Namaz History Bangla-নামায ফরজ হল যেভাবে

Namaz History Bangla-


নামায ফরজ হল যেভাবে 


ইসলামের সমূহ ফরায়েজ রোযা, যাকাত, হজ্জ ইত্যাদি ভূ-পৃষ্ঠে ফরজ করা হয়েছে এবং নামায আসমানেই নয় বরং আল্লাহর আরশে মহান রাব্বুল আলামীনের বিশেষ  উপস্থিতিতে মুখোমুখি আলাপের মাধ্যমে ফরজ হয়েছে। সুতরাং যেভাবে নামাযের গুরুত্ব দেয়া হয়েছে তেমন গুরুত্ব অন্য কোন ইবাদতে দেয়া হয়নি। পবিত্র কুরআন ও হাদীসে যেভাবে নামাযের ব্যাপারে তাগিদ করা হয়েছে, সেভাবে অন্য কোন ইবাদতের ব্যাপারে তাগিদ করা হয়নি। 

এ প্রসঙ্গে হুযূর আকরাম (সাঃ) ইরশাদ করেছেন প্রবল প্রতাপান্বিত  আল্লাহ আমার উম্মতের উপর (প্রত্যেক দিনের ও রাতের জন্য) ৫০ ওয়াক্ত নামায ফরজ  করেছেন, এই (আদেশ) নিয়ে ফেরার সময় ষষ্ঠ আকাশে হযরত মূসা (আঃ)-এর সাথে  সাক্ষাৎ হলো। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহ্ আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ কী বিষয়ের হুকুম করেছেন? আমি বললাম, প্রতি দিনের জন্য ৫০ ওয়াক্ত নামায। তিনি বললেন, আপনার প্রতিপালকের কাছে ফিরে যান। কেননা, আপনার উম্মত এটা পালন করতে পারবে না । এতে করে আমি ফিরে গেলাম, আল্লাহ তাআলা ১০ ওয়াক্ত নামায কমিয়ে দিলেন । আমি পুনরায় মূসা (আঃ)-এর কাছে এসে পৌঁছলে তিনি আবার পূর্বের ন্যায় নামায কমাবার আদেশ দিলেন। আমি আবারও আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হলাম। এবারও  আল্লাহ তাআলা ১০ ওয়াক্ত নামায কমিয়ে দিলেন। অতঃপর আমি মূসা (আঃ)-এর কাছে ফিরে এলাম, এবারও তিনি নামায কমানোর পরামর্শ দিলেন, আমি আবার আমার প্রতিপালকের দরবারে উপস্থিত হলাম, এবারও আল্লাহ পাক ১০ ওয়াক্ত নামায কমিয়ে দিলেন। এরপর আমি মূসা (আঃ)-এর কাছে ফিরে এলাম। এবারও তিনি নামায কমিয়ে আনার পরামর্শ দিলেন। আমি পুনরায় আমার প্রভুর দরবারে হাজির হলাম, এবারও তিনি আরো ১০ ওয়াক্ত নামায কমিয়ে দিলেন। অতঃপর আমি ফিরে মূসা (আঃ)-এর কাছে পৌঁছলাম, এবারও তিনি আরো নামায কমাবার উপদেশ দিলেন, আমি সে মতে আবার আমার মাবুদের দরবারে হাজির হলাম, তাতে তিনি সদয় হয়ে আরো ৫ ওয়াক্ত নামায কমিয়ে দিলেন এবং প্রতি দিন ৫ ওয়াক্ত নামায পড়ার হুকুম দিলেন। আর বললেন  এই  পাঁচই পঞ্চাশ । আমার কাছে বিধির পরিবর্তন নেই। আমি পুনরায় মুসা আলাইহিস সালামের নিকট ফিরে এলাম, এবারও তিনি আরো নামায কমানোর পরামর্শ দিলেন, আমি এই পাঁচ ওয়াক্তের উপরই সন্তুষ্ট। (কেননা, “এই পাঁচ ওয়াক্ত নামায পুণ্যের দিক দিয়ে পঞ্চাশ ওয়াক্তের সমান।”)

শাইখানের হাদীসের মধ্যে বর্ণিত আছে, নামাযের ওয়াক্ত কম হতে হতে যখন পাঁচ ওয়াক্ত অবশিষ্ট রইল, তখন বলা হলো: এই ৫ (ওয়াক্তই সওয়াবের দিক দিয়ে) ৫০ ওয়াক্তের

সমান । আমার এখানে কোন কথা পরিবর্তন হয় না। (অর্থাৎ তাকদীরের মধ্যে ৫০ ওয়াক্তের সওয়াব লিখা ছিল এবং ৫০ ওয়াক্ত নামায পরিবর্তন হয়ে পাঁচ ওয়াক্তে এসে পৌঁছবে, তাও তাকদীরে লিখা ছিল । সুতরাং তাকদীরের কোন পরিবর্তন ঘটেনি। যেমন লিখা ছিল তেমনই হয়েছে ।

বান্দা যখন নামাযের নিয়্যতে দাঁড়ায় তখন রাব্বুল আলামীন তার সামনে উপস্থিত হন। যদি কোন অসহায় নামাযী নামাযের ভেতর তার দৃষ্টি অন্য দিকে নিয়ে যায়; তখন প্রিয় মাওলা বলেনঃ হে বান্দা আমি তোমার সামনে আছি, তুমি আমার দিকে তাকাচ্ছ না, আমার চেয়ে কি তোমার কাছে অন্য জিনিস ভালো লাগল? যদ্দরুন তুমি আমাকে ছেড়ে অন্য দিকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিলে।

১। যখন বান্দা নামাযের জন্য দণ্ডায়মান হয় এবং “আল্লাহু আকবার” বলে নিয়্যত বাঁধে তখন তার অবস্থা এমন হয় যে, এক দিকে সে তাকবীর শেষ করে, অন্য দিকে সে এমনভাবে সমূহ গুনাহ থেকে পবিত্র হয়ে যায়, যেমন আজই সে তার মায়ের পেট থেকে জন্মগ্রহণ করেছে।

২। যখন একজন নামাযী “সুবহানাকাল্লাহুমা” পড়ার পর “আউযুবিল্লাহ” বলে, তখন তার এক একটা পশমের পরিবর্তে এক একটা সওয়াব দান করা হয়।

৩। যখন “আলহামুদ লিল্লাহ” পড়ে, তখন একটি হজ্জ ও উমরাহর সওয়াব দান করা হয়।

৪। যখন রুকূ করে "সুবহানা রব্বিয়াল আযীম পড়ে, তখন তাকে এই পরিমাণ সওয়াব দান করা হয়, যেন সে সমস্ত আসমানী কিতাৰ পড়ার পরিবর্তে সওয়াব পেলো।

৫। যখন “সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ" বলে, তখন আল্লাহ তাআলা তার দিকে  রহমতের নজরে তাকান।

৬। যখন নামাযী সেজদায় মস্তক অবনত করে, তখন তাকে সমস্ত মানব-দানবের সংখ্যার সম-পরিমাণ সওয়াব দেয়া হয়।

৭। যখন সেজদায় গিয়ে “সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা” পড়ে, তখন তাকে একজন দাস মুক্ত করার সওয়াব দেয়া হয়।

৮! যখন নামাযের সমাপ্তি লগ্নে সালাম ফিরায়, তখন তার জন্য বেহেশতের আটটি  দরজা খুলে দেয়া হয়; যেন সে তার ইচ্ছা অনুযায়ী যে কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করে।


হযরত হাসান বসরী (রহঃ) বলেন, নামাযীদের জন্য তিনটি সম্মান রয়েছে।

১। নামাযী যখন নামাযে দাঁড়ায় তখন তার মাথা থেকে নিয়ে আসমান পর্যন্ত আল্লাহর রহমতের মেঘমালা সর্বত্র ছেয়ে যায় এবং বৃষ্টির মতো সওয়াব বর্ষিত হতে থাকে।

২। ফেরেশতারা নামাযীর চতুর্দিকে ঘিরে জড়ো হতে থাকে এবং তাদের বেষ্টনীর মধ্যে নিয়ে নেয় ।

৩। একজন ফেরেশতা উচ্চৈঃস্বরে ডেকে বলে ঃ “হে নামাযী! তুমি যদি দেখতে পেতে যে, তোমার সামনে কে? আর তুমি কার সাথে কথা বলছ? তাহলে আল্লাহর কসম! তুমি কিয়ামত পর্যন্ত নামাযের সালাম ফিরাতে না। নামাযেই মগ্ন থাকতে এবং সে অবস্থাতেই মৃত্যুবরণ করতে; কিন্তু তোমার নামায শেষ হতো না।”













---------------

tags:

ফরজ নামাজ,  নামাজ,  কোন নবীর উপর কোন নামাজ ফরজ হয়েছিল,  রোযা যেভাবে ফরজ হয়েছিল,  নামাজ কখন ফরজ হয়,  নামাজ কত হিজরীতে ফরজ হয়,  ফরজ নামাজ পড়ার নিয়ম,  ফরজ নামাযের পর সম্মিলিত মুনাজাত জায়েজ নয়,  যেভাবে,  পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার ইতিহাস,  

obligatory prayers,  prayers,  prayer,  the five obligatory prayers,  praying only obligatory prayers,  prayer (quotation subject),  supererogatory prayers,  obligatory,  what to say after prayers,  rulings regarding prayer,  five daily prayers,  nafl prayers,  extra prayers,  recommended prayers,  ritual prayers,  sunnah prayers,  fard prayer,  funeral prayers,  dua after prayers,  praying only nafl prayers,  nawafil prayer,  

namaz,  history of namaz,  history of namaz in islam,  history of namaz in urdu,  history of namaz in islam in urdu,  namaz ki history,  history of fajr namaz,  history of namaz e fajr,  history of namaz e fajar,  a true story of namaz,  namaj,  namaz bou,  namaz kab farz hui,  namaz ki fazilat,  namaz ki tareekh,  islamic history,  history of islam,  namaz kaise padhe jati hai,  namaji