জামাআতে নামায আদায়ের জন্য জ্ঞাতব্য-Jamate Namaj

জামাআতে নামায আদায়ের জন্য জ্ঞাতব্য

সাহাবা (রাঃ) তাবেঈন এবং ফুকাহাদের মধ্যে এক দল জামাআতে নামায পড়াকে  ওয়াজিব বলেছেন এবং তা পরিত্যাগ করাকে কঠিন পাপ বলে অভিহিত করেছেন। কোন  কোন সাহাবা (রাঃ) তো শরীয়তসম্মত ওজর ব্যতীত জামাআতহীন নামায জায়েয নয় বলেই মন্তব্য করেছেন। যারা জামাআতে নামায পড়া ওয়াজিব হওয়ার প্রবক্তা তাদের  দলিল হলো  সূরা বাক্বারার ৪৩ নং আয়াত।

এছাড়া কতক হাদীস দ্বারাও জামাআত ওয়াজিব বলে বুঝা যায় যেমন—

“মসজিদের প্রতিবেশিগণের নামায মসজিদ ছাড়া অন্য কোথাও জায়েয নয়।” আর মসজিদের নামায অর্থ যে জামাআতের নামায এ কথা সুস্পষ্ট। সুতরাং শব্দগতভাবে হাদীসের অর্থ এই যে, মসজিদের নিকটস্থ অধিবাসীদের নামায জামাআত ব্যতীত জায়েয নয় ।

মুসলিম শরীফে বর্ণিত আছে যে, একজন অন্ধ সাহাবী হুযূর পাক (সাঃ)-এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে আরজ করলেন: আমাকে মসজিদে পৌঁছাতে এবং সেখান থেকে নিয়ে যেতে পারে, আমার সাথে এমন কোন লোক নেই । যদি আপনি অনুমতি দেন, তবে ঘরে বসেই নামায পড়বো। হুজুর পাক (সাঃ) প্রথমে তাকে অনুমতি দিলেন, কিন্তু রওনা হওয়ার সময় জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের বাড়ি থেকে আযান শোনা যায় কি? সাহাবী (রাঃ) আরজ করলেন, আযান তো অবশ্যই শুনতে পাই। হুযূর পাক (সাঃ) বললেন তাহলে তোমার জামাআতে শরীক হওয়া কর্তব্য। অন্য রেওয়ায়েতে আছে, তিনি বললেন: তাহলে তোমার জন্য অন্য কোন সুযোগ বা অবকাশ দেখতে পাই না।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, হুযূর পাক (সা ইরশাদ করেছেনঃ “কোন ব্যক্তি আযান শোনার পর শরীয়ত সম্মত ওজর ব্যতীত যদি জামাআতে উপস্থিত না হয়, তবে তার নামায হবে না।"

এসব হাদীসের ভিত্তিতে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ, আবু মুসা আশআরী প্রমুখ সাহাবী (রাঃ) ফতওয়া দিয়েছেন, যে ব্যক্তি মসজিদের এত নিকটে থাকে, যেখানে থেকে আযানের আওয়াজ শোনা যায়, শরীয়তসম্মত কারণ ছাড়া সে যদি জামাআতে শরীক না হয়, তবে তার নামায আদায় হবে না। (আওয়াজ শোনার অর্থ- মধ্যম ধরনের স্বরের অধিকার লোকের আওয়াজ যেখানে পৌঁছাতে পারে। যন্ত্র বর্ধিত আওয়াজ বা অসাধারণ উঁচু আওয়াজ ধর্তব্য নয় ।)

উপরোক্ত রেওয়ায়েত জামাআত ওয়াজিব হওয়ার প্রবক্তাগণের স্বপক্ষে দলিল। কিন্তু অধিকাংশ ওলামা, ফুকাহা, সাহাবা ও তাবেঈনের মতে জামাআত হলো  সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। কিন্তু ফজরের সুন্নাতের ন্যায় সর্বাধিক তাগিদপূর্ণ সুন্নাত ওয়াজিবের একেবারে নিকটবর্তী।

মোট কথা, কেউ রোগব্যাধি প্রভৃতি কোন শরীয়ত স্বীকৃত কারণ ছাড়া জামাআতে শরীক না হয়ে একাকী নামায পড়লে তার নামায হয়ে যাবে, কিন্তু সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ ছেড়ে দেয়ার দরুন শাস্তিযোগ্য অপরাধে অপরাধী হবে। অথচ যদি জামাআত ছেড়ে  দেয়াকে অভ্যাসে পরিণত করে নেয়, তবে মস্ত বড় পাপী হবে। বিশেষত যখন এমন অবস্থা হয় যে, মানুষ ঘরে বসে নামায পড়ে আর মসজিদ বিরান হতে থাকে, তখন এরা সবাই শরীয়ত অনুযায়ী শাস্তির যোগ্য হবে। আল্লামা কাযী আয়ায (রহঃ) বলেছেন, এসব লোককে বুঝানোর পরেও যদি ফিরে না আসে, তবে এদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা আবশ্যক হবে।









------------

Tags:জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম, নামায, জামাতে নামাজ পড়ানোর নিয়ম, জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম, জামাতে নামাজ ছুটে গেলে, জামাতে নামাজ আদায়ের ফজিলত, জামাতে নামাজ আদায় করার সঠিক নিয়ম, জামাতে নামাজ আদায়ের গুরুত্ব, নামাজ, জামাতে ফরজ নামাজ আদায়ের নিয়ম, জামাআত নামায, জামাতে নামায, জামাতে সালাত আদায়ের গুরুত্ব, নামাযের জামাআত আদায়, জামাআতে, জামাতে নামাজ, জামাআতে নামাজ পড়ার নিয়ম, জামাআতে নামাজ ছুটে গেলে, ফজরের নামায জামাআতে আদায় করার গুরুত্ব, জামাআতে নামাজ পড়ার ফযিলত, 

jamate namaj porar niyom, namaj, jamate namaj porar niom, jamate namaj porar niyot, namaj porar niyom, jamat namaz porar niom, jamate namaz porar niom, jamate namaz pora ki sunnat?, jamate namaz porar niyom, imamer picone kivabe namaj porte hoy, jamate namaz porar fojilot, jamate namaj, imamer pichone namaz porar niom, jamate namaz, namaz, emamer picone namaje sura fatiha pora lagbe ki na, namaj porar niom, jamate namaz chute gele kivabe baki namaz porbo