ফোরজি (4G) ও ফাইভজি (5G) ফোনের পার্থক্য কী?

ফোরজি আর ফাইভজি ফোনের পার্থক্য কী?

ফোরজি (4G) ও ফাইভজি (5G) ফোনের মূল পার্থক্যগুলো হলো গতি, ব্যান্ডউইথ (bandwidth), ল্যাটেন্সি (latency), এবং একই সময়ে সংযুক্ত ডিভাইসের সংখ্যা। ফাইভজি, ৪জি-র চেয়ে অনেক বেশি দ্রুত ডেটা সরবরাহ করতে পারে, যা উন্নত ও দ্রুত ইন্টারনেট অভিজ্ঞতা দেয়। এটি অনেক বেশি ডেটা গ্রহণ করতে পারে এবং কম সময়ে বেশি ডেটা দিতে পারে, যা ৪জি-তে সম্ভব নয়। 


ফোরজি আর ফাইভজি ফোনের পার্থক্য

প্রধান পার্থক্যসমূহ

গতি: ফাইভজি নেটওয়ার্ক ৪জি-র চেয়ে অনেক দ্রুত গতিতে ডেটা ডাউনলোড ও আপলোড করতে পারে। 

ব্যান্ডউইথ: ফাইভজি-তে ৪জি-র চেয়ে অনেক বেশি ব্যান্ডউইথ বা ডেটা গ্রহণ ও স্থানান্তরের ক্ষমতা থাকে, যা ডেটা-ইনটেনসিভ অ্যাপ্লিকেশন ও মাল্টিমিডিয়া সেবা সক্ষম করে। 

ল্যাটেন্সি (প্রতিক্রিয়া সময়): ফাইভজি-র ল্যাটেন্সি অনেক কম, অর্থাৎ ডেটা পাঠানো ও পাওয়ার মধ্যে প্রতিক্রিয়া সময় অনেক দ্রুত হয়। ৪জি-র তুলনায় ফাইভজি আরও দ্রুত প্রতিক্রিয়া দিতে সক্ষম। 

সংযোগের ঘনত্ব: ফাইভজি নেটওয়ার্ক ৪জি-র চেয়ে বেশি সংখ্যক ডিভাইসকে একই সাথে সংযুক্ত করতে পারে, ফলে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা ও ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT) এর জন্য এটি খুবই উপযোগী। 

প্রযুক্তি: ৪জি মূলত ভয়েস ও ডেটা পরিষেবার জন্য তৈরি হয়েছিল, যেখানে ফাইভজি আরও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে, যা উচ্চ-গতির ইন্টারনেট ও আরও অনেক আধুনিক সেবা দিতে পারে। 

কোনটি আপনার জন্য ভালো?

আপনি যদি একটি ৪জি ফোন ব্যবহার করেন, তাহলে ফাইভজি নেটওয়ার্ক চালু হলেও আপনার ফোনের ৪জি নেটওয়ার্ক বন্ধ হবে না। তবে, ফাইভজি নেটওয়ার্কের সুবিধা পেতে হলে আপনার একটি ৫জি সমর্থিত ফোন প্রয়োজন হবে। 


আরো সহজভাবে-

ফোরজি (4G) আর ফাইভজি (5G) দুটোই মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি, কিন্তু এদের মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য আছে।


গতি (Speed)

4G: সাধারণত ১০–১০০ Mbps (মেগাবিট পার সেকেন্ড) পর্যন্ত গতি পাওয়া যায়।

5G: ১–১০ Gbps (গিগাবিট পার সেকেন্ড) পর্যন্ত যেতে পারে, মানে ৪জি থেকে ১০–১০০ গুণ দ্রুত।


ল্যাটেন্সি (Latency) – অর্থাৎ সার্ভার থেকে রেসপন্স আসতে সময় নেওয়া

4G: প্রায় ৩০–৫০ মিলিসেকেন্ড।

5G: মাত্র ১–১০ মিলিসেকেন্ড, প্রায় তাৎক্ষণিক রেসপন্স।


নেটওয়ার্ক ক্ষমতা (Capacity)

4G: অনেক ইউজার থাকলে নেটওয়ার্ক স্লো হয়ে যায়।

5G: অনেক বেশি ডিভাইস একসাথে যুক্ত হলেও দ্রুত সাপোর্ট দিতে পারে (IoT ডিভাইস, স্মার্ট সিটি ইত্যাদির জন্য দরকার)।


প্রযুক্তি (Technology)

4G: মূলত LTE (Long Term Evolution) টেকনোলজির ওপর ভিত্তি করে।

5G: নতুন রেডিও ওয়েভ ব্যান্ড (মিলিমিটার ওয়েভ, Sub-6 GHz ইত্যাদি) ব্যবহার করে, যেখানে বেশি স্পিড আর কম ল্যাটেন্সি সম্ভব।


ব্যবহার ক্ষেত্র (Use Cases)

4G: ভিডিও স্ট্রিমিং, সোশ্যাল মিডিয়া, অনলাইন গেমিং ইত্যাদি।

5G: ভার্চুয়াল রিয়ালিটি (VR/AR), সেলফ-ড্রাইভিং গাড়ি, স্মার্ট ফ্যাক্টরি, দূর থেকে রোবট কন্ট্রোল, হাই-এন্ড গেমিং ইত্যাদি।


সহজ করে বললে:

4G = দ্রুত ইন্টারনেট, ভিডিও দেখার জন্য যথেষ্ট।

5G = আলট্রা-ফাস্ট, খুব কম ল্যাটেন্সি, ভবিষ্যতের স্মার্ট টেকনোলজির জন্য তৈরি।