শাবান মাসের ফযিলত ও আমল-Saban Maser Fojilot Amol

শাবান মাসের ফযিলত ও আমল

আরবি বছরের অষ্টম মাস হল শাবান । এই মাসের ফযিলত ও বরকত অন্যান্য মাসের তুলনায় এক বিশিষ্ট স্থান দখল করে আছে। এই মাসে এমন একটি পবিত্র রাত রয়েছে যার মর্যাদা সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে ও হাদীসে অনেক বর্ণনা পাওয়া যায় । এ মাস ঈমানদারগণের সংযম, ত্যাগ, আত্মশুদ্ধি ও পবিত্রতা অর্জনের সবক দিয়ে যায়, যার সুষ্ঠু প্রতিফলন পবিত্র রমজানের মাধ্যমে পরিপূর্ণরূপে ঘটে থাকে। শবে বরাতের অমূল্য স্মৃতিকে বুকে ধারণ করেছে বলেই শাবান মাস মর্যাদার উচ্চ শিখরে আরোহণ করতে সক্ষম হয়েছে।

শবে বরাতে নফল ইবাদত-বন্দেগী করলে অসীম সওয়াব লাভ করা যায়। নিচের কতিপয় সহজ তরীকা সহৃদয় পাঠক ও পাঠিকাগণের সামনে তুলে ধরা হল । আশা করি আপনাদের আমলের জন্য ইহা সর্বোত্তম বলে বিবেচিত হবে।

১। হাদীস শরীফে আছে— হযরত (সাঃ) এরশাদ করেছেন—যদি কেউ শাবান মাসে খালেসভাবে তিন হাজার বার দরূদ শরীফ পাঠ করে, তবে তার শাফায়াতের পূর্ণ  দায়িত্ব আমার উপর বর্তাবে। 

কোন কোন বুজুর্গ নিচের দরূদ শরীফটি পড়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন, যত প্রকার দরূদ শরীফ আছে, তন্মধ্যে এই দরূদটি সর্বোত্তম।


উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা ছাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিউ অ আলা আলি ছাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন কামা ছাল্লাইতা আলা ইব্রাহীমা অ আলা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজ্বীদ; আল্লাহুম্মা বারিক ‘আলা ছাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিউ অ আলা আলি ছাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন কামা বারাকতা আলা ইব্রাহীমা অ আলা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মজুদ।

২। হাদীস শরীফে আরো আছে, আঁ হযরত (সাঃ) এরশাদ করেছেন, শাবান মাসের  যে কোন জুমার দিন যদি কেউ দুই দুই রাকআতের নিয়তে নিচের নিয়ম অনুসারে চার রাকআত নফল নামাজ আদায় করে, তবে সে একটি হজ্জ্ব ও একটি ওমরার সওয়াব লাভে ধন্য হবে । উক্ত নামাজের প্রত্যেক রাকআতে সূরা ফাতেহার পর সূরা ইখলাস ত্রিশবার পাঠ করবে। তবে নামাজের শেষে একশতবার দরূদ শরীফ পাঠ করা খুবই ভালো।

৩। মহান সাধক হযরত আবুল কাসেম আফফার (রহঃ) হতে একটি সুন্দর কাহিনী বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, একদা আমি স্বপ্নযোগে নবী-নন্দিনী খাতুনে জান্নাত হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর সাক্ষাৎ লাভ করলাম । আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, হে ফাতেমা (রাঃ)! কোন জিনিস আপনার পবিত্র রূহের উপর বখশিশ করলে আপনি অধিক খুশি ও আনন্দ লাভ করেন? প্রত্যুত্তরে বিবি ফাতেমা (রাঃ) বললেন-হে আবুল কাসেম ! শাবান  মাসে আট রাকআত নফল নামাজ পাঠ করা আমি বেশি পছন্দ করে থাকি। নিচের নিয়মে এই নামাজ আদায় করতে হয়।

এই আট রাকআত নফল নামাজের নিয়ত এক সঙ্গে করবে এবং দুই দুই রাকআতের শেষ বৈঠকে শুধু কেবল ‘আত্তাহিয়্যাতু আবদুহু অ রাসূলুহু পর্যন্ত পাঠ  করবে। দরূদ ও দোয়ায়ে মাছুরা পাঠ করবে না; বরং শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ, দরূদ ও দোয়ায়ে মাছুরা পাঠ করে সালাম ফিরাবে । আর এর প্রত্যেক রাকআতে সূরা ফাতেহার পর সূরা ইখলাস এগারো বার পাঠ করবে । 

বিবি ফাতেমা (রাঃ) আরো বললেন—উপরোক্ত নিয়মে নামাজ শেষ করার পর কেউ যদি এর সওয়াব আমার রূহের উপর বখশে দেয়, তাহলে আমি অত্যন্ত সন্তুষ্ট হই এবং তার জন্য সুপারিশ না করা পর্যন্ত আমি পবিত্র বেহেশতে কদম রাখব না ।

৪। আর এক বর্ণনায় পাওয়া যায় যে, যদি কেউ শাবান মাসে একাধারে দুদিন নফল রোজা রাখে এবং দশ রাকআত নফল নামাজ দুই দুই রাকআতের নিয়তে এমনভাবে আদায় করবে যেন এর প্রত্যেক রাকআতে  সূরা ফাতিহার পর সূরা ইখলাস তিনবার পাঠ করা হয় এবং প্রত্যেক দুই রাকআতে সালাম ফিরানোর পর একশত বার দরূদ পাঠ করা হয়। এই নিয়মে নামাজ আদায়কারীর সমস্ত সগীরা গুনাহ মাফ হয়ে যায় এবং দুনিয়া ও আখেরাতে আল্লাহ পাক তাকে সৌভাগ্যশালী করেন।











-----------

Tags: শাবান মাসের আমল, শাবান মাসের ফজিলত, শাবান মাসের ফজিলত ও আমল, শাবান মাসের দোয়া, শাবান মাসের রোজা, শাবান মাস, শাবান মাসের ফজিলত ওয়াজ, রজব ও শাবান মাসের দোয়া, শাবান মাসের দোয়া, শাবান মাসের, শাবান মাসের রোজার ফজিলত, জুমার ববয়ান শাবান মাসের আমল, শাবান মাসের ফযিলত ও আমল#, শাবান মাসের গুরুত্ব, শাবান মাসের ফজিলত ও করণীয় আমল, শাবান মাসের আমল ও ফজিলত, শাবান, শাবান মাসের ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা, শাবান মাসের সিয়াম ও তার ফযিলত, 

saban maser amol, shaban maser fojilot, shaban maser amol, saban maser dowa, shaban maser roja, shaban msaer amol, saban maser dua, shaban mas, shaban masher amol, saban masher 4 ti amol, saban mash er amol, saban maser roja, shaban maser dua, saban mas kon kon amol korbo, saban ki roja