সূরা আত মুত্বাফ্‌ফিফীন এর ফজিলত

সূরা আত মুত্বাফ্‌ফিফীন এর ফজিলত


সূরা আত-মুত্বাফ্‌ফিফীন (سورة المطففين) কুরআনের ৮৩তম সূরা, মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এতে ৩৬টি আয়াত রয়েছে। এই সূরার মূল বিষয়বস্তু হলো ব্যবসায় এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে ন্যায়পরায়ণতা, আখিরাতের জবাবদিহিতা, এবং নেককার ও পাপীদের পরিণতি।

সূরা আল-মুতাফিফিনের প্রতিফলন করার মূল সুবিধাগুলির মধ্যে একটি হল এটি বিচার দিবস সম্পর্কে অনুস্মারক প্রদান করে। সূরা সতর্ক করে যে, সেই দিন প্রতারণামূলক কাজগুলো প্রকাশ পাবে এবং সত্য ন্যায়বিচারের জয় হবে।


সূরা আত-মুত্বাফ্‌ফিফীন-এর মূল বার্তা:


অন্যায়ভাবে মাপ-যোগ কম দেওয়ার নিন্দা:

সূরাটি এমন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সতর্ক করে যারা মাপ বা ওজন দেওয়ার সময় কম দেয়, অথচ নিজেদের জন্য পুরোপুরি পাওয়ার আশা করে।


আখিরাতের বিচার ও প্রতিদান:

নেককারদের জন্য ‘ইল্লিয়িন’ (উচ্চ মর্যাদাপূর্ণ স্থান) এবং পাপীদের জন্য ‘সিজ্জিন’ (নিচু অবস্থান) নির্ধারিত থাকবে।


পাপীদের অবস্থা এবং তাদের ঠাট্টা-বিদ্রূপের পরিণতি:

এই সূরায় পাপীদের এমন আচরণের নিন্দা করা হয়েছে, যারা দুনিয়াতে নেককারদের উপহাস করত।


সূরা আত-মুত্বাফ্‌ফিফীন-এর ফজিলত:


অন্যায় থেকে বাঁচার শিক্ষা:

সূরাটি মানুষকে সতর্ক করে, যেন তারা ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সামাজিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ন্যায়পরায়ণতা বজায় রাখে। এটি তিলাওয়াত করলে মানুষ নৈতিকভাবে সতর্ক হয় এবং গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে প্রেরণা পায়।


আখিরাতের প্রস্তুতির তাগিদ:

এই সূরার মাধ্যমে আখিরাতের দিনের ভয়াবহতা ও আল্লাহর সামনে জবাবদিহির গুরুত্ব স্মরণ করানো হয়। এটি আখিরাতের প্রতি ঈমান দৃঢ় করে।


নেক আমল করার তাগিদ:

হাদিসে বর্ণিত আছে যে, যারা এই সূরা তিলাওয়াত করে, তারা আখিরাতে সহজ হিসাব-নিকাশের অধিকারী হবে। পাপ থেকে মুক্তি পেয়ে আল্লাহর বিশেষ রহমত লাভ করবে।


বিশেষ বরকত:

নিয়মিত তিলাওয়াতকারীরা আল্লাহর কাছে বিশেষ মর্যাদা অর্জন করে এবং দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা লাভ করে।


উপসংহার:

সূরা আত-মুত্বাফ্‌ফিফীন ন্যায়পরায়ণতা এবং আল্লাহর প্রতি ভয় ও ভালোবাসা নিয়ে জীবন পরিচালনার এক শক্তিশালী শিক্ষা দেয়। এর নিয়মিত তিলাওয়াত দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ লাভের পথ সুগম করে।