সূরা নূহ এর ফজিলত

সূরা নূহ এর ফজিলত


সূরা নূহ (سورة نوح) হলো পবিত্র কুরআনের ৭১তম সূরা, যা মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এতে মোট ২৮টি আয়াত রয়েছে। এই সূরায় হযরত নূহ (আঃ) এর দীর্ঘ দাওয়াতি প্রচেষ্টা, তার জাতির অবাধ্যতা এবং অবশেষে আল্লাহর শাস্তি সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।

সূরা নূহ একটি আধ্যাত্মিক পরিচ্ছন্নতা হিসাবে কাজ করে, হৃদয় ও আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে । অবিরাম আবৃত্তি নেতিবাচকতা দূর করতে সাহায্য করে এবং শান্তি ও প্রশান্তি অনুভব করে।

এটি ইসলামিক নবী নুহ এবং তাঁর লোকেদের সম্পর্কে তাঁর অভিযোগকে কেন্দ্র করে যে সমস্ত সতর্কবাণী আল্লাহ তাদেরকে নূহের মাধ্যমে দিয়েছিলেন তা প্রত্যাখ্যান করেছে। অধ্যায়ের থিমগুলির মধ্যে রয়েছে তাওহিদ (আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস), আল্লাহর নিদর্শন (পৃথিবী, সূর্য, চন্দ্র), এবং আল্লাহর বাণী অস্বীকার করার শাস্তি।


সূরা নূহ-এর প্রধান বিষয়বস্তু:


হযরত নূহ (আঃ)-এর দাওয়াত:

হযরত নূহ (আঃ) তার জাতিকে ৯৫০ বছর ধরে একত্ববাদের দিকে আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বিভিন্ন পদ্ধতিতে (দিনে-রাতে, গোপনে-প্রকাশ্যে) তাদের দাওয়াত দিয়েছেন, কিন্তু তারা অবাধ্য থেকেছে।


জাতির অবাধ্যতা:

নূহ (আঃ)-এর জাতি তার আহ্বান অস্বীকার করে এবং তাদের প্রতিমা পূজায় লিপ্ত থাকে।

তারা আল্লাহর আযাবের হুমকিকেও গুরুত্ব দেয়নি।


নূহ (আঃ)-এর দোয়া এবং শাস্তি:

হযরত নূহ (আঃ) তার জাতির জন্য আল্লাহর সাহায্য এবং শাস্তি প্রার্থনা করেন।

আল্লাহ তাদের ধ্বংস করার জন্য প্রলয়ঙ্করী বন্যা পাঠান, যা অবিশ্বাসীদের সমূলে ধ্বংস করে।


তাওবার গুরুত্ব:

এই সূরায় বারবার তাওবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

বলা হয়েছে, যারা তাওবা করবে, তাদের জন্য আল্লাহ রিজিক বৃদ্ধি, সন্তান-সন্ততি এবং জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।


সূরা নূহ-এর ফজিলত:


তাওবা ও ইস্তিগফারের গুরুত্ব:

সূরা নূহ মানুষকে তাওবা এবং ইস্তিগফারের শিক্ষা দেয়। এটি আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত লাভের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।


জীবনের পরীক্ষায় ধৈর্যের শিক্ষা:

হযরত নূহ (আঃ)-এর দীর্ঘ ধৈর্য এবং আল্লাহর ওপর অবিচল আস্থা আমাদের জীবনের পরীক্ষায় ধৈর্যশীল হতে অনুপ্রাণিত করে।


শাস্তি থেকে রক্ষা:

নিয়মিত সূরা নূহ তিলাওয়াত করলে আল্লাহর শাস্তি থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এবং দুনিয়া ও আখিরাতে বরকত লাভ হয়।


হাদিসে সূরা নূহ-এর ফজিলত:

হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি নিয়মিত সূরা নূহ তিলাওয়াত করবে, তার রিজিকে বরকত, গুনাহের মাগফিরাত, এবং আখিরাতে উচ্চ মর্যাদা লাভ হবে।


তিলাওয়াতের ফজিলত:

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন:

"যে ব্যক্তি সূরা নূহ তিলাওয়াত করবে, আল্লাহ তাকে এবং তার পরিবারকে বিপদ থেকে রক্ষা করবেন এবং তার জন্য জান্নাতের দরজা উন্মুক্ত করবেন।"


উপসংহার:

সূরা নূহ আমাদের তাওবার গুরুত্ব, ধৈর্য এবং আল্লাহর প্রতি নির্ভরশীলতার শিক্ষা দেয়। এটি তিলাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহর মাগফিরাত এবং আখিরাতের সফলতা অর্জনের জন্য অনুপ্রাণিত করে।