সূরা আল আলা এর ফজিলত

সূরা আল আলা এর ফজিলত


সূরা আল-আলা (سورة الأعلى) কুরআনের ৮৭তম সূরা, এটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এতে ১৯টি আয়াত রয়েছে। সূরাটি আল্লাহর প্রশংসা, মানুষের সৃষ্টির উদ্দেশ্য, এবং আখিরাতের পুরস্কার ও শাস্তি সম্পর্কে কথা বলে।

নিয়মিত সূরা আল-আলা তেলাওয়াত করা এবং মুখস্থ করা বেশ কিছু উপকার করতে পারে।

প্রতিটি অক্ষরে আল-আলা পাঠ করলে সওয়াব হয়, প্রতিটি অক্ষরের জন্য পাঠকারীকে ১০ বার সওয়াব দেওয়া হয়।

সূরা আল-আলা ছিল নবী মুহাম্মদের অন্যতম প্রিয়, তিনি জুমা এবং ঈদের নামাজে আল-আলা পাঠ করতে পছন্দ করতেন।


সূরা আল-আলা-এর মূল বার্তা:


আল্লাহর প্রশংসা:

সূরার প্রথমেই আল্লাহর প্রশংসা করা হয়েছে, যিনি সবকিছুকে সৃষ্টি করেছেন এবং সঠিকভাবে পরিচালিত করেছেন।


মানুষের সঠিক পথপ্রাপ্তি:

আল্লাহ তাঁর বান্দাদের সঠিক পথে পরিচালিত করেন এবং কুরআনের মাধ্যমে সত্য ও মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য করার উপায় শিক্ষা দেন।


দুনিয়া ও আখিরাতের জীবনের তুলনা:

দুনিয়ার জীবন ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু আখিরাত চিরস্থায়ী এবং সেখানেই চূড়ান্ত প্রতিদান দেওয়া হবে।


সূরা আল-আলা-এর ফজিলত:


জুমার এবং ঈদের সালাতে তিলাওয়াত:

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জুমার এবং ঈদের সালাতের প্রথম রাকাতে নিয়মিত সূরা আল-আলা তিলাওয়াত করতেন।

(সহীহ মুসলিম, তিরমিজি)


তিলাওয়াতের বরকত:

হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি এই সূরা পড়বে, তার জন্য আল্লাহর কাছে পুরস্কার নির্ধারিত থাকবে। এটি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসকে মজবুত করে।


অন্তর শুদ্ধি:

এই সূরার তিলাওয়াত অন্তরকে শুদ্ধ করে এবং মানুষকে আখিরাতের জন্য প্রস্তুত করে।


কুরআনের গুরুত্বপূর্ণ সূরা:

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন:

“তোমরা তোমাদের কাজ সহজ করার জন্য এই সূরা পাঠ করো।"

(ইবনে মাজাহ)


উপসংহার:

সূরা আল-আলা তিলাওয়াতের মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর সৃষ্টি ও তাঁর গুণাবলির প্রতি মনোযোগ দেয়। এটি দুনিয়ার ক্ষণস্থায়িত্ব এবং আখিরাতের প্রস্তুতির প্রতি উৎসাহিত করে। নিয়মিত তিলাওয়াত করলে আল্লাহর রহমত ও বরকত লাভ হয়।