যে কারণে মান্নার মা হতে রাজি হননি শাবানা

নির্মাতা কাজী হায়াৎ ছবির জন্য মান্নার মা হওয়ার জন্য বললেন শাবানা কে,

গল্পটা শুনে কেঁদেছিলেন শাবানা। ছবির জন্য শিডিউল দেবেন বলে কথাও দিয়েছিলেন। পরদিন শাবানা না করে দিলেন বললেন, কাজী হায়াৎ আমার ছবিটা করা হবে না কারণ আমি যাদের সঙ্গে নায়িকা হচ্ছি তারা আপত্তি  আছে, বলেছে আপনি যদি মান্নার মা হন, তাহলে আমাদের সঙ্গে নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করবেন কীভাবে!

যে কারণে মান্নার আম্মাজান হতে রাজি হননি শাবানা আম্মাজান ছবিটি নির্মাণের প্রস্তুতি পর্বেই এই ছবির নির্মাতা কাজী হায়াতের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছিল। সিনেমাটি সুপারহিট হয়েছে। ছবিটি নিয়ে কাজী হায়াৎ যেমন গর্ব করেন তেমন ছবিটি নিয়ে কিছু আক্ষেপও রয়েছে তার মনে।

২০ বছর আগে আজকের এই দিনে (২৫ জুন) মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। এই উপলক্ষেই ছবিটি নিয়ে কথা বলেছেন নির্মাতা। তিনি বলেন, আমাদের শ্রদ্ধেয় অভিনেত্রী শবনম এই ছবিতে আম্মাজান চরিত্রে অভিনয় করেছেন। দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন তিনি। মুগ্ধ করে দিয়েছেন দেশের দর্শকদের। এত দিন পেরিয়েও শবনম আম্মাজান হিসেবে সবার মনে। অন্যরকম জায়গা নিয়ে আছেন। তবে মজার বিষয়  আমি প্রথমে ছবিটিতে আম্মাজান চরিত্রে আমাদের কিংবদন্তি শাবানাকে চেয়েছিলাম। তাকে মেকআপ রুমে বসে ছবির গল্পটাও শুনিয়েছিলাম।

 ছবির গল্প শুনতে শুনতে কেঁদেছিলেন শাবানা। ছবির জন্য শিডিউল দেবেন বলে কথাও দিয়েছিলেন। কথা বলে আসার পরদিন হঠাৎই উনি না করে দিলেন। আমাকে ডেকে বললেন, হায়াৎ আমার ছবিটা করা হবে না। আমি বললাম কেন? উনি বললেন, এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইবেন না।

 শুধু শুনুন আমি যাদের সঙ্গে নায়িকা হচ্ছি তারা কেউ চায় না আমি এই ছবিতে অভিনয় করি। তারা আপত্তি জানিয়েছে বলেছে, আপনি যদি মান্নার মা হন, তাহলে আমাদের সঙ্গে নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করবেন কীভাবে! আপনি সব সময় আদর্শ নারীর চরিত্রে অভিনয় করেন, কেন হঠাৎ ধর্ষিতা নারীর চরিত্রে অভিনয় করবেন? আমি বললাম সব যুক্তিই এই গল্পের কাছে হার মানবে। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি। শাবানার ইচ্ছা থাকার পরও এই ছবিতে অভিনয় করা হয়নি তার। 

এরপর ছবিতে শবনমকে নেওয়ার গল্পও শোনান কাজী হায়াৎ। তিনি বলেন, শাবানা না করে দেওয়ার পরে সেই সময়ের সাংবাদিক আজাচৌ, ফটোগ্রাফার বেলাল, আওলাদ  আমাকে পরামর্শ দিলেন মায়ের চরিত্রে শবনম ম্যাডামকে নেওয়ার ব্যাপারে। শবনম ম্যাডামকে গল্প শোনালাম। উনি একবাক্যে রাজি হয়ে গেলেন। কাজী হায়াৎ বলেন, আরও মজার গল্প আছে ছবিটি নিয়ে। এ ছবির প্রযজক ছিলেন ডিপজল। উনি সেন্সর হওয়ার পর ছবি দেখে বললেন ছবিটা চলবে না।

 কারণ হিসেবে বললেন এ ছবিতে কোন অ্যাকশন নেই। আমি বললাম, অ্যাকশন নাই মানে! মারামারি করাই কি শুধু অ্যাকশন। ছবিটিতে নায়ক হিসেবে মান্নাকে নিতেও আপত্তি জানিয়েছিল প্রযোজক ডিপজল। তাদের মধ্যে সেই সময় সম্পর্কের টানাপাড়েন চলছিলে। হুমায়ুন ফরিদীকেও নেওয়ার কথা হয়েছিল। এর আগেই আমার অনুরধে মান্না সম্পর্ক ভালো করে ফেললো ডিপজলের সঙ্গে, অনেকটা নিজে পরাজয় স্বীকার করেই। পরে ডিপজল নিজেই মান্নাকে নিলো।