সূরা আল-ফুরকান আরবি সহ বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ - Surah Al-Furqan in Bangla Uccharon

সূরা আল-ফুরকান আরবি সহ বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ

সূরা আল-ফুরকান - Surah Al-Furqan (মক্কায় অবতীর্ণ - আয়াত ৭৭)

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

1

تَبَارَكَ ٱلَّذِى نَزَّلَ ٱلْفُرْقَانَ عَلَىٰ عَبْدِهِۦ لِيَكُونَ لِلْعَٰلَمِينَ نَذِيرًا

তাবা-রাকাল্লাযী নাঝঝালাল ফুরকা-না ‘আলা-‘আবদিহী লিইয়াকূনা লিল‘আ-লামীনা নাযীরা-।

পরম কল্যাণময় তিনি যিনি তাঁর বান্দার প্রতি ফয়সালার গ্রন্থ অবর্তীণ করেছেন, যাতে সে বিশ্বজগতের জন্যে সতর্ককারী হয়,।


2

ٱلَّذِى لَهُۥ مُلْكُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ وَلَمْ يَتَّخِذْ وَلَدًا وَلَمْ يَكُن لَّهُۥ شَرِيكٌ فِى ٱلْمُلْكِ وَخَلَقَ كُلَّ شَىْءٍ فَقَدَّرَهُۥ تَقْدِيرًا

আল্লাযীলাহুমুলকুছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়ালাম ইয়াত্তাখিয ওয়ালাদাওঁ ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহূশারীকুন ফিল মুলকি ওয়া খালাকা কুল্লা শাইয়িন ফাকাদ্দারাহূতাকদীরা-।

তিনি হলেন যাঁর রয়েছে নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের রাজত্ব। তিনি কোন সন্তান গ্রহণ করেননি। রাজত্বে তাঁর কোন অংশীদার নেই। তিনি প্রত্যেক বস্তু সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তাকে শোধিত করেছেন পরিমিতভাবে।


3

وَٱتَّخَذُوا۟ مِن دُونِهِۦٓ ءَالِهَةً لَّا يَخْلُقُونَ شَيْـًٔا وَهُمْ يُخْلَقُونَ وَلَا يَمْلِكُونَ لِأَنفُسِهِمْ ضَرًّا وَلَا نَفْعًا وَلَا يَمْلِكُونَ مَوْتًا وَلَا حَيَوٰةً وَلَا نُشُورًا

ওয়াত্তাখাযূমিন দূনিহীআ-লিহাতাল লা-ইয়াখলুকূ না শাইআওঁ ওয়াহুম ইউখলাকূ না ওয়ালা-ইয়ামলিকূনা লিআনফুছিহিম দাররাওঁ ওয়ালা-নাফ‘আওঁ ওয়ালা-ইয়ামলিকূনা মাওতাওঁ ওয়ালা-হায়া-তাওঁ ওয়ালা-নুশূরা-।

তারা তাঁর পরিবর্তে কত উপাস্য গ্রহণ করেছে, যারা কিছুই সৃষ্টি করে না এবং তারা নিজেরাই সৃষ্ট এবং নিজেদের ভালও করতে পারে না, মন্দও করতে পারে না এবং জীবন, মরণ ও পুনরুজ্জীবনের ও তারা মালিক নয়।


4

وَقَالَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓا۟ إِنْ هَٰذَآ إِلَّآ إِفْكٌ ٱفْتَرَىٰهُ وَأَعَانَهُۥ عَلَيْهِ قَوْمٌ ءَاخَرُونَ فَقَدْ جَآءُو ظُلْمًا وَزُورًا

ওয়া কা-লাল্লাযীনা কাফারূইন হা-যাইল্লাইফকুনিফতারা-হু ওয়াআ‘আ-নাহূ ‘আলাইহি কাওমুন আ-খারূনা ফাকাদ জাঊ জুলমাওঁ ওয়াঝূরা-।

কাফেররা বলে, এটা মিথ্যা বৈ নয়, যা তিনি উদ্ভাবন করেছেন এবং অন্য লোকেরা তাঁকে সাহায্য করেছে। অবশ্যই তারা অবিচার ও মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে।


5

وَقَالُوٓا۟ أَسَٰطِيرُ ٱلْأَوَّلِينَ ٱكْتَتَبَهَا فَهِىَ تُمْلَىٰ عَلَيْهِ بُكْرَةً وَأَصِيلًا

ওয়া কা-লূআছা-তীরুল আওওয়ালীনাক তাতাবাহা-ফাহিয়া তুমলা-আলাইহি বুকরাতাওঁ ওয়াআসীলা-।

তারা বলে, এগুলো তো পুরাকালের রূপকথা, যা তিনি লিখে রেখেছেন। এগুলো সকাল-সন্ধ্যায় তাঁর কাছে শেখানো হয়।


6

قُلْ أَنزَلَهُ ٱلَّذِى يَعْلَمُ ٱلسِّرَّ فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ إِنَّهُۥ كَانَ غَفُورًا رَّحِيمًا

কুল আনঝা-লাহুল্লাযী ইয়া‘লামুছছিররা ফিছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ইন্নাহূকা-না গাফূরার রাহীমা-।

বলুন, একে তিনিই অবতীর্ণ করেছেন, যিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের গোপন রহস্য অবগত আছেন। তিনি ক্ষমাশীল, মেহেরবান।


7

وَقَالُوا۟ مَالِ هَٰذَا ٱلرَّسُولِ يَأْكُلُ ٱلطَّعَامَ وَيَمْشِى فِى ٱلْأَسْوَاقِ لَوْلَآ أُنزِلَ إِلَيْهِ مَلَكٌ فَيَكُونَ مَعَهُۥ نَذِيرًا

ওয়া কা-লূমা-লি হা-যার রাছূলি ইয়া’কুলুততা‘আমা ওয়া ইয়ামশী ফিল আছওয়া-কি লাওলাউনঝিলা ইলাইহি মালাকুন ফাইয়াকূনা মা‘আহূনাযীরা-।

তারা বলে, এ কেমন রসূল যে, খাদ্য আহার করে এবং হাটে-বাজারে চলাফেরা করে? তাঁর কাছে কেন কোন ফেরেশতা নাযিল করা হল না যে, তাঁর সাথে সতর্ককারী হয়ে থাকত?


8

أَوْ يُلْقَىٰٓ إِلَيْهِ كَنزٌ أَوْ تَكُونُ لَهُۥ جَنَّةٌ يَأْكُلُ مِنْهَا وَقَالَ ٱلظَّٰلِمُونَ إِن تَتَّبِعُونَ إِلَّا رَجُلًا مَّسْحُورًا

আও ইউলকাইলাইহি কানঝুন আও তাকূনুলাহূজান্নাতুইঁ ইয়া’কুলুমিনহা- ওয়া কালাজ্জা-লিমূনা ইন তাত্তাবি‘ঊনা ইল্লা-রাজুলাম মাছহূরা-।

অথবা তিনি ধন-ভান্ডার প্রাপ্ত হলেন না কেন, অথবা তাঁর একটি বাগান হল না কেন, যা থেকে তিনি আহার করতেন? জালেমরা বলে, তোমরা তো একজন জাদুগ্রস্ত ব্যক্তিরই অনুসরণ করছ।


9

ٱنظُرْ كَيْفَ ضَرَبُوا۟ لَكَ ٱلْأَمْثَٰلَ فَضَلُّوا۟ فَلَا يَسْتَطِيعُونَ سَبِيلًا

উনজু র কাইফা দারাবূলাকাল আমছা-লা ফাদাললূফালা-ইয়াছতাতী‘ঊনা ছাবীলা-।

দেখুন, তারা আপনার কেমন দৃষ্টান্ত বর্ণনা করে! অতএব তারা পথভ্রষ্ট হয়েছে, এখন তারা পথ পেতে পারে না।


10

تَبَارَكَ ٱلَّذِىٓ إِن شَآءَ جَعَلَ لَكَ خَيْرًا مِّن ذَٰلِكَ جَنَّٰتٍ تَجْرِى مِن تَحْتِهَا ٱلْأَنْهَٰرُ وَيَجْعَل لَّكَ قُصُورًۢا

তাবা-রাকাল্লাযীইন শাআ জা‘আলা লাকা খাইরাম মিন যা-লিকা জান্না-তিন তাজরী মিন তাহতিহাল আনহা-রু ওয়া ইয়াজ‘আল লাকা কুসূরা-।

কল্যানময় তিনি, যিনি ইচ্ছা করলে আপনাকে তদপেক্ষা উত্তম বস্তু দিতে পারেন-বাগ-বাগিচা, যার তলদেশে নহর প্রবাহিত হয় এবং দিতে পারেন আপনাকে প্রাসাদসমূহ।


11

بَلْ كَذَّبُوا۟ بِٱلسَّاعَةِ وَأَعْتَدْنَا لِمَن كَذَّبَ بِٱلسَّاعَةِ سَعِيرًا

বাল কাযযাবূবিছছা-‘আতি ওয়া আ‘তাদনা-লিমান কাযযাবা বিছছা-‘আতি ছা‘ঈরা-।

বরং তারা কেয়ামতকে অস্বীকার করে এবং যে কেয়ামতকে অস্বীকার করে, আমি তার জন্যে অগ্নি প্রস্তুত করেছি।


12

إِذَا رَأَتْهُم مِّن مَّكَانٍۭ بَعِيدٍ سَمِعُوا۟ لَهَا تَغَيُّظًا وَزَفِيرًا

ইযা-রাআতহুম মিম মাকা-নিম বা‘ঈদিন ছামি‘ঊ লাহা-তাগাইয়ুজাওঁ ওয়া ঝাফীরা-।

অগ্নি যখন দূর থেকে তাদেরকে দেখবে, তখন তারা শুনতে পাবে তার গর্জন ও হুঙ্কার।


13

وَإِذَآ أُلْقُوا۟ مِنْهَا مَكَانًا ضَيِّقًا مُّقَرَّنِينَ دَعَوْا۟ هُنَالِكَ ثُبُورًا

ওয়া ইযাউলকূ মিনহা-মাকা-নান দাইয়িকাম মুকাররানীনা দা‘আও হুনা-লিকা ছুবূরা-।

যখন এক শিকলে কয়েকজন বাঁধা অবস্থায় জাহান্নামের কোন সংকীর্ণ স্থানে নিক্ষেপ করা হবে, তখন সেখানে তারা মৃত্যুকে ডাকবে।


14

لَّا تَدْعُوا۟ ٱلْيَوْمَ ثُبُورًا وَٰحِدًا وَٱدْعُوا۟ ثُبُورًا كَثِيرًا

লা-তাদ‘ঊল ইয়াওমা ছুবূরাওঁ ওয়া-হিদাওঁ ওয়াদ‘ঊ ছুবূরান কাছীরা-।

বলা হবে, আজ তোমরা এক মৃত্যুকে ডেকো না অনেক মৃত্যুকে ডাক।


15

قُلْ أَذَٰلِكَ خَيْرٌ أَمْ جَنَّةُ ٱلْخُلْدِ ٱلَّتِى وُعِدَ ٱلْمُتَّقُونَ كَانَتْ لَهُمْ جَزَآءً وَمَصِيرًا

কুল আযা-লিকা খাইরুন আম জান্নাতুল খুলদিল্লাতী উ‘ইদাল মুত্তাকূনা কা-নাত লাহুম জাঝাআওঁ ওয়া মাসীরা-।

বলুন এটা উত্তম, না চিরকাল বসবাসের জান্নাত, যার সুসংবাদ দেয়া হয়েছে মুত্তাকীদেরকে? সেটা হবে তাদের প্রতিদান ও প্রত্যাবর্তন স্থান।


16

لَّهُمْ فِيهَا مَا يَشَآءُونَ خَٰلِدِينَ كَانَ عَلَىٰ رَبِّكَ وَعْدًا مَّسْـُٔولًا

লাহুম ফীহা-মা-ইয়াশাঊনা খা-লিদীনা কা-না ‘আলা-রাব্বিকা ওয়া‘দাম মাছঊলা-।

তারা চিরকাল বসবাসরত অবস্থায় সেখানে যা চাইবে, তাই পাবে। এই প্রার্থিত ওয়াদা পূরণ আপনার পালনকর্তার দায়িত্ব।


17

وَيَوْمَ يَحْشُرُهُمْ وَمَا يَعْبُدُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ فَيَقُولُ ءَأَنتُمْ أَضْلَلْتُمْ عِبَادِى هَٰٓؤُلَآءِ أَمْ هُمْ ضَلُّوا۟ ٱلسَّبِيلَ

ওয়া ইয়াওমা ইয়াহশুরুহুম ওয়ামা- ইয়া‘বুদূনা মিন দূনিল্লা-হি ফাইয়াকূলুআআনতুম আদলালতুম ‘ইবা-দী হাউলাই আম হুম দাল্লুছছাবীল।

সেদিন আল্লাহ একত্রিত করবেন তাদেরকে এবং তারা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের এবাদত করত তাদেরকে, সেদিন তিনি উপাস্যদেরকে বলবেন, তোমরাই কি আমার এই বান্দাদেরকে পথভ্রান্ত করেছিলে, না তারা নিজেরাই পথভ্রান্ত হয়েছিল?


18

قَالُوا۟ سُبْحَٰنَكَ مَا كَانَ يَنۢبَغِى لَنَآ أَن نَّتَّخِذَ مِن دُونِكَ مِنْ أَوْلِيَآءَ وَلَٰكِن مَّتَّعْتَهُمْ وَءَابَآءَهُمْ حَتَّىٰ نَسُوا۟ ٱلذِّكْرَ وَكَانُوا۟ قَوْمًۢا بُورًا

কা-লূছুবহা-নাকা মা-কা-না ইয়ামবাগী লানাআন নাত্তাখিযা মিন দূ নিকা মিন আওলিয়াআ ওয়ালা-কিম মাত্তা‘তাহুম ওয়া আ-বাআহুম হাত্তা-নাছুযযিকরা- ওয়া কা-নূকাওমাম বূরা-।

তারা বলবে-আপনি পবিত্র, আমরা আপনার পরিবর্তে অন্যকে মুরুব্বীরূপে গ্রহণ করতে পারতাম না; কিন্তু আপনিই তো তাদেরকে এবং তাদের পিতৃপুরুষদেরকে ভোগসম্ভার দিয়েছিলেন, ফলে তারা আপনার স্মৃতি বিস্মৃত হয়েছিল এবং তারা ছিল ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতি।


19

فَقَدْ كَذَّبُوكُم بِمَا تَقُولُونَ فَمَا تَسْتَطِيعُونَ صَرْفًا وَلَا نَصْرًا وَمَن يَظْلِم مِّنكُمْ نُذِقْهُ عَذَابًا كَبِيرًا

ফাকাদ কাযযাবূকুম বিমা-তাকূলূনা ফামা-তাছতী‘ঊনা সারফাওঁ ওয়ালা-নাসরাওঁ ওয়া মাইঁ ইয়াজলিম মিনকুম নুযিকহু ‘আযা-বান কাবীরা-।

আল্লাহ মুশরিকদেরকে বলবেন, তোমাদের কথা তো তারা মিথ্যা সাব্যস্ত করল, এখন তোমরা শাস্তি প্রতিরোধ করতে পারবে না এবং সাহায্যও করতে পারবে না। তোমাদের মধ্যে যে গোনাহগার আমি তাকে গুরুতর শাস্তি আস্বাদন করাব।


20

وَمَآ أَرْسَلْنَا قَبْلَكَ مِنَ ٱلْمُرْسَلِينَ إِلَّآ إِنَّهُمْ لَيَأْكُلُونَ ٱلطَّعَامَ وَيَمْشُونَ فِى ٱلْأَسْوَاقِ وَجَعَلْنَا بَعْضَكُمْ لِبَعْضٍ فِتْنَةً أَتَصْبِرُونَ وَكَانَ رَبُّكَ بَصِيرًا

ওয়ামাআরছালনা-কাবলাকা মিনাল মুরছালীনা ইল্লাইন্নাহুম লাইয়া’কুলূনাততা‘আ-মা ওয়া ইয়ামশূনা ফিল আছওয়া-কি ওয়াজা‘আলনা-বা‘দাকুম লিবা‘দিন ফিতনাতান আতাসবিরূনা ওয়া কা-না রাব্বুকা বাসীরা।

আপনার পূর্বে যত রসূল প্রেরণ করেছি, তারা সবাই খাদ্য গ্রহণ করত এবং হাটে-বাজারে চলাফেরা করত। আমি তোমাদের এককে অপরের জন্যে পরীক্ষাস্বরূপ করেছি। দেখি, তোমরা সবর কর কিনা। আপনার পালনকর্তা সব কিছু দেখেন।


21

وَقَالَ ٱلَّذِينَ لَا يَرْجُونَ لِقَآءَنَا لَوْلَآ أُنزِلَ عَلَيْنَا ٱلْمَلَٰٓئِكَةُ أَوْ نَرَىٰ رَبَّنَا لَقَدِ ٱسْتَكْبَرُوا۟ فِىٓ أَنفُسِهِمْ وَعَتَوْ عُتُوًّا كَبِيرًا

ওয়া কালাল্লাযীনা লা-ইয়ারজূনা লিকাআনা-লাওলাউনঝিলা ‘আলাইনাল মালাইকাতু আও নারা-রাব্বানা- লাকাদিছতাকবারূফীআনফুছিহিম ওয়া‘আতাওঁ‘উতুওয়ান কাবীরা-।

যারা আমার সাক্ষাৎ আশা করে না, তারা বলে, আমাদের কাছে ফেরেশতা অবতীর্ণ করা হল না কেন? অথবা আমরা আমাদের পালনকর্তাকে দেখি না কেন? তারা নিজেদের অন্তরে অহংকার পোষণ করে এবং গুরুতর অবাধ্যতায় মেতে উঠেছে।


22

يَوْمَ يَرَوْنَ ٱلْمَلَٰٓئِكَةَ لَا بُشْرَىٰ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُجْرِمِينَ وَيَقُولُونَ حِجْرًا مَّحْجُورًا

ইয়াওমা ইয়ারাওনাল মালাইকাতা লা-বুশরা-ইয়াওমাইযিল লিলমুজরিমীনা ওয়া ইয়াকূ লূনা হিজরাম মাহজূরা-।

যেদিন তারা ফেরেশতাদেরকে দেখবে, সেদিন অপরাধীদের জন্যে কোন সুসংবাদ থাকবে না এবং তারা বলবে, কোন বাধা যদি তা আটকে রাখত।


23

وَقَدِمْنَآ إِلَىٰ مَا عَمِلُوا۟ مِنْ عَمَلٍ فَجَعَلْنَٰهُ هَبَآءً مَّنثُورًا

ওয়া কাদিমনাইলা-মা-‘আমিলূমিন ‘আমালিন ফাজা‘আলনা-হু হাবাআম মানছূরা-।

আমি তাদের কৃতকর্মের প্রতি মনোনিবেশ করব, অতঃপর সেগুলোকে বিক্ষিপ্ত ধুলিকণারূপে করে দেব।


24

أَصْحَٰبُ ٱلْجَنَّةِ يَوْمَئِذٍ خَيْرٌ مُّسْتَقَرًّا وَأَحْسَنُ مَقِيلًا

আসহা-বুল জান্নাতি ইয়াওমাইযিন খাইরুম মুছতাকাররাওঁ ওয়া আহছানুমাকীলা-।

সেদিন জান্নাতীদের বাসস্থান হবে উত্তম এবং বিশ্রামস্থল হবে মনোরম।


25

وَيَوْمَ تَشَقَّقُ ٱلسَّمَآءُ بِٱلْغَمَٰمِ وَنُزِّلَ ٱلْمَلَٰٓئِكَةُ تَنزِيلًا

ওয়া ইয়াওমা তাশাক্কাকুছছামাউ বিলগামা-মি ওয়ানুঝঝিলাল মালাইকাতুতানঝীলা-।

সেদিন আকাশ মেঘমালাসহ বিদীর্ণ হবে এবং সেদিন ফেরেশতাদের নামিয়ে দেয়া হবে,


26

ٱلْمُلْكُ يَوْمَئِذٍ ٱلْحَقُّ لِلرَّحْمَٰنِ وَكَانَ يَوْمًا عَلَى ٱلْكَٰفِرِينَ عَسِيرًا

আলমুলকুইয়াওমাইযিনিল হাক্কুলিররাহমা-নি ওয়া কা-না ইয়াওমান ‘আলাল কাফিরীনা ‘আছীরা-।

সেদিন সত্যিকার রাজত্ব হবে দয়াময় আল্লাহর এবং কাফেরদের পক্ষে দিনটি হবে কঠিন।


27

وَيَوْمَ يَعَضُّ ٱلظَّالِمُ عَلَىٰ يَدَيْهِ يَقُولُ يَٰلَيْتَنِى ٱتَّخَذْتُ مَعَ ٱلرَّسُولِ سَبِيلًا

ওয়া ইয়াওমা ইয়া‘আদ্দুজ্জা-লিমু‘আলা-ইয়াদাইহি ইয়াকূ লুইয়া-লাইতানিততাখাযতু মা‘আর রাছূলি ছাবীলা-।

জালেম সেদিন আপন হস্তদ্বয় দংশন করতে করতে বলবে, হায় আফসোস! আমি যদি রসূলের সাথে পথ অবলম্বন করতাম।


28

يَٰوَيْلَتَىٰ لَيْتَنِى لَمْ أَتَّخِذْ فُلَانًا خَلِيلًا

ইয়া-ওয়াইলাতা-লাইতানী লাম আত্তাখিযফুলা-নান খালীলা-।

হায় আমার দূর্ভাগ্য, আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম।


29

لَّقَدْ أَضَلَّنِى عَنِ ٱلذِّكْرِ بَعْدَ إِذْ جَآءَنِى وَكَانَ ٱلشَّيْطَٰنُ لِلْإِنسَٰنِ خَذُولًا

লাকাদ আদাল্লানী ‘আনিযযিকরি বা‘দা ইযজাআনী ওয়া কা-নাশশাইতা-নু লিলইনছা-নি খাযূলা-।

আমার কাছে উপদেশ আসার পর সে আমাকে তা থেকে বিভ্রান্ত করেছিল। শয়তান মানুষকে বিপদকালে ধোঁকা দেয়।


30

وَقَالَ ٱلرَّسُولُ يَٰرَبِّ إِنَّ قَوْمِى ٱتَّخَذُوا۟ هَٰذَا ٱلْقُرْءَانَ مَهْجُورًا

ওয়া কা-লাররাছূলুইয়া-রাব্বি ইন্না কাওমিততাখাযূহা-যাল কুরআ-না মাহজূরা-।

রসূল বললেনঃ হে আমার পালনকর্তা, আমার সম্প্রদায় এই কোরআনকে প্রলাপ সাব্যস্ত করেছে।


31

وَكَذَٰلِكَ جَعَلْنَا لِكُلِّ نَبِىٍّ عَدُوًّا مِّنَ ٱلْمُجْرِمِينَ وَكَفَىٰ بِرَبِّكَ هَادِيًا وَنَصِيرًا

ওয়া কাযা-লিকা জা‘আলনা-লিকুল্লি নাবিইয়িন ‘আদুওওয়াম মিনাল মুজরিমীনা ওয়া কাফা-বিরাব্বিকা হা-দিয়াওঁ ওয়া নাসীরা-।

এমনিভাবে প্রত্যেক নবীর জন্যে আমি অপরাধীদের মধ্য থেকে শত্রু করেছি। আপনার জন্যে আপনার পালনকর্তা পথপ্রদর্শক ও সাহায্যকারীরূপে যথেষ্ট।


32

وَقَالَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ لَوْلَا نُزِّلَ عَلَيْهِ ٱلْقُرْءَانُ جُمْلَةً وَٰحِدَةً كَذَٰلِكَ لِنُثَبِّتَ بِهِۦ فُؤَادَكَ وَرَتَّلْنَٰهُ تَرْتِيلًا

ওয়া কা-লাল্লাযীনা কাফারূলাওলা-নুঝঝিলা ‘আলাইহিল কুরআ-নুজুম লাতাওঁ ওয়াহিদাতান কাযা-লিকা লিনুছাব্বিতা বিহী ফুআ-দাকা ওয়া রাত্তালনা-হু তারতীলা-।

সত্য প্রত্যাখানকারীরা বলে, তাঁর প্রতি সমগ্র কোরআন একদফায় অবতীর্ণ হল না কেন? আমি এমনিভাবে অবতীর্ণ করেছি এবং ক্রমে ক্রমে আবৃত্তি করেছি আপনার অন্তকরণকে মজবুত করার জন্যে।


33

وَلَا يَأْتُونَكَ بِمَثَلٍ إِلَّا جِئْنَٰكَ بِٱلْحَقِّ وَأَحْسَنَ تَفْسِيرًا

ওয়ালা ইয়া’তূনাকা বিমাছালিন ইল্লা-জি’না-কা বিল হাক্কিওয়া আহছানা তাফছীরা-।

তারা আপনার কাছে কোন সমস্যা উপস্থাপিত করলেই আমি আপনাকে তার সঠিক জওয়াব ও সুন্দর ব্যাখ্যা দান করি।


34

ٱلَّذِينَ يُحْشَرُونَ عَلَىٰ وُجُوهِهِمْ إِلَىٰ جَهَنَّمَ أُو۟لَٰٓئِكَ شَرٌّ مَّكَانًا وَأَضَلُّ سَبِيلًا

আল্লাযীনা ইউহশারূনা ‘আলা-উজূহিহিম ইলা-জাহান্নামা উলাইকা শাররুম মাকানাওঁ ওয়া আদাল্লুছাবীলা-।

যাদেরকে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা অবস্থায় জাহান্নামের দিকে একত্রিত করা হবে, তাদেরই স্থান হবে নিকৃষ্ট এবং তারাই পথভ্রষ্ট।


35

وَلَقَدْ ءَاتَيْنَا مُوسَى ٱلْكِتَٰبَ وَجَعَلْنَا مَعَهُۥٓ أَخَاهُ هَٰرُونَ وَزِيرًا

ওয়ালাকাদ আ-তাইনা- মূছাল কিতা-বা ওয়া জা‘আলনা- মা‘আহূআখা-হুহা-রূনা ওয়াঝীরা-।

আমি তো মূসাকে কিতাব দিয়েছি এবং তাঁর সাথে তাঁর ভ্রাতা হারুনকে সাহায্যকারী করেছি।


36

فَقُلْنَا ٱذْهَبَآ إِلَى ٱلْقَوْمِ ٱلَّذِينَ كَذَّبُوا۟ بِـَٔايَٰتِنَا فَدَمَّرْنَٰهُمْ تَدْمِيرًا

ফাকুলনাযহাবাইলাল কাওমিল্লাযীনা কাযযাবূবিআ-য়া-তিনা- ফাদাম্মারনা-হুম তাদমীরা-।

অতঃপর আমি বলেছি, তোমরা সেই সম্প্রদায়ের কাছে যাও, যারা আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা অভিহিত করেছে। অতঃপর আমি তাদেরকে সমূলে ধ্বংস করে দিয়েছি।


37

وَقَوْمَ نُوحٍ لَّمَّا كَذَّبُوا۟ ٱلرُّسُلَ أَغْرَقْنَٰهُمْ وَجَعَلْنَٰهُمْ لِلنَّاسِ ءَايَةً وَأَعْتَدْنَا لِلظَّٰلِمِينَ عَذَابًا أَلِيمًا

ওয়া কাওমা নূহিল লাম্মা-কাযযাবুর রুছুলা আগরাকনা-হুম ওয়া জা‘আলনা-হুম লিন্না-ছি আ-য়াতাওঁ ওয়া আ‘তাদনা-লিজ্জা-লিমীনা ‘আযা-বান আলীমা-

নূহের সম্প্রদায় যখন রসূলগণের প্রতি মিথ্যারোপ করল, তখন আমি তাদেরকে নিমজ্জত করলাম এবং তাদেরকে মানবমন্ডলীর জন্যে নিদর্শন করে দিলাম। জালেমদের জন্যে আমি যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি।


38

وَعَادًا وَثَمُودَا۟ وَأَصْحَٰبَ ٱلرَّسِّ وَقُرُونًۢا بَيْنَ ذَٰلِكَ كَثِيرًا

ওয়া-‘আদাওঁ ওয়া ছামূদা ওয়া আসহা-বার রাছছি ওয়া কুরূনাম বাইনা যা-লিকা কাছীরা-

আমি ধ্বংস করেছি আদ, সামুদ, কপবাসী এবং তাদের মধ্যবর্তী অনেক সম্প্রদায়কে।


39

وَكُلًّا ضَرَبْنَا لَهُ ٱلْأَمْثَٰلَ وَكُلًّا تَبَّرْنَا تَتْبِيرًا

ওয়া কুল্লান দারাবনা-লাহুল আমছা-লা ওয়া কুল্লান তাব্বারনা-তাতবীরা-।

আমি প্রত্যেকের জন্যেই দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছি এবং প্রত্যেককেই সম্পুর্ণরূপে ধ্বংস করেছি


40

وَلَقَدْ أَتَوْا۟ عَلَى ٱلْقَرْيَةِ ٱلَّتِىٓ أُمْطِرَتْ مَطَرَ ٱلسَّوْءِ أَفَلَمْ يَكُونُوا۟ يَرَوْنَهَا بَلْ كَانُوا۟ لَا يَرْجُونَ نُشُورًا

ওয়া লাকাদ আতাও ‘আলাল কারয়াতিল্লাতীউমতিরাত মাতারাছছাওই আফালাম ইয়াকূনূইয়ারাওনাহা- বাল কা-নূলা-ইয়ারজূনা নুশূরা-।

তারা তো সেই জনপদের উপর দিয়েই যাতায়াত করে, যার ওপর বর্ষিত হয়েছে মন্দ বৃষ্টি। তবে কি তারা তা প্রত্যক্ষ করে না? বরং তারা পুনরুজ্জীবনের আশঙ্কা করে না।


41

وَإِذَا رَأَوْكَ إِن يَتَّخِذُونَكَ إِلَّا هُزُوًا أَهَٰذَا ٱلَّذِى بَعَثَ ٱللَّهُ رَسُولًا

ওয়া ইযা-রাআওকা ইয়ঁইয়াত্তাখিযূনাকা ইল্লা-হুঝুওয়ান আহা-যাল্লাযী বা‘আছাল্লাহু রাছূলা-।

তারা যখন আপনাকে দেখে, তখন আপনাকে কেবল বিদ্রুপের পাত্ররূপে গ্রহণ করে, বলে, এ-ই কি সে যাকে আল্লাহ ‘রসূল’ করে প্রেরণ করেছেন?


42

إِن كَادَ لَيُضِلُّنَا عَنْ ءَالِهَتِنَا لَوْلَآ أَن صَبَرْنَا عَلَيْهَا وَسَوْفَ يَعْلَمُونَ حِينَ يَرَوْنَ ٱلْعَذَابَ مَنْ أَضَلُّ سَبِيلًا

ইন কা-দা লাইউদিল্লুনা-‘আন আ-লিহাতিনা- লাওলাআন সাবারনা-‘আলাইহা- ওয়া ছাওফা ইয়া‘লামূনা হীনা ইয়ারাওনাল ‘আযা-বা মান আদাল্লুছাবীলা-।

সে তো আমাদেরকে আমাদের উপাস্যগণের কাছ থেকে সরিয়েই দিত, যদি আমরা তাদেরকে আঁকড়ে ধরে না থাকতাম। তারা যখন শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে, তখন জানতে পারবে কে অধিক পথভ্রষ্ট।


43

أَرَءَيْتَ مَنِ ٱتَّخَذَ إِلَٰهَهُۥ هَوَىٰهُ أَفَأَنتَ تَكُونُ عَلَيْهِ وَكِيلًا

আরাআইতা মানিততাখাযা ইলা-হাহূহাওয়া-হু আফাআনতা তাকূনু‘আলাইহি ওয়াকীলা-।

আপনি কি তাকে দেখেন না, যে তারা প্রবৃত্তিকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করে? তবুও কি আপনি তার যিম্মাদার হবেন?


44

أَمْ تَحْسَبُ أَنَّ أَكْثَرَهُمْ يَسْمَعُونَ أَوْ يَعْقِلُونَ إِنْ هُمْ إِلَّا كَٱلْأَنْعَٰمِ بَلْ هُمْ أَضَلُّ سَبِيلًا

আম তাহছাবুআন্না আকছারাহুম ইয়াছমা‘ঊনা আও ইয়া‘কিলূনা ইন হুম ইল্লা-কাল আন‘আ-মি বাল হুম আদাল্লুছাবীলা-।

আপনি কি মনে করেন যে, তাদের অধিকাংশ শোনে অথবা বোঝে ? তারা তো চতুস্পদ জন্তুর মত; বরং আরও পথভ্রান্ত


45

أَلَمْ تَرَ إِلَىٰ رَبِّكَ كَيْفَ مَدَّ ٱلظِّلَّ وَلَوْ شَآءَ لَجَعَلَهُۥ سَاكِنًا ثُمَّ جَعَلْنَا ٱلشَّمْسَ عَلَيْهِ دَلِيلًا

আলাম তারা ইলা-রাব্বিকা কাইফা মাদ্দাজজিল্লা ওয়ালাও শাআ লাজা‘আলাহূছাকিনান ছু ম্মা জা‘আলনাশশামছা ‘আলাইহি দালীলা-।

তুমি কি তোমার পালনকর্তাকে দেখ না, তিনি কিভাবে ছায়াকে বিলম্বিত করেন? তিনি ইচ্ছা করলে একে স্থির রাখতে পারতেন। এরপর আমি সূর্যকে করেছি এর নির্দেশক।


46

ثُمَّ قَبَضْنَٰهُ إِلَيْنَا قَبْضًا يَسِيرًا

ছু ম্মা কাবাদনা-হু ইলাইনা-কাবদাইঁ ইয়াছীরা-।

অতঃপর আমি একে নিজের দিকে ধীরে ধীরে গুটিয়ে আনি।


47

وَهُوَ ٱلَّذِى جَعَلَ لَكُمُ ٱلَّيْلَ لِبَاسًا وَٱلنَّوْمَ سُبَاتًا وَجَعَلَ ٱلنَّهَارَ نُشُورًا

ওয়া হুওয়াল্লাযী জা‘আলা লাকুমুল্লাইলা লিবা-ছাওঁ ওয়ান নাওমা ছুবা-তাওঁ ওয়া জা‘আলান্নাহা-রা নুশূরা-।

তিনিই তো তোমাদের জন্যে রাত্রিকে করেছেন আবরণ, নিদ্রাকে বিশ্রাম এবং দিনকে করেছেন বাইরে গমনের জন্যে।


48

وَهُوَ ٱلَّذِىٓ أَرْسَلَ ٱلرِّيَٰحَ بُشْرًۢا بَيْنَ يَدَىْ رَحْمَتِهِۦ وَأَنزَلْنَا مِنَ ٱلسَّمَآءِ مَآءً طَهُورًا

ওয়া হুওয়াল্লাযীআরছালাররিয়া-হা বুশরাম বাইনা ইয়াদাই রাহমাতিহী ওয়া আনঝালনা-মিনাছছামাই মাআন তাহূরা-।

তিনিই স্বীয় রহমতের প্রাক্কালে বাতাসকে সুসংবাদবাহীরূপে প্রেরণ করেন। এবং আমি আকাশ থেকে পবিত্রতা অর্জনের জন্যে পানি বর্ষণ করি।


49

لِّنُحْۦِىَ بِهِۦ بَلْدَةً مَّيْتًا وَنُسْقِيَهُۥ مِمَّا خَلَقْنَآ أَنْعَٰمًا وَأَنَاسِىَّ كَثِيرًا

লিনুহইইয়া বিহী বালদাতাম মাইতাওঁ ওয়া নুছকিয়াহূমিম্মা- খালাকনাআন‘আ-মাওঁ ওয়াআনা-ছিইইয়া কাছীরা-।

তদ্দ্বারা মৃত ভূভাগকে সঞ্জীবিত করার জন্যে এবং আমার সৃষ্ট জীবজন্তু ও অনেক মানুষের তৃষ্ণা নিবারণের জন্যে।


50

وَلَقَدْ صَرَّفْنَٰهُ بَيْنَهُمْ لِيَذَّكَّرُوا۟ فَأَبَىٰٓ أَكْثَرُ ٱلنَّاسِ إِلَّا كُفُورًا

ওয়া লাকাদ সাররাফনা-হু বাইনাহুম লিয়াযযাক্কারূ ফাআবা আকছারুন্না-ছি ইল্লাকুফূরা-।

এবং আমি তা তাদের মধ্যে বিভিন্নভাবে বিতরণ করি, যাতে তারা স্মরণ করে। কিন্তু অধিকাংশ লোক অকৃতজ্ঞতা ছাড়া কিছুই করে না।


51

وَلَوْ شِئْنَا لَبَعَثْنَا فِى كُلِّ قَرْيَةٍ نَّذِيرًا

ওয়ালাও শি’না-লাবা‘আছনা-ফী কুল্লি কারইয়াতিন নাযীরা-।

আমি ইচ্ছা করলে প্রত্যেক জনপদে একজন ভয় প্রদর্শনকারী প্রেরণ করতে পারতাম।


52

فَلَا تُطِعِ ٱلْكَٰفِرِينَ وَجَٰهِدْهُم بِهِۦ جِهَادًا كَبِيرًا

ফালা-তুতি‘ইল কা-ফিরীনা ওয়া জা-হিদহুম বিহী জিহা-দান কাবীরা-।

অতএব আপনি কাফেরদের আনুগত্য করবেন না এবং তাদের সাথে এর সাহায্যে কঠোর সংগ্রাম করুন।


53

وَهُوَ ٱلَّذِى مَرَجَ ٱلْبَحْرَيْنِ هَٰذَا عَذْبٌ فُرَاتٌ وَهَٰذَا مِلْحٌ أُجَاجٌ وَجَعَلَ بَيْنَهُمَا بَرْزَخًا وَحِجْرًا مَّحْجُورًا

ওয়া হুওয়াল্লাযী মারাজাল বাহরাইনি হা-যা-‘আযবুন ফুরা-তুওঁ ওয়া হা-যা-মিলহুন উজা-জুওঁ ওয়া জা‘আলা বাইনাহুমা-বারঝাখাওঁ ওয়া হিজরাম মাহজূরা-।

তিনিই সমান্তরালে দুই সমুদ্র প্রবাহিত করেছেন, এটি মিষ্ট, তৃষ্ণা নিবারক ও এটি লোনা, বিস্বাদ; উভয়ের মাঝখানে রেখেছেন একটি অন্তরায়, একটি দুর্ভেদ্য আড়াল।


54

وَهُوَ ٱلَّذِى خَلَقَ مِنَ ٱلْمَآءِ بَشَرًا فَجَعَلَهُۥ نَسَبًا وَصِهْرًا وَكَانَ رَبُّكَ قَدِيرًا

ওয়া হুওয়াল্লাযী খালাকা মিনাল মাই বাশরান ফাজা‘আলাহূনাছাবাওঁ ওয়া সিহরাও ওয়া কা-না রাব্বুকা কাদীরা-।

তিনিই পানি থেকে সৃষ্টি করেছেন মানবকে, অতঃপর তাকে রক্তগত, বংশ ও বৈবাহিক সম্পর্কশীল করেছেন। তোমার পালনকর্তা সবকিছু করতে সক্ষম।


55

وَيَعْبُدُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ مَا لَا يَنفَعُهُمْ وَلَا يَضُرُّهُمْ وَكَانَ ٱلْكَافِرُ عَلَىٰ رَبِّهِۦ ظَهِيرًا

ওয়া ইয়া‘বুদূ না মিন দূ নিল্লা-হি মা-লা-ইয়ানফা‘উহুম ওয়ালা-ইয়াদুররুহুম ওয়া কা-নাল কা-ফিরু ‘আলা-রাব্বিহী জাহীরা-।

তারা এবাদত করে আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুর, যা তাদের উপকার করতে পারে না এবং ক্ষতিও করতে পারে না। কাফের তো তার পালনকর্তার প্রতি পৃষ্ঠপ্রদর্শনকারী।


56

وَمَآ أَرْسَلْنَٰكَ إِلَّا مُبَشِّرًا وَنَذِيرًا

ওয়ামাআরছালনা-কা ইল্লা-মুবাশশিরাওঁ ওয়া নাযীরা-।

আমি আপনাকে সুসংবাদ ও সতর্ককারীরূপেই প্রেরণ করেছি।


57

قُلْ مَآ أَسْـَٔلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ إِلَّا مَن شَآءَ أَن يَتَّخِذَ إِلَىٰ رَبِّهِۦ سَبِيلًا

কুলমাআছআলুকুম ‘আলাইহি মিন আজরিন ইল্লা-মান শাআ আইঁ ইয়াত্তাখিযাইলারাব্বিহী ছাবীলা-।

বলুন, আমি তোমাদের কাছে এর কোন বিনিময় চাই না, কিন্তু যে ইচ্ছা করে, সে তার পালনকর্তার পথ অবলম্বন করুক।


58

وَتَوَكَّلْ عَلَى ٱلْحَىِّ ٱلَّذِى لَا يَمُوتُ وَسَبِّحْ بِحَمْدِهِۦ وَكَفَىٰ بِهِۦ بِذُنُوبِ عِبَادِهِۦ خَبِيرًا

ওয়া তাওয়াক্কাল ‘আলাল হাইয়িল্লাযী লা-ইয়ামূতুওয়া ছাব্বিহবিহামদিহী ওয়া কাফাবিহী বিযুনূবি ‘ইবা-দিহী খাবীরা ।

আপনি সেই চিরঞ্জীবের উপর ভরসা করুন, যার মৃত্যু নেই এবং তাঁর প্রশংসাসহ পবিত্রতা ঘোষণা করুন। তিনি বান্দার গোনাহ সম্পর্কে যথেষ্ট খবরদার।


59

ٱلَّذِى خَلَقَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا فِى سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ ٱسْتَوَىٰ عَلَى ٱلْعَرْشِ ٱلرَّحْمَٰنُ فَسْـَٔلْ بِهِۦ خَبِيرًا

আল্লাযী খালাকাছছামা-ওয়া-তি ওয়ালা আরদা ওয়ামা-বাইনাহুমা-ফী ছিত্তাতি আইয়া-মিন ছু ম্মাছতাওয়া-‘আলাল ‘আরশি আররাহমা-নূফাছআল বিহী খাবীরা-

তিনি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের অন্তর্বর্তী সবকিছু ছয়দিনে সৃস্টি করেছেন, অতঃপর আরশে সমাসীন হয়েছেন। তিনি পরম দয়াময়। তাঁর সম্পর্কে যিনি অবগত, তাকে জিজ্ঞেস কর।


60

وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ ٱسْجُدُوا۟ لِلرَّحْمَٰنِ قَالُوا۟ وَمَا ٱلرَّحْمَٰنُ أَنَسْجُدُ لِمَا تَأْمُرُنَا وَزَادَهُمْ نُفُورًا ۩

ওয়া ইযা-কীলা লাহুমুছজু দূ লিররাহমা-নি কা-লূ ওয়ামার রাহমা-নু আনাছজুদু লিমা-তা’মুরুনা-ওয়া ঝা-দাহুম নুফূরা (ছিজদাহ-৭) ।

তাদেরকে যখন বলা হয়, দয়াময়কে সেজদা কর, তখন তারা বলে, দয়াময় আবার কে? তুমি কাউকে সেজদা করার আদেশ করলেই কি আমরা সেজদা করব? এতে তাদের পলায়নপরতাই বৃদ্ধি পায়।


61

تَبَارَكَ ٱلَّذِى جَعَلَ فِى ٱلسَّمَآءِ بُرُوجًا وَجَعَلَ فِيهَا سِرَٰجًا وَقَمَرًا مُّنِيرًا

তাবা-রাকাল্লাযী জা‘আলা ফিছছামাইবুরূজাওঁ ওয়া জা‘আলা ফীহা- ছিরা-জাওঁ ওয়া কামারাম মুনীরা-।

কল্যাণময় তিনি, যিনি নভোমন্ডলে রাশিচক্র সৃষ্টি করেছেন এবং তাতে রেখেছেন সূর্য ও দীপ্তিময় চন্দ্র।


62

وَهُوَ ٱلَّذِى جَعَلَ ٱلَّيْلَ وَٱلنَّهَارَ خِلْفَةً لِّمَنْ أَرَادَ أَن يَذَّكَّرَ أَوْ أَرَادَ شُكُورًا

ওয়া হুওয়াল্লাযী জা‘আলাল লাইলা ওয়ান্নাহা-রা খিলফাতাল লিমান আরা-দা আইঁ ইয়াযযাক্কারা আও আরা-দা শুকূরা-।

যারা অনুসন্ধানপ্রিয় অথবা যারা কৃতজ্ঞতাপ্রিয় তাদের জন্যে তিনি রাত্রি ও দিবস সৃষ্টি করেছেন পরিবর্তনশীলরূপে।


63

وَعِبَادُ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلَّذِينَ يَمْشُونَ عَلَى ٱلْأَرْضِ هَوْنًا وَإِذَا خَاطَبَهُمُ ٱلْجَٰهِلُونَ قَالُوا۟ سَلَٰمًا

ওয়া ‘ইবা-দুররাহমা-নিল্লাযীনা ইয়ামশূনা ‘আলাল আরদি হাওনাওঁ ওয়া ইযা তাবাহুমুল জা-হিলূনা কা-লূছালা-মা-।

রহমান-এর বান্দা তারাই, যারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং তাদের সাথে যখন মুর্খরা কথা বলতে থাকে, তখন তারা বলে, সালাম।


64

وَٱلَّذِينَ يَبِيتُونَ لِرَبِّهِمْ سُجَّدًا وَقِيَٰمًا

ওয়াল্লাযীনা ইয়াবীতূনা লিরাব্বিহিম ছুজ্জাদাওঁ ওয়া কিয়া-মা-।

এবং যারা রাত্রি যাপন করে পালনকর্তার উদ্দেশ্যে সেজদাবনত হয়ে ও দন্ডায়মান হয়ে;


65

وَٱلَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا ٱصْرِفْ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَ إِنَّ عَذَابَهَا كَانَ غَرَامًا

ওয়াল্লাযীনা ইয়াকূলূনা রাব্বানাসরিফ ‘আন্না-‘আযা-বা জাহান্নামা ইন্না ‘আযা-বাহাকা-না গারা-মা-।

এবং যারা বলে, হে আমার পালনকর্তা, আমাদের কাছথেকে জাহান্নামের শাস্তি হটিয়ে দাও। নিশ্চয় এর শাস্তি নিশ্চিত বিনাশ;


66

إِنَّهَا سَآءَتْ مُسْتَقَرًّا وَمُقَامًا

ইন্নাহা-ছাআত মুছতাকাররাওঁ ওয়া মুকা-মা-।

বসবাস ও অবস্থানস্থল হিসেবে তা কত নিকৃষ্ট জায়গা।


67

وَٱلَّذِينَ إِذَآ أَنفَقُوا۟ لَمْ يُسْرِفُوا۟ وَلَمْ يَقْتُرُوا۟ وَكَانَ بَيْنَ ذَٰلِكَ قَوَامًا

ওয়াল্লাযীনা ইযা-আনফাকূলাম ইউছরিফূওয়া লাম ইয়াকতুরূওয়া কা-না বাইনা যা-লিকা কাওয়া-মা-।

এবং তারা যখন ব্যয় করে, তখন অযথা ব্যয় করে না কৃপণতাও করে না এবং তাদের পন্থা হয় এতদুভয়ের মধ্যবর্তী।


68

وَٱلَّذِينَ لَا يَدْعُونَ مَعَ ٱللَّهِ إِلَٰهًا ءَاخَرَ وَلَا يَقْتُلُونَ ٱلنَّفْسَ ٱلَّتِى حَرَّمَ ٱللَّهُ إِلَّا بِٱلْحَقِّ وَلَا يَزْنُونَ وَمَن يَفْعَلْ ذَٰلِكَ يَلْقَ أَثَامًا

ওয়াল্লাযীনা লা-ইয়াদ‘ঊনা মা‘আল্লা-হি ইলা-হান আ-খারা ওয়ালা-ইয়াকতুলূনান নাফছাল্লাতী হাররামাল্লা-হু ইল্লা-বিলহাক্কিওয়ালা-ইয়াঝনূনা ওয়া মাইঁ ইয়াফ‘আল যা-লিকা ইয়ালকা আছা-মা-।

এবং যারা আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যের এবাদত করে না, আল্লাহ যার হত্যা অবৈধ করেছেন, সঙ্গত কারণ ব্যতীত তাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। যারা একাজ করে, তারা শাস্তির সম্মুখীন হবে।


69

يُضَٰعَفْ لَهُ ٱلْعَذَابُ يَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِ وَيَخْلُدْ فِيهِۦ مُهَانًا

ইউদা-‘আফ লাহুল ‘আযা-বুইয়াওমাল কিয়া-মাতি ওয়া ইয়াখলুদ ফীহি মুহা-না-।

কেয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দ্বিগুন হবে এবং তথায় লাঞ্ছিত অবস্থায় চিরকাল বসবাস করবে।


70

إِلَّا مَن تَابَ وَءَامَنَ وَعَمِلَ عَمَلًا صَٰلِحًا فَأُو۟لَٰٓئِكَ يُبَدِّلُ ٱللَّهُ سَيِّـَٔاتِهِمْ حَسَنَٰتٍ وَكَانَ ٱللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا

ইল্লা-মান তা-বা ওয়া আ-মানা ওয়া ‘আমিলা ‘আমালান সা-লিহান ফাউলাইকা ইউবাদ্দিলুল্লা-হু ছাইয়িআ-তিহিম হাছানা-তিও ওয়া কা-নাল্লা-হু গাফূরাররাহীমা-।

কিন্তু যারা তওবা করে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের গোনাহকে পুন্য দ্বারা পরিবর্তত করে এবং দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।


71

وَمَن تَابَ وَعَمِلَ صَٰلِحًا فَإِنَّهُۥ يَتُوبُ إِلَى ٱللَّهِ مَتَابًا

ওয়া মান তা-বা ওয়া ‘আমিলা সা-লিহান ফাইন্নাহূইয়াতূবুইলাল্লা-হি মাতা-বা-।

যে তওবা করে ও সৎকর্ম করে, সে ফিরে আসার স্থান আল্লাহর দিকে ফিরে আসে।


72

وَٱلَّذِينَ لَا يَشْهَدُونَ ٱلزُّورَ وَإِذَا مَرُّوا۟ بِٱللَّغْوِ مَرُّوا۟ كِرَامًا

ওয়াল্লাযীনা লা-ইয়াশহাদূ নাঝঝূরা ওয়া ইযা-মাররূবিল্লাগবিমাররূকিরা-মা-।

এবং যারা মিথ্যা কাজে যোগদান করে না এবং যখন অসার ক্রিয়াকর্মের সম্মুখীন হয়, তখন মান রক্ষার্থে ভদ্রভাবে চলে যায়।


73

وَٱلَّذِينَ إِذَا ذُكِّرُوا۟ بِـَٔايَٰتِ رَبِّهِمْ لَمْ يَخِرُّوا۟ عَلَيْهَا صُمًّا وَعُمْيَانًا

ওয়াল্লাযীনা ইযা-যুক্কিরূবিআ-য়া-তি রাব্বিহিম লাম ইয়াখিররূ‘আলাইহা-সুম্মাওঁ ওয়া ‘উমইয়া-না-।

এবং যাদেরকে তাদের পালনকর্তার আয়াতসমূহ বোঝানো হলে তাতে অন্ধ ও বধির সদৃশ আচরণ করে না।


74

وَٱلَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَٰجِنَا وَذُرِّيَّٰتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَٱجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا

ওয়াল্লাযীনা ইয়াকূ লূনা রাব্বানা-হাবলানা-মিন আঝওয়া-জিনা-ওয়া যুররিইইয়া-তিনা কুররাতা আ‘ইউনিওঁ ওয়াজ‘আলনা-লিলমুত্তাকীনা ইমা-মা-।

এবং যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর।


75

أُو۟لَٰٓئِكَ يُجْزَوْنَ ٱلْغُرْفَةَ بِمَا صَبَرُوا۟ وَيُلَقَّوْنَ فِيهَا تَحِيَّةً وَسَلَٰمًا

উলাইকা ইউজঝাওনাল গুরফাতা বিমা-সাবারূওয়া ইউলাক্কাওনা ফীহা-তাহিইইয়াতাওঁ ওয়া ছালা-মা-

তাদেরকে তাদের সবরের প্রতিদানে জান্নাতে কক্ষ দেয়া হবে এবং তাদেরকে তথায় দোয়া ও সালাম সহকারে অভ্যর্থনা করা হবে।


76

خَٰلِدِينَ فِيهَا حَسُنَتْ مُسْتَقَرًّا وَمُقَامًا

খা-লিদীনা ফীহা-; হাছুনাত মুছতাকাররাওঁ ওয়া মুকা-মা-।

তথায় তারা চিরকাল বসবাস করবে। অবস্থানস্থল ও বাসস্থান হিসেবে তা কত উত্তম।


77

قُلْ مَا يَعْبَؤُا۟ بِكُمْ رَبِّى لَوْلَا دُعَآؤُكُمْ فَقَدْ كَذَّبْتُمْ فَسَوْفَ يَكُونُ لِزَامًۢا

কুল মা-ইয়া‘বাউ বিকুম রাববী লাওলা-দু‘আউকুম ফাকাদ কাযযাবতুম ফাছাওফা ইয়াকূনুলিঝা-মা-।

বলুন, আমার পালনকর্তা পরওয়া করেন না যদি তোমরা তাঁকে না ডাক। তোমরা মিথ্যা বলেছ। অতএব সত্বর নেমে আসবে অনিবার্য শাস্তি।


------

Tags: সূরা আল-ফুরকান, সূরা আল-ফুরকান বাংলা অর্থ সহ, সূরা ফুরকান, সূরা ফুরকান বাংলা অনুবাদ, সূরা ফুরকান আয়াত (৬৩-৭৭) বাংলা উচ্চারণ সহ, সূরা ২৫ আল-ফুরকান সম্পুর্ণ বাংলা অর্থ সহ আয়াত ১ থেকে ৭৭, সূরা ফুরকান আয়াত ৭৪ বাংলা উচ্চারণ, সূরা ফুরকান বাংলা অর্থ, সূরা আল ফুরকান, সূরা আল ফুরকান বাংলা, সূরা আল ফুরকান বাংলা অনুবাদ, বাংলা কুরান অনুবাদ সুরা আল-ফুরকান,  bangla tafsir surah al-furqan