সূরা আদ দোখান আরবি সহ বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ -Surah Ad-Dukhan in Bangla Uccharon

সূরা আদ দোখান আরবি সহ বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ 


সূরা আদ দোখান - Surah Ad-Dukhan (মক্কায় অবতীর্ণ - আয়াত ৫৯)


بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।


1

حمٓ

হা-মীম।

হা-মীম।


2

وَٱلْكِتَٰبِ ٱلْمُبِينِ

ওয়াল কিতা-বিল মুবীন।

শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের।


3

إِنَّآ أَنزَلْنَٰهُ فِى لَيْلَةٍ مُّبَٰرَكَةٍ إِنَّا كُنَّا مُنذِرِينَ

ইন্নাআনঝালনা-হূফী লাইলাতিম মুবা-রাকাতিন ইন্না-কুন্না-মুনযিরীন।

আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে, নিশ্চয় আমি সতর্ককারী।


4

فِيهَا يُفْرَقُ كُلُّ أَمْرٍ حَكِيمٍ

ফীহা-ইউফরাকুকুল্লুআমরিন হাকীম।

এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়।


5

أَمْرًا مِّنْ عِندِنَآ إِنَّا كُنَّا مُرْسِلِينَ

আমরাম মিন ‘ইনদিনা- ইন্না-কুন্না-মুরছিলীন।

আমার পক্ষ থেকে আদেশক্রমে, আমিই প্রেরণকারী।


6

رَحْمَةً مِّن رَّبِّكَ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلْعَلِيمُ

রাহমাতাম মির রাব্বিকা ইন্নাহূহুওয়াছ ছামী‘উল ‘আলীম।

আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে রহমতস্বরূপ। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।


7

رَبِّ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَآ إِن كُنتُم مُّوقِنِينَ

রাব্বিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিওয়া মা-বাইনাহুমা- । ইন কনতুম মূকিনীন।

যদি তোমাদের বিশ্বাস থাকে দেখতে পাবে। তিনি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যেবর্তী সবকিছুর পালনকর্তা।


8

لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ يُحْىِۦ وَيُمِيتُ رَبُّكُمْ وَرَبُّ ءَابَآئِكُمُ ٱلْأَوَّلِينَ

লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ইউহয়ী ওয়া ইউমীতু রাব্বুকুম ওয়া রাব্বুআ-বাইকুমুল আওওয়ালীন।

তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তিনি জীবন দান করেন ও মৃত্যু দেন। তিনি তোমাদের পালনকর্তা এবং তোমাদের পূর্ববর্তী পিতৃ-পুরুষদেরও পালনকর্তা।


9

بَلْ هُمْ فِى شَكٍّ يَلْعَبُونَ

বালহুম ফী শাক্কিইঁ ইয়াল‘আবূন।

এতদসত্ত্বেও এরা সন্দেহে পতিত হয়ে ক্রীড়া-কৌতুক করছে।


10

فَٱرْتَقِبْ يَوْمَ تَأْتِى ٱلسَّمَآءُ بِدُخَانٍ مُّبِينٍ

ফারতাকিব ইয়াওমা তা’তিছ ছামাউ বিদুখা-নিম মুবীন।

অতএব আপনি সেই দিনের অপেক্ষা করুন, যখন আকাশ ধূয়ায় ছেয়ে যাবে।


11

يَغْشَى ٱلنَّاسَ هَٰذَا عَذَابٌ أَلِيمٌ

ইয়াগশান্না-ছা হা-যা-‘আযা-বুন আলীম।

যা মানুষকে ঘিরে ফেলবে। এটা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।


12

رَّبَّنَا ٱكْشِفْ عَنَّا ٱلْعَذَابَ إِنَّا مُؤْمِنُونَ

রাব্বানাকশিফ ‘আন্নাল ‘আযা-বা ইন্না-মু’মিনূন।

হে আমাদের পালনকর্তা আমাদের উপর থেকে শাস্তি প্রত্যাহার করুন, আমরা বিশ্বাস স্থাপন করছি।


13

أَنَّىٰ لَهُمُ ٱلذِّكْرَىٰ وَقَدْ جَآءَهُمْ رَسُولٌ مُّبِينٌ

আন্না-লাহুমুযযিকরা-ওয়াকাদ জাআহুম রাছূলুম মুবীন।

তারা কি করে বুঝবে, অথচ তাদের কাছে এসেছিলেন স্পষ্ট বর্ণনাকারী রসূল।


14

ثُمَّ تَوَلَّوْا۟ عَنْهُ وَقَالُوا۟ مُعَلَّمٌ مَّجْنُونٌ

ছু ম্মা তাওয়াল্লাও ‘আনহু ওয়া কা-লূমু‘আল্লামুম মাজনূন।

অতঃপর তারা তাকে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে এবং বলে, সে তো উম্মাদ-শিখানো কথা বলে।


15

إِنَّا كَاشِفُوا۟ ٱلْعَذَابِ قَلِيلًا إِنَّكُمْ عَآئِدُونَ

ইন্না-কা-শিফুল ‘আযা-বি কালীলান ইন্নাকুম ‘আইদূন।

আমি তোমাদের উপর থেকে আযাব কিছুটা প্রত্যাহার করব, কিন্তু তোমরা পুনরায় পুনর্বস্থায় ফিরে যাবে।


16

يَوْمَ نَبْطِشُ ٱلْبَطْشَةَ ٱلْكُبْرَىٰٓ إِنَّا مُنتَقِمُونَ

ইয়াওমা নাবতিশুল বাতশাতাল কুবরা- ইন্না-মুনতাকিমূন।

যেদিন আমি প্রবলভাবে ধৃত করব, সেদিন পুরোপুরি প্রতিশোধ গ্রহণ করবই।


17

وَلَقَدْ فَتَنَّا قَبْلَهُمْ قَوْمَ فِرْعَوْنَ وَجَآءَهُمْ رَسُولٌ كَرِيمٌ

ওয়া লাকাদ ফাতান্না-কাবলাহুম কাওমা ফির‘আওনা ওয়া জাআহুম রাছূলুন কারীম।

তাদের পূর্বে আমি ফেরাউনের সম্প্রদায়কে পরীক্ষা করেছি এবং তাদের কাছে আগমন করেছেন একজন সম্মানিত রসূল,


18

أَنْ أَدُّوٓا۟ إِلَىَّ عِبَادَ ٱللَّهِ إِنِّى لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌ

আন আদ্দূইলাইইয়া ‘ইবা-দাল্লা-হি ইন্নী লাকুম রাছূলুন আমীন।

এই মর্মে যে, আল্লাহর বান্দাদেরকে আমার কাছে অর্পণ কর। আমি তোমাদের জন্য প্রেরীত বিশ্বস্ত রসূল।


19

وَأَن لَّا تَعْلُوا۟ عَلَى ٱللَّهِ إِنِّىٓ ءَاتِيكُم بِسُلْطَٰنٍ مُّبِينٍ

ওয়া আল্লা-তা‘লূ‘আল্লাল্লা-হি ইন্নীআ-তীকুম বিছুলতা-নিম মুবীন।

আর তোমরা আল্লাহর বিরুদ্ধে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করো না। আমি তোমাদের কাছে প্রকাশ্য প্রমাণ উপস্থিত করছি।


20

وَإِنِّى عُذْتُ بِرَبِّى وَرَبِّكُمْ أَن تَرْجُمُونِ

ওয়া ইন্নী ‘উযতুবিরাববী ওয়া রাব্বিকুম আন তার জুমূন।

তোমরা যাতে আমাকে প্রস্তরবর্ষণে হত্যা না কর, তজ্জন্যে আমি আমার পালনকর্তা ও তোমাদের পালনকর্তার শরনাপন্ন হয়েছি।


21

وَإِن لَّمْ تُؤْمِنُوا۟ لِى فَٱعْتَزِلُونِ

ওয়া ইল্লাম তু’মিনূলী ফা‘তাঝিলূন।

তোমরা যদি আমার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন না কর, তবে আমার কাছ থেকে দূরে থাক।


22

فَدَعَا رَبَّهُۥٓ أَنَّ هَٰٓؤُلَآءِ قَوْمٌ مُّجْرِمُونَ

ফাদা‘আ-রাব্বাহূআন্না হাউলাই কাওমুম মুজরিমূন।

অতঃপর সে তার পালনকর্তার কাছে দোয়া করল যে, এরা অপরাধী সম্প্রদায়।


23

فَأَسْرِ بِعِبَادِى لَيْلًا إِنَّكُم مُّتَّبَعُونَ

ফাআছরি বি‘ইবা-দী লাইলান ইন্নাকুম মুত্তাবা‘ঊন।

তাহলে তুমি আমার বান্দাদেরকে নিয়ে রাত্রিবেলায় বের হয়ে পড়। নিশ্চয় তোমাদের পশ্চাদ্ধবন করা হবে।


24

وَٱتْرُكِ ٱلْبَحْرَ رَهْوًا إِنَّهُمْ جُندٌ مُّغْرَقُونَ

ওয়াতরুকিল বাহরা রাহওয়া- ইন্নাহুম জনদুম মুগরাকূন।

এবং সমুদ্রকে অচল থাকতে দাও। নিশ্চয় ওরা নিমজ্জত বাহিনী।


25

كَمْ تَرَكُوا۟ مِن جَنَّٰتٍ وَعُيُونٍ

কাম তারাকূমিন জান্না-তিওঁ ওয়া ‘উইয়ূন।

তারা ছেড়ে গিয়েছিল কত উদ্যান ও প্রস্রবন,


26

وَزُرُوعٍ وَمَقَامٍ كَرِيمٍ

ওয়া ঝুরূ‘ইওঁ ওয়া মাকা-মিন কারীম।

কত শস্যক্ষেত্র ও সূরম্য স্থান।


27

وَنَعْمَةٍ كَانُوا۟ فِيهَا فَٰكِهِينَ

ওয়া না‘মাতিন কা-নূফীহা-ফা-কিহীন।

কত সুখের উপকরণ, যাতে তারা খোশগল্প করত।


28

كَذَٰلِكَ وَأَوْرَثْنَٰهَا قَوْمًا ءَاخَرِينَ

কাযা-লিকা ওয়া আওরাছনা-হা-কাওমান আ-খারীন।

এমনিই হয়েছিল এবং আমি ওগুলোর মালিক করেছিলাম ভিন্ন সম্প্রদায়কে।


29

فَمَا بَكَتْ عَلَيْهِمُ ٱلسَّمَآءُ وَٱلْأَرْضُ وَمَا كَانُوا۟ مُنظَرِينَ

ফামা-বাকাত ‘আলাইহিমুছ ছামাউ ওয়াল আরদুওয়ামা-কা-নূমুনজারীন।

তাদের জন্যে ক্রন্দন করেনি আকাশ ও পৃথিবী এবং তারা অবকাশও পায়নি।


30

وَلَقَدْ نَجَّيْنَا بَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ مِنَ ٱلْعَذَابِ ٱلْمُهِينِ

ওয়ালাকাদ নাজ্জাইনা-বানীইছরাঈলা মিনাল ‘আযা-বিল মুহীন।

আমি বনী-ইসরাঈলকে অপমানজনক শাস্তি থেকে উদ্ধার করছি।


31

مِن فِرْعَوْنَ إِنَّهُۥ كَانَ عَالِيًا مِّنَ ٱلْمُسْرِفِينَ

মিন ফির‘আওনা ইন্নাহূকা-না ‘আ-লিয়াম্মিনাল মুছরিফীন।

ফেরাউন সে ছিল সীমালংঘনকারীদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয়।


32

وَلَقَدِ ٱخْتَرْنَٰهُمْ عَلَىٰ عِلْمٍ عَلَى ٱلْعَٰلَمِينَ

ওয়া লাকাদিখতারনা-হুম ‘আলা-‘ইলমিন ‘আলাল ‘আ-লামীন।

আমি জেনেশুনে তাদেরকে বিশ্ববাসীদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছিলাম।


33

وَءَاتَيْنَٰهُم مِّنَ ٱلْءَايَٰتِ مَا فِيهِ بَلَٰٓؤٌا۟ مُّبِينٌ

ওয়া আ-তাইনা-হুম মিনাল আ-য়া-তি মা-ফীহি বালাউম মুবীন।

এবং আমি তাদেরকে এমন নিদর্শনাবলী দিয়েছিলাম যাতে ছিল স্পষ্ট সাহায্য।


34

إِنَّ هَٰٓؤُلَآءِ لَيَقُولُونَ

ইন্না হাউলাই লাইয়াকূলূন।

কাফেররা বলেই থাকে,


35

إِنْ هِىَ إِلَّا مَوْتَتُنَا ٱلْأُولَىٰ وَمَا نَحْنُ بِمُنشَرِينَ

ইন হিয়া ইল্লা-মাওতাতুনাল ঊলা-ওয়ামা-নাহনুবিমুনশারীন।

প্রথম মৃত্যুর মাধ্যমেই আমাদের সবকিছুর অবসান হবে এবং আমরা পুনরুত্থিত হব না।


36

فَأْتُوا۟ بِـَٔابَآئِنَآ إِن كُنتُمْ صَٰدِقِينَ

ফা’তূবিআ-বাইনাইন কনতুম সা-দিকীন।

তোমরা যদি সত্যবাদী হও, তবে আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে নিয়ে এস।


37

أَهُمْ خَيْرٌ أَمْ قَوْمُ تُبَّعٍ وَٱلَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ أَهْلَكْنَٰهُمْ إِنَّهُمْ كَانُوا۟ مُجْرِمِينَ

আহুম খাইরুন আম কাওমুতুব্বা‘ইওঁ ওয়াল্লাযীনা মিন কাবলিহিম আহলাকনা-হুম ইন্নাহুম কা-নূমুজরিমীন।

ওরা শ্রেষ্ঠ, না তুব্বার সম্প্রদায় ও তাদের পূর্ববর্তীরা? আমি ওদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছি। ওরা ছিল অপরাধী।


38

وَمَا خَلَقْنَا ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا لَٰعِبِينَ

ওয়ামা-খালাকনাছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ওয়ামা বাইনাহুমা-লা-‘ইবীন।

আমি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু ক্রীড়াচ্ছলে সৃষ্টি করিনি।


39

مَا خَلَقْنَٰهُمَآ إِلَّا بِٱلْحَقِّ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَهُمْ لَا يَعْلَمُونَ

মা-খালাকনা-হুমাইল্লা বিলহাক্কিওয়ালা-কিন্না আকছারাহুম লা-ইয়া‘লামূন।

আমি এগুলো যথাযথ উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছি; কিন্তু তাদের অধিকাংশই বোঝে না।


40

إِنَّ يَوْمَ ٱلْفَصْلِ مِيقَٰتُهُمْ أَجْمَعِينَ

ইন্না ইয়াওমাল ফাসলি মীকা-তুহুম আজমা‘ঈন।

নিশ্চয় ফয়সালার দিন তাদের সবারই নির্ধারিত সময়।


41

يَوْمَ لَا يُغْنِى مَوْلًى عَن مَّوْلًى شَيْـًٔا وَلَا هُمْ يُنصَرُونَ

ইয়াওমা লা-ইউগনী মাওলান ‘আম মাওলান শাইআওঁ ওয়ালা-হুম ইউনসারূন।

যেদিন কোন বন্ধুই কোন বন্ধুর উপকারে আসবে না এবং তারা সাহায্যপ্রাপ্তও হবে না।


42

إِلَّا مَن رَّحِمَ ٱللَّهُ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلْعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ

ইল্লা-মার রাহিমাল্লা-হু ইন্নাহূহুওয়াল ‘আঝীঝুর রাহীম।

তবে আল্লাহ যার প্রতি দয়া করেন, তার কথা ভিন্ন। নিশ্চয় তিনি পরাক্রমশালী দয়াময়।


43

إِنَّ شَجَرَتَ ٱلزَّقُّومِ

ইন্না শাজারাতাঝঝাক্কূম।

নিশ্চয় যাক্কুম বৃক্ষ


44

طَعَامُ ٱلْأَثِيمِ

তা‘আ-মুল আছীম।

পাপীর খাদ্য হবে;


45

كَٱلْمُهْلِ يَغْلِى فِى ٱلْبُطُونِ

কালমুহলি ইয়াগলী ফিলবুতূন।

গলিত তাম্রের মত পেটে ফুটতে থাকবে।


46

كَغَلْىِ ٱلْحَمِيمِ

কাগালইল হামীম।

যেমন ফুটে পানি।


47

خُذُوهُ فَٱعْتِلُوهُ إِلَىٰ سَوَآءِ ٱلْجَحِيمِ

খুযূহু ফা‘তিলূহু ইলা-ছাওয়াইল জাহীম।

একে ধর এবং টেনে নিয়ে যাও জাহান্নামের মধ্যস্থলে,


48

ثُمَّ صُبُّوا۟ فَوْقَ رَأْسِهِۦ مِنْ عَذَابِ ٱلْحَمِيمِ

ছু ম্মা সুববূফাওকা রা’ছিহী মিন ‘আযা-বিল হামীম।

অতঃপর তার মাথার উপর ফুটন্ত পানির আযাব ঢেলে দাও,


49

ذُقْ إِنَّكَ أَنتَ ٱلْعَزِيزُ ٱلْكَرِيمُ

যুক ইন্নাকা আনতাল ‘আঝীঝুল কারীম।

স্বাদ গ্রহণ কর, তুমি তো সম্মানিত, সম্ভ্রান্ত।


50

إِنَّ هَٰذَا مَا كُنتُم بِهِۦ تَمْتَرُونَ

ইন্না হা-যা-মা-কুনতুম বিহী তামতারূন।

এ সম্পর্কে তোমরা সন্দেহে পতিত ছিলে।


51

إِنَّ ٱلْمُتَّقِينَ فِى مَقَامٍ أَمِينٍ

ইন্নাল মুত্তাকীনা ফী মাকা-মিন আমীন।

নিশ্চয় খোদাভীরুরা নিরাপদ স্থানে থাকবে-


52

فِى جَنَّٰتٍ وَعُيُونٍ

ফী জান্না-তিওঁ ওয়া ‘উইঊন।

উদ্যানরাজি ও নির্ঝরিণীসমূহে।


53

يَلْبَسُونَ مِن سُندُسٍ وَإِسْتَبْرَقٍ مُّتَقَٰبِلِينَ

ইয়ালবাছূনা মিন ছুনদুছিওঁ ওয়া ইছতাবরাকিম মুতাকা-বিলীন।

তারা পরিধান করবে চিকন ও পুরু রেশমীবস্ত্র, মুখোমুখি হয়ে বসবে।


54

كَذَٰلِكَ وَزَوَّجْنَٰهُم بِحُورٍ عِينٍ

কাযা-লিকা ওয়া ঝাওওয়াজনা-হুম বিহূরিন ‘ঈন।

এরূপই হবে এবং আমি তাদেরকে আনতলোচনা স্ত্রী দেব।


55

يَدْعُونَ فِيهَا بِكُلِّ فَٰكِهَةٍ ءَامِنِينَ

ইয়াদ‘ঊনা ফীহা-বিকুল্লি ফা-কিহাতিন আ-মিনীন।

তারা সেখানে শান্ত মনে বিভিন্ন ফল-মূল আনতে বলবে।


56

لَا يَذُوقُونَ فِيهَا ٱلْمَوْتَ إِلَّا ٱلْمَوْتَةَ ٱلْأُولَىٰ وَوَقَىٰهُمْ عَذَابَ ٱلْجَحِيمِ

লা-ইয়াযূকূনা ফীহাল মাওতা ইল্লাল মাওতাতাল ঊলা- ওয়া ওয়াকা-হুম ‘আযা-বাল জাহীম।

তারা সেখানে মৃত্যু আস্বাদন করবে না, প্রথম মৃত্যু ব্যতীত এবং আপনার পালনকর্তা তাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করবেন।


57

فَضْلًا مِّن رَّبِّكَ ذَٰلِكَ هُوَ ٱلْفَوْزُ ٱلْعَظِيمُ

ফাদলাম মির রাব্বিকা যা-লিকা হুওয়াল ফাওঝুল ‘আজীম।

আপনার পালনকর্তার কৃপায় এটাই মহা সাফল্য।


58

فَإِنَّمَا يَسَّرْنَٰهُ بِلِسَانِكَ لَعَلَّهُمْ يَتَذَكَّرُونَ

ফাইন্নামা-ইয়াছছারনা-হু বিলিছা-নিকা লা‘আল্লাহুম ইয়াতাযাক্কারূন।

আমি আপনার ভাষায় কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি, যাতে তারা স্মরণ রাখে।


59

فَٱرْتَقِبْ إِنَّهُم مُّرْتَقِبُونَ

ফারতাকিব ইন্নাহুম মুরতাকিবূন।

অতএব, আপনি অপেক্ষা করুন, তারাও অপেক্ষা করছে।


------

Tags: সূরা আদ দুখান বাংলা উচ্চারণ সহ, সূরা আদ দুখান, সূরা আদ দোখান বাংলা অর্থসহ, সূরা আদ দুখান বাংলা অনুবাদ সহ, সূরা আদ দোখান বাংলা অনুবাদ সহ, সূরা আদ দোখান, সূরা দুখান বাংলা অনুবাদ, surah dukhan bangla uccharon, surah ad-dukhan, surah ad dukhan bangla, surah ad dukhan, surah dukhan bangla anubad, surah dukhan, surah dukhan bangla onubad, surah ad dukhan bangla translation, surah dukhan bangla tafsir, surah dukhan bangla translation