নামাযের প্রয়োজনীয় দোয়া ও তাসবীহ-namazer dua tasbeeh bangla
জায়নামাযে দাঁড়িয়ে পড়ার দোয়া
উচ্চারণ : ইন্নী ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লাযী ফাতারাস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্বা হানীফাঁও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন।
অর্থ : “যিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন, নিশ্চয়ই আমি আমার মুখমণ্ডল তাঁর দিকে ফেরালাম। আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই "।
সানা (সুবহানাকা)
উচ্চারণ : সুবহা-নাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবা-রাকাসমুকা ওয়া তাআ লা জাদ্দুকা ওয়া লা-ইলা-হা গাইরুক।
অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি পবিত্র, সকল প্রশংসা তোমার জন্যই। তোমার নাম মঙ্গলময়। তোমার মহিমা অতি উচ্চ। তুমি ভিন্ন কেউ মাবুদ নেই।”
তায়াব্বুজ (আউযু বিল্লাহ)
উচ্চারণ: আউযু বিল্লা-হি মিনাশশাইত্বোয়ানির রাযীম।
অর্থ : বিতাড়িত শয়তানের প্ররোচনা থেকে আল্লাহ তাআলার আশ্রয় কামনা করছি।
তাসমিয়া
উচ্চারণ : বিসমিল্লা-হির রাহমা-নির রাহীম।
অর্থ : পরম করুণাময় দাতা-দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
রুকূর তাসবীহ্
উচ্চারণ : সুবহা-না রব্বিয়াল আযীম।
অর্থ : আমার মহিমান্বিত প্রভু কতই না পবিত্র।
তাসমী
উচ্চারণ : সামী আল্লা-হু লিমান হামিদাহ ।
অর্থ : আল্লাহ শুনেছেন যে ব্যক্তি তাঁর প্রশংসা করেছেন।
তাহমীদ্
উচ্চারণ : রব্বানা লাকাল হামদ ।
অর্থ : আমার প্রতিপালনকারী। সব প্রশংসা তোমার জন্য ।
সিজদার তাসবীহ্
উচ্চারণ : সুবহা-না রব্বিয়াল আলা-।
অর্থ : আমার মহান প্রতিপালক কতইনা পবিত্র ।
তাশাহ্হুদ (আত্তাহিয়্যাতু)
উচ্চারণঃ
আত্তাহিয়্যা-তু লিল্লা-হি ওয়াচ্ছালা-ওয়া-তু ওয়াতত্বইয়্যিবা-তু, আসসালা- মু আলাইকা আইয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকাতুহ। আসসালা-মু আলাইনা-ওয়া আলা- ইবাদিল্লা-হিছ ছোয়া-লিহীন। আশহাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহ।
অর্থ : সকল অভিবাদন, সব নামাজ ও সব উত্তন আল্লাহর জন্য নিবেদিত । "হে নবী। আপনার প্রতি আল্লাহর রহমত, বরকত ও শান্তি বর্ষিত হোক। আমাদের প্রতি এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষা দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন মাবুদ নেই এবং আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসুল।
দুরূদ শরীফ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ছল্লি আলা- মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আ-লি মুহাম্মাদ কামা-ছল্লাইতা আলা- ইবরা-হীমা ওয়া আলা-আ-লি ইব্রা-হীম, ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লা-হুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা-আ-লি মুহাম্মাদ কামা বারাকতা আলা- ইবরা-হীমা ওয়া আলা-আ-লি ইব্রা-হীম, ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।
অর্থ : হে আল্লাহ! মুহাম্মদ (ছঃ) ও তাঁর বংশধরগণের প্রতি সেরূপ শান্তি বর্ষণ কর, যেরূপ তুমি ইব্রাহীম (আঃ) ও তাঁর বংশধরগণের প্রতি করেছ। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসিত ও মহিমান্বিত। হে আল্লাহ! মুহাম্মদ (ছঃ) ও তাঁর বংশধরগণের প্রতি অনুগ্রহ বর্ষণ কর, তুমি ইব্রাহীম (আঃ) ও তাঁর বংশধরগণের প্রতি যেরূপ অনুগ্রহ বর্ষণ করেছ। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসিত ও মহিমান্বিত।
দোয়ায়ে মাসূরা
উচ্চারণ : আল্লা-হুমা ইন্নী যলামতু নাফসী যুলমান কাছীরাও ওয়ালা ইয়াগফিরুজজুনূবা - ইল্লা আনতা ফাগফির লী মাগফিরাতাম্ মিন ইনদিকা ওয়ারহামনী ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রাহীম।
অর্থ : হে আল্লাহ। আমি আমার নফসের (দেহ ও আত্মার) ওপর অনেক জুলুম করেছি, আর তুমি ছাড়া কেউ নেই ক্ষমাকারী । অতএব হে আল্লাহ অনুগ্রহ করে তুমি আমার গুনাহ মাফ কর এবং আমার ওপর দয়া কর। নিশ্চয়ই তুমি দয়ালু ও পাপ মার্জনাকারী।
সালাম
উচ্চারণ : আসসালা-মু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লা-হি।
অর্থ : তোমাদের প্রতি শান্তি ও আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক।
দোয়ায়ে কুনূত
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্না নাসতাঈনুকা ওয়া নাসতাগফিরুকা ওয়া নুমিনুবিকা ওয়া নাতাওয়াক্কালু আলাইকা ওয়া নুছনী আলাইকাল খাইরা, ওয়া নাশকুরুকা ওয়ালা- নাক্ফুরুকা ওয়া নাখলাউ ওয়া নাতরুকু মাঁইইয়াফ্জুরুকা । আল্লা- "হুম্মা ইয়্যাকা নাবুদু ওয়া লাকা নুছোল্লী ওয়া নাসজুদু ওয়া ইলাইকা নাসআ ওয়া নাহ্ফিদু ওয়া নারজূ রহমাতাকা ওয়া নাখশা-আযা-বাকা, ইন্না আযা-বাকা বিল কুফ্ফারি মুলহিক্ব ।
অর্থ : “হে আল্লাহ! আমরা তোমার কাছে সাহায্য চাচ্ছি এবং ক্ষমার আবেদন করছি। তোমারই প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করছি, তোমার প্রতি * নির্ভর করছি এবং তোমার উত্তম গুণাবলি প্রকাশ করছি এবং তোমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং তোমার নাফরমানি করছি না। যে তোমার হুকুমের বিরুদ্ধে চলে তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করছি এবং ত্যাগ করছি। হে আল্লাহ! আমরা তোমারই ইবাদত করছি, তোমার উদ্দেশ্যে নামায আদায় করছি এবং তোমাকেই সিজদা করছি আমরা তোমাকে ভয় করছি। তোমার সামনে হাযির আছি, তোমার রহমতের আকাঙ্ক্ষী এই সাধিত তোমার শাস্তিকে ভয় করছি, আর নিঃসন্দেহ কাফেরদের প্রতিই তোমার আযাব পতিত হবে।
মুনাজাত
উচ্চারণ : রব্বানা-আ-তিনা ফিদ্দুনইয়া- হাসানাতাঁও ওয়া ফিল আ-খিরাতি হাসানাতাঁও ওয়া কিনা- আযা-বান্নার। রব্বানা তাক্বাব্বাল মিন্না ইন্নাকা আন্তাস সামীউল আলীম। ওয়াতুব আলাইনা ইন্নাকা আনতাত তাওয়্যাবুর রাহীম।
তওবা ইস্তিগফার
উচ্চারণ : আসতাগফিরুল্লা-হা রব্বী মিন্কুল্লি জাম্বিওঁ ওয়া আতূবু ইলাইহ।
অর্থ : “আমি সমস্ত গুনাহ থেকে তওবা করছি এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
নামাযের পরে তাসবীহসমূহ
নিম্নের তাসবীহসমূহ নির্দিষ্ট পাঁচ নামাযের পরে ১০০ বার করে পাঠ করলে, আল্লাহর রহমতে দুনিয়া ও আখেরাতে মঙ্গল ও কল্যাণ সাধিত হবে।
ফজর নামাযে
উচ্চারণ : (হুয়াল্ হাইয়্যুল কাইয়ূম)
অর্থ : তিনি (আল্লাহ তাআলা) জীবিত ও স্থায়ী।
যোহর নামাযে
উচ্চারণ : হুয়াল্ আলিয়্যিল আযীম।
অর্থ : তিনি (আল্লাহ তাআলা) বিরাট ও মহান।
আছর নামাযে
উচ্চারণ : হুয়ার রহমা-নূর রহীম ।
অর্থ: তিনি (আল্লাহ তাআলা) দয়ালু ও করুণাময়।
মাগরিব নামাযে
উচ্চারণ : হুয়াল গাফুরুর রাহীম।
অর্থ: তিনি (আল্লাহ তাআলা) ক্ষমাকারী ও দয়াশীল।
এশার নামাযে
উচ্চারণ : হুয়াল্ লাত্বীফুল খাবীর।
অর্থ: তিনি (আল্লাহ তাআলা) পবিত্র ও অতি সতর্ক।
এটা ব্যতীত প্রতি ওয়াক্ত নামাযের পরে
(সুবহা-নাল্লা-হ) ৩৩ বার
(আলহামদু লিল্লা-হ) ৩৩ বার এবং
(আল্লা-হু আকবার) ৩৪ বার মোট একশতবার পাঠ করলে অশেষ নেকী লাভ হবে এবং রিযিক বৃদ্ধি হবে ও বরকত পাবে।
thistimebd Bangladesh Live online newsportal, education, Lifestyle, Health, Photography, gif image etc.
Make your own name or company name website | contact: thistimebd24@gmail.com
Copyright © 2020-2024 News Portal in Bangladesh - THISTIMEBD.COM. ALL Rights Reserved.