Namaj Shikkha Bangla-নামায আদায়ের পদ্ধতি

Namaj Shikkha Bangla-


নামায আদায়ের পদ্ধতি 


নামাযের বিবরণ 


আমরা মুসলমানরা সাধারণতঃ নামায পড়ে থাকি। কোরআন পাকের প্রত্যেকটি - সূরা অবতীর্ণ হওয়ার পিছনে যেমন “শানে নজুল” রয়েছে, তেমনি প্রত্যেকটি

ইবাদতের পিছনেও ইতিহাস রয়েছে। কালেমা, রোজা, হজ্জ ও যাকাতের পিছনে  যেমন ইতিহাস রয়েছে, নামাযেরও তেমনি ইতিহাস রয়েছে।  আমরা জানি আমাদের উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করা হয়েছে। আসলে নামায পাঁচ ওয়াক্ত নয়, বেতেরের নামায সহ ছয় ওয়াক্ত। কোন মুসলমান ইন্তেকাল করলে তার ফজর, জোহর, আসর, মাগরিব, এশা এবং বেতের নামাযসহ ছয় ওয়াজ নিয়ে ক্বাজা নামাযের কাফফারা হিসাব করা হয়।


নামায আদায়ের পদ্ধতি 

আযানের পর পরই নামায পড়তে হবে। প্রথমে অযু করে জায়নামাযে দাঁড়িয়ে  জায়নামাযের দোয়া পড়তে হবে। এরপর নামাযের নিয়ত করতে হবে। এই নিয়তের পর তাকবীরে তাহরীমা বলে পুরুষ কানের লতি পর্যন্ত আর মেয়েলোক কাঁধ পর্যন্ত উঠায়ে পুরুষের নাভির নীচে আর মেয়েলোকের বুকের উপর দুহাত বাঁধতে হবে। এই সময় ডান হাত বাম হাতের কব্জির উপর এবং ডান হাতের বৃদ্ধা ও কনিষ্ঠাঙ্গুল দিয়ে বাম হাতের কব্জি ধরতে হবে। তারপর সানা পড়িতে হইবে। এই সানার পরে আউযু বিল্লাহ বিসমিল্লাহ পড়ে সূরা ফাতিহা এর সাথে অন্য সূরা মিলায়ে পড়ে- এরপর রুকুতে যেতে হবে। রুকুর তাসবীহ পড়ে দাঁড়ায়ে এরপর সেজদায় যেয়ে সেজদার তাসবীহ পড়তে হবে। ঠিক এভাবে দুরাকাত পড়ার পর বসতে হবে। এবং তাশাহহুদ ও দোয়া মাসূরা পড়ে সালাম ফিরাতে হবে।


জায়নামাযে দাড়িয়ে পড়ার দোয়া

উচ্চারণ : ইন্নি ওয়াজ্জাহাতু ওজিহিয়া লিল্লাযী ফাতাহারাচ্ছামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানিফাঁও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন। 

অনুবাদ: নিশ্চই আমি তাঁহার দিকে মুখ ফিরাইলাম, যিনি আসমান জমিন সৃষ্টি করিয়াছেন। আমি মুশরিকদিগের দলভুক্ত নহি।


তাকবীরে তাহরীমা

এই তাকবীরের মাধ্যমেই নামায শুরু করা হয়।

আল্লাহু আকবার । 

অর্থ: আল্লাহ মহান।


ছানা 

উচ্চারণ: সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকা সমুকা তাআলা জাদ্দুকা ওয়ালা-ইলাহা গাইরুকা (আল্লাহু আকবার)।

অর্থঃ হে আল্লাহ! প্রশংসা সহকারে তোমার পবিত্রতা প্রকাশ করছি। তোমার নাম খুবই মহিমান্বিত এবং তোমার মাহাত্ম্য খুবই উচ্চ; আর তুমি ব্যতীত অন্য কোন মাবুদ বা উপাস্যকারী নাই। 


সানা পড়া শেষ হলে তাআউজ পড়বে


তায়াউজ বা আউযুবিল্লাহ 

উচ্চারণঃ আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বনির রাজীম। 

অর্থঃ আমি আল্লাহ তাআলার নিকট বিতাড়িত শয়তান হতে আশ্রয় চাচ্ছি।


তাসমিয়া

উচ্চারণ: বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। 

অর্থ: পরম দয়ালু ও কৃপাময় আল্লাহর নামে আরম্ভ করিতেছি।


রুকুর তাসবীহ

উচ্চারণ: সুবাহানা রাব্বিয়াল আযীম। 

অর্থ : আমার মহান প্রভু পবিত্র।


রুকু হইতে দণ্ডায়মান হবার তাসবীহ

উচ্চারণঃ সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ।

অনুবাদ : আল্লাহ তায়ালার প্রশংসাকারীর প্রশংসা আল্লাহ শ্রবণ করেন। (ইমাম বলিবেন ।) 

মুক্তাদিগণ বলবেন-

উচ্চারণ: রাববানা লাকাল হাম্দ। 

অর্থঃ হে প্রভু! তোমারই জন্য সকল প্রশংসা।


সিজদাহর তাসবীহ

উচ্চারণ: সুবাহানা রাব্বিয়াল আ’লা।

অর্থ : আমার সর্বশ্রেষ্ঠ প্রভু (আল্লাহ) পবিত্র।


তাশাহুদ (আত্তাহিয়্যাতু)

উচ্চারণ: আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস সালাওয়াতু ওয়াত্তায়্যোবাতু আস্সালামু  আলাইকা আইয়্যূহান নাবিয়্যূ ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু আস্সালামু  আলাইনা  ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস সলিহীন । আশহাদু আল্ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু।


দরূদ শরীফ

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা আলা ইবরাহিমা ওয়া আলা আলি ইবরাহিম ইন্নাকা হামিদুম মাজীদ আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা বারাকাতা আলা ইবরাহিমা ওয়া আলা আলি ইবরাহিমা ইন্নাকা হামিদুম মাজীদ।


দোআয়ে মাছুরা

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নী জালামতু নাফসী জুলমান কাছীরাও ওয়া লা ইয়াগফিরুয, যুনুবা ইল্লা আনতা ফাগফিরলী মাগফিরাতীম মিন ইনদিকা ওয়ার হামনী ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রাহীম।


সালাম 

উচ্চারণ: আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।


মুনাজাত

উচ্চারণঃ রাব্বানা-আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাওঁ ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাওঁ ওয়া কিনা আযাবান্নারি । ওয়া ছাল্লাল্লাহু তাআলা আলা খাইরি খালকিহী মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আলা আলিহি ওয়া আসহাবিহী আজমাঈন বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমান।

আল্লাহুম্মা ইয়্যাকা নাবুদু ওয়া লাকা নুসাল্লী ওয়া নাস্জুদু ওয়া ইলাইকা নাসতা -ওয়া নাহফিদু ওয়া নারজু রাহমাতাকা ওয়া নাখশা- আযাবাকা, বিল কুফ্ফারি মুলহিক্ব।


অর্থ: হে আল্লাহ! আমরা নিশ্চয়ই তোমার সাহায্য চাই। তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। তোমার প্রতি ঈমান রাখছি। তোমার উপর ভরসা করছি এবং তোমার উপর প্রশংসা করছি। তোমার কৃতজ্ঞতা আমরা স্বীকার করছি এবং তোমার নাফরমানি করব না। আমরা তাদের হাত থেকে দূরে থাকি এবং তাদেরকে পরিত্যাগ করি তোমার অবাধ্য যাহারা।

হে আল্লাহ! আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি, তোমার সন্তুষ্টির জন্যই নামায পড়ি এবং তোমাকেই সেজদা করি। আমরা তোমারই দিকে এগিয়ে আসছি । আমরা তোমার অনুগ্রহ, তোমার দয়ার দিকে ভরসা কামনা করছি এবং তোমার আযাবকে খুবই ভয় করি। নিশ্চয়ই তোমার সেই আযাব কাফেরগণ প্রাপ্য।


দৈনিক নামাযের তাসবীহ

হাদীস শরীফে আছে, প্রত্যেক নামাযের পর (সুবহানাল্লাহ) ৩৩ বার,  (আলহামদু লিল্লাহ) ৩৩ বার,  (আল্লাহু আকবার) ৩৪ বার পড়ে নিজের দোয়াটি একবার পড়লে সমুদ্রের ফেনাপুঞ্জের সম-পরিমাণ পাপ হলেও সমস্ত পাপই আল্লাহ ক্ষমা করবেন।


উচ্চারণ: লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু, লা-শারীকালাহু লাহুল্ মুলকু ওয়া লাহুল্  হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর।






---------

tags:

নামায আদায়ের পদ্ধতি,  সহীহ শুদ্ধ ভাবে নামায আদায়ের সহিহ পদ্ধতি।, বিগত ২০বছরের ক্বাযা নামায আদায়ের পদ্ধতি কি?, নামাজ শিক্ষা, নামায, নামাজ, মহিলাদের নামাজ পদ্ধতি, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সালাত আদায়ের পদ্ধতি, শিখে নিন নামায পড়ার সহীহ পদ্ধতি, মেয়েদের নামাজের পদ্ধতি, নামাজ আদায় করার নিয়ম, 

namaz, namaj, namaj porar sothik niyom, ruls of namaj, namaj sikkha, juhorer namajer niom, namaj shikkha, johar ki namaj, kivabe namaj porte hoy