namaz somporke hadis-হযরত রাসূলে করীম (সাঃ) এরশাদ করিয়াছেন: নামায প্রসঙ্গ
হযরত রাসূলে করীম (সাঃ) এরশাদ করিয়াছেন নামায প্রসঙ্গ
namaz somporke hadis
নামায প্রসঙ্গঃ
হুযুরে পাক (সাঃ) হইতে আবদুল্লাহ ইবনে কুরত বলেন, হযরত রাসূলে করীম (সাঃ) এরশাদ করিয়াছেন, সর্বপ্রথম যে বিষয়টি সম্পর্কে আল্লাহ জিজ্ঞাসা করিবেন, তাহা হইল নামায। নামায ঠিকমত যথারীতি আদায় হইলে তাহার সমস্ত কাজই ঠিক হইবে। আর নামায ঠিকমত কায়েম না হইলে তাহার সমস্ত কিছুই বরবাদ ও আকেজো হইয়া যাইবে।
ওবায়দা ইবনে ছামেত (রাঃ) বলেন, হুযুরে পাক (সা) এরশাদ করিয়াছেন, আল্লাহতায়ালা (মানুষের উপর ) পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরজ করিয়াছেন। যে ব্যক্তি ইহার জন্য ঠিকমত অজু করে, ঠিক সময়ে নামায আদায় করে, যথাযথভাবে রুকু-সিজদাহ করে, মনোযোগ ও একাগ্রতার সাথে উহা আদায় করে, তাহার জন্য আল্লাহ ওয়াদাবদ্ধ যে, তাহাকে তিনি মার্জনা করিবেন।
আর যে ব্যক্তির নামাযে ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকে, তাহার জন্য আলাহর কোন ওয়াদা নাই। আল্লাহ তায়ালা ইচ্ছা করিলে তাহাকে শাস্তি ও দিতে পারেন, আবার ইচ্ছা করিলে ক্ষমাও করিতে পারেন।
বেনামাযীর শাস্তি সম্পর্কে এক হাদীসে আসিয়াছে,হুযুরে পাক (সাঃ) এরশাদ করেন যে, যে ব্যক্তি ওয়াক্ত অনুযায়ী নামায আদায় করিল না, তবে উহার কাজা আদায় করিল; এইরূপ ব্যক্তিকে শুধু ওয়াক্ত মত নামায না পড়ার কারণে শাস্তিস্বরূপ এক হোকবা দোজখে জ্বলিতে হইবে।
এক হোকবার পরিমাণ আশি বৎসর। একবৎসর তিনশত ষাট দিনে, কিন্তু কিয়ামতের একদিন দুনিয়ার একহাজার দিনের সমান । এই হিসাবে এক হোকবার পরিমাণ হয় দুই কোটি অষ্ট আশি লক্ষ বৎসর।
অন্য হাদীসে আছে, হুযুরে পাক (সাঃ) এরশাদ করিয়াছেন, যে ব্যক্তি ইচ্ছাপূর্বক নামায় ছাড়িয়া দিল বা আদায় করিল না, সে কুফরী করিল।