জামাআতের ফজিলত-jamate namaz porar fojilot

জামাআতের ফজিলত

জামাআতে নামাযের ফজীলত সম্পর্কে নবী করীম (সাঃ) ইরশাদ করেছেন:

 জামাআতের নামায একা নামায অপেক্ষা সাতাশ গুণ বেশি মর্তবা রাখে।

হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (সাঃ) কিছু লোককে কোন নামাযে উপস্থিত না পেয়ে বললেন: আমি চাই যে, কাউকে নামায পড়ানোর আদেশ  করি এরপর নিজে সেই লোকদেরকে তালাশ করি, যারা নামাযে আসে না, তারপর তাদের ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেই।

অন্য রেওয়ায়েতে আছে: যারা নামাযে না এসে বসে থাকে, আমি তাদের কাছে  যেতে চাই। তাদের কেউ যদি জানে, সে মাংসল হাড্ডি অথবা ছাগলের রান পাবে, তবে সে অবশ্যই এশার নামাযে আসবে ।

হযরত উসমান (রাঃ)-এর রেওয়ায়েতে আছে: যে ব্যক্তি এশার নামাজের জামাআতে হাজির হয়, সে যেন অর্ধ রাত পর্যন্ত নফল ইবাদত করল। আর যে  ফজরের নামাযে উপস্থিত হয়, সে যেন পূর্ণ এক রাত নফল ইবাদত করল।

আরো ইরশাদ হয়েছে: যে ব্যক্তি জামাআতে নামায পড়ে, তার বক্ষ ইবাদত দ্বারা পূর্ণ হয়ে যায়।

হযরত সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যেব বলেন: বিশ বছর যাবত আমার অবস্থা এই যে, যখন মুয়াযযিন আযান দেয় তখন আমি সেজদার মধ্যেই থাকি।

মুহাম্মদ ইবনে ওয়ালে বলেন: আমি দুনিয়াতে কেবল তিনটি বস্তু কামনা করি: (১) ভাই, আমি বাঁকা হলে সে আমাকে সোজা করবে। (২) হালাল ও অন্যের হক থেকে মুক্ত খাদ্য। (৩) জামাআতের সাথে নামায ।

বর্ণিত আছে, হযরত আবু উবাইদা (রাঃ) একবার কিছু লোকের ইমাম হয়ে নামায  পড়লেন, তিনি সালাম ফিরিয়ে বললেন: এ সময় শয়তান আমার পেছনে লেগেছিল । ফলে আমি জানলাম যে, আমি অন্যদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। আজ থেকে আমি আর কখনো ইমামতি করব না।

হযরত হাসান বসরী (রহ) বলেনঃ যে ব্যক্তি আখেরাতমুখী আলেমদের কাছে  আসা-যাওয়া করে না, তার পেছনে নামায পড়ো না।

ইমাম নখয়ী (রহঃ) বলেন: যে ব্যক্তি ইলম ছাড়াই ইমামতি করে, সে যেন সমুদ্রের পানি পরিমাপ করে, যা কম কিংবা বেশি এ সম্পর্কে কিছুই জানে না।

হযরত হাতেম আছাম (রহঃ) বলেনঃ আমি একবার জামাআতে নামায পাইনি। এ জন্য বেল আবু ইসহাক বোখারী (রহঃ) এসে আমার কাছে শোক প্রকাশ করলেন যে, যদি আমার ছেলে মারা যেত, তবে ১০,০০০ লোক এসে শোক প্রকাশ করত। আসলে ধর্মীয় বিপদ মানুষের কাছে দুনিয়ার বিপদের তুলনায় সহজ।

হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন: যে ব্যক্তি আযান শুনে নামাযের জামাআতে হাজির হয় না, সে কল্যাণ কামনা করে না এবং তার কাছ থেকেও কোন কল্যাণ আশা করা যায় না।

হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন: আযান শুনে নামাযে না আসার চেয়ে সেই ব্যক্তির কানে গালা ঢেলে দেয়া উত্তম।

বর্ণিত আছে যে, মায়মূন ইবনে মাহরান মসজিদে, একে কেউ বললো: লোকেরা নামায পড়ে চলে গেছে। তিনি বললেন: ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন। এ জামাআতের ফজীলত আমার কাছে ইরাকের রাজত্ব লাভের তুলনায় অধিক পছন্দনীয়।

নবী করীম (সাঃ) ইরশাদ করেনঃ যে ব্যক্তি ৪০ দিন সবগুলো নামায জামাআতের সাথে এমনভাবে পড়ে যে, তাতে তাকবীরে তাহরীমা ফওত হয় না, তবে তার জন্য আল্লাহ তাআলা দুটি মুক্তি লিখে দেন। একটি কপটতা থেকে মুক্তি ও অপরাট জাহান্নাম থেকে মুক্তি। 




------------

Tags: জামাআতের সহিত নামাজ আদায়ের ফজিলত, জামাতে নামাজ আদায়ের ফজিলত, জামাআতের সহিত নামাজ আদায়ের ফজিলত, জামাতে নামাজ পড়ার ফজিলত, জামাআতে নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত।, জামাতে নামাজ আদায় করার ফজিলত, ৪০ দিন জামাতে নামাজ পড়ার ফজিলত, চল্লিশ দিন জামাতে নামাজ পড়ার ফজিলত, নামাযের ফজিলত, জামাআত, 

jamate namaz porar fojilot, namaj, namajer gurutto o fojilot, jamate namaj porar niyot, jamat namaz porar niom, jamate namaj porar niom, jamate namaz porar niyom,