Surah Al-Anbiyaa in Bangla Uccharon-সূরা আম্বিয়া আরবি সহ বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ

সূরা আম্বিয়া আরবি সহ বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ


সূরা আম্বিয়া - Surah Al-Anbiyaa (মক্কায় অবতীর্ণ -আয়াত ১১২)

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।


1

ٱقْتَرَبَ لِلنَّاسِ حِسَابُهُمْ وَهُمْ فِى غَفْلَةٍ مُّعْرِضُونَ

ইকতারাবা লিন্না-ছি হিছা-বুহুম ওয়া হুম ফী গাফলাতিম মু‘রিদূন।

মানুষের হিসাব-কিতাবের সময় নিকটবর্তী; অথচ তারা বেখবর হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।


2

مَا يَأْتِيهِم مِّن ذِكْرٍ مِّن رَّبِّهِم مُّحْدَثٍ إِلَّا ٱسْتَمَعُوهُ وَهُمْ يَلْعَبُونَ

মা-ইয়া’তীহিম মিন যিকরিম মির রাব্বিহিম মুহদাছিন ইল্লাছতামা‘উহু ওয়া হুম ইয়াল‘আবূন।

তাদের কাছে তাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে যখনই কোন নতুন উপদেশ আসে, তারা তা খেলার ছলে শ্রবণ করে।


3

لَاهِيَةً قُلُوبُهُمْ وَأَسَرُّوا۟ ٱلنَّجْوَى ٱلَّذِينَ ظَلَمُوا۟ هَلْ هَٰذَآ إِلَّا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ أَفَتَأْتُونَ ٱلسِّحْرَ وَأَنتُمْ تُبْصِرُونَ

লা-হিয়াতান কুলূবুহুম ওয়া আছার রুন নাজওয়াল্লাযীনা জালামূ হাল হা-যা ইল্লা-বাশারুম মিছলুকুম আফাতা’তূনাছছিহরা ওয়া আনতুম তুবসিরূন।

তাদের অন্তর থাকে খেলায় মত্ত। জালেমরা গোপনে পরামর্শ করে, সে তো তোমাদেরই মত একজন মানুষ; এমতাবস্থায় দেখে শুনে তোমরা তার যাদুর কবলে কেন পড়?


4

قَالَ رَبِّى يَعْلَمُ ٱلْقَوْلَ فِى ٱلسَّمَآءِ وَٱلْأَرْضِ وَهُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلْعَلِيمُ

কা-লা রাববী ইয়া‘লামুল কাওলা ফিছছামাই ওয়াল আরদি ওয়া হুওয়াছছামী‘উল ‘আলীম।

পয়গম্বর বললেনঃ নভোমন্ডল ও ভুমন্ডলের কথাই আমার পালনকর্তা জানেন। তিনি সবকিছু শোনেন, সবকিছু জানেন।


5

بَلْ قَالُوٓا۟ أَضْغَٰثُ أَحْلَٰمٍۭ بَلِ ٱفْتَرَىٰهُ بَلْ هُوَ شَاعِرٌ فَلْيَأْتِنَا بِـَٔايَةٍ كَمَآ أُرْسِلَ ٱلْأَوَّلُونَ

বাল কা-লূআদগা-ছু আহলা-মিম বালিফ তারা-হু বাল হুওয়া শা-‘ইরুন ফালইয়া’তিনা-বিআ-য়াতিন কামাউরছিলাল আওওয়ালূন।

এছাড়া তারা আরও বলেঃ অলীক স্বপ্ন; না সে মিথ্যা উদ্ভাবন করেছে, না সে একজন কবি। অতএব সে আমাদের কাছে কোন নিদর্শন আনয়ন করুক, যেমন নিদর্শন সহ আগমন করেছিলেন পূর্ববর্তীগন।


6

مَآ ءَامَنَتْ قَبْلَهُم مِّن قَرْيَةٍ أَهْلَكْنَٰهَآ أَفَهُمْ يُؤْمِنُونَ

মাআ-মানাত কাবলাহুম মিন কারইয়াতিন আহলাকনা-হা- আফাহুম ইউ’মিনূন।

তাদের পূর্বে যেসব জনপদ আমি ধবংস করে দিয়েছি, তারা বিশ্বাস স্থাপন করেনি; এখন এরা কি বিশ্বাস স্থাপন করবে?


7

وَمَآ أَرْسَلْنَا قَبْلَكَ إِلَّا رِجَالًا نُّوحِىٓ إِلَيْهِمْ فَسْـَٔلُوٓا۟ أَهْلَ ٱلذِّكْرِ إِن كُنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ

ওয়ামাআরছালনা-কাবলাকা ইল্লা-রিজা-লাননূহীইলাইহিম ফাছআলূআহলাযযিকরি ইন কুনতুম লা-তা‘লামূন।

আপনার পূর্বে আমি মানুষই প্রেরণ করেছি, যাদের কাছে আমি ওহী পাঠাতাম। অতএব তোমরা যদি না জান তবে যারা স্মরণ রাখে তাদেরকে জিজ্ঞেস কর।


8

وَمَا جَعَلْنَٰهُمْ جَسَدًا لَّا يَأْكُلُونَ ٱلطَّعَامَ وَمَا كَانُوا۟ خَٰلِدِينَ

ওয়ামা-জা‘আলনা-হুম জাছাদাল্লা-ইয়া‘কুলূনাততা‘আ-মা ওয়ামা-কা-নূখা-লিদীন।

আমি তাদেরকে এমন দেহ বিশিষ্ট করিনি যে, তারা খাদ্য ভক্ষণ করত না এবং তারা চিরস্থায়ীও ছিল না।


9

ثُمَّ صَدَقْنَٰهُمُ ٱلْوَعْدَ فَأَنجَيْنَٰهُمْ وَمَن نَّشَآءُ وَأَهْلَكْنَا ٱلْمُسْرِفِينَ

ছু ম্মা সাদাকনা-হুমুল ওয়া‘দা ফাআনজাইনা-হুম ওয়া মান নাশাউ ওয়া আহলাকনাল মুছরিফীন।

অতঃপর আমি তাদেরকে দেয়া আমার প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করলাম সুতরাং তাদেরকে এবং যাদেরকে ইচ্ছা বাঁচিয়ে দিলাম এবং ধবংস করে ছিলাম সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে।


10

لَقَدْ أَنزَلْنَآ إِلَيْكُمْ كِتَٰبًا فِيهِ ذِكْرُكُمْ أَفَلَا تَعْقِلُونَ

লাকাদ আনঝালনাইলাইকুম কিতা-বান ফীহি যিকরুকুম আফালা-তা‘কিলূন।

আমি তোমাদের প্রতি একটি কিতাব অবর্তীর্ণ করেছি; এতে তোমাদের জন্যে উপদেশ রয়েছে। তোমরা কি বোঝ না?


11

وَكَمْ قَصَمْنَا مِن قَرْيَةٍ كَانَتْ ظَالِمَةً وَأَنشَأْنَا بَعْدَهَا قَوْمًا ءَاخَرِينَ

ওকাম কাসামনা- মিন কারইয়াতিন কা-নাত জা-লিমাতাওঁ ওয়া আনশা’না- বা‘দাহাকাওমান আ-খারীন

আমি কত জনপদের ধ্বংস সাধন করেছি যার অধিবাসীরা ছিল পাপী এবং তাদের পর সৃষ্টি করেছি অন্য জাতি।


12

فَلَمَّآ أَحَسُّوا۟ بَأْسَنَآ إِذَا هُم مِّنْهَا يَرْكُضُونَ

ফালাম্মাআহাছছূবা’ছানাইযা-হুম মিনহা-ইয়ারকুদূন।

অতঃপর যখন তারা আমার আযাবের কথা টের পেল, তখনই তারা সেখান থেকে পলায়ন করতে লাগল।


13

لَا تَرْكُضُوا۟ وَٱرْجِعُوٓا۟ إِلَىٰ مَآ أُتْرِفْتُمْ فِيهِ وَمَسَٰكِنِكُمْ لَعَلَّكُمْ تُسْـَٔلُونَ

লা- তারকুদূ ওয়ারজি‘উ ইলা-মাউতরিফতুম ফীহি ওয়া মাছা-কিনিকুম লা‘আল্লাকুম তুছআলূন।

পলায়ন করো না এবং ফিরে এস, যেখানে তোমরা বিলাসিতায় মত্ত ছিলে ও তোমাদের আবাসগৃহে; সম্ভবত; কেউ তোমাদের জিজ্ঞেস করবে।


14

قَالُوا۟ يَٰوَيْلَنَآ إِنَّا كُنَّا ظَٰلِمِينَ

কা-লূইয়া-ওয়াইলানাইন্না-কুন্না-জা-লিমীন।

তারা বললঃ হায়, দুর্ভোগ আমাদের, আমরা অবশ্যই পাপী ছিলাম।


15

فَمَا زَالَت تِّلْكَ دَعْوَىٰهُمْ حَتَّىٰ جَعَلْنَٰهُمْ حَصِيدًا خَٰمِدِينَ

ফামা-ঝা-লাত তিলকা দা‘ওয়া-হুম হাত্তা-জা‘আলনা-হুম হাসীদান খা-মিদীন।

তাদের এই আর্তনাদ সব সময় ছিল, শেষ পর্যন্ত আমি তাদেরকে করে দিলাম যেন কর্তিত শস্য ও নির্বাপিত অগ্নি।


16

وَمَا خَلَقْنَا ٱلسَّمَآءَ وَٱلْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا لَٰعِبِينَ

ওয়ামা-খালাকনাছছামাআ ওয়াল আরদা ওয়ামা-বাইনাহুমা-লা-‘ইবীন।

আকাশ পৃথিবী এতদুভয়ের মধ্যে যা আছে, তা আমি ক্রীড়াচ্ছলে সৃষ্টি করিনি।


17

لَوْ أَرَدْنَآ أَن نَّتَّخِذَ لَهْوًا لَّٱتَّخَذْنَٰهُ مِن لَّدُنَّآ إِن كُنَّا فَٰعِلِينَ

লাও আরাদনাআন নাত্তাখিযা লাহওয়াল্লাত্তাখাযনা -হু মিল্লাদুন্না ইন কুন্না-ফা-‘ইলীন ।

আমি যদি ক্রীড়া উপকরণ সৃষ্টি করতে চাইতাম, তবে আমি আমার কাছে যা আছে তা দ্বারাই তা করতাম, যদি আমাকে করতে হত।


18

بَلْ نَقْذِفُ بِٱلْحَقِّ عَلَى ٱلْبَٰطِلِ فَيَدْمَغُهُۥ فَإِذَا هُوَ زَاهِقٌ وَلَكُمُ ٱلْوَيْلُ مِمَّا تَصِفُونَ

বাল নাকযিফুবিলহাক্কি‘আলাল বা-তিলি ফাইয়াদমাগুহূফাইযা-হুওয়া ঝা-হিকুও ওয়ালাকুমুল ওয়াইলুমিম্মা-তাসিফূন।

বরং আমি সত্যকে মিথ্যার উপর নিক্ষেপ করি, অতঃপর সত্য মিথ্যার মস্তক চুর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয়, অতঃপর মিথ্যা তৎক্ষণাৎ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। তোমরা যা বলছ, তার জন্যে তোমাদের দুর্ভোগ।


19

وَلَهُۥ مَن فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ وَمَنْ عِندَهُۥ لَا يَسْتَكْبِرُونَ عَنْ عِبَادَتِهِۦ وَلَا يَسْتَحْسِرُونَ

ওয়া লাহূমান ফিছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি;ওয়ামান ‘ইন্দাহূলা-ইয়াছতাকবিরূনা ‘আন ‘ইবা-দাতিহী ওয়ালা-ইয়াছতাহছিরূন।

নভোমন্ডল ও ভুমন্ডলে যারা আছে, তারা তাঁরই। আর যারা তাঁর সান্নিধ্যে আছে তারা তাঁর ইবাদতে অহংকার করে না এবং অলসতাও করে না।


20

يُسَبِّحُونَ ٱلَّيْلَ وَٱلنَّهَارَ لَا يَفْتُرُونَ

ইউছাব্বিহূ নাল লাইলা ওয়ান নাহা-রা লা-ইয়াফতুরূন।

তারা রাত্রিদিন তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা করে এবং ক্লান্ত হয় না।


21

أَمِ ٱتَّخَذُوٓا۟ ءَالِهَةً مِّنَ ٱلْأَرْضِ هُمْ يُنشِرُونَ

আমিততাখাযূআ-লিহাতাম মিনাল আরদিহুম ইউনশিরূন।

তারা কি মৃত্তিকা দ্বারা তৈরী উপাস্য গ্রহণ করেছে, যে তারা তাদেরকে জীবিত করবে?


22

لَوْ كَانَ فِيهِمَآ ءَالِهَةٌ إِلَّا ٱللَّهُ لَفَسَدَتَا فَسُبْحَٰنَ ٱللَّهِ رَبِّ ٱلْعَرْشِ عَمَّا يَصِفُونَ

লাও কা-না ফীহিমাআ-লিহাতুন ইল্লাল্লা-হু লাফাছাদাতা- ফাছুবহা-নাল্লা-হি রাব্বিল ‘আরশি ‘আম্মা-ইয়াসিফূন।

যদি নভোমন্ডল ও ভুমন্ডলে আল্লাহ ব্যতীত অন্যান্য উপাস্য থাকত, তবে উভয়ের ধ্বংস হয়ে যেত। অতএব তারা যা বলে, তা থেকে আরশের অধিপতি আল্লাহ পবিত্র।


23

لَا يُسْـَٔلُ عَمَّا يَفْعَلُ وَهُمْ يُسْـَٔلُونَ

লা-ইউছআলু‘আম্মা-ইয়াফ‘আলুওয়া হুম ইউছআলূন।

তিনি যা করেন, তৎসম্পর্কে তিনি জিজ্ঞাসিত হবেন না এবং তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হবে।


24

أَمِ ٱتَّخَذُوا۟ مِن دُونِهِۦٓ ءَالِهَةً قُلْ هَاتُوا۟ بُرْهَٰنَكُمْ هَٰذَا ذِكْرُ مَن مَّعِىَ وَذِكْرُ مَن قَبْلِى بَلْ أَكْثَرُهُمْ لَا يَعْلَمُونَ ٱلْحَقَّ فَهُم مُّعْرِضُونَ

আমিত তাখাযূমিন দূ নিহীআ-লিহাতান কুল হা-তূবুরহা-নাকুম হা-যা-যিকরু মাম মা‘ইয়া ওয়া যিকরু মান কাবলী বাল আকছারুহুম লা-ইয়া‘লামূনাল হাক্কা ফাহুম মু‘রিদূ ন।

তারা কি আল্লাহ ব্যতীত অন্যান্য উপাস্য গ্রহণ করেছে? বলুন, তোমরা তোমাদের প্রমাণ আন। এটাই আমার সঙ্গীদের কথা এবং এটাই আমার পুর্ববর্তীদের কথা। বরং তাদের অধিকাংশই সত্য জানে না; অতএব তারা টালবাহানা করে।


25

وَمَآ أَرْسَلْنَا مِن قَبْلِكَ مِن رَّسُولٍ إِلَّا نُوحِىٓ إِلَيْهِ أَنَّهُۥ لَآ إِلَٰهَ إِلَّآ أَنَا۠ فَٱعْبُدُونِ

ওয়ামাআরছালনা-মিন কাবলিকা মির রাছূলিন ইল্লা-নূহীইলাইহি আন্নাহূলাইলা-হা ইল্লাআনা-ফা‘বুদূন।

আপনার পূর্বে আমি যে রাসূলই প্রেরণ করেছি, তাকে এ আদেশই প্রেরণ করেছি যে, আমি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই। সুতরাং আমারই এবাদত কর।


26

وَقَالُوا۟ ٱتَّخَذَ ٱلرَّحْمَٰنُ وَلَدًا سُبْحَٰنَهُۥ بَلْ عِبَادٌ مُّكْرَمُونَ

ওয়া কা-লুততাখাযার রাহমা-নুওয়ালাদান ছুবহা-নাহূ বাল ‘ইবা-দুম মুকরামূন।

তারা বললঃ দয়াময় আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছে। তাঁর জন্য কখনও ইহা যোগ্য নয়; বরং তারা তো তাঁর সম্মানিত বান্দা।


27

لَا يَسْبِقُونَهُۥ بِٱلْقَوْلِ وَهُم بِأَمْرِهِۦ يَعْمَلُونَ

লা-ইয়াছবিকূ নাহূবিলকাওলি ওয়া হুম বিআমরিহী ইয়া‘মালূন।

তারা আগে বেড়ে কথা বলতে পারে না এবং তারা তাঁর আদেশেই কাজ করে।


28

يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يَشْفَعُونَ إِلَّا لِمَنِ ٱرْتَضَىٰ وَهُم مِّنْ خَشْيَتِهِۦ مُشْفِقُونَ

ইয়া‘লামুমা-বাইনা আইদীহিম ওয়ামা-খালফাহুম ওয়ালা-ইয়াশফা‘ঊনা ইল্লালিমানিরতাদা-ওয়া হুম মিন খাশইয়াতিহী মুশফিকূন।

তাদের সম্মুখে ও পশ্চাতে যা আছে, তা তিনি জানেন। তারা শুধু তাদের জন্যে সুপারিশ করে, যাদের প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট এবং তারা তাঁর ভয়ে ভীত।


29

وَمَن يَقُلْ مِنْهُمْ إِنِّىٓ إِلَٰهٌ مِّن دُونِهِۦ فَذَٰلِكَ نَجْزِيهِ جَهَنَّمَ كَذَٰلِكَ نَجْزِى ٱلظَّٰلِمِينَ

ওয়া মাইঁ ইয়াকুল মিনহুম ইন্নীইলা-হুম মিন দূ নিহী ফাযা-লিকা নাজঝীহি জাহান্নামা কাযা-লিকা নাজঝিজ্জা-লিমীন।

তাদের মধ্যে যে বলে যে, তিনি ব্যতীত আমিই উপাস্য, তাকে আমি জাহান্নামের শাস্তি দেব। আমি জালেমদেরকে এভাবেই প্রতিফল দিয়ে থাকি।


30

أَوَلَمْ يَرَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓا۟ أَنَّ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضَ كَانَتَا رَتْقًا فَفَتَقْنَٰهُمَا وَجَعَلْنَا مِنَ ٱلْمَآءِ كُلَّ شَىْءٍ حَىٍّ أَفَلَا يُؤْمِنُونَ

আওয়ালাম ইয়ারাল্লাযীনা কাফারূআন্নছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা কা-নাতা-রাতকান ফাফাতাকনা-হুমা- ওয়া জা‘আলনা-মিনাল মাই কুল্লা শাইয়িন হাইয়ি আফালাইউ’মিনূন।

কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না?


31

وَجَعَلْنَا فِى ٱلْأَرْضِ رَوَٰسِىَ أَن تَمِيدَ بِهِمْ وَجَعَلْنَا فِيهَا فِجَاجًا سُبُلًا لَّعَلَّهُمْ يَهْتَدُونَ

ওয়া জা‘আলনা-ফিল আরদিরাওয়া-ছিয়া আন তামীদা বিহিম ওয়া জা‘আলনা ফীহাফিজাজান ছুবুলাল লা‘আল্লাহুম ইয়াহতাদূ ন।

আমি পৃথিবীতে ভারী বোঝা রেখে দিয়েছি যাতে তাদেরকে নিয়ে পৃথিবী ঝুঁকে না পড়ে এবং তাতে প্রশস্ত পথ রেখেছি, যাতে তারা পথ প্রাপ্ত হয়।


32

وَجَعَلْنَا ٱلسَّمَآءَ سَقْفًا مَّحْفُوظًا وَهُمْ عَنْ ءَايَٰتِهَا مُعْرِضُونَ

ওয়া জা‘আলনাছছামাআ ছাকফাম মাহফূজাওঁ ওয়া হুম ‘আন আ-য়া-তিহা মু‘রিদূ ন।

আমি আকাশকে সুরক্ষিত ছাদ করেছি; অথচ তারা আমার আকাশস্থ নিদর্শনাবলী থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখে।


33

وَهُوَ ٱلَّذِى خَلَقَ ٱلَّيْلَ وَٱلنَّهَارَ وَٱلشَّمْسَ وَٱلْقَمَرَ كُلٌّ فِى فَلَكٍ يَسْبَحُونَ

ওয়াহুয়াল্লাযী খালাকাল লাইলা-ওয়ান্নাহা-রা ওয়াশ শামছা ওয়াল কামারা কুল্লুন ফী ফালাকিইঁ ইয়াছবাহূন।

তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র। সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে।


34

وَمَا جَعَلْنَا لِبَشَرٍ مِّن قَبْلِكَ ٱلْخُلْدَ أَفَإِي۟ن مِّتَّ فَهُمُ ٱلْخَٰلِدُونَ

ওয়ামা-জা‘আলনা-লিবাশারিম মিন কাবলিকাল খুলদা আফাইম মিত্তা ফাহুমুল খা-লিদূ ন।

আপনার পূর্বেও কোন মানুষকে আমি অনন্ত জীবন দান করিনি। সুতরাং আপনার মৃত্যু হলে তারা কি চিরঞ্জীব হবে?


35

كُلُّ نَفْسٍ ذَآئِقَةُ ٱلْمَوْتِ وَنَبْلُوكُم بِٱلشَّرِّ وَٱلْخَيْرِ فِتْنَةً وَإِلَيْنَا تُرْجَعُونَ

কুল্লুনাফছিন যাইকাতুল মাওতি ওয়া নাবলূকুম বিশশাররি ওয়াল খাইরি ফিতনাতাও ওয়া ইলাইনা-তুর জা‘ঊন ।

প্রত্যেককে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে। আমি তোমাদেরকে মন্দ ও ভাল দ্বারা পরীক্ষা করে থাকি এবং আমারই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।


36

وَإِذَا رَءَاكَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓا۟ إِن يَتَّخِذُونَكَ إِلَّا هُزُوًا أَهَٰذَا ٱلَّذِى يَذْكُرُ ءَالِهَتَكُمْ وَهُم بِذِكْرِ ٱلرَّحْمَٰنِ هُمْ كَٰفِرُونَ

ওয়া ইযা-রাআ-কাল্লাযীনা কাফারূইয়ঁইয়াত্তাখিযূনাকা ইল্লা-হুঝুওয়ান আহাযাল্লাযী ইয়াযকুরু আ-লিহাতাকুম ওয়া হুম বিযিকরির রাহমা-নি হুম কা-ফিরূন।

কাফেররা যখন আপনাকে দেখে তখন আপনার সাথে ঠাট্টা করা ছাড়া তাদের আর কোন কাজ থাকে না, একি সেই ব্যক্তি, যে তোমাদের দেব-দেবীদের সমালোচনা করে? এবং তারাই তো রহমান’ এর আলোচনায় অস্বীকার করে।


37

خُلِقَ ٱلْإِنسَٰنُ مِنْ عَجَلٍ سَأُو۟رِيكُمْ ءَايَٰتِى فَلَا تَسْتَعْجِلُونِ

খুলিকাল ইনছা-নুমিন ‘আজালিন ছাঊরীকুম আ-য়া-তী ফালা-তাছতা‘জিলূন

সৃষ্টিগত ভাবে মানুষ ত্বরাপ্রবণ, আমি সত্তরই তোমাদেরকে আমার নিদর্শনাবলী দেখাব। অতএব আমাকে শীঘ্র করতে বলো না।


38

وَيَقُولُونَ مَتَىٰ هَٰذَا ٱلْوَعْدُ إِن كُنتُمْ صَٰدِقِينَ

ওয়া-ইয়াকূ লূনা মাতা-হা-যাল ও‘দুইন কুনতুম সা-দিকীন।

এবং তারা বলেঃ যদি তোমরা সত্যবাদী হও তবে এই ওয়াদা কবে পুর্ণ হবে?


39

لَوْ يَعْلَمُ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ حِينَ لَا يَكُفُّونَ عَن وُجُوهِهِمُ ٱلنَّارَ وَلَا عَن ظُهُورِهِمْ وَلَا هُمْ يُنصَرُونَ

লাও ইয়া‘লামুল্লাযীনা কাফারূহীনা লা-ইয়াকুফফূনা ‘আওঁউজুহিহিমুন্না-রা ওয়ালা-‘আন জু হূরিহিম ওয়ালা-হুম ইউনসারূন।

যদি কাফেররা ঐ সময়টি জানত, যখন তারা তাদের সম্মুখ ও পৃষ্ঠদেশ থেকে অগ্নি প্রতিরোধ করতে পারবে না এবং তারা সাহায্য প্রাপ্ত হবে না।


40

بَلْ تَأْتِيهِم بَغْتَةً فَتَبْهَتُهُمْ فَلَا يَسْتَطِيعُونَ رَدَّهَا وَلَا هُمْ يُنظَرُونَ

বাল তা’তীহিম বাগতাতান ফাতাবহাতুহুম, ফালা-ইয়াছতাতী‘উনা রাদ্দাহা-ওয়া লা-হুম ইউনজারূন।

বরং তা আসবে তাদের উপর অতর্কিত ভাবে, অতঃপর তাদেরকে তা হতবুদ্ধি করে দেবে, তখন তারা তা রোধ করতেও পারবে না এবং তাদেরকে অবকাশও দেয়া হবে না।


41

وَلَقَدِ ٱسْتُهْزِئَ بِرُسُلٍ مِّن قَبْلِكَ فَحَاقَ بِٱلَّذِينَ سَخِرُوا۟ مِنْهُم مَّا كَانُوا۟ بِهِۦ يَسْتَهْزِءُونَ

ওয়ালাকাদিছ তুহঝিআ বিরুছুলিম মিন কাবলিকা ফাহা-কাবিল্লাযীনা ছাখিরূমিনহুম মাকা-নূবিহী ইয়াছতাহঝিউন।

আপনার পূর্বেও অনেক রাসূলের সাথে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা হয়েছে। অতঃপর যে বিষয়ে তারা ঠাট্টা করত তা উল্টো ঠাট্টাকারীদের উপরই আপতিত হয়েছে।


42

قُلْ مَن يَكْلَؤُكُم بِٱلَّيْلِ وَٱلنَّهَارِ مِنَ ٱلرَّحْمَٰنِ بَلْ هُمْ عَن ذِكْرِ رَبِّهِم مُّعْرِضُونَ

কুল মাই ইয়াকলাউকুম বিল লাইলি ওয়ান নাহা-রি মিনার রাহমা-নি বাল হুম ‘আন যিকরি রাব্বিহিম মু‘রিদূন।

বলুনঃ ‘রহমান’ থেকে কে তোমাদেরকে হেফাযত করবে রাত্রে ও দিনে। বরং তারা তাদের পালনকর্তার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখে।


43

أَمْ لَهُمْ ءَالِهَةٌ تَمْنَعُهُم مِّن دُونِنَا لَا يَسْتَطِيعُونَ نَصْرَ أَنفُسِهِمْ وَلَا هُم مِّنَّا يُصْحَبُونَ

আম লাহুম আ-লিহাতুন তামনা‘উহুম মিন দূ নিনা- লা ইয়াছতাতী‘উনা নাছরা আনফুছিহিম ওয়ালা-হুম মিন্না-ইউছহাবূন।

তবে কি আমি ব্যতীত তাদের এমন দেব-দেবী আছে যারা তাদেরকে রক্ষা করবে? তারা তো নিজেদেরই সাহায্য করতে সক্ষম নয় এবং তারা আমার মোকাবেলায় সাহায্যকারীও পাবে না।


44

بَلْ مَتَّعْنَا هَٰٓؤُلَآءِ وَءَابَآءَهُمْ حَتَّىٰ طَالَ عَلَيْهِمُ ٱلْعُمُرُ أَفَلَا يَرَوْنَ أَنَّا نَأْتِى ٱلْأَرْضَ نَنقُصُهَا مِنْ أَطْرَافِهَآ أَفَهُمُ ٱلْغَٰلِبُونَ

বাল মাত্তা‘না-হাউলাই ওয়া আ-বাআহুম হাত্তা-তা-লা ‘আলাইহিমুল ‘উমরু আফালা-ইয়ারাওনা আন্না-না’তিল আরদা নানকুসুহা-মিন আতরা-ফিহা- আফাহুমুল গা-লিবূন।

বরং আমি তাদেরকে এবং তাদের বাপ-দাদাকে ভোগসম্বার দিয়েছিলাম, এমনকি তাদের আয়ুস্কালও দীর্ঘ হয়েছিল। তারা কি দেখে না যে, আমি তাদের দেশকে চতুর্দিক থেকে হ্রাস করে আনছি। এরপরও কি তারা বিজয়ী হবে?


45

قُلْ إِنَّمَآ أُنذِرُكُم بِٱلْوَحْىِ وَلَا يَسْمَعُ ٱلصُّمُّ ٱلدُّعَآءَ إِذَا مَا يُنذَرُونَ

কুল ইন্নামাউনযিরুকুম বিল ওয়াহয়ি ওয়ালা-ইয়াছমা‘উসসুম্মুদ দু‘আআ ইযা-মাইউনযারূন।

বলুনঃ আমি তো কেবল ওহীর মাধ্যমেই তোমাদেরকে সতর্ক করি, কিন্তু বধিরদেরকে যখন সতর্ক করা হয়, তখন তারা সে সতর্কবাণী শোনে না।


46

وَلَئِن مَّسَّتْهُمْ نَفْحَةٌ مِّنْ عَذَابِ رَبِّكَ لَيَقُولُنَّ يَٰوَيْلَنَآ إِنَّا كُنَّا ظَٰلِمِينَ

ওয়ালাইম মাছছাতহুম নাফহাতুমমিন‘আযা-বি রাব্বিকা লাইয়াকূলুন্না ইয়াওয়াইলানাইন্না-কুন্না-জা-লিমীন।

আপনার পালনকর্তার আযাবের কিছুমাত্রও তাদেরকে স্পর্শ করলে তারা বলতে থাকবে, হায় আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা অবশ্যই পাপী ছিলাম।


47

وَنَضَعُ ٱلْمَوَٰزِينَ ٱلْقِسْطَ لِيَوْمِ ٱلْقِيَٰمَةِ فَلَا تُظْلَمُ نَفْسٌ شَيْـًٔا وَإِن كَانَ مِثْقَالَ حَبَّةٍ مِّنْ خَرْدَلٍ أَتَيْنَا بِهَا وَكَفَىٰ بِنَا حَٰسِبِينَ

ওয়া নাদা‘উল মাওয়া-ঝীনাল কিছতা লিইয়াওমিল কিয়া-মাতি ফালা-তুজলামুনাফছুন শাইআ- ওয়া ইন কা-না মিছকা-লা হাব্বাতিম মিন খারদালিন আতাইনা-বিহা- ওয়াকাফা-বিনা-হা-ছিবীন।

আমি কেয়ামতের দিন ন্যায়বিচারের মানদন্ড স্থাপন করব। সুতরাং কারও প্রতি জুলুম হবে না। যদি কোন আমল সরিষার দানা পরিমাণও হয়, আমি তা উপস্থিত করব এবং হিসাব গ্রহণের জন্যে আমিই যথেষ্ট।


48

وَلَقَدْ ءَاتَيْنَا مُوسَىٰ وَهَٰرُونَ ٱلْفُرْقَانَ وَضِيَآءً وَذِكْرًا لِّلْمُتَّقِينَ

ওয়া লাকাদ আ-তাইনা-মূছা-ওয়া হা-রূনাল ফুরকা-না ওয়া দিয়াআওঁ ওয়া যিকরাল লিলমুত্তাকীন।

আমি মূসা ও হারুণকে দান করেছিলাম মীমাংসাকারী গ্রন্থ, আলো ও উপদেশ, আল্লাহ ভীরুদের জন্যে


49

ٱلَّذِينَ يَخْشَوْنَ رَبَّهُم بِٱلْغَيْبِ وَهُم مِّنَ ٱلسَّاعَةِ مُشْفِقُونَ

আল্লাযীনা ইয়াখশাওনা রাব্বাহুম বিলগাইবি ওয়া হুম মিনাছছা-‘আতি মুশফিকূন।

যারা না দেখেই তাদের পালনকর্তাকে ভয় করে এবং কেয়ামতের ভয়ে শঙ্কিত।


50

وَهَٰذَا ذِكْرٌ مُّبَارَكٌ أَنزَلْنَٰهُ أَفَأَنتُمْ لَهُۥ مُنكِرُونَ

ওয়া হা-যা-যিকরুমমুবা-রাকুন আনঝালনা-হু আফাআনতুম লাহূমুনকিরূন।

এবং এটা একটা বরকতময় উপদেশ, যা আমি নাযিল করেছি। অতএব তোমরা কি একে অস্বীকার কর?


51

وَلَقَدْ ءَاتَيْنَآ إِبْرَٰهِيمَ رُشْدَهُۥ مِن قَبْلُ وَكُنَّا بِهِۦ عَٰلِمِينَ

ওয়া লাকাদ আ-তাইনাইবরা-হীমা রুশদাহূমিন কাবলুওয়া কুন্না-বিহী ‘আ-লিমীন।

আর, আমি ইতিপূর্বে ইব্রাহীমকে তার সৎপন্থা দান করেছিলাম এবং আমি তার সম্পর্কে সম্যক পরিজ্ঞাত ও ছিলাম।


52

إِذْ قَالَ لِأَبِيهِ وَقَوْمِهِۦ مَا هَٰذِهِ ٱلتَّمَاثِيلُ ٱلَّتِىٓ أَنتُمْ لَهَا عَٰكِفُونَ

ইযকা-লা লিআবীহি ওয়া কাওমিহী মা-হা-যিহিততামা-ছীলুল্লাতীআনতুম লাহা-‘আকিফূন।

যখন তিনি তাঁর পিতা ও তাঁর সম্প্রদায়কে বললেনঃ এই মূর্তিগুলো কী, যাদের তোমরা পূজারী হয়ে বসে আছ।


53

قَالُوا۟ وَجَدْنَآ ءَابَآءَنَا لَهَا عَٰبِدِينَ

কা-লূওয়াজাদনাআ-বাআনা-লাহা-‘আ-বিদীন।

তারা বললঃ আমরা আমাদের বাপ-দাদাকে এদের পুজা করতে দেখেছি।


54

قَالَ لَقَدْ كُنتُمْ أَنتُمْ وَءَابَآؤُكُمْ فِى ضَلَٰلٍ مُّبِينٍ

কা-লা লাকাদ কুনতুম আনতুম ওয়া আ-বাউকুম ফী দালা-লিম মুবীন।

তিনি বললেনঃ তোমরা প্রকাশ্য গোমরাহীতে আছ এবং তোমাদের বাপ-দাদারাও।


55

قَالُوٓا۟ أَجِئْتَنَا بِٱلْحَقِّ أَمْ أَنتَ مِنَ ٱللَّٰعِبِينَ

কা-লূআজি’তানা-বিলহাক্কিআম আনতা মিনাল্লা-‘ইবীন।

তারা বললঃ তুমি কি আমাদের কাছে সত্যসহ আগমন করেছ, না তুমি কৌতুক করছ?


56

قَالَ بَل رَّبُّكُمْ رَبُّ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ ٱلَّذِى فَطَرَهُنَّ وَأَنَا۠ عَلَىٰ ذَٰلِكُم مِّنَ ٱلشَّٰهِدِينَ

কা-লা বার রাব্বুকুম রাব্বুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিল্লাযী ফাতারাহুন্না ওয়া আনা ‘আলা-যা-লিকুম মিনাশশা-হিদীন।

তিনি বললেনঃ না, তিনিই তোমাদের পালনকর্তা যিনি নভোমন্ডল ও ভুমন্ডলের পালনকর্তা, যিনি এগুলো সৃষ্টি করেছেন; এবং আমি এই বিষয়েরই সাক্ষ্যদাতা।


57

وَتَٱللَّهِ لَأَكِيدَنَّ أَصْنَٰمَكُم بَعْدَ أَن تُوَلُّوا۟ مُدْبِرِينَ

ওয়া তাল্লা-হি লাআকীদান্না আসনা-মাকুম বা‘দা আন তুওয়াললূমুদবিরীন।

আল্লাহর কসম, যখন তোমরা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে চলে যাবে, তখন আমি তোমাদের মূর্তিগুলোর ব্যাপারে একটা ব্যবস্থা অবলম্বন করব।


58

فَجَعَلَهُمْ جُذَٰذًا إِلَّا كَبِيرًا لَّهُمْ لَعَلَّهُمْ إِلَيْهِ يَرْجِعُونَ

ফাজা‘আলাহুম জুযা-যান ইল্লা-কাবীরাল লাহুম লা‘আল্লাহুম ইলাইহি ইয়ারজি‘ঊন।

অতঃপর তিনি সেগুলোকে চূর্ণ-বিচুর্ণ করে দিলেন ওদের প্রধানটি ব্যতীতঃ যাতে তারা তাঁর কাছে প্রত্যাবর্তন করে।


59

قَالُوا۟ مَن فَعَلَ هَٰذَا بِـَٔالِهَتِنَآ إِنَّهُۥ لَمِنَ ٱلظَّٰلِمِينَ

কা-লূমান ফা‘আলা হা-যা বিআ-লিহাতিনাইন্নাহূলামিনাজ্জা-লিমীন।

তারা বললঃ আমাদের উপাস্যদের সাথে এরূপ ব্যবহার কে করল? সে তো নিশ্চয়ই কোন জালিম।


60

قَالُوا۟ سَمِعْنَا فَتًى يَذْكُرُهُمْ يُقَالُ لَهُۥٓ إِبْرَٰهِيمُ

কা-লূছামি‘না ফাতাইঁ ইয়াযকুরুহুম ইউকা-লুলাহূইবরা-হীম।

কতক লোকে বললঃ আমরা এক যুবককে তাদের সম্পর্কে বিরূপ আলোচনা করতে শুনেছি; তাকে ইব্রাহীম বলা হয়।


61

قَالُوا۟ فَأْتُوا۟ بِهِۦ عَلَىٰٓ أَعْيُنِ ٱلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَشْهَدُونَ

কা-লূফা’তূবিহী ‘আলাআ‘ইউনিন্না-ছি লা‘আল্লাহুম ইয়াশহাদূন।

তারা বললঃ তাকে জনসমক্ষে উপস্থিত কর, যাতে তারা দেখে।


62

قَالُوٓا۟ ءَأَنتَ فَعَلْتَ هَٰذَا بِـَٔالِهَتِنَا يَٰٓإِبْرَٰهِيمُ

কা-লূআআনতা ফা‘আলতা হা-যা-বিআ-লিহাতিনা ইয়াইবরা-হীম।

তারা বললঃ হে ইব্রাহীম তুমিই কি আমাদের উপাস্যদের সাথে এরূপ ব্যবহার করেছ?


63

قَالَ بَلْ فَعَلَهُۥ كَبِيرُهُمْ هَٰذَا فَسْـَٔلُوهُمْ إِن كَانُوا۟ يَنطِقُونَ

কা-লা বাল ফা‘আলাহূ কাবীরুহুম হা-যা-ফাছআলূহুম ইন কা-নূইয়ানতিকূন।

তিনি বললেনঃ না এদের এই প্রধানই তো একাজ করেছে। অতএব তাদেরকে জিজ্ঞেস কর, যদি তারা কথা বলতে পারে।


64

فَرَجَعُوٓا۟ إِلَىٰٓ أَنفُسِهِمْ فَقَالُوٓا۟ إِنَّكُمْ أَنتُمُ ٱلظَّٰلِمُونَ

ফারাজা‘উইলাআনফুছিহিম ফাকা-লূইন্নাকুম আনতুমুজ্জা-লিমূন।

অতঃপর মনে মনে চিন্তা করল এবং বললঃ লোক সকল; তোমরাই বে ইনসাফ।


65

ثُمَّ نُكِسُوا۟ عَلَىٰ رُءُوسِهِمْ لَقَدْ عَلِمْتَ مَا هَٰٓؤُلَآءِ يَنطِقُونَ

ছু ম্মা নুকিছূ‘আলা-রুঊছিহিম লাকাদ ‘আলিমতা মা-হাউলাই ইয়ানতিকূন।

অতঃপর তারা ঝুঁকে গেল মস্তক নত করে, তুমি তো জান যে, এরা কথা বলে না


66

قَالَ أَفَتَعْبُدُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ مَا لَا يَنفَعُكُمْ شَيْـًٔا وَلَا يَضُرُّكُمْ

কা-লা আফাতা‘বুদূনা মিন দূনিল্লা-হি মা-লা-ইয়ানফা‘উকুম শাইআওঁ ওয়ালা-ইয়াদু ররুকুম।

তিনি বললেনঃ তোমরা কি আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুর এবাদত কর, যা তোমাদের কোন উপকার ও করতে পারে না এবং ক্ষতিও করতে পারে না ?


67

أُفٍّ لَّكُمْ وَلِمَا تَعْبُدُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ أَفَلَا تَعْقِلُونَ

উফফিল্লাকুম ওয়া লিমা-তা‘বুদূ না মিন দূ নিল্লা-হি আফালা-তা‘কিলূন।

ধিক তোমাদের জন্যে এবং তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাদেরই এবাদত কর, ওদের জন্যে। তোমরা কি বোঝ না?


68

قَالُوا۟ حَرِّقُوهُ وَٱنصُرُوٓا۟ ءَالِهَتَكُمْ إِن كُنتُمْ فَٰعِلِينَ

কা-লূহাররিকূহু ওয়ানসুরূআ-লিহাতাকুম ইন কুনতুম ফা-‘ইলীন।

তারা বললঃ একে পুড়িয়ে দাও এবং তোমাদের উপাস্যদের সাহায্য কর, যদি তোমরা কিছু করতে চাও।


69

قُلْنَا يَٰنَارُ كُونِى بَرْدًا وَسَلَٰمًا عَلَىٰٓ إِبْرَٰهِيمَ

কুলনা-ইয়া-না-রু কূনী বারদাওঁ ওয়া ছালা-মান ‘আলাইবরা-হীম।

আমি বললামঃ হে অগ্নি, তুমি ইব্রাহীমের উপর শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও।


70

وَأَرَادُوا۟ بِهِۦ كَيْدًا فَجَعَلْنَٰهُمُ ٱلْأَخْسَرِينَ

ওয়া আরা-দূবিহী কাইদান ফাজা‘আলনা-হুমুল আখছারীন।

তারা ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে ফন্দি আঁটতে চাইল, অতঃপর আমি তাদেরকেই সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্থ করে দিলাম।


71

وَنَجَّيْنَٰهُ وَلُوطًا إِلَى ٱلْأَرْضِ ٱلَّتِى بَٰرَكْنَا فِيهَا لِلْعَٰلَمِينَ

ওয়া নাজ্জাইনা-হু ওয়া লূতান ইলাল আরদিল্লাতী বা-রাকনা-ফীহা-লিল‘আ-লামীন।

আমি তাঁকে ও লূতকে উদ্ধার করে সেই দেশে পৌঁছিয়ে দিলাম, যেখানে আমি বিশ্বের জন্যে কল্যাণ রেখেছি।


72

وَوَهَبْنَا لَهُۥٓ إِسْحَٰقَ وَيَعْقُوبَ نَافِلَةً وَكُلًّا جَعَلْنَا صَٰلِحِينَ

ওয়া ওয়াহাবনা-লাহূইছহা-কা ওয়া ইয়া‘কূবা নাফিলাতাও ওয়া কুল্লান জা‘আলনা-সা-লিহীন ।

আমি তাকে দান করলাম ইসহাক ও পুরস্কার স্বরূপ দিলাম ইয়াকুব এবং প্রত্যেককেই সৎকর্ম পরায়ণ করলাম।


73

وَجَعَلْنَٰهُمْ أَئِمَّةً يَهْدُونَ بِأَمْرِنَا وَأَوْحَيْنَآ إِلَيْهِمْ فِعْلَ ٱلْخَيْرَٰتِ وَإِقَامَ ٱلصَّلَوٰةِ وَإِيتَآءَ ٱلزَّكَوٰةِ وَكَانُوا۟ لَنَا عَٰبِدِينَ

ওয়া জাআলনা-হুম আইম্মাতাইঁ ইয়াহদূ না বিআমরিনা-ওয়াআওহাইনাইলাইহিম ফি‘লাল খাইরা-তি ওয়া ইকা-মাসসালা-তি ওয়া ঈতাআঝঝাকা-তি ওয়া কা-নূলানা-‘আবিদীন ।

আমি তাঁদেরকে নেতা করলাম। তাঁরা আমার নির্দেশ অনুসারে পথ প্রদর্শন করতেন। আমি তাঁদের প্রতি ওহী নাযিল করলাম সৎকর্ম করার, নামায কায়েম করার এবং যাকাত দান করার। তাঁরা আমার এবাদতে ব্যাপৃত ছিল।


74

وَلُوطًا ءَاتَيْنَٰهُ حُكْمًا وَعِلْمًا وَنَجَّيْنَٰهُ مِنَ ٱلْقَرْيَةِ ٱلَّتِى كَانَت تَّعْمَلُ ٱلْخَبَٰٓئِثَ إِنَّهُمْ كَانُوا۟ قَوْمَ سَوْءٍ فَٰسِقِينَ

ওয়া লূতান আ-তাইনা-হু হুকমাওঁ ওয়া ‘ইল মাওঁ ওয়া নাজ্জাইনা-হু মিনাল কারয়াতিল্লাতী কা-নাত তা‘মালুল খাবাইছা ইন্নাহুম কা-নূকাওমা ছাওইন ফা-ছিকীন।

এবং আমি লূতকে দিয়েছিলাম প্রজ্ঞা ও জ্ঞান এবং তাঁকে ঐ জনপদ থেকে উদ্ধার করেছিলাম, যারা নোংরা কাজে লিপ্ত ছিল। তারা মন্দ ও নাফরমান সম্প্রদায় ছিল।


75

وَأَدْخَلْنَٰهُ فِى رَحْمَتِنَآ إِنَّهُۥ مِنَ ٱلصَّٰلِحِينَ

ওয়া আদখাল না-হু ফী রাহমাতিনা- ইন্নাহূমিনাসসা-লিহীন।

আমি তাকে আমার অনুগ্রহের অন্তর্ভুক্ত করেছিলাম। সে ছিল সৎকর্মশীলদের একজন।


76

وَنُوحًا إِذْ نَادَىٰ مِن قَبْلُ فَٱسْتَجَبْنَا لَهُۥ فَنَجَّيْنَٰهُ وَأَهْلَهُۥ مِنَ ٱلْكَرْبِ ٱلْعَظِيمِ

ওয়া নূহান ইযনা-দা-মিন কাবলুফাছতাজাবনা-লাহূফানাজ্জাইনা-হুওয়াআহলাহূমিনাল কারবিল ‘আজীম।

এবং স্মরণ করুন নূহকে; যখন তিনি এর পূর্বে আহবান করেছিলেন। তখন আমি তাঁর দোয়া কবুল করেছিলাম, অতঃপর তাঁকে ও তাঁর পরিবারবর্গকে মহা সংকট থেকে উদ্ধার করেছিলাম।


77

وَنَصَرْنَٰهُ مِنَ ٱلْقَوْمِ ٱلَّذِينَ كَذَّبُوا۟ بِـَٔايَٰتِنَآ إِنَّهُمْ كَانُوا۟ قَوْمَ سَوْءٍ فَأَغْرَقْنَٰهُمْ أَجْمَعِينَ

ওয়া নাসারনা-হু মিনাল কাওমিল্লাযীনা কাযযাবূবিআ-য়া-তিনা- ইন্নাহুম কা-নূ কাওমা ছাওইন ফাআগরাকনা-হুম আজমা‘ঈন।

এবং আমি তাঁকে ঐ সম্প্রদায়ের বিপক্ষে সাহায্য করেছিলাম, যারা আমার নিদর্শনাবলীকে অস্বীকার করেছিল। নিশ্চয়, তারা ছিল এক মন্দ সম্প্রদায়। অতঃপর আমি তাদের সবাইকে নিমজ্জত করেছিলাম।


78

وَدَاوُۥدَ وَسُلَيْمَٰنَ إِذْ يَحْكُمَانِ فِى ٱلْحَرْثِ إِذْ نَفَشَتْ فِيهِ غَنَمُ ٱلْقَوْمِ وَكُنَّا لِحُكْمِهِمْ شَٰهِدِينَ

ওয়া দাঊদা ওয়া ছুলাইমা-না ইযইয়াহকুমা-নি ফিল হারছি ইযনাফাশাত ফীহি গানামুল কাওমি ওয়াকুন্না-লিহুকমিহিম শা-হিদীন।

এবং স্মরণ করুন দাউদ ও সুলায়মানকে, যখন তাঁরা শস্যক্ষেত্র সম্পর্কে বিচার করেছিলেন। তাতে রাত্রিকালে কিছু লোকের মেষ ঢুকে পড়েছিল। তাদের বিচার আমার সম্মুখে ছিল।


79

فَفَهَّمْنَٰهَا سُلَيْمَٰنَ وَكُلًّا ءَاتَيْنَا حُكْمًا وَعِلْمًا وَسَخَّرْنَا مَعَ دَاوُۥدَ ٱلْجِبَالَ يُسَبِّحْنَ وَٱلطَّيْرَ وَكُنَّا فَٰعِلِينَ

ফাফাহহামনা-হা-ছুলাইমা-না ওয়া কুল্লান আ-তাইনা-হুকমাও ওয়া ‘ইলমাওঁ ওয়া ছাখখারনা-মা‘আ দা-ঊদাল জিবা-লা ইউছাব্বিহনা ওয়াততাইরা ওয়া কুন্না-ফা‘ইলীন ।

অতঃপর আমি সুলায়মানকে সে ফায়সালা বুঝিয়ে দিয়েছিলাম এবং আমি উভয়কে প্রজ্ঞা ও জ্ঞান দিয়েছিলাম। আমি পর্বত ও পক্ষীসমূহকে দাউদের অনুগত করে দিয়েছিলাম; তারা আমার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করত। এই সমস্ত আমিই করেছিলাম।


80

وَعَلَّمْنَٰهُ صَنْعَةَ لَبُوسٍ لَّكُمْ لِتُحْصِنَكُم مِّنۢ بَأْسِكُمْ فَهَلْ أَنتُمْ شَٰكِرُونَ

ওয়া ‘আল্লামনা-হু সান‘আতা লাবূছিল লাকুম লিতুহছিনাকুম মিম বা’ছিকুম ফাহাল আনতুম শা-কিরূন।

আমি তাঁকে তোমাদের জন্যে বর্ম নির্মান শিক্ষা দিয়েছিলাম, যাতে তা যুদ্ধে তোমাদেরকে রক্ষা করে। অতএব তোমরা কি কৃতজ্ঞ হবে?


81

وَلِسُلَيْمَٰنَ ٱلرِّيحَ عَاصِفَةً تَجْرِى بِأَمْرِهِۦٓ إِلَى ٱلْأَرْضِ ٱلَّتِى بَٰرَكْنَا فِيهَا وَكُنَّا بِكُلِّ شَىْءٍ عَٰلِمِينَ

ওয়া লিছুলাইমা-নাররীহা ‘আ-সিফাতান তাজরী বিআমরিহীইলাল আরদিল্লাতী বা-রাকনাফীহা- ওয়াকুন্না-বিকুল্লি শাইয়িন ‘আ-লিমীন।

এবং সুলায়মানের অধীন করে দিয়েছিলাম প্রবল বায়ুকে; তা তাঁর আদেশে প্রবাহিত হত ঐ দেশের দিকে, যেখানে আমি কল্যাণ দান করেছি। আমি সব বিষয়েই সম্যক অবগত রয়েছি।


82

وَمِنَ ٱلشَّيَٰطِينِ مَن يَغُوصُونَ لَهُۥ وَيَعْمَلُونَ عَمَلًا دُونَ ذَٰلِكَ وَكُنَّا لَهُمْ حَٰفِظِينَ

ওয়া মিনাশশাইয়া-তীনি মাইঁ ইয়াগূছূনা লাহূওয়া ইয়া‘মালূনা ‘আমালান দূ না যা-লিকা ওয়া কুন্না-লাহুম হাফিজীন ।

এবং অধীন করেছি শয়তানদের কতককে, যারা তার জন্যে ডুবুরীর কাজ করত এবং এ ছাড়া অন্য আরও অনেক কাজ করত। আমি তাদেরকে নিয়ন্ত্রন করে রাখতাম।


83

وَأَيُّوبَ إِذْ نَادَىٰ رَبَّهُۥٓ أَنِّى مَسَّنِىَ ٱلضُّرُّ وَأَنتَ أَرْحَمُ ٱلرَّٰحِمِينَ

ওয়া আইঁয়ুবা ইযনা-দা-রাব্বাহূআন্নী মাছছানিয়াদদু ররু ওয়া আনতা আরহামুররা-হিমীন ।

এবং স্মরণ করুন আইয়্যুবের কথা, যখন তিনি তাঁর পালনকর্তাকে আহবান করে বলেছিলেনঃ আমি দুঃখকষ্টে পতিত হয়েছি এবং আপনি দয়াবানদের চাইতেও সর্বশ্রেষ্ট দয়াবান।


84

فَٱسْتَجَبْنَا لَهُۥ فَكَشَفْنَا مَا بِهِۦ مِن ضُرٍّ وَءَاتَيْنَٰهُ أَهْلَهُۥ وَمِثْلَهُم مَّعَهُمْ رَحْمَةً مِّنْ عِندِنَا وَذِكْرَىٰ لِلْعَٰبِدِينَ

ফাছতাজাবনা- লাহূফাকাশাফনা-মা-বিহী মিন দু ররিওঁ ওয়া আ-তাইনা-হু আহলাহূওয়া মিছলাহুম মা‘আহুম রাহমাতাম মিন ‘ইনদিনা-ওয়া যিকরা-লিল‘আ-বিদীন।

অতঃপর আমি তাঁর আহবানে সাড়া দিলাম এবং তাঁর দুঃখকষ্ট দূর করে দিলাম এবং তাঁর পরিবরাবর্গ ফিরিয়ে দিলাম, আর তাদের সাথে তাদের সমপরিমাণ আরও দিলাম আমার পক্ষ থেকে কৃপাবশতঃ আর এটা এবাদত কারীদের জন্যে উপদেশ স্বরূপ।


85

وَإِسْمَٰعِيلَ وَإِدْرِيسَ وَذَا ٱلْكِفْلِ كُلٌّ مِّنَ ٱلصَّٰبِرِينَ

ওয়া ইছমা-‘ঈলা ওয়া ইদরীছা ওয়া যাল কিফলি কুল্লুম মিনাসসা-বিরীন।

এবং ইসমাঈল, ই’দ্রীস ও যুলকিফলের কথা স্মরণ করুন, তাঁরা প্রত্যেকেই ছিলেন সবরকারী।


86

وَأَدْخَلْنَٰهُمْ فِى رَحْمَتِنَآ إِنَّهُم مِّنَ ٱلصَّٰلِحِينَ

ওয়া আদখাল না-হুম ফী রাহমাতিনা- ইন্নাহুম মিনাসসা-লিহীন।

আমি তাঁদেরকে আমার রহমাতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভূক্ত করেছিলাম। তাঁরা ছিলেন সৎকর্মপরায়ণ।


87

وَذَا ٱلنُّونِ إِذ ذَّهَبَ مُغَٰضِبًا فَظَنَّ أَن لَّن نَّقْدِرَ عَلَيْهِ فَنَادَىٰ فِى ٱلظُّلُمَٰتِ أَن لَّآ إِلَٰهَ إِلَّآ أَنتَ سُبْحَٰنَكَ إِنِّى كُنتُ مِنَ ٱلظَّٰلِمِينَ

ওয়া যাননূনি ইযযাহাবা মুগা-দিবান ফাজান্না আল্লান নাকদিরা ‘আলাইহি ফানা-দাফিজজু লুমা-তি আল্লাইলা-হা ইল্লাআনতা ছুবহা-নাকা ইন্নী কুনতুমিনাজ্জালিমীন।

এবং মাছওয়ালার কথা স্মরণ করুন তিনি ক্রুদ্ধ হয়ে চলে গিয়েছিলেন, অতঃপর মনে করেছিলেন যে, আমি তাঁকে ধৃত করতে পারব না। অতঃপর তিনি অন্ধকারের মধ্যে আহবান করলেনঃ তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই; তুমি নির্দোষ আমি গুনাহগার।


88

فَٱسْتَجَبْنَا لَهُۥ وَنَجَّيْنَٰهُ مِنَ ٱلْغَمِّ وَكَذَٰلِكَ نُۨجِى ٱلْمُؤْمِنِينَ

ফাছতাজাবনা-লাহূওয়া নাজ্জাইনা-হু মিনাল গাম্মি ওয়া কাযা-লিকা নুনজিল মু’মিনীন।

অতঃপর আমি তাঁর আহবানে সাড়া দিলাম এবং তাঁকে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিলাম। আমি এমনি ভাবে বিশ্ববাসীদেরকে মুক্তি দিয়ে থাকি।


89

وَزَكَرِيَّآ إِذْ نَادَىٰ رَبَّهُۥ رَبِّ لَا تَذَرْنِى فَرْدًا وَأَنتَ خَيْرُ ٱلْوَٰرِثِينَ

ওয়া ঝাকারিইইয়াইযনা-দা-রাব্বাহূরাব্বি লা-তাযারনী ফারদাওঁ ওয়া আনতা খাইরুল ওয়ারিছীন।

এবং যাকারিয়ার কথা স্মরণ করুন, যখন সে তার পালনকর্তাকে আহবান করেছিল; হে আমার পালনকর্তা আমাকে একা রেখো না। তুমি তো উত্তম ওয়ারিস।


90

فَٱسْتَجَبْنَا لَهُۥ وَوَهَبْنَا لَهُۥ يَحْيَىٰ وَأَصْلَحْنَا لَهُۥ زَوْجَهُۥٓ إِنَّهُمْ كَانُوا۟ يُسَٰرِعُونَ فِى ٱلْخَيْرَٰتِ وَيَدْعُونَنَا رَغَبًا وَرَهَبًا وَكَانُوا۟ لَنَا خَٰشِعِينَ

ফছতাজাবনা-লাহূ ওয়া ওয়াহাবনা-লাহূইয়াহইয়া-ওয়া আসলাহনা-লাহূঝাওজাহূ ইন্নাহুম কা-নূইউছা-রি‘ঊনা ফিল খাইরা-তি ওয়া ইয়াদঊনানা-রাগাবাওঁ ওয়া রাহাবাও ওয়া কা-নূলানা-খা-শি‘ঈন।

অতঃপর আমি তার দোয়া কবুল করেছিলাম, তাকে দান করেছিলাম ইয়াহইয়া এবং তার জন্যে তার স্ত্রীকে প্রসব যোগ্য করেছিলাম। তারা সৎকর্মে ঝাঁপিয়ে পড়ত, তারা আশা ও ভীতি সহকারে আমাকে ডাকত এবং তারা ছিল আমার কাছে বিনীত।


91

وَٱلَّتِىٓ أَحْصَنَتْ فَرْجَهَا فَنَفَخْنَا فِيهَا مِن رُّوحِنَا وَجَعَلْنَٰهَا وَٱبْنَهَآ ءَايَةً لِّلْعَٰلَمِينَ

ওয়াল্লাতীআহসানাত ফারজাহা-ফানাফাখনা-ফীহা-মির রূহিনা-ওয়া জা‘আলনা-হাওয়াবনাহাআ-য়াতাল লিল‘আ-লামীন।

এবং সেই নারীর কথা আলোচনা করুন, যে তার কামপ্রবৃত্তিকে বশে রেখেছিল, অতঃপর আমি তার মধ্যে আমার রূহ ফুঁকে দিয়েছিলাম এবং তাকে তার পুত্রকে বিশ্ববাসীর জন্য নিদর্শন করেছিলাম।


92

إِنَّ هَٰذِهِۦٓ أُمَّتُكُمْ أُمَّةً وَٰحِدَةً وَأَنَا۠ رَبُّكُمْ فَٱعْبُدُونِ

ইন্না হা-যিহীউম্মাতুকুম উম্মাতাওঁ ওয়া-হিদাতাওঁ ওয়া আনা রাব্বুকুম ফা‘বুদূ ন।

তারা সকলেই তোমাদের ধর্মের; একই ধর্মে তো বিশ্বাসী সবাই এবং আমিই তোমাদের পালনকর্তা, অতএব আমার বন্দেগী কর।


93

وَتَقَطَّعُوٓا۟ أَمْرَهُم بَيْنَهُمْ كُلٌّ إِلَيْنَا رَٰجِعُونَ

ওয়া তাকাততা‘ঊআমরাহুম বাইনাহুম কুল্লুন ইলাইনা-রা-জি‘উন।

এবং মানুষ তাদের কার্যকলাপ দ্বারা পারস্পরিক বিষয়ে ভেদ সৃষ্টি করেছে। প্রত্যেকেই আমার কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে।


94

فَمَن يَعْمَلْ مِنَ ٱلصَّٰلِحَٰتِ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَلَا كُفْرَانَ لِسَعْيِهِۦ وَإِنَّا لَهُۥ كَٰتِبُونَ

ফামাইঁ ইয়া‘মাল মিনাসসা-লিহা-তি ওয়া হুওয়া মু’মিনুন ফালা কুফরা-না লিছা‘য়িহী ওয়া ইন্না-লাহূকা-তিবূন।

অতঃপর যে বিশ্বাসী অবস্থায় সৎকর্ম সম্পাদন করে, তার প্রচেষ্টা অস্বীকৃত হবে না এবং আমি তা লিপিবদ্ধ করে রাখি।


95

وَحَرَٰمٌ عَلَىٰ قَرْيَةٍ أَهْلَكْنَٰهَآ أَنَّهُمْ لَا يَرْجِعُونَ

ওয়া হারা-মুন ‘আলা-কারইয়াতিন আহলাকনা-হাআন্নাহুম লা-ইয়ারজি‘ঊন।

যেসব জনপদকে আমি ধ্বংস করে দিয়েছি, তার অধিবাসীদের ফিরে না আসা অবধারিত।


96

حَتَّىٰٓ إِذَا فُتِحَتْ يَأْجُوجُ وَمَأْجُوجُ وَهُم مِّن كُلِّ حَدَبٍ يَنسِلُونَ

হাত্তাইযা-ফুতিহাত ইয়া’জুজুওয়ামা’জুজুওয়া হুম মিন কুল্লি হাদাবিইঁ ইয়ানছিলূন।

যে পর্যন্ত না ইয়াজুজ ও মাজুজকে বন্ধন মুক্ত করে দেয়া হবে এবং তারা প্রত্যেক উচ্চভুমি থেকে দ্রুত ছুটে আসবে।


97

وَٱقْتَرَبَ ٱلْوَعْدُ ٱلْحَقُّ فَإِذَا هِىَ شَٰخِصَةٌ أَبْصَٰرُ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ يَٰوَيْلَنَا قَدْ كُنَّا فِى غَفْلَةٍ مِّنْ هَٰذَا بَلْ كُنَّا ظَٰلِمِينَ

ওয়াকতালাবাল ওয়া‘দুল হাক্কুফাইযা-হিয়া শা-খিসাতুন আবসা-রুল্লাযীনা কাফারূ ইয়া-ওয়াইলানা-কাদ কুন্না-ফী গাফলাতিম মিন হা-যা-বাল কুন্না-জা-লিমীন।

আমোঘ প্রতিশ্রুত সময় নিকটবর্তী হলে কাফেরদের চক্ষু উচ্চে স্থির হয়ে যাবে; হায় আমাদের দূর্ভাগ্য, আমরা এ বিষয়ে বেখবর ছিলাম; বরং আমরা গোনাহগরই ছিলাম।


98

إِنَّكُمْ وَمَا تَعْبُدُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ حَصَبُ جَهَنَّمَ أَنتُمْ لَهَا وَٰرِدُونَ

ইন্নাকুম ওয়ামা-তা‘বুদূ না মিন দূ নিল্লা-হি হাসাবুজাহান্নামা আনতুম লাহা-ওয়া-রিদূ ন।

তোমরা এবং আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যাদের পুজা কর, সেগুলো দোযখের ইন্ধন। তোমরাই তাতে প্রবেশ করবে।


99

لَوْ كَانَ هَٰٓؤُلَآءِ ءَالِهَةً مَّا وَرَدُوهَا وَكُلٌّ فِيهَا خَٰلِدُونَ

লাও কা-না হাঊলাই আ-লিহাতামমা-ওয়ারাদূ হা- ওয়া কুল্লুন ফীহা-খা-লিদূ ন।

এই মূর্তিরা যদি উপাস্য হত, তবে জাহান্নামে প্রবেশ করত না। প্রত্যেকেই তাতে চিরস্থায়ী হয়ে পড়ে থাকবে।


100

لَهُمْ فِيهَا زَفِيرٌ وَهُمْ فِيهَا لَا يَسْمَعُونَ

লাহুম ফীহা-ঝাফীরুওঁ ওয়াহুম ফীহা-লা-ইয়াছমা‘ঊন।

তারা সেখানে চীৎকার করবে এবং সেখানে তারা কিছুই শুনতে পাবে না।


101

إِنَّ ٱلَّذِينَ سَبَقَتْ لَهُم مِّنَّا ٱلْحُسْنَىٰٓ أُو۟لَٰٓئِكَ عَنْهَا مُبْعَدُونَ

ইন্নাল্লাযীনা ছাবাকাত লাহুম মিন্নাল হুছনা উলাইকা ‘আনহা-মুব‘আদূ ন।

যাদের জন্য প্রথম থেকেই আমার পক্ষ থেকে কল্যাণ নির্ধারিত হয়েছে তারা দোযখ থেকে দূরে থাকবে।


102

لَا يَسْمَعُونَ حَسِيسَهَا وَهُمْ فِى مَا ٱشْتَهَتْ أَنفُسُهُمْ خَٰلِدُونَ

লা-ইয়াছমা‘ঊনা হাছীছাহা- ওয়া হুম ফী মাশতাহাত আনফুছুহুম খা-লিদূ ন।

তারা তার ক্ষীণতম শব্দও শুনবে না এবং তারা তাদের মনের বাসনা অনুযায়ী চিরকাল বসবাস করবে।


103

لَا يَحْزُنُهُمُ ٱلْفَزَعُ ٱلْأَكْبَرُ وَتَتَلَقَّىٰهُمُ ٱلْمَلَٰٓئِكَةُ هَٰذَا يَوْمُكُمُ ٱلَّذِى كُنتُمْ تُوعَدُونَ

লা-ইয়াহঝুনুহুমুল ফাঝা‘উল আকবারু ওয়া তাতালাক্কা-হুমুল মালাইকাতু হা-যাইয়াওমুকুমুল্লাযী কুনতুম তূ‘আদূ ন।

মহা ত্রাস তাদেরকে চিন্তান্বিত করবে না এবং ফেরেশতারা তাদেরকে অভ্যর্থনা করবেঃ আজ তোমাদের দিন, যে দিনের ওয়াদা তোমাদেরকে দেয়া হয়েছিল।


104

يَوْمَ نَطْوِى ٱلسَّمَآءَ كَطَىِّ ٱلسِّجِلِّ لِلْكُتُبِ كَمَا بَدَأْنَآ أَوَّلَ خَلْقٍ نُّعِيدُهُۥ وَعْدًا عَلَيْنَآ إِنَّا كُنَّا فَٰعِلِينَ

ইয়াওমা নাতবিছছামাআ কাতাইয়িছছিজিলিল লিলকুতুবি কামা-বাদা’নাআওয়ালা খালকিন নু‘ঈদুহূ ওয়া‘দান ‘আলাইনা- ইন্না-কুন্না-ফা-‘ইলীন ।

সেদিন আমি আকাশকে গুটিয়ে নেব, যেমন গুটানো হয় লিখিত কাগজপত্র। যেভাবে আমি প্রথমবার সৃষ্টি করেছিলাম, সেভাবে পুনরায় সৃষ্টি করব। আমার ওয়াদা নিশ্চিত, আমাকে তা পূর্ণ করতেই হবে।


105

وَلَقَدْ كَتَبْنَا فِى ٱلزَّبُورِ مِنۢ بَعْدِ ٱلذِّكْرِ أَنَّ ٱلْأَرْضَ يَرِثُهَا عِبَادِىَ ٱلصَّٰلِحُونَ

ওয়া লাকাদ কাতাবনা-ফিঝঝাবূরি মিম বা‘দিযযিকরি আন্নাল আরদা ইয়ারিছু হা-ইবা দিয়াসসা-লিহূন।

আমি উপদেশের পর যবুরে লিখে দিয়েছি যে, আমার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাগণ অবশেষে পৃথিবীর অধিকারী হবে।


106

إِنَّ فِى هَٰذَا لَبَلَٰغًا لِّقَوْمٍ عَٰبِدِينَ

ইন্না ফী হা-যা-লাবালা-গাল লিকাওমিন ‘আ-বিদীন।

এতে এবাদতকারী সম্প্রদায়ের জন্যে পর্যাপ্ত বিষয়বস্তু আছে।


107

وَمَآ أَرْسَلْنَٰكَ إِلَّا رَحْمَةً لِّلْعَٰلَمِينَ

ওয়ামাআরছালনা-কা ইল্লা-রাহমাতাল লিল‘আ-লামীন।

আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্যে রহমত স্বরূপই প্রেরণ করেছি।


108

قُلْ إِنَّمَا يُوحَىٰٓ إِلَىَّ أَنَّمَآ إِلَٰهُكُمْ إِلَٰهٌ وَٰحِدٌ فَهَلْ أَنتُم مُّسْلِمُونَ

কুল ইন্নামা-ইঊহাইলাইয়া আন্নামাইলা-হুকুম ইলা-হুওঁ ওয়াহিদুন ফাহাল আনতুম মুছলিমূন।

বলুনঃ আমাকে তো এ আদেশই দেয়া হয়েছে যে, তোমাদের উপাস্য একমাত্র উপাস্য। সুতরাংতোমরা কি আজ্ঞাবহ হবে?


109

فَإِن تَوَلَّوْا۟ فَقُلْ ءَاذَنتُكُمْ عَلَىٰ سَوَآءٍ وَإِنْ أَدْرِىٓ أَقَرِيبٌ أَم بَعِيدٌ مَّا تُوعَدُونَ

ফাইন তাওয়াল্লাও ফাকুল আ-যানতুকুম ‘আলা-ছাওয়াইও ওয়া ইন আদরীআকারীবুন আম বা‘ঈদুম মা-তূ‘আদূ ন।

অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বলে দিনঃ আমি তোমাদেরকে পরিস্কার ভাবে সতর্ক করেছি এবং আমি জানি না, তোমাদেরকে যে ওয়াদা দেয়া হয়েছে, তা নিকটবর্তী না দূরবর্তী।


110

إِنَّهُۥ يَعْلَمُ ٱلْجَهْرَ مِنَ ٱلْقَوْلِ وَيَعْلَمُ مَا تَكْتُمُونَ

ইন্নাহূইয়া‘লামুল জাহরা মিনাল কাওলি ওয়া ইয়া‘লামুমা-তাকতুমূন।

তিনি জানেন, যে কথা সশব্দে বল এবং যে কথা তোমরা গোপন কর।


111

وَإِنْ أَدْرِى لَعَلَّهُۥ فِتْنَةٌ لَّكُمْ وَمَتَٰعٌ إِلَىٰ حِينٍ

ওয়া ইন আদরী লা‘আল্লাহূফিতনাতুল লাকুম ওয়া মাতা-‘উন ইলা-হীন।

আমি জানি না সম্ভবতঃ বিলম্বের মধ্যে তোমাদের জন্যে একটি পরীক্ষা এবং এক সময় পর্যন্ত ভোগ করার সুযোগ।


112

قَٰلَ رَبِّ ٱحْكُم بِٱلْحَقِّ وَرَبُّنَا ٱلرَّحْمَٰنُ ٱلْمُسْتَعَانُ عَلَىٰ مَا تَصِفُونَ

কা-লা রাব্বিহকুম বিলহাক্কি ওয়া রাব্বুনার রাহমা-নুল মুছতা‘আ-নু‘আলা-মাতাসিফূন।

পয়গাম্বর বললেনঃ হে আমার পালনকর্তা, আপনি ন্যায়ানুগ ফয়সালা করে দিন। আমাদের পালনকর্তা তো দয়াময়, তোমরা যা বলছ, সে বিষয়ে আমরা তাঁর কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি।


--------

Tags: bangla tafsir surah ambiya, surah al-anbiya, surah anbiya bangla translation, quran, tafsir surah al-anbiya, surah anbiya bangla, surah anbiya ayat 83 bangla, surah al anbiya bangla, sura al-anbiya, surah al anbiya, surah al-anbiya tafseer, tafseer of surah al-anbiya, sura al-anbiya tafseer,  সূরা আম্বিয়া বাংলা, সূরা আম্বিয়া বাংলা অনুবাদ, সূরা আম্বিয়া বাংলা উচ্চারণ, সূরা আল আম্বিয়া বাংলা উচ্চারণ, সূরা আল-আম্বিয়া বাংলা অর্থ সহ, সূরা আম্বিয়া বাংলা অর্থ, সূরা আম্বিয়া বাংলা অনুবাদ সহ, সূরা আল আম্বিয়া, সূরা আম্বিয়া ৮৭