সূরা আত-তাকভীর এর মূল বিষয় এবং ফজিলত

সূরা আত-তাকভীর এর ফজিলত

সূরা আত-তাকভীর (سورة التكوير) কুরআনের ৮১তম সূরা, মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এতে ২৯টি আয়াত রয়েছে। এই সূরায় কিয়ামতের দৃশ্যাবলি এবং কিয়ামতের দিন মানুষের জন্য কী অপেক্ষা করছে, তার বিশদ বিবরণ রয়েছে।

কিছু হাদিস অনুসারে, কেউ যদি সূরা আল-তাকভির পাঠ করে, কেয়ামতের দিন তাদের কর্মের রেকর্ড খোলার সময় আল্লাহ তাকে লজ্জা থেকে রক্ষা করবেন। এই সূরাটি মক্কার সূরাগুলির মধ্যে একটি এবং এই সত্যটি যাচাই করার জন্য বিভিন্ন প্রমাণ রয়েছে।


সূরা আত-তাকভীর-এর মূল বিষয়বস্তু:


কিয়ামতের ভয়াবহ দৃশ্য:

সূরার প্রথম অংশে কিয়ামতের দিন ঘটতে থাকা ঘটনাগুলোর বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, যেমন সূর্য অন্ধকার হয়ে যাওয়া, তারা ঝরে পড়া, পাহাড়ের চলাচল এবং সমুদ্রের উত্তাল হওয়া।


মানুষের কর্মের হিসাব:

কিয়ামতের দিন প্রত্যেককে তার জীবনের কাজের জন্য জবাবদিহি করতে হবে।

নেককারদের জন্য পুরস্কার এবং গুনাহগারদের জন্য শাস্তি নির্ধারিত থাকবে।


আল্লাহর শক্তি ও কুরআনের সত্যতা:

কুরআনের মাধ্যমে আল্লাহর বাণী ও নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নবুয়তকে নিশ্চিত করা হয়েছে।


সূরা আত-তাকভীর-এর ফজিলত:


কিয়ামতের দিন সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দেয়:

এই সূরার তিলাওয়াত মানুষকে কিয়ামতের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করে, যা পাপ থেকে দূরে থাকতে এবং নেক কাজের প্রতি উৎসাহিত করে।


পাপমোচন ও আত্মশুদ্ধি:

নিয়মিত সূরা আত-তাকভীর তিলাওয়াত করলে পাপ মোচন হয় এবং অন্তরে আত্মশুদ্ধির অনুভূতি জন্মায়।


বিশেষ মর্যাদা লাভ:

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন:

"যে ব্যক্তি সূরা আত-তাকভীর পাঠ করবে, তাকে কিয়ামতের দিন তার কর্মের জন্য সহজ হিসাবের সম্মুখীন করা হবে।"


হাদিসের উল্লেখ:

এক হাদিসে নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন:

"যে ব্যক্তি সূরা আত-তাকভীর পাঠ করবে, তার হৃদয় আল্লাহর নূরে আলোকিত হবে।"

(তিরমিজি)


উপসংহার:

সূরা আত-তাকভীর তিলাওয়াত মানুষকে কিয়ামতের দিনের প্রস্তুতির জন্য উদ্বুদ্ধ করে। এটি পড়লে আল্লাহর শক্তি ও কুরআনের গুরুত্ব গভীরভাবে হৃদয়ে স্থাপন হয়। নিয়মিত এই সূরার তিলাওয়াত করলে আখিরাতের জন্য বিশেষ ফজিলত ও আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়।