বিসমিল্লাহ-এর তাৎপর্য ও ফযীলত - Bismillah Fazilat Bangla

বিসমিল্লাহ-এর তাৎপর্য ও ফযীলত 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, এটা এমন একটি বাক্য যা প্রত্যেক কাজের শুরুতে পড়তে নির্দেশ করা হয়েছে।

এই আয়াতেকে আল-কুরআনের তাজ বলা হয়। যা আল্লাহ তাআলার রহমান ও রহিম নামক দয়াসূচক নাম দুইটি বিশ্ব মানবের সম্মুখে সর্বপ্রথম উপস্থাপিত হয়েছে। এটি কালামে পাকের শ্রেষ্ঠ আয়াত যে কাজ বিসমিল্লাহির ব্যতীত আরম্ভ করা হয় তাতে কোন বরকত থাকে না (আবু দাউদ)

তবে এটা কোন মন্ত্রতন্ত্র নয় বরং এই বাক্য দ্বারা সৃষ্টিকর্তার বড়ত্ব, মহত্ব বান্দার প্রতি অনুগ্রহ এবং আল্লাহ কর্তৃক বান্দাকে সবসময় তিলেতিলে লালন পালন করার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়ে থাকে। বান্দার চেষ্টা মেহনত নামে মাত্র। ইমাম নববী হাদীসটিকে হাসান ও সুয়ুতি সহীহ বলেছেন।

সাহাৰী ইবনে মাসউদ ইরশাদ করেন যে ব্যক্তি বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পাঠ করবে আল্লাহ তাআলা জাহান্নামের ১৯ জন প্রহরীর হাত থেকে তাকে মুক্তি দান করবেন।

অর্থাৎ সে জাহান্নামে যাবে না) বিসমিল্লাহি রাহমানের রাহিম কালিমাতে যেহেতু ১৯টি হরফ রয়েছে তাই প্রতিটি হরফ এক একজন প্রহরীর হাত থেকে রক্ষাকারীহয়ে যাবে। (তাফসিরে কুরতুবী) 

অনেক তত্ত্বজ্ঞানীরা বলেন পুরো বিসমিল্লাহর মধ্যে চারটি শব্দ রয়েছে মানুষ চার প্রকারের গোনাহ করে থাকে। ১. প্রকাশ্যে ২. গোপনে ৩. রাতে ৪. দিনে 

প্রতিটি শব্দ যেন এক একটি গোনাহের কাফফারা। (খুতুবাতে জুলফিকার) 

কঠিন বিপদের মুহূর্তে বিসমিল্লাহের আমল দ্বারা মসিবত দূর হয়ে যায়। নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন যখন কোন কঠিন বিপদে পড়বে তখন পাঠ করবে-

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম লা-হাওলা ওলা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজীম।

তাহলে আল্লাহর এর উসিলায় অনেক কঠিন বিপদাপদ থেকে রক্ষা করবেন।

অন্য হাদীসে বর্ণিত হয়েছে টয়লেটে প্রবেশের সময় বিসমিল্লাহ পড়লে দুষ্ট জিনদের চোখে পর্দা পড়ে যায়, তখন তারা বনী আদমের সতর দেখতে পারেনা ও কোন ক্ষতি করতে সক্ষম হয় না।

(তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ) 

ওযুর শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়া সুন্নাত। শুধু তাই নয়, বিসমিল্লাহ পড়ে ওজু করলে, সমস্ত গোনাহ মুক্ত হয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে যায়। আবু রাইরা থেকে বর্ণিত নবীজি (স.) এরশাদ করেন যে ব্যক্তি বিসমিল্লাহ বলে ওযু শুরু করে তার সমস্ত দেহ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে যায়। (অর্থাৎ শরীরের প্রত্যেক অঙ্গের গোনাহ দূর হয়ে যায়)। আর যে ব্যক্তি বিসমিল্লাহ ছাড়া ওযু করে তার শুধু ওযুর অঙ্গগুলো পবিত্র হবে। (সুনানে বায়হাকী, সুনানে দারাকুতনী) কখনও ভেবে দেখেছি, পানি পান করার পর শরীরে  যথাযথ কাজ করে উচ্ছিষ্ট হয়ে মলমুত্র আকারে বের হয়ে যায়। কিন্তু আল্লাহর দয়া না পেলে  জীবনের সমস্ত গচ্ছিত সম্পদ ব্যয় করেও কারো পক্ষে কি তা কখনো সম্ভব হতো? তাই প্রত্যেক কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়ার নির্দেশ দিয়ে বোঝানো হয়েছে, এটা আল্লাহর অপার অনুগ্রহ ও দয়া। তিনি সহজ করে দিয়েছেন অন্যথায় এটা সহজ সাধ্য নয়। 

পবিত্র হাদিসে বর্ণিত হয়েছে-

কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম দ্বারা আরম্ভ করা না হলে তা অসম্পূর্ণ থাকে (আল্ আজকার ১ : ২৪২)

কাজেই একজন মুমিন বান্দা সব কাজে বিসমিল্লাহর জিকিরের মাধ্যমে নিজের অক্ষমতার স্বীকারোক্তি দ্বারা মহান রাব্বুল আলামীনের দায়ার উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকে।







----------------

Tags: Meaning and Virtue of Bismillah,

বিসমিল্লাহর গুরুত্ব ও ফজিলত ফযিলত, বিসমিল্লাহর ফযিলত ও আশ্চর্য রহস্য, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ফজিলত, বিসমিল্লাহ এর ফজিলত, বিছমিল্লাহ এর ফযিলত, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম তাফসির, ফজিলত, দোয়া ও ফজিলত, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম জানা-অজানা অর্থ, সূরা ফাহিতার ফযিলত, বাড়ি থেকে বের হওয়ার দোয়া ও ফজিলত, 

bismillah ki fazilat, bismillah, bismillah ka wazifa, bismillah ki barkat, bismillah fazilat, fazilat of bismillah, bismillah sharif ki fazilat, bismillah ki fazilat kya hai, bismillah ki fazilat or ahmiyat, bismillah ka amal, bismillah ar fazilat, bismillah ka wazifa for hajat, bismillah ki fazilat in urdu, bismillah ki fazilat ka bayan, bismillah ki barkat aur fazilat, bismillah ki fazilat aur barkat, bismillah fojilot, bismillah ki fazilat aur ahmiyat