নামাযের ফযিলত
নামাযের ওয়াক্ত
দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামায সকলের উপর পড়া ফরজ। অতএব, সেই ওয়াজগুলো জেনে রাখা জরুরী। পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের নাম ও এর বিস্তারিত মাসআলা নিম্নে দেয়া হলো :
ওয়াক্তগুলোর নাম– (১) ফজর, (২) যোহর, (৩) আছর, (৪) মাগরিব, (৫) এশা।
ফজরের দুই রাকআত, যোহরের চার রাকআত, মাগরিবের তিন রাকআত এবং এশার চার রাকাত, মোট এই ১৭ রাকআত নামায দৈনিক এ উম্মতের উপর ফরজ করা হয়েছে।
বিস্তারিত বিবরণ নিম্নরূপঃ
১। রাত যখন শেষ হয়ে আসে তখন পূর্ব আকাশে দৈর্ঘ্যে অর্থাৎ উপর-নিচে একটি লম্ববান সাদা রেখা দেখা যায়। এ রেখা প্রকাশের সময়কে ‘সোবহে কাযেব, (অর্থাৎ মিথ্যা প্রভাত) বলা হয়। এ সময় ফজরের নামাযের ওয়াক্ত হয় না।
কিছুক্ষণ পরে ঐ সাদা রেখা বিলীন হয়ে আবার অন্ধকার দেখা যায়। এর অল্পক্ষণ পর পূব আকাশের প্রস্থে অথাৎ, উত্তর-দক্ষিণে বিস্তারিত সাদা রং দেখা দেয়। এই সাদা রং প্রকাশের সময় হতে সোবহে সাদেক শুরু হয়। সোবহে সাদেক হলে ফজরের নামাজের ওয়াক্ত হয়েছে বুঝতে হবে এবং সূর্য উদয় না হওয়া পর্যন্ত ফজরের ওয়াক্ত থাকবে। যখন পৃর্ব আকাশের সূর্যের সামান্য কিনারা দেখা দেয়, তখন ফজরের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যায়। কিন্ত মহিলাদের জন্য আউয়াল ওয়াক্তে নামায পড়া ভালো।
সবচেয়ে ছোট রাতে সূর্য উদয়ের ১ ঘন্টা ১৫ মিনিট এবং সবচেয়ে বড় রাতে ১ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট পূর্বে সোবহে সাদেক হয়। এটা ব্যক্তিগত হিসাব।
২। ঠিক দ্বিপ্রহরের পর যখন সূর্য সামান্য ঢলে পরে যোহরের ওয়াক্ত হয় এবং প্রত্যেক জিনিসের ছায়া এর দ্বিগুণ না হওয়া পর্যন্ত যোহরের ওয়াক্ত থাকে। কিন্তু ছায়া সম-পরিমাণ হবার পূর্বে নামায পড়ে নেয়া মোস্তাহাব। সকল বস্তুর ছায়াই সকাল বেলায় পশ্চিম দিকে থাকে এবং অনেক বড় থাকে। ক্রমান্বয়ে ছায়া ছোট হতে থাকে। এমনকি ঠিক দ্বিপ্রহরের সময় সবচেয়ে ছোট হয়ে কিছুক্ষণ পরে আবার পূর্ব দিকে বাড়তে শুরু করে। যখন ছায়া সবচেয়ে ছোট হয়, তখন ঠিক দ্বিপ্রহরের সময়। এ সময় সবচেয়ে ছোট যে ছায়াটুকু থাকে তাকে ছায়া আছলী’ বলে । ছায়া আছলী বাদে ছায়া যখন ঐ বস্তুর সম-পরিমাণ হয় তখন পর্যন্ত যোহরের নামায পড়া মোস্তাহাব। ছায়া আছলী বাদে ছায়া যখন ঐ বস্তুর সম পরিমান হয় তখন পর্যন্ত যোহরের নামায পড়া মুস্তাহাব। ছায়া আছলী বাদে দ্বিগুণ হওয়ার আগ পর্যন্ত যোহরের ওয়াক্ত থাকে। যখন না আছরের ওয়াক্ত এসে যায়। ছায়া আছলী বাদে ছায়া দ্বিগুণ হওয়ার পর হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আছরের ওয়াক্ত। কিন্তু রং হলদে হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত মোস্তাহাব ওয়াক্ত। তারপর মাকরূহ ওয়াক্ত অর্থাৎ অর্থাৎ সূর্যের রং পরিবর্তন হয়ে যায়, তখন নামায পড়া মাকরূহ। অবশ্য যদি কোন কারণবশত ঐ দিনের আছরের নামায পড়া না হয়ে থাকে, তবে ঐ সময়ই পড়ে নিবে, নামায কাযা হতে দেবে না। কিন্তু আগামীর জন্য সতর্ক হবে, যাতে পুনঃ ঐরূপ দেরি না হয়। অবশ্য এই সময়ে ঐ দিনের আছর ব্যতীত কাযা, নফল বা অন্য কোন নামায পড়লে তা জায়েয হবে না।
৩। সূর্য অস্ত যাওয়া মাত্রই মাগরিবের নামাযের ওয়াক্ত শুরু হয় এবং যতক্ষণ পশ্চিম আকাশ লাল বর্ণ দেখা যায়, ততক্ষণ পর্যন্ত মাগরিবের ওয়াক্ত থাকে; কিন্তু মাগরিবের নামায দেরি না করে পড়াই মোস্তাহাব। দেরি করে পড়া মাকরূহ। সূর্য অস্ত যাওয়ার সাথে সাথেই নামায পড়ে নেয়া উচিত। পশ্চিম আকাশে এক ঘণ্টা পর্যন্ত লাল বর্ণ থাকে: (পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে যে, সূর্যাস্তের পর ১ ঘণ্টা ১২ মিনিট মাগরিবের ওয়াক্ত থাকে।) তারপর লাল বর্ণ চলে গিয়ে কিছুক্ষণ পর্যন্ত সাদা বর্ণ দেখা যায়। লাল বর্ণ চলে গেলেই ফতওয়া হিসেবে এশার ওয়াক্ত হয়ে যায় বটে; কিন্তু সাদা বর্ণ থাকা পর্যন্ত এশার ওয়াক্ত হয় না। কাজেই সাদা বর্ণ দূর হওয়ার পর হতে সোবহে সাদেক না হওয়া পর্যন্ত এশার ওয়াক্ত। কিন্তু রাতের এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত মোস্তাহাব ওয়াক্ত । রাত দ্বিপ্রহর পর্যন্ত মোবাহ্ ওয়াক্ত এবং রাত দ্বিপ্রহরের পর হতে সোবহে সাদেক পর্যন্ত এশার জন্য মাকরূহ্ ওয়াক্ত। কাজেই রাতের এক-তৃতীয়াংশ অতীত না হতেই এশার নামায পড়া উত্তম। কোন কারণ থাকলে রাত দ্বিপ্রহরের পূর্ব পর্যন্ত দেরি করার এজাজাত আছে, তবে বিনা ওজরে রাত দ্বিপ্রহরের পরে এশার নামায পড়া মাকরূহ। (বিতর নামাযের ওয়াক্ত এশার পর হতেই শুরু হয় এবং সোবহে সাদেকের পূর্ব পর্যন্ত থাকে। কিন্তু রাত দ্বিপ্রহরের পরও বিতর নামাযের ওয়াক্ত মাকরূহ হয় না।)
৪। গ্রীষ্মকালে ছায়া সম-পরিমাণ হওয়া পর্যন্ত দেরি করে যোহরের নামায পড়া উত্তম। শীতকালে যোহরের নামায আউয়াল ওয়াক্তে পড়া মোস্তাহাব।
৫। শীত, গ্রীষ্ম উভয় কালেই আছরের নামায ছায়া দ্বিগুণ হওয়ার পরই পড়া ভালো। কিন্তু যেহেতু আছরের পর অন্য কোন নফল নামায পড়া জায়েয নয়, কাজেই সামান্য দেরি করেই পড়া উচিত; কিন্তু সূর্যের রং হলদে হওয়ার পূর্বেই এবং রৌদ্রের রং পরিবর্তন হওয়ার পূর্বে আছরের নামায পড়বে। (রং পরিবর্তন হয়ে গেলে ওয়াক্ত মাকরূহ হবে।)। মাগরিবের নামায সূর্য সম্পূর্ণ ডুবে যাওয়া মাত্রই পড়া মোস্তাহাব।
৬। যার তাহাজ্জুদ নামায পড়ার অভ্যাস আছে, যদি শেষ রাতে উঠার দৃঢ় বিশ্বাস থাকে তবে তার বিতর নামায শেষ রাতে পড়াই উত্তম। যদি শেষ রাতে ঘুম ভাঙ্গার বিশ্বাস না থাকে তবে এর পর ঘুমানোর আগে বিতর পড়া উত্তম।
৭। মেঘের দিনে সঠিক সময় জানতে না পারলে ফজর, যোহর এবং মাগরিবের নামায একটু দেরি করে পড়া ভালো (যেন ওয়াক্ত হওয়ার আগে পড়ার সন্দেহ না হয়)। এবং আছর কিছু জলদি পড়া ভালো (যাতে মাকরূহ ওয়াক্তে পড়ার সন্দেহ না হয়)।
৮। সূর্য উদয়, সূর্য অস্ত এবং ঠিক দুপুর এই তিন সময়ে কোন নামাযই দুরস্ত নয়, তা নফল হোক, কাযা হোক , তেলাওয়াতের সেজদা বা জানাযার নামায হোক। কিন্তু সেই দিনের আছরের নামায না পড়ে থাকলে, সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় জানাযা হাজির হলে, কিংবা আয়াতে সেজদা তেলাওয়াত করলে জানাযার নামায এবং তেলাওয়াতের সেজদা আদায় করে নেবে।
যে কয় সময়ে নামায পড়া মাকরূহ বলা হয়েছে, সে সব সময়ে কুরআন শরীফ তেলাওয়াত করা, দুরূদ শরীফ, এস্তেগফার পড়া, যিকির করা মোস্তাহাব- মাকরূহ নয় ।
৯। ফজরের নামায পড়ার পর হতে সূর্য উদয় হওয়া পর্যন্ত নফল পড়া দুরন্ত নেই। কিন্তু কাযা নামায, তেলাওয়াতের সেজদা বা জানাযার নামায দুরস্ত আছে এবং উভয় স্থান হতে সূর্য এক নেযা পরিমাণ (আমাদের দৃষ্টিতে ৩/৪ হাত) উপরে না উঠা পর্যন্ত নফল, কাযা ইত্যাদি কোন নামাযই দুরস্ত আছে । যখন সূর্যের রং পরিবর্তন হয়ে যায়, তখন হতে অস্ত পর্যন্ত নফল, কাযা ইত্যাদি কোন নামায পড়া জায়েয নয়।
প্রথম উদয়কালে সূর্যের দিকে তাকালে চক্ষু ঝলসাবে না। তারপর যখনই চক্ষু ঝলসাতে থাকবে তখনই নামায পড়া জায়েয হবে, এই সময়কেই এক নেযা পরিমাণ বলে। ঘড়ির হিসেবে ২৩ মিনিট কাল মাকরূহ সময়।
১০। কোন কারণবশত ফরজের পূর্বে সুন্নাত পড়তে না পারলে, যেমন সময়ের অভাবে ফরজ ফউত হওয়ার ভয়ে তাড়াতাড়ি শুধু ফরজ পড়লো আর সময় রইল না, তাহলে সূর্যোদয়ের পর সূর্য এক নেযা উপরে উঠলে সুন্নাত পড়বে, তার আগে পড়বে না। কিন্তু সাধারণ লোক যারা কাজকর্মে লিপ্ত হয়ে যায়, পরে আর পড়ার সময় পায় না, তারা যদি ফরজের পরে সুন্নাত পড়ে তাদেরকে নিষেধ করা উচিত নয়।
১১। সোবহে সাদেক হওয়ার পর কোন নফল নামায পড়া দুরস্ত নয়। শুধু ফরজের দুই রাকআত সুন্নাত এবং দুই রাকআত ফরজ ব্যতীত অন্য কোন নফল নামায পড়া মাকরূহ। অবশ্য কাযা নামায ও তেলাওয়াতের সেজদা জায়েয আছে।
১২। ফজরের নামাযের মধ্যেই যদি সূর্য উদয় হয়, তবে ঐ নামায হয় না। সূর্য এক নেযা পরিমাণ উপরে উঠার পর পুনঃ কাযা পড়তে হবে। কিন্তু আছরের নামাযের মধ্যে যদি সূর্য অস্ত যায়, তবে নামায হয়ে যাবে, কাযা পড়তে হবে না।
১৩।এশার পূর্বে নিদ্রা যাওয়া (এবং পরে দুনিয়ার কথাবার্তা) মাকরূহ। তাই নামায পড়েই শোয়া উত্তম। একান্ত ওজরবশত এশার নামাযের আগে ঘুমাতে হলে নামাযের জামাআতের সময় উঠিয়ে দেয়ার জন্য কাউকে বলে রাখবে । যদি সে ওয়াদা করে, তবে ঘুমানো দুরস্ত আছে। (নাবালেগ ছেলেমেয়েরা নামায রোযা করলে তারা তার সওয়াব পাবে এবং যে মুরুব্বিগণ শিক্ষা দেবেন ও আদেশ করবেন তারাও তাঁরা ও সওয়াব পাবেন।
১৪। ফজরের নামায পুরুষগণ সবসময় সোবহে সাদেকের পর পূর্ব আকাশ উত্তমরূপে ফর্সা হয়ে গেলে পড়বে। এমন সময় নামায শুরু করবে যাতে দুই রাকআতে সূরা ফাতেহা বাদে ৪০ আয়াত রীতিমত তারতীলের সাথে (সহীহ্ করে) পড়ে নামায শেষ করা যায় এবং যদি ঘটনাক্রমে নামায ফাসেদ (বাতিল) হয়ে গেলেও যেন সূর্য উদয়ের আগেই এরূপ তারতীলের সঙ্গে আবার ৪০ বা ৫০ আয়াত পড়ে নামায শুরু করা যায়। এমন সময় রেখে নামায শুরু করাই পুরুষদের জন্য সর্বদা মোস্তাহাব ওয়াক্ত। আজকালকার ঘড়ির হিসাবে সূর্য উদয়ের পৌনে এক ঘণ্টা কিংবা আধ ঘন্টা আগে মোস্তাহাব ওয়াক্ত হয়। কিন্তু হজ্জের পর দিন মোযদালেফার তারিখে ফজরের নামায পুরুষগণের জন্য সোবহে সাদেক হওয়া মাত্রই অন্ধকার থাকতে পড়া মোস্তাহাব এবং মহিলাদের জন্য সর্বদাই অন্ধকার থাকতে পড়াই মোস্তাহাব।
১৫। জুমুআর নামাযের ওয়াক্ত এবং যোহরের নামাযের ওয়াক্ত একই। শুধু এতটুকু ব্যবধান যে, যোহরের নামায গ্রীষ্মকালে কিছু দেরি করে পড়া মোস্তাহাব; কিন্তু জুমুআর নামায শীত গ্রীষ্ম সব সময়েই প্রথম ওয়াক্তে পড়া মোস্তাহাব।
১৬। ঈদের নামাযের ওয়াক্ত সূর্য উদয়ের পর সূর্যের কিরণ এমন হয় যে, এর দিকে চাওয়া যায় না, অর্থাৎ সূর্য আমাদের দেখা দৃষ্টি তিন-চার হাত উপরে উঠে, তখন হতে ঈদের নামাযের ওয়াক্ত হয় এবং ঠিক দ্বিপ্রহরের আগ পর্যন্ত ওয়াক্ত থাকে। ঈদুল ফিতর ঈদুল আযহা উভয় নামাযই যথাসম্ভব জলদি পড়া মোস্তাহাব, কিন্তু ঈদুল ফিতর নামায ঈদুল আযহা হতে কিছু বিলম্বে পড়া উচিত।
১৭। জুমুআ, ঈদ, কুছুফ, এস্তেস্কা বা হজ্জের খোতবার জন্য যখন ইমাম দাঁড়ায়, তখন নফল নামায পড়া মাকরূহ। এভাবে বিবাহের খোতবা এবং কুরআন খতমের খোতবা শুরু করার পরও নামায পড়া মাকরূহ।
১৮। যখন ফরজ নামাযের তাকবীর বলা হয় তখন আর সুন্নাত বা নফল নামায পড়া যাবে না। তবে ফজরের সময় যদি দৃঢ় বিশ্বাস হয় যে, সুন্নাত পড়ে অন্তত ফরজের এক রাকআত ধরা যাবে, কোন কোন আলেমের মতে, তাশাহ্হুদে শরীক হওয়ার ভরসা থাকলে (বারান্দায় বা এক পাশে) সুন্নাত পড়লে মাকরূহ হবে না। অথবা যে সুন্নাতে মোয়াক্কাদা শুরু করেছে তা পুরা করে নেবে । যোহরের চার রাকআত সুন্নাতে মোয়াক্কাদা আগেই শুরু করে থাকলে, যদি তিন রাকআত পড়া হয়ে থাকে, তবে আর এক রাকআত পড়ে পূর্ণ করবে। যদি দুই রাকআতের সময় জামাআত শুরু হয়, তবুও চার রাকআত পুরা করা ভালো। দুই রাকআত পড়ে সালাম ফিরিয়ে জামাআতে শরীক হলে পর সুন্নাতের কাযা পড়তে হবে না। যদি নফল বা সুন্নাতে যায়েদা (গায়েরে মোয়াক্কাদা) শুরু করে থাকে, তবে দুই রাকআতের পর সালাম ফিরিয়ে জামাআতে শরীক হবে । (আর যদি ঐ ফরজই একা একা শুরু করে থাকে, তবে তা ছেড়ে দিয়ে জামাআতে শামিল হবে।)
১৯। ঈদের দিন ঈদের নামাযের আগে নফল পড়া মাকরূহ (তা ঈদগাহে হোক বা বাড়িতে হোক বা মসজিদে হোক।) ঈদের নামাযের পরও ঈদগাহে নফল নামায পড়া মাকরূহ। বাড়িতে বা মসজিদে মাকরূহ নয়।
যে ব্যক্তি নামাযের হেফাজত করে, ওয়াক্তের প্রতি লক্ষ্য রেখে গুরুত্ব সহকারে তা আদায় করে, আল্লাহ তাআলা জাল্লাশানুহু নয়টি জিনিস দ্বারা তাকে সাহায্য করেন। যেমন:
১। আল্লাহ তাআলা স্বয়ং তাকে মহব্বত করেন,
২। তাকে সুস্থতা দান করেন,
৩। ফেরেশতারা তাকে হেফাজত করেন,
৪। তার ঘরে বরকত দান করেন,
৫। তার চেহারায় জ্যোতি বিরাজ করে,
৬। তার অন্তরে কোমলতা দান করেন,
৭। সে পুলসিরাতের উপর দিয়ে বিজলির মতো পার হয়ে যেতে পারবে,
৮ | দোযখ থেকে মুক্তি দেয়া হবে।
----------
Tags: নামাযের ফযিলত, নামাযের গুরুত্ব ও ফযিলত, নামাযের গুরুত্ব, নামাজের ফযিলত, নামাযের ফযিলত (৩য় পর্ব), নামাযের ফযিলত (8th part), নামাযের ফযিলত (৬ষ্ঠ পর্ব), নামাযের ফজিলত (৫ম পর্ব), নামাযের ফজিলত (৪র্থ পর্ব), নামাজের গুরুত্ব ও ফযিলত, নামাযের লাভ, ফযিলত, নামায, নামাজের গুরুত্ব, নামাজের গুরুত্ব বাংলা ওয়াজ,
namajer fojilot, namajer gurutto o fojilot, namazer gorutto o fozilot, namazer fozilot, namajer fojilot waz, namajer fojilot bangla, namazer gurutto o fozilot, namajer gurutto, namaj er fojilot, namajer gurutto o fozilot, নামাজের ফজিলত namajer fozilot, fojor namazer fozilot, asor namzer fozilot, fojorer namajer fojilot, namajer fazilat, namajer duniyabi fojilot, namazer gurutto, namajer gurutto ofizilot