্য কামনা করছ?
87
فَمَا ظَنُّكُم بِرَبِّ ٱلْعَٰلَمِينَ
ফমা-জান্নুকুম বিরাব্বিল ‘আ-লামীন।
বিশ্বজগতের পালনকর্তা সম্পর্কে তোমাদের ধারণা কি?
88
فَنَظَرَ نَظْرَةً فِى ٱلنُّجُومِ
ফানাজারা নাজরাতান ফিননুজূম।
অতঃপর সে একবার তারকাদের প্রতি লক্ষ্য করল।
89
فَقَالَ إِنِّى سَقِيمٌ
ফাকা-লা ইন্নী ছাকীম।
এবং বললঃ আমি পীড়িত।
90
فَتَوَلَّوْا۟ عَنْهُ مُدْبِرِينَ
ফাতওয়াল্লাও ‘আনহু মুদবিরীন।
অতঃপর তারা তার প্রতি পিঠ ফিরিয়ে চলে গেল।
91
فَرَاغَ إِلَىٰٓ ءَالِهَتِهِمْ فَقَالَ أَلَا تَأْكُلُونَ
ফারা-গা ইলাআ-লিহাতিহিম ফাকা-লা আলা-তা’কুলূন।
অতঃপর সে তাদের দেবালয়ে, গিয়ে ঢুকল এবং বললঃ তোমরা খাচ্ছ না কেন?
92
مَا لَكُمْ لَا تَنطِقُونَ
মা-লাকুম লা-তানতিকূন।
তোমাদের কি হল যে, কথা বলছ না?
93
فَرَاغَ عَلَيْهِمْ ضَرْبًۢا بِٱلْيَمِينِ
ফারা-গা ‘আলাইহিম দারবাম বিলইয়ামীন।
অতঃপর সে প্রবল আঘাতে তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল।
94
فَأَقْبَلُوٓا۟ إِلَيْهِ يَزِفُّونَ
ফাআকবালূইলাইহি ইয়াঝিফফূন।
তখন লোকজন তার দিকে ছুটে এলো ভীত-সন্ত্রস্ত পদে।
95
قَالَ أَتَعْبُدُونَ مَا تَنْحِتُونَ
কা-লা আতা‘বুদূনা মা-তানহিতূন।
সে বললঃ তোমরা স্বহস্ত নির্মিত পাথরের পূজা কর কেন?
96
وَٱللَّهُ خَلَقَكُمْ وَمَا تَعْمَلُونَ
ওয়াল্লা-হু খালাকাকুম ওয়ামা-তা‘মালূন।
অথচ আল্লাহ তোমাদেরকে এবং তোমরা যা নির্মাণ করছ সবাইকে সৃষ্টি করেছেন।
97
قَالُوا۟ ٱبْنُوا۟ لَهُۥ بُنْيَٰنًا فَأَلْقُوهُ فِى ٱلْجَحِيمِ
কা-লুবনূলাহূবুনইয়া-নান ফাআলকূহু ফিল জাহীম।
তারা বললঃ এর জন্যে একটি ভিত নির্মাণ কর এবং অতঃপর তাকে আগুনের স্তুপে নিক্ষেপ কর।
98
فَأَرَادُوا۟ بِهِۦ كَيْدًا فَجَعَلْنَٰهُمُ ٱلْأَسْفَلِينَ
ফাআরাদূবিহী কাইদান ফাজা‘আলনা-হুমুল আছফালীন।
তারপর তারা তার বিরুদ্ধে মহা ষড়যন্ত্র আঁটতে চাইল, কিন্তু আমি তাদেরকেই পরাভূত করে দিলাম।
99
وَقَالَ إِنِّى ذَاهِبٌ إِلَىٰ رَبِّى سَيَهْدِينِ
ওয়া কা-লা ইন্নী যা-হিবুন ইলা-রাববী ছাইয়াহদীন।
সে বললঃ আমি আমার পালনকর্তার দিকে চললাম, তিনি আমাকে পথপ্রদর্শন করবেন।
100
رَبِّ هَبْ لِى مِنَ ٱلصَّٰلِحِينَ
রাব্বি হাবলী মিনাসসা-লিহীন।
হে আমার পরওয়ারদেগার! আমাকে এক সৎপুত্র দান কর।
101
فَبَشَّرْنَٰهُ بِغُلَٰمٍ حَلِيمٍ
ফাবাশশারনা-হু বিগুলা-মিন হালীম।
সুতরাং আমি তাকে এক সহনশীল পুত্রের সুসংবাদ দান করলাম।
102
فَلَمَّا بَلَغَ مَعَهُ ٱلسَّعْىَ قَالَ يَٰبُنَىَّ إِنِّىٓ أَرَىٰ فِى ٱلْمَنَامِ أَنِّىٓ أَذْبَحُكَ فَٱنظُرْ مَاذَا تَرَىٰ قَالَ يَٰٓأَبَتِ ٱفْعَلْ مَا تُؤْمَرُ سَتَجِدُنِىٓ إِن شَآءَ ٱللَّهُ مِنَ ٱلصَّٰبِرِينَ
ফালাম্মা-বালাগা মা‘আহুছ ছা‘ইয়া কা-লা ইয়া-বুনাইইয়া ইন্নীআরা-ফিল মানা-মি আন্নী আযবাহুকা ফানজুর মা-যা-তারা- কা-লা ইয়াআবাতিফ‘আল মা-তু’মারু ছাতাজিদুনীইন শা-আল্লা-হু মিনাসসা-বিরীন।
অতঃপর সে যখন পিতার সাথে চলাফেরা করার বয়সে উপনীত হল, তখন ইব্রাহীম তাকে বললঃ বৎস! আমি স্বপ্নে দেখিযে, তোমাকে যবেহ করছি; এখন তোমার অভিমত কি দেখ। সে বললঃ পিতাঃ! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, তাই করুন। আল্লাহ চাহে তো আপনি আমাকে সবরকারী পাবেন।
103
فَلَمَّآ أَسْلَمَا وَتَلَّهُۥ لِلْجَبِينِ
ফালাম্মাআছলামা-ওয়া তাল্লাহূলিলজাবীন।
যখন পিতা-পুত্র উভয়েই আনুগত্য প্রকাশ করল এবং ইব্রাহীম তাকে যবেহ করার জন্যে শায়িত করল।
104
وَنَٰدَيْنَٰهُ أَن يَٰٓإِبْرَٰهِيمُ
ওয়া না-দাইনা-হু আইঁ ইয়াইবরা-হীম।
তখন আমি তাকে ডেকে বললামঃ হে ইব্রাহীম,
105
قَدْ صَدَّقْتَ ٱلرُّءْيَآ إِنَّا كَذَٰلِكَ نَجْزِى ٱلْمُحْسِنِينَ
কাদ সাদ্দাকতার রু’ইয়া- ইন্না-কাযা-লিকা নাজঝিল মুহছিনীন।
তুমি তো স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করে দেখালে! আমি এভাবেই সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।
106
إِنَّ هَٰذَا لَهُوَ ٱلْبَلَٰٓؤُا۟ ٱلْمُبِينُ
ইন্না হা-যা-লাহুওয়াল বালাউল মুবীন।
নিশ্চয় এটা এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা।
107
وَفَدَيْنَٰهُ بِذِبْحٍ عَظِيمٍ
ওয়া ফাদাইনা-হু বিযিবহিন ‘আজীম।
আমি তার পরিবর্তে দিলাম যবেহ করার জন্যে এক মহান জন্তু।
108
وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِى ٱلْءَاخِرِينَ
ওয়া তারাকনা-‘আলাইহি ফিল আ-খিরীন।
আমি তার জন্যে এ বিষয়টি পরবর্তীদের মধ্যে রেখে দিয়েছি যে,
109
سَلَٰمٌ عَلَىٰٓ إِبْرَٰهِيمَ
ছালা-মুন ‘আলাইবরা-হীম।
ইব্রাহীমের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক।
110
كَذَٰلِكَ نَجْزِى ٱلْمُحْسِنِينَ
কাযা-লিকা নাজঝিল মুহছিনীন।
এমনিভাবে আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।
111
إِنَّهُۥ مِنْ عِبَادِنَا ٱلْمُؤْمِنِينَ
ইন্নাহূমিন ‘ইবা-দিনাল মু’মুনীন।
সে ছিল আমার বিশ্বাসী বান্দাদের একজন।
112
وَبَشَّرْنَٰهُ بِإِسْحَٰقَ نَبِيًّا مِّنَ ٱلصَّٰلِحِينَ
ওয়া বাশশারনা-হু বিইছহা-কা নাবিইয়াম মিনাসসা-লিহীন।
আমি তাকে সুসংবাদ দিয়েছি ইসহাকের, সে সৎকর্মীদের মধ্য থেকে একজন নবী।
113
وَبَٰرَكْنَا عَلَيْهِ وَعَلَىٰٓ إِسْحَٰقَ وَمِن ذُرِّيَّتِهِمَا مُحْسِنٌ وَظَالِمٌ لِّنَفْسِهِۦ مُبِينٌ
ওয়া বা-রাকনা ‘আলাইহিওয়া ‘আলাইছহা-ক ওয়া মিন যুররিইইয়াতিহিমামুহছিনুওঁ ওয়া জা-লিমুল লিনাফছিহী মুবীন
তাকে এবং ইসহাককে আমি বরকত দান করেছি। তাদের বংশধরদের মধ্যে কতক সৎকর্মী এবং কতক নিজেদের উপর স্পষ্ট জুলুমকারী।
114
وَلَقَدْ مَنَنَّا عَلَىٰ مُوسَىٰ وَهَٰرُونَ
ওয়া লাকাদ মান্নান্না-‘আলা-মূছা-ওয়া হা-রূন।
আমি অনুগ্রহ করেছিলাম মূসা ও হারুনের প্রতি।
115
وَنَجَّيْنَٰهُمَا وَقَوْمَهُمَا مِنَ ٱلْكَرْبِ ٱلْعَظِيمِ
ওয়া নাজ্জাইনা-হুমা ওয়া কাওমাহুমা-মিনাল কারবিল ‘আজীম।
তাদেরকে ও তাদের সম্প্রদায়কে উদ্ধার করেছি মহা সংকট থেকে।
116
وَنَصَرْنَٰهُمْ فَكَانُوا۟ هُمُ ٱلْغَٰلِبِينَ
ওয়া নাসারনা-হু ফাকা-নূহুমুল গা-লিবীন।
আমি তাদেরকে সাহায্য করেছিলাম, ফলে তারাই ছিল বিজয়ী।
117
وَءَاتَيْنَٰهُمَا ٱلْكِتَٰبَ ٱلْمُسْتَبِينَ
ওয়া আ-তাইনা-হুমাল কিতা-বাল মুছতাবীন।
আমি উভয়কে দিয়েছিলাম সুস্পষ্ট কিতাব।
118
وَهَدَيْنَٰهُمَا ٱلصِّرَٰطَ ٱلْمُسْتَقِيمَ
ওয়া হাদাইনা-হুমাসসিরাতাল মুছতাকীম।
এবং তাদেরকে সরল পথ প্রদর্শন করেছিলাম।
119
وَتَرَكْنَا عَلَيْهِمَا فِى ٱلْءَاخِرِينَ
ওয়া তারাকনা-‘আলাইহিমা-ফিল আ-খিরীন।
আমি তাদের জন্যে পরবর্তীদের মধ্যে এ বিষয় রেখে দিয়েছি যে,
120
سَلَٰمٌ عَلَىٰ مُوسَىٰ وَهَٰرُونَ
ছালা-মুন ‘আলা-মূছা-ওয়া হা-রূন।
মূসা ও হারুনের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক।
121
إِنَّا كَذَٰلِكَ نَجْزِى ٱلْمُحْسِنِينَ
ইন্না-কাযা-লিকা নাজঝিল মুহছীনীন।
এভাবে আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।
122
إِنَّهُمَا مِنْ عِبَادِنَا ٱلْمُؤْمِنِينَ
ইন্নাহুমা-মিন ‘ইবা-দিনাল মু’মিনীন।
তারা উভয়েই ছিল আমার বিশ্বাসী বান্দাদের অন্যতম।
123
وَإِنَّ إِلْيَاسَ لَمِنَ ٱلْمُرْسَلِينَ
ওয়া ইন্না ইলইয়াছা লামিনাল মুরছালীন।
নিশ্চয়ই ইলিয়াস ছিল রসূল।
124
إِذْ قَالَ لِقَوْمِهِۦٓ أَلَا تَتَّقُونَ
ইযকা-লা লিকাওমিহীআলা-তাত্তাকূন।
যখন সে তার সম্প্রদায়কে বললঃ তোমরা কি ভয় কর না ?
125
أَتَدْعُونَ بَعْلًا وَتَذَرُونَ أَحْسَنَ ٱلْخَٰلِقِينَ
আ তাদ‘ঊনা বা‘লাওঁ ওয়া তাযারূনা আহছানাল খা-লিকীন।
তোমরা কি বা’আল দেবতার এবাদত করবে এবং সর্বোত্তম স্রষ্টাকে পরিত্যাগ করবে।
126
ٱللَّهَ رَبَّكُمْ وَرَبَّ ءَابَآئِكُمُ ٱلْأَوَّلِينَ
আল্লা-হা রাব্বাকুম ওয়া রাব্বা আ-বাই কুমুল আওওয়ালীন।
যিনি আল্লাহ তোমাদের পালনকর্তা এবং তোমাদের পূর্বপুরুষদের পালনকর্তা?
127
فَكَذَّبُوهُ فَإِنَّهُمْ لَمُحْضَرُونَ
ফাকাযযাবূহু ফাইন্নাহুম লামুহদারূন।
অতঃপর তারা তাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল। অতএব তারা অবশ্যই গ্রেফতার হয়ে আসবে।
128
إِلَّا عِبَادَ ٱللَّهِ ٱلْمُخْلَصِينَ
ইল্লা-‘ইবাদাল্লা-হিল মুখলাসীন।
কিন্তু আল্লাহ তা’আলার খাঁটি বান্দাগণ নয়।
129
وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِى ٱلْءَاخِرِينَ
ওয়া তারাকনা-‘আলাইহি ফিল আ-খিরীন।
আমি তার জন্যে পরবর্তীদের মধ্যে এ বিষয়ে রেখে দিয়েছি যে,
130
سَلَٰمٌ عَلَىٰٓ إِلْ يَاسِينَ
ছালা-মুন ‘আলাইলইয়া-ছীন।
ইলিয়াসের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক!
131
إِنَّا كَذَٰلِكَ نَجْزِى ٱلْمُحْسِنِينَ
ইন্না-কাযা-লিকা নাজঝিল মুহছিনীন।
এভাবেই আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।
132
إِنَّهُۥ مِنْ عِبَادِنَا ٱلْمُؤْمِنِينَ
ইন্নাহু মিন ‘ইবা-দিনাল মু’মিনীন।
সে ছিল আমার বিশ্বাসী বান্দাদের অন্তর্ভূক্ত।
133
وَإِنَّ لُوطًا لَّمِنَ ٱلْمُرْسَلِينَ
ওয়া ইন্না লূতাল্লা মিনাল মুরছালীন।
নিশ্চয় লূত ছিলেন রসূলগণের একজন।
134
إِذْ نَجَّيْنَٰهُ وَأَهْلَهُۥٓ أَجْمَعِينَ
ইযনাজ্জাইনা-হু ওয়া আহলাহূআজমা‘ঈন।
যখন আমি তাকেও তার পরিবারের সবাইকে উদ্ধার করেছিলাম;
135
إِلَّا عَجُوزًا فِى ٱلْغَٰبِرِينَ
ইল্লা-‘আজূঝান ফিল গা-বিরীন।
কিন্তু এক বৃদ্ধাকে ছাড়া; সে অন্যান্যদের সঙ্গে থেকে গিয়েছিল।
136
ثُمَّ دَمَّرْنَا ٱلْءَاخَرِينَ
ছু ম্মা দাম্মার নাল আ-খারীন।
অতঃপর অবশিষ্টদেরকে আমি সমূলে উৎপাটিত করেছিলাম।
137
وَإِنَّكُمْ لَتَمُرُّونَ عَلَيْهِم مُّصْبِحِينَ
ওয়া ইন্নাকুম লাতামুররূনা ‘আলাইহিম মুসবিহীন।
তোমরা তোমাদের ধ্বংস স্তুপের উপর দিয়ে গমন কর ভোর বেলায়
138
وَبِٱلَّيْلِ أَفَلَا تَعْقِلُونَ
ওয়া বিল্লাইলি আফালা-তা‘কিলূন।
এবং সন্ধ্যায়, তার পরেও কি তোমরা বোঝ না?
139
وَإِنَّ يُونُسَ لَمِنَ ٱلْمُرْسَلِينَ
ওয়া ইন্না ইঊনুছা লামিনাল মুরছালীন।
আর ইউনুসও ছিলেন পয়গম্বরগণের একজন।
140
إِذْ أَبَقَ إِلَى ٱلْفُلْكِ ٱلْمَشْحُونِ
ইয আবাকা ইলাল ফুলকিল মাশহূন।
যখন পালিয়ে তিনি বোঝাই নৌকায় গিয়ে পৌঁছেছিলেন।
141
فَسَاهَمَ فَكَانَ مِنَ ٱلْمُدْحَضِينَ
ফাছা-হামা ফাকা-না মিনাল মুদ হাদীন।
অতঃপর লটারী (সুরতি) করালে তিনি দোষী সাব্যস্ত হলেন।
142
فَٱلْتَقَمَهُ ٱلْحُوتُ وَهُوَ مُلِيمٌ
ফালতাকামাহুল হূতুওয়া হুওয়া মুলীম।
অতঃপর একটি মাছ তাঁকে গিলে ফেলল, তখন তিনি অপরাধী গণ্য হয়েছিলেন।
143
فَلَوْلَآ أَنَّهُۥ كَانَ مِنَ ٱلْمُسَبِّحِينَ
ফালাওলাআন্নাহূকা-না মিনাল মুছাব্বিহীন।
যদি তিনি আল্লাহর তসবীহ পাঠ না করতেন,
144
لَلَبِثَ فِى بَطْنِهِۦٓ إِلَىٰ يَوْمِ يُبْعَثُونَ
লালাবিছা ফী বাতনিহীইলা-ইয়াওমি ইউব‘আছূন।
তবে তাঁকে কেয়ামত দিবস পর্যন্ত মাছের পেটেই থাকতে হত।
145
فَنَبَذْنَٰهُ بِٱلْعَرَآءِ وَهُوَ سَقِيمٌ
ফানাবাযনা-হু বিল‘আরাই ওয়া হুওয়া ছাকীম।
অতঃপর আমি তাঁকে এক বিস্তীর্ণ-বিজন প্রান্তরে নিক্ষেপ করলাম, তখন তিনি ছিলেন রুগ্ন।
146
وَأَنۢبَتْنَا عَلَيْهِ شَجَرَةً مِّن يَقْطِينٍ
ওয়া আমবাতনা ‘আলাইহি শাজারাতাম মিইঁ ইয়াকতীন।
আমি তাঁর উপর এক লতাবিশিষ্ট বৃক্ষ উদগত করলাম।
147
وَأَرْسَلْنَٰهُ إِلَىٰ مِا۟ئَةِ أَلْفٍ أَوْ يَزِيدُونَ
ওয়া আরছালনা-হু ইলা-মিআতি আলফিন আও ইয়াঝীদূন।
এবং তাঁকে, লক্ষ বা ততোধিক লোকের প্রতি প্রেরণ করলাম।
148
فَـَٔامَنُوا۟ فَمَتَّعْنَٰهُمْ إِلَىٰ حِينٍ
ফাআ-মানূফামাত্তা‘না-হুম ইলা-হীন।
তারা বিশ্বাস স্থাপন করল অতঃপর আমি তাদেরকে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত জীবনোপভোগ করতে দিলাম।
149
فَٱسْتَفْتِهِمْ أَلِرَبِّكَ ٱلْبَنَاتُ وَلَهُمُ ٱلْبَنُونَ
ফাছতাফতিহিম আ লিরাব্বিকাল বানা-তুওয়া লাহুমুল বানূন।
এবার তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন, তোমার পালনকর্তার জন্যে কি কন্যা সন্তান রয়েছে এবং তাদের জন্যে কি পুত্র-সন্তান।
150
أَمْ خَلَقْنَا ٱلْمَلَٰٓئِكَةَ إِنَٰثًا وَهُمْ شَٰهِدُونَ
আম খালাকনাল মালাইকাতা ইনা-ছাওঁ ওয়া হুম শা-হিদূন।
না কি আমি তাদের উপস্থিতিতে ফেরেশতাগণকে নারীরূপে সৃষ্টি করেছি?
151
أَلَآ إِنَّهُم مِّنْ إِفْكِهِمْ لَيَقُولُونَ
আলাইন্নাহুম মিন ইফকিহিম লাইয়াকূলূন।
জেনো, তারা মনগড়া উক্তি করে যে,
152
وَلَدَ ٱللَّهُ وَإِنَّهُمْ لَكَٰذِبُونَ
ওয়ালাদাল্লা-হু ওয়া ইন্নাহুম লাকা-যিবূন।
আল্লাহ সন্তান জন্ম দিয়েছেন। নিশ্চয় তারা মিথ্যাবাদী।
153
أَصْطَفَى ٱلْبَنَاتِ عَلَى ٱلْبَنِينَ
আসতাফাল বানা-তি ‘আলাল বানীন।
তিনি কি পুত্র-সন্তানের স্থলে কন্যা-সন্তান পছন্দ করেছেন?
154
مَا لَكُمْ كَيْفَ تَحْكُمُونَ
মা-লাকুম কাইফা তাহকুমূন।
তোমাদের কি হল? তোমাদের এ কেমন সিন্ধান্ত?
155
أَفَلَا تَذَكَّرُونَ
আফালা-তাযাক্কারূন।
তোমরা কি অনুধাবন কর না?
156
أَمْ لَكُمْ سُلْطَٰنٌ مُّبِينٌ
আম লাকুম ছুলতা-নুম মুবীন।
না কি তোমাদের কাছে সুস্পষ্ট কোন দলীল রয়েছে?
157
فَأْتُوا۟ بِكِتَٰبِكُمْ إِن كُنتُمْ صَٰدِقِينَ
ফা’তূবিকিতা-বিকুম ইন কুনতুম সা-দিকীন।
তোমরা সত্যবাদী হলে তোমাদের কিতাব আন।
158
وَجَعَلُوا۟ بَيْنَهُۥ وَبَيْنَ ٱلْجِنَّةِ نَسَبًا وَلَقَدْ عَلِمَتِ ٱلْجِنَّةُ إِنَّهُمْ لَمُحْضَرُونَ
ওয়াজা‘আলূবাইনাহূওয়া বাইনাল জিন্নাতি নাছাবাওঁ ওয়ালাকাদ ‘আলিমাতিল জিন্নাতু ইন্নাহুম লামুহদারূন।
তারা আল্লাহ ও জ্বিনদের মধ্যে সম্পর্ক সাব্যস্ত করেছে, অথচ জ্বিনেরা জানে যে, তারা গ্রেফতার হয়ে আসবে।
159
سُبْحَٰنَ ٱللَّهِ عَمَّا يَصِفُونَ
ছুবহা-নাল্লা-হি ‘আম্মা-ইয়াসিফূন।
তারা যা বলে তা থেকে আল্লাহ পবিত্র।
160
إِلَّا عِبَادَ ٱللَّهِ ٱلْمُخْلَصِينَ
ইল্লা-‘ইবাদাল্লা-হিল মুখলাসীন।
তবে যারা আল্লাহর নিষ্ঠাবান বান্দা, তারা গ্রেফতার হয়ে আসবে না।
161
فَإِنَّكُمْ وَمَا تَعْبُدُونَ
ফাইন্নাকুম ওয়ামা-তা‘বুদূন।
অতএব তোমরা এবং তোমরা যাদের উপাসনা কর,
162
مَآ أَنتُمْ عَلَيْهِ بِفَٰتِنِينَ
মাআনতুম ‘আলাইহি বিফা-তিনীন।
তাদের কাউকেই তোমরা আল্লাহ সম্পর্কে বিভ্রান্ত করতে পারবে না।
163
إِلَّا مَنْ هُوَ صَالِ ٱلْجَحِيمِ
ইল্লা-মান হুওয়া সা-লিল জাহীম।
শুধুমাত্র তাদের ছাড়া যারা জাহান্নামে পৌছাবে।
164
وَمَا مِنَّآ إِلَّا لَهُۥ مَقَامٌ مَّعْلُومٌ
ওয়ামা-মিন্নাইল্লা-লাহূমাকা-মুম মা‘লূম।
আমাদের প্রত্যেকের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট স্থান।
165
وَإِنَّا لَنَحْنُ ٱلصَّآفُّونَ
ওয়া ইন্না-লানাহনুসসাফফূন।
এবং আমরাই সারিবদ্ধভাবে দন্ডায়মান থাকি।
166
وَإِنَّا لَنَحْنُ ٱلْمُسَبِّحُونَ
ওয়া ইন্না-লানাহনুল মুছাব্বিহূন।
এবং আমরাই আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করি।
167
وَإِن كَانُوا۟ لَيَقُولُونَ
ওয়া ইন কা-নূলাইয়াকূলূন।
তারা তো বলতঃ
168
لَوْ أَنَّ عِندَنَا ذِكْرًا مِّنَ ٱلْأَوَّلِينَ
লাও আন্না ‘ইনদানা- যিকরাম মিনাল আওওয়ালীন।
যদি আমাদের কাছে পূর্ববর্তীদের কোন উপদেশ থাকত,
169
لَكُنَّا عِبَادَ ٱللَّهِ ٱلْمُخْلَصِينَ
লাকুন্না-‘ইবা-দাল্লা-হিল মুখলাসীন।
তবে আমরা অবশ্যই আল্লাহর মনোনীত বান্দা হতাম।
170
فَكَفَرُوا۟ بِهِۦ فَسَوْفَ يَعْلَمُونَ
ফাকাফারূবিহী ফাছাওফা ইয়া‘লামূন।
বস্তুতঃ তারা এই কোরআনকে অস্বীকার করেছে। এখন শীঘ্রই তারা জেনে নিতে পারবে,
171
وَلَقَدْ سَبَقَتْ كَلِمَتُنَا لِعِبَادِنَا ٱلْمُرْسَلِينَ
ওয়া লাকাদ ছাবাকাত কালিমাতুনা-লি‘ইবা-দিনাল মুরছালীন।
আমার রাসূল ও বান্দাগণের ব্যাপারে আমার এই বাক্য সত্য হয়েছে যে,
172
إِنَّهُمْ لَهُمُ ٱلْمَنصُورُونَ
ইন্নাহুম লাহুমুল মানসূরূন।
অবশ্যই তারা সাহায্য প্রাপ্ত হয়।
173
وَإِنَّ جُندَنَا لَهُمُ ٱلْغَٰلِبُونَ
ওয়া ইন্না জুনদানা-লাহুমুল গা-লিবূন।
আর আমার বাহিনীই হয় বিজয়ী।
174
فَتَوَلَّ عَنْهُمْ حَتَّىٰ حِينٍ
ফাতাওয়াল্লা ‘আনহুম হাত্তা-হীন।
অতএব আপনি কিছুকালের জন্যে তাদেরকে উপেক্ষা করুন।
175
وَأَبْصِرْهُمْ فَسَوْفَ يُبْصِرُونَ
ওয়া আবসিরহুম ফাছাওফা ইউবসিরূন।
এবং তাদেরকে দেখতে থাকুন। শীঘ্রই তারাও এর পরিণাম দেখে নেবে।
176
أَفَبِعَذَابِنَا يَسْتَعْجِلُونَ
আফাবি‘আযা-বিনা-ইয়াছতা‘জিলূন।
আমার আযাব কি তারা দ্রুত কামনা করে?
177
فَإِذَا نَزَلَ بِسَاحَتِهِمْ فَسَآءَ صَبَاحُ ٱلْمُنذَرِينَ
ফাইযা-নাঝালা বিছা-হাতিহিম ফাছাআ সাবাহুল মুনযারীন।
অতঃপর যখন তাদের আঙ্গিনায় আযাব নাযিল হবে, তখন যাদেরকে সতর্ক করা হয়েছিল, তাদের সকাল বেলাটি হবে খুবই মন্দ।
178
وَتَوَلَّ عَنْهُمْ حَتَّىٰ حِينٍ
ওয়া তাওয়াল্লা ‘আনহুম হাত্তা-হীন।
আপনি কিছুকালের জন্যে তাদেরকে উপেক্ষা করুন।
179
وَأَبْصِرْ فَسَوْفَ يُبْصِرُونَ
ওয়া আবসির ফাছাওফা ইউবসিরূন।
এবং দেখতে থাকুন, শীঘ্রই তারাও এর পরিণাম দেখে নেবে।
180
سُبْحَٰنَ رَبِّكَ رَبِّ ٱلْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُونَ
ছুবহা-না রাব্বিকা রাব্বিল ‘ইঝঝাতি ‘আম্মা-ইয়াসিফূন।
পবিত্র আপনার পরওয়ারদেগারের সত্তা, তিনি সম্মানিত ও পবিত্র যা তারা বর্ণনা করে তা থেকে।
181
وَسَلَٰمٌ عَلَى ٱلْمُرْسَلِينَ
ওয়া-ছালা-মুন ‘আলাল মুরছালীন।
পয়গম্বরগণের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক।
182
وَٱلْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ ٱلْعَٰلَمِينَ
ওয়াল হামদুলিল্লা-হি রাব্বিল ‘আ-লামীন।
সমস্ত প্রশংসা বিশ্বপালক আল্লাহর নিমিত্ত।
--------
Tags: সূরা আস-সাফফাত, সূরা আস-সাফফাত |বাংলা অনুবাদ সহ, সূরা আস-সাফফাত তেলাওয়াত ও বাংলা অনুবাদ, ৩৭ সূরা আস-সাফফাত, সূরা সাফফাত বাংলা, সূরা আস-সাফফাত তেলাওয়াত,037) সূরা আস-সাফফাত, surah as-saffat, surah saffat, bangla tafsir surah as-saffat, surah as saffat, surah saffat bangla, surah saffat bangla translation, tafsir surah as-saffat, surah as-saffat arabic with bangla recitation, surah as-saffat tilawat with bangla translation, sura as-saffat, surah as-saffat tafseer