(Ya Jal-Jalali Wal Ikram) fozilat : (ইয়া যুল-জালালি ওয়াল ইকরাম) নামের ফায়েদা ও ফজীলত

(ইয়া যুল-জালালি ওয়াল ইকরাম) হে মহাপ্রতাপশালী ও সম্মানিত!

(ইয়া যুল-জালালি ওয়াল ইকরাম) নামের ফায়েদা ও ফজীলত(Ya Jal-Jalali Wal Ikram)

(১) (ইয়া যুল-জালালি ওয়াল ইকরাম) আল্লাহর মহব্বত সৃষ্টি, মান-সম্মান লাভ, মামলায় জয়, স্মরণশক্তি বৃদ্ধির আমল। এই নাম সদা-সর্বদা যিকির করলে অন্তরে গভীরভাবে আল্লাহর মহব্বত সৃষ্টি হয়ে থাকে।

(২) একাধারে একুশদিন পর্যন্ত এই নাম প্রত্যহ এক হাজারবার পাঠ করলে অন্যের নিকট হতে স্নেহ-প্রীতি এবং মান-সম্মান লাভ হয়ে থাকে। স্বামী পড়লে স্ত্রীর নিকট হতে এবং স্ত্রী পড়লে স্বামীর নিকট হতে প্রীতি লাভ করবে। কেবল ভিন্ন ভিন্ন নিয়তের প্রয়োজন হবে।

(৩) মামলায় জয়লাভ করবার জন্য নিম্নোক্তরূপে এই নাম দ্বারা আমল করবে। যথা- তিনজন, পাঁচজন, সাতজন অথবা এগারজন লোক একযোগে বসে এই নাম সোয়া লক্ষবার পাঠ করবে। এটা ফজর কিংবা এশার নামাযের বাদে পড়লে জলদি ফল লাভ হয়। এই খতম আরম্ভের পূর্বে এবং পরে এক হাজারবার করে নিম্নোক্ত দরূদ শরীফ পাঠ করে নিতে হয়। দরূদ শরীফ এই: “আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিস সাবিক্বি লিল খালক্বি নূরুহু অ রাহমাতুল্লিল আলামীন জুহুরুহূ অ বারিক অ সাল্লিম।”

(৪) যার স্মরণশক্তি বিলুপ্ত হয়ে এমন অবস্থা প্রাপ্ত হয় যে, কোন একটি কাজ করে বা কথা বলে পরমুহূর্তেই ভুল বশতঃ তার মনে হচ্ছে যে, এই কাজটি সে করেনি বা ঐ কথাটি সে বলেনি। এমনি অবস্থায় নিম্নোক্ত আমলটি করলে আল্লাহ তাআলা তার স্মরণশক্তি পুনরায় দান করেন।

আমলটির নিয়ম এই:

তিনটি কাবলী বাদামের শাঁসের উপর এই নাম একুশবার পাঠ করে প্রত্যেকটির উপর দম করবে। অতঃপর তার একটি ফজরের পর আর একটি জোহরের পর এবং আর একটি এশার নামাযের পর ভক্ষণ করে শয়ন করবে। এভাবে একাধারে একুশ দিন আমল করলে আল্লাহর ফজলে আবার পূর্বের স্মরণশক্তি ফিরে আসবে। এমনকি পূর্ব থেকেও তা বৃদ্ধি পাবে।

(৫) যে সব রোগী কোন চিকিৎসায় আরোগ্য হচ্ছে না তাদের ক্ষেত্রে এই নাম সম্বলিত নিম্নোক্ত যুক্ত কালাম শরীফ একশবার পাঠ করে পানিতে ফুঁক দিয়ে সেই পানি রোগীকে পান করাবে, এতে আল্লাহর ফজলে শীঘ্রই ঐ রোগী আরোগ্য লাভ করবে। যুক্ত কালাম শরীফ এই:

উচ্চারণ: ইয়া যুল জালালি ওয়াল ইকরামি বিয়াদিকাল খাইরু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর।