ব্ল্যাকহোলের অজানা রহস্য- Black Hole in Bangla

কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাকহল এ মহাবিশ্বের এমন এক গ্রহ যার মধ্যে রয়েছে অজানা রহস্য। ব্ল্যাকহল সম্পর্কে সর্ব প্রথম যে বিজ্ঞানী ধারণা দেন তার নাম প্রফেসর জন মিশেল (১৭২৪-১৭৯৩)। তিনি ক্যাম্ব্রিয়ান ইউনিভার্সিটি একজন শিক্ষক ছিলেন । তিনি ২৭ নভেম্বর ১৭৮৩ সালে ব্ল্যাকহল সম্পর্কে তিনি বিশ্ববাসীকে প্রথম জানান। ওনার পরে ১৭৯৬ ফ্রান্স এর আরেক বিজ্ঞানী পিয়েরে-সাইমন ল্যাপ্লেস(১৭৪৯- ১৮২৭) ওনার লেখা বইতে দ্য সিস্টেম অফ দ্যা ওয়ার্ল্ড বিস্তারিত বর্ণনা করেন ব্ল্যাক হল সম্পর্কে। ব্ল্যাকহল মহাবিশ্বের এমন এক অংশ যার মধ্য আকষণ বল এত বেশি যে এর মধ্যে আলোক রোশনিও প্রবেশ করতে পারে না এবং এর আশে পাশে সকল গ্রহ নক্ষএ ব্ল্যাক হল গিলে খেয়ে ফেল। তাই নয় ব্ল্যাকহল এর সামনে সময় এর প্রভাবও ধীরে ধীরে চলতে থাকে,যা বলতে গেলে সময় বন্ধ হয়ে যাওয়ার মত।

ব্ল্যাকহোল এমন একটি স্থান যেখানে কোন পদার্থ বিজ্ঞানের আইনও কাজ করে না। এখানে কেবল প্রচন্ড মহাকর্ষ বল এবং অন্ধকার আছে। এর মাধ্যাকর্ষণ এতটাই শক্তিশালী যে আপনি এটি কল্পনাও করতে পারবেন না। এর প্রসারিত বল দ্বারা এটি আলোকও শোষণ করে। এর অর্থ হল আপনি এতে যা রেখেছেন তা আর বের হবে না। আপনি ধরুন যে, যখন আমরা একটি টর্চলাইট দিয়ে আলো করি, তখন সেই আলোটি আমাদের চোখের প্রতিফলিত হয়, তবে কেবল সেই জিনিসটি আমাদের কাছে দৃশ্যমান হয়, কিন্তু আলোটি যদি ফিরে না আসে, তবে সেই জায়গাটি একটি ব্ল্যাকহোল গ্রহের এর মতোই কাজ করবে।

যখন কোনও বড় নক্ষত্র তার শেষ প্রান্তে পৌঁছে তখন তা নিজের মধ্যেই ধসে পড়ে। ধীরে ধীরে এটি একটি বিশাল ব্ল্যাকহোল হয়ে যায় এবং এর মহাকর্ষ শক্তি এত বেড়ে যায় যে তার প্রভাবের ক্ষেত্রের প্রতিটি গ্রহ এটির দিকে টানে। সে নিজের মধ্যে সবকিছু গিলে ফেলতে চাই, এর এই প্রভাবের অঞ্চলটিকে ইভেন্ট হরিজন বলে।

আচ্ছা ধরুন আপনি ব্ল্যাকহলে এতে পড়ে যান, তবে আপনার কি কি হতে পারে? চলুন গবেষণা করি
প্রথম সম্ভাবনা: ব্ল্যাকহোলের চারপাশে একটি সীমানা রয়েছে। সেই সীমানাটিকে ইভেন্ট দিগন্ত বলা হয়। এতে যে জিনিস গুলি পরে তা আর বের হতে পারে না। আপনি যদি কোন ব্ল্যাকহোলের ইভেন্ট দিগন্ত সীমানার মধ্যে পড়েন তবে হকিং রেডিয়েশনের সূত্র অনুসারে, সেখানে পৌঁছার আগেই আপনি পুড়ে মারা যাবেন।

দ্বিতীয় সম্ভাবনা: আপনি যদি ইভেন্ট হোল অর্থাৎ ব্ল্যাকহোলের মাধ্যাকর্ষণ সীমাটির কাছাকাছি চলে আসেন, তার প্রসারিত হওয়ার কারণে আপনার শরীরটি অসাধারণ লম্বা, প্রশস্ত এবং বিকৃত হয়ে যাবে এবং আপনি এই পরিস্থিতিতে মারা যাবেন।

তৃতীয় সম্ভাবনা: আপনি যদি কোনও ক্ষয়ক্ষতি না নিয়েই ব্ল্যাকহোলের মধ্যে আটকা পড়ে থাকেন তবে এখানে পৌঁছানোর পরে কী হবে তা কেউ জানে না, আপনি বাঁচতেও পারেন বা মরতেও পারেন । কিন্তু এ কথা সত্য সেখানে আপনার বয়স বাড়বে না।

চতুর্থ সম্ভাবনা: আপনি যদি ব্ল্যাকহোলের মধ্যে কোন ক্ষয়ক্ষতি ছাড়ায় পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে যদি ব্ল্যাকহোল আকারে ছোট হয় তবে আপনার সেখানে সমস্যা হতে পারে। মাধ্যাকর্ষণ শক্তিটি তখন আপনার মাথার চেয়ে পায়ে বেশি অনুভূত হবে।
তবে ওপর দিকে ধরুন যে এই ব্ল্যাকহোলটি আমাদের সূর্যের চেয়ে অনেক বড়, তবে আপনার সেখানে সমস্যা হব। আপনি ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় মারা না যাওয়া পর্যন্ত আপনি আপনার পুরো জীবন সাধারণভাবে সেখানে কাটাতে পারেন।
তবে এটিতে একটি সমস্যা রয়েছে যে বৃহৎ ব্ল্যাকহোলগুলিতে স্থান এবং সময়ের কোন পরিবর্তন হবে না। আপনার কোন ইচ্ছাই সেখানে কাজ করবে না। আপনি লড়া ছড়া চিন্তা ভাবনা কিছুই করতে পারবেন না।





Tags: black hole in bangla, what is black hole in bangla, black hole bangla, black hole in bengali, black hole theory in bangla, from solar dust to black hole in bangla, blackhole in bangla, black hole bengali, ব্ল্যাকহোল,ব্ল্যাকহোল কি?, ব্ল্যাকহোল রহস্য, ব্ল্যাকহোল সম্পর্কে, ব্ল্যাকহোল কি, ব্ল্যাকহোল কেমন, মহাবিশ্বের ব্ল্যাকহোল, ব্লাকহোল, ব্ল্যাকহোলের ইতিহাস, ব্ল্যাকহোল এর অস্তিত্ব কোথায়, ব্ল্যাকহোল কী, দানবীয় ব্ল্যাকহোল, ব্ল্যাকহোল এর রহস্য, ব্ল্যাকহোল আবিস্কার, ব্ল্যাকহোল এর মহাকর্ষ বল, ব্ল্যাকহোল নিয়ে আলোচনা, ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর কি?, ব্ল্যাকহোল সৃষ্টির রহস্যভেদ