Wednesday Amol Bangla-বুধবার দিন ও রাতের ইবাদত

Wednesday Amol Bangla-


বুধবার দিন ও রাতের ইবাদত


বুধবার দিনের ইবাদত

হযরত মাআয ইবনে জাবাল (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, মহানবী (সাঃ) ইরশাদ করেছেন—বুধবার সূর্য উদয় হবার পর কোন লোক যদি বারো রাকআত নামায এই নিয়মে আদায় করে যে, প্রত্যেক রাকআতে সূরা ফাতিহার পর আয়াতুল কুরসী একবার, সূরা ইখলাস তিনবার, সূরা ফালাক তিনবার এবং সূরা নাস তিনবার পাঠ করে, তাহলে আল্লাহর আরশের পার্শ্ব হতে জনৈক, ফেরেশতা ডেকে বলবে-হে নামাযী! দয়াময় আল্লাহ পাক তোমার পূর্ববর্তী সমুদয় গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন। আর কবরের আযাব ও সংকীর্ণতা এবং কেয়ামতের ভয়াবহ আযাব হতেও পরিত্রাণ পাবার যোগ্য হয়েছ। সুতরাং এখন থেকে পূর্ণ উদ্যমে নেক কাজ কর এবং চিরতরে পাপ কাজ বর্জন কর। তখন সেদিন থেকে তার নেক আমলগুলো নবীগণের নেক আমলের মতো সযত্নে লিখিত হতে থাকে ও মর্তবা বৃদ্ধি পেতে থাকে।



বুধবার রাতের ইবাদত

হাদীস শরীফে আছে, হুযুর পাক (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, বুধবার রাতে যদি কোন ব্যক্তি দুই রাকআত নামায এভাবে আদায় করে, প্রথম রাকআতে সূরা ফাতিহার পর সূরা ফালাক দশবার, দ্বিতীয় রাকআতে সূরা ফাতিহার পর সূরা নাস দশবার পাঠ করে, তবে আসমান হতে সত্তর হাজার ফেরেশতা পৃথিবীতে আগমন করে রোজ কিয়ামত পর্যন্ত তার জন্য নেকী লেখতে থাকে।


-------------

আরো পড়ুন..


শনিবার দিন ও রাতের ইবাদত


শনিবার দিনের ইবাদত

হাদীস শরীফে আঁ হযরত (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, “যদি কোন ব্যক্তি শনিবার দিনে এই নিয়মে চারি রাকআত নামায আদায় করে যে, প্রত্যেক রাকআতে সূরা ফাতিহার পর তিনবার করে সূরা কুলহু আল্লাহু আহাদ পাঠ করে তাহলে করুণাময় আল্লাহ পাক তার আমলনামায় প্রতিটি শব্দের বিনিময়ে এক হজ্জ্ব ও এক ওমরার সওয়াব দান করবেন। তাছাড়া প্রত্যেক শব্দের বিনিময়ে এক বছরের নফল রোজা ও রাত্রের ইবাদত-বন্দেগীর সওয়াব লাভ করবে।” আর নিয়মিত এই নামায আদায়কারী হাশরের মাঠে হাজার পয়গাম্বর ও হাজার শহীদের সঙ্গে আল্লাহ্ পাকের আরশের ছায়ায় স্থান লাভ করবে।


শনিবার রাতের ইবাদত

হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে যে, বিশ্বনবী (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি শনিবার রাতে মাগরিবের নামায ও ইশার নামাযের মধ্যবর্তী সময়ে দুই রাকআত নামায আদায় করে, তার জন্য দয়াময় আল্লাহ পাক জান্নাতের মধ্যে একটি মনোহর বালাখানা তৈরি করিয়ে দেবেন । ইহুদি ধর্মের প্রতি তার আসক্তি থাকবে না এবং সে আল্লাহর নিকট ক্ষমা পাবার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।



সোমবার দিনের ইবাদত

হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, হযরত (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, যদি কোন ব্যক্তি সোমবার দিন সূর্য উদিত হবার পর দুই রাকআত নামায এভাবে আদায় করে যে, প্রত্যেক রাকআতে সূরা ফাতিহার পর আয়াতুল কুরসী একবার, সূরা নাস একবার ও সূরা ফালাক একবার পাঠ করে আর নামায আদায়ের পর দশবার আস্তাগফিরুল্লাহ ও দশবার দরূদ শরীফ পাঠ করে, তাহলে দয়াময় আল্লাহ পাক তার সারা জীবনের শুনাহ মাফ করে দেবেন।


হাদীস শরীফে আরো বর্ণিত আছে, রাসূলে পাক (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, যদি কোন ব্যক্তি সোমবার দিনে এভাবে বারো রাকআত নামায আদায় করে যে, চার রাকআতের প্রত্যেক রাকআতে সূরা ফাতিহার পর বারো মর্তবা সূরা ইখলাস এবং বারো  মর্তবা আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠ করবে । রোজ কিয়ামতে দয়াময় আল্লাহ পাক তাকে ডেকে বলবেন, হে অমুকের ছেলে অমুক! তুমি কোথায়? তুমি আমার দরবারে হাজির হয়ে তোমার নেক আমল গ্রহণ কর। সে ব্যক্তি উপস্থিত হলে তাকে এক হাজার বেহেশতী লেবাছ ও মর্যাদাপূর্ণ উজ্জ্বল তাজ পরানো হবে, তারপর তাকে বেহেশতের সম্মুখে উপস্থিত করা হবে এবং বলা হবে—তুমি বেহেশতে প্রবেশ কর। তার আশপাশে এক লক্ষ ফেরেশতা একটি করে পরস্কারের বস্তু হাতে করে তার সঙ্গে বেহেশতে গমন করবে এবং সে বেহেশতে এক লক্ষ উজ্জ্বল বালাখানার অধিকারী হবে।


সোমবার রাতের ইবাদত 

হাদীস শরীফে আছে, হুযুর পাক (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, যদি কোন লোক সোমবার রাতে দুই রাকআত নামায এভাবে পড়ে যে, প্রত্যেক রাকআতে সূরা ফাতিহার পর সূৱা ইখলাস পনেরো বার পাঠ করে এবং নামায শেষে বারো মর্তবা আয়াতুল কুরসী এবং পনেরো বার আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠ করে তাহলে তার নাম জান্নাতবাসীদের তালিকাভুক্ত হবে। যদিও সে গুনাহগার হয়। তার জাহেরী পাপগুলো মার্জনা করা হবে এবং সে প্রত্যেকটি আয়াতের বিনিময়ে একটি হজ্জ্ব ও ওমরার সমান পুণ্য লাভ করবে। পরবর্তী সোমবার আসার আগেই যদি সে মৃত্যুমুখে পতিত হয় তবে সে শহীদের মর্যাদা লাভ করবে।

অন্য এক রেওয়ায়েতে আছে, রাসূলে পাক (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, যদি কোন ব্যক্তি সোমবার রাতে এই নিয়মে চার রাকআত নামায আদায় করে যে, প্রথম রাকআতে সূরা ফাতিহার পর সূরা ইখলাস দশৰার, দ্বিতীয় রাকআতে সূরা ফাতিহার পর সূরা ইখলাস বিশবার, তৃতীয় রাকআতে সূরা ফাতিহার পর সূরা ইখলাস ত্রিশবার ও চতুর্থ রাকআতে সূরা ফাতিহার পর সূরা ইখলাস চল্লিশবার পাঠ করে আর নামায শেষ করে পঁচাত্তরবার মাগফেরাত কামনা করে ও পঁচাত্তরৰার দরূদ শরীফ পাঠ করত করুণাময় আল্লাহ পাকের দরবারে যে প্রার্থনা করবে তা আল্লাহর দরবারে অবশ্য কবুল হবে।



-----

tags:

বুধবারের আমল,  বুধ বার দিনের ফজিলত,  বুধবার দিন ও রাতের নামাজ,  বুধবার দিনে যে সময়ে দোয়া করবেন,  বুধবার দিনে যে সময়ে দোয়া কবুল করা হয়,  সাত দিনের আমল,  বুধবারে কোন সময়ে দোয়া কবুল হয়,   budbarer amol bangla,   Wednesday amol,   Wednesday dhua,   Wednesday dua bangla