allah 99 name fazilot-আল্লাহর ৯৯ নাম ও ফযীলত

আল্লাহর ৯৯ নাম ও ফযীলত

আল্লাহর ৯৯টি নামকে বলা হয় —


আস্মাউল হুসনা (আল্লাহর সুন্দরতম নামসমূহ) 

এই নামগুলো আল্লাহর গুণাবলির প্রতিফলন এবং তা পাঠ করা, মনে রাখা ও অনুধাবন করা এক বিশাল ফজিলতের কাজ।

আল্লাহ তায়ালা সূরা আরাফের ১৮০ নং আয়াতে ঘোষণা করেন-

আর আল্লাহর জন্য রয়েছে সর্ব উত্তম নাম। কাজেই সে সব নাম ধরেই তাঁকে ডাক। আর তাদের বর্জন কর, যারা তাঁর নামের ব্যাপারে বাঁকা পথে চলে। তারা নিজেদের কৃতকর্মের ফল শীঘ্রই পাবে।

হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলে কারীম (সাঃ) এরশাদ করেছেন : আল্লাহর নিরানব্বইটি নাম আছে। যে কেউ ঐ নামগুলোকে পূর্ণরূপে সংরক্ষণ করতে পারবে, সে বেহেশতে প্রবেশাধিকার লাভ করতে পারবে। (মিশকাত শরীফ)

হাদিসে হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর চরিত্রের বর্ণনা করেছেন যে; “আল্লাহ তালার ৯৯টি নাম আছে; ব্যক্তিকে মুখস্থকারী ব্যক্তি জান্নাতে দেখবে। 


রাসূল ﷺ বলেছেন:

“আল্লাহর ৯৯টি নাম রয়েছে, যে ব্যক্তি সেগুলো মুখস্থ রাখবে (মনে রাখবে, বুঝবে, আমল করবে), সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।”

সহীহ বুখারি ও মুসলিম

আল্লাহর নাম বারবার পাঠে আত্মা শান্ত হয়।

"নিশ্চয়ই আল্লাহর স্মরণে হৃদয় প্রশান্ত হয়।” (সূরা রাদ ১৩:২৮)


দুআর শুরুতে আল্লাহর গুণবাচক নাম উচ্চারণ করলে দুআ কবুলের সম্ভাবনা বাড়ে।

আল্লাহর নাম পাঠ এক ধরণের জিকির। আর জিকির পাপ মোচনের মাধ্যম।


আর-রাহমান-পাঠে দয়ালুতা লাভ হয়

আল-গফুর-পাপ মোচনকারী নাম

আস-সালাম-পাঠে শান্তি ও নিরাপত্তা লাভ হয়

আল-রায্জাক-রিযিক বৃদ্ধির জন্য পাঠ করা হয়

আল-হাকিম-বুদ্ধি ও হিকমতের জন্য

আল্লাহর নামগুলো শুধু মুখে বলা নয়, বরং তার অর্থ বোঝা, হৃদয়ে ধারণ করা এবং জীবনে প্রতিফলন ঘটানোই হলো প্রকৃত "আস্মাউল হুসনা"র মর্যাদা।