সূরা আল-মুরসালাত এর ফজিলত

সূরা আল-মুরসালাত এর ফজিলত


সূরা আল-মুরসালাত (سورة المرسلات) কুরআনের ৭৭তম সূরা, মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এতে ৫০টি আয়াত রয়েছে। এই সূরার মূল বিষয়বস্তু হলো কিয়ামত, আখিরাতের শাস্তি ও পুরস্কার, এবং আল্লাহর শক্তি ও হুকুম।

"মুরসালাত" শব্দের অর্থ "রাসূল" এবং এই সূরার প্রথম আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে। সূরা আল-মুরসালাত বিচার দিবসের ঘটনার উপর জোর দেয় এবং বারবার অস্বীকারকারীদের সতর্ক করে। এই সূরাতে অন্যায়কারীদের কর্ম ও চিহ্ন এবং ঈশ্বর-সতর্কের কথাও বলা হয়েছে এবং তাদের ভাগ্য সম্পর্কেও বলা হয়েছে।

যে ব্যক্তি সূরা আল-মুরসালাত পাঠ করবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার এবং রাসূল (সঃ)-এর মধ্যে পরিচিতি ঘটাবেন। কিছু হাদীসের সূত্রে এই সূরার জন্য কিছু উপকারিতা উল্লেখ করা হয়েছে, যেমন ভ্রমণে নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা, শত্রুদের বিরুদ্ধে বিজয় এবং পেটব্যথা থেকে মুক্তি।


সূরা আল-মুরসালাত-এর ফজিলত:


কিয়ামতের ভয়াবহতা ও আল্লাহর হুকুম স্মরণ করিয়ে দেয়:

এই সূরায় বারবার বলা হয়েছে,

"ধ্বংস সেদিন মিথ্যাপ্রচারকারীদের জন্য!" (আয়াত ১৫, ২৪, ৩৪, ৪০, ৪৫)

এই আয়াতগুলো আমাদের কিয়ামতের শাস্তি ও আল্লাহর বিচারের প্রতি সতর্ক করে এবং মানুষকে নেক আমল করার জন্য উৎসাহিত করে।


ইবাদতের প্রতি আগ্রহ:

হাদিসে বলা হয়েছে, নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সূরা আল-মুরসালাতকে খুব ভালোবাসতেন। তিনি এটি পাঠ করতেন এবং অন্যদেরও তিলাওয়াতের প্রতি উৎসাহ দিতেন।


পাঠ করলে শাস্তি থেকে মুক্তি:

একাধিক ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, নিয়মিত সূরা আল-মুরসালাত তিলাওয়াত করলে আখিরাতে জাহান্নামের শাস্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।


হাদিসের ফজিলত:

ইবনে মাসউদ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেছেন,

নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলতেন: "যে ব্যক্তি রাতের বেলায় সূরা আল-মুরসালাত পাঠ করবে, সে আল্লাহর বিশেষ রহমত লাভ করবে।"


উপসংহার:

সূরা আল-মুরসালাত পাঠ করলে কিয়ামতের দিনের ভয়াবহতা এবং আল্লাহর বিচার ব্যবস্থার প্রতি গভীর উপলব্ধি তৈরি হয়। এটি আখিরাতের শাস্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তাই নিয়মিত তিলাওয়াতের অভ্যাস করলে দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য উপকার পাওয়া যায়।