কিন্তু মদীনায় হিজরতের পরে আল্লাহরই নির্দেশানুসারে বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে ফিরিয়া নামায পড়িতে শুরু করেন। এইভাবে এক বৎসর চারিমস অতিবাহিত হইবার পর ইয়াহুদীগণ কথায় কথায় মুসলমানদিগকে এইরূপ বলিয়া ঠাট্টা ও বিদ্রূপ করিতে লাগিল যে, তোমাদের মুসলমানদের স্বকীয়তা বা নিজস্ব ভিত্তি বলিতে কি আছে? নামায আদায়ের ব্যাপারটাই দেখ না, তোমরা আমাদের কিবলা বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে ফিরিয়া নামায আদায় করিতেছ।
অথচ তোমাদের রাসূল আবার আমাদেরকে অন্য দুটিতেও দেখিতেছেন । তাহাদের কথায় হুযুরে পাক (সাঃ)-এর মনে এইরূপ আকাঙ্ক্ষার উদয় হইল যে, আল্লাহ পাক যদি মুসলমানদের নামায আদায়ের জন্য খানায়ে কাবাকে কিবলা মনোনয়ন করিতেন, তাহা হইলে ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য বড়ই ভালো হইত।
আলাহতায়ালা তাঁহার প্রিয় হাবীবের মনের এই বাসনা উপলদ্ধি করিয়া উহা পূর্ণ করিয়া দেন। শাবান মাসের পনের তারিখ মঙ্গলবার মসজিদে বনু সলিমায় হুযুরে পাক (সাঃ) তাঁহার সহচরদিগকে লইয়া জোহরের নামায আদায় করিতেছিলেন। দুই রাকাত নামায পড়িয়া হুযুরে পাক (সাঃ) তৃতীয় রাকাতের রুকূতে গিয়াছেন, এই সময়ে ফেরেশতা জিব্রাইল আসিয়া আল্লাহর
আদেশ জানাইয়া দিলেন যে,মুসলমানদের জন্য খানায়ে কাবাকে কিবলা করা হইল। এই নির্দেশ শুনামাত্র হুযুরে পাক (সাঃ) রুকুর মধ্যেই খানায়ে কাবা অভিমুখে মুখ ফিরাইয়া দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত মুক্তাদী ও হুযুরে পাক (সাঃ) এর অনুসরণ করিলেন। এইভাবে আল্লাহ পাকের মহাপবিত্র খানায়ে কাবা ই পুনরায় মুসলমানদের নামাজের কিবলা সুনিদিষ্ট হইয়া গেল।