সূরা আর-রূম আরবি সহ বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ - Surah Ar-Rum in Bangla Uccharon

সূরা আর-রূম আরবি সহ বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ


সূরা আর-রূম - Surah Ar-Rum (মক্কায় অবতীর্ণ - আয়াত ৬০)


بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।


1

الٓمٓ

আলিফ লাম মীম।

আলিফ-লাম-মীম,


2

غُلِبَتِ ٱلرُّومُ

গুলিবাতির রূম।

রোমকরা পরাজিত হয়েছে,


3

فِىٓ أَدْنَى ٱلْأَرْضِ وَهُم مِّنۢ بَعْدِ غَلَبِهِمْ سَيَغْلِبُونَ

ফীআদনাল আরদিওয়াহুম মিম বা‘দি গালাবিহিম ছাইয়াগলিবূন।

নিকটবর্তী এলাকায় এবং তারা তাদের পরাজয়ের পর অতিসত্বর বিজয়ী হবে,


4

فِى بِضْعِ سِنِينَ لِلَّهِ ٱلْأَمْرُ مِن قَبْلُ وَمِنۢ بَعْدُ وَيَوْمَئِذٍ يَفْرَحُ ٱلْمُؤْمِنُونَ

ফী বিদ‘ই ছিনীনা লিল্লা-হিল আমরু মিন কাবলুওয়া মিম বা‘দু ওয়া ইয়াওমাইযিইঁ ইয়াফরাহুল মু’মিনূন।

কয়েক বছরের মধ্যে। অগ্র-পশ্চাতের কাজ আল্লাহর হাতেই। সেদিন মুমিনগণ আনন্দিত হবে।


5

بِنَصْرِ ٱللَّهِ يَنصُرُ مَن يَشَآءُ وَهُوَ ٱلْعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ

বিনাসরিল্লা-হি ইয়ানসুরু মাইঁ ইয়াশা-উ ওয়া হুওয়াল ‘আঝীঝুর রাহীম।

আল্লাহর সাহায্যে। তিনি যাকে ইচ্ছা সাহায্য করেন এবং তিনি পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।


6

وَعْدَ ٱللَّهِ لَا يُخْلِفُ ٱللَّهُ وَعْدَهُۥ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَ ٱلنَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ

ওয়া‘দাল্লা-হি লা-ইউখলিফুল্লা-হু ওয়া‘দাহূওয়া লা-কিন্না আকছারান্না-ছি লাইয়া‘লামূন।

আল্লাহর প্রতিশ্রুতি হয়ে গেছে। আল্লাহ তার প্রতিশ্রুতি খেলাফ করবেন না। কিন্তু অধিকাংশ লোক জানে না।


7

يَعْلَمُونَ ظَٰهِرًا مِّنَ ٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَا وَهُمْ عَنِ ٱلْءَاخِرَةِ هُمْ غَٰفِلُونَ

ইয়া‘লামূনা জা-হিরাম মিনাল হায়া-তিদ দুনইয়া- ওয়া হুম ‘আনিল আ-খিরাতি হুম গাফিলূন।

তারা পার্থিব জীবনের বাহ্যিক দিক জানে এবং তারা পরকালের খবর রাখে না।


8

أَوَلَمْ يَتَفَكَّرُوا۟ فِىٓ أَنفُسِهِم مَّا خَلَقَ ٱللَّهُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَآ إِلَّا بِٱلْحَقِّ وَأَجَلٍ مُّسَمًّى وَإِنَّ كَثِيرًا مِّنَ ٱلنَّاسِ بِلِقَآئِ رَبِّهِمْ لَكَٰفِرُونَ

আওয়া লাম ইয়াতাফাক্কারূফীআনফুছিহিম মা-খালাকাল্লা-হুছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ওয়ামা-বাইনাহুমাইল্লা-বিলহাক্কিওয়া আজালিম মুছাম্মাওঁ ওয়া ইন্না কাছীরাম মিনান্না-ছি বিলিকাই রাব্বিহিম লাকা-ফিরূন।

তারা কি তাদের মনে ভেবে দেখে না যে, আল্লাহ নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু সৃষ্টি করেছেন যথাযথরূপে ও নির্দিষ্ট সময়ের জন্য, কিন্তু অনেক মানুষ তাদের পালনকর্তার সাক্ষাতে অবিশ্বাসী।


9

أَوَلَمْ يَسِيرُوا۟ فِى ٱلْأَرْضِ فَيَنظُرُوا۟ كَيْفَ كَانَ عَٰقِبَةُ ٱلَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ كَانُوٓا۟ أَشَدَّ مِنْهُمْ قُوَّةً وَأَثَارُوا۟ ٱلْأَرْضَ وَعَمَرُوهَآ أَكْثَرَ مِمَّا عَمَرُوهَا وَجَآءَتْهُمْ رُسُلُهُم بِٱلْبَيِّنَٰتِ فَمَا كَانَ ٱللَّهُ لِيَظْلِمَهُمْ وَلَٰكِن كَانُوٓا۟ أَنفُسَهُمْ يَظْلِمُونَ

আওয়া লাম ইয়াছীরূ ফিলআরদিফাইয়ানজুরূ কাইফা কা-না ‘আ-কিবাতুল্লাযীনা মিন কাবলিহিম কা-নূআশাদ্দা মিনহুম কুওওয়াতাওঁ ওয়া আছা-রুল আরদা ওয়া ‘আমারূহা আকছারা মিম্মা-‘আমারূহা-ওয়া জাআতহুম রুছুলুহুম বিলবাইয়িনা-তি ফামা-কা-নাল্লা-হু লিইয়াজলিমাহুম ওয়া লা-কিন কা-নূআনফুছাহুম ইয়াজলিমূন।

তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করে না অতঃপর দেখে না যে; তাদের পূর্ববর্তীদের পরিণাম কি কি হয়েছে? তারা তাদের চাইতে শক্তিশালী ছিল, তারা যমীন চাষ করত এবং তাদের চাইতে বেশী আবাদ করত। তাদের কাছে তাদের রসূলগণ সুস্পষ্ট নির্দেশ নিয়ে এসেছিল। বস্তুতঃ আল্লাহ তাদের প্রতি জুলুমকারী ছিলেন না। কিন্তু তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতি জুলুম করেছিল।


10

ثُمَّ كَانَ عَٰقِبَةَ ٱلَّذِينَ أَسَٰٓـُٔوا۟ ٱلسُّوٓأَىٰٓ أَن كَذَّبُوا۟ بِـَٔايَٰتِ ٱللَّهِ وَكَانُوا۟ بِهَا يَسْتَهْزِءُونَ

ছু ম্মা কা-না ‘আ-কিবাতাল্লাযীনা আছাউছছূআআন কাযযাবূবিআ-য়া-তিল্লা-হি ওয়া কা-নূবিহা-ইয়াছতাহঝিঊন।

অতঃপর যারা মন্দ কর্ম করত, তাদের পরিণাম হয়েছে মন্দ। কারণ, তারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলত এবং সেগুলো নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করত।


11

ٱللَّهُ يَبْدَؤُا۟ ٱلْخَلْقَ ثُمَّ يُعِيدُهُۥ ثُمَّ إِلَيْهِ تُرْجَعُونَ

আল্লা-হু ইয়াবদাউল খালকা ছুম্মা ইউ‘ঈদুহূছুম্মা ইলাইহি তুরজা‘ঊন।

আল্লাহ প্রথমবার সৃষ্টি করেন, অতঃপর তিনি পুনরায় সৃষ্টি করবেন। এরপর তোমরা তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে।


12

وَيَوْمَ تَقُومُ ٱلسَّاعَةُ يُبْلِسُ ٱلْمُجْرِمُونَ

ওয়া ইয়াওমা তাকূমুছছা-‘আতুইউবলিছুল মুজরিমূন।

যে দিন কেয়ামত সংঘটিত হবে, সেদিন অপরাধীরা হতাশ হয়ে যাবে।


13

وَلَمْ يَكُن لَّهُم مِّن شُرَكَآئِهِمْ شُفَعَٰٓؤُا۟ وَكَانُوا۟ بِشُرَكَآئِهِمْ كَٰفِرِينَ

ওয়ালাম ইয়াকুল লাহুম মিন শুরাকাইহিম শুফা‘আউওয়াকা-নূবিশুরাকাইহিম কাফিরীন।

তাদের দেবতা গুলোর মধ্যে কেউ তাদের সুপারিশ করবে না। এবং তারা তাদের দেবতাকে অস্বীকার করবে।


14

وَيَوْمَ تَقُومُ ٱلسَّاعَةُ يَوْمَئِذٍ يَتَفَرَّقُونَ

ওয়া ইয়াওমা তাকূমুছছা-‘আতুইয়াওমাইযিইঁ ইয়াতাফাররাকূন।

যেদিন কেয়ামত সংঘটিত হবে, সেদিন মানুষ বিভক্ত হয়ে পড়বে।


15

فَأَمَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّٰلِحَٰتِ فَهُمْ فِى رَوْضَةٍ يُحْبَرُونَ

ফাআম্মাল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি ফাহুম ফী রাওদাতিইঁ ইউহবারূন।

যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে ও সৎকর্ম করেছে, তারা জান্নাতে সমাদৃত হবে;


16

وَأَمَّا ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ وَكَذَّبُوا۟ بِـَٔايَٰتِنَا وَلِقَآئِ ٱلْءَاخِرَةِ فَأُو۟لَٰٓئِكَ فِى ٱلْعَذَابِ مُحْضَرُونَ

ওয়া আম্মাল্লাযীনা কাফারূওয়া কাযযাবূবিআ-য়া-তিনা-ওয়া লিকাইল আ-খিরাতি ফাউলাইকা ফিল ‘আযা-বি মুহদারূন।

আর যারা কাফের এবং আমার আয়াতসমূহ ও পরকালের সাক্ষাতকারকে মিথ্যা বলছে, তাদেরকেই আযাবের মধ্যে উপস্থিত করা হবে।


17

فَسُبْحَٰنَ ٱللَّهِ حِينَ تُمْسُونَ وَحِينَ تُصْبِحُونَ

ফাছুবহা-নাল্লা-হি হীনা তুমছূনা ওয়া হীনা তুসবিহূন।

অতএব, তোমরা আল্লাহর পবিত্রতা স্মরণ কর সন্ধ্যায় ও সকালে,


18

وَلَهُ ٱلْحَمْدُ فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ وَعَشِيًّا وَحِينَ تُظْهِرُونَ

ওয়া লাহুল হামদুফিছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিওয়া‘আশিইইয়াওঁ ওয়া হীনা তুজহিরূন।

এবং অপরাহ্ণে ও মধ্যাহ্ণে। নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে, তাঁরই প্রশংসা।


19

يُخْرِجُ ٱلْحَىَّ مِنَ ٱلْمَيِّتِ وَيُخْرِجُ ٱلْمَيِّتَ مِنَ ٱلْحَىِّ وَيُحْىِ ٱلْأَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا وَكَذَٰلِكَ تُخْرَجُونَ

ইউখরিজুল হাইইয়া মিনাল মাইয়িতি ওয়া ইউখরিজুল মাইয়িতা মিনাল হাইয়ি ওয়া ইউহইল আরদা বা‘দা মাওতিহা- ওয়া কাযা-লিকা তুখরাজূন।

তিনি মৃত থেকে জীবিতকে বহির্গত করেন জীবিত থেকে মৃতকে বহির্গত করেন, এবং ভূমির মৃত্যুর পর তাকে পুনরুজ্জীবিত করেন। এভাবে তোমরা উত্থিত হবে।


20

وَمِنْ ءَايَٰتِهِۦٓ أَنْ خَلَقَكُم مِّن تُرَابٍ ثُمَّ إِذَآ أَنتُم بَشَرٌ تَنتَشِرُونَ

ওয়া মিন আ-য়া-তিহীআন খালাকাকুমমিনতুরা-বিন ছু ম্মা ইযা- আনতুম বাশারুন তানতাশিরূন।

তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে এক নিদর্শন এই যে, তিনি মৃত্তিকা থেকে তোমাদের সৃষ্টি করেছেন। এখন তোমরা মানুষ, পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছ।


21

وَمِنْ ءَايَٰتِهِۦٓ أَنْ خَلَقَ لَكُم مِّنْ أَنفُسِكُمْ أَزْوَٰجًا لِّتَسْكُنُوٓا۟ إِلَيْهَا وَجَعَلَ بَيْنَكُم مَّوَدَّةً وَرَحْمَةً إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَٰتٍ لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ

ওয়া মিন আ-য়া-তিহী আন খালাকা লাকুম মিন আনফুছিকুম আঝওয়া-জাল লিতাছকুনূ ইলাইহা ওয়াজা‘আলা বাইনাকুম মাওয়াদ্দাতাওঁ ওয়া রাহমাতান ইন্না ফী যা-লিকা লাআয়া-তিল লিকাওমিইঁ ইয়াতাফাক্কারূন।

আর এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সংগিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।


22

وَمِنْ ءَايَٰتِهِۦ خَلْقُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ وَٱخْتِلَٰفُ أَلْسِنَتِكُمْ وَأَلْوَٰنِكُمْ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَٰتٍ لِّلْعَٰلِمِينَ

ওয়া মিন আ-য়া-তিহী খালকুছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিওয়াখতিলা-ফুআলছিনাতিকুম ওয়া আলওয়া-নিকুম ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়া-তিল লিল‘আ-লিমীন।

তাঁর আর ও এক নিদর্শন হচ্ছে নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সৃজন এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র। নিশ্চয় এতে জ্ঞানীদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।


23

وَمِنْ ءَايَٰتِهِۦ مَنَامُكُم بِٱلَّيْلِ وَٱلنَّهَارِ وَٱبْتِغَآؤُكُم مِّن فَضْلِهِۦٓ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَٰتٍ لِّقَوْمٍ يَسْمَعُونَ

ওয়া মিন আ-য়া-তিহী মানা-মুকুম বিল্লাইলি ওয়ান্নাহা-রি ওয়াবতিগাউকুম মিন ফাদলিহী ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়া-তিল লিকাওমিইঁ ইয়াছমা‘উন।

তাঁর আরও নিদর্শনঃ রাতে ও দিনে তোমাদের নিদ্রা এবং তাঁর কৃপা অন্বেষণ। নিশ্চয় এতে মনোযোগী সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।


24

وَمِنْ ءَايَٰتِهِۦ يُرِيكُمُ ٱلْبَرْقَ خَوْفًا وَطَمَعًا وَيُنَزِّلُ مِنَ ٱلسَّمَآءِ مَآءً فَيُحْىِۦ بِهِ ٱلْأَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَآ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَٰتٍ لِّقَوْمٍ يَعْقِلُونَ

ওয়া মিন আ-য়া-তিহী ইউরীকুমুল বারকা খাওফাওঁ ওয়া তামা‘আওঁ ওয়া ইউনাঝঝিলু মিনাছছামাই মাআন ফাইউহয়ী বিহিল আরদা বা‘দা মাওতিহা ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়া-তিল লিকাওমিইঁ ইয়া‘কিলূন।

তাঁর আরও নিদর্শনঃ তিনি তোমাদেরকে দেখান বিদ্যুৎ, ভয় ও ভরসার জন্যে এবং আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন, অতঃপর তদ্দ্বারা ভূমির মৃত্যুর পর তাকে পুনরুজ্জীবিত করেন। নিশ্চয় এতে বুদ্ধিমান লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।


25

وَمِنْ ءَايَٰتِهِۦٓ أَن تَقُومَ ٱلسَّمَآءُ وَٱلْأَرْضُ بِأَمْرِهِۦ ثُمَّ إِذَا دَعَاكُمْ دَعْوَةً مِّنَ ٱلْأَرْضِ إِذَآ أَنتُمْ تَخْرُجُونَ

ওয়া মিন আ-য়া-তিহী আন তাকুমাছছামাউ ওয়াল আরদুবিআমরিহী ছু ম্মা ইযা-দা‘আ-কুম দা‘ওয়াতাম মিনাল আরদি ইযা আনতুম তাখরুজূন।

তাঁর অন্যতম নিদর্শন এই যে, তাঁরই আদেশে আকাশ ও পৃথিবী প্রতিষ্ঠিত আছে। অতঃপর যখন তিনি মৃত্তিকা থেকে উঠার জন্যে তোমাদের ডাক দেবেন, তখন তোমরা উঠে আসবে।


26

وَلَهُۥ مَن فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ كُلٌّ لَّهُۥ قَٰنِتُونَ

ওয়া লাহূমান ফিছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি কুল্লুল লাহূকা-নিতূন।

নভোমন্ডলে ও ভুমন্ডলে যা কিছু আছে, সব তাঁরই। সবাই তাঁর আজ্ঞাবহ।


27

وَهُوَ ٱلَّذِى يَبْدَؤُا۟ ٱلْخَلْقَ ثُمَّ يُعِيدُهُۥ وَهُوَ أَهْوَنُ عَلَيْهِ وَلَهُ ٱلْمَثَلُ ٱلْأَعْلَىٰ فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ وَهُوَ ٱلْعَزِيزُ ٱلْحَكِيمُ

ওয়া হুওয়াল্লাযী ইয়াবদাউল খালকা ছুম্মা ইউ‘ঈদুহূওয়া হুওয়া আহওয়ানু‘আলাইহি ওয়া লাহুল মাছালুল আ‘লা-ফিছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়া হুওয়াল ‘আঝীঝুল হাকীম।

তিনিই প্রথমবার সৃষ্টিকে অস্তিত্বে আনয়ন করেন, অতঃপর তিনি সৃষ্টি করবেন। এটা তাঁর জন্যে সহজ। আকাশ ও পৃথিবীতে সর্বোচ্চ মর্যাদা তাঁরই এবং তিনিই পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।


28

ضَرَبَ لَكُم مَّثَلًا مِّنْ أَنفُسِكُمْ هَل لَّكُم مِّن مَّا مَلَكَتْ أَيْمَٰنُكُم مِّن شُرَكَآءَ فِى مَا رَزَقْنَٰكُمْ فَأَنتُمْ فِيهِ سَوَآءٌ تَخَافُونَهُمْ كَخِيفَتِكُمْ أَنفُسَكُمْ كَذَٰلِكَ نُفَصِّلُ ٱلْءَايَٰتِ لِقَوْمٍ يَعْقِلُونَ

দারাবা লাকুম মাছালাম মিন আনফুছিকুম; হাল লাকুম মিম্মা-মালাকাত আইমা-নুকুম মিন শুরাকাআ ফী মা-রাঝাকনা-কুম ফাআনতুম ফীহি ছাওয়াউন তাখা-ফূনাহুম কাখীফাতিকুম আনফুছাকুম কাযা-লিকা নুফাসসিলুল আ-য়া-তি লিকাওমিইঁ ইয়া‘কিলূন।

আল্লাহ তোমাদের জন্যে তোমাদেরই মধ্য থেকে একটি দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেনঃ তোমাদের আমি যে রুযী দিয়েছি, তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসীরা কি তাতে তোমাদের সমান সমান অংশীদার? তোমরা কি তাদেরকে সেরূপ ভয় কর, যেরূপ নিজেদের লোককে ভয় কর? এমনিভাবে আমি সমঝদার সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শনাবলী বিস্তারিত বর্ণনা করি।


29

بَلِ ٱتَّبَعَ ٱلَّذِينَ ظَلَمُوٓا۟ أَهْوَآءَهُم بِغَيْرِ عِلْمٍ فَمَن يَهْدِى مَنْ أَضَلَّ ٱللَّهُ وَمَا لَهُم مِّن نَّٰصِرِينَ

বালিততাবা‘আল্লাযীনা জালামূআহওয়াআহুম বিগাইরি ‘ইলমিন ফামাইঁ ইয়াহদী মান আদাল্লাল্লা-হু ওয়ামা-লাহুম মিন না-সিরীন।

বরং যারা যে-ইনসাফ, তারা অজ্ঞানতাবশতঃ তাদের খেয়াল-খূশীর অনুসরণ করে থাকে। অতএব, আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তাকে কে বোঝাবে? তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।


30

فَأَقِمْ وَجْهَكَ لِلدِّينِ حَنِيفًا فِطْرَتَ ٱللَّهِ ٱلَّتِى فَطَرَ ٱلنَّاسَ عَلَيْهَا لَا تَبْدِيلَ لِخَلْقِ ٱللَّهِ ذَٰلِكَ ٱلدِّينُ ٱلْقَيِّمُ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَ ٱلنَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ

ফাআকিম ওয়াজহাকা লিদ্দীনি হানীফান ফিতরাতাল্লা-হিল্লাতী ফাতারান্না-ছা ‘আলাইহা- লা-তাবদীলা লিখালকিল্লা-হি যা-লিকাদদীনুল কাইয়িমুওয়া লা-কিন্না আকছারান্না-ছি লা-ইয়া‘লামূন।

তুমি একনিষ্ঠ ভাবে নিজেকে ধর্মের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখ। এটাই আল্লাহর প্রকৃতি, যার উপর তিনি মানব সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর সৃষ্টির কোন পরিবর্তন নেই। এটাই সরল ধর্ম। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না।


31

مُنِيبِينَ إِلَيْهِ وَٱتَّقُوهُ وَأَقِيمُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ وَلَا تَكُونُوا۟ مِنَ ٱلْمُشْرِكِينَ

মুনীবীনা ইলাইহি ওয়াত্তাকূহু ওয়াআকীমুসসালা-তা ওয়ালা-তাকূনূমিনাল মুশরিকীন।

সবাই তাঁর অভিমুখী হও এবং ভয় কর, নামায কায়েম কর এবং মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।


32

مِنَ ٱلَّذِينَ فَرَّقُوا۟ دِينَهُمْ وَكَانُوا۟ شِيَعًا كُلُّ حِزْبٍۭ بِمَا لَدَيْهِمْ فَرِحُونَ

মিনাল্লাযীনা ফাররাকূদীনাহুম ওয়া কা-নূশিয়া‘আন কুল্লুহিঝবিম বিমা-লাদাইহিম ফারিহুন।

যারা তাদের ধর্মে বিভেদ সৃষ্টি করেছে এবং অনেক দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। প্রত্যেক দলই নিজ নিজ মতবাদ নিয়ে উল্লসিত।


33

وَإِذَا مَسَّ ٱلنَّاسَ ضُرٌّ دَعَوْا۟ رَبَّهُم مُّنِيبِينَ إِلَيْهِ ثُمَّ إِذَآ أَذَاقَهُم مِّنْهُ رَحْمَةً إِذَا فَرِيقٌ مِّنْهُم بِرَبِّهِمْ يُشْرِكُونَ

ওয়া ইযা-মাছছান্না-ছা দু ররুন দা‘আও রাব্বাহুম মুনীবীনা ইলাইহি ছু ম্মা ইযাআযা-কাহুম মিনহু রাহামাতান ইযা-ফারীকুম মিনহুম বিরাব্বিহিম ইউশরিকূন।

মানুষকে যখন দুঃখ-কষ্ট স্পর্শ করে, তখন তারা তাদের পালনকর্তাকে আহবান করে তাঁরই অভিমুখী হয়ে। অতঃপর তিনি যখন তাদেরকে রহমতের স্বাদ আস্বাদন করান, তখন তাদের একদল তাদের পালনকর্তার সাথে শিরক করতে থাকে,


34

لِيَكْفُرُوا۟ بِمَآ ءَاتَيْنَٰهُمْ فَتَمَتَّعُوا۟ فَسَوْفَ تَعْلَمُونَ

লিয়াকফুরূ বিমাআ-তাইনা-হুম ফাতামাত্তা‘ঊ ফাছাওফা তা‘লামূন।

যাতে তারা অস্বীকার করে যা আমি তাদেরকে দিয়েছি। অতএব, মজা লুটে নাও, সত্বরই জানতে পারবে।


35

أَمْ أَنزَلْنَا عَلَيْهِمْ سُلْطَٰنًا فَهُوَ يَتَكَلَّمُ بِمَا كَانُوا۟ بِهِۦ يُشْرِكُونَ

আম আনঝালনা-‘আলাইহিম ছুলতা-নান ফাহুওয়া ইয়াতাকাল্লামুবিমা-কা-নূবিহী ইউশরিকূন।

আমি কি তাদের কাছে এমন কোন দলীল নাযিল করেছি, যে তাদেরকে আমার শরীক করতে বলে?


36

وَإِذَآ أَذَقْنَا ٱلنَّاسَ رَحْمَةً فَرِحُوا۟ بِهَا وَإِن تُصِبْهُمْ سَيِّئَةٌۢ بِمَا قَدَّمَتْ أَيْدِيهِمْ إِذَا هُمْ يَقْنَطُونَ

ওয়া ইযা-আযাকনান্না-ছা রাহমাতান ফারিহূবিহা- ওয়া ইন তুসিবহুম ছাইয়িআতুম বিমা-কাদ্দামাত আইদীহিম ইযা-হুম ইয়াকনাতূন।

আর যখন আমি মানুষকে রহমতের স্বাদ আস্বাদন করাই, তারা তাতে আনন্দিত হয় এবং তাদের কৃতকর্মের ফলে যদি তাদেরকে কোন দুদর্শা পায়, তবে তারা হতাশ হয়ে পড়ে।


37

أَوَلَمْ يَرَوْا۟ أَنَّ ٱللَّهَ يَبْسُطُ ٱلرِّزْقَ لِمَن يَشَآءُ وَيَقْدِرُ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَٰتٍ لِّقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ

আওয়া লাম ইয়ারাও আন্নাল্লা-হা ইয়াবছুতুর রিঝকা লিমাইঁ ইয়াশাউ ওয়া ইয়াকদিরু ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়া-তিল লিকাওমিইঁ ইউ’মিনূন।

তারা কি দেখে না যে, আল্লাহ যার জন্যে ইচ্ছা রিযিক বর্ধিত করেন এবং হ্রাস করেন। নিশ্চয় এতে বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।


38

فَـَٔاتِ ذَا ٱلْقُرْبَىٰ حَقَّهُۥ وَٱلْمِسْكِينَ وَٱبْنَ ٱلسَّبِيلِ ذَٰلِكَ خَيْرٌ لِّلَّذِينَ يُرِيدُونَ وَجْهَ ٱللَّهِ وَأُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْمُفْلِحُونَ

ফাআ-তি যাল কুরবা-হাক্কাহূওয়াল মিছকীনা ওয়াবনাছছাবীল যা-লিকা খাইরুল লিল্লাযীনা ইউরীদূ না ওয়াজহাল্লা-হি ওয়া উলাইকা হুমুল মুফলিহূন।

আত্নীয়-স্বজনকে তাদের প্রাপ্য দিন এবং মিসকীন ও মুসাফিরদেরও। এটা তাদের জন্যে উত্তম, যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করে। তারাই সফলকাম।


39

وَمَآ ءَاتَيْتُم مِّن رِّبًا لِّيَرْبُوَا۟ فِىٓ أَمْوَٰلِ ٱلنَّاسِ فَلَا يَرْبُوا۟ عِندَ ٱللَّهِ وَمَآ ءَاتَيْتُم مِّن زَكَوٰةٍ تُرِيدُونَ وَجْهَ ٱللَّهِ فَأُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْمُضْعِفُونَ

ওয়ামাআ-তাইতুম মির রিবাল লিয়ারবুওয়া ফীআমওয়া-লিন্না-ছি ফালা-ইয়ারবূ‘ইনদাল্লা-হি ওয়ামাআ-তাইতুম মিন ঝাকা-তিন তুরীদূ না ওয়াজহাল্লা-হি ফাউলাইকা হুমুল মু দ‘ইফূন।

মানুষের ধন-সম্পদে তোমাদের ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পাবে, এই আশায় তোমরা সুদে যা কিছু দাও, আল্লাহর কাছে তা বৃদ্ধি পায় না। পক্ষান্তরে, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পবিত্র অন্তরে যারা দিয়ে থাকে, অতএব, তারাই দ্বিগুণ লাভ করে।


40

ٱللَّهُ ٱلَّذِى خَلَقَكُمْ ثُمَّ رَزَقَكُمْ ثُمَّ يُمِيتُكُمْ ثُمَّ يُحْيِيكُمْ هَلْ مِن شُرَكَآئِكُم مَّن يَفْعَلُ مِن ذَٰلِكُم مِّن شَىْءٍ سُبْحَٰنَهُۥ وَتَعَٰلَىٰ عَمَّا يُشْرِكُونَ

আল্লা-হুল্লাযী খালাকাকুম ছুম্মা রাঝাকাকুম ছুম্মা ইউমীতুকুম ছুম্মা ইউহঈকুম হাল মিন শুরাকাইকুম মাইঁ ইয়াফ‘আলুমিন যা-লিকুম মিন শাইয়িন ছুবহা-নাহূওয়া তা‘আলা-‘আম্মা-ইউশরিকূন।

আল্লাহই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর রিযিক দিয়েছেন, এরপর তোমাদের মৃত্যু দেবেন, এরপর তোমাদের জীবিত করবেন। তোমাদের শরীকদের মধ্যে এমন কেউ আছে কি, যে এসব কাজের মধ্যে কোন একটিও করতে পারবে? তারা যাকে শরীক করে, আল্লাহ তা থেকে পবিত্র ও মহান।


41

ظَهَرَ ٱلْفَسَادُ فِى ٱلْبَرِّ وَٱلْبَحْرِ بِمَا كَسَبَتْ أَيْدِى ٱلنَّاسِ لِيُذِيقَهُم بَعْضَ ٱلَّذِى عَمِلُوا۟ لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ

জাহারাল ফাছা-দুফিল বাররি ওয়ালবাহরি বিমা-কাছাবাত আইদিন্না-ছি লিইউযীকাহুম বা‘দাল্লাযী ‘আমিলূলা‘আল্লাহুম ইয়ারজি‘ঊন।

স্থলে ও জলে মানুষের কৃতকর্মের দরুন বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে। আল্লাহ তাদেরকে তাদের কর্মের শাস্তি আস্বাদন করাতে চান, যাতে তারা ফিরে আসে।


42

قُلْ سِيرُوا۟ فِى ٱلْأَرْضِ فَٱنظُرُوا۟ كَيْفَ كَانَ عَٰقِبَةُ ٱلَّذِينَ مِن قَبْلُ كَانَ أَكْثَرُهُم مُّشْرِكِينَ

কুল ছীরূফিল আরদিফানজুরূ কাইফা কা-না ‘আ-কিবাতুল্লাযীনা মিন কাবলু কানা আকছারুহুম মুশরিকীন।

বলুন, তোমরা পৃথিবীতে পরিভ্রমণ কর এবং দেখ তোমাদের পুর্ববর্তীদের পরিণাম কি হয়েছে। তাদের অধিকাংশই ছিল মুশরিক।


43

فَأَقِمْ وَجْهَكَ لِلدِّينِ ٱلْقَيِّمِ مِن قَبْلِ أَن يَأْتِىَ يَوْمٌ لَّا مَرَدَّ لَهُۥ مِنَ ٱللَّهِ يَوْمَئِذٍ يَصَّدَّعُونَ

ফাআকিম ওয়াজহাকা লিদ্দীনিল কাইয়িমি মিন কাবলি আইঁ ইয়া’তিয়া ইয়াওমুল লা-মারাদ্দা লাহূমিনাল্লা-হি ইয়াওমাইযিইঁ ইয়াসসাদ্দা‘ঊন।

যে দিবস আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রত্যাহূত হবার নয়, সেই দিবসের পূর্বে আপনি সরল ধর্মে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করুন। সেদিন মানুষ বিভক্ত হয়ে পড়বে।


44

مَن كَفَرَ فَعَلَيْهِ كُفْرُهُۥ وَمَنْ عَمِلَ صَٰلِحًا فَلِأَنفُسِهِمْ يَمْهَدُونَ

মান কাফারা ফা‘আলাইহি কুফরুহু ওয়া মান ‘আমিলা সা-লিহান ফালিআনফুছিহিম ইয়ামহাদূ ন।

যে কুফরী করে, তার কফুরের জন্যে সে-ই দায়ী এবং যে সৎকর্ম করে, তারা নিজেদের পথই শুধরে নিচ্ছে।


45

لِيَجْزِىَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّٰلِحَٰتِ مِن فَضْلِهِۦٓ إِنَّهُۥ لَا يُحِبُّ ٱلْكَٰفِرِينَ

লিয়াজঝিইয়াল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি মিন ফাদলিহী ইন্নাহূলাইউহিব্বুল কা-ফিরীন।

যারা বিশ্বাস করেছে ও সৎকর্ম করেছে যাতে, আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে নিজ অনুগ্রহে প্রতিদান দেন। নিশ্চয় তিনি কাফেরদের ভালবাসেন না।


46

وَمِنْ ءَايَٰتِهِۦٓ أَن يُرْسِلَ ٱلرِّيَاحَ مُبَشِّرَٰتٍ وَلِيُذِيقَكُم مِّن رَّحْمَتِهِۦ وَلِتَجْرِىَ ٱلْفُلْكُ بِأَمْرِهِۦ وَلِتَبْتَغُوا۟ مِن فَضْلِهِۦ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ

ওয়া মিন আ-য়া-তিহীআইঁ ইউরছিলার রিয়া-হামুবাশশিরা-তিওঁ ওয়া লিইউযীকাকুম মিররাহমাতিহী ওয়া লিতাজরিয়াল ফুলকুবিআমরিহী ওয়া লিতাবতাগূমিন ফাদলিহী ওয়া লা‘আল্লাকুম তাশকুরূন।

তাঁর নিদর্শনসমূহের মধ্যে একটি এই যে, তিনি সুসংবাদবাহী বায়ু প্রেরণ করেন, যাতে তিনি তাঁর অনুগ্রহ তোমাদের আস্বাদন করান এবং যাতে তাঁর নির্দেশে জাহাজসমূহ বিচরণ করে এবং যাতে তোমরা তাঁর অনুগ্রহ তালাশ কর এবং তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ হও।


47

وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا مِن قَبْلِكَ رُسُلًا إِلَىٰ قَوْمِهِمْ فَجَآءُوهُم بِٱلْبَيِّنَٰتِ فَٱنتَقَمْنَا مِنَ ٱلَّذِينَ أَجْرَمُوا۟ وَكَانَ حَقًّا عَلَيْنَا نَصْرُ ٱلْمُؤْمِنِينَ

ওয়া লাকাদ আরছালনা-মিন কাবলিকা রুছুলান ইলা-কাওমিহিম ফাজাঊহুম বিল বাইয়িনাতি ফানতাকামনা-মিনাল্লাযীনা আজরামূ ওয়া কা-না হাক্কান ‘আলাইনা-নাসরুল মু’মিনীন।

আপনার পূর্বে আমি রসূলগণকে তাঁদের নিজ নিজ সম্প্রদায়ের কাছে প্রেরণ করেছি। তাঁরা তাদের কাছে সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী নিয়ে আগমন করেন। অতঃপর যারা পাপী ছিল, তাদের আমি শাস্তি দিয়েছি। মুমিনদের সাহায্য করা আমার দায়িত্ব।


48

ٱللَّهُ ٱلَّذِى يُرْسِلُ ٱلرِّيَٰحَ فَتُثِيرُ سَحَابًا فَيَبْسُطُهُۥ فِى ٱلسَّمَآءِ كَيْفَ يَشَآءُ وَيَجْعَلُهُۥ كِسَفًا فَتَرَى ٱلْوَدْقَ يَخْرُجُ مِنْ خِلَٰلِهِۦ فَإِذَآ أَصَابَ بِهِۦ مَن يَشَآءُ مِنْ عِبَادِهِۦٓ إِذَا هُمْ يَسْتَبْشِرُونَ

আল্লা-হুল্লাযী ইউরছিলুর রিয়া-হা ফাতুছীরু ছাহা-বান ফাইয়াবছুতু হূফিছ ছামাই কাইফা ইয়াশা-উ ওয়া ইয়াজ‘আলুহূকিছাফান ফাতারাল ওয়াদকা ইয়াখরুজুমিন খিলা-লিহী ফাইযা আসা-বা বিহী মাইঁ ইয়াশা-উ মিন ‘ইবা-দিহী ইযা-হুম ইয়াছতাবশিরূন।

তিনি আল্লাহ, যিনি বায়ু প্রেরণ করেন, অতঃপর তা মেঘমালাকে সঞ্চারিত করে। অতঃপর তিনি মেঘমালাকে যেভাবে ইচ্ছা আকাশে ছড়িয়ে দেন এবং তাকে স্তরে স্তরে রাখেন। এরপর তুমি দেখতে পাও তার মধ্য থেকে নির্গত হয় বৃষ্টিধারা। তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাদেরকে ইচ্ছা পৌঁছান; তখন তারা আনন্দিত হয়।


49

وَإِن كَانُوا۟ مِن قَبْلِ أَن يُنَزَّلَ عَلَيْهِم مِّن قَبْلِهِۦ لَمُبْلِسِينَ

ওয়া ইন কা-নূমিন কাবলি আইঁ ইউনাঝঝালা ‘আলাইহিম মিন কাবলিহী লামুবলিছীন।

তারা প্রথম থেকেই তাদের প্রতি এই বৃষ্টি বর্ষিত হওয়ার পূর্বে নিরাশ ছিল।


50

فَٱنظُرْ إِلَىٰٓ ءَاثَٰرِ رَحْمَتِ ٱللَّهِ كَيْفَ يُحْىِ ٱلْأَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَآ إِنَّ ذَٰلِكَ لَمُحْىِ ٱلْمَوْتَىٰ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ

ফানজু র ইলা আ-ছা-রি রাহমাতিল্লা-হি কাইফা ইউহয়িল আরদা বা‘দা মাওতিহা- ইন্না যা-লিকা লামুহয়িল মাওতা- ওয়া হুওয়া ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর।

অতএব, আল্লাহর রহমতের ফল দেখে নাও, কিভাবে তিনি মৃত্তিকার মৃত্যুর পর তাকে জীবিত করেন। নিশ্চয় তিনি মৃতদেরকে জীবিত করবেন এবং তিনি সব কিছুর উপর সর্বশক্তিমান।


51

وَلَئِنْ أَرْسَلْنَا رِيحًا فَرَأَوْهُ مُصْفَرًّا لَّظَلُّوا۟ مِنۢ بَعْدِهِۦ يَكْفُرُونَ

ওয়া লাইন আরছালনা-রীহান ফারাআওহু মুসফাররাল লাজাললূমিম বা‘দিহী ইয়াকফুরূন।

আমি যদি এমন বায়ু প্রেরণ করি যার ফলে তারা শস্যকে হলদে হয়ে যেতে দেখে, তখন তো তারা অবশ্যই অকৃতজ্ঞ হয়ে যায়।


52

فَإِنَّكَ لَا تُسْمِعُ ٱلْمَوْتَىٰ وَلَا تُسْمِعُ ٱلصُّمَّ ٱلدُّعَآءَ إِذَا وَلَّوْا۟ مُدْبِرِينَ

ফাইন্নাকা লা-তুছমি‘উল মাওতা-ওয়ালা-তুছমি‘উস সুম্মাদ দু‘আআ ইযা-ওয়াল্লাও মুদবিরীন।

অতএব, আপনি মৃতদেরকে শোনাতে পারবেন না এবং বধিরকেও আহবান শোনাতে পারবেন না, যখন তারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে।


53

وَمَآ أَنتَ بِهَٰدِ ٱلْعُمْىِ عَن ضَلَٰلَتِهِمْ إِن تُسْمِعُ إِلَّا مَن يُؤْمِنُ بِـَٔايَٰتِنَا فَهُم مُّسْلِمُونَ

ওয়া মাআনতা বিহা-দিল ‘উময়ি ‘আন দালা-লাতিহিম ইন তুছমি‘উ ইল্লা-মাইঁ ইউ’মিনু বিআ-য়া-তিনা-ফাহুম মুছলিমূন।

আপনি অন্ধদেরও তাদের পথভ্রষ্টতা থেকে পথ দেখাতে পারবেন না। আপনি কেবল তাদেরই শোনাতে পারবেন, যারা আমার আয়াতসমূহে বিশ্বাস করে। কারন তারা মুসলমান।


54

ٱللَّهُ ٱلَّذِى خَلَقَكُم مِّن ضَعْفٍ ثُمَّ جَعَلَ مِنۢ بَعْدِ ضَعْفٍ قُوَّةً ثُمَّ جَعَلَ مِنۢ بَعْدِ قُوَّةٍ ضَعْفًا وَشَيْبَةً يَخْلُقُ مَا يَشَآءُ وَهُوَ ٱلْعَلِيمُ ٱلْقَدِيرُ

আল্লা-হুল্লাযী খালাকাকুম মিন দু‘ফিন ছু ম্মা জা‘আলা মিম বা‘দি দু‘ফিন কু ওওয়াতান ছু ম্মা জা‘আলা মিম বা‘দি কুওওয়াতিন দু‘ফাওঁ ওয়া শাইবাতাইঁ ইয়াখলুকুমা-ইয়াশাউ ওয়া হুওয়াল ‘আলীমুল কাদীর।

আল্লাহ তিনি দূর্বল অবস্থায় তোমাদের সৃষ্টি করেন অতঃপর দূর্বলতার পর শক্তিদান করেন, অতঃপর শক্তির পর দেন দুর্বলতা ও বার্ধক্য। তিনি যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন এবং তিনি সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান।


55

وَيَوْمَ تَقُومُ ٱلسَّاعَةُ يُقْسِمُ ٱلْمُجْرِمُونَ مَا لَبِثُوا۟ غَيْرَ سَاعَةٍ كَذَٰلِكَ كَانُوا۟ يُؤْفَكُونَ

ওয়া ইয়াওমা তাকূমুছ ছা-‘আতুইউকছিমুল মুজরিমূনা মা-লাবিছূগাইরা ছা‘আতিন কাযা-লিকা কা-নূইউ’ফাকূন

যেদিন কেয়ামত সংঘটিত হবে, সেদিন অপরাধীরা কসম খেয়ে বলবে যে, এক মুহুর্তেরও বেশী অবস্থান করিনি। এমনিভাবে তারা সত্যবিমুখ হত।


56

وَقَالَ ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ ٱلْعِلْمَ وَٱلْإِيمَٰنَ لَقَدْ لَبِثْتُمْ فِى كِتَٰبِ ٱللَّهِ إِلَىٰ يَوْمِ ٱلْبَعْثِ فَهَٰذَا يَوْمُ ٱلْبَعْثِ وَلَٰكِنَّكُمْ كُنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ

ওয়া কা-লাল্লাযীনা ঊতুল ‘ইলমা ওয়াল ঈমা-না লাকাদ লাবিছতুম ফী কিতা-বিল্লা-হি ইলা-ইয়াওমিল বা‘ছি ফাহা-যা-ইয়াওমুল বা‘ছিওয়ালা-কিন্নাকুম কনতুম লা-তা‘লামূন।

যাদের জ্ঞান ও ঈমান দেয়া হয়েছে, তারা বলবে আমরা আল্লাহর কিতাব মতে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত অবস্থান করেছি। এটাই পুনরুত্থান দিবস, কিন্তু তোমরা তা জানতে না।


57

فَيَوْمَئِذٍ لَّا يَنفَعُ ٱلَّذِينَ ظَلَمُوا۟ مَعْذِرَتُهُمْ وَلَا هُمْ يُسْتَعْتَبُونَ

ফাইয়াওমাইযিল লা-ইয়ানফা‘উল্লাযীনা জালামূমা‘যিরাতুহুম ওয়ালা-হুম ইউছতা‘তাবূন।

সেদিন জালেমদের ওযর-আপত্তি তাদের কোন উপকারে আসবে না এবং তওবা করে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের সুযোগও তাদের দেয়া হবে না।


58

وَلَقَدْ ضَرَبْنَا لِلنَّاسِ فِى هَٰذَا ٱلْقُرْءَانِ مِن كُلِّ مَثَلٍ وَلَئِن جِئْتَهُم بِـَٔايَةٍ لَّيَقُولَنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓا۟ إِنْ أَنتُمْ إِلَّا مُبْطِلُونَ

ওয়া লাকাদ দারাবনা-লিন্না-ছি ফী হা-যাল কুরআ-নি মিন কুল্লি মাছালিওঁ ওয়া লাইন জি’তাহুম বিআ-ইয়াতিল লাইয়াকূলান্নাল্লাযীনা কাফারূইন আনতুম ইল্লা-মুবতিলূন।

আমি এই কোরআনে মানুষের জন্য সর্বপ্রকার দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছি। আপনি যদি তাদের কাছে কোন নিদর্শন উপস্থিত করেন, তবে কাফেররা অবশ্যই বলবে, তোমরা সবাই মিথ্যাপন্থী।


59

كَذَٰلِكَ يَطْبَعُ ٱللَّهُ عَلَىٰ قُلُوبِ ٱلَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ

কাযা-লিকা ইয়াতবা‘উল্লা-হু ‘আলা-কুলূবিল্লাযীনা লা-ইয়া‘লামূন।

এমনিভাবে আল্লাহ জ্ঞানহীনদের হৃদয় মোহরাঙ্কিত করে দেন।


60

فَٱصْبِرْ إِنَّ وَعْدَ ٱللَّهِ حَقٌّ وَلَا يَسْتَخِفَّنَّكَ ٱلَّذِينَ لَا يُوقِنُونَ

ফাসবির ইন্না ওয়া‘দাল্লা-হি হাক্কুওঁ ওয়ালা-ইয়াছতাখিফফান্নাকাল্লাযীনা লা-ইঊকিনূন।

অতএব, আপনি সবর করুন। আল্লাহর ওয়াদা সত্য। যারা বিশ্বাসী নয়, তারা যেন আপনাকে বিচলিত করতে না পারে।


--------

Tags: সূরা আর-রুম বাংলা অর্থ সহ, সূরা আর-রুম, surah ar-rum, bangla​ tafsir​ surah​ ar-rum, surah ar rum bangla translation, tafsir​ surah ar-rum, surah ar-rum arabic with bangla recitation