Grape-আঙ্গুর ফলে মাদকতা সৃষ্টির কারণ

angur phale madak sristir karon


আঙ্গুর ফলে মাদকতা সৃষ্টির কারণ। 

সকল বৃক্ষের বীজ ও চারা যমিনে লাগান হইল, কিন্তু জাহাজে আঙ্গুর বৃক্ষের চারা খুঁজিয়া পাওয়া গেল না। হযরত নূহ (আঃ) উহা তালাস করিতে করিতে হয়রান হইয়া গেলেন। অবশেষে ফেরেশতা জিব্রাঈল (আঃ) আসিয়া তাঁহাকে খবর জানাইলেন যে, আঙ্গুর গাছের চারা ইবলীস কতক অপহৃত হইয়াছে।

হযরত নূহ (আঃ) ইবলীসকে বলিলেন, ইবলীস! তুই আঙ্গুর চারা অপহরণ করিয়াছিস। শীঘ্র উহা আনিয়া দে । | ইবলীস জবাব দিল, আমি উহা আনিয়া দিতে পারি, তবে আপনাকে আমার একটি কথা মানিতে হইবে ।

হযরত নূহ (আঃ) বলিলেন, তোর এমন কি কথা রহিয়াছে, যাহা আমাকে মানিয়া লইতে হইবে? | ইবলীস বলিল, আপনার আঙ্গুরের চারা লাগাইবার পরে আপনি উহাতে একদিন পানি দিবেন আর আমি তিনদিন পানি দিব । হযরত নহ (আঃ) বলিলেন, আচ্ছা তাহা দিস। এখন চারা আনিয়া দে। | 

ইবলীস চারা আনিয়া দিল । হযরত নূহ (আঃ) উহা যমিনে রোপণ করিয়া নিজে একদিন পানি দিতে লাগিলেন এবং ইবলীস তিনদিন পানি দিতে শুরু করিল । তৰে ইবলীস কিন্তু আসলে পানি দিত না। সে পানির বদলে শূকর, ব্যাঘ্র এবং শৃগালের রক্ত আঙ্গুর চারার গোড়ায় ঢালিতে লাগিল।

হযরত নহ (আঃ)- এর দেওয়া পানির তাছীরে আঙ্গুর ফল মিষ্টি হইল এবং ইবলীসের দেওয়া উক্ত তিন জন্তুর রক্তের তাছীরে আঙ্গুর ফলে মাদকতা সৃষ্টি হইল। যার ফলে আঙ্গুরের রস দ্বারা শরাব তৈরীর প্রচলন আরম্ভ হইয়া গেল। বস্তুতঃ শরাব পানকারীর স্বভাব ঐ তিন জন্তুর রক্তের প্রভাবে প্রথমে শৃগালের মত, তারপরে ব্যাঘ্রের মত এবং সর্বশেষ শূকরের মত হইয়া থাকে ।